এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হলেও হতে পারতো প্রেম

    M
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১৩২২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • M | 59.93.201.178 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৩422320
  • এদিকে বাংলা নতুন বছর এসে গেলো।ঘর দোর পরিস্কার শুরু হলো, বিন্নির খুব উৎসাহ এই কাজে। মাতো বলে তুই ভালো ঠিকে ঝি হতে পারবি,গাজনের মেলা হয় একটা, মেলা দেখতে বিন্নির এত ভালো লাগে, আসলে মেলায় এত নানা ধরনের মানুষ আসে,দিব্যি মানুষ পড়ে সময় কাটে, হ্যাঁ অনেকটা গল্পের বই পড়ার মতো, আসলে বিন্নি নিজের মনে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসে,ঐ যে লোকটা ওর ছেলেকে খেলনা কিনে দিচ্ছে, ও নিশ্চয় ওর দিনটা এমন ভাবে কাটায়, সকালে উঠে বাজারে যায়, এসে বৌএর সাথে গল্প করে, ছেলেকে পড়তে বসায়,খেয়ে অফিস চলে যায়, ফিরে আবার সংসার নিয়ে, এই ধরনের লোকগুলোকে ভারী পিক্যুলিয়র লাগে, কেমন একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে দিন কাটিয়ে দেয়, এদের গা দিয়ে কেমন একটা নিশ্চিন্ত সুখী সুখী গন্ধ বেরোয়, এই গন্ধটা জঘন্ন লাগে বিন্নির।আসলে ওকে সব সময় গুডি হয়ে থাকতে হয়, তাই বুঝি নিয়ম না মানা সব কিছুই ওর ভালো লাগে।ঐ যে দেখো দুজন মহিলা খুব চোখ মুখ নেড়ে গপ্প করছে, বিন্নি না শুনতে পেয়েও বোঝে ওরা এখন ওদের নতুন কি কেনা হয়েছে এ নিয়ে একে অপর জনকে শোনাচ্ছে ঈর্ষা জাগানোর জন্য, কিন্তু ওরা একটুও সুখী নয় তাও বোঝা যায়, এরা সব সময় কি একটা কমপ্লেক্স এ ভোগে তাই নিজেকে নিয়ে গল্প করতে বেশী ভালোবাসে।আর ঐ যে ঠাকুমা,হাসি হাসি মুখের , একটু মোটা মতন, এনাকে দেখে বোঝা যায় জীবনের ঝড় , রোদ একে পুড়িয়ে খাঁটি বানিয়েছে, একে তুমি যে অবস্থায় রাখো না কেন অশান্ত করতে পারবে না।

    দিন যায়। দীপনের চিঠি আসার একটা নিয়ম আছে, মাসে ঠিক পনেরো দিন অন্তর ওর চিঠি আসবে, আসলে বিন্নি পাঠাবে, সেটা পৌছাতে এক সপ্তাহ আর তার উত্তর পাঠালে সেটাও আসতে এক সপ্তাহ সময় নেবে।এভাবে মাসে ঠিক দুটো, তখন তো মেল, মোবাইল বা ঘরে ঘরে ফোন ছিলো না, তাই ব্যাকুলতা ছিলো, তা সইবার কষ্ট ছিলো।

    বিন্নি দরজায় বসে ছিলো, মা বলে মুঠিতে বসলে অনেক দুরে বিয়ে হয়, এগুলো বিন্নি মানে না।কিন্তু তর্ক করাও তো বৃথা।চুপ করে পেয়ারা গাছের দিকে তাকিয়ে থাকে।শহরের কোনার দিকে ওদের বাড়ীটা যেখানে ভারী ভালো লাগে সে জায়গাটা ওর।চারিদিকে সবুজে সবুজ।পেয়ারা গাছে একটা লাউডগা সাপ থাকে, সে ওর খুব বন্ধু, আজ সেটাকে ঝুলতে দেখা যাচ্ছে না তো, হুম লেটার বক্সে সেঁধোয়নিতো ? একি গোলাপী একটা খাম না?

    হুম হাতের লেখা দেখেই চিনে ফেলে, দীপনের।একটা কার্ড,পাহাড়ের একটা ছোট্ট ঢালু অংশ, উঁচু উঁচু কয়েকটা পাইন গাছ, একটা একলা বাড়ী আর কয়েকটা পাখি,পুরো ব্যাপারটা ব্রাউন আর কালো শেডে।একটা ওভাল সেপে আর নিচে একটা ডালে দুটো ঝলমলে রঙিন পাখি।

    কেমন যেন প্রথম পরশ পাওয়ার মতো থরথর করে কেঁপে ওঠে বিন্নি,

    ভিতরে দুটো ছোট্ট ছোট্ট কাগজ।একটায় লেখা

    এই যে পথের এই দেখা
    হয়তো পথেই শেষ হবে
    তবুও হৃদয় মোর বলে
    সঞ্চয় যেন কিছু রবে

    আর একটায় লেখা

    তোর চিঠির অপেক্ষায় আছি এখন ও.........

    বিন্নি একছুটে ঘরে, বাবা অফিসে, মা পাশের বাড়ীতে জেঠিমার সাথে গল্প করতে গেছে।

    বিছানায় উপুর হয়ে পরে হু হু করে কেঁদে ফেললো, অথচ কেন যে কাঁদছে তাও বুঝতে পারচে না। সেই পুরানো কবি সেকি মনের সব কোনা গুলোতেই ঘুরে বেরিয়েছে ? না হলে কি করে লিখেছিলেন!

    আমি যে আর সইতে পারি নে।
    সুরে বাজে মনের মাঝে গো, কথা দিয়ে কইতে পারি নে।।
    .....................................

    আজি আমার নিবিড় অন্তরে
    কী হাওয়াতে কাঁপিয়ে দিলে গো পুলক-লাগা আকুল মর্মরে।
    কোন গুনি আজ উদাস প্রাতে মীড় দিয়েছে কোন বীনাতে গো---
    ঘরে যে আর রইতে পারি নে।।

  • aishik | 122.166.17.203 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৮422321
  • বম্মা আর কৈ? পরের কিস্তি? এরকম কর্লে কি চলবে?
  • M | 59.93.164.217 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:০৮422322
  • দীপ, দীপ কত কিছু তোকে লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু কি করে লিখি বলতো? আমার সব কিছু লেখা মা আর বাবাকে পড়ে শোনাতে হয়, তোর চিঠিগুলি যখন পড়ি তখন কতকিছু পাশ কাটিয়ে বলি তা জানিস তুই? আর এটা যে আমার কত কষ্টের কি বলবো? আজ পর্যন্ত্য আমি মা বা বাবাকে মিথ্যে বলিনা কখন ও,এই যে কিছু লেখা বাদ দিয়ে বলি এটা কি খুব অন্যায়? কে জানে! জানিস আমায় খুব ছোট বেলা থেকে শেখানো হয়েছে আত্মমর্যাদা কখন ও বিসর্জ্জন না দিতে, আর এই যে কেবল একটা ছেলে লিখছে বলে তা আমার সবার সামনে পড়তে হবে এতে আমার আত্মমর্যাদা বজায় থাকে না এটা কেন এরা বোঝে না?
    মনে মনে লেখে এসব বিন্নি,
    ও দীপ জানিস , সেদিন কি ঝড় এলো আর আমি ছুটে মাঠে বেরিয়ে গেলাম, আমার যে কি ভালো লাগে, আমি ঝড়ো হাওয়াকে খুব ভালোবাসি, তুই হাসছিস? কেন?রু একটা গাছকে ভালোবাসতো জানিস?
    দীপ আমি এতদিন প্রেম শব্দটা শুনেছি ,বুঝিনি আজ ও বুঝি কি? কিন্তু খুব অনুভব করছি, জানিস? শুনছিস? এত ছটফটে কেন তুই? একটু চুপ করে মন দিয়ে শুনতে পারিস না? তুই রোজা দেখবি বলেছিলি, আমি দেখে এলাম।জানিস অরবিন্দ স্বামীকে দেখে বন্ধুরা ফিদা।উফস! স্নান করে এসে চুল ঝেড়ে রোজাকে ভিজিয়ে দিলো,আর চোখ দুটো দেখেছিস? আমার বন্ধুরা প্রায় সবাই রোজার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে নিয়েছে, জানিস?

    আমার খুব খারাপ লাগে, সব নায়িকারায় কেমন সুন্দর হয়, আমার মতো কেউ হয় না কেনরে? ছোট্ট হাইটের , অত্যন্ত সাধারন ।আমার মাঝে মাঝে রাগের চোটে এমন মনে হয় যে ওরা বাইরে অমন অসাধারন বলেই হয়তো আমার মতন ভাবতে পারে না।

    যাকগে, যেটা বলছিলাম, আমার মনে হয় প্রেম একটা অনুভব, হে হে , অন্য যে জন থাকে সে খুব গৌন, তুই, তোকে আমি কতটাই জানি, অথচ দ্যাখ আমি কেমন সারাদিন তোকে ভেবে কাটিয়ে দি। আসলে তুই একটা অনুঘটক মাত্র।আর কিছু না। এই , এই মুখটা পেঁচোর মতো করবি না।বাবুর রাগ হলো?হলে হবে। আমার ভারী বয়েই গেছে, আমার তোকে ছিঁড়ে ,ভেঙ্গে চুড়চুড় করে দিতে ইচ্ছে করে তা জানিস তুই? ভীষন কষ্ট দিতে, কেন কে জানে!
    আমার সব ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে করে জানিস,আমার বি এ মোটেই ছিলো না।আমি তোর মতো ভালো না হতে পারি অত খারাপ ও ছিলাম না। আমার বায়োতে অনার্স হলো না, অথচ আমি ৭০% এর উপরে নাম্বার পেলাম।আর্টসে আমার খুব ভয়। আমি অত পড়তে পারিনা, অত লিখতেও পারিনা।আমার ফিজিক্স বা অঙ্ক নিয়ে আর পড়তে ভালো লাগলো না।আমার ভাল্লাগে না।কিচ্ছু ভাল্লাগে না।এত না ভালো লাগা নিয়েও আমি হাসি মুখে থাকি জানিস।এখন কেবল তোর চিঠি পেতে ভালো লাগে।কিন্তু পনেরো দিন ইকুয়াল কত সেকেন্ড তুই জানিস?তুই কিশোরের গোল্ডেন কালেক্‌শন আর রেয়ার জেমস কিনতে বলেছিলি,আমি সুমন না কিনে কিশোর কিনলাম,যদিও আমি কিশোর অত ভালোবাসিনা।

    কিন্তু সত্যি সত্যি এগুলো তো লেখা যাবে না।তাই অন্য চিঠি পৌছায় উল্ফেনডেন হলে।
  • a | 59.161.100.253 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৩৬422323
  • একঘর হচ্ছে লেখাটা। চালিয়ে যান M দি।

    আপনার এক একটা পোস্ট শুরু আর শেষ করার দক্ষতাটাও প্রশংসনীয়।
  • Abhishikta Roychowdhury | 115.113.228.2 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:০১422324
  • চমতকার হয়েছে
  • Monoswini | 115.113.228.2 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:০৬422325
  • এক্তা গপ্পো ওনেক দিন মাথর মধ্যে ঘুর্ঘুর করে- লিখে ফেলি?
  • Samik | 219.64.11.35 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:১৯422326
  • টইপত্তরের টিআর্পি হুহু করে বাড়ছে।

    লিখে ফ্যালেন মনস্বিনী।
  • M | 59.93.244.210 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৫৪422327
  • বিন্নি,
    দ্যাখ তুই বলেছিলি বলে আমি আগের সব বিশেষন ছেঁটে দিয়েছি।তোর কথা মেনে হয়তো পরীক্ষার পর উত্তর দিতাম কিন্তু এখন রাত ১-২৫,যখন দেখলাম কিছুই করার নেই অখন বসলাম পেন আর পেপার নিয়ে(ওহ! দীপ, আমি তোকে ছুঁতে পারি এখন, আমায় মনে করছিলি , তাই না? )তুই থ্যাঙ্ক ইউ কথাটা লিখেছিস কেন? জানিস বন্ধুত্বের মধ্যে নো থ্যাঙ্কিউ নো স্যরি( কে না জানে? যারা ম্যায়নে পেয়ার কিয়া দেখেছে সবাই জানে, ফিক)। এখন পড়াশুনা নেই, ভালো ই আছিস। বি ই কলেজের র‌্যাগিং নিয়ে জানতে চেয়েছিস?আগে আমাদের কলেজ টাকে তো জান,এত সুন্দর ক্যাম্পাস খুব কম কলেজে আছে।(কি ঘ্যাম নিচ্ছে দ্যাখো)জানিস আজ অনেকদিন পর বৃষ্টি হলো,তাও মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেলো।(তুই তো আমার থেকেও এক বছরের বড়ো, কেন খারাপ হলো বুঝলি না?তোরা ছেলেরা সত্যি চিরকেলে খোকা, সেইটা বলতে ইচ্ছে করছে, "তোমার খোকা কিচ্ছু বোঝে না মা, তোমার খোকা ভারী ছেলে মানুষ,আর জানিস আমার বাবার মাথার চুল প্রায় উঠে গেলো চিন্তায়, আমার কুড়ী বছর বয়স হয়ে গেলো।এবার বিয়ে দিতে হবে।)এই শোন শোন, আমাদের ছুটি পরে যাচ্ছে,আমি এবার বাড়ী যাবো, তোকে ঠিকানাটা দিয়ে গেলাম।ওখানের ঠিকানায় লিখবি।আর তুই কি রে? সব সময় অপেক্ষায় থাকিস আমার চিঠি এলেই কি লিখলাম তাই নিয়ে ঝগড়া করবি?
    অবশ্য, সেই জন্যেই তোর চিঠি পড়তে এত ভালো লাগে।আর গোলপার্কে কেন যাস বললি নাতো!(ইশ্‌শ্‌শ, সব ওনাকে বলতে হবে, কে এলেন আমার জ্যাঠামশাই)আচ্ছা তুই আমায় ছোট্ট চকোলেট বয় লিখেছিস,কি চকোলেট লিখলি নাযে? আমুল মিল্ক? নাকি ক্যাডবেরি নাকি.... আমার অবশ্য আমুল মিল্ক বেশী পছন্দের, তবে বয় আমি বটেই আর ছোট্ট কিনা সামনা সামনি হলেই টের পাবি।(ইশ! আমি তো টের পেতেই চাইছি, তুই বুঝতে পারিস না?)তোর স্পেশাল কেউ আছে কিনা বললি নাতো, লিখেও কেটেছিস, কাটাকাটি চলবে না,তাহলে আর বন্ধু কিরে?বি ফ্রি ইয়ার।আর কালবেলা আমি পড়িনি,এবার পড়বো, পড়বৈ। আসলে সমরেশ আমার ভালো লাগে না, আমার ভালো লাগে শংকর।আর যদি বন্ধুত্ব কোনো কারনে আমার তরফ থেকে ভাঙ্গে , এমন কেন মনে হলো? যদি ভাঙ্গে তুই কি জুড়বি না?রাহী তু রুখ না যানা।দ্যাখ, আমি আগের চিঠির উত্তর এখন ও পাইনি, এটা আর একটা পোষ্ট কার্ড পাঠিয়েছিলাম, তিনটে উত্তর দিবি কিন্তু(একিরে দীপ, তুই ও আমার মতো পেগলে গেছিস, হি হি)

    আজ যাই, আসবো আরেকদিন।

    দীপন

  • Nina | 68.45.145.174 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:২৭422328
  • M
    দারুণ লিখছিস! জমাটি--তাপ্পর কি হল? তাড়াতাড়ি লিখিস---বসে রইলুম পরের কিস্তির জন্য---

    তেকোনা
    তোর আর বিক্রমের কাব্য যুগলবন্দীটা খুব ভাল আর চেনা চেনা লাগল---কিঁউ?
  • tkn | 122.173.176.114 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৫৫422331
  • :-0
    কিঁউ? আমি কি করে জানব? আমার তো নিজেকে আর ভিকিকে দুজনকেই বেশ অচেনা লাগল
  • Nina | 68.45.145.174 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:১৩422332
  • তেকোনা
    এই যো, এখানে তুই বা ভিকি এল কি করে----আমি তো কাব্য-যুগলবন্দী বল্লাম--সেটা চেনা চেনা----বেশ চেনা চেনা লাগল।
  • a | 59.161.99.65 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২৮422333
  • একটা পলিটিকালি ইন্‌কারেক্ট অবজার্ভেশন: এই টইটার বেশীরভাগ লেখাই মহিলাকলমে। পুরুষরা বোধহয় (নিজের)হলেও হতে পারতো প্রেম নিয়ে খুব বেশী আলুচানায় ভয় পায়, যেমন আমি :)

    কিন্তু পড়তে বেশ লাগছে। মনস্বীনি, এগিয়ে পড়ুন।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৫৫422334
  • এরা গপ্পে এত প্রেমে পড়ে, বাস্তবে যদি হত... ;-)
  • Bratin | 125.18.17.16 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:২২422335
  • মানসী, আজকে প্রথম পড়লাম। খুব ভালো হচ্ছে লেখা। লিখে ফেল বাকি টা...
  • tkn | 122.173.176.114 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:২৫422336
  • বাস্তবে হয় না বলছ অরিজিৎ? কি করে জানলে!
  • tkn | 122.173.176.114 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:২৭422337
  • নীনাদি, এখানে আমি বা বিক্রম বলতে আমি আমার আর বিক্রমের লেখা/ যুগলবন্দী যাই বল, তার কথাই বললাম। এ পাতায় ওর বেশি তো কিছু দেখা যায় না...
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:৩৬422338
  • কই - কেউ তো পড়ে না - চুল পাকতে চল্ল:-(
  • tkn | 122.173.176.114 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:৪৪422339
  • :-) হয়ত পড়ে, zaaন্তি পারো না। মাম্মা আর ম্যা-তেই বিভোর থাকলে চাদ্দিকে কি চোখ পড়ে আদৌ? :-))
  • dipu | 207.179.11.216 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:৪৮422340
  • কে য্যানো আঙ্কল ডেকেছে :-)
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:৪৯422342
  • সেটা আবার একটা ছোঁড়া। ছুঁড়ি হলে তাও না হয়...
  • tkn | 122.173.176.114 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:৫৮422343
  • সেটাই তো... ছেলেরা আঙ্কল ডাকলে চাপে ডেকেছে ধরে নাও। মেয়েরা তো এখোনো ডাকে নি, আশা হ্যাজ :-))
    আর এই যে দীপুবাবু, কেউ আঙ্কল ডাকলেই প্রেমযোগ্যতা কমে যায় না। আন্টিও কি কম পড়িয়াছে?? নাকি তারা প্রেমল্পতায় ভোগে ভাবো! উ: এই সব বাচ্চারাই অর্জিতকে আঙ্কল ডাকে, বুঝলাম :-)))

    ডি: এই সব, আর কদিনই বা আছি, বুড়ো হয়ে গেলাম, আর কিছু হওয়ার নয় শুনলে কেমন মনখারাপ হয়ে যায়!! একটু চা খাই :-/
  • M | 59.93.204.78 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:১৯422344
  • নিনাদিদিয়া...............:P

    এদিকে আমি প্রায় আধমরা হয়ে ফিরে এলুম, রাস্তার কি হাল,অ্যারপোর্ট যেতে আর আসতে দিন কেটে গেলো, রাস্তায় এক পুড়ানো বন্ধু দেইখ্যা খাড়াইয়া গপ্প মারছিলাম আর এক রিক্সাওয়ালা আমারে খুকী কইলো, ইদিকে আমার খোকাকেও আর কেউ খোকা বলছে না।:O
  • M | 59.93.204.78 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৪৮422345
  • এই দীপ,
    তুই কিরে? তুই আসবি বললি, আর আমি হাপিত্যেশ করে রাস্তায় কতক্ষন ঘুরে বড়ালাম, তুই তো এগারোতে আসবি বললি, আমার খুব খারাপ লেগেছে, ওভাবে দুপুর বেলায় ফাঁকা রাস্তায় একা দাঁড়িয়ে আছি,তোকে আর কিচ্ছু বলবো না । আমি জানিস পল্টু দিলাম। পেয়েছি,কাউন্সিলিং সামনে।তোর ফটোটা পেয়েছি, আমারটা পাঠালাম,তোর কথা মতো ই আমার একার।তুই তো বোনের সাথে তোলা ফটো দিলি।

    বিন্নি

    বিন্নি,
    তোর তারিখ দেখার ভুল হয়েছে, বৃষ্টিতে ভিজে গেছিলো বলে বোধহয় তারিখ বুঝিসনি, আমিও যেদিন গেলাম, তোর মতো ই একা ঘুরলাম।আশা করি আমার মনের অবস্থাটা তুই এখন অনুভব করছিস।ঠিক আছে আরেকদিন,কিন্তু চুপ হো আজ যো বাত বোলোনা, বাতচিত আপাতত চিঠিতেই হোক।আর তুই পল্টু দিলি আমায় বললি নাতো,(সব বলবো কেন?তারপর নাক সিঁটকোবি, শেষে পল্টু বলে)যাক তোর যখন র‌্যাঙ্কিং ভালো নেই তখন সিভিল নিতে পারিস, নইলে ইলেক্ট্রনিক্স সাজেষ্ট করতাম।আর আমার রুম নাম্বার চেঞ্জ হয়ে ৯ এর বদলে ২৪ হয়েছে।চিঠি তাড়াতাড়ি দেবেন দয়া করে।পুজায় ভাবছি কলকাতায় থাকবো,তোর সাথে ঘুরবো, কাকু কাকীমার থেকে পারমিশান নিয়ে নিবি।অবশ্য তুই ই আমায় ঘোরাবি, কারন কলকাতার কিচ্ছু আমি চিনিনা(তবেই হয়েছে, আমার ড্যাডকে তো জানোনা)

    শুভারম্ভ (কিসের?)
    দীপন

  • M | 59.93.204.78 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৩৪422346
  • এদিকে দিন চলে যায়,ভাই আসার সময় হয়ে যায়,ভাই আসলে দীপ ও আসবে, বিন্নির সময় যেন আর কাটতে চায় না।এদিকে বিন্নি প্রিন্টিং নিয়ে R I P Tতে ভর্তি হয়ে গেছে। আদুরে মেয়ে হওয়ার যে কি জ্বালা, তা আর লোকে বুঝবে না।বাইরে থেকে মনে হয় এরা কত সুখী, সব সময় এদের আগলে রাখা হচ্ছে, কিন্তু সবাই জানবে কি করে আসলে এরা পুতুল একেকটি,সব সময় অন্যরা এদের নিয়ে যাখুশী তাই করবে, আর শো কেসে সাজিয়ে রাখবে।বিন্নির ইচ্ছে হলেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে না,না সর্দি লেগে যাবে মামনি, তোমার না সেপ্টিক টনসিল, জ্বর হবে, কতো কষ্ট পাবে। ওমা , মা তুমি বুঝবে না আমায় তোমরা সোনার খাঁচায় যে কি কষ্ট টা দাও।বিন্নি মনে মনেই বলে আমার সব সময় ছিটকে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে মা, আমি আর পারি না মা।এমনকি ওদের যেদিন ক্লাস শুরু সেদিন ও বাবা সঙ্গে করে কলেজে নিয়ে গেলো, আর একটা দাদার হাতে ছেড়ে বললো ওকে একটু দেখো বাবারা, ও কিন্তু খুব নরম।আর যায় কোথায়, সবার আগে ওকেই চাটা হলো,এই তোর নামটা কি রে?বিন্নি, এই শোন শোন সবাই, ওকে ওর বাবা দিয়ে বলে গেছেন ওকে আমাদের দেখতে, চলো বিন্নি আমরা সবাই এখন তোমায় দেখবো।বিন্নির কান গরম হয়ে যায়।ও অন্য রকম ভাবে বড় হয়েছে।কোনোদিন মুখে শালা কথাটাও উচ্চারন করতে পারেনি, অন্য বাজে কথাতো দুরস্ত।এমনকি ভাবনায় ও ও খুব বেশী সাহসী হতে পারেনা, এক হাড়ে মজ্জায় ঢোকানো রুচিবোধ ওকে চেপে ধরে।দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে থাকে বিন্নি।কিন্তু পরে এরাই খুব বন্ধু হয়ে গেছিলো, আসলে টেকনিকাল কলেজের রীতি বোধহয় এটাই, না চেটে কেউ বন্ধু হবে না।সবাই খুব বকাবকি করেছিলো, এ কোন সাবজেক্ট চুজ করলি তুই?কিন্তু বিন্নি খুব খুশী, ও বই পড়তে এত ভালোবাসে, বই পোকা হচ্ছে।এখানে প্রিন্টিং এর সব কিছু ও শিখতে পারবে।এটা রিজিওনাল কলেজ।ও ছাড়া আর একটা মাত্র মেয়ে ওদের ক্লাসে, সেও ত্রিপুরা থেকে এসেছে, ট্রাইবাল মেয়ে, কিন্তু ভারী সুইট। এখানে ওর ক্লাসে বেশীর ভাগ ই ওর চেয়ে ছোট, কারন বেশীর ভাগ ই এসেছে H.S এর পর । কয়েকজন মাত্র বিন্নির বয়সী।এরাই ওর বন্ধু, বাকীরাতো ভাই।যেমন একজন রূপ, ও এসেছে আসাম থেকে,যদিও রূপ বাঙ্গালী ।ওর বাবা আসামে ডাক্তার হচ্ছেন।আর ও দুজন আছে অসমীয়া,কিন্তু ওদের একটা অদ্ভুত ব্যাপার , ওরা রূপের সাথে কথা বলে না।অদ্ভুত অদ্ভুত ধরনের একেকটি, একজন তো সিকিম থেকে এসেছে, এসেই ফার্ষ্ট যেটা করলো সেটা হলো সব বাংলা স্ল্যাং গুলো শিখলো।
    বিন্নির সব থেকে ভালো লাগে মেশিনঘরটা।কি বড় বড় মেশিন, ও যেন অন্য এক রূপকথার এক জগতে পৌছে যায়।সব কটা ওয়ার্কশপ ওর খুব প্রিয়।একদিন শুনলো একবার নাকি ডার্ক রুমে কোনো এক দিদিকে কোন একজন স্যর খুব খারাপ ব্যবহার করেন।সেই থেকে ডার্ক রুমটা দেখলেই বিন্নি সিঁটিয়ে যায়, যদিও ওর গ্রুপের ছেলেরা বলেছে তোর ভয় নেই, আমরা তো একসাথেই থাকবো।আর মেশিনঘরের স্যর ওকে খুব ভালো বাসে, কারন ওর ড্রইং খুব সুন্দর।স্যর বলেন বহু বছর পর একজন মেয়েকে পেলাম যার মেশিনে এত আগ্রহ।প্রিন্টিং এর মেয়েরা প্রিমেশিনারিস জবেই বেষিরভাগ যায়।
  • aishik | 122.166.17.203 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:১০422347
  • তারপরে?
  • M | 59.93.194.71 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:১২422348
  • সেদিন বিন্নি ভাবলো ফেরার পথে দাদুভাই এর সাথে দেখা করতে হবে।অনেকদিন যাওয়া হয়নি।পাড়ায় ঢুকতেই টুকাইকার সাথে দেখা, মা সোনা! এই এক জ্বালা কাকুদের সাথে সাথে ওদের বন্ধুদের ও বিন্নি মা সোনা।টুকাইকা দেখোতো আমি মহিলা হয়ে গেছি না?ঘ্যাঁচ করে বেনি টেনে টুকাইকা বললো এরমধ্যেই? তুই কি আমাদের বুড়ো বানিয়ে ছাড়লি? হি হি।বিন্নি পালায়।বাড়ীতে ঢুকেই চেঁচায়,দাআআআআদুউউউউউউউউউভাআআআই।
    কি হয়েছে? একি?তুই! সময় হলো তোর?
    ও দাদুভাই, সত্যি সময় পাই না।
    তা না বল একটা জোয়ান ছোকরা দরকার, আর বুড়োতে মন নেই।
    দাদুকে চেপে ধরে বিন্নি।
    আ! দিদি ছাড় ছাড়। উ: আমার ই কেমন হলো, জোয়ান মদ্দ গুলোর কি হাল করবি।
    দা-----দু----ভা----ই
    আরে আরে আমার দিদিভাই বড় হয়ে গেলো।
    সে তো কবে দাদুভাই, আমি এখন ঠিক কুড়ি বছরের আর কদিন পরেই একুশ, বয়স কম হলো বলো?তুমি যখন আমার ঠাম্মাকে বিয়ে করলে তখন ঠাম্মা কত ছোটটি ছিলো বলোতো।দাদু আমার ঠাম্মা আর তোমার তো লাভ ম্যারেজ ছিলো।কি দেখে তোমার আমার ঠাম্মাকে ভালো লাগলো?
    ভারী সুন্দর চোখ দুটো ছিলো তার, আর ছিলো এক ঢাল চুল।
    ও দাদু আমায় তো কারোর ভালো লাগবে না বলো?আমার যে ভালো লাগার মতো কিছু নেই।
    কে বললে? তোর মধ্যে যে একরাশ পাগলামী আছে।আর আছে স্বচ্ছতা।কতো মিঠি তুই।
    ধ্যুৎ সে তো তুমি ভালোবাসো তাই।
    কি ব্যাপার বলতো?
    না কিছু না।
    জানো বাবা আমায় এক্কেবারে সাজতে দেয় না।আমার কি সাজতে ইচ্ছে করে।
    দিদি সেই মুখে তার লোধ্ররেনু, সে তোমার কি দরকার?ও তো বাইরের সৌন্দর্য্য, অন্তরের সৌন্দর্য্য তো আসল।
    হি হি দাদুভাই, তুমি আসলে তোমার ছেলেকে খুব ভয় পাও, তাই না?
    হ্যাঁ তা পাই , কিন্তু দিদি মানুষটা বড্ড খাঁটি।
    কিন্তু বড্ড গোঁড়া ভাবনার। আমি মাঝে মাঝে ভাবি তোমার ছেলে তোমার ভাবনার উদারতা পেলোনা কেন?
    দ্যাখো দিদি,জগতে দুটো ধরনের মানুষ ই দরকার। এই গোঁড়া লোকেরা কিন্তু সমাজের বেসটা ধরে রাখে,আমাদের অনেক ঐতিহ্য আছে যা এরাই বহন করে।
    হুম দাদু।বিন্নি বোঝে আর এ নিয়ে এগোবেনা দাদু।
    কি হয়েছে তোর বলতো?কিচ্ছু না।দাদু তোমার গলায় এত সুর আমার কেন নেই দাদু?
    কি পাগলামীতে পেয়েছে তোকে? আয় এই কবিতাটা শোন।দাদু বিন্নির রন্ধ্রে রন্ধ্রে কবিকে ঢুকিয়ে ছেড়েছে। সঞ্চয়িতা ছাড়া দাদুর দিন কাটে না।পুরো বইটা ঠোঁটস্থ।
    আমি এর পরে আর মনে করতে পারছি না জানিস।
    বলো--

    জোৎস্নারাতে নিভৃত মন্দিরে
    প্রেয়সীরে
    যে নামে ডাকিতে ধীরে ধীরে
    সেই কানে-কানে ডাকা রেখে গেলে এইখানে
    অনন্তের কানে।

    তারপর আর কিছুতেই মনে পড়ছে না।

    শা-জাহান দাদু? এটা আমারো খুব প্রিয়।
    বিন্নি খুব আস্তে আস্তে বলতে শুরু করলো।

    অনন্তের কানে।
    প্রেমের করুন কোমলতা
    ফুটিল তা
    সৌন্দর্যের পুষ্পপুঞ্জে প্রশান্ত পাষানে।।

    দেখেছিস।বুড়ো হচ্ছি।
    আ: দাদুভাই শোনো শোনো,

    তোমার সৌন্দর্য্যদুত যুগ যুগ ধরি
    এড়াইয়া কালের প্রহরী
    চলিয়াছে বাক্যহারা এই বার্তা নিয়া--
    "ভুলি নাই, ভুলি নাই, ভুলি নাই প্রিয়া!'

    দিদিভাই আজ তোমার কি একটা হয়েছে।

    স্খলিত শিথিল কামনার ভার আর বহিয়া বহিয়া ফিরিতে পারছিনা। হি হি

    এবার বাড়ী যাই, মাকে বলে আসিনি।

    পাগলী মেয়ে, সাবধানে যাস।

  • M | 59.93.194.71 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৪৯422349
  • আজ দীপ আসবে। এদিকে ভাইকে একটা কাজে যেতে হয়েছে।কি করা যাবে।সকাল থেকে বিন্নি কত কিছু ভাবছে, আচ্ছা, কেমন ভাবে সাজবো আমি?কোন জামাটা পরবো?শেষে ধ্যুৎ বলে সব ভাবনার অবসান ঘটিয়ে দিলে।আমি যেমন তেমন ই থাকবো।এই প্রথম ও দীপনকে দেখবে, অ্যাক্সিডেন্টের দিনের পর । বিকেলে দীপন এলো রানাকে নিয়ে। মা রান্নাঘরে ব্যস্ত।এদিকে দীপকে দেখো, কেমন লজ্জাবতীর মতো মাথা নামিয়ে বসে আছেন, রানা বরং অনেক স্বাভাবিক।বেশী বকবক রানা আর বিন্নি ই করলো। দীপের টি শার্টের উপরের বোতাম খোলা,স্বাভাবিক এটা গরমের দেশে,সেখান থেকে বুকের লোম গুলো দেখা যাচ্ছে, বিন্নির খুব ইচ্ছে করছে আলতো হাতে ছুঁয়ে দেখতে, নাক ডুবিয়ে দিতে,জোরে শ্বাস নিয়ে দেখতে, নিশ্চয় খুব দীপ দীপ গন্ধ আছে। ইশ , তুই আমার দিকে একবারো তাকাচ্ছিস না কেনরে? তারপর ওদের খানিকটা এগিয়ে দিতে গেলো বিন্নি,খুব ইচ্ছে করছে দীপের সাথে একা হাঁটতে।উপায় নেই।আচ্ছা একবার চুলের মুঠি ধরে টেনে নামিয়ে ঠোঁটে একটা কামড় বসিয়ে দিলে কেমন লাগবে তোর দীপ?নিজের মনেই হেসে ফেললো বিন্নি।

    একদিন বাড়ী ফিরে একটা আনেক্সপেক্টেড চিঠি পেলো বিন্নি।

    Dear Binni,
    আশাকরি তুমি ভালো আছো। দীপের মুখে যে টুকিটাকি শুনি তাতে ভালো থাকারই কথা। যাইহোক যে জন্যে চিঠি লিখছি তোমাকে,আসলে বন্ধুর জন্য তো বন্ধু ই ভাবে, যদিও দীপ এসব জানেনা। তুমি বোধহয় ভালোভাবেই জানো আমরা থার্ড ইয়ারে একি সাথে থাকিনা।তোমার আইডিয়া করা উচিৎ একটা মেয়ে যখন বয়েস হোস্টেলে কোনো ছেলেকে চিঠি লেখে তখন তাকে বাওয়ালী দেওয়া হয়।আমরা যখন H-9 থাকতাম তখন দীপকে অন্যান্য ছেলেরা বাওয়াল দিত তোমাকে নিয়ে, তখন আমরা অন্যান্য ছেলেদের চাপিয়ে দিতাম।কিন্তু এখন ও একা এবং ও একটু শান্তশিষ্ট ছেলে।এখন ডিপার্টমেন্টের সবাই জানে, আর সবাই প্রশ্ন করে অ্যাক্সিডেন্টের সময় তো তোরা সবাই ছিলি, বিন্নি খালি দীপকে চিঠি দেয় কেন?যাইহোক দীপ তোমায় ভালোবেসে ফেলেছে। আর দুবছর একসাথে থেকে বুঝেছি তোমাকে একথা ডিরেক্ট বলা তো দুরের কথা চিঠিতেও লিখতে পারবে না, তাই বাধ্য হয়েই আমায় লিখতে হলো।তোমার মতামতটা কি দীপকে না জানাতে পারো তো আমায় বলতে পারো।
    ইতি
    রানা।
  • kallol | 115.184.26.10 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৫422350
  • ছেলেগুলো চিরকালের গাধা।
  • SB | 59.93.204.243 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৭422351
  • জীও! ব্যাপক! একঘর!

    বিয়োগন্ত ব্যাপার স্যাপার পছন্দ নয় বলে এইদিকটা কাটিয়ে দিচ্ছিলাম এতদিন! M, এরপরে আবার সীনটা কে বিয়োগান্তের দিকে নিয়ে যাবেন না আশা করি, মনে রাখবেন ঐ আওয়ার সুইটেস্ট সংস আর দোজ ফোজ যার বলেছেন তার ঠিক বলেননি :-)

    বিটিডাব্লিউ, এই সুতোটা পড়ে মনে হল কেউ তার সত্যিকারের ব্যর্থ প্রেমের কথা লিখছে না, তাই আম্মো কাটিয়ে দিলাম ;-)

    আর প্রেম অসলে কী তা নিয়ে অনেক বাক বিতন্ডা দেখলাম, কিন্তু আসল কথাটা কেউ বলেনি, আসলে এটা একটা রোগ বিশেষ!!!
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:০১422353
  • M
    উফ্‌হ! ঠিক মোক্ষম জায়গায় এসে দুম করে থেমে যেতে খুব শিখেছিস -----প্রেমের আবার বিয়োগান্ত কি-- প্রেমের আনন্দ থাকে শুধু স্বল্পক্ষন, প্রেমের বেদনা থাকে সমস্ত জীবন!! দাদু বলেছেন।
    একটু বেশি করে লেখ দিকিনি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন