এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাস্তুহারা

    ranjan roy
    অন্যান্য | ২৫ নভেম্বর ২০০৯ | ১১৫৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Guruchandali | 173.26.17.106 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:২৯428386
  • Name:sudarsanadasMail:[email protected]Country:india

    IPAddress:124.125.237.174Date:28Feb2010 -- 06:59PM

    http://www.newsfromnadia.com/news - reader/items/octogenarian - appeals - to - cm - for - protection - of - property - after - promoter - forced - to - make - sale - deed.html

    -----------------------------------------------

    Name:sudarsanadasMail:[email protected]Country:india

    IPAddress:124.125.237.174Date:28Feb2010 -- 07:00PM

    http://www.newsfromnadia.com/news - reader/items/octogenarian - appeals - to - cm - for - protection - of - property - after - promoter - forced - to - make - sale - deed.html

    -------------------------------------------------

    Name:sudarsanaMail:Country:

    IPAddress:124.125.237.174Date:28Feb2010 -- 07:06PM

    http://www.newsfromnadia.com/news - reader/items/octogenarian - appeals - to - cm - for - protection - of - property - after - promoter - forced - to - make - sale - deed.html
  • ranjan roy | 122.168.222.220 | ০১ মার্চ ২০১০ ০১:০৬428387
  • কোলাজ-৩:
    সন্ধ্যের দিকে ফেরার ট্রেন ধরতে গিয়ে রঞ্জন দেখলো লিংক এক্সপ্রেসে বড্ড ভীড়। এস-৪ এ উঠে বসার জায়গা খুঁজছে এমন সময় একটি অল্পবয়সী ছেলে এসে বল্লো-- আরে, এই যে বাঙ্গালীদাদা! আসুন, আসুন! চলুন আমার সঙ্গে।
    সে চেপে ধরলো রঞ্জনের মেয়েলী হাত আর টেনে নিয়ে চললো। ভাবলাম বোধহয় আমার জন্যে বসার জায়গা রেখেছে। কিন্তু এই জাস্ট মুখচেনা ছেলেটির আমার জন্যে হটাৎ প্রেম?
    রেলের কামরার শেষের দিকে নিয়ে দাঁড় করালো একগাদা অল্পবয়েসী ছেলেমেয়েদের সামনে। ওরা কৌতূহলের চোখে আমাকে দেখছে।
    --- আপনি আজ সকালে আমার চটিজোড়া নিয়েছেন। আমার ভোগান্তির একশেষ। জানেন, বাধ্য হয়ে, এই মাসের শেষে পাঁচশো টাকা দিয়ে আজ একজোড়া জুতো কিনতে হল! সব আপনার জন্যে।
    বলে কি রে! আমার চটি তো আমার পায়েই আছে। অন্যের চটি কেন নেব?
    --- আরে দাদা, চোখের মাথা খেয়েছেন। একবার ভালো করে পায়ের দিকে তাকান।
    কিছুই বুঝিনে, আমার পায়ে আমারই কালো চটি।
    ও তখন বাংকের ওপর থেকে ওর থলে নামায়। হাতড়ে পলিথিনে মোড়া একজোড়া চটি মেজেতে আছড়ে ফ্যালে। কি আশচর্য! চটি জোড়া যে প্রায় আমারই মত দেখতে।
    -- আপনি ভালো করে পায়ের দিকে তাকান। আপনার ডানপায়ের চটিটা আপনারই, কিন্তু বাঁ-পায়েরটি আমার। সকালে ট্রেনে যাওয়ার সময় আপনি চটি জোড়া পালিশ করিয়ে সীটে ঠ্যাং তুলে বই পড়ছিলেন আর আমি বাংকে শুয়েছিলাম।
    ভাটাপাড়া স্টেশন এল, আপনি বই বন্ধ করে হুড়মুড়িয়ে চটি গলিয়ে নেমে গেলেন। দেখলেন না যে দু পায়ে দুটো আলাদা জোড়ার চটি। হ্যাঁ, দেখতে মিল আছে, তবে ডিজাইনটা একটু আলাদা। আমি ওপর থেকে নেমে দেখি এই কান্ড! আপনি মশাই দুপায়ে আলাদা জোড়া পরে সারাদিন ব্যাংকে কজ করতে পারেন, আমি পারিনে। মুখচেনা, আজ নয় কাল দেখা হবে ধরে নিয়ে এই অসবর্ণ চটিজোড়া প্যাক করে ব্যাগে ঢোকালাম।আর পাঁচশো টাকা দিয়ে জুতোজোড়া কিনলাম। অফিসে তো খালি পায়ে যেতে পারিনে। আপনি মশাই কিভাবে ব্যাংক চালান ভগাই জানে। আমার অহো ভাগ্য আজই আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। নিন, একপায়ের চটি অদলাবদলি করে কেতাত্থ করুন। চ্যাংড়া-চিংড়িগুলোর হাসি থামতেই চায় না।
    আমি সরি, সরি বলতে বলতে বাতহ্রুমের দিকে সরে যাই। ওখানেই থাকি রায়পুর স্টেশন না আসা পর্যন্ত।

    মোবাইল বেজে ওঠে। রত্না জানায় যে বিজলী বিভাগ থেকে ওরা নাকি লিখিয়ে নিয়েছে যে ১৯শে সেপ্টেম্বরের ঘটনার দিন
    নাকি কোন হুকিং হয় নি। সবটাই আমাদের বানিয়ে বানিয়ে বলা!
  • ranjan roy | 122.168.208.238 | ০১ মার্চ ২০১০ ১০:৫৩428388
  • কোলাজ-৪
    রঞ্জনের নামে প্রমোশনের জন্যে ইন্টারভিউ দেয়ার চিঠি এসেছে। ও জানে যে সিনিয়রিটিতে একেবারে সামনের দিকে এবং রেকর্ড ভালো হওয়া সঙ্কেÄও অলিখিত নিয়মে ওর প্রমোশন হবে না। কারণ, মাত্র সাত মাস বাকি রিটায়ার হতে, আর প্রবেশন একবছরের। কিন্তু শো' বজায় রাখতে ইন্টারভিউয়ে ডাকা।
    রঞ্জন ভাবে খেলাটা হিমুসায়েবের মত খেলতে হবে। কি করে?
    এই ব্যাপারটা সবাই জানে না। ফলে ইন্টারভিউয়ের সাতদিন আগে ডাকযোগে চেয়ারম্যান ও বৌয়ের কাছে একটি বেনামী কমপ্লেন আসে।
    রঞ্জন রায় চরিত্রহীন। ও ভাটাপাড়ার প্রখ্যাত নগরবধূ রাজিম বাঈ কে বিশেষ কনসিডারেশনের বদলে ৫০০০০/- ব্যাংক লোন দিয়েছে। ফলে ওর প্রমোশন হওয়া দূর কী বাত, মর‌্যাল টার্পিচুড এর দায়ে চাকরি যাওয়া উচিৎ।
    অবশ্যি এতে ব্যাংকের কোন হেলদোল হল না। আর রত্না রায় দাঁত বের করে বন্ধুদের বল্লো যে ও হচ্ছে ভীতুর ডিম। এদিক ওদিক অ্যাফেয়ার করতে যেটুকু সাহস লাগে তাও ওর নেই। তায় নগরবধূ!!
    তবে এটা জানি যে রঞ্জনের একটা ব্যামো আছে, তাহল নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা দেখানোর চেষ্টা, ছোটবেলা থেকেই। একধরণের এগজিবিশনিজম্‌।
    এদিকে ইন্টারভিউয়ের দিন এল। রঞ্জন প্রাণপণে হিমু হবার চেষ্টা করতে লাগলো।
    ইন্টারভিউএ হাসি হাসি মিখ করে প্রথমেই বল্লো--- যে মাননীয় বোর্ড যদি অনুমতি দেন তবে শুরুতেই আমি কিছু নিবেদন করতে চাই।
    অনুমতি পেয়ে বল্লো যে আমার সাতমাস বাদে রিটায়রমেন্ট, আমার মাথায় পোস্ট রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং ঘুরছে। কাজেই আমার মতে আমি এই প্রমোশনের যোগ্য নই। আমার সেই কলিগদের প্রমোশন দেয়া হোক যারা অনেক অনেক দিন ব্যাংককে সার্ভ করবে, মোটিভেট হয়ে বেটার আউটপুট দেবে।
    বোর্ডের সদস্যরা ৪৪০ ভোল্টের ঝটকা খেল।
    তাহলে এবার আমাকে যাবার অনুমতি দিন।
    -- দাঁড়াও, তুমি ব্যাংকের থেকে হ্যাপি হয়ে রিটায়ার হচ্ছ নাকি অন্যভাবে?
    --- কি যে বলেন! কোলকাতায় পড়তে পড়তে গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকের অফার পেয়েছিলাম , আর ভিলাইয়ে বাবা রিটায়ার করায় সেখানে ঢোকার। কিন্তু কিরকম একরঙা নীরস জিন্দগী হোত, ভাবুন।
    -- কোলকাতায় পড়েছেন? মৌলানা আজাদে? আমি স্কটিশচার্চের।
    হিমু স্টেট ব্যাংকের অল্পবয়সী অফিসারের দিকে হেসে বাও করে।
    তারপর বলতে থাকে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করার সুবাদে ছত্তিশগড়ের আদিবাসে জনজীবনের সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িয়ে পরার কথা, লেখার কথা। কোন রিসার্চ স্কলার এ সুযোগ পায়না ইত্যাদি।
    তারপর ও বলতে থাকে বাংলালাইভের গল্প, গুরুচন্ডলীর গল্প।
    বলতে থাকে মাননীয় চেয়ারম্যান, আপনি যে স্টেট ব্যাংকের অডিট/ইনস্পেকশন অফিস হায়দ্রাবাদ থেকে এসেছেন সেখানে আপনার সহকর্মী অফিসার গুরুচন্ডালীর সুবাদে আমার বন্ধু হয়েছেন।
    --- শিবাংশু? শিবাংশু দে'র কথা বলছ? ও তো এখন স্কেল ফাইভ হয়েগেছে, নয়?
    এইভাবে নানান বকবক করে ও বোর্ডের থেকে পোস্ট রিটায়ারমেন্ট লাইফের জন্যে শুভকামনা এবং মুখে বিজয়ীর হাসি নিয়ে বেরিয়ে আসে।
    বৌ হাসে, বলে ঠিক কথা। এখন প্রমোশন হলে সাতমাসের জন্যে বস্তার যেতে। কিন্তু তোমার নিজেকে আলাদা দেখানোর অসুখটা গেল না।

    সেইদিনই রত্না যায় পুলিস এডকোয়ার্টারে। ডিজি'র সঙ্গে আলোচনার সময় তিক্ত স্বরে বলে ডাকাতির চার্জ ধারা ৩৯৫ লাগিয়েছেন, কিন্তু আপনার বিলাসপুরের পুলিশ গ্রেফতর করছে না, এটা কি রকম? ডাকাতির জন্যে পুলিশের কোন আর্জেন্সি নেই? আমরা কতদিন নিজেদের ঘরদোর ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকবো। ডিজি সাতদিন সময় চাইলেন।
  • sudarsana das | 124.125.237.174 | ০১ মার্চ ২০১০ ১১:৪৫428389
  • কি ভাবে লিংক দিতে হয়,কেও একটু জানান please ,আমি- http://www.newsfromnadia.com/news - reader/items/octogenarian - appeals - to - cm - for - protection - of - property - after - promoter - forced - to - make - sale - deed.html*pleasesend
    thisscrabatleast10people ( pleasecopypastekoresobaikpathao , please ) লিংক দিতে পারছি না।

  • ranjan roy | 216.52.215.232 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৩:৫৯428390
  • না:, এভাবে চলতে পারে না। কিছু একটা করতে হবে। হরিয়ানভী পরিবারটি খালি ওদের দিল্লিতে চেনাজানা, হরিয়ানা গ্রুপের সাপোর্ট ও ছত্তিশগড়ের সবকিছু খারাপ--- এইসব সাতকাহন করে বলতে থাকে।

    রঞ্জনের এইসব বারফট্টাই পছন্দ নয়। লার্জার দ্যান লাইফ হিরোরা ওকে কোন দিন আকর্ষণ করেনি। ওর পছন্দ বিষম পরিস্থিতিতে অসম যূদ্ধে অশক্তের সাবভার্সিভ লড়াই।
    ওর ছোটবেলার নায়ক ছিল "ঘরে বাইরে''র নিখিলেশ। কিন্তু পরে বুঝলো নিখিলেশের চরিত্রে ফচকেমি নেই। ওর মত ছ্যাবলা লোকের পক্ষে নিখিলেশকে রোল মডেল করা অসম্ভব।
    ফলে ওর মডেল হল ঢাকার বাঙ্গাল হিমু আর চেক শোয়াইক। অবশি ডন কিহোতে আর মুল্লা নসরুদ্দিনও ওর খুব পছন্দ।
    রঞ্জনের মনে হল বিল্ডারকে যেখানে মারলে ওর খুব লাগবে সেই জায়গাটাতেই হিট করা উচিত। আর অমিত শর্মা নামক এই শূকরশাবকটির দুর্বল স্থান হল ওর বিল্ডারের লাইসেন্স। এমন কিছু করতে হবে যাতে ওর গুডউইল এবং পয়সা আমদানীর স্রোত শুকিয়ে যায়।
    ফলে যে রণনীতি তৈরি হল তা এই।
    এক, রত্না রায় কাগজপত্তর নিয়ে মুকেশ বনসাল নামে কর্পোরেশনের নবনিযুক্ত কমিশনার আই এ এস ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা করবে।
    দুই, রঞ্জন নিজের নামে বিল্ডারের বিরুদ্ধে অ্যাপ্‌র্‌যুভড প্ল্যান অনুযায়ী সামনের রো তে ফ্ল্যাট নাদিয়ে পেছনের রো তে দেয়া এবং লিফটকে প্যাসেজের বদলে রঞ্জনের ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়ার চার্জে পেনাল কোডের ধারা ৪২০ নিয়ে চিটিং এর কেস লাগাবে,
    তিন,এবং ঐ একই ডকুমেন্টের ভিত্তিতে স্টেট লেভেল কনজিউমার ফোরামে ২০লক্ষ টাকা ক্ষতিপূর্তির দাবী জানাবে, যাতে কয়েক মাস আগে বিজলী এবং জলের লাইন কেটে দেয়া ইত্যাদি সব ব্যাপার গুলো থাকবে।
    তা উকিল ঠিক হল। কাগজ তৈরি হল। রত্না পুলিশ প্রটেকশন নিয়ে উকিলকে নকশার সঙ্গে মিলিয়ে ফ্ল্যাট দেখাতে গেল।
    গিয়ে দেখল জলের লাইন পুরো কেটে দেয়া হয়েছে। আর জালের দরজা আরও খানিকটা ভাঙ্গা। চারদিক থেকে উঁকিঝুঁকি, উড়ে আসা উটকো মন্তব্য। রায়পুর ফেরার আগে সিভিল লাইনস থানাতে গিয়ে দেখা করে জানতে পারল যে একটু আগে বিল্ডার -পত্নী শিবানী শর্মা ফ্ল্যাটের জনা দুই বাঙালী মহিলাকে নিয়ে এসে থানায় কমপ্লেন করেছেন যে রত্না রায় নাকি ওখানে গিয়ে সবাইকে দেখে নেবার ধমকি দিয়েছে ও রায়পুরের বড় পুলিস অফিসারের নাম নিয়ে চমকিয়েছে, ঝগড়া করেছে। ফলে ওদের প্রটেকশন চাই। রত্না রায়ের ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করা হোক। কিন্তু সঙ্গের পুলিশ কনস্টেবল জানিয়েছে এসব মিথ্যে । ফলে ওদের কমপ্লেন থানা নেয় নি।
  • Manish | 117.241.229.7 | ০৪ মার্চ ২০১০ ১১:২৬428391
  • সামনে কি কোনো মালগড়ি বেলাইন হয়েছে যে এই ট্রেনটাকে এতক্ষন ধরে একই স্টেশনে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে।স্টেশন মাস্টার Ranjan Babu কি হলো,সবুজ ঝান্ডা দেখান।
  • ranjan roy | 122.168.208.238 | ০৫ মার্চ ২০১০ ০০:৩০428392
  • মনীশ,
    আসলে মার্চ মাস। আবার আমার ব্যংকে "কোর ব্যাংকিং"" শুরু হবে ফলে রোজ্‌সকাল সাতটায় ট্রেন ধরতে বেরোই আর সাড়ে নটায় বাড়ি ফিরি।
    তারপর বেশ ঝড়ের বেগে ঘটনা ঘটছে। ফলে আমাদের প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে একবার বিলসপুরে দৌড়তে হচ্ছে,--- কোর্ট, থানা, বিজলি বিভাগ ও কর্পোরেশনের আফিস।
    কালকে রাত্তিরে অবশ্যি লিখবো। আজ সত্যিইওভারহেড তার ছিড়ে রেললাইন তিন্‌ঘন্টা বন্ধ ছিল।
  • Manish | 117.241.228.193 | ০৮ মার্চ ২০১০ ১১:০৩428393
  • টইটাকে তুলে দিলাম।
  • Manish | 117.241.229.5 | ০৯ মার্চ ২০১০ ১১:৩৭428394
  • ডোবার হাত থেকে বাচালাম।
  • ranjan roy | 117.198.2.238 | ০৯ মার্চ ২০১০ ১৯:০০428396
  • কিছু হল। ডকুমেন্ট ফোর্জারি ও অন্যান্য প্রমিসড্‌ শর্ত পূঋন না করায় একজন কনজিউমার ফোরামের অনুভবী উকিল ধরে কেস রেজিস্টার হল।
    স্টেট লেভেল ফোরামে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের পিটিশন ডকুমেন্ট চেক করার পর ফোরাম অ্যাকসেপ্ট করে বিল্ডারকে নিয়মানুসার দুমাসের নোটিস দিয়েছে--- ওদের জবাব ফাইল করতে। আমার ক্যালকুলশন হল ৩৬গড়ে স্টেট লেভেলে কেসের ভীড় কম। কাজেরি তুলনামূলক ভাবে তাড়াতাড়ি ফয়সালা হবে। ওরা অ্যাপীল করলে দিল্লিতে মেয়ে দেখে নেবে।
    তারপর ওই একই দস্তাবেজের বেসিসে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে পেনাল কোডের ৪২০ ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক ধারায় পিটিশন লাগালো হল। ম্যাজিস্ট্রেট সেকশন ২০০(cr.pc) অনুযায়ী সিভিল লাইনস্‌ পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বল্লেন।
    আর রত্না রায় ও হরিয়ানা পরিবার রায়পুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তদ্বির করতে লাগলো-- ধারা ৩৯৫ অনুযায়ী ডাকাতির চার্জে ১৬জনকে অ্যারেস্ট করতে কতদিন লাগবে? তাহলে ৩৯৫ এর গুরুত্ব কি থাকে?
    ওরা বিলাসপুরে গিয়ে এস পি, আই জি, রুরাল এস পি সবার সঙ্গে কথা বল্লো।
    ওদের সেই এক কথা। মিসেস রায়, আপনি গিয়ে ওই বাড়িতে থাকতে পারেন, কিস্যু হবে না। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি।
    আর আপনাদের বিরুদ্ধেও তো হরিজন অট্রোসিটি এবং আর্মস্‌ অ্যাক্টের চার্জশীট আছে। আপনাদেরও তো গ্রেফতার করা যায়। রত্না ও রেণু বালা বল্লো- আমরা রাজি। আমদেরও অ্যারেস্ট করুন আর ওই ১৬জনকেও করুন। আজই করুন।
    রুরাল এস পি মি: ধ্রুব বল্লেন-- আরে, আজকাল তো জাজকে দশহাজার টাকা দিলে বেইল হয়ে যায়।
    এইসব কথাবার্তা অবং ছবি রেণুর ব্লাউজে লুকোনো পেনড্রাইভের ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায়।

    আমার ঘরের কম্পিউটার খারাপ হয়েছে। মনীশের আগ্রহ দেখে অফিস থেকে করলাম। কালকেও করবো।)
  • SB | 114.31.249.105 | ০৯ মার্চ ২০১০ ১৯:০৯428397
  • রঞ্জনদা, একা মনীশ নয়, আমিও অপেক্ষায়
  • samik | 219.64.11.35 | ০৯ মার্চ ২০১০ ১৯:৩৮428398
  • উরিত্তারা! এইবার তো কহানীতে টুইস্ট আ গয়া। স্টিং অপ্‌?
  • Nina | 66.240.33.35 | ০৯ মার্চ ২০১০ ২১:১০428399
  • আরে আম্মো বসে আছি--চুল খাড়া মাথার ওপর--তাপ্পর কি হল?
  • Manish | 117.241.228.251 | ১০ মার্চ ২০১০ ১৭:৪০428400
  • mkm | 117.241.228.169 | ১৫ মার্চ ২০১০ ১৫:২৫428401
  • ?????????
  • ranjan roy | 122.168.208.238 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০০:২৪428402
  • ডি: এবার ব্যাংকের ইন্টারনেট ভ্যাঁ করায় আমার দুটো লেখা শেষ মুহুর্তে "send" হল না। আজ আমারটা কম্পিউটারওয়ালা ( দময়ন্তী ও ডিডির তৈরি শব্দবন্ধ:)) এসে ঠিক করলো, তাই লিখছি।

    এতসব হওয়ার পরও ""কাকস্য পরিবেদনা''? টেনিদার বা প্যালারামের ভাষায় কাক ও অশ্ব পড়ে পড়ে বেদনা পাচ্ছে!
    তখন ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পোলিস শ্রীমান বিশ্বরঞ্জন রেণু-রত্নাদের ঘ্যানঘ্যানানি শুনে বিলাসপুর ঘুরে এসে পুলিস হেডকোয়ার্টারে এদের বিকেল ৬টায় ডেকে পাঠালেন।
    রাস্তায় রত্নার অটো রিকশা একজনকে ধাক্কা মেরে পালাতে গিয়ে অনেক দেরিতে পৌঁছলো। দেখা গেল ওনার কনফারেন্স রুমে বিলাসপুরের আইজি মি: শর্মা, এস পি মি: বিবেকানন্দ সিনহা , চেয়ারে সমাসীন আর রুরাল এস পি মি: ধ্রুব মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে।
    বোঝা গেল ডিজি এদের খুব ঝাড় দিচ্ছিলেন।
    রত্না-রেণু ধমকে বলতে থাকে----কে ডেকে বল্লেন- আপনারা এনাদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। যত প্রশ্ন আছে সব করুন, নি:সংকোচে। আমি ক্যামেরা চালিয়ে দিচ্ছি। সব রেকর্ড করা থাকবে।
    বলে উনি পাশের কামরায় কাঁচের বন্ধ দেয়ালের ওপাশে বসে সব শুনতে লাগলেন।
    রত্না বল্লো- সবকিছুর একটা টাইম লিমিট থাকে। আই পি সি ৩৯৫এ ১৬জন বাই নেম অভিযুক্ত। এফ আই আর হওয়ার পরও আপনারা ৫ মাস ধরে অ্যারেস্ট করছেন না, এর মানে কি?
    আর আপনি এস পি মশাই, সেবার আপনার পুলিশ রাত বারোটায় আগস্ট মাসে আমাদের ফ্ল্যাটে আমাকে ও রেণুবালাকে গ্রেফতার করতে এলো। পরে আপনি স্বীকার করলেন সেটা বে-আইনি। তাহলে ওই স্টেশন ইনচার্জের বিরুদ্ধে আপনি কি ব্যবস্থা নিলেন?
    -- ওকে, মানে দীনেশ সাহুকে একই থানায় থানেদার পদ থেকে ডিমোট করে সাব ইনস্পেকটর করে দেয়া হয়েছে।
    ---- দেখাই যাচ্ছে সেটা যথেষ্ট নয়। ফলে আপনার ঐ পদচ্যুত অফিসারটি আমাদের ওপর বদলা নিতে ১৯ সেপ্টেম্বর স্থায়ী থানেদারের অনুপস্থিতে বিল্ডারের লোকজনের সঙ্গে প্ল্যান করে আমাদের ওপর হামলা করিয়ে আমাদের ঘরছাড়া করলো। এই ভবে আপনি ক্রাইমকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন না কি? আর আপনি আমাকে ওদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলছেন? আমাদের ওপর হামলা হবে, আমাদের তারকাটা হবে, আমাদের লাইট-জল বন্ধ করা হবে, হরিজন থানায় মিথ্যা মামলা করা হবে,-- আর আমরাই ওদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করবো? আপনি বলছেন-- অতীতকে ভুলে যান। মানে দাঁড়াল ওদের ক্রাইমকে ভুলে যান?
    না কি আমি ভুল বুঝেছি?
    --আর অইজি মি: শর্মা, যখন রেণুবালাকে ফলস্‌ কেসে বিনা চালান, রাত্তিরে তুলে নিয়ে অ্যারেস্ট করা হল, তখন আমিআর রেণুর হাজব্যান্ড পুলিস হেড কোয়ার্টারের চিঠি নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আপনি সোজা আমাদের ভদ্রভাষায় ভাগিয়ে দিয়েছিলেন।
    বলেছিএল্‌ন--যখন হেড কোয়ার্টারের মুরুব্বি ধরে এসেছো ন্তো আমি কিছু করতে পারবো না। আমার বিবেক আমাকে এই কেসে কিছু করতে অনুমতি দিচ্ছে না।
    --না, আমি ঠিক তা' মীন করিনি।
    এইভাবে রত্না-রেণু ও ওই পুলিস অফিসারদের মধ্যে কিছু বার্তালাপ চলে। মাঝে মাঝে প্রবীণ সর্দানা মহিলাদের ধমকে বলে - এবার আপনারা চুপ করুন। আমাকে জিগাইতে দিন। বলুন সায়েবরা, ধারা ৩৯৫ এর চালান কবে পেশ করবেন?

    এই অপূর্ব প্রহসন আধ ঘন্টা পরে শেষ হয়। ডিজি এদের বলেন-- আপনারা সন্তুষ্ট তো?
    ঠিক হয় দুদিনের মধ্যে ওদের অ্যারেস্ট করা হবে।
    এরা নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরে দেখে অ্যাজমাপীড়িত রঞ্জন নেবুলাইজিং মেশিন চালিয়ে ভাপ নিচ্ছে।
    চিকেন রান্না হয়, বেশ উৎসব-উৎসব ভাব।
    পরের দিন বিলাসপুরের সমস্ত পত্রিকায় বেরোয় যে বৈশালী প্রাইড ডাকাতি মামলায় নাটকীয় মোড়। যারা অত্যাচারিত তারাই রায়পুর পুলিসের বড়্‌কত্তাদের চপে ডাকাতির দায়ে গ্রেফতার হবে। নগরীয় প্রশাসন মন্ত্রী অমর অগ্রওয়াল যদি এদের বাঁচাতে পারেন!
  • M | 59.93.202.241 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৮:৪৩428403
  • পড়েও শান্তি লাগছে, আমার কেমন ধারনা ছিলো এদের কিছু করা যায় না।

    কেবল আমার যুদ্ধং দেহী ইমেজটা জল পেলো এই নিয়েই একটু টেন্সিত।
  • Nina | 66.240.33.35 | ১৬ মার্চ ২০১০ ১৯:৩০428404
  • মনে শান্তি ! কলকাতায় আমাদেরও বড্ড জ্বালাচ্ছে প্রোমোটার-গুষ্টি । ভরসা পাচ্ছি যে লড়াই করলে লাভ আছে।
    স্যালুট আপনাদের সব্বাইকে, রঞ্জন।
  • Manish | 117.241.228.154 | ২৭ মার্চ ২০১০ ১৬:৪৪428405
  • কারণ এক: ১৭ দিন অতিবাহিত বাট নো লেখা।
    কারণ দুই: শনিবারের বারবেলা,কাল ছুটি।

    বাস্তুহারাদের দিনলিপি কী শেয়ার করা যাবে?
  • ranjan roy | 122.168.19.154 | ২৮ মার্চ ২০১০ ২৩:১৭428407
  • সেদিন জানা গেল যে ""স্টেট লেভেল কনজিউমার ফোরাম"" বিল্ডারের জালিয়াতি ও অন্য অপকর্মের সমস্ত ডকুমেন্ট দেখে কনভিন্সড্‌ হয়ে রঞ্জনের২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা রেজিস্টার করে নিয়মমাফিক বিল্ডারকে জবাব দেয়ার জন্যে দুমাসের সময় দিয়েছেন।
    রঞ্জন সবাইকে বিরিয়ানি খাওয়াল।
    তারপর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে গিয়ে জানলো উনি ছুটিতে, ফলে ওই জালিয়াতির জন্যে দুই বিল্ডারের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪২০ ধারায় সাত বছরের জেলের জন্যে কেস রেজিস্টার হওয়ার দিন এক মাস পেছিয়ে গেল।
    কিন্তু লাভ হল ষোল আনা। ফাইল খুলে দেখা গেল বিল্ডার স্টেটমেন্ট দিয়েছে যে ওর দেয়া নকশা খাঁটি, রঞ্জনের দেয়া নকশাটা জাল। আর ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশের কর্তব্য ছিল ""সি আর পি সি" ধারা ২০০ অনুযায়ী আমার কমপ্লেনের তদন্ত করে আদালতকে রিপোর্ট দেয়া যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে কি না। পুলিশ সোজাসুজি সেসব না করে দু 'পক্ষের বক্তব্যের সামারি করে লিখেছে-- আমার মনে হয় বিল্ডারের নকশা ঠিক।
    আ মোলো যা! এতে মনে হওয়ার কি আছে? নকশা তো কর্পোরেশনের। দুই বিরোধী দাবির কোনটা ঠিক জানতে হলে তো সোজা কর্পোরেশনের অফিসে ভারপ্রাপ্ত অধিকারীকে জিগাইতে হবে-- মশয়! কুনডা আপনাগো অনুমোদিত নকশা?
    তা না, নিজের সবজের্ক্টিভ ওপিনিয়ন দিচ্ছে!
    সেদিন দলের মধ্যে দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি করে আসা ছোট মেয়েও ছিল। ওকে নিয়েই বিলাসপুর আসা হয়েছিল। ফান্ডাটা হল ওকে ফিল করানো যে আমাদের ঘন ঘন বিলাসপুর আসাটা যথেষ্ট সেফ, এবং আমরা চাইলে পুলিশ প্রোটেক্‌শন পাই। ওর মন থেকে সেই ১৯সেপ্টেম্বর রাতের চোখে দেখা হামলার ট্রমা এখনও পুরোপুরি কাটেনি যে!
    ওরা মা-মেয়ে কর্পোরেশন কমিশনরের অফিসে গিয়ে বল্লো--- রাইট টু ইন্‌ফর্মেশন অ্যাক্টের অধীনে আপনাদের থেকে পাওয়া নকশাটাকে বিল্ডার কোর্টে জালি বলছে। কাজের আমাদের কপিটা সার্টিফাই করে দেবেন?
    মিস্টার তিওয়ারি( বিল্ডিং অফিসার) এককথায় করে দিয়ে বল্লেন দরকার হলে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্যও দিয়ে আসবো।
    এবার কমিশনার মি: বনসাল এলেন। আমাদের কথা শুনে বল্লেন---কিছু সলিড প্রমাণ না পেলে আমরা কি করতে পারি। ম্যাডাম রায়, আপনি বলছে বিল্ডর কোন কিছু শোধরায় নি। সব মিথ্যে সার্টিফিকেট দিচ্ছে? আর ও কর্পোরেশনে মর্টগেজ রাখা আটটি ফ্ল্যাট বে-আইনি ভাবে বিক্কিরি করে দিয়েছে?
    কিন্তু ও লিখে দিয়েছে--ম্যাডাম রায়ের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য। কোন বন্ধকী ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয় নি। আর সব ইনকম্লিট কাজ কমপ্লিট করা হয়েছে।
    আপনার কথা সত্যি হলে সেল ডীড বা অন্য কোন ডকুমেন্ট দিন, নইলে কিসের ভিত্তিতে অ্যাকশন নেব? শুধু আপনর মুখের কথায়?
    রত্না বলে--দেখুন, কিছু দলিল দেখাচ্ছি। অন্য একটি কেসে আপ্নাদের মর্টগেজ ফ্ল্যাট কিনে তাতে থাকছে বলে কয়েকজন শপথ পত্র কোর্টে জমা করেছে,---এই তার কপি।
    তখন ছোট মেয়ে এগিয়ে এসে বলে-- স্যার, আমি দিল্লি থেকে এসেছি।লীগ্যাল প্র্যাকটিস করি। আসল মালিক আমিই। বাবা-মা থাকেন মাত্র, আর বিল্ডরের হাতে এইভাবে ভুগছেন। আজকে আমরা সবাই আছি। আপনি জনদুই আপনার অফিসার দিন। আমরা জয়েন্ট ইনস্পেকশন করে ফেলি। তাহলে "দুধ-কা-দুধ, পানি-কা-পানি" হয়ে যাবে। এটা সম্ভব কি?
    কমিশনার একটু ভেবে রাজি হয়ে যান। দুই গাড়ি করে আমরা রওয়ানা হই।
    বাস্তুহারা হওয়ার পর আমি এই প্রথম সি অ্যাপার্টমেন্টে গেলাম। হাট করে মেন গেট গুলো খোলা, কোন সিকিউরিটি নেই। রত্নার টবের গাছগুলো অযত্নে শুকিয়ে আছে, অ্যালুভেরার দশ বছরের বেশি পুরোনো গাছের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। রত্নার চোখ এই প্রথম ভিজে ওঠে।
    পেছন দিক থেকে বিল্ডারের বৌয়ের স্কুলের ড্রাইভার বেরিয়ে এসে আমাদের দেখতে থাকে। তরপর মোবাইলে কথা বলতে শুরু করে। আমর সিভিল লাইনস্‌ থানায় ফোন করে বলি- একজন কনস্টেবল পাঠিয়ে দেবেন। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় খালি ওদের মিথ্যে নালিশকে।
  • ranjan roy | 122.168.19.154 | ২৮ মার্চ ২০১০ ২৩:৪৬428408
  • আমরা মি: তিওয়ারিকে দেখাই--- দেখুন, পার্কিংস্পেসের ঘেরা জায়গাটা আগের মতই আছে, আপনারা বল্লেও ভাঙেনি। দেখুন,রেইন- ওয়াটার হার্ভেস্টিং, গার্ডেন, পেভমেন্ট কিস্যু করা হয় নি। দেখুন, মিটারের প্যানেল বক্স খোলা--- যাতে হুকিং করা যায়। এই দেখুন, চারটে বন্ধকী ফ্ল্যাটের নামেও মিটার এসে গেছে। কি করে? আমরা ওপরে যাই। গোটা কয়েক বন্ধকী ফ্ল্যাটে গিয়ে তিওয়ারিজী কলিং বেল টেপেন। গুড্ডি সেনগুপ্ত ভেতর থেকে আমাদের দেখে দরজা খুললোই না। গুরবিন কউর খুলে প্রশ্নের জবাবে বল্লো-- হ্যাঁ, এই ফ্ল্যাট আমরা কিনেছি। তারপর যখন জানলো যে করপোরেশন থেকে লোক এসেছে তখন দুম করে দরজা বন্ধ করে দিলো।
    ওর হ্যাজব্যান্ড এসে বল্লো-- না, না, আমরা ভাড়ায় থাকি।
    অন্য দুটো ফ্ল্যাটে তিওয়ারিজি বল্লেন- আমি ভাড়ায় থাকতে চাই, আপনার সঙ্গে এগ্রিমেন্ট করবো। কাজেই জানা দরকার আপনি কিনেছেন কি না, আর কবে কি নামে রেজিস্ট্রি হয়েছে!
    উত্তরগুলো ওনার সহযোগী টুকে নেয়। ছাদে গিয়ে দেখাই-- বেআইনি পেন্ট হাউসের শুরু হওয়া কনস্ট্রাকশন আমাদের কমপ্লেনের ফলে থেমে আছে বটে, কিন্তু আদেশ মেনে পিলার-বিম এগুলো ভাঙা হয় নি।
    এবার নীচে নামার পালা। ভীড় এককাট্টা হয়েছে। খবর পেয়ে হামলাকারীদের পালের গোদা বিল্ডারের বউ শিবানী শর্মা এসেছে। সে প্রথমে দূর থেকে, পরে কাছের থেকে আমাদের, বিশেষ করে মি: তিওয়ারি ও আমার মোবাইলে ফটো তোলার চেষ্টা করতে লগলো। শান্ত তিওয়ারিজির চোয়াল শক্ত হল। বল্লেন-- মহিলাটি কে?
    হরিদাস পালের কুল কুল করে হাসি পাচ্ছিল। তাই শিবানী ম্যাডাম আমার কাছে আসতেই আমি হাই তোলার ভঙ্গিতে মাথার পেছনে দুই হাত তুলে আস্তে আস্তে ওনর ক্যামেরার দিকে পেছন করে ঘুরতে লগলাম। ফলে শিবানী আমার মুখের সামনে আসার জন্যে গোল গোল ঘুরতে লগলেন। এই স্বর্গীয় দৃশ্য দেখে সমবেত জনতার মধ্যে হাসির রোল উঠলো।
    আমরা করপোরেশনের অফিসারদের বল্লাম--- এবার আমরা যাই, রায়পুরে ফিরতে হবে। আপনরা কিন্তু এখানে পাঁচমিনিট থেকে বন্ধকী ফ্ল্যাট ব্যাপারটা কি এবং যারা বিনা পারমিশন কিনেছে সেটা যে অবৈধ, কর্পোরেশন যেকোন দিন ওদের চাইলে খালি করাতে পারে--- এগুলো বুঝিয়ে দিন।
    সাতদিন পরে আমরা বিল্ডারকে করপোরেশনের দেয়া শো-কজের কপি পেলাম।
    তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে কেন ওর লাইসেন্স বাতিল করে জামানতী একলক্ষটাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে না এবং বন্ধকী ফ্ল্যাটগুলো নীলাম করে সেই টাকায় অসমাপ্ত কাজ গুলো পূর্ণ কর হবে না তা ' বিল্ডার জানাক।
    অ্যাট লাস্ট!!
    অ্যাদ্দিনে কিছু একটা হল। হরিদাস পাল ঘরের মধ্যে কোমর দুলিয়ে একপাক নেচে নিল।
  • santanu | 82.112.6.2 | ২৯ মার্চ ২০১০ ০৯:২১428409
  • রনজনদা,

    কর্পোরেশনের কাছে ফ্ল্যাট বন্ধক ছিল ক্যনো?

    মানে বিল্ডার কি কর্পোরেশন থেকে লোন নিয়েছিল? নাকি এটা বিলাসপুরের রুল যে প্ল্যান স্যংসান হলে প্ল্যান মাফিক কাজ হলো কি না তার সিকিউরিটি হিসাবে কিছু ফ্ল্যাট বন্ধক রাখতে হয়??
  • ranjan roy | 122.168.241.245 | ৩০ মার্চ ২০১০ ২৩:৪১428410
  • [ শান্তনু,
    না, বিল্ডার কোন লোন নেয় নি। তবে এই রুলটি আমার ধারণা আজকাল সব শহরেই চালু হয়েছে। এছাড়া কিছু স্টিপুলেশনও আছে। শুনেছি ওই বন্ধকী ফ্ল্যাটের মধ্যে ওবিসি ও তফ:শিলীদের জন্যে কিছু রিজার্ভেশনও আছে। শোনা কথা, খুব ভালো জানিনা। ]

    পরের দিন রেণুবালা ও রত্না রায় আবার বিলাসপুরে গেল। কারণ ফোনে সিভিল লাইনস্‌ থানার দারোগা জানিয়েছে যে ও কাউকে অ্যারেস্ট করার কোন আদেশ পায়নি।
    --- কিন্তু এস পি সাহেব যে বলেছিলেন আজকে ওরা ধারা ৩৯৫এ অ্যারেস্ট হবে?
    --- ম্যাডামজী, অ্যারেস্ট তো উনি নিজে হাতে করবেন না, এই শর্মাকেই করতে বলবেন। তা যখন বলেন নি তার মানে আপাতত: কেউ অ্যারেস্ট হচ্ছে না।
    ওরা তড়িঘড়ি এস পি অফিস গেল।
    রেণু রত্নাকে বল্লো-- ম্যাডাম,দাল মেঁ কুছ কালা হ্যায়। আমি একাই ভেতরে যাচ্ছি, আপনি অটোতে বসে থাকুন। যদি আমাকে অ্যারেস্ট করে ( হরিজন অত্যাচার অধিনিয়মই হোক, বা আর্মস্‌ অ্যাক্ট) আপনি সোজা অটো করে চম্পট দিয়ে উকিলের কাছে যাবেন ও রায়পুর পুলিস হেড কোয়ার্টারে ফোন করে ইন্টার্ভেন করতে বলবেন।
    রেণুবালা রুরাল এস পি মি: ধ্রুবের অফিসে ঢুকতে গিয়ে স্ট্যাচু হয়ে গেল। ওনার সামনে দুই চেয়ারে সমাসীন দুই মহিলা---বিল্ডরের স্ত্রী শিবানী শর্মা ও গুড্ডি সেনগুপ্ত। গত ১৯ সেপ্টেম্বরের রাত্তিরে হামলার দুই প্রধান হোতা। তিনমাথা এক হয়ে গুজগুক ফুসফুস করছে।
    মি: ধ্রুব বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা রেণুবালাকে দেখতে পেয়ে ওদের কিছু একটা বল্লেন। ওরা চমকে উঠে পেছন ফিরে ওকে দেখতে পেয়ে পড়িমরি করে পালালো। কোর্ট ইয়ার্ডে নেমে একটা স্কুটি তে উঠে স্টার্ট করতে গিয়ে দেখলো পাশের দাঁড়িয়ে থাকা অটো থেকে রত্না রায় ওদের একদৃষ্টিতে দেখছে।
    ওরা পালালো আর রত্না নেমে বারান্দায় উঠে মি: ধ্রুবের অফিসে গিয়ে দেখলো রেণু প্রায় ঝগড় জুড়েছে।
    -- এটা কি হলো? ওই পালের গোদাদুটোকে আপনি অ্যারেস্ট করলেন না? যেতে দিলেন?
    ---- ম্যাডাম, পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। ওদের অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ফিল আপ করা হচ্ছে, আঠেরো জনেরই। সব কটা কে একসঙ্গে ধরবো। ওই দুজনকে বলেছি-- আমরা বিকেন পাঁচটায় পরিদর্শন ও পুছতাছ করতে বৈশালী প্রাইডে আসছি। আপনারা সবাইকে খবর করে হাজির করুন।
    --- আপনি সেকশন ৩৯৫ কে খারিজ করছেন নাতো?
    -- না, না,আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, যখন বড়কর্তা বলেছেন!
    ওরা ভারী মনে স্টেশনে ফিরে আসে। রঞ্জনকে ফোন করে। ইন্টারসিটিতে রওনা দিচ্ছি, ভাটাপাড়ায় পাঁচটায় পৌঁছবে। তুমি আজ এই ট্রেনে আমাদের সঙ্গেই রায়পুর ফিরে চলো।
    ট্রেনে রত্না জানায়--- আরে, আজ আমি স্টেশনে জলের বোতল-বিস্কিট এইসব কিনছি। দেখি, সেনগুপ্ত পরিবার অনেকগুলো সুটকেস নিয়ে। মানে অনেকদিনের জন্যে পালাচ্ছে,-- রাউরকেল্লা নয় কোলকাতা।
    আমি সোজা চেঁচালাম--- অ্যাই রেণু, সেনগুইপ্তরা মাঈ-পিল্লা পালাচ্ছে রে! শিগ্গির থানেদারকে ফোন কর। ব্যাস্‌, ওরা পড়িমরি করে মালপত্তর টানতে টানতে স্টেশনের বাইরে ছুট লাগালো।
    এবার রেণু থানেদরকে ফোন লাগালো। পাঁচটা অনেকক্ষণ বেজে গেছে, ক'জনকে অ্যারেস্ট করেছেন?
    --- অভী ভী মুঝে কুচ্‌ করনে কা আদেশ নহী মিলা।

    পরের পরের দিন বিলাসপুরের পত্রিকাগুলোতে ছবি শুদ্ধ খবর বেরুলো। জনশুণ্য বৈশালী অ্যাপার্টমেন্ট। ঘরে ঘরে তালা। তিন গাড়ি পুলিশ আঠেরো জনকে অ্যারেস্ট করতে গিয়ে শূন্য পুরী দেখে খালি হাতে ফিরে এসেছে।
    রেণু মহা খাপ্পা হয়ে ডিজিকে জানায় যে আপনার বিলাসপুরের পুলিশ ওদের আগে ভাগে খবর দিয়ে পলাতে দিয়েছে, বাকিটা নাটক।
    মি: ধ্রুব রেণুকে বলেন-- প্লীজ, ম্যাডাম, আমার চাকরি খাবেন না। ভুল হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম সবকটাকে একসঙ্গে তুলবো। আমার অফিস থেকেই লোয়ার লেভেলে কেউ খবরটা লীক করেছে। আমাদের হেল্প করুন। ওদের ফোন নম্বর বা মোবাইল নম্বর জানা থাকলে দিন। অটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে ওদের ধরছি, ডিজির স্পেশাল আদেশ।
  • ranjan roy | 122.168.241.245 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ২১:১১428411
  • রেণুবালা ও রত্না মিলে অন্তত: আটজনের মোবাইল ও ল্যান্ড ফোন নাম্বার এস পি অফিসে দিল। ওঁরা জানালেন-- আমরা গতরাত্তিরেও কয়েক জায়গায় রেইড্‌ করেছি। শিগ্গিরই ধরা পড়বে। কদিন পালিয়ে পালিয়ে থাকবে?
    এই ভাবে দিনদশেক কাটলো। কেউ অ্যারেস্ট হল না। এস পি অফিস থেকে খবর এল যে পলাতকরা অ্যান্টিসিপেটরি বেইল এর জন্যে কোর্টে পিটিশন লাগিয়েছে। কোথায়? হাইকোর্টে না সেশন কোর্টে? খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল যে সেশন কোর্টে ডিস্ট্রিক্ট জজ ম্যাডাম অনিতা ঝা'র কোর্টে।
    রুরাল এস পি বল্লেন-- চিন্তা করবেন না। তিনদিন সময় নিয়েছি বেইল অপোজ করার পেপার তৈরি করে সরকারী উকিলকে দাঁড় করাতে। সোমবার আর্গুমেন্ট।
    হরিদাস পালের উৎসাহে একজন মানবাধিকার কর্মীর চেনা মহিলা উকিলকে কনট্যাক্ট করা হল। তিনি জানালেন একটি কনফারেন্সে দিন তিনের জন্যে বাইরে আছেন, ওনার ভাই তদ্দিন দেখবে।
    উৎসাহ নিয়ে সদলবলে ভাইয়ের বাড়ি বিলাসপুরে গিয়ে কেস বোঝালাম। ছেলেটি সব শুনে জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে বল্লো----আঠেরো জন অভিযুক্ত, ফাইভ এইটিন জ্যা--- ৯০০০০/- টাকা লাগবে!
    --- সেকি? আমরা ওদের বেইল করাচ্ছি না, খারিজ করাতে চাই। তাহলে এত টাকা কেন লাগবে? কেস তো একটাই।
    ---- একই কথা। কয়েনের এদিক আর ওদিক। ঠিক আছে, চেনা সোর্সে এসেছেন-- পঞ্চাশ হাজারে হয়ে যাবে।
    মুখ চূণ করে বেরিয়ে আসি।
    সার্দানা বলে-- আরে, এতো জেতা কেস। ধারা ৩৯৫ এ সহজে প্রথমবারে বেইল হয় নাকি? ঠিক আছে, সরকারি উকিলের পাশে আমিও দাঁড়িয়ে আর্গুমেন্ট কোরবো, কালো কোট, টাই--সবই তৈরি আছে।
    সোমবার আর্গুমেন্ট শুরু হল।
    পুলিশের পাঠানো পেপার দেখে সার্দানার চক্ষু চড়কগাছ।
    পেপার জুড়ে খালি ভাড়াটে রেণুবালার সন্দিগ্‌ধ চরিত্র- রাত্তিরে নানারকম লোক আসে---তাইনিয়ে বৈশালী প্রাইডের ফ্ল্যাটের লোকজন অসন্তুষ্ট-ফ্ল্যাট খালি করতে বলছিল--- এইসব সাতকাহন করে বলা। এও বলা যে অভিযুক্তরা কেউ প্রফেশনাল ক্রিমিন্যাল নয়, সব ছাপোষা গেরস্ত।
    আর কি আশ্চর্য্য,ধারা ৩৯৫ নিয়ে একটি কথাও বলা হয়নি।
    এতো পরোক্ষ ভাবে বেইলের পক্ষে ওকালতি করা!
    সার্দানা আর সরকারি উকিল একটাই পয়েন্ট নিয়ে লড়ে গেল। যদি রেণুবালা কে নিয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য তর্কের খাতিরে সত্যি ধরে নিই, তাহলেই কি ওদের অধিকার জন্মায় মারপিট করে ঘর খালি করানোর? নিজের হাতে কানুন তুলে নেয়ার অধিকার কারো আছে কি না?
    সার্দানা একটু রেগে গিয়ে বল্লো-- যার সম্বন্ধে "" মেয়েটি" " করে বলা হচ্ছে তিনি আমার স্ত্রী, বছর চল্লিশের এক মহিলা, দুই সন্তানের মা। বড়জন কলেজে পড়ছে। আর ""সন্দিগ্‌ধ"" চরিত্র বলতে কী বলা হচ্ছে স্পষ্ট করে ডিফাইন করা হোক।
    মহিলা জজ হেসে বল্লেন---আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন? আপনার স্ত্রীকে ইয়ং বলা হচ্ছে , আপনার তো খুশি হওয়ার কথা।
    বিরোধী পক্ষের বক্তব্য হল-- এই মহিলা হরিয়ানা থেকে এসে চাত্তিশগড়ের অসহায় গরীব নিরক্ষর লোকদের ঠকাচ্ছে, এর আগে একটি চিটিং কেসে ১৫ দিন বিলাসপুরের ব্জেলে ছিল, অনেকগুলো মামলা আছে এনার নামে। ধারা ৩৯৫ এর কেসটা সাজানো, রায়পুরের পুলিশের বড়কত্তাদের চাপে, ওদের কারো কারো সঙ্গে এর মধুর সম্বন্ধ রয়েষে যে!
    অনীতা ঝা রায় দিতে তিনদিন সময় নিলেন।
    রায় বেরুলো, সবই বেইল পেয়ে গে্‌ছ। জাজ বল্লেন--- পুলিশ যখন এফ আই আর এর ছমাস পরেও এদের গ্রেফতার করেনি, তাহলে আজ ওদের জামানতে ছাড়তে অসুবিধে কোথায়? স্পষ্টত:ই এরা কোন "খত্‌রা" নয়, চাপোষা লোকজন।
    আর কি আশ্চর্য্য? এরা জামানত পেল ৩৯৫ এ নয়, ৪৫২ ও অন্যান্য ধারায়। কারণ পুলিশ কেস ডাইরি জম করার সময় ধারা বদলে দিয়েছে।
  • ranjan roy | 122.168.241.245 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ২১:৪০428412
  • বিকেলের দিকে ফোনে এইসব খবর শুনে হরিদাস পাল কলিগদের বল্লো--- আজ আমি ইন্টরসিটি ধরে পাঁচটায় রওনা দেব। ঐ গাড়িতেই আমার স্ত্রী ও রেণুবালা রায়পুর ফিরছে। একই কোচে বসে ডিটেইলস্‌ শুনতে শুনতে যাবো।
    কিন্তু হরিদাস পাল ওভারব্রীজ থেকে নামার সময় দেখতে পেলো -- ট্রেন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এখন একঘন্টা পরের গাড়ির অপেক্ষায় বেঞ্চিতে বসে থাক।
    সময় কাটাতে এদিক- ওদিক তাকাই। আজকে কিস্যু ভাল লাগছে না। সিঁড়ির পাশে একটি চালিয়াৎ দেখতে ছেলে একটি মেয়েকে জাহাজ দেখাচ্চে। অল্পবয়েসী মেয়েটির চোখে জাহাজ দেখার মুগ্‌ধতা।
    অন্যদিকে এক পাগল গায়ে ওভারকোট, চেঁচিয়ে হাত নেড়ে নেড়ে হিন্দি ফিল্মের গান গাইতে গাইতে এ মুড়ো থেকে ও মুড়ো মার্চ করে বেড়াচ্ছে। এই শোনা যাচ্ছে--ইয়ে যো মুহব্বত হ্যায়, পরক্ষণেই---জীনা ইঁহা, মরনা ইঁহা।
    লিপ্‌স্টিক আর জরির আঁচল দুলিয়ে হাসিমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভাটাপাড়ার বাসিন্দে দুই বৃহন্নলা--- অন্নু আর রাজা। অন্নু'র আবার হরিদাস পালের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে।
    অন্যদিন সে মুগ্‌ধচোখে দেখে সব যাত্রীদের চোখমুখ। কিন্নর দের দেখে মহিলারা হাসি চাপতে পারেন না। ওদের উদগ্র বুক, খোলা পিঠ, আঁচল উড়িয়ে চপল কটাক্ষ এনাদের কাতুকুতু দেয়। আবার একই মনজির পুরুষদের চোখেমুখে ফুটিয়ে তোলে গোপন লালসার ছবি।
    আজ এসব কিছুই ভাল লাগছে না। পরের ট্রেন এল। বাড়ি ফিরে দেখল দরজা খোলা।রেণুবালা ও রত্না বেগুনি-ফুলুরির প্লেট সামনে ধরল, আর একগ্লাস শরবত। কিন্তু সোফায় লম্বা হয়ে শুয়ে আছে প্রবীণ সার্দানা। স্টেজে কাটা সৈনিকের মত।
    --- কি হল? হাল ছেড়ে দিলে নাকি? আরে একটা ব্যাটল হারলেই কি ওয়ার শেষ হয়ে যায়?
    --- সব ব্যাটা পয়সা খেয়েছে। এস পি , আইজি, থানেদার, জাজ --সব। এখন বৈশলী প্রাইড আলোয় ঝলমল, ঝিনচাক্‌ মিউজিক বাজছে। খুব খাওয়াদাওয়া হচ্ছে। বিল্ডার স্পন্সর করেছে।
    ---- তো করবে না? তাতে কি হয়েছে? প্রতিপদে ওর পয়সা ও তো বেরিয়ে যাচ্ছে, সেটা লাভ নয়? আর ওরা জামানতে ছাড়াই তো পেয়েছে। অভিযুক্ত স্ট্যাটাস তো রয়েছে?
    রত্না বলে-- আমিও তো তাই বলছি। এখন পুলিশের ফ্যাকড়া শেষ হল। আদালতের আওতায় এল। ভালই হল। কেস চলবে। প্রমাণ তো আমাদের পক্ষে, হতাশ হওয়ার কি আছে!
    রঞ্জন কালো সোফার কাছে এগিয়ে যায়। সার্দানার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।
    -- কি হল? হাল ছেড়ে দিয়ে হরিয়ানা ফিরে যাবে, না কি লড়বে? আমি লিন্তু চাড়ছি না। অগে একই লড়ছিলাম, এখনও চাকিয়ে যব।
    লম্বা হয়ে শুয়ে থাকা প্রবীণ ওর হাতটা শক্ত করে ধরে।--- হাল ছাড়ছি না। একটু টায়ার্ড লাগছে। কাল থেকে আবার শুরু।
    ( এইখানে একটা লাল স্পট পড়লে ভালো হোত।)
    --- প্রথম পর্ব সমাপ্ত----
  • Nina | 66.240.33.39 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ২৩:২৬428413
  • ঘোর কলি :-((
  • ranjan roy | 122.168.73.22 | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ২০:০০428414
  • বাস্তুহারা: দ্বিতীয় পর্ব
    ----------------- (১)
    [ বন্ধুগণ! হতাশ হবেন না। এখনো আকাশে চন্দ্র-সূজ্জি ওঠে। রবিমামা পশ্চিমেই অস্ত যায়। বুড়ো বয়সে সৌরভ দু'দুবার ম্যান অফ দা ম্যাচ হন। সানিয়া বাগদত্ত কে রিজেক্ট করে পাকিস্তানি প্লেয়ারের প্রেমে পড়ে। ডিজি রাঠোর বুড়ো বয়সেও কৃতকর্মের ফল ভূগতে শুরু করেছে। জেসিকা লালের খুনী ও নীতীশ কটারার খুনী জেলে আছে।ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তিনমাস হাজতবাস করেছেন। দের হ্যায়, অন্ধের নহী হ্যায়। এখনও বজ্জাত হরিদাস পাল কোন মেয়ের চোখে চোখ পড়লে নামিয়ে নেয়। কাজেই দ্বিতীয় পর্ব]

    ঠিক হোল--- দুটো কাজ করা হবে। রত্না রায় দুপুরে যাবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার রায়্‌পুরে, ডিজি বিশ্বরঞ্জনের সঙ্গে দেখা করতে। ওনাকে রেণুবালার সই করা পিটিশন দেবে যাতে বলা হচ্ছে যে যেহেতু পুলিশ অপরাধীদের সঙ্গে সাঁটগাঁট করে বেইল অপোজই করেনি, উল্টে সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করছে, এফ আই আর এর ধারা বদলে দিচ্ছে সেইহেতু উনি যেন সি আই ডি বা সিবি আইকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত করান।
    "" মহামহিম! আপনার যদি এই আবেদন অযৌক্তিক মনে হয়, তাহলে যেন আপনি স্পষ্ট ভাষায় এটা রিজেক্ট করে দ্যান, লটকে না রাখেন।''
    রত্না যদি ওনার সঙ্গে দেখা নাকরতে পারে তাহলে অন্তত: ওনার অ্যাডজুটান্ট মি: বামরার হাতে দিয়ে একটা রিসিট নিয়ে নেয়।
    আর রেণুরা যাবে বিলাসপুর। আদালত ও এস পি অফিস থেকে সমস্ত অপরপক্ষের জামিন হওয়ার সব কাগজপত্র নিয়ে আসবে যাতে হাইকোর্টে জামিন খারিজ করার আবেদন লাগাতে পারে।
    ফল কি হল দেখুন!
    রত্না কে কিছুতেই মি: বামরা ডিজি'র সঙ্গে দেখা করতে দিলেন না। অসাধারণ ইংরেজিতে বল্লেন-- নো, নো, এনাফ, এনাফ। টূ দেজ এগো, ডিজি গেভ ফর্টি ফাইভ মিনিটস্‌ টূ ইউ অল। নো মোর। হী ডিজি অব হোল ৩৬গড়। ভেরি বিজি। মেনি প্রবলেমস্‌, মাওবাদী অ্যান্ড আদার। কান্ট গিভ টাইম টূ ইউ এনি মোর। নাউ ম্যাটার ইজ ইন কোর্ট, গো দেয়ার। ডোন্ট কাম হিয়ার।
    রত্না বল্লো-- আমি কোন ফেবার চাইছি না। ওনার পাব্লিক কমপ্লেন শোনার নির্ধারিত সময়ে দেখা করতে চাইছি। ঠিক আছে, আপনি তাহলে এই কাগজটি নিয়ে আমাকে রিসিট দিন।
    -- রিসিট কেন? কাগজ তো ডিজিকে দেয়া হবেই।
    -- না:, আমাদের কিছু কাগজ ওনার টেবিল থেকে গায়েব হয়েছে, তাই রিসিট দিন।
    --- কে গায়েব করবে?
    -- সেটা আপনি আমার চেয়ে ভাল করে জানবেন।
    মি: বামরা আধ মিনিটের মত রত্নার দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন। তারপর কাগজটি নিয়ে রিসিট দিলেন।
    রেণুরা সিভিল লাইনস্‌ গিয়ে শুনলো সব ফাইল আদালতে, তাই দেয়া যাবে না।
    আদালতে গিয়ে জানলো এখনো চালান পেশ হয় নি। তাই রুরাল এস পি মি: ধ্রুবের অফিসে সব কাগজ পাওয়া যাবে।
    রত্না ধ্রুবের অফিসে গিয়ে কাগজ চাইল।
    মি: ধ্রুব ওকে দেখে অশ্লীল হাসিতে ফেটে পড়লেন।
    --হা:-হা:-হা:! আসুন, ম্যাডামজী আসুন।
    হ্যাঁ, হ্যাঁ, যা যা চান সব কাগজ পেয়ে যাবেন। খালি স্পষ্ট করে কি কি চান একটা অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে দিন।
    --- ওদের জামিন হয়ে গেল। আপনি ধারা পাল্টে দিলেন! এটা কি রকম?
    --হা: হা: হা:! দেখুন ম্যাডাম, পুলিশের কী কী করা উচিৎ আর কেমন করে করা উচিৎ সেসব শেখাতে আসবেন না। যান না, ম্যাটার কোর্টে গেছে সেখান গিয়ে দেখুন যদি সুবিধে করতে পারেন!
    ধ্রুবের অশ্লীল হাসিতে রেণুর হাড়পিত্তি জ্বলে গেল।
    সেই হাসির বাংলায় মানে করলে দাঁড়ায়--- ওরে মাগী! তোর সব ছেনালি রায়পুরের বড়কত্তাদের দেখাস, আমাদের বিলাসপুরে চলবে না!
  • ranjan roy | 122.168.27.19 | ২০ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৪২428415
  • রাত্তিরে আমাদের বাড়িতে বিলাসপুর ফেরৎ রেণুদের ক্লান্তিবিনোদন ও বৈঠক। জানা গেল হাইকোর্টের জন্যে ভাল ক্রিমিনাল ল'ইয়ার রাজি হয়েছেন। ওনার মতে পুরো ব্যাপারটা হয়েছে আইনকানুনের গর্ভস্রাব। ওনার জুনিয়র কোর্ট থেকে জামানতের ঘপলাবাজি সম্পর্কিত সমস্ত ডকুমেন্ট বের করে আনবে। মোট ৩০,০০০/- নেবেন। ওরা আদ্দেক টাকা আগাম দিয়ে এসেছে।
    চা আর ঘরে তৈরি গরমাগরম পকৌড়া খাওয়া হচ্ছে এমনসময় রেণুর মোবাইল বেজে উঠলো।
    খানিকক্ষণ কথা বলে রেণু জল চাইলো, চেহারায় চিন্তার ছাপ।
    -- কি হয়েছে?
    ---- বিলাসপুর থেকে পুলিস হরিয়ানায় আমাদের ক্যায়্‌থালে গেছে। সেখানে সরাফা বাজারে খোঁজ করতে করতে আমার লুট হওয়া হীরের গয়নার রসিদের দোকানে হাজির হয়েছে।
    --- তাতে তোমার ভয় পাবার কি আছে?
    --- ব্যাপারটা হল ছোট দোকানদার। পুলিশ ভয় দেখিয়েছে যে এই রসিদ এক ডাকাতির মামলার সাক্ষ্যের সঙ্গে জড়িত। এবং এতে বিলাসপুরের আইজি ইন্টারেস্টেড। দোকনদার ভালয় ভালয় লিখে দিক যে এই গয়না এই দোকানের থেকে বিক্কিরি হয় নি।
    ---- নইলে?
    --- নইলে দোকানদারকে এতবার ছত্তিসগড়ের বিলাসপুরে কোর্টে দৌড় করানো হবে যে--।
    --তা তোমরা যে বলতে হামারা হরিয়ানা মে তো এইসা হোতা, ঐসা হোতা।ছত্তিশগড় কে লোক ফালতু। ওহাঁ তো রাতকো পোলিস আয়ে তো কৈ ঘরমেঁ ঘুসনে ন দেঁ। দশঠো লাঠি নিকল আতী হ্যায়। তবে?
    -- সবসময় ফোড়ন কাটবেন না তো!
    আমি মরছি নিজের জ্বালায়। শুনুন, ইদানীং সরাফা বাজারে রেইড্‌ হয়ে ছিল। ওরা কিছু চোরাই সোনা, বিস্কিট এইসব কিনেছিল। ধরা পড়ায় পুলিশের প্রতাপ একটু বেড়েছে, ব্যাপারীরা একটু সহমে আছে।
    -- ধ্যাৎ তেরি! এসব আগড়ম-বাগড়ম ছাড়! তুমি গয়না কিনেছিলে। রসীদ একলাখ ষাট হাজার টাকা। তোমার ঘরে মারপিটের সময় গয়নার বাক্স কে তুলে নিয়েছে তুমি দেখে রিপোর্ট করেছো। পাকা রসীদ দিয়েছ। এখন পুলিশ জবরদস্তি কিছু লেখালেই হল? ওদের রসীদ বই থেকেই তো ব্যাপারটা চেক করা যাবে।
    --- ঠিক তা নয়। আমি ওই দোকান থেকে গয়না কিনিনি। কিনেছি আমার মাসতুতো ভাই অনুরাগের দোকান থেকে। ওর খুব বড় দোকান, পাকা রসীদ দিলে আমাকে ১৬% ট্যাক্স দিতে হবে। তাই ও ওর কর্মচারীর দোকান থেকে বিনা ট্যাক্স পেইড রসীদ পাইয়ে দিয়েছে। আর যে দিয়েছিল সে বড়ভাই, আজ গুরগাঁও গেছে। দোকানে ছিল ছোটভাই, ও কিচ্ছু জানতো না। আমাকে শিগ্গিরই হরিয়ানা যেতে হবে। পুলিশ চেষ্টা করছে আমাকে ফ্রড সিদ্ধ করে মামলার ধারা বদলাতে আর আমাকে বুক করতে।
    হরিদাস পাল ও রত্নার হাঁ-মুখ বন্‌দ্‌ধ হয় না।
  • Manish | 117.241.228.251 | ১২ মে ২০১০ ১৮:১৩428416
  • ধুলো ঝেরে দিলাম
  • Manish | 117.241.229.40 | ১৩ মে ২০১০ ১৯:১০428418
  • আবার তুলে দিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন