এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হলেও হতে পারতো প্রেম

    M
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১৩৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৩৬422187
  • নট নেসেসারিলি, বাট ইজন্ট ইট ফান? :-)))))))))
  • Bratin | 117.194.98.145 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৪০422188
  • ইয়ে আর্য্য, discrete না continuous সেই নিয়ে শিলাজিত কিছু বলেছেন?
  • sibu | 66.102.14.1 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৪৬422189
  • এই থ্রেডটা থেকে কাল রিটায়ার করেছিলুম। কিন্তু ম্যান প্রোপোজেস, ইত্যাদি ইত্যাদি।

    সকালবেলা বাসে উঠে সবে চোখের দুপাতা এক করেছি, মোবাইল বেজে উঠল। ভারতবর্ষ থেকে এক বন্ধু (ধরা যাক তার নাম তমাল) ফোন করেছে। দেশে গেলে যে কটি বাড়িতে একাধিকবার যাই, তমালের বাড়ি তার মধ্যে পড়ে। গুরুর একনিষ্ঠ পাঠক। লেখার ইচ্ছেও আছে। তবে এই বাংলা লেখার কল হ্যান্ডল করতে পারে না বলে লেখা আর হয়ে ওঠে না। তমালের বউ শাশ্বতী। সেও আমার খুব ভাল বন্ধু। শাশ্বতীর অনেক গুন। বয়েসের হিসেবে দেখতে সেক্সি, রসিকতা বোঝে, মুখ খারাপ না করলেও মশলাদার কথাবার্তা হেসে উপভোগ করে, চমৎকার মুড়িঘন্ট রাঁধে, আর সবচেয়ে বড় গুন - ভাল ককটেল বানাতে পারে। একবার দেশে গিয়ে টেকিলা সানরাইজ বানানো শিখিয়ে দিয়েছিলাম। এখন রোজ গ্রেনাডাইনের বদলে রূহ্‌ আফজা, আর টেকিলার বদলে 3X রাম দিয়ে ঐ বানায়, আর সার্ভ করে দুটো স্ট্র দিয়ে। একটা স্ট্র বড় আর অন্যটা ছোট। গ্লাসের ধারে এমন করে আটকানো যে দুটোতে একসাথে টান দিলে সঠিক পরিমান রাম, কমলার রস আর রূহ্‌ আফজা মুখে ওঠে প্রতিবারে।

    তমাল এই থ্রেডটা পড়ে কিঞ্চিৎ উত্তেজিত।

    -- কিরে, তোদের গুরুতে লোকে এত্ত বাজে কথা বলে কেন মাইরি।

    -- কেন, কি বলেছে জনতা?

    -- এই যে প্রেম, সেক্ষ এই সব নিয়ে অনন্তকাল ধরে ভাটিয়ে চলেছে।

    -- তুই এই ভোরবেলা তাই নিয়ে আমার বাস ঘুম ভাঙ্গাতে এলি। আচ্ছা বো@#$ পাবলিক যা হোক। কেন ব্বে, সন্ধেবেলা গিয়ে বউয়ের কাছে বসো না।

    -- তোর মত লুজ ক্যারেক্টার নাকি গান্ডু, যে সন্ধে হতেই ইয়ের খোঁজে ঘুরঘুর করব?

    -- বউ বললেই ইয়ে বুঝিস। কবে যে মানুষ হবি হারামজাদা। কেন, বউয়ের সাথে প্রেম করতে পার না?

    -- যা:, যা:, ঐ সব বাকতাল্লা গুরুতে গিয়ে মার। যার নাম চালভাজা, তারই নাম মুড়ি।

    -- এই থ্রেডটা পড়ে কি শিখলি তবে? প্রেম মানে মানসিক উত্তেজনাও হতে পারে।

    -- আর হাসাস না মাইরি। ও সব ভাটের কথা ঠিক হলে তো তুই আমার সাথে প্রেম করলেই পারিস। দেশে এলেই শাশ্বতীর পেছনে ফিল্ডিং করিস কেন গাড়োল?

    -- আহা, প্রেমে সেক্ষ তো আছেই। তবে কিনা অন্য ইনগ্রেডিয়েন্টও অনেক আছে। আর সেই সব ইনগ্রেডিয়েন্ট কিছু কম ইম্পর্ট্যান্ট নয়।

    -- আদার ইনগ্রেডিয়েন্টস কি শুধু প্রেমে নাকি? অনেক কিছুতেই তো আদার ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে। তাই বলে কেউ প্রধান ইনগ্রেডিয়েন্টটার গুরুত্ব কমিয়ে দেখে নাকি?

    -- এগজাম্পল দে।

    -- ইজি তো। এই ধর পাঁঠার ঝোল। পোচ্চুর আদার ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে। অর্ধেক বা তার বেশী। আদার ইনগ্রেডিয়েন্টস না থাকলে এমনকি মালটা তুই খেতেই পারবি না। তবু পাঁঠার ঝোল হল মূলত: পাঁঠা। আর যা কিছু, সে হল পাঁঠাকে ডিলেকটেবল করে তোলার জন্য।

    -- মানলুম না। এই ধর জল। ভল্যুমের হিসেবে হাইড্রোজেন হল তার প্রধান ইনগ্রেডিয়েন্ট। তাই বলে অক্সিজেনকে তুই আদার ইনগ্রেডিয়েন্টস বলে উড়িয়ে দিতে পারিস না। অক্সিজেন ছাড়া জল হবে নাকি।

    -- আরে ন্না:। অক্সিজেন বাদ দিলে মালটা জলই হবে না। কিন্তু পাঁঠার ঝোলে এক পাঁঠা বাদে আর কিছুই ইনডিসপেনসেবল নয়। পেয়াঁজ-রসুনের বদলে ঘি-গরমমশলা, আলুর বদলে কচু, পেঁপের টুকরোর বদলে স্কোয়াশ দিব্যি চলে যায়। এমনকি জল না দিয়ে যাস্ট দমে বসিয়ে মালটা নামানো চলে। সেইরকম, প্রেমে এক সেক্ষ ছাড়া আর কিছুই ইনডিসপেনসিবল নয়। বাকী ইনগ্রেডিয়েন্টস রুচিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। এই ধর আমার জন্য সেক্ষের সাথে ভাল মাসাজ চাইই চাই। তুই শালা কাঁচকলার কোপ্তা খেয়ে রূপসী মাসীমার সাথে প্রেম করতে চেয়েছিলি (মাসীমা তাতে গলে গিয়ে ডিনার সেরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। আর মেসোমশাই গম্ভীর মুখ করে বলেছিলেন - দুপুরে এত্ত খাবার পর আবার ডিনার খেলে ছেলেদের পেট খারাপ হবে। বাল্যবন্ধুর সাথে তক্কো করার এই মুশকিল। হারামজাদা পোচ্চুর নাড়ীর খবোর রাখে।), আর বুলু বোসের প্রেমে আদার ইনগ্রেডিয়েন্ট হল গিয়ে তার লাইভলিহুড (বুলু ভাল ছাত্রী ছিল। কিন্তু বেদম ল্যাদখোর। তাই চাকরি-বাকরি না করে এক আইটি জনতাকে বিয়ে করে হাউসওয়াইফ হয়ে আছে।)। এই তো ব্যাপার।

    -- নারে, আর একটু খটকা থেকে গেল। যখন কেউ বলে আমি অমুকের গানের প্রেমে পড়েছি, তখন কি সে সেক্ষের কথা বলে?

    -- এই বাজে কথা বলিস না তো। তুই তো একসময় পদ্য লেখার চেষ্টা করতিস। শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থের ছাড়াও ব্যঞ্জনার্থ বলে একটা ব্যাপার হয় জানিস না। যখন চাকরের ওপর খচে গিয়ে বলিস - তোকে আজ খেয়েই ফেলব, তখন কি তুই ক্যানিবাল হয়ে গেছিস বলে ধরতে হবে?

    -- তা বটে। নে, এবারে একটু শাশ্বতীকে দে। তোর সাথে কথা বলতে আর ইচ্ছে করছে না।
  • tkn | 122.162.42.156 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৫২422190
  • এবং আবারও -
    প্রেম হলেই সেক্ষ কিন্তু সেক্ষ পেলেই প্রেম না

    হ,
    প্লিজ রেগে যাবেন না :-)। আই ক্যান স্কিপ মাই ডিনার অন দিস :-))))))))
  • pinaki | 67.43.241.179 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২২:৫৭422191
  • কিন্তু শেষত: সেই পাঁঠারই ঝোল। :-))
  • pi | 128.231.22.89 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫১422192
  • না:, আজা আজা বলে লাভ নাই মনে হচ্ছে। এ সেই কিসানের কেচাপ।
  • pi | 128.231.22.89 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৩422194
  • আরে এই তো এল !!
    কিন্তু আলু কচু,কোর্মা স্টু, তালা খোলা, আজা আজা তারা সব গেল লই !

  • I | 12.163.39.254 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৩422193
  • টেস্ট।
  • Samik | 122.162.236.218 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৪422195
  • দ্যাখো বাপু, মেয়েদের কথা জানি না। ছেলে হিসেবে নিজের কথা বলতে পারি।

    রাস্তাঘাটে অনেক মেয়েকে দেখেই আমার কামেচ্ছা জাগে। এখনও। কারুর টিশার্ট জিন্‌সের বিভঙ্গে, কারুর আচমকা হেসে ওঠার ভঙ্গিমায়, কারুর ঠোঁটের ওপর তিলে, কারুর বুকের দৃশ্যমান খাঁজে ... মাথার পেছন থেকে কোনও সংকেত কাজ করে, উত্তেজনা জাগায়। মনের অবচেতন বলে, এই মেয়েটিকে অন্তত একবারের জন্য নিজের বক্ষলগ্ন করে ফেলতে পারলে বেশ হত। চরম সুখ পেতাম।

    কিন্তু এটা নিতান্তই যৌন ইচ্ছা। এর সাথে প্রেমের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই। অর্তাৎ প্রেম হল যৌন ইচ্ছা সমেত আরও অনেক কিছুর টপিং। একটা প্যাকেজ। যৌন ইচ্ছা অনেক মেয়েকে দেখেই হয়, কিন্তু প্রেম ব্যাপারটা ঠিক অনেকের সাথে হবার মত জিনিস নয়। হ্যাঁ, অনেকেরই একাধিকবার প্রেম হয়, কিন্তু যৌন ইচ্ছার ফ্রিকোয়েন্সিতে নয়। প্রেম ব্যাপারটা একটা সিলেকশনের মত, অনেক ঝাড়াই বাছাই করে একজনকে শর্টলিস্ট করার মত ব্যাপার। সেখানে (স্ট্রেট মতে) যৌনতা একটা পার্ট অবশ্যই, না হলে লোকে বিপরীত লিঙ্গ খোঁজে কেন, কিন্তু লিঙ্গপরিচয়টাই সেখানে সব নয়। একটা সাবসেট মাত্র।

    প্রেম জিনিসটা রক্তের সম্পর্ক নয়, আর আমার ক্ষেত্রে, র‌্যাদার আমার মতে, ঠিক হঠাৎ হয়ে যাওয়া ব্যাপারও নয়। প্রেম কিন্তু প্রতিটা ইন্ডিভিজুয়ালের অনেক চিন্তাভাবনার ফসল। না হলে রোজ মেলামেশা করা শয়ে শয়ে বিপরীত লিঙ্গের লোকজনের মধ্যে থেকে পার্টিকুলার্লি একজনের জন্য হৃদয়ের মণিকোঠায় একজনকার জন্য একটা স্পেশাল জায়গা বানিয়ে ফেলা, জাস্ট কিছু-না-ভেবে হঠাৎ হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, সম্ভব নয়।

    এটা পুরুষের প্রবৃত্তি। আদিমযুগ থেকে। ছেলেটা মেয়েটার বুকের দিকে তাকায় কেন? মেয়েটার ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্সে ছেলেটা গরম হয়ে ওঠে কেন? প্রকৃতি ছেলেটাকে দিয়েছে বংশবৃদ্ধি করার অসীম চাবিকাঠি, প্রতি মিনিটে তৈরি করে দিচ্ছে অসংখ্য শুক্রাণু, যার প্রতিটাই একেকটা ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার ক্ষমতা রাখে। ছেলেটার মাথায় তাই সবসময়ে একটা সার্চ মোড কাজ করে, যোগ্য পার্টনার খোঁজার জন্য। ছেলেটা নিজেও জানে না, যে প্রাচীন কাল থেকে প্রকৃতি তার মস্তিষ্কে বার্তা সঞ্চয় করে রেখেছে যে, একটা মেয়ের ভালো শেপের বুক মানে সেই বুক তার অনাগত সন্তানের জন্যে ভালো দুধ সঞ্চয় করে রাখতে পারবে। ক্ষীণকটি, গুরুনিতম্ব, রম্ভোরু আসলে গর্ভাবস্থায় তার ভবিষ্যৎ বংশকে নিরাপদে সচ্ছন্দে ধারণ করার বরাভয় দিচ্ছে। সুন্দর ফিগারের মেয়ে তাই ছেলেটির দৃষ্টি দ্বারা সিক্ত হয়, ছেলেটা জাস্ট অসহায়ভাবে নিজের ইনস্টিংক্ট দ্বারা পরিচালিত হয়ে মেয়েটিকে ঐভাবে দেখে। আসলে মাথার পেছনে সেই সার্চ মোড সংকেত পাঠায়, এ তোমার সন্তান ধারণের জন্য উপযোগী, এ আরও বেশি উপযোগী, ও একটু কম, কিন্তু চলে যায় টাইপ্‌স। স্রেফ নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ সিকিওর করবার জন্য নারীশরীরের তথাকথিত গৌণ যৌনাঙ্গ ছেলেটির ব্রেনে সিগন্যাল পাঠায়, যৌন ইচ্ছা জাগায়।

    এই সিগন্যালের আদান প্রদান চলতে থাকে ততদিন, যতদিন হরমোন চায়। কিন্তু প্রেম এই অবচেতনের সিগনালের আদানপ্রদানে হয় না। সেখানেও সিগন্যালের আদানপ্রদান চলে, কিন্তু তা সচেতনে। এই সার্চ মানুষ করে অ্যাকটিভলি। জাস্ট ঐ ভালোবাসো না বাল, খালি ****-র তাল টাইপের প্রেম হলে আলাদা কথা, আমি তাকে প্রেম বলি না, কিন্তু প্রেম মানে একটা লাইফ পার্টনার খোঁজা যখন হয়ে দাঁড়ায়, তখন কেবল যৌন নিরাপত্তার আশ্বাসন হিসেবেই পার্টনার খোঁজা ব্যাপারটা প্রাধান্য হারায়। একসাথে প্রাধান্য পায় অনেক কিছু। উইট, সহনশীলতা, ব্যক্তিত্ব, সহাবস্থান, এবং হ্যাঁ, যৌনতায় সম্মতি।

    খুব নতুন কিছু বল্লাম না বোধ হয়। :-)
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৭422197
  • আমার পোস্ট কই? এতক্ষণ ধরে পড়া করে একটা উত্তর দিলাম। সে গেল কই?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৮422198
  • একটা দুষ্টু এরর কয়েকপিস পোস্ট উড়িয়ে দিয়েছে।
  • Samik | 122.162.236.218 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৯422199
  • উফ্‌ফ্‌, কী ভাগ্যিস আমার্টা ওড়ে নি। :-)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১২422200
  • দু:খু পাবেন না। প্রেমে এরকম ব্যাখ্যাতীত চোট আঘাত এক আধটা থাকে। তা বলে ভেঙে পড়লে চলবে? :)
  • pi | 128.231.22.89 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৩৯422201
  • বুঝছিনা।
    পিনাকীদার ঐ " যৌন ভালোলাগা+কম্প্যানিয়নশিপ=প্রেম" এটা মানতে কী অসুবিধা?

    কিম্বা 'শুধু যৌন ভালোলাগা=প্রেম' বলে এই অতিসরলীকরণের ই বা চেষ্টা কেন?
    এই টইতে শুরু থেকে যেসব তারকাদের নামের ফর্দ বানানো হয়েছে, সেগুলো ও কি হলেও হতে পারতো 'প্রেম' ?

    আর, অন্যদের ঐ "(কম্প্যানিয়নশিপ/আত্মীয়তাবোধ//রিমঝিম/টুংটাং)-যৌনতাবোধ=প্রেম" এই সমীকরণ ও ঠিক আত্তীকরণ নহি হুয়া।
    মানে সে ঐ স্যানের জিটকে গপ্পো করতে আলো-আঁধারি ভালো লাগা কি তেকোনাদিদির কারুর জিটকে কেমন আছ জানতে চাওয়ায় উছলে ওঠা বা কোনো লেখকের লেখা পড়ে আত্মীয়তাবোধ করা, এগুলোর কোনোটার মধ্যে ই যদি কোনোরকম যৌন চাহিদা না ই থাকে তো এগুলোকে খামোখা প্রেম বলা কেনে ? অন্য কোন নাম দিলেও তো হয়।

  • tkn | 122.162.42.156 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১৩422202
  • পাই,

    নাম দেওয়াই যায়।
    আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা হল এমন হতেই পারে যে এ-র সঙ্গে বি-র বন্ধুত্ব আছে। মানে সংজ্ঞা অনুযায়ী বন্ধুত্ব তবে সে বন্ধুত্বে খানিক বেশি খুশি হওয়া আছে হঠাৎ করে অনলাইন দেখা হয়ে গেলে। সেক্ষেত্রে A এবং B ভাবতে পারে তাদের মধ্যে প্রেম আছে। যৌনচিন্তাও আসতে পারে তাদের মধ্যে। না আসতেও পারে। তার মানে এই নয় যে তাদের প্রেম সার্টিফায়েড না

    আবার অনেক সময় আমরা বলি যে অমুক লেখকের প্রেমে পড়ে গেছি আমি হেব্বি। তার মানেও এই না যে সেই লেখকের সঙ্গে শুতে চাইছি আমি। কথাটার মানে হল লেখকের লেখাটা আমার প্রচন্ড ভালো লাগছে।
    অর্থাৎ প্রেম সেখানে একটা অনুভূতির প্রকাশ মাত্র। হয়ত ব্যকরণ সম্মত প্রকাশ নয়। তবে কেই বা কবে ব্যকরণ মেনে ফিলিংস ছড়িয়েছে!

    আর ঐ আত্মীয়তাবোধ/কম্প্যানিয়নশিপ/রিমঝিম - যৌনতাবোধ = প্রেম তো একবারও বলিনি। বলেছি ওগুলো আগে হওয়ার পরে প্রেমে যৌনতাবোধও আসে। কিন্তু এমন না যে খুব আদর পেয়েছে বলেই কাউকে দেখে উছলে গেছি।
    মুহব্বত রংগ লাতি হ্যায়.. জনাব.. আহিস্তা, আহিস্তা :-)
  • pi | 128.231.22.89 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:৪৮422203
  • ব্যাকরণ মেনে কে আবার ফিলিংস আনতে বা ছড়াতে বল্লো ! কিন্তু ঐ লেখাটা আমার প্রচণ্ড ভালো লেগে গেছে মানে আমি ঐ লেখার লেখকের প্রেমে পড়ে গেছি হেব্বি, এই মুড়ি মিছরি সব ফিলিংস এর ই প্রেম নাম দিয়ে দেওয়া নিয়ে এট্টু আপত্তি হ্যাজ, বস।
    (আর যৌনতাবোধ মানেই শুধু শুতে চাওয়ার ইচ্ছা বুঝি ? :))
    কিন্তু অন্য এক বস আবার কয়ে গেছেন নামে কিবা ইত্যাদি।
    অতএব এখেনে আর হ্যাজাইবো না।
    দেখি, অন্যত্র একটু টই টই করি।

  • tkn | 122.162.42.156 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৭:৪৩422204

  • প্রত্যেক বছর গরমের ছুটিতে শ্রীখন্ডে মামারবাড়ি যেতাম আমরা। আমি আর রুনা জুটি, বোন আর রূপাই। রুনা আর আমি এক ক্লাস ওপর নীচে। সকালে কোনোরকমে খানিক পড়াশুনো সেরেই খেলা শুরু হত। খিড়কির পুকুর, নিরামিষ রান্নাঘরের দাওয়া, সামনের সিংহবাহিনীর পিঁড়ে (বড় চন্ডীমন্ডপ) আর পাশে পোড়ো মজুমদার বাড়ির মধ্যেই মোটামুটি আমাদের খেলাধুলো। বাড়ি থেকে আরো ভেতরদিকে মিনিট দশেক হাঁটলে রুনাদের স্কুল। স্কুল হারুমামার মিষ্টির দোকান, ঠাকুরবাড়ি, আর তারও খানিক পরে গ্রামের লাইব্রেরী। এই লাইব্রেরীর বেশ অনেকটাই দেখাশোনা করতেন দিদু। কলকাতা থেকে মা বই কিনে নিয়ে যেত প্রত্যেকবছর। লাইব্রেরী ঘরের সামনে বেশ বড় একটা লাল মেঝের বারান্দা। বারান্দায় বসলে সামনেই বড় দুখানা দিঘী পরপর। আর বাঁদিক থেকে যদ্দুর চোখ যায় ধানক্ষেত। দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পরেই আমি আর রুনা যেতাম লাইব্রেরীতে। বইয়ের ইন্ডেক্সিং করতাম কখোনো সখোনো ঝিনুকমাসির সঙ্গে কখোনো যে কোনো একটা বই নিয়ে পড়তে বসে যেতাম। রুনা এই সময় বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করত। ঠাকুরবাড়িতে ওর বেশ কিছু বন্ধু ছিল। ওদের বাড়িতে ঢুকে যেত ও আর আমি লাইব্রেরীতে। বই নিয়ে হয় দিঘীর পাড়ে নয় ধানক্ষেতের আলে। রুনা মাঝে মাঝেই এসে আমার হাতে কিছুমিছু দিয়ে আবার চলে যেত। মানে তিলের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, টানামেঠাই এইসব মিষ্টি টাইপের খাবার যখন ঠাকুরবাড়িতে যেটা পাওয়া যেত। আমি খেতাম আর গল্পের পড়তাম। এরকম একদিন আলের ওপর বসে এক মনে ভোম্বল সর্দার পড়ছি। বড়বড় ধানগাছে প্রায় লুকিয়ে থাকা যেত ঐ সময়টা। পড়তে পড়তে পায়ের শব্দ। আমি হাত বাড়ালাম। জানি কিছুমিছু এনেছে। টানামেঠাই। বইথেকে চোখ না সরিয়েই হাত বাড়িয়েছি, নিয়েছি, মুখে পুরেছি। আবার হাত বাড়িয়েছি (জানি মাত্র একটা আনবেনা)
    "আর নেই"
    ঘাবড়ে পাশে তাকালাম ছেলের গলা শুনে। সৌম্যদা। হাসি হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। রাঁচিতে থাকে ওরা। ঠাকুরবাড়ির ছেলে। এই সময়েই আসে প্রত্যেকবার
    তুমি?
    রোজ দোতলার ঘর থেকে দেখি দুপুরবেলা এখানে এসে বসে থাকিস। সাপটাপের ভয় নেই?
    টুকটাক কথা হত। আমি অনেক সময় ঝিলের ধারের বাঁধানো ঘাটেও বসতাম। সৌম্যদা আরো কয়েকদিন এসেছিল। গল্প করত রাঁচির স্কুলের। ওদের ক্রিকেট টিমের।
    ছুটি ফুরিয়ে গেল।
    আমাদের স্কুল আগে খুলবে। ফেরার আগের দিন সৌম্যদা এলো লাইব্রেরীতে
    কাল চলে যাচ্ছিস?
    হ্যাঁ। তোমরা?
    শনিবার যাবো...
    গিয়ে আবার খেলতে পারবে বন্ধুদের সঙ্গে। এখানে তো বোর হও সারাদিন-
    না: এবার একদম বোর হই নি।

    পরের বছর সৌম্যদার বোর্ড ছিল। ওরা আসে নি। তার পরের বছর আমরা সবাই গরমের ছুটিতে গিরিডির বাড়িতে গেলাম ... এবং তার পরের বছর....
    আর দেখা হয় নি। হলে? হতে পারত প্রেম?
  • rokeyaa | 203.110.246.230 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:১৬422205
  • সবার কি সুন্দর গিরিডিতে একটা করে বাড়ি থাকে :((
  • teman keu na | 122.162.42.156 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৮422206


  • ২৪শে ডিসেম্বরে গিরিডি যেতাম আমরা( এখানে যারা যারা আমার অর্কুটে আছেন তারা সেই বাড়িটার ছবি দেখেছেন :-))। মেজমাসিমণিরা সবাই, আমরা, মামুরা সবাই মিলে জমজমাট জমায়েত। ও বাড়িতে এতো বড় বড় ঘর আর এত্তো বড় বাগান যে অনায়াসে হারিয়ে থাকা যেত ইচ্ছে করলেই। বাড়ির পেছনে সজনে আর মহুয়াগাছের ভিড়। পাঁচিলের ওপাশে বড় একটা মাঠ, আরো কয়েকটা বাড়ি, তারও ওপাশে শুকিয়ে থাকা উশ্রী শুয়ে রোদ পোয়ায় সারা শীতকাল। মাঠটায় দুপুর বিকেলে পাড়ার ছেলেরা ক্রিকেট খেলত খুব। আমরা ছাদে দর্শক হয়ে দাঁড়ালে তো সক্কলেই সিক্সার।
    মা রা সবাই বাগানে বা সামনের বারান্দায় বসে গল্প করত (প্লিজ বাড়ির ছবি দেখে বুঝে নিন কোন জায়গাটা বলছি) আমরা নিজেদের মত টাইমপাস করতাম। এর মধ্যে কয়েকদিন ধরে রুনা রোজই চারটে নাগাদ ছাদে উঠে যায় দেখি। ছাদ থেকে উশ্রীর একটা ফালি দেখা যায়। কিন্তু শুকনো বালির মধ্যে দেখার তেমন কিছু নেই। আর শীতকাল হলেও অত কড়া রোদে বাগানে বসাই ভালো। তবু ও ওপরেই যাবে।
    'কিরে? এই রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?'
    'এমনি। ভাল্লাগছে। কি ঠান্ডা না?'
    রাত্তিরে আমরা পাশাপশি শুই।
    ছোড়দি, অ্যাই ছোড়দি, ঘুমোলি?
    'না, বল..'
    'কিছু না..'
    পরের দিন দেখলাম মাঠের ছেলেগুলোর মধ্যে একজন বারবার ছাদের দিকে তাকায়। বল করতে গিয়ে হয় নো নয় ওয়াইড, ব্যাট করতে গিয়ে অলমোস্ট হিট উইকেট অবস্থা। আমি রুনাকে রাগাতাম ওকে নিয়ে। নরম নরম মুখের মিষ্টি মত একটা ছেলে যার নামটাম জানিনা, তার গোটা শীতকালটায় উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছিল রুনা। একদিন বল পড়ল বাড়ির পিছনের বাগানে। ওর বন্ধুরা পাঁচিল ডিঙিয়ে এসে খুঁজে নিয়ে গেল।
    "দেখলি ছোড়দি, বলটা নিতে আসতে পারত তো!'
    "এলে কি হত? কথা বলতিস?'
    "ধুত..
    ছোট্টো শীতের ছুটি। অচিরেই ফুরোলো। দানাপুর এক্সপ্রেস আমাদেরকে গিরিডির থেকে অনেক দূরে কলকাতায় পৌছে দিল ঠিকঠাক।
    ভুলেই গেছিলাম তাকে। এতদিন পরে এই টইতে টান পড়তে আবার ফিরে এলো সে.. আমার মামাতো বোন রুনার হলেও হতে পারত প্রেমিক :-)

  • tatin | 70.177.57.163 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৮:৫৯422208
  • #২৪৭৪;#২৪৯৭;#২৪৮০;#২৪৯৭;#২৪৮৭;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৭৮; #২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৪৯৪;#২৪৩৯;#২৪৬০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৯৭;#২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৪৯৫;#২৪৫৩; --- #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৮৬;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৫৩;#২৪৭৬;#২৪৯৫; #২৪৫৮;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৮২;
  • tatin | 70.177.57.163 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:০১422209
  • পুরুষের প্রেম নারীর স্তনের সাইজের সমানুপাতিক -- বিশ্বকবি চন্দ্রিল
  • teman keu na | 122.162.42.156 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:১৫422210


  • টুপুর কলেজ যায় তিন নম্বর বাসে। সকাল দশটায় বাসস্টপে দাঁড়ায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাস আসে, কোনোরকমে নিজেকে গুঁজে দেয়। কাঁধের ব্যাগটা পিছনের সিটের কারুর কোলে সেটল করিয়ে দিলেই নিশ্চিন্তি। কখোনো নিজের পায়ে কখোনো অন্যের পায়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টবিনরোড, সিঁথির মোড়, চিড়িয়ামোড় পার করতে করতে শ্যামবাজার। একটা গ্রুপ ওঠে ওর কয়েক স্টপেজ আগে থেকেই। পলিটেকনিকের স্টুডেন্ট দেখেই বোঝা যায়। ঝুলতে ঝুলতে যায়, বকবক করে। আই এস আই থেকে ওঠে আর একজন। ওদেরই বন্ধু। তাকে দেখলেই এই ছেলেগুলো হৈ চৈ করে উঠে আয় উঠে আয় করে ডাকাডাকি করে। সেও এদের মতই ঝুলতে ঝুলতে টবিনরোড, সিঁথি... বাসের ডেলিপ্যাসেঞ্জাররা তো ট্রেনের মত রুমাল খুলে তাস পেটায় না, তারা শুধু একে অন্যকে চোখে চেনে। টুপুরও তাই। চোখে চিনে গেছে পুরো গ্রুপটাকে। এরাও। টুপুর বাসে ওঠার সময় "এই যে দাদা, জায়গা দিন না', "আরে, গেটটা ছেড়ে দাঁড়াতে পারেন না!'(নিজেরা কিন্তু গেটের মুখে) ইত্যাদি। আই এস আই থেকে ওঠা ছেলেটা ঝুলন্ত অবস্থাতেই চোখে চোখ রাখে। মজা লাগে টুপুরের। বাকি বন্ধুগুলোও জানে নিশ্চই ব্যাপারটা। ওর স্টপেজ আসার আগেই দুর থেকে তাকে দেখেই "আয় আয়, চলে আয়্‌য়্‌য়" টাইপ চেঁচামেচি শুরু হয়।
    কয়েকটা মাত্র স্টপেজ। কাঁটাকলে বা সিআইটিতে নেমে যায় ওরা। নেমে একবার টুপুরের চোখে চোখ রেখে হাঁটা দেয়।
    সেকেন্ডইয়ারের পর টাপুরের টাইম চেঞ্জ হয়ে গেল ক্লাসের। সাড়ে নটায় বেরোনো শুরু হল। আর দেখা হয়নি।
    কয়েক বছর পরে হঠাৎ দেখা। বসন্তউৎসব থেকে ফিরছে। শক্তিগড়ে সারি সারি ফিরতি গাড়ি দাঁড়িয়ে। টুপুর গাড়ি থেকে নেমেছে অন্যদের সঙ্গে। সামনের গাড়িতে উঠতে গিয়ে একজন এক সেকেন্ড দাঁড়ালো। চিনতে পেরেছে। দুজনেই।
    কিছু আর হওয়ার নেই। যদিও, হলেও হতে পারত ...........

  • san | 123.201.53.4 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:০৮422211
  • গল্পের মাঝে রসভঙ্গ করে পাইদিকে উত্তর দিচ্ছি :-(

    যৌনতাবোধ ! বোঝো, এইজন্য এত কনফিউশন।

    আমি যৌনতাবোধ আর যৌন চাহিদাকে তো দুটো আলাদা জিনিস বলে বুঝি। পিনাকিদা ওর প্রথম দিকের পোস্টে প্রেমের ডেফিনিশনে যৌন চাহিদার কথাই এনেছিলেন - উদা - 'ক্রুডলি বলতে গেলে যৌন চাহিদা আর ইম্পর্টেন্স পাওয়ার অন্য নাম প্রেম' বা 'আমার আপত্তি হল ... প্রেম ব্যাপারটা যেন ঠিক শোয়ার তাগিদ থেকে নয়, এভাবে পোর্ট্রে করায়' , ইত্যাদি। তো সেসব পড়ে আমি বলি প্রেমে যৌন চাহিদা ( চাহিদা বলতে স্পেসিফিক চাহিদা, শোয়া, জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া, স্পর্শ করা, এইরকম) থাকতেই পারে কিন্তু নাও পারে। রিমঝিম টুংটাং মন আনচান ইত্যাদির মধ্যে সব সময় স্পেসিফিক কোন শরীরের চাহিদা থাকেনা তো । এবার চুমু খেতে ইচ্ছে করেনা কিন্তু কথা না হলে মন আনচান করে একে কেন প্রেম বলব না? এই আর কি।

    যৌনতাবোধ অন্যদিকে আমার আইডেন্টিটির একটা অংশ। সেটা বাদ দিয়ে সম্পর্ক জিনিসটাই হবে কিকরে? এই যে রিমঝিম টুংটাং এই জিনিসগুলো আমার শুধু বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গেই হয়, উইথ অর উইদাউট যৌনক্রিয়ার চাহিদা, সমলিঙ্গের কারুর সঙ্গে নয়, যৌনতাবোধ না থাকলে এই ডিফারেন্সটা হবে কিকরে? ইন ফ্যাক্ট 'বিশেষ অর্থে' ভাল লাগা জিনিসটাই তৈরি হবে কিকবে?

    অতএব, তোমার প্রশ্নের উত্তর আমার দিক থেকে হল - 'যৌনতাবোধ' ছাড়া প্রেম হয়না, কিন্তু স্পেসিফিক যৌন 'চাহিদা' ছাড়াও হয় বলে আমি মনে করি। আগের পোস্টগুলোতে যদি বোঝা না গিয়ে থাকে যে আমি দুটোকে আলাদা করে দেখছি তাহলে এইবারে অন্তত মনে হয় বোঝাতে পেরেছি।

    তেকোনাদিকে সরি।কিন্তু এই উত্তর ভাটে দিলে লোকে আরোই ক্যালাবে আমাকে।
  • tkn | 122.162.42.156 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:১৮422212
  • স্যান :-)
    একমত।
    সরি নেহি বোলনে কা :-))) আমি গল্প বলি আজ, কাল পোচ্চুর তক্ক করেছি :-)
    বক্তব্য চলুক, গল্পও, তক্কও :-)
  • teman keu na | 122.162.42.156 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:২২422213


  • কস্তুরী আসে বারুইপুর থেকে। গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স, অ্যাকাউন্টস অনার্স। শিয়ালদায় নামা। হেঁটে বৈঠকখানার বাজার পেরিয়ে বৌবাজার। ইউনিয়ন রুমে বসে গম্ভীর মুখে "সিচুয়েশন হ্যান্ডেল' করে হিরণদা। রোগা চেহারা, চুলে আঙুলচিরুণি ছাড়া আর কিছু পরেছে বলে মনে হয় না। পাঞ্জাবীগুলো মনে হয় হ্যাঙ্গার থেকে ঝুলছে এত ঢিলে। শুধু গলাটা ব্যাপক। পাশে থাকে সোমদত্তা। সর্বক্ষণ। সেও সিনিয়ার। অবজ্ঞার চোখে ফার্স্টইয়ারের মেয়েদের দিকে তাকায়। ক্লাসের মাঝে হিরণদা দরজায় এসে দাঁড়ায় "স্যার, এক্সকিউজ আস প্লিজ ফর ফাইভ মিনিট্‌স" , বক্তব্য রাখে, বেরিয়ে যায়, করিডোর দিয়ে যাওয়ার সময় একটু নিচু হয়ে সোমদত্তার দিকে ঝুঁকে কি যেন বলে।

    লাইব্রেরী। ফাঁকাই প্রায়। এক কোনে বসে কস্তুরী। অডিট অ্যান্ড ইনকামট্যাক্সের পেপারটা বেশ ঝাড় খেয়েছে ফার্স্ট সেমেস্টারে। কিছু রেফা দেখা দরকার।
    "একি? এখোনো বসে আছ এখানে?' হিরণদা!! একা!!
    গলা শুকিয়ে আসে (কোনো মানে হয়??) "হ্যাঁ। নোটস নেব কয়েকটা'
    'আর দিন পেলে না? কোথায় থাকো?'
    "বারুইপুর"
    "ট্রেনে যাবে? শেয়ালদা থেকে?"
    "হ্যাঁ'
    "এখুনি ওঠো। বৈঠকখানা বাজার দিয়ে যাবে তো? সুরেন্দ্রনাথে গন্ডোগোল হয়েছে। বঙ্গবাসী বন্ধ ডেকেছে। এখানেও বন্ধ হয়ে যাবে। বাড়ি যাও ইম্মিডিয়েটলি"
    "সেকি?' উঠে দাঁড়ায় কস্তুরী
    "একা যাও নাকি আরো বন্ধুবান্ধব আছে?'
    "একাই যাই"
    "ওক্কে। এসো দেখছি" বেরিয়ে নিচে নেমে আসতে গিয়ে সিঁড়িতে একজনের সঙ্গে দেখা। হিরণদার অনুচর
    "কোথায় যাচ্ছিস?'
    "তোমাকেই খুঁজতে যাচ্ছিলাম। সবই ওয়েট করছে নিচে'
    "চল আমি যাচ্ছি। আর শোন, এই একে একটু এগিয়ে দিয়ে আয় তো। শিয়ালদা যাবে। সোজা রাস্তায় যাস। বঙ্গবাসীর দিকটা অ্যাভয়েড করিস'
    শিয়ালদা থেকে ঠিকঠাকই ট্রেন ধরে বাড়ি।
    হিরণদার সঙ্গে দেখা হত করিডোরে, ক্যান্টিনে, কখোনো কখোনো ক্লাসে "বন্ধুগণ'-এর বন্ধু হয়ে আর দেখা হত ট্রেনে জানলার পাশ দিয়ে পেরিয়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্মের পাশের সবুজ মাঠে, নোটসের পাতায় আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাবনায়।

    হতে পারত? কে জানে...

  • Samik | 8.4.8.12 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৪৭422214
  • :-)
  • arindam | 202.56.207.56 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:০২422215
  • ওরে বাপরে! ধান খেত, পুকুর, ঐরকম বাড়ির ছাদ, আকাশে যদি থাকত চাঁদ আর এদিকে ওদিকে রুনা, রূপাই, টুপাই কোপাই, হলেও হতে পারত কেন? হতই। একটা কিছু হতই। প্রেম থেকে গেম কিছু একটা হতই, তারপর তাকে সেন্টু দিয়ে মেখে, ভাষা দিয়ে মুড়ে প্রেম কাল-আজ-আগামীর" বলে চালাতাম।শ্রীখন্ডের বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে, যাওয়া যাবে তেকোনা? কোনা কোনা খুঁজে দেখব ...........
  • pi | 72.83.75.193 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৩:১১422216
  • না স্যান, কোনো কনফিউশন নাই তো। ঐ জাস্ট কথা না হলে মন আনচানমাত্র কেবল, আর কিছু না, তুই যাকে বলছিস, 'একে কেন প্রেম বলবো না?' , আমি তাকে সত্যি ই প্রেম বলবোনা। কেন, সে নিয়ে আগে হেজিয়েছি অনেক। আর না। হেজে গেছি। :(
  • san | 121.50.4.34 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:১৪422217
  • হ্যাঁ হ্যাঁ এবারে লোকে ধরে ক্যালাবে । হানুদা রাগ করে টই আটকে দেবে। কিছু আপডেট হবেনা। ইত্যাদি। তাহলে ওই কথাই রইল। তোমরা ঈশ্বরপ্রেম, কাব্যপ্রেম এদের জন্য নতুন টার্ম বানাও, ইউজ করো। আমি চন্ডীদাস পড়ি । আহা, রজকিনী প্রেম নিকষিত হেম, কামগন্ধ নাহি তায় :-)
  • Samik | 8.4.8.12 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৩422220
  • ত্রিপিটক শেষ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন