এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হলেও হতে পারতো প্রেম

    M
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১৩০৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bishorgo | 122.172.36.71 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:২৫422420
  • উল্টোডাঙ্গা অব্দি!! সর্বনাশ!! তখন যে উল্টোডাঙ্গা থেকে সল্টলেক অটো রুট শুরু হয় নি। পৌঁছে দিয়ে ফিরবে কেমন করে? আরো একবার হেঁটে??
  • ranjan roy | 115.184.31.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০১422421
  • অ্যাই বিসর্গ: , নো ক্যাওড়ামি! কাম টু দ্য ট্র্যাক, অন ইয়োর সেট,--।
    আমি এখনও ঐ রাস্তায় হাঁটছি। বহুবার হেঁটেছি, কিন্তু একা, ভাইয়ের বাড়ির পথ ভুলে।
  • ... | 168.26.215.135 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:১৯422422
  • "কিছু ক্লান্ত মানুষ আর দুইপাশের ভেড়ীগুলো ভারি আমোদ পায় ......." ইত্যাদি।
    প্রশ্ন: ভেড়ী মানে কি মেয়ে ভেড়া? তারা কি বাসে চড়ে? আর রাতের বাসে চড়া ভেড়াদের লিঙ্গ বোঝাই বা যায় কি করে? নাকি ভেড়ী বলতে আপামর মহিলাকুলকে বোঝানো হয়েছে যাদের গাণিতিক প্রতিভা নিয়ে সমাজে বিভিন্ন শভিনিস্টিক ধারণা চালু আছে?
  • Du | 65.124.26.7 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:৩৯422423
  • মাছের ভেড়ি তো। সেইসময় বাইপাসের ধারটা ওরকম মাছের ভেড়িতে ভর্ত্তি ছিল।
  • m | 173.26.17.106 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:৪১422424
  • এই ভেড়ি হলো গিয়ে মাছ চাষের অগভীর পুষ্কুনি,এরসঙ্গে ব্যা ব্যা র কোনো সম্পর্ক নাই:)
  • ... | 24.42.203.194 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৭:৫৮422425
  • অ্যাঁ? মাছের ভেড়ি? তারা কি বাসের মধ্যে ছিল? নইলে কেমন করে ইকুয়েশন বোঝানো দেখল এবং দেখে আমোদ পেল?
  • d | 117.195.35.250 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:১৭422426
  • বিসর্গ, একটু হাত চালিয়ে জলদি জলদি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৫৪422427
  • কি মুস্কিল। এতো দেখি কিসুই বোঝে না।
    আরে বাবা, দক্ষিণ-পূর্ব পশ্চিম বঙ্গের ভেড়ি এলাকা দ্যাখেন নাই বুঝি! সে মাইলের পর মাইল পুষ্কন্নি। মাঝে মাঝে আল দেয়া। তা অতো বড়ো তো, তাই অনেক্ষণ ধরে বাস তার পাশ দিয়ে চলে। তকুন জালনা দে দ্যাখা যায় তো। লোকে ভেড়ি দ্যাখে, ভেড়ি লোক দ্যাখে। তা অমনধারা ব্যাপার দেখলে ভেড়ি আমোদ পাবে না? ক্যানো, ভেড়ি বলে কি মানুষ লয় !!!
  • pi | 128.231.22.89 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৫৫422428
  • হ্যাঁ, ভেড়ি বলে সির্ফ ভেড়া লয়।
  • Bishorgo | 122.172.44.130 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:১৮422430
  • এই যে --- আজ্জোভাই এরম করে কি লজ্জা দিতে হয় ভাই!! আপনি প্রশ্ন করা মাত্র সমগ্র মহিলাকুল আপনাকে কি প্রাঞ্জল করে বুঝিয়ে দিলেন ভেড়ী আর মাছের ভেড়ির তফাৎ, আর আপনি কিনা তাঁদের গণিৎ শাস্ত্রে পারঙ্গমতা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করছেন!!!
    তবে আপনার জন্য একটি আঁখোদেখি ঘটনার বিবরণ দিয়ে যাই। মাসকয়েক আগে এক বন্ধুর বাড়ি জমায়েৎ ছিল। সবেমাত্তর পাত্তর হাতে তুলেছি, সেখানে বন্ধুর পঞ্চমবর্ষীয় পুত্র ঘোরাফেরা করছিল একটু কোক বা পেপসির আশায়। এমন সময় বন্ধুপত্নীর আদেশ ""ওকে কেউ পেপসি দিও না। ও ম্যাথসে C+ পেয়েছে''। হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গার পিছনের কারন -- সবাই মিলে হ্যাটা দিয়ে যদি শিশুটিকে নিরন্তর অঙ্ক কষতে উৎসাহিত করা যায়। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই তো মা-জননীরা সমস্ত জনহিতমূলক কাজে অগ্রণীর ভুমিকা নিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না। নন্দিনীআন্টি (আমার না, বালকটির) এগিয়ে গেলেন, ""হাউ স্যাড রূপম! তুই C পেয়েছিস! এবার তো তোকে আর কেউ বিয়ে করতে রাজি হবে না!!'' আমরা একটু খিল্লি করতে যাচ্ছিলাম এই বলে যে পাঁচ বছরের ছেলের কাছে বিয়ের কনে না জোটার টেন্‌শনটা বিশেষ কার্য্যকরী নয় বলে। কিন্তু আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে শিশুটি নন্দিনীকে চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা গোছের দৃষ্টি ছুঁড়ে বলল, ""বেট!! আই হ্যাভ টুহেলভ গার্ল স টু চুজ ফ্রম। আই আম দা অনলি বয় হু গট C ইন ম্যাথ্‌স। বাট সাবা, মিহিকা, রিহানা, অনাহিতা, ..... টুহেলভ অফ দেম গট C। অল আদার বয়েস গট A অর B। ম্যাম অলসো সেড - গার্ল স হ্যাভ টু রিয়ালি ওয়ার্ক হার্ড ফর ম্যাথ্‌স। '' বলাই বাহুল্য এই মন্তব্যের পর ঘরে নীরবতা বিরাজ করছিল । শুধু পাষন্ড নিখিলটা শিশুর পিতাকে শুধিয়েছিল ক্লাসের ব্যাচ সাইজ কত? ""পঁচিশজন'' উত্তর পাওয়ার পর নিখিলের ও আর সাহস হয় নি ছাত্রীসং খ্যা কত জানতে চাওয়ার।

    ডি: মা-লক্ষীরা খারাপ পাইবেন না - রূপম C পেয়েছিল এবং ও ছেলেই ছিল। আর ওর স্কুল্টাও খুব বাজে স্কুল, কেউ পঞ্চাশের নিচে পেলেই C গ্রেড দিয়ে দেয়।
  • Bishorgo | 122.172.44.130 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৩৯422432
  • রঞ্জনদা
    আমার উপরের পোস্টটির পর এই টইয়ের মোড় হয়তো ঘুরে যাবে, রিমিদিদি, পাইদিদি, কলিদিদি, তেকোণাদিদি, দমদিদি সবাই আমাকে কষে কানমলা দেবেন, বিষাক্ত সব তীর ছুঁড়বেন। আসলে কাল থেকে আমার খুব ক্যাওড়ামি পাচ্ছিল, তাই সামলাতে পারলুম না। ক্ষমা করবেন, টই-টাকে ঘেঁটে দেওয়ার জন্য। ওনারা সব রাগারাগি করে নিন, আমিও ততক্ষণে গল্পটাকে গুছিয়ে নি। বেচারারা অনেকক্ষন ধরে লাবণির মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    দমদি
    আপনারে আমি বড় ভয় পাই। তাড়া দিবেন না। কাল অন্য টইয়ে ঘুরতে গিয়ে ইন্দোডাগতারের মিহি আওয়াজ খেয়ে মনের দু:খে ঠাকুরঘরের কলা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলুম। আজ আপনার তাড়া খেয়ে আরো বিচলিতবোধ করছি। আপনার কোনো হলেও হতে পারত প্রেমের গল্প থাকলে আপনি শুরু করে দিন না, আমার ভেড়াগুলো নাহয় একটু সল্টলেকে দাঁড়িয়ে থাকুক।

    (আজ আবার রাতের দিকে লিখব, যদি তখন বকুনির ঝড় থামে)
  • dukhe | 122.160.114.84 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৩৯422431
  • মা জননীরা অঙ্ক বেশী জানলেই বরং অসুবিধে - প্রত্যেক বছর বয়স বেড়ে যাবে ।
  • Bishorgo | 122.172.44.130 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:২৮422433
  • আর আজ্জোভাই, শুধু অঙ্কই নয়, ওনাদের আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপূর্ব সব ভূমিকায় দেখে আসছি।
    যেমন ধরুন, ছোটোবেলায় কেমিস্ট্রি প্র্যাক্টিকাল ক্লাসে চারকোল রিডাক্‌শন টেস্টে মুখে ওড়্‌না চাপা দিয়ে মুখের থেকে দুই ফুট দূরে ব্লোপাইপ ধরে ওনারা ফুঁ মারতেন। যা দেখে প্রবীণ শিক্ষক বাধ্য হন বলতে ""মা লক্ষীরা সায়েন্স ছেড়ে হোম সায়েন্স পড়''। কিন্তু ওনারা তারপরেও পাশ করতেন।

    এইরকম সব আর কি!! একটা বড়বেলার গপ্পো ও বলে যাই। বছর কয়েক আগের ঘটনা, একদিন পুরো অফিসের নেটওয়ার্ক ঘেঁটে গেল। খোঁজ খোঁজ, কি ব্যাপার! এক দিদিমনি নিরিবিলি দেখে MSRয়ে ঢুকেছিলেন হাতে গানের সিডি নিয়ে। এবং ঠিক কোন ড্রাইভে বুঝে উঠতে না পেরে, ওনার হাত গলে কিভাবে যেন সিডিটি দুটো স্লটের মধ্যের অতি সরু ফাঁক দিয়ে সার্ভারের ভিতর পড়ে যায়। এবং তাকে বার করার জন্য সার্ভারটিকে কিছু রামথাপ্পড় আর হেঁট্‌মুন্ড ঝাঁকুনি খেতে হয়। কিন্তু অসভ্য সার্ভার তাতেও সিডিটিকে উগড়ে দেয় না। জানাজানি হওয়ার পর যখন সবাই দিদিমনিকে বকাবকি শুরু করছেন, দিদিমনি সবাইকে একটা জম্পেশ প্রশ্ন করে থামিয়ে দিলেন, ""ওখানে ফাঁক ছিল কেন?''
  • . | 198.96.180.245 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৩৮422434
  • খাইসে!
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৫৯422435
  • একটি ডি: অতি আবশ্যক, ঐ .. আমি নই।

    ইতি আ:
  • Bishorgo | 122.172.17.48 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:০৪422436
  • হায় হায় --- তুমি কি সত্যি অঙ্কপ্রেমী আজ্জোভাই নও? তবে যেই হও, আমায় ক্ষমো হে ক্ষমো, তোমায় নমো হে নমো।

    ডি: নাকি আজ্জোভাই এখন রিমিদির চাঁটি খাওয়ার ভয়ে ডি: দিচ্ছে?
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:১২422437
  • আরে সত্যি ওটা আমি নই। তবে তোমার গুরু বাঁশ কেন ঝাড়ে কেস হয়ে গেল। :P

    (তুমি কইলাম কিছু মনে করো না, পোতিক্কিয়াশীল বা বানাম শিংদের কথায় কান না দিয়ে গপ্পোটা লিখে ফেল)।
  • koli | 115.187.41.13 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:১৬422438
  • :-)
  • bishorgo | 122.172.24.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:১৭422439
  • তাই দেখছি, তা বাঁশ-কে যখন ঘাড়ে পড়ানোর সব ব্যবস্থা করেই ফেলেছি, এখন তো মার-হ্যাটা সব খেতেই হবে। তবে দিদিমনিরা বোধ হয় বেশি রাগেন নি, আমাকে ইগনোর ট্রিটমেন্ট দিয়ে গল্পের পথে আনছেন বোধহয়।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৩১422442
  • আরে লেখো, লেখো। সল্টলেক রাতের দিকে নিরাপদ নয়। এরপর উল্টোসিধা কিছু হয়ে গেলে তার দায় কে নেবে?
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:৩২422443
  • বিসর্গ, চটপট গল্পটা নামাও দেখি খোকা, নয়ত এখুনি অংক পরীক্ষা নেবো। ২৪ ঘন্টার উপর হয়ে গেল এখনো আপডেট হল না??
  • Bishorgo | 122.172.24.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:৫৪422444
  • তাই বলি, IPটা চেনা চেনা লাগে কেন! একটার শেষে ১৩৫ আর আরেকটার ১৩।
    দাদা না, দিদি!
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:৪৯422445
  • অঙ্কই কষতে বসে গেল বোধহয়। ও বিসর্গ, লিখুন এবার..
  • bishorgo | 122.172.24.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:৫৬422446
  • লেখা ক্রমে আসিতেছে
  • bishorgo | 122.172.24.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:১৭422447
  • গপ্পের মোড়ে আসি।

    হাঁটার পথ ফুরিয়ে আসে। যা কিছু বলার ছিল, বলা হয় না। কিন্তু
    অন্তুকে এবার অন্য কিছু তো বলতেই হবে, তাই চোখা চোখা কথা বলার জন্য বহু প্রাইজ পাওয়া অন্তু বলল, ''অঙ্কগুলো বুঝেছ তো? অসুবিধে থাকলে আমাকে ফোন করতে পার।'' ডানদিকের গলিতে ঢোকার আগে পূর্ণা শুধু বলে যায় ""তোমার নাম্বার আছে আমার কাছে।''
    নির্বোধ অন্তু, অহঙ্কারী অন্তু হাত কামড়াতে থাকে পূর্ণার ফোন নম্বর না চেয়ে উঠতে পারার জন্য। শুরু হয় অন্তুর অপেক্ষা পূর্ণার ফোনের জন্য।

    সময় গড়িয়ে চলে, শীতের কলকাতা নিয়ে আসে না আর কোন সমাপতনের বেনিয়ম। জাভোৎসব, মিলিউতে ওরা আবার মুখোমুখি হয়, কিন্তু বন্ধুর ভীড়ে হারিয়ে যায় ওদের নিজেদের কথা। পূর্ণা নিজেকে বোঝাতে থাকে, সেদিনের সেই রাতটা সাধারণ একটা রাত ছিল, কোথাও কোনো নতুন ছন্দ তৈরি হয় নি সে রাতে। আর অন্তু? অন্তু ভাবে, পূর্ণা তুমিও তো একবারের জন্য ফোন করতে পারতে। খড়গ্‌পুর থেকে স্প্রিংফেস্ট এর বার্তা আসে কলেজগুলোয়। ফেস্টকরিয়েরা ঠিক করে সবাই মিলে এক ট্রেনে যাওয়া হবে খড়গ্‌পুর। হাওড়া স্টেশনে পূর্ণা পৌঁছয় রশমিৎ, সৌরেশের সাথে। সবাই আছে ওখানে, শিমুলদা, জয়, দেবুদা, তাতা, শুভ্র, ম্যাক, সম্রাট, এন আর এসের অদিতি, বিশ্বজিৎ, মোতিঝিলের অরুনরা, সব্বাই, সব্বাই। শুধু অন্তু নেই। পূর্ণার প্রচন্ড রাগ হয়, ""ও তার মানে এড়িয়ে চলতে চায় আমাকে!'' পরের মুহুর্তেই মনে হয় ""কিন্তু কেন? ও কি তাহলে বুঝে গেছে আমার মনের কথা? ছি ছি আমি কি সেদিন খুব বেশি আগ্রহ দেখিয়ে ফেলেছিলাম!!"" পূর্ণা নিয়ন্ত্রণ হারায় নিজের উপর, তাতাকে বলে, "তোরা সবাই আছিস, অন্তু আসে নি?'' কেউ আলাদা করে খেয়াল করে না ওর প্রশ্ন। তাতা বলে "হ্যাঁ, ওর কি একটা কাজ পড়ে গেছে, তাই''। হোস্টেলে পৌঁছে পূর্ণা একা থাকতে চায়, সবকিছু বিস্বাদ লাগতে থাকে। পরের দুটো দিন কেটে যায় নানা ইভেন্টের তাড়ায়। পূর্ণা শুধু আসবে না জেনেও খুঁজতে থাকে একট লম্বা, ছিপছিপে ছেলেকে।
  • bishorgo | 122.172.24.97 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩০422448
  • সেই সন্ধেটাই খড়গ্‌পুরে সেবারের মত শেষ সন্ধে। দুপুরেই পূর্ণার ইভেন্টের ফাইনাল হয়ে গেছে। কিন্তু ওর বন্ধুরা ওএটিতে রাত্তিরে শিবার প্রোগ্রাম না শুনে ফিরবে না। তাই ওর ফেরা হবে না কালকের আগে। বন্ধুরা মিলে শহর দেখতে বেরোয়, পূর্ণা যায় না, হাঁটতে থাকে ক্যাম্পাসের মধ্যে। প্যাটেল হলের সামনে শিমুলদা কার সাথে কথা বলছে? অন্তু না? ও কখন এল? শিমুলদা পূর্ণাকে দেখে ডাকে, অন্তুও পূর্ণাকে দেখে হাসে। তুমি একদিন আগে আসতে পারলে না, আমি যে ভেবেছিলাম ভোরবেলায় একসাথে হাঁটব! শিমুলদা, অন্তু কেউ শুনতেই পায় না ওর কথা। ওরা শোনে পূর্ণা বলছে ""তুমি কি গেস্ট পারফরমান্স দেখতে এলে শুধু?'' উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে হাঁটা দেয় এস এনের দিকে। অন্য শহর থেকে আসা মেয়েদের সাথে গল্প করতে করতে সন্ধে হয়ে যায়। অন্তু শেষপর্যন্ত এসেছে, এই নিশ্চিন্ততা ওকে ভুলিয়ে দেয়, ও চাইলেই এখন একলা হতে পারত অন্তুর সাথে এই অসংখ্য মুখের মধ্যে। সবাই তাড়াহুড়ো করে গেস্ট ব্যান্ড শুনতে যাওয়ার জন্য, পূর্ণা-ও যায়। ভালো লাগে না, মাঝপথে বেরিয়ে আসে, আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকে ওএটি পিছনে ফেলে। কে যেন খুব কাছ থেকে বলে, ""এত রেগে আছ কেন তুমি?''
    ""তুমি!! গান শুনতে গেলে না?''
    ""হাঁটবে আমার সাথে?'' অন্তু বলে।
    পূর্ণার ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে, অন্তুকে ঝাঁকুনি দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে ""কেন তুমি আমাকে কিছু বলছ না? অন্য কিছু বলতে না পার, ঝগড়া কর আমার সাথে, অন্তত আমাকে কিছু বলার সুযোগ দাও''। বলা হয় না। ওরা অন্য অনেক কথা বলে, সতর্ক থাকে যে কথাটা বলতে চায়,সেটা যেন বেরিয়ে না পড়ে। অন্তুর খুব ইচ্ছে করে ওর হাতটা ধরতে। না, অন্তু পারবে না অতটা ছেলেমানুষি করতে। পূর্ণা খুব কাছে আছে, পাশেই আছে, এটাই তো অনেক বড় পাওয়া। বেশি চাইতে নেই অন্তু, নিজেকে বলে। তাহলেই সব ফুরিয়ে যায়, মিলিয়ে যায়।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩৮422449
  • বিসর্গ, এ কবেকার গল্প ভাই? আমাদের সময়ে তো অন্য কালেজ থেকে ফেস্ট করতে এসেই নতুন চেনা ছেলেপুলেরা সোজা তুই তোকারি তে চলে যেত! অবশ্য তাদের মধ্যে অনেকেই প্রেম টেম হবার পরে আবার "তুমি"তে ফেরৎ গেছে :-))
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৪৪422450
  • ওহো লেখার পরেই মনে পড়ল, আমার থেকে দশ বছরের ছোটো আমার যাদবপুরি ননদ এবং তার যাদবপুরি বয়ফ্রেন্ডও পরস্পরকে প্রথম থেকেই "তুমি" বলে।
  • bishorgo | 122.172.24.97 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৫৩422451
  • বেরসিক রিমিবেন, তুমি কবেকার গল্প শুনতে চাইছ তা তো আমি জানি না। তবে তুমি হয়তো লক্ষ্য কর নি, পূর্ণা আর সবাইকে তুই-তোকারি করছে। আর পূর্ণা ফার্স্ট ইয়ারে, অন্তু থার্ড ইয়ারে। প্রথম থেকেই তো ওদের মনে পাপ, কথা বলতে গেলে ফুটে বেরোবে না??
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:১৫422453
  • ওহো ফার্স্ট আর থার্ড ইয়ার! খেয়াল করি নি। আমারই ভুল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন