এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাস্তুহারা

    ranjan roy
    অন্যান্য | ২৫ নভেম্বর ২০০৯ | ১১৫৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৫৮428473
  • আর অসম্ভব রকমের ফ্রাস্ট্রেটিং। এত্তো রাগ হয় নিজের ওপর !!!
  • Sibu | 71.106.234.63 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫৪428474
  • রঞ্জনবাবু, কিছু করতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু করার মত কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।
  • ranjan roy | 115.184.84.88 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০৭428475
  • মোবাইল খন্‌খনিয়ে উঠলো--- মি: রায়, আমি সিটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোলিস্‌ আর কে সাহু বলছি। আমি আপনাদের পরিসরে নীচেই দাঁড়িয়ে আছি। আপনি নীচে নেমে আসুন। কোন ভয় নেই।

    আমাদের সবার সম্মিলিত হাঁফ ছাড়ার শব্দে কুকুরটা চমকে নড়ে চড়ে বসল।
    ---- আসছি স্যার! জামাকাপড় পরে নীচে নামতে পাঁচ মিনিট সময় দিন।
    --- ওক্কে। সব থেমে গেছে। আসুন।
    আমি স্ত্রীকে বলি--চল, তৈরি হই। সবাই বোধ হয় নীচে গেছে। আর তো সাড়া শব্দ বিশেষ নেই। থ্যাংকস্‌ টূ বর্মা( ভার্মা?), রত্না তোমাকেও। চল এবার।
    বড় মেয়ে আমার পথ আটকে দাঁড়ায়।
    ---- না বাবা! তোমরা নীচে যাবে না। আমি কী-হোল দিয়ে দেখেছি। ওদের মারতে মারতে নীচে নিয়ে গেছে। এখন প্যাসেজের লাইট নিবিয়ে অন্ধকার করে ওরা ঘ
  • SB | 59.93.199.87 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:০৪428476
  • ঘ = ঘাপটি? রঞ্জনদা?
  • kd | 59.93.220.56 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:২৩428477
  • তুলে দিলুম।
  • dd | 122.167.40.63 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:১১428478
  • রঞ্জন
    তোমার ল্যাখাটা পড়ছি। শ্যাষ হলে আমার অভিজ্ঞতা লিখুম খনে।

    পচ্চিম বংগের।
  • bablee | 95.152.123.63 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:০৫428479
  • তারপর????????????????????????????????????????
  • ranjan roy | 115.184.105.85 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৪৭428480
  • ( শৈবালকে : হ্যাঁ, ঘাপটি মেরে--। শালা, সেদিন মাঝখানে কম্প্যু অফ হয়ে গিয়ে পুরো একপাতা লেখা উড়ে গেল।
    আর জনগণ জানিয়া সুখী হইবেন---গতকাল ক্যাজুয়াল নিয়ে আমি, স্ত্রী ও হরিয়ানী দম্পতি গিয়েছিলাম বিলাসপুর। বুক ফুলিয়ে।
    আমি কাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেটের কোর্টে দুই বিল্ডারের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ধারা ৪২০ ও অন্য কয়েকটি ধারায় মামলা শুরু করে এলাম। নক্‌শায় আমাদের ফ্ল্যাট সামনের লাইনে, আমাকে বোকা পেয়ে দিয়েছে পেছনে। তারপর কমন লিফ্‌ট গেছে আমার দুটো ফ্ল্যাটের মধ্যে দিয়ে। নকশায় ওটা কমন প্যাসেজে, আর ভূভারতে কেউ এমন দেখেছে যে লিফট কারও ঘরের মধ্যে দিয়ে?
    এক নজরেই ম্যাজিস্ট্রেট অ্যাকসেপ্ট করে সিভিল লাইনস্‌ থানাকে তদন্ত করতে দিয়েছেন। রত্না গেল কর্পোরেশনের কমিশনারের অফিসে, কমিশনারের নোটিসের পরেও কোন কাজ হয়নি। উনি কি স্টেপ নিচ্ছেন জানতে। আর মর্টগেজ রাখা আটটা ফ্ল্যাট যে প্রোমোটার বেচে দিয়েছে তার কি হবে?
    অনেক রাত্তির হল ফিরতে। তাই লেখা হয় নি। সরি!)
  • ranjan roy | 115.184.105.85 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:২৪428481
  • "---- ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে। তোমাকে মারবেই, আর মার ওপর সবচেয়ে বেশি রাগ। মাকে তো ছাড়বেই না। তুমি বেরুবে না , ব্যস্‌।''
    ছোটজন সুরে সুর মেলায়।
    ---তোমাকে কেন নীচে যেতে বলছেন? উনি কেন উপরে আসছেন না? কেমন সি এস পি? মৌকা- এ-বারদাত এ পৌঁছনো কি ওঁর ডিউটি নয়?
    আবার ফোন বাজে। -- কি হল মি: রায়? আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো?
    আমারা চুপ, কোন জুতসই উত্তর মাথায় আসছে না। আমি দরজার দিকে এগুই। বড়মেয়ের বন্ধুটি রাস্তা আটকায়,--আংকল,
    যদি যেতেই হয় তাহলে আমি আগে নামবো। রাস্তা ক্লিয়ার দেখলে তবে আপনি।
    মেয়েরা আবার বাধা দেয়।
    কেউ বেরোবে না।
    আমি বলি-- সরি স্যার। আমার মেয়েরা রাজি হচ্ছে না। পারলে আপনি ওপরে আসুন।
    --- মি: রায়, আপনি নীচে আসুন। আমাদের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড বাবলু বর্মার কথায় আমি এসেছি, শুধু আপনাদের জন্যে। যদি বিশ্বাস না করেন, তাহলে ফিরে যাই। সব শান্ত হয়ে গেছে, ওপরে কেউ নেই।
    -- এবার তাহলে যাওয়া উচিৎ, কি বলিস?
    ---বাবা, তুমি এত সরলবিশ্বাসী কেন? কি করে জানলে মোবাইলে তোমাকে আশ্বস্ত করা আওয়াজ এস পি সাহুরই। তুমি ওনার গলার আওয়াজ চেন? তোমার সাথে পরিচয় হয়েছে?
    আমি মোবাইলে বলি-- সরি,যদি আমাদের কমন ফ্রেন্ড বাবলু এসে বেল বাজায় তবে বেরোবো, নইলে নয়।
    মোবইল বন্ধ হয়ে যায়। প্যাসেজে ছেয়ে গেছে কবরের নি:স্তবদ্ধতা। আমি হাঁফ ছাড়ি, ফ্রিজ থেকে জলের বোতল বের করে ঢক্‌ঢক করে গলায় ঢালি। পায়চারি করি। সোফায় বসি। সবার মুখের দিকে তাকাই। অত: কিম্‌?
    যেন আমার প্রশ্নেরই উত্তরে দরজায় দুম্‌দুম্‌ শুরু হয়।
    --- দরজা খোলো, অমরা ম্যাডাম রায়কে থানায় নিয়ে যাবো। আমরা পুলিশ।
    --- পুল্‌শ হও কি ভগবান, মাঝ-রাত্তিরে দরজা খুলবো না। মগের মুল্লুক পেয়েছ?
    আমি ভয় লুকোতে ভারী আওয়াজে বলি।
    ---- আমার ৮৬ বছরের শ্বাশুড়ি ওষুধ নিয়ে শুয়েছেন। এখন ডিস্টার্ব কোরো না।
    রত্না উঁচু গলায় বলে।
    এবার অচেনা মহিলা কন্ঠ বলে--- আমরা পুলিশ, এবার দরজা ভেঙে ঢুকবো। কার কত শরীর খারাপ আমরাই সরেজমিনে দেখবো। দরকার বুঝলে হাসপাতাল পাঠাবো।
    এবার অন্ধ নি:স্ফল রাগে চেঁচাই--- তোদের মুরোদ জানা আছে, বে্‌হ্‌ঙ দেখ একবার। কাল সকালে যদি সাসপেন্ড না করাই--। আমার মার কিছু হলে তোদের কিন্তু---।
    দরজায় আঘাত বাড়তে থাকে। জালট বোধহয় ছিঁড়ে গেল। আর কতক্ষণ?
    আমরা এ ওর মুখের দিকে তাকাই। পরিণতির জন্যে তৈরি হই।
    এমন সময় সব অওয়াজ থেমে যায়। সিঁড়ি দিয়ে একটা ভারী যুতোর আওয়াজ উঠে আসছে। আওয়াজটা আমাদের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে থামে। তারপর কলিংবেল বেজে ওঠে। পরিচিত গলায় শুনি-- দাদা, ঘবড়াইয়ে মৎ, ম্যাঁয় বাবলু হুঁ।
    বাবলু বর্মা? একলাফে গিয়ে দরজা খুলে জড়িয়ে ধরি। বাবলু'র সঙ্গে আর একটি ছেলে।
  • ranjan roy | 115.184.105.85 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:৩২428483
  • বাবলু বলে--- দাদা আর ভাবীজি, আপনারা থানাতে চলুন। এখন সবাই ওখানে গেছে। নিজের নিজের স্টেটমেন্ট লেখাচ্ছে। আপনারা না গেলে আপনাদের বিরুদ্ধে একতরফা লেখাবে। কাজেই --।
    নীচে নামি, বারমুডা আর ফতুয়া পরা অবস্থায়।রত্নাকেও বলি-- এভাবেই চল।
    ও সালোয়ার-কামিজ পরা অবস্থায় একটু চুলটা ঠিক করে বলে-- চলো।
    মেয়েদের ও দিদিকে বলে আমার শ্বাশুড়িকে দেখিস। উনি উঠলে বলিস-- আমরা শিগ্গিরই ফিরে আসবো।
    প্যাসেজে বেরিয়ে লাইট জ্বালাই। কেউ নেই। কিন্তু কোণার দিকের ২১০ নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে বিপজ্জনক ভাবে কব্জার ওপর ঝুলছে। ফ্রীজ, ডাইনিং টেবিল, বেতের সোফাসেট সব টেনে এনে প্রায় আমাদের দরজার সামনে অব্দি ছড়ানো। নীচে নামি।
    নেমেই ঝটকা, সি এস পি নেই, অনেক আগেই চলে গেছেন। গোটা সাতেক পুলিশ,দু'জন মহিলা পুলিশ ও একটা জীপ দাঁড়িয়ে। কিছু অচেনা মুখ, কিছু চেনা লোক। বেশ কিছু মোটরবাইক।
    কিসে যাবো? রেণুরা কোথায়?
    --ওরা সবাই থানায় গেছে, বিল্ডাররাও গেছে। এক কাজ করুন, আপনারা পুলিশের জীপে যেতে পারেন, ওরাও থানাতেই যাচ্ছে। আমি আর টিল্লু বাইকে যাবো, আপনাদের সামনে পাইলটিং করে, কোন ভয় নেই।
    আমাদের জীপে চড়ার মুহুর্তে মন্দিরের বারান্দায় বসা পুলিশদের মাঝখান থেকে একজন উঠে দাঁড়ায়। আমি চমকে উঠি। এতো সাব ইন্স্‌পেক্টর দীনেশ সাহু, মাসদেড়েক আগে থানেদার ছিল। রাত বারোটায় ফোর্স পাঠিয়ে ঘর থেকে রেণু গুপ্তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ফল্‌স্‌ কেসে ১৫দিন আটকে রাখে। রত্নাকেও তুলতে চেষ্টা করে, পারেনি।
    আমাদের মানবাধিকার, মহিলা আয়োগ অ অন্য লেভেলে লাগাতার ক্যাম্পেন এর ফলে থানেদার থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো,--ও এখানে কি করছে? বিল্ডারের থেকে ভালই পয়সা পায় শুনেছি।
    রত্না বলে, --- আরে দীনেশ সাহুজি, তুম? কবসে আয়ে হো? শুরু সে?
    ও মাথা হেলিয়ে গাড়িতে ড্রাইভারের পাশে বসে। দু'জন সেপাইকে বলে বাড়িটার দেখাশুনো করতে।
    রাত প্রায় দুটোয় সিভিল লাইনস্‌ থানায় পৌঁছে দেখি বহু লোকের ভীড়। বিল্ডার অমিত শর্মার স্ত্রী শিবানী ছ'টি ফ্ল্যাটের মেয়েমদ্দ, কোলের বাচ্চা সবাইকে নিয়ে ভীড় জমিয়েছে। গোটাকয়েক গাড়িতে ঐ ধনাঢ্য কলোনীর বেশক'জন। বিল্ডার আশীষ সরকার, মাস্তান কার্তিক ঘোষ, নবীন কলওয়ানী ও আরও ক'জন। ওরা প্রাঙ্গণের মধ্যে বটগাছের তলায় বাঁধানো চত্বরে মজলিশ জমিয়েছে। আর এদিকে মূল বিল্ডিংয়ের বারান্দায় টেবিল লাগিয়ে একের পর এক বয়ান লেখানো হচ্ছে। আমাদের দু'জনকে বলা হল অফিসের মধ্যে গিয়ে বসতে।
    কিন্তু রেণু-প্রবীণ-অমিতাভ? বীভৎস মারখাওয়া বন্ধুরা? ওরা কোথায়? জানা গেল ওদের নিয়ে গেছে এম এল সি করাতে।
    সেটা কি বস্তু? - মেডিকো লিগ্যাল চেক্‌ আপ।
    ভালো ভালো। ফার্স্ট এড্‌ তো পাবে। চেক আপ ও হবে।
    বেঞ্চে বসে মশা তাড়াই। বার্মুডা পরা খোলা পায়ে আর হাওয়াই চপ্পলে অধিকাংশ নিম্নাঙ্গ মশাদের সহজ শিকার।

    ---- হ্যাঁ,আমি জীবনবীমা অফিসে অফিসার। ফ্ল্যাটের ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট। ২০৫ নম্বরের রত্না রায় আমার স্ত্রীর সঙ্গে আজ ঝগড়া করেছিলেন। মারপিটও। পরে যখন রাত্তির সাতটায় ঐ জাঠ ভদ্রলোক আমাদের ওপর গুলি চালান তখন রায়েরা দুজনই ওদের পাশে দাঁড়িয়ে হাসছিল, ওদের উৎসাহ দিচ্ছিলো।
    ---- হ্যাঁ, আমি নন্দা মুখার্জি, সোসাইটির প্রেসিডেন্ট। রত্না রায় সবার সঙ্গে ঝগড়া করেন। বিল্ডারদের বিরুদ্ধে সবাইকে ওস্কাতে থাকেন।
    আর ওই ২১০ নম্বরের ভাড়াটে রেণু গুপ্তা। ওরা হরিয়ানা থেকে এসেছে। সাদাসিধে কিসানদের জমি কিনে পয়সা না দিয়ে দিল্লি-হরিয়ানায় পালিয়ে যায়। পয়সার গরম দেখায়। ক্যারেক্টার ভালো নয়। প্রবীণ ওর বিয়েকরা স্বামী নয়। ওর আসল স্বামীর বন্ধু। ভাগিয়ে নিয়ে এসেছে। ক্রিমিনাল নেচারের মহিলা। এই তো ঠগী করে ১৫ দিন জেল খেটে বেরিয়েছে।
    এরা বন্দুক-পিস্তল-রাইফেল এইসব রাখে। ড্রইংরুমে দেখবেন দেয়ালে টাঙানো।
    ওর সঙ্গে এবার এক হরিয়ানা থেকে বডিগার্ড এনেছে। সে কাঁধের থেকে বেল্ট দিয়ে পিস্তল টাঙিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সবাইকে ভয় দেখায়।
    আজ রত্না আর রেণু আমাদের সঙ্গে ঝগড়া- হাতাপাই করলে পরে ওই প্রবীণ আর বডিগার্ড গুলি চালায়। তখন আমরা মরিয়া হয়ে এককাট্টা হয়ে ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হাতিয়ার কেড়ে নিই।
    সমস্ত অশান্তির মূল এই দুই মহিলা। এই হরিয়ানা থেকে আসা ক্রিমিনাল পরিবারকে আমরা চলে যেতে বলছি। কিন্তু রায়পরিবার ওদের ওস্কাচ্ছে।
  • ranjan roy | 115.184.99.88 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৩৮428484
  • -- আমি শিবানী। বৈশালী প্রাইড অ্যাপার্টমেন্টের প্রোমোটার অমিত শর্মার স্ত্রী। আজ উনি শহরে নেই। তাই আমি দেখভাল করছি। ২১০ নম্বরে ভিকি বুখারির ফ্ল্যাটে হরিয়ানা থেকে আসা এক ক্রিমিনাল চরিত্রহীন পরিবার প্রায় জোর করে ভাড়াটে হয়ে ঢুকেছে। আমারা আপত্তি করায় খালি করতে বলা হয়েছে, কিন্তু শুনছে না। উল্টে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখায়।
    এই যে কার্তিক ঘোষকে দেখছেন ইনি মকান খালি করানোর, খারাপ ভাড়াটে ওঠানোর এক্‌স্‌পার্ট।
    আজ সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটির কথামত ওদের ফ্ল্যাট খালি করাতে যাই। ওদের পক্ষে শুধু রায়পরিবার। ঐযে হাফ প্যান্ট আর সালোয়ার কামিজে বসে। ষাট সাল কী বুড়িয়া , মতি মারী গয়ী।
    ঝগড়া-ধাক্কামুক্কি হয়। তারপর আমাদের প্রেসিডেন্ট মূর্তিকে ওরা বন্দুক নিয়ে তাড়া করে।গুলি চালায়। কী আওয়াজ! কী ধোঁয়া! মন্দিরের প্যানেলের কাঁচ ফেটে গেছে। ভাগ্যিস্‌ কারো গায়ে লাগেনি। আমরা তখন মরিয়া হয়ে যা থাকে কপালে বলে ঝাঁরিয়ে ওদের বন্দুক কেড়ে নেই। ওদের পুলিশের হাতে তুলে দিই।
    আমাদের চোখ বড়বড়। একজন সিপাই আমাদের বলে -- ইধার নেহি, অন্দর যাকে বৈঠিয়ে।
    ইতিমধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে আমাদের তিনমূর্তি পুলিশের জীপে ফিরে এসেছে।
    আমরা নিজেদের মধ্যে ফিস্‌ফিসাই।
    --কী অবস্থা? ফার্স্ট এড হল?
    --আর বলবেন না। নাম মাত্র। ক'টা পেইনকিলার দিয়েছে। আর একটু বেটাডিন লাগানো তুলো। আর পরশু এক্স্‌রে করাতেলিখেছে। কাল যে রোব্বার।
    ---কিন্তু ওখানেও ওদের লোক বসে হাসছিল। ডাক্তার ওয়ার্ড বয়কে বল্লো-- তিনজনের মুখ শুঁকে দেখ। ছোঁড়াটা বলে কি--- হুম্‌ গন্ধ পাচ্ছি। সব কটা ড্রিংক করেছে।
    রেণু বল্লো-- আমি ওকে বল্লাম মারবো এক থাপ্পড়। হতভাগা! আমি ড্রিংক করেছি। রাধাস্বামী সম্প্রদায়ের লোক কখনও ড্রিংক করে?
    প্রবীণ বল্লো-- আমি ডাক্তারকে বল্লাম যে আমি একজন অ্যাডভোকেট। আমার নামে এসব লেখার আগে আমার ইউরিন ও ব্লাড টেস্ট করান। নইলে আমি আপনার লাইসেন্স বাতিল করাবো।
    সব শালা বিল্ডারের পয়সা খেয়েছে।
  • ranjan roy | 115.184.99.88 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫৭428485
  • গাড়ি করে আরও লোক থানাতে ঢোকে।দেখি, শহরের কিছু উঠতি বিল্ডারের দল।
    গাছের নীচে জটলা বাড়ে। হাসির আওয়াজ কানে আসে। আশীষ সরকারকে বলতে শুনি--- কোথায় যাবে? কনজিউমার ফোরাম? যাক্‌ না, যেখানে খুশি যাক। আমার কোন চিন্তা নেই।
    এদিকে প্রায় জনাদশেকের বয়ান হয়ে গেছে।
    আমি উশ্‌খুশ্‌ করি। আমাদের বয়ান কখন নেয়া হবে?
    -- ভেতরে গিয়ে বসুন। আগে এদেরটা হোক।
    --- ক্যানো? মার আমরা খেয়েছি, ওরা মেরেছে। ওদের বয়ান আগে হবে ক্যানো?
    ---- না, না, আপনারা আগে মেরেছেন, গুলি চালিয়েছেন। ওরা তাই আগে কমপ্লেন করেছে, ওদের বয়ান আগে লেখা হবে।
    এভাবে রাত চারটে বেজে যায়।
    নিজেদের মধ্যে কথা বলি।
    --- কে মারলো রে ? কি দিয়ে?
    -- আরে পাঁচপাঁচ্‌জন মিলে একেক্‌জনে ধরে রেখেছে। অন্যেরা মেরেছে। অমিতাভকে তো হরিয়ানার গুন্ডা ভেবে মাটিতে পেড়ে ফেলে খুব মেরেছে। পেটের ওপর দাইনিং চেয়ার দিয়ে মেরেছে। পায়াগুলোর নীচে পেতলের পাত দেয়া ছিল। গোল গোল রক্তমাখা দাগ হয়ে গেছে।
    অমিতাভ জামা তুলে দেখায়। আমার লাইসেন্স রিভলবার, মোবাইল সব কেড়ে নিয়েছে। পার্সও পাচ্ছি না। কাউকে কনট্যাক্ট করতে পারছি না। সব নম্বরতো মোবাইলে সেভ করা ছিল। ---কি করে এত সহজে মারতে পারলো?
    -- আরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে মোবাইল সায়লেন্ট করে ঘুমোচ্ছিলাম। যখন উঠে দরজা খুল্লাম, তখন কবাট পুরো আমার গায়ের ওপর পড়ে গেল, আগেই ভাঙা হয়ে গেছিল। আগের থেকে টের পেলে কি আর--।
  • ranjan roy | 115.184.97.109 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৪428486
  • রেণু বলতে শুরু করে--- আমাকে আপনাদের ব্যাংকের ওই মুখার্জির ছেলে বুকে আর তলপেটে দমাদ্দম লাথি মেরেছে। মিসেস্‌ মুখার্জি আর গুড্ডি সেনগুপ্ত, গুরবীন কৌর এরা মশারীর ডান্ডা কমোডের ভাঙা রড এসব দিয়ে মেরেছে।মাটিতে ফেলে পেটের ওপর বড় বড় গোদরেজের তালা দিয়ে তুলে তুলে মেরেছে। যন্ত্রণা হচ্ছে। গুড্ডি সেনগুপ্ত আমার হাতের হীরের ব্রেসলেট জোড়া খুলে নিয়েছে।
    সব্জিকাটার ছুরি দিয়ে আঙুলের ফাঁকে খোঁচাচ্ছিল যাতে হীরের আংটিটা নিতে পারে।শেষে ওর শ্বাশুড়ি এসে ওর হাত থেকে ওটা কেড়ে নেয়। দেখুন কেমন ঘা হয়ে গেছে। আর আপনাদের ওপরের মিসেস সিং, যার ওয়াশিং মেশিন খারাপ হওয়ায় আপনি কোম্পানি থেকে মেকানিক আনিয়ে দিয়েছিলেন, সামনে দাঁড়িয়ে থেকে পরিষ্কার করিয়ে ছিলেন সে এসে আমাকে মারার জন্যে আর আপন
  • Bablee | 95.152.123.63 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩৩428487
  • ওফ কি ভয়ন্‌কর !
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:১২428488
  • গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। কজন আপনাদের মতন সাহস করে এতটা এগোতে পারবে কে জানে! আপনার শ্রদ্ধেয়। মুখে মারিতং জগৎ অনেকেই পারে, কিন্তু কাজে এমন সৎ সাহসের নজির বড় কম। স্যালুট!
  • ranjan roy | 115.184.31.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:০১428489
  • ""---আর আপনাকে ঘর থেকে বের করার জন্যে ওস্কাচ্ছিল।''
    --- আর প্রবীণ তুমি?
    ---শুনুন, আপনারা ওদের উস্কানিতে না বেরিয়ে ঠিক কাজ করেছেন। আপনাদের চেষ্টায় সি এস পি না আসলে আমাকে বোধহয় আরও মারতো। পাঁজরের হাড় দু-একটা গেছে মনে হয়, বড় ব্যথা।
    আরে, ওরা যখন রেণুকে মারতে লাগলো, ওর মোবাইল কেড়ে নিল,--- আমি তখন দৌড়ে বেডরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে রায়পুরের আই জি, অ্যাডিশনাল আইজি ওদের লাগাচ্ছিলাম। কিন্তু কোন কনট্যাক্ট হল না। তাই আপনাদের চেষ্টা করতে বলেছিলাম।
    [ এতে হরিদাস পাল রঞ্জনের অপরাধবোধ কি একটু কমলো? তবে ওর ছোট মেয়ে আজও ফিল করে। বাংলা লিখতে পারে না, তাই ইংরেজিতে ব্লগ লেখে। ও লিখেছে যে ""চোখের সামনে বাপ-মাকে ঠ্যাঙানি খেতে দ্যাখা-- এর চেয়ে বড় আতংক কিছু হতে পারে না। তাই সেদিন বেরোতে পারিনি। কিন্তু এটা কোন জাস্টিফিকেশন নয়। আজও সেই মহিলার চিৎকার আমাকে তাড়া করে।'']

    ইতিমধ্যে রাত চারটে বেজেছে। ওদের বয়ান শেষ হয়েছে। ওরা বিজয়ীর হাসি ছুঁড়ে দিয়ে প্রায় ক্রিকেট ম্যাচ জেতার ভঙ্গীতে গাড়িগুলো স্টার্ট করিয়ে চলে গেল।
    এবার আমাদের পালা। কিন্তু একী? কোথ্‌থেকে হাজির হল সেই সাব ইন্সপেক্টর সাহু, আসল থানেদার কোরবায় যাওয়ায় আজকে রাতের মত ওই নাকি ইন্‌চার্জ!
    ও বল্লো-- রাত শেষ হতে বেশি বাকি নেই। আপনাদের বয়ান সক্কালে লেখা হবে।
    আমরা ঘরে গিয়ে দু'একঘন্টা লম্বা হয়ে তারপর আসছি। ততক্ষণ দুই মহিলা রেণু আর রায় ম্যাডম মহিলা পুলিশ থানায় যাবে, আর তিনজন পুরুষ এখানেই অপেক্ষা করবে। আমার কেমন যেন লাগে। কী বলবো বোঝার আগেই প্রবীণ গর্জে ওঠে।
    --না, মহিলা থানায় কেউ যাবে না। ওখানে টর্চার করা হয়।
    -- কে বল্লে?
    -- আমি বলছি। মাস দেড়েক আগে আপনিই ঝুঠমুঠ চার্জ লাগিয়েআমার স্ত্রীকে রাত্তিরে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলা থানায় রেখেছিলেন। ওরা পরের দিন দুপুর পর্য্যন্ত আপনারই ইশারায় জল-গ্লুকোজ- ফলের রস কিচুই খেতে দেয় নি। ওপ পা ফুলে গিয়েছিল।
    এবার আমি বলি--- না, আমরা পাঁচজন একসাথেই থাকবো। আমরা অপরাধী নাকি? স্বেচ্ছায় স্টেটমেন্ট দিতে এসেছি।
    ---- আপনাদের ভালোর জন্যেই বলা। সেফটির জন্যে।
    ---- বালের সেফটি! সিভিল লাইনস্‌ থানায় যদি আমাদের মহিলারা সেফ না হয় তো কি মহিলা থানায়? এর চেয়ে তো নিজেদের ফ্ল্যাটে ফেরা বেটার অপশন্‌।
    --- সেখানে যদি আবার হামলা হয় ? মারে?
    --- আপনাদের রাজত্বে যদি এরকমই হয় তো হবে! আমরা একসাথে থাকবো। যা থাকে কপালে।
    -- ইয়ার্কি পেয়েছেন? আগে স্টেটমেন্ট নিন।
    --- বেশ, পরিহার! এদের স্টেটমেন্ট নাও।
  • ranjan roy | 115.184.31.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৪১428490
  • বাবলু বলে--- দাদা, আমি যাই। সকালে খবর পেলেই আসবো। আমি বিল্ডরদের অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে কথা বল্লাম। ওরা বলছে ---আমাদের রায়পরিবারের সঙ্গে কোন বিবাদ নেই। কিন্তু হরিয়ানাওলাদের বুখারির ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে।
    দাদা, আমি বলেছি যে হরিয়ানাওলারা চুলোয় যাক, কিন্তু রায়পরিবার আমাদের ঘরের লোক, ওদের গায়ে যেন আঁচটুকু না লাগে।
    প্রবীণ বয়ান দিতে শুরু করে। কিন্তু তিনলাইনের পরই রাইটারের কলম থেমে যায়। প্রবীণ যত বলে যে ---আমাদের ঘরে এত রাতে দরজা ভাঙা হল, এত লোক ঢুকে মারতে এল, ও ততই বলে-- এসব তো ম্যাটার অফ ইনভেস্টিগেশন। নীচের মারপিট ও গুলি চলার থেকে বলুন।
    --- ধ্যাত্তেরি! আমার কথাটা না লিখলে কি ইনভেস্টিগেট করবেন? আর নীচে কোন ঝগড়া হয় নি, গুলিও চলে নি।
    আমি একজন অ্যাডভোকেট। লিখে দিচ্ছি, সেটাই রেখে নিন।
    ওরা তাতেও রাজি নয়।
    শেষে প্রবীণ রেগে গিয়ে বল্লো-- স্টেটমেন্ট দেবো না। বাপ্‌কা রাজ হ্যায় ক্যা? শালে ভূতনীকে!এখানে কোন ন্যায় হবে না। যা বলার কোর্টেই বলবো।
    পুলিশের দল হাই তোলে। আমার কেমন মনে হয়-- ফ্রি-স্কুল স্ট্রীটের গলিতে রাতজেগে ক্লান্ত মহিলার দল। ফিক ফিক করে হাসি আসে।
    এবার ওরা উঠে দাঁড়ায়। আমি বলি--- আমি বয়ান দেবো, বাড়ি যাবো।
    ওরা বলে --দুই সেপাই রইলো। কিচু দরকার হলে বলবেন। সকাল বেলায় এসে বাকিদের বয়ান নেব।
    কী করি? আকাশ ফরসা হচ্ছে। সিপাহীরা জামা খুলে বেঞ্চিতে শোয়ার জোগাড় করছে। আমাকে একজন জানায় --আপনাদের নামে তো এফ আই আর দর্জ হয়েছে। আর্মস্‌ অ্যাক্টের কিছু ধারা লাগিয়ে চালান কাটা হয়ে গেছে। ওরা আর আপনাদের বয়ান নিতে উৎসাহী নয়।
    আমার বিশ্বাস হয় না। বাজে কথা। আমরা করেছিটা কী?
    মাথা ধরে গেছে। বন্ধুর ফোন আসে। সব ঠিক আছে?
    আমি বলি হ্যাঁ, সব শোরের বাচ্চা শুতে গেছে। আমাদের বয়ান রোদ উঠলে নেবে। তারপর বাড়ি গিয়ে শোব। ভাবীজি ঠিক আছে।
    মাথা ধরেছে। পায়ে পায়ে বেরিয়ে থানার সামনে চায়ের ঠেলার কাছে দাঁড়াই। হাফপ্যান্টের পকেট হাতড়াই। হ্যাঁ, গোটা পাঁচেক কড়িমিঠি চায়ের জোগাড় আছে। বাকিদের ও ইশারায় ডাকি। চা ফুটছে।
    প্রবীণ এসে বলে-- এখান থেকে চলুন, আগলা কদম কী হবে তাই নিয়ে কথা বলা দরকার।
    ---- হ্যাঁ, চা খেতে খেতে--।
    --- ধ্যাৎ, বইপড়া বাঙালী বুদ্ধি! শিগ্গির, যত শিগ্গির পারেন এই থানার থেকে দূরে চলুন।
    আমি হতভম্ব! কী হয়েছে?
    --- আরে আমাদের অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট কাটা হয়ে গেছে। সি এস পি র কোয়ার্টারে ফাইনাল করতে গেছে, তাই টাইম নিয়েছে। শুতে যায় নি। আধঘন্টার মধ্যে এসে আমাদের অ্যারেস্ট করবে, পাঁচজনকেই।
    --- দুর মশাই, আমাদের দুজনকে কেন করবে? আমাদের কাছে বন্দুকও নেই, চালাতেও জানি না। কেউ বিশেআস করবে না।
    ----- কেন সেধে বাঁশ পোঁদে ঢোকাচ্ছেন?
    শিগ্গির চলুন। এটা তো পয়সা খাইয়ে করানো হচ্ছে। গতবার রেণু অ্যারেস্ট হলে আমি আর ম্যাডম রায় বেলের জন্যে তদ্বির করেছিলেম। তো আমাদের ওপর হরিজন অত্যাচার অধিনিয়ম এ অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বেরুল। আমি আর আপনার স্ত্রী পালিয়ে রায়পুর আর ভিলাইয়ে রইলাম, পুলিশ মন্ত্রী, পুলিশের বড়কত্তা , মানবাধিকার সব করে ওর জামিন করালাম। আপনি ছুটি নিয়ে বিলাসপুর কোর্টে ফলো আপ করলেন।
    এখন আমাদের সবাইকে আর্মস্‌ অ্যাক্টে জেলে পুরলে জামানত কে করাবে? আপনার মেয়েরা ?বন্ধুবান্ধব? কদিন? অবারই চাকরি-বাকরি আছে। এসব ধারায় জামিন পেতে অন্তত: দিন পোনেরো লাগে। তারপর আজ রোববার। কাল ঈদের ছুটি। দু'দিন কোর্ট বন্ধ। ৪৮ ঘন্টার বেশি হাজতবাস হলে আপনার ব্যাংক বাধ্য হয়ে আপনাকে সাসপেন্ড করবে। এই অবস্থায় আপনি থাকবেন কোর্টে কেসের ফয়সালা হয়ে আপনি নির্দোষ সাব্যস্ত না হওয়া পর্য্যন্ত। তাতে কম করে দু'বছর লাগবে। আর ওরা drag করবে যাতে আরও বহুদিন চলে। ফলে আপনি আগামী দশমাস অর্থাৎ রিটায়ার হওয়া পর্য্যন্ত আদ্দেক মাইনে পাবেন। আর রিটায়ার হওয়ার পরও আপনার গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড সব আটকানো থাকবে। এরপরার আপনার লড়াই করার দম থাকবে? শিগ্গির পালান।
  • ranjan roy | 115.184.31.97 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৫৬428491
  • হরিদস পাল- ভ্যাবাগঙ্গারাম রঞ্জন কেঁপে ওঠে। বলে-- আমার বন্ধু উকিলের বাড়ি যাই? ওখানে গিয়ে প্ল্যান করি!
    --- দুত্তোর! পুলিশ তো সেখনেই আগে খুঁজবে।
    --- তবে চলুন রায়পুর। আপনাদের তো ওখানে পুলিশের টপ লেভেলে চেনা আছে, ওখানেই চলুন।হ্যাঁ, এই রক্তমাখা মারখাওয়া, এই হাফপ্যান্ট পরা খালি পা' অবস্থায়। সেটাই ঠিক হবে।
    ( রঞ্জনের নাটুকে সঙ্কÄ¡ জাগ্রত।)
    পয়সা কই? গাড়ি কই? প্রবীণের গাড়ি তো সেই ফ্ল্যাটেই--।
    রঞ্জন ওদের খালিপায়েই পা চালিয়ে মর্নিং ওয়াকের দলের মত স্টেডিয়ামের দিকে নিয়ে পেছনের গলিতে এক মার্কেট কমপ্লেক্সের ভেতরে
    বন্ধ দোকানগুলোর সামনে মাটিতে বসায়। দেখা গেল প্রবীণের চোর পকেটে যা আছে তাতে রায়পুর যাওয়ার মত ডিজেল হয়ে যাবে। রঞ্জন ওর চেনা এজেন্সিতে ফোন করে গাড়ি চায়, আধঘন্টার মধ্যে, বোলেরো। ফিরে এসে ভাড়া দেবে। কিন্তু সাতসক্কালে পাওয়া গেল ইন্ডিকা। ড্রাইভার শুদ্ধু ছ'জন! পা' মুড়তে মুড়তে যন্ত্রণা হয়ে গেল। এ ওর কাঁধে মাথা, যতটুকু শোয়া যায়। গাড়ি যখন বিলাসপুর জেলার শেষ চেকপোস্ট পেরিয়ে রায়পুরের পুলিশি এলাকায় ঢুকছে তখন রেণুর লুকোনো মোবাইল বেজে উঠলো।
    --- আমি এস আই পরিহার বলছি। বয়ান না দিয়েই চলে গেলেন যে? আপনারা এখন কোথায়?
    রেণু মোবাইল সম্পূর্ণ ডেড্‌ করে দেয় যাতে টাওয়ার না বোঝা যায়।
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:৩৯428492
  • রঞ্জনদা......... কিচ্ছু বলার নেই। ভীষন রাগ, বিরক্তি, আর আরো আরো রাগ ... হচ্ছে
  • Tim | 198.82.26.132 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:৫০428494
  • আমাদের রাগও সাময়িক। আবার কদিনেই নিভে যাবে।

    যাগ্গে, রঞ্জনদা লিখুন। পড়তে পড়তে চোখের সামনে ফুটে উঠছে ঘটনাগুলো।
  • . | 95.152.123.63 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩১428495
  • তুলে দিলাম
  • ranjan roy | 115.184.96.188 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৩০428496
  • আবার মোবাইল বাজে, এবার আমার। ছোটমেয়ে বলে ---বাবা, তোমরা কোথায়? আমরা ভীষণ চিন্তায় আছি। নিশ্চিন্তে বল, ঘরের ভিতরে আছি। কোন বাইরের লোক নেই।
    সব শুনে বলে--- একটু আগে পুলিশ অফিসার মি: পরিহার এসেছিলো। বল্লো--তোমার বাবা কোথায়? ওনার স্টেটমেন্ট নিতে হবে। উনি কি রায়পুর গেছেন? ওনার মোবাইল নম্বর দাও।
    আমি বলেছি যে কাল তো আপনাদের সঙ্গেই মাঝরাতে থানায় গেল। তারপর কোন খবর নেই। আর আমরা বিনা অনুমতি কারো নম্বর দিইনে। আপনার নম্বর রেখে যান, আংকল। বাবাকে জানিয়ে দেবো। প্রয়োজন বুঝলে উনিই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

    আমাদের গাড়ি রায়পুরেরেলাকায় ঢুকে গেছে। অত:কিম্‌? টপ লেভেলে কার চেনা আছে? অমিতাভ তিওয়ারির। আরে, ওকে ওঠাও, ড্রাইভারকে বলুক, কোন
    দিকে।
    একি? ওযে ওঠেইনা! ঘুম? ধাক্কা দাও। ঠেলে তোল। উঁহু! ওর মাথা গড়িয়ে পড়ে। বেঁহোশ! সবচেয়ে মার তো ঐ খেয়েছিলো!
    আমি ভয়ে পাগল হয়ে যাই।
    -- কাছেই হাসপাতাল। শিগ্গির নিয়ে চলো।
    রেণু শেষ চেষ্টা করে। ড্রাইভারের জলের বোতল ওর মাথায় মুখে খালি করে। চোখের পাতা কাঁপে।
    আস্তে আস্তে উঠে বসে। রাস্তা দেখায়, আমাদের ধড়ে প্রাণ আসে।
    দাড়ি গিয়ে থামে মুখ্যমন্ত্রী নিবাসের উল্টোদিকে, বিশাল বাংলোর সামনে অন্তত: সেϾট্রদের দুটো ব্যারিয়ার। অ্যাডিশনাল ডিজি অফ পোলিস, রামনিবাসজী।
    ভদ্রলোক যখন বিশবছর আগে চম্বলের দস্যুসাফাই অভিযানে গোয়ালিয়র এস পি হিসেবে নাম কামিয়েছিলেন তখন অমিতাভ ভোপালে TOI এর রিপোর্টার। সেই থেকে বন্ধুত্ব আজও অক্ষুণ্ন।
    সিকিউরিটি ভেতরে গিয়ে নাম বলতেই উনি ডেকে পাঠালেন।
    হিন্দিসিনেমার পবন দেব নাম ভিলেন রোলের নামকরা অভিনেতার মত চোখ, খাড়া নাক, পাকানো চেহারা, প্রায় সোয়া ছয় ফিট হাইটের জাঠসন্তান।
  • P | 109.76.81.200 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:২৪428497
  • রঞ্জনদা , আপানার লেখা কিশোরীবেলার কয়েকটা ঘটনাকে মনের রাগ-লজ্জা-হতাশা রাখার গোপন কোনটির থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে সামন দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেল।
    সেই তীব্র গালিগালাজ , সেই মারতে উদ্যত হাতগুলো , সেই চেনা সভ্য মুখগুলোর শ্বাদন্ত বের করে গর্জানো !
    আর তার সামনে আমাদের প্রিয়তম মানুষ আর মানুষীগুলোর মুখে একই সাথে একরোখা সাহস/গোঁ আর "ভয়ের ত্রিমাত্রিক " রিফ্লেকশান।
    সব জায়গাতে এক ঘটনাগুলো কেমন একভাবে ঘটে , বিলাসপুর-বাঁকুড়া সব এক , সব এক। অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে , আমাদের মতন লোকজনের ভরসা একটাই , ওপরতলার কাকে দরকার পড়লে ডাকলে আসবে। সেইটুকু সম্বল করে আমি তড়পাই। তারপর একদিন ভুলে যাবার চেষ্টা করে ভাটীয়ালী আহ্লাদী ঝগড়া করি মিছিমিছি চেনাশুনো নামগুলোর সাথে।

    আপনাকে সেলাম যে আপনি ভোলেন নি ! এই রকম ফোরামে নিজেদের অপমানের কথা লিখতেও গাট্‌স লাগে , যুদ্ধ চালানোর সাহসের জন্যে অভিনন্দন দিয়ে ছোটো করলুম না। রত্নাদি আর মেয়েদের ও সেলাম ঠুকে গেলুম।

  • Samik | 59.160.206.226 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৫২428498
  • তুলে দিলাম।
  • tkn | 122.173.176.249 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:০৬428499
  • ও রঞ্জনদাআ... কই?
  • Samik | 59.160.206.226 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৩২428500
  • রঞ্জনদা,

    আরেকবার তুলে দিলাম। শনি রোববার আপনার ছুটি থাকে তো?
  • ranjan roy | 115.184.98.115 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:১৮428501
  • ভদ্রলোক লবিতে বসে চা-বিস্কুট খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। অমিতাভ ( পায়ে চটি নেই),প্রবীণ( একপায়ে লেডিস চটি), রঞ্জন( হাওয়াই চটি, বারমুডা) এবং উস্কোখুস্কো চেহারায় দুই মহিলাকে দেখে ওনার চোয়াল ঝুলে পড়ল।--
    --কী ব্যাপার?সাতসকালে? কী হয়েছে?

    উত্তরে অমিতাভ ওর জামাটা তুলে দেখাল। উনি শিউরে উঠলেন । --- কী করে হল? কে করেছে?
    সংক্ষেপে শুনে লাফিয়ে উঠলেন। ইতিমধ্যে রেণুকে রত্না ধরে ধরে বাথরুম থেকে ঘুরিয়ে এনেছে। এবার রেণু আর ব্যথা চেপে রাখতে পারছে না, ইউরিনের সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে। চোখ থেকেজলের ধারা। অনুমতি চেয়ে কফি টেবিলে পা লম্বা করে তুলে দিল। উনি দৌড়ে ভেতর থেকে পেন কিলার ট্যাবলেট আর বি-কমপ্লেক্স এনে সবাইকে দিলেন। রেণুকে বল্লেন-- চা' আর দুটো বিস্কুট খেয়ে তারপর ওষুধ খাবেন।
    এর পর নাস্তা আসছে।
    ভেতরে গিয়ে বিলাসপুরের আইজিকে ফোন লাগালেন।
    --- কী হল? উঠেছেন? ঘুম হচ্ছে আপনার? আপনার নাকের ডগায় এসব কী হচ্ছে?
    উত্তরে বিলাসপুরের বড়কত্তা বল্লেন-- আমি কিছু জানিনা। এরা আমার কাছে কেন আসেনি?
    এবার উনি গর্জে উঠলেন।
    -- না, আপনার কাছে যাবে না। বিলাসপুরের পুলিশকত্তাদের কোন বিশ্বাস নেই। আমি এদের রায়পুরেই মেডিক্যাল চেক আপ করচ্ছি। এখানের সিভিল লাইনস্‌ থানায় এফ আই আর লিখে জিরো লাগিয়ে বিলাসপুরে নিয়ে গিয়ে নম্বর দেয়া হবে। কিন্তু পুরো ইনভেস্টিগেশন রায়পুরের পি এইচ কিউ থেকে করানো হবে।
    আমরা নাস্তা করে চটি কিনে( অমিতাভ ব্যক্তিগত ধার করলেন) থানায় এফ আই আর করাচ্ছিলাম। এখানেও থানেদার ঠিক করে লিখছিলো না।
    বোঝাচ্ছিলো--- বিলাসপুর পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জ লাগিয়ে লাভ নেই। ঝগড়া হয়েছে বুঝতে পারছি। তাবলে বেশি রঙ চড়িয়ে লেখাবেন না।
    আরে, এখন না হয় আপনার কথায় লিখে দিলাম। এটাই তো শেষ কথা নয়। এরপর কোর্টে কেস হবে। বিল্ডার পয়সাওলা, বড় বড় দশটা উকিল লাগাবে। তারা এমন সব প্রশ্ন করবে যে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আপনি এক বছর বাদে সব গুছিয়ে বলতে পারবেন না। ফলে কেস কপ্পুর হয়ে উবে যাবে। এতটা বাড়িয়ে--।

    উত্তরে আমি অমিতাভের জামাটা হাত দিয়ে উঠিয়ে দিই। রক্তমাখা ক্ষত দেখে এই বাক্যবাগীশ চমকে ওঠে। প্রবীণ ওর রায়পুরের মেডিক্যাল রিপোর্টটা ওর টেবিলে রাখে।
    তিনটে পাঁজরের হাড় ভাঙা।
    এরপর ও বিনা বাক্যব্যয়ে যা বলা হয় সেটা লিখে নেয়।
    এরপর আমরা যাই পুলিশ হেডে্‌কায়ার্টারে।সেখানে ইম্পর্ট্যান্ট বৈঠক হচ্ছিল। অপারেশন গ্রীনহান্ট? তারপর ডিজি বেরোলেন ওনার গাড়িতে। আমাদের প্রায় দৌড় করিয়ে ওনার গাড়ির গায়ে দাঁড় করিয়ে সংক্ষেপে গল্পটা বলা হল। আমাকেও দাঁড় করানো হল।
    --- দেখুন তো স্যার! এই বাঙালী ভদ্রলোক ব্যাংক ম্যানেজার। আগামী বছর রিটায়ার করবেন। এই দম্পতির কী হাল করেছে দেখুন!

    আমি হতবাক।
    এই সেই বিতর্কিত Director General of Police বিশ্বরঞ্জন? যিনি সাহিত্যপ্রেমী(?), নকশালবিরোধী অপারেশনের মাঝে রায়গড়ে কত্থক সমারোহ দেখতে যান! রায়পুরে প্রয়াত মার্ক্সিস্ট কবি প্রমোদ বর্মার স্মৃতিতে প্রোগ্রামের আয়োজন করেন!
    কিছুদিন আগে তো আমি নেট এ ওনার বার্কলে
    গিয়ে মানবাধিকার সেমিনারে বিনায়ক সেনকে নিয়ে বক্তব্যের বিরুদ্ধে দিল্লির অধ্যাপিকা নলিনী সুন্দরের মেমোর‌্যান্ডামে সই করেছি।
    আর এখন হরিদাস পাল রঞ্জন বারমুডা পরে ওনার সামনে করুণাভিক্ষা করছে? এইসময় সাউন্ড ট্র্যাকে কী বাজবে?
    "" চাচী গো, আমি মইলাম গো, বড় দায়ে ঠেকাইছে আল্লা!
    ম্যাঘে দ্যায়্‌না পানি, কী করি গো নানী,
    ক্ষ্যাত হইলো ফুটিফাটা গো,
    বড় দায়ে ঠ্যাকাইছে আল্লা।''
  • tkn | 122.161.165.148 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:১৬428502
  • রঞ্জনদা, এখন আর কিচ্ছুটি নিয়ে লিখতে হবে না, এটা আগে শেষ করুন প্লিজ।

  • a x | 143.111.22.23 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:১৯428503
  • নন্দিনী সুন্দর।
  • Nina | 68.45.145.174 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:১৪428505
  • শনি রবি ছুটির দিন, বেশ অনেকটা করে লিখুন রঞ্জন, প্লিজ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন