এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • তালে-বেতালে

    b
    গান | ১৭ এপ্রিল ২০০৯ | ৫৮৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shibanshu | 59.97.232.129 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:৩০412441
  • হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে আরবী সঙ্গীতের ভূমিকা হিসেবে অরূপ যে যুক্তিগুলি দিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে দুটোকথা।

    প্রথমটা ভাষাগত প্রশ্ন। আমি অনুমান করি সম্ভবত অরূপের হিন্দি বা উর্দু ভাষায় প্রথাগত অনুশীলন নেই। যেহেতু আমি প্রকৃত পরিস্থিতিটি জানিনা, তাই আগেই মার্জনা চেয়ে রাখছি। কারণ হিন্দি বা উর্দু প্রথাগতভাবে শেখার সময় হিন্দি বা হিন্দুস্তানি ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দভান্ডারের গভীর অধ্যয়ন করতে হয়। খড়ি বোলি হিন্দি ও উর্দুর শব্দভান্ডার মোটামুটিভাবে এক। তাই আরবিভাষী মানুষের অনেক 'হিন্দি' শব্দকে পরিচিত লাগাটা স্বাভাবিক। রইলো কথা আরবি লিপির। লিপিটি আমাদের দৃষ্টিতে একটু জটিল। আমাদের দেশে উর্দু লিখতে নাস্তালিক লিপি ব্যবহার করা হয়। আমার প্রথাগত উর্দু শেখা ঐ লিপির কাছে এসে আটকে গেছিলো। তবে এখনও আমার উর্দু চর্চা নাগরি লিপিতে চালিয়ে যাই। বিশেষ অসুবিধে হয়না। এর পিছনে সঙ্গীতচর্চার কোনও ভূমিকা নেই।

    দ্বিতীয়ত, ভৈরবি রাগিনীর যে ফ্রেজ, তা পৃথিবীর সমস্ত দেশে নানা রকমের গানের মধ্যে পাওয়া যায়। বিশেষত লোকগানে। আমাদের দেশেও ভৈরবির উৎস লোকগানের পরম্পরা। কয়েকদিন আগে একটি হাঙ্গেরিয় লোকগান শুনছিলাম তা নব্বই ভাগ ভৈরবি। তাই আরবী সঙ্গীতে ভৈরবি কেন, অনেক ভারতীয় রাগের সমান্তরাল সুর পাওয়া যেতে পারে। এখানে সুরের স্ট্রাকচারটি জরুরি নয়, গানের স্ট্রাকচারটি জরুরি। পারসিক য়মন ( বলা হয় আমির খুসরো এটিকে এদেশে নিয়ে এসেছিলেন) আর আমাদের কল্যান তো প্রায় একই সুর। এ জাতীয় উদাহরন তো বহু রয়েছে।

    তাই আরবী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে কোন কোন ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে এটা জানার ইচ্ছে রইলো।
  • de | 203.199.33.2 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:৪২412442
  • শিবাংশুদার লেখা অপূর্ব লাগছে -- আরো লিখুন রাগ-রাগিণীর উৎসমুখ নিয়ে। খুব অপেক্ষায় রইলাম!
  • Arup | 79.21.63.222 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:০৭412444
  • আমারও দারুন লাগছে। শিখছিও অনেক। ধন্যবাদ Shibanshu বাবু।
  • Shibanshu | 59.97.232.129 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:০৭412443
  • দে,
    আপনার নাম এবং আমার পদবিটি এক। আমার এক বন্ধু বলতো 'দে'কে ' 'দে' না দেখিলে আর কে দেখিবে। এও অনেকটা সেরকম। ধন্যবাদ।
  • kallol | 115.242.240.185 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:৫১412445
  • আমার একটা দাবী আছে।
    এই টইটায় অরূপ আর শিবাংশুর যুগলবন্দী হোক। মাঝে মাঝে ন্যাড়া আর পাই সাথ সঙ্গত করুক। আমরা চোখ পেতে রই।
    আমরা নাদানেরা, বাহবা, আফরীণ, ক্যাবাৎ বলার জন্য তো আছিই।
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০২:৩১412446
  • এই টইটা দারুণ ভাল লাগছে। আমিও কল্লোলের সঙ্গে একমত--ঐ যুগলবন্দীর ব্যাপারে। আর সেইসঙ্গে পাইদিদির প্রশ্ন গানে গানে হলে তো কথাই নেই- :-)
    আলোচনা চলুক, আমরা কত কি জানতে পারছি। আমার একটি ছোট্ট নাদান প্রশ্ন আছে---আজকের ভারতে , এই প্রজন্মে হিন্দুস্তানি- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কি রকম চাহিদা, ও তার ভবিষ্যত কি?

  • kallol | 115.184.32.184 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:০৬412447
  • আমারও দুটো প্রশ্ন।
    আমরা যখন পাক্কা গানা শুনতে শুরু করি,(৭২-৭৩) তখন ঘন্টা দুই আড়াইয়ের সেশন হতো (খুব কচিৎ তিন ঘন্টারও শুনেছি), কন্ঠ বা যন্ত্র সবারই। এখন তো এক ঘন্টায় নেমে এসেছে। কেউ কেউ ৪৫ মিনিটেও সারছেন। মানুষের অবসরের সময় কমে গেছে, আবার একবারে অনেক বেশী জনকে শুনতে চাইছেন। তাই কি?
    আগে রেকর্ডে তো তিন মিনিটেই গোটা রাগ গেয়ে বা বাজিয়েছেন অনকেই। আবার অনেকেই শুনেছি রেডিওয়ে গাইতে বা বাজাতে পছন্দ করতেন না, সময়ের চাপাচাপির জন্য।
    সেশন কি আরও ছোট হতে পারে? মানে এই ৩০ মিনিট।
    আর একটা।
    প্রায় সব বাজিয়েই মূল বাজনার পরে ধুন বাজান, গায়কেরা ভজন/কাজরী গান। ধুন-এ ভাটিয়ালী থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দি সিনেমার গানও চলে (হিন্দি সিনেমার গান বাজাতেন একমাত্র বিসমিল্লা সায়েব)। কোনদিন কাউকে বাংলা কীর্তন গাইতে বা বাজাতে শুনিনি। কেন?
  • kallol | 115.184.32.184 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:১৫412448
  • নীনার প্রশ্নের একটা উত্তর।
    আজও নতুন প্রজম্নের কাছে উত্তর ভারতীয় মার্গ সঙ্গীত জনপ্রিয়, কিন্তু অন্য আঙ্গিকে। জুনুন বা ঐ জাতীয় ব্যান্ডের গাওয়া বেশ কিছু উত্তর ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের বন্দিশ খুবই জনপ্রিয়। বাংলা ব্যান্ড এটা চেষ্টা করেনি। কিছুটা রাঘব করেছে, কিন্তু রাঘবের গায়কীতে কিছু ঝামেলা আছে, ভালো লাগে না শুনতে।

    আজও কিন্তু ডোভার লেনের টিকিট পাওয়া মুস্কিল। অন্য অনুষ্ঠান গুলোয়ও ভালই লোক হয়।
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৩৩412449
  • আমারো একটা বিষয় জানার আছে। টপ্পা,ভজন,বাউল,কির্তন এগুলো কি একান্ত ভাবেই বাংলার নিজস্ব।
  • Shibanshu | 59.97.233.70 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:৩১412451
  • শ্রদ্ধেয় আমজাদ আলি খানের কাছে শুনেছি তাঁর পিতৃদেব হাফিজ আলি খান বলতেন রাগরূপ সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা থাকলে সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যেও একটা রাগকে ফুটিয়ে তোলা যায়। তিনি নিজেও তাই করতেন। রেকর্ডিং ছাড়াও আসরে বড়ো জোর পনেরো মিনিটের মধ্যে তিনি সম্পূর্ণ অলংকারসহ দরবারি, রাগেশ্রী জাতীয় বড়ো রাগও পরিবেশন করতে পারতেন। আবদুল করিম খানও নাকি 'ছোটা খ্যাল' ছোটো করেই গাইতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন। তবে দঙ্গলবাজির ব্যাপার হলে মুলতানিও আড়াই ঘন্টা গেয়ে আসর মাৎ করার ক্ষমতা ছিলো তাঁর। আসলে যাঁরা ঐ সব মাপের শিল্পী তাঁদের কাছে এতো রকম গয়না থাকে যে তাঁরা সেসব গুনে কূল পান না। রাগসুন্দরীকে কীভাবে তাঁরা সাজাবেন সে বিষয়ে স্বাধীনতা দিলে তাঁরা আপন মনের মাধুরী মিশায়ে এমনভাবে তাকে অলংকৃত করবেন যাতে গয়নার ভারে সুন্দরীর নিজস্ব সৌন্দর্য যেন ঢাকা না পড়ে যায়। যারা অল্পজ্ঞানী, তারা যা কিছু শিখেছে বা আদৌ শেখেনি তার সব কিছু আদেখলার মতো পরিবেশন করে শ্রোতাদের চমকে দিতে চায়। এর ফলে পরিবেশনা দীর্ঘ হতে থাকে।

    যখন থেকে এই অধম পাক্কা গানা শুনছে, অর্থাৎ গত তিরিশ/ বত্রিশ বছর, বড়ো শিল্পীদেরও দীর্ঘ পরিসর রাগ পরিবেশন বহু প্রত্যক্ষ করেছে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা হলো বড়ো মাপের শিল্পীরা যদি সঠিক মেজাজ আর কদরদানির আবহে থাকেন তখন তাঁদের মধ্যে শ্রোতাদের সঙ্গে নিজেকে শোনানোরও একটা ব্যাকুলতা জাগে। ওটাই মণিকাঞ্চনযোগ। একেবারে win-win ব্যাপার। নয়তো শুধু পুনরাবৃত্তি আর চমকে দিয়ে হাততালি কুড়োনোর চেষ্টা।

    এই প্রসঙ্গে আবার মনে পড়ছে উস্তাদ আমজাদ আলির একটা আসরের কথা। সন্ধে বেলা তিনি যখন তার বাঁধছিলেন আমি স্ত্রীকে বললাম দেখো আমি বোধ হয় সুর কানা হয়ে গেছি। কারণ আমার মনে হচ্ছে উনি কাফি জাতীয় কিছু পর্দা লাগাচ্ছেন। আসরের প্রথম রাগ, য়মনকল্যান বা ও জাতীয় কিছু বেশ ছড়িয়ে বাজাবার মতো রাগের প্রত্যাশা থাকে। (কারন এর আগে ওনার হাতে য়মনকল্যান আমি দুঘন্টার বেশি শুনেছি। আকাশে উড়িয়ে দেন একেবারে। নেমে আসতে কষ্ট হয়)। যাকগে জল্পনার শেষ হলো যখন তিনি ঘোষণা করলেন যে তাঁর ইচ্ছে হচ্ছে কাফি বাজাবেন, যদি শ্রোতারা অনুমতি দেন। শ্রোতারা একটু হতভম্ব। তখন মৃদু হেসে তিনি বললেন তিনি পুরোনো চালের কাফি বাজাবেন যা তাঁর ওয়ালিদ সাহেব তাঁকে দিয়ে গেছেন এবং সেটা একেবারে পাক্কা চাল। হয়তো শ্রোতারা এমনটি কখনও শোনেননি। শ্রোতারা তো রোমাঞ্চিত। পিলু, কাফি, জিলা, গারা লোকে মন খারাপ হলে শোনে, তার পাক্কা চাল জানেই না কিছু তো শুনবে কী? তো তিনি বাজালেন পুরো পৌনে দুঘন্টা একেবার ধ্রুপদী বীণ অঙ্গে আর রাগ হলো কাফি। জানিনা এখানে কেউ সে রকম কিছু শুনেছেন কি না, তবে সে একটা অভিজ্ঞতা। তার পরেই তিনি আড়াই ঘন্টা বাজালেন মালকোষ, আমার প্রিয় রাগ, আমার শোনা শ্রেষ্ঠ মালকোষ। স্বর্গীয় ও রোমাঞ্চকর। এরকম স্মৃতি আরও আছে তাই এটা বলতে পারিনা দীর্ঘ হলেই পৌন:পুনিক বা চমকাবার চেষ্টা। গোটা ব্যাপারটাই এতো subjective যে কোনও কথা বলতে মন চায়না। chance পেলে ডুবে যাওয়াটাই প্রেয়।
  • lcm | 69.236.183.87 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:১৫412452
  • একটি প্রশ্ন।

    এক তবলাশিল্পীর ওয়েব সাইটে দেখেছিলাম,
    তাল = rhythmic pattern,
    রাগ = melody

    এই দুটি শব্দের সঠিক ইংরেজি এক্সপ্রেশন কি এরকম?
  • lcm | 69.236.183.87 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:২০412453
  • আরো একটি প্রশ্ন ছিল।

    তবলা-য় উপরে বাজানোর জায়গাটা কি ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরি হয়?
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:২৩412454
  • লসাগু,

  • Samik | 121.242.177.19 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:২৪412455
  • তবলার ছাউনি হয় গরু বা ভেড়ার চামড়া দিয়ে।
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:২৫412456
  • তালের ইংরেজি একেবারে ঠিক।
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:২৬412457
  • শিওর নই।
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:৩০412458
  • টেস্টিং টেস্টিং ... মামুর কল ঘ্যাঁচাকল।

    ক্কী অদ্ভূত !
  • nyara | 209.131.62.115 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:৩৭412459
  • আর্টের soul যদি brevity-তে হয়, তাহলে বড়া খেয়াল এক্কেবারে ফেল। বাঙালী কম্পোজারদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ লম্বা গান অপছন্দ করতেন। তাঁর উপমা-দেওয়া যুক্তি ছিল, কেউ কী নিজেকে সুন্দর দেখাতে নিজের সংগ্রহের যাবতীয় গয়না পরে নেমন্তন্ন বাড়িতে যায়? (এই ধরণের কী একটা - প্যারাফ্রেজড)। তবে উনি তো ধ্রুপদে মানুষ।

    কল্লোলদা, বিলায়েত খাঁ সাহেব বাংলা ভটিয়ালী বলে আমরা যাকে কেত্তনের সুর বলে জানি, সেটা রেকর্ড করেছেন। রবিশংকরের বাংলা কীর্তন বলে একটা ধুন রেকর্ডে আছে ও পাওয়া যায়।
  • Shibanshu | 59.97.233.70 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:৫৬412460
  • সাম্প্রতিককালে ( গত মাস ছয়েকের মধ্যে) আমার শোনা দুটো শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠানের কথা বলি।

    পন্ডিত উল্‌হাস কশলকারের রাগ ছায়ানট আর মারোয়া, একটা ৩৫ মিনিট আর একটা ৪০ মিনিট। অন্য একটি অনুষ্ঠানে তেজেন্দ্র নারায়নের রাগ পুরিয়া ধনশ্রী আর গৌরী মঞ্জরী, দুটো ই ৩০ মিনিটে। আলাপ পরিমিত, মধ্য দ্রুত গতকারি আর কান ঝলসানো অতি দ্রুত। দুজনেই কোনও আপোস করেননি, অথচ শ্রোতাদেরও কোনও অভিযোগ নেই। আরও কিছু অনুষ্ঠান, যেমন পন্ডিত রোনু মজুমদার আর তরুণ ভট্টাচার্জীর যুগলবন্দি ৫০ মিনিট রাগ যোগ আর ১২ মিনিট কিরওয়ানি বা সঞ্জীব অভয়ংকরের রাগ রামকেলি ৩৫ মিনিট। পাক্কা গানা, বহুকাল মনে রাখার মতো অনুষ্ঠান।

    ফর্ম্যাট বদলাচ্ছে, ফিরে যাচ্ছে আবার একশো বছর আগের হিসেবে। সাড়ে তিন মিনিটের 'যমুনা কি তীর' ষাট-সত্তর বছর আগের রেকর্ড, কবে অজেয় ভাইরাসের মতো শরীরে ঢুকে গেছে, মৃত্যুতেও পুড়বে না। চলছে...চলবে। অনুষ্ঠান কতো ক্ষণ চললো সেটা ব্যাপার নয়, ভিতরে কতোটা গেলো সেটাই বিবেচ্য।
  • Shibanshu | 59.97.233.70 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:০৮412462
  • মেলোডি একটি বিশেষ ধরনের সুরের চলন। এটিকে রাগ বলা যায়না। একই সুর মেলোডি, সিম্ফনি, হার্মনি বা র‌্যাপ, রেগি, জ্যাজ ফর্মাটে পরিবেশন করা যায়। সুর বা তার চলন রাগের একটা অঙ্গ, রাগ নয়।
  • Shibanshu | 59.97.233.70 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:২৭412463
  • সামনে বসে পন্ডিত হরি প্রসাদের বাঁশিতে ভাটিয়ালি ধুন শুনেছি, তবে দাদরায়, আর পন্ডিত শিব কুমারের সন্তুরে, উস্তাদ আমজাদ আলির সরোদে আর উস্তাদ শাহিদ পরভেজের সেতারে কীর্তনের ধুন শুনেছি। আসলে এই ধুনগুলি অবিকল আমাদের ধারণার ভাটিয়ালি বা কীর্তনের সুরের সঙ্গে মেলেনা, মেলারও নয়। ওদের নিজস্ব চলন আছে।
  • de | 59.163.30.6 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৬:৪৪412464
  • শিবাংশুদা,
    পরিবেশনার সময়ের ব্যাপারে যা লিখলেন এক্কেবারে মনে ধরলো -- কিন্তু বড়া খেয়াল কতক্ষণ ধরে গাওয়া হবে, ঘরানা বিশেষে কি তার কোন সময়ের সীমা নির্ধারিত থাকে? আমার জ্ঞান যদিও খুবই সীমিত এ ব্যাপারে, তবুও বিভিন্ন ঘরানাতে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে প্রধান্য দেওয়া হয় বলে মনে হয়, কোথাও আলাপ বা বিস্তার পর্ব খুব লম্বা, কোথাও বা তান বা গৎকারীর উপরেই বেশী জোর দেওয়া হয়! এব্যাপারে যদি একটু আলোকপাত করেন।
  • arup kanti das | 79.21.63.222 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:০৪412465
  • আমীর খুসরু যে একজন ইতিহাস প্রসিদ্ধ কবি, দার্শনিক, সঙ্গীত বিশারদ ও ভারতবর্ষে এক নূতন আধ্যাত্মিকতার পথিকৃত ছিলেন এতে কোন দ্বিমত থাকা উচিত নয়। আমার আলোচনার বিষয় ছিলো, সত্যি তবলার জন্ম ওনার আমলে শুরু হয়েছিলো কিনা তা নিয়ে পর্যালোচন করা।
    আর তাই এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করা। এখানে আমীর খুসরু'র মত এক মনিষী'র ব্যাপ্তি নিয়ে কোন সন্দেহই এক মুহুর্ত্তের জন্যও আমার মনে স্থান পায়নি। এ কথা গুলো বললাম এই কারনে, যদি কোন কারনে কারও মনে হয়ে থাকে যে,আমি তা বলতে চেষ্টা করেছি, সেটা
    ভুল ভাবা হবে। আর আমীর খুসরু আরবীয় ছিলেন এমন কোন উল্লেখও আমি করিনি।উর্দ্দূ ভাষার যে উদাহরন দিয়েছিলাম তা সঙ্গীত বহির্ভূত ছিলো আর সেটার পুনরাবৃত্তি করছি: "আর এতেতো কোন সন্দেহ নেই যে মূঘল বা আমীর খুসরু'র অমলে অনেক কিছুরই আদান প্রদান
    ছিলো ভারতীয় আর সুফী সনস্কৃতির মধ্যে। আর তা শুধু সঙ্গীতেই সীমাবদ্ধ ছিলোনা "। আর উর্দ্দূ, হিন্দীতো দূর অস্ত, বাঙ্গলাটাই শেখা হয়নি এখনও আমার ভালো করে। তবে শেখার অদম্য ইচ্ছাটা আছে। কাজেই এখনও শিখছি। আমাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হতো একটি নদী পার হয়ে। সে নদীতে
    প্রায় সারা বছর জল থাকতোনা। সেই মরা নদীর মাঠ ভরে উঠতো উন্নতশির পাঠগাছে। সেই পাঠ জমির বুক চিরে সকলের অজান্তেই সৃষ্টি হোত এক সরু মেঠো পথের। বহু মানুষ সেই তৃষিত তটিনী এপার ওপার করতো সেই পথ দিয়ে। তবে বর্ষার সময় টইটুম্বুর হয়ে উঠতো সে। কখনই খুব গভীর
    হোতনা যদিও। এক রাখাল ছেলে(আমার থেকে অনেক বড়) আমাকে ওপারে পৌছে দিয়ে আসতো আর এপারে নিয়ে আসতো ঘাড়ে করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পর্যন্ত্য কথা বোলতেন আনচলিক বাঙ্গলায়। তাহলেই বুঝুন! তাই এখনও শিখছি।
    সুফী দর্শন নিয়ে দীর্ঘ এমনকি সনক্ষিপ্ত আলোচনা করার মতও কোন শিক্ষা আমি অর্জন করিনি। কিন্তু ভারতীয় সঙ্গীত নিয়ে কথা বলতে গেলে সুফী সনস্কৃতির কথা অবলীলায় চলে আসে। সুফী সঙ্গীত বিদ্বানদের দান অপরিসীম আর তা, যারা এই টইতে ধর্ন্না দিচ্ছেন তারা
    সকলেই জানেন। আর এই সুফী দর্শনের প্রচলনও শুরু হয় সেই আরবী ভাষার মাধ্যমে। এমনকি অনেকেই মনে করেন, মহানবী হজরত মহম্মদ নিজেই এর শিক্ষা প্রদান বা ভূমিকা শুরু করেন। পরে তা পারসী, তূর্কী ও অন্যান্য ভাষায় আর বিভিন্ন দেশে মহাদেশে বিস্তার লাভ
    করে।
    দক্ষিন ভারতীয় সঙ্গীতে যে সময় তঙ্কÄ ব্যবহার হয়না এ কথা সত্য। তবে তা কবে থেকে? আমি একটা সার্বজনীন উদাহরন দিয়েছিলাম। আর কেন যে ওনারা সময় তঙ্কÄ ব্যবহার করেননা তা জানিনা। ভারতীয় রাগ সঙ্গীতে সময় একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময় ব্যাতিরেকে রাগ সঙ্গীতকে বিশ্লেষন
    করতে গেলে পুরো দর্শনটাই বদলে যাবে। নইলে আর শ্রুতির দরকার হোতনা। আর রাত্রিবেলা যখন মালকোষ গাওয়া বা বাজাবার কথা, তখন যদি কেউ ললিত গেয়ে বা বাজিয়ে কাক্‌ ডাকিয়ে দেন, সেটা হবে একটা অসাধারন ব্যাপার আর যিনি এটা করবেন, তিনি নিশ্চয় সাধারন
    মানুষ নন বা রাগ সঙ্গীতে তার অন্তর্দীপন হয়েছে অবশ্যই।
    কিন্তু সেটা হবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে কিছু করা। কাজেই অষ্টপ্রহর অনুসরন করে রাগ চর্চ্চা করাই শ্রেয়। বহু কিছু আমরা করে ফেলেছি প্রকৃতির বিরুদ্ধে। এবার একটু থামা দরকার। নইলে আরও ভয়ানক সুনামী আসবে আর পতন ঘটিয়ে দেবে আমাদের নকল বোকা

    বোকা দাম্ভিকতার।
    গাছ কেটে সুন্দর আসবাব বানানো যাবে ঠিকই, কিন্তু পৃথিবীর শ্বাসকষ্ট যাবে বেড়ে। রাত্রে ভোরের রাগ বাজিয়ে পাখী ডাকিয়ে দেওয়া যাবে ঠিকই, কিন্তু সেই ভোর হওয়ার অনুভবে, কাউকে হয়তো ছুটতে হবে শৌচাগারে আর তার আর এক নাম হবে বদ হজম! আমাদের নিজস্বতাকে ভুলে
    যাওয়াতে আমর আনন্দ পাই। কি ভাবে, তা আর একদিন লিখবো।
    আগে তিন মিনিটের রেকর্ড হোত, কারন তার বেশী করা যেতনা বলে। আমার গুরুজী আব্দুল করিম খান সাহিব-এর সঙ্গে বাজিয়েছেন আর অনেক কথা গুরুজীর কাছে শুনেছি। এ নিয়েও লিখবো।
    তিন মিনিটে রাগের ভাব অবশ্যই বোঝানো যেতে পারে, কিন্তু রাগের আসল রুপ প্রতিষ্ঠা করা যায় এ কথা কেউ আমাকে বলেওনি আর আমি কখনো শুনিওনি। দু:খিত এইজন্য। যেটুকু জানি, যে কোন রাগের ভাব বজায় থাকে এক প্রহর(তিন ঘন্টা)। তারপর প্রকৃতির পরিবর্ত্তন হয় আর, " সময় বদলতা হ্যায়, তো সুর ভী বদল যাতা হ্যায়।
    Shibanshu বাবু অসাধারন লিখছেন। যেমন ভাষার ব্যবহার, তেমন আপনার পান্ডিত্য। অনেকের উপকারে লাগবে আপনার লেখা, এই অধমেরও।
    সবাই ভালো থাকুন আর ভালো হোক।
    (চলবে)
  • arup kanti das | 79.21.63.222 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:২৯412466
  • ভুল: পাঠ গাছ নয়, পাট গাছ। দু:খিত এই ভুলের জন্য।
  • Nina | 68.36.163.248 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:২৭412467
  • শিবাজি রাগ মারোয়া বল্লেই আমির খান সাহেবের চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠে---সোজা হয়ে বসে গাইছেন, হতটা অল্প ওঠানামা করছে---আমি বহুদিন কারুর লাইভ বসে মারোয়া শুনিনি। কোনও ক্যাসেট কি আছে? প্লিজ জানিও তো।

    অরূপ, দারুণ লাগছে--চলুক চলুক--

  • kallol | 124.124.93.205 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১১:৪৮412468
  • না, আমিও সময়ের হিসাবে পাক্কা গানাকে ধরতে চাইছিনা। কিন্তু সময় কমে গেলে যে ঝামেলাটা হয় সেটা অন্য। আমাদের আমলের বঙ্গসংষ্কৃতি সম্মেলনে (৭৩-৭৬) তিনটে সারারাত থাকতো। তাতে প্রথমদিকে শচীনকত্তা, আখতারী বাঈ, রামকুমার, অখিলবন্ধু এরা গাইতেন ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। ৯টা থেকে পাক্কা গানা শুরু হতো। আমি একরাতে একসাথে চারজনকে শুনেছি/দেখেছি। যামিনী কৃষ্ণমূর্তি, শরাফৎ-লতাফৎ হুসেন খাঁ (আগ্রা ঘরাণার খেয়ালে যুগলবন্দী), বিলায়েৎ খাঁ, শেষ রাতে বিসমিল্লা খাঁ। এঁরা সকলেই কমবেশী দু-আড়াই ঘন্টা নিতেন। এখন সময় কমে যাওয়ায় সারারাতে ৭/৮ জনকে শুনি/দেখি। একটু গুরুপাক হয়ে পড়ে। তাই সময়ের কথা উঠলো।
  • Arup | 79.21.63.222 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৪:১৫412469
  • NINA একদম দারুন কথা! রাগ মারোয়া আর ঊস্তাদ আমীর খান কোলকাতার জলসায়। গায়ে কাটা দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আর একজনের নাম না করে থাকতে পারছিনা। তিনি হলেন: পন্ডিত শ্যামল বোস। একটা লিনক্‌ পাঠালাম।


  • Shibanshu | 59.96.103.29 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৬:১৪412470
  • প্রিয় de
    বিশদে যাবোনা।
    গোয়ালিয়র ঘরানায় নথ্‌থন পীর বক্‌শ থেকে হদ্দু, হস্‌সু ও নথ্‌থু খান,( বড়ে মুহম্মদ খান সহ), পর্যন্ত তো বটেই তারও বেশ কিছু দিন পর পর্যন্ত রাশি রাশি ধ্রুপদের বন্দিশ ভেঙে ওনারা খেয়াল তৈরি করেছেন। এর পর এই শিক্ষা আগ্রায় আসে, (আতরৌলি ও সহসয়ান, আগ্রারই উপগ্রহ)। এনাদের ধ্রুপদভাঙা খেয়াল খুব ভারি চালের ছিলো এবং আলাপ বিস্তারের বড়ো স্থান ছিলো সেখানে। গমক সাপট তানকারি অবশ্যই থাকতো, কিন্তু মিড় মুড়কি না থাকার মতো। এগুলো ই বড়া খ্যালের লক্ষন। এঁদের থেকে বিস্তারে কম না হলেও তানকারি বা বড়তে আল্লাদিয়া খান সম্পূর্ণ নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। একালে কিশোরী আমোনকার ঐ ঘরানার জনপ্রিয় শিল্পী, কিন্তু আমার প্রিয় মল্লিকার্জুন মনসুরের গান শুনলে তানকারির কারুকার্যটা টের পাওয়া যায়। পঞ্জাবি শিল্পীরা, যাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন পটিয়ালার ঘরানাদারেরা, বড়ে গুলাম থেকে অজয় চক্রবর্তী, ওনাদের voice trainingয়ের কোনও জবাব নেই। অতি দ্রুত লরজদার তানেও সমস্ত পর্দা নিখুঁত রাখতে পারেন। বিলম্বিত বিস্তারে তেমন উৎসাহী নন। মধ্য দ্রুতেই শুরু করেন সচরাচর।
    কিন্তু সবার চাইতে প্রিয় ( আমার ও আমার মতো অধিকাংশ ইতর স্রোতার) কিরানা ঘরের গান। এনাদের ভালো লাগার মূল কারণ হলো মস্তিষ্ককে মাথায় রেখেও কান থেকে কী করে প্রাণে বাজতে হয় তার জাদুটা আবদুল করিম থেকে তাঁর শিষ্য প্রশিষ্যরা দেখিয়ে দিতে পারেন।

    প্রিয় অরূপ,

    আমার লেখাগুলো আপনার লেখার পরিপূরক। পন্ডিতমন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কায় বেশ বিড়ম্বিত থাকি। সুফিতঙ্কেÄর আরবী উৎপত্তি বিষয়ে যা বলেছেন সেই বিষয়েই দুকথা।
    রসুল নবীর সাম্য ও প্রেমধর্ম বিষয়ক ভাবনাগুলি লোকাচারের থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছিলেন তাঁর মামাতো ভাই ও জামাতা আলি ইব্‌ন আবু তালিব, যাঁকে বিশ্ব শুধু আলি নামেই চেনে। তিনি নবীর পুত্রসম ও প্রিয় শিষ্য ছিলেন। নবীর দেহাবসানের পর ক্ষমতার যুদ্ধে তিনি অপেক্ষাকৃত অধিক জাগতিক ক্ষমতাসম্পন্ন অনুচর ও শিষ্যদের দ্বারা স্বীকৃত হননি। তবে তিনজন খলিফার পর তিনি জনতার রায়ে খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁর সম্বন্ধে পরে আলোচনা করা যেতে পারে। এরকম একটি চলিত জনমত আছে ইসলামে আলিই প্রথম সুফি। তবে সুফি তঙ্কেÄর বিকাশ ঘটে প্রধানত আলির অনুগামী ইসলামি শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে। যেহেতু ইরান বা পারস্যে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মসাধনাই মূলস্রোতের বিশ্বাস তাই সেখানেই সুফিমতের প্রসার দেখা যায়। ভারতেও ইসলাম প্রথমে আসে কাশ্মিরে ও কেরালায় সুফি বিশ্বাসী মুসলিমদের নেতৃত্বে। মাহমুদ ঘজনির ইসলামি সন্ত্রাস অনেক পরবর্তী কালের ব্যাপার। সেই কারণেই জাতিগতভাবে তুর্কি হওয়া সঙ্কেÄও আমির খুসরোর অন্তর্জগত পারস্যের প্রভাবে প্লাবিত ছিলো এবং ভারতে সুফিধর্মের প্রধান পুরুষ নিজামুদ্দিন আউলিয়া তাঁকে এভাবে আবৃত করে রেখেছিলেন।

    তবলার কান টানতে গিয়ে এতো কথা বলা হয়ে গেলো।
  • Arup | 79.21.63.222 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৬:২৭412471
  • Shibanshu বাবু, ভাগ্যিস তবলার কান টানা হ্যেয়েছিলো। দারুন তথ্য! আর অশেষ ধন্যবাদ। আর এইসব কথার দরকার আছে। নইলে সবকিছুই এখন mind blowing-এ সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভালো থাকুন।
  • kallol | 124.124.93.205 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:২০412473
  • একটু যন্ত্র হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন