এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাস্তুহারা

    ranjan roy
    অন্যান্য | ২৫ নভেম্বর ২০০৯ | ১১৫৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 115.184.37.53 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:১৫428539
  • ম্যাডাম গুপ্তাকে আমরা প্যাসেজের কোণে দরজা ভেঙে কব্জার থেকে লটকে থাকা ফ্ল্যাট নম্বর ২১০ দেখিয়ে দিলাম। রত্না সঙ্গে গেলো। ওনার দুপাশে বিলাসপুর থানার দুই সেপাই আর একজন মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর মনোরমা তিওয়ারি।
    আরে, এই ম্যাডাম তিওয়ারিই জন্মাষ্টমীর আগের দিন রাত্রে বারোটার সময় এস পি সাহেব ডেকে পাঠিয়েছেন গোছের মিথ্যেকথা বলে রেণুকে তুলে নিয়ে গিয়ে মহিলা থানায় রেখেছিলো না?
    আর রত্নাকেও একই বাহানায় নিয়ে যাচ্ছিলো, আমি এস পি কে ফোনে কথা বলে ভেরিফাই করায় রত্না বেঁচে যায়।
    এখন সেই মনোরমাই খানিকক্ষণ পরে এসে মিষ্টিগলায় আমাকে বল্লো--- দাদা, কুছ কাগজ দিজিয়ে অউর ইঁহা গবাহ কে দস্তখত কর দিজিয়ে।
    ম্যাডাম গুপ্তা দেখলেন যে যদিও তাড়াহুড়ো করে বিল্ডার দরজাটা জুড়েছে কিন্তু ভাঙা চৌকাঠ, ভাঙা কমোড আর বেডরুমের দরজার সানমাইকায় একগাদা লাথির ছাপ স্পষ্ট। তারপর দেখা গেল মেন দরজার ছিটকিনি একেবারে লাগছে না।
    এবার উনি এলেন আমার ঘরে। বসে চা' খেতে খেতে বল্লেন--- সুন্দর ফ্ল্যাট, কত পড়েছে, বিশলাখ? রায়পুরে এইদামে এতটা স্পেস পাবেন না।
    আমার রায়পুরে শিফট হওয়ার সম্ভাবনা শুনে বল্লেন-- কেন? এইখানেই থাকুন। আমরা পুলিস্‌গার্ড রেখে দিচ্ছি। রোজ রিপোর্ট নেব। কেউ আপনার কিস্যু করতে পারবে না।
    আমার দিকে দেখুন। আমি পুলিশের চাকরি করতে করতে কোন দুশমন পয়দা করিনি কি? একটা-দুটো নয়, বেশ কিছু। তাবলে কি ঘরদোর ছেড়ে পালাব? কখ্‌নো না।
    আমি বলি-- ঠিক বলেছেন। এখানে থেকেই লড়বো। সেদিন যা করেছে তারপর আর কি করবে?
    উনি বলেন-- এছাড়া একদিন তো এসব ব্যাপারের নিষ্পত্তি পারস্পরিক সমঝোতা হয়েই হবে। একসঙ্গে ফ্ল্যাটবাড়িতে সবাইকে মিলেমিশেই তো থাকতে হবে।
    ---কভি নহীঁ।ইনে্‌লাগোঁকে সাথ কোঈ সমঝোতা নহীঁ হো সকতি।
    রত্নার কর্কশ টোন শুনে কিরণ গুপ্তা অবাক হয়ে তাকান।
    --- কিঁউ ম্যাডাম? অ্যায়সী কৌনসী বাত হ্যায়? বাতাইয়ে না, নি:সংকোচ বাতাইয়ে। ম্যাঁয় তো শুননে অউর দেখনে কে লিয়ে হী খাসতৌর পর আয়ী হুঁ।

    এবার রত্না বলতে থাকে। আমি চা বানিয়ে আনি।
    (চলবে)
  • Nina | 68.45.145.174 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:৫০428540
  • আরে--এটা এগোচ্ছে ন কেন? ও রঞ্জন, কোথায় গেলেন?
  • ranjan roy | 115.117.237.240 | ২০ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:১৪428541
  • ম্যাডাম,
    কথাটা সত্যি নয়। এই হরিয়ানভী পরিবার মাত্র এপ্রিলে ভাড়ায় এসেছে।
    আমরা ২০০৮ এ রেজিস্ট্রি করে কিনে এসেছি।
    আমরা ধরে ফেলেছিলাম যে বিল্ডার প্লাস্টিক পেইন্টস্‌ এর বদলে সাধারণ মানের শস্তা পেইন্ট্‌স লাগিয়েছে। তার্পর পার্টনার অমিত শর্মাকে বাধ্য করলাম ওর নিজের খরচে প্লাস্টিক পেইন্টস্‌ লাগাতে।
    আমি বাধ্য করলাম ১হর্স পাওয়ারের জায়গায় ৩ হর্স পাওয়ারের জলের পাম্প লাগাতে। লিফট ইন্‌স্‌টলেশনের জন্যে লেগে রইলাম। এখনও জেনারেটর লাগায় নি। পার্কিং স্পেস মিথ্যে বলে অন্যদের দুধের বুথ করতে বেচে দিচ্ছিল, তার বিরোধ করেছিলাম। কমন মিটারে হুকিং করিয়ে নিজের অন্য প্রোজেক্টের জন্যে কাজ করাচ্ছিলো বাধা দিলাম। অন্যেরা বলে আমার চুপ করে থাকা উচিৎ। বিল্ডারের সঙ্গে আমরা পারবো না। যা দিয়েছে অনেক দিয়েছে। কিন্তু ওদের দরকার হলে--- প্লীজ, আমাদের ওই কাজটা আপনি বিল্ডারকে বলে করিয়ে দিন না!
    আমার সঙ্গে ক্ল্যাশ বাড়তে লাগলো। কারণ আমি সুচনার অধিকার আইনের মাধ্যমে করপোরেশনের অ্যাপ্রুভড নকশা এনে দেখালাম যে ও আটটা মর্টগেজড ফ্ল্যাট অন্যদের বিক্কিরি করে দিয়েছে, ফলে ওদের রেজিস্ট্রি বে-আইনী। তাতে বিল্ডার ওদের বোঝালো যে আমি সব ম্যানেজ করে দেব, আপনারা ভয় পাবেন না। এই মহিলা বাড়ি তৈরির নিয়ম কানুন কি জানে! ওকে একঘরে করুন।
    ব্যস্‌, ২৮শে ফেব্রুয়ারি আমার ১২০টা ফুলের টব যাতে আমার দশ বছরের পুরোনো অ্যালুভেরা ও অন্যান্য গাছ ছিল-- সব নীচে ফেলে দিল। কারণ আমি নকশার বাইরে ছাদে কনস্ট্রাকশন করতে বাধা দিচ্ছিলাম। স্বামী বাইরে, ফোন করায় বল্লো থানায় ডাইরি কর। করলাম, পুলিস এসে ওকে জিগ্যেস করলো। পরের দিন আমার থ্রি-ফেজ মিটার মাত্র পনের দিন হয়েছে, পেট্রোল ঢেলে দিনদুপুরে জ্বালিয়ে দিল। কলোনীর গুচ্ছের লোক যারা এখানে থাকে না তাদের নিয়ে সারাদিন নীচে বসিয়ে রেখে আমার ব্যাপারে হাসাহাসি করতে লাগলো।
    আমি ইলেকট্রিসিয়ান ডাকলে তাকে ভাগিয়ে দিল। সন্ধ্যে হয়ে আসছিল, খালি আমি আর ৮৬ বছরের চোখে ছানিওলা শ্বাশুড়ি। এদিকে জলও বন্ধ করে দিয়েছিল। কি যে করি! রঞ্জনকে ফোন করায় ও এস পি কে ফোন করে, তাতে চিতা স্কোয়াডের জওয়ান এসে আমাকে সাহায্য করে। পুলিশ পাহারায় বিজলীবিভাগের লোক এসে পুড়ে যাওয়া মিটার খুলে নিয়ে গেল। বল্লো-- আজকে কিছু হবে না। কাল আপনাকে পোড়া মিটারের ফীস জমা করে দিয়ে নতুন মিটার নিতে হবে, পুলিশ বলায় বিল্ডার ব্যঙ্গ করে দু'বালতি জল দেয়ালো। রাত্তিরে ও নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে পাঁচজন কে নিয়ে একটি কমিটি বানালো। তারা এসে আমাকে বল্লো--- আপনি বল্লে আমরা বিল্ডারকে অনুরোধ করব যাতে আপনাকে টেম্পোরারি কানেকশন দ্যায়।
    আমি ধৈর্য্য হারিয়ে ওদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে বল্লাম-- আপনাদের সাহায্যের কোন দরকার নেই। রাত্তিরে রঞ্জন এলে আমরা দরজা জানলা খুলে ড্রইং রুমে অন্ধকারে রাত কাটালাম।
    পরের দিন বিকেল নাগাদ নতুন মিটার লাগলেও ওদের কর্মচারী এমন করে সাপ্লাই কেটে দিল যে মাত্র দুটো পয়েন্টে লাইট এল।এসব ঠিক করতে এক সপ্তাহ লাগলো। ৪৬ ডিগ্রি গরমে হাঁটাহাঁটি করে পায়ের তলায় ফোস্কা পড়ে গেল। কিন্তু কিছু করতে পারিনি। এখন বিজলি বিভাগের কনজিউমার ফোরামে গেছি। কাজের কাজ কিছু হয়নি। তারপর কর্পোরেশনে আই এ এস অফিসারের সঙ্গে দেখা করে বিল্ডারের NOC আটকে দেয়ায় চটে গেছে। রঞ্জনের চেষ্টায় ঐ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে অন্য কমিটি তৈরি হয়েছে, রঞ্জন নিজে তার নির্বাচিত ট্রেজারার। ও মিটিংয়ে বলেছে যে কমন মিটারের বিল ২২০০০ টাকা বিল্ডারকে দিতে হবে কারণ ও ওর বন্ধুকে মিটার না দিয়ে বে আইনি ভাবে সে¾ট্রালাইজড্‌ এসির কানেক্‌শন কমন মিটারের থেকে দিয়েছে, ওর বচপন স্কুলের তিনটে গাড়ি নিজের বাড়িতে না রেখে এইখনে রেখেছে, পাম্প চালিয়ে ধোয়াচ্ছে,পার্কিং স্পেসে ওর অফিস বানিয়েছে, ওর ড্রাইভারকে এখানে ঘর দিয়ে রেখেছে, তারও কোন মিটার নেই।
    এইসব নিয়ে রাগ।
    হরিয়ানার পরিবারের মিটার থেকে হুকিং করার সময় ওরা ধরে ফেলে এবং সম্পন্ন লোক। তক্ষুণি লাইন জুড়ে নেয়। তাতে বিল্ডার রেগে গিয়ে রাত্তিরে ফ্ল্যাট খালি করতে গুন্ডা পাঠায়। আমি বাধা দিই। গুন্ডা কে ফিরে যেতে বাধ্য করি। সেই থেকে আমাদের দুই পরিবারের ইউনিটি আর বিল্ডরের রাগ। আবার নতুন এসেও পাশের ফ্ল্যটের বাঙালী পরিবারের ভদ্রলোকের হার্ট অ্যাটাক মত হল, বাচ্চা বৌটা কাঁদছিল। ওরা নিজের থেকেই গাড়ি করে নার্সিংহোমে নিয়ে গেল, পরে নিয়ে এল। আমি খাবার বানিয়ে দু'বেলা নার্সিংহোমে দিয়ে আসতাম। সেই থেকে বন্ধুত্ব। এই হল বেত্তান্ত।
    ---সবাই বলছে কিছুদিনের জন্যে রায়পুর চলে যেতে। আপনি কি বলেন?
    কিরণ গুপ্তা রঞ্জনের দিকে ফেরেন।
    --- কেন যাবেন? এখানেই থাকুন। আমরা আছি। আমি পুলিশে চাকরি করি, আমার কি কোন দুশমন নেই? পেশাই এমনি যে হয়ে যায়। তাবলে আমি কি ভিটে ছেড়ে পালাবো?
    রঞ্জন ঠিক করে বিলাসপুর ছড়বে না।
    (চলবে)
  • ranjan roy | 115.117.197.236 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ০২:০৯428542
  • কিন্তু পরের দিন রেণুরা চলে গেল রায়পুর। বলে গেল রায়পুর পুলিসের বড়কত্তারা বলছেন--- রায়পুরে গিয়ে এফ আই আর লেখাতে। আগেরটা ছিল মাত্র কমপ্লেন।পুলিশ অফিসার কিরণ গুপ্তার তদন্ত রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে অপরাধ দেখা যাচ্ছে, তাই এবার এফ আই আর করা।
    ওরা আরও বলেছেন যে এবার অ্যাকশন হবে, তাই রায় ও হরিয়ানার পরিবার দুটৈ কিছুদিন রায়পুরে সরে যাক। সেখান থেকে লড়াই চালাক। কারণ বিলাসপুর পুলিশের বিরুদ্ধে কমপ্লেন। ওরা বদলা নেয়ার জন্যে কোন না কোন নতুন ঝুটা মামলায় ফাঁসাতে পারে। ইতিমধ্যে রেণুদের সঙ্গে রায় পরিবারের বিরুদ্ধেও আর্মস্‌ অ্যাকট ও হরিজন অত্যাচার অধিনিয়ম এর অধীন এফ আই আর হয়েছে, গ্রেফতারও হতে পারে।
    রায়পুর পুলিসের জুরিসডিক্‌শনে গেলে বিলাসপুর পুলিশ কিছু করতে পারবে না।
    এবার রায়পুরে সিভিল লাইনস্‌ গিয়ে এফ আই আর লেখানো হল। রেণু গুপ্তা অভিযোগকারী, ওর মারখাওয়া স্বামী ও রিপোর্টার বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। রঞ্জনরা দু'জন সারকামস্ট্যান্সিয়াল এভিডেন্সের জন্যে।
    অন্য সব ধারা সরিয়ে অতিকষ্টে পেনাল কোডের সেকশন ৩৯৫ ধারা লেখান গেল, তাই সই।
    এদিকে বিলাসপুর থেকে আমাদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর কমপ্লেন করা দশজনকে রায়পুর নিয়ে এসে কিরণ গুপ্তা জেরা করলেন।
    সন্ধ্যেয় খবর পেলাম আমাদের তিনদিনের মধ্যে রায়পুর শিফট করা উচিৎ। তবে পুলিশ অ্যাকশন হবে। রেণুরা চলে গেলে ওদের ঠিক করা প্যাকার্স ও মুভার্স দিয়ে ওদের মাল পাঠালাম। মেয়েরা ওদের বল্ল যে আমরা রায়পুরে ভাড়ার বাড়ি ঠিক করে জানালে ওরা যেন তাড়াতাড়ি একদিনের মধ্যে প্যাকিং করে দেয়। তাহলে সত্যিই বিলাসপুর ছাড়তে হবে!
    ঠিক হল যে আমরা ষষ্ঠীপূজোর দিন সামান্য দরকারের জিনিস নিয়ে ভিলাই চলে যাব।
    ওখানে ভাইবৌয়ের কাছে মা ও রত্না থাকবে, তবে আমি দুই মেয়ে নিয়ে ভিলাই হোটেলে থাকবো। সেখানে থেকে ল"ইয়ার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা চালাবো। ছোট মেয়ের অফিস ছুটিতেও ক্লায়েন্টের তাগাদায় ওকে চাপ দিচ্ছে একটা কার্বন এমিসন এর ব্যাপারে দাম ও কেনার জন্যে এস্টিমেট বানিয়ে দিতে। ও কাজটা পুরো করবে। আবার ওরা রায়পুরে বাড়ি খুঁজে আমাদের ক্যামেরায় তোলা ফোটো দেখাবে। আমরা হ্যাঁ বল্লে শুধু দু' বোন বিলাসপুর গিয়ে সমস্ত মাল মুভার্স দের মাধ্যমে নিয়ে আসবে। তারপর আমরা ভিলাই থেকে রায়পুর যাবো। রায়পুরের নির্দেশে আমাদের জন্যে পুলিশ গার্ড লেগেছে ফ্ল্যাটের বারান্দায়।
    ঝামেলাটা হল পরের দিন সক্কালে, যখন গাড়ি আনিয়ে সমস্ত সুটকেস , অন্য লাগেজ, পোষা কুকুর সব তুলে মাকে নিয়ে আমরা গাড়িতে বসতে যাবো। খবর পেয়ে বিল্ডার এসে হাজির। আমাদের আটকাবে, ওর নাগালের বাইরে যেতে দেবে না। পুলিশ গার্ডকে বলছে -- ওরা মুজরিম, ওদের যেতে দিও না। আমি গার্ডকে বল্লাম -- তুমি থানাদার মিস্টার সিং কে জিগ্যেস কর, তার কম্যান্ড মানবে। বিল্ডার কে?
    আমি মোবাইল লাগিয়ে থানাদারকে বল্লাম- আমরা সপরিবারে দূর্গাপূজোর ছুটিতে ভিলাই যাচ্ছি, কালীপূজোয় ফিরবো। উনি সেপাইকে আমার ফোনে নির্দেশ দিলেন যেতে দিতে।
    কিন্তু বিল্ডার কোন কথা না শুনে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ওর পেটোয়া কোন অফিসারের সঙ্গে সেপাইয়ের কথা বলাতে চাইল। আমার কড়া কথায় ও থানাদারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বকুনি খেয়ে মোবাইল ফেরৎ দিয়ে রাস্তা ছাড়ল।
    আমরা বেরিয়ে গেলাম। রত্না ওর অ্যালোভেরা ও অন্যান্য গাছ ও ফুলের টবের দিকে যতক্ষণ পারে তাকিয়ে রইল।
  • ranjan roy | 115.117.197.236 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ০২:২৩428543
  • বিলাসপুর-রায়পুর বর্ডারের কাছে এক তেমাথায় ট্রাকের আড্ডা আছে। সন্দেহ হল ওখানে বিল্ডার আমাদের আটকানোর শেষ চেষ্টা করতে পারে।
    তাই শহরের বাইরে গিয়ে চিরাচরিত রাস্তায় না গিয়ে মাঝখানে এক কাঁচারাস্তা দিয়ে ঘুরে আমার কর্মস্থল ভাটাপাড়া দিয়ে ঘুরে টাকা তুলে ঘুরপথে ভিলাই পৌঁছুলাম। ভাইবৌ চিন্তায় ছিল।
    ভিলাই হোটেলের ঘরে আরামে শুয়ে মেয়েকে জিগ্যেস করলাম- পুরো অপারেশনটায় অনেক টাকা লাগবে। তারপর হোটেলের ভাড়া, বাড়ি ঠিক হলে অ্যাডভান্স দেয়া, প্যাকার্স ইত্যাদি। কিকরে হবে?
    জানালো- ওর বন্ধুরা দিল্লি থেকে ওর ব্যাংকে ইতিমধ্যে জমা করেছে। কয়েক কিস্তিতে দিলেই হবে।
    সন্ধ্যেয় জানা গেল যে ভাইবৌয়ের টিমের পুরনো বাংলা গানের অনুষ্ঠান আছে দুটো পূজো প্যান্ডেলে। কিন্তু কথিকা পাঠের লোক অসুস্থ।আর মাঝের ফিলার লাইনগুলো লেখা হয় নি। ওর সহযোগী বিশ্বজিৎ কিন্তু কিন্তু করে বল্লো--- দাদা, জানি আপনার অবস্থা, কিন্তু আমাদের ইজ্জতে গ্যামাক্সিন! যদি একটু কষ্ট করে---!
    পাগলা খাবি না আঁচাবো কোথায়!

  • Samik | 219.64.11.35 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:৫১428544
  • অপূর্ব! অদ্ভূত! মানে আপনার লেখার গুণে। পুরো হিন্দি সাসপেন্স মুভির চিত্রনাট্য পড়ছি মনে হচ্ছে।
  • kanti | 125.20.14.21 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২৩428545
  • আপনাকে সর্ব অর্থে হিংসা করে ফেলছি। মাফ করে দেবেন। আপনার জোরালো কলম আপন ছন্দে এগিয়ে চলুক।
    কান্তি।
  • vikram | 193.120.76.238 | ২১ জানুয়ারি ২০১০ ১৫:১৮428546
  • ঘটনা কদ্দুর গড়িয়েছে জানি না, রঞ্জনবাবুকে খালি স্বল্প প্রোফেশানাল অ্যাডভাইস। এতগুলি ফুলের টব যদি ছাদে রাখা হয়ে থেকে থাকে, তবে তা নিয়ে খুব বেশি রিপোর্ট করে লাভ নেই। কারণ ঐ টাকে নিয়ে সওয়াল করা যেতে পারে যে টব রেখে ছাদের বারোটা বাজানো হচ্ছিলো। সেটাকে ডিসপ্রুভ করাটা বেশ ঝাড়ের।
  • Nina | 66.240.33.35 | ২২ জানুয়ারি ২০১০ ০২:১৩428547
  • বাঁচলাম--আবার লেখার দেখা পেয়ে।
  • ranjan roy | 115.117.208.50 | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৩৫428363
  • বিক্রম,
    ঘটনা এতটাই এগিয়েছে যে ওই প্রসঙ্গ আজকে অপ্রাসঙ্গিক।
    কিন্তু আমার প্রশ্ন: সব গুলো তিন তিনটে ফ্লোরের আলাদা ছাদ। কোন ছদের সঙ্গে অন্য কোন ছাদের কোন যোগ নেই। আর আমাদের ছাদের নীচের দুটো ফ্লোরের ফ্ল্যাট দুটো আমারই রেজিস্ট্রি করে কেনা, ভাড়া নয়। তাহলে ছাদ নষ্ট হবার প্রশ্নে আমি স্বয়ং বা অন্য কোন ফ্ল্যাট ওনার আপত্তি না করলে বিল্ডার কি করে আমার ফুলের টব ফেলে দিতে পারে?
  • ranjan roy | 115.117.208.50 | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৫৮428364
  • বাস্তুহারা:
    ----------------
    সন্ধ্যে বেলা স্টেজে ওঠার সময় কুল কুল করে হাসি পাচ্ছিলো। কী -বোর্ড প্লেয়ারের পাশে স্ক্রিপ্ট নিয়ে আর ছোট টর্চ নিয়ে বসেছি। অন্ধকারে মিউজিক বাজলে অন্যমনস্ক হয়ে ভাবচি-- বার্তোল্ড ব্রেখট ও তো বাস্তুহারা হয়ে আমরিকাতে একটা গ্যারেজে নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলেন। তাহলে এই হরিদাস পাল ও আজ সমগোত্রীয় হল!
    আকবর বাদশার সনে হরিপদ কেরাণীর কোন ভেদ নেই।:)))
    মেয়েরা বল্ল্‌ ্‌- যদি দাঁত চেপে চেপে বাজে উচ্চারণ করে ছড়াও তাহলে পাব্লিকের মাঝখানে বসে আওয়াজ দেব।
    তারপর তিন রাত্তির প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানোর সময়ও মনে একটাই চিন্তা-- অত:কিম্‌?
    আমার পাব্লিক প্রসিকিউটর বন্ধু ফোনে জানালেন যে তুই যেমন বলছিস যে কর্পোরেশনের অ্যাপ্রুভড নকশায় লিফট প্যাসেজের মধ্যে দিয়ে গেছে আর বাস্তবে গেছে তোর দুটো ফ্ল্যাটএর ড্রয়িংরুমের মধ্যে দিয়ে আর মূল নকশায় তো ফ্ল্যাট ফ্রন্ট রো'তে কিন্তু বাস্তবে দিয়েছে ব্যাক রো তে,তাহলে ৪২০ ধারায় ঠগের কেস লাগা, নন-বেইলেবল্‌। বিল্ডার বাপ-বাপ করে তোর পেছনে ঘুরবে।
    মেয়েরা বল্লো- একসপ্তাহ এখানেই থাক। আমরা দিল্লিতে একদিনে দশটা বাড়ি খোঁজনেওয়ালী পার্টি। রায়পুর শহরে তোমাদের জন্যে ভালো থ্রি-রুম ফ্ল্যাট খুঁজে দেব, মোবাইলে ফটো তুলে ল্যাপিতে দেখিয়ে দেব। তোমরা হ্যাঁ বল্লে মুভার্স-প্যাকার্স ধরে মাল প্যাক করিয়ে বিলাসপুর থেকে রায়পুরে আনিয়ে ঘর গুছিয়ে দিয়ে তবে দিল্লি ফেরৎ যাব। কিন্তু দোহাই তোমাদের! তদ্দিন ভিলাই থেকে নড়বে না। বিলাসপুর থেকে ট্রাকে করে মাল আনা আমাদের ওপর ছেড়ে দাও। হ্যাভ ফেথ অন আস্‌ , ড্যাড্‌। তুমিই তো বল-- ছেলেমেয়ে আলাদা নয়। তুমিই তো বলতে মেয়ে না হয়ে ছেলে হলে তোমার মত আড্ডাবাজ, ভাটবকা, আলসে হত। তাহলে?
    লরেল-হার্ডি কন্যাদ্বয়ের এবংবিধ আশ্বাসবাণী উচ্চারণে আশায় বুক বাঁধিলাম।
    এদিকে সব পত্রিকার সিটি এডিশন আমাদের দুই পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে চলেছে। আমরা নাকি আধা-ক্রিমিনাল সন্দিগ্‌ধ চরিত্রের লোক! আমরা নাকি গুলি চালিয়ে ধরা পড়ে থানা থেকে পালিয়ে রায়পুরে পুলিশের বড়্‌কর্তার আশ্রয়ে লুকিয়ে আছি।
  • ranjan roy | 115.117.217.59 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১২:৪০428365
  • বাড়ি পছন্দ হল। সামনেই দুটো পার্ক।ছিয়াশি বছরের মার নিশ্চিন্তে এক্‌ঘন্টা প্রাতর্ভ্রমণ এর জায়গা, নতুন ফ্ল্যাট।
    কিন্তু আজকাল রাজধানী রায়পুরে নিয়ম পাল্টেছে।এগ্রিমেন্ট ছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ফর্ম ভরে থানায়জমা দিতে হবে। মাওবাদী আতংকের কোল্যাটরাল ড্যামেজ। আমি খুশি। স্ত্রীকে বল্লাম --এটা ডেমোক্র্যাটাইজেশনের দিকে একটি পদক্ষেপ। আগে শুধু ঘরের কাজের লোকের জন্যে লাগতো। এক অর্থে আমরা ওরা সমান, মন্দ কি? ফ্ল্যাটের মালিক জানতে চাইলেন-- তোমার বাবা- মায়ের কাছে আশা করি কোন আগ্নেয়াস্ত্র নেই?
    মেয়েরা ভির্মি খেল। মায়ের ওপর যে আর্মস্‌ অ্যাক্টের এফ আই আর আছে!
    যদি এখানকার থানা বিলাসপুর থানাকে জিগায়!
    ভাবলাম। তারপর যত জায়গায় পোস্টেড ছিলাম-- সবগুলো থানার নাম দিলাম মায় ছোটবেলার যাদবপুর থানা শুদ্ধু।
    থানা থেকে একবার ফোন এল। ব্যস!
    মনে হয় ব্যাংকের অফিসার শুনলেই লোকে নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। সরকার যাকে অতগুলো টাকার দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছে।
    কী নাঈভ ধারণা! থাক, আর নিজের জাতকে সবার সামনে খিস্তি করবো না।
    এইবার আসল কাজ। বিলাসপুর থেকে জিনিসপত্র আনা।
    দুই মেয়ে সক্কাল বেলা গাড়ি বুক করে বিলাসপুর পৌঁছুলো। সোজা সিভিল লাইনস্‌ থানায় গিয়ে পুলিস প্রোটেকশন চেয়ে সঙ্গে একজন গার্ড নিয়ে বৈশালী প্রাইড ( আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের নাম) গেল। ওদের কিছু বন্ধু যারা রত্না রায়ের ড্যাফোডিল স্কুলে পড়েছে তারা সারাক্ষণ সঙ্গে রইল। প্যাকিং হতে থাকলো। এক মেয়ে গিয়ে টেলিফোন, গ্রসারি, মোবাইল, বিজলি বিভাগ, ইলেকট্রনিক্স এর দোকান সর্বত্র গিয়ে লেটেস্ট বিল চেক করে পেমেন্ট করে রসীদ নিয়ে এল। রাত দশটায় ট্রাক ছাড়ল।
    তালা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় সামনের ফ্ল্যাটে বিল্ডার, তাঁর স্ত্রী ও অন্যান্য কুশীলবদের ভীড়। সবাই হাসছে, হাততালি দিচ্ছে,মেয়েটা তাকিয়ে দেখছে।
    শোনা যাচ্ছে টিটকিরি-- আজকে এই বাড়ি পবিত্র হল।
    -- সব আপদগুলো শেষমেষ বিদেয় হল।
    --- হ্যাঁ, হ্যাঁ, গঙ্গাজল ছিটাতে হবে।
    -- কই, শর্মাজী মিস্টি নিয়ে এসো।
    --- সে আর বোলতে, আনতে পাঠিয়েছি।
    এখন তো মানবে যে অমিত শর্মা ঠিকই বোলতো?
    ট্রাক বেরিয়ে গেল। তারপর আস্তে আস্তে মেয়েদের ভাড়া করা স্কর্পিও। বিল্ডারের বৌ ব্যঙ্গভরা হাসি হাসি চোখে মেয়েকে দেখতে লাগলো। পেছন থেকে গাড়ির তালে তলে হাততালি শোনা যাচ্ছে। গাড়ির গতির সঙ্গে হাততালিও বাড়ছে।
    অজিতার গলায় কি যেন দলা পাকিয়ে ওঠে। শুকনো চোখ জ্বালা করছে, বন্ধুদের হাত নাড়ে।
    রাত দেড়টায় ভিলাই পৌঁছে দু'বোনে জানাল যে রাত্তিরে ট্রাক গ্যরেজে রায়পুরে আছে। কাল সকালে মা-মেয়ে মিলে আনলোড্‌ করে ঘর গোছাবে। বিশবছর পরে আবার রায়পুরে ইউনিভার্সিটি পাড়ায় গেরস্থালী শুরু।
    বরাবরের ল্যাদখোর রঞ্জন অফিস থেকে ছুটি পাওয়া যাবে না বাহানা করে মা-মেয়ের ওপর সব চাপিয়ে দিয়ে ডিউটি চলে গেল।
    মা-মেয়ের চোখে চোখে অর্থপূর্ণ মেসেজ বিনিময় হল।
    --- এ আর নতুন কি?
  • sudarsana das | 115.117.166.23 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৫১428366
  • আমি খুব বিপদে পরেছি।অআমি সাহায্যের জন্য কোথায় লিখবো?কেও এগিয়ে এসে বলুন দ করে।
  • sudarsana das | 115.117.166.23 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৫২428367
  • আমি খুব বিপদে পরেছি।অআমি সাহায্যের জন্য কোথায় লিখবো?কেও এগিয়ে এসে বলুন দ করে।
  • sudarsana das | 115.117.166.23 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৫৩428368
  • bb | 117.195.160.219 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৫৯428369
  • আপনার কি বিপদ আর আপনি কোথায় থাকেন (ব্যক্তিগত বিশদ জানানোর দরকার নেই এই পাব্লিক ফোরামে) সেটা লিখলে হয়ত কেউ না কেউ সাহায্যের হাত বাড়াতে পারেন।
  • sudarsana das | 115.117.166.23 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:১৪428370
  • আমি খুব বিপদে পড়েছি,সাহায্য চাই।অকোথাই লিখবো?
  • sudarsana das | 115.117.166.23 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:১৫428371
  • আমি খুব বিপদে পড়েছি,সাহায্য চাই।অকোথাই লিখবো?
  • sudarsana das | 115.117.166.23 | ২৪ জানুয়ারি ২০১০ ১৭:৪৪428372
  • amrabivinnovabesahajyorjonnojogajogkorarchestakorchikintuparchina.........amarbarikrishnagara.amarbariraddress12R.N.TAGOREROAD,KRISHNAGAR,NADIA.ph....09333070342.amaderbarithikkotowalithanarsamnei.amarbarite82bochorerbridhyodaduachen.goto8.1.10tarikeamardaduk1jonpromoterotardalaljaderoriginalbarikolkatate.barirthekejorkorevoydekhiyeregistryofficeatuleniyegiyeonarjomijaigasabjorkoreregistrykoreneikonotakapoysaodeina.tacharaoijaigaruporcourterinjunctionorderachhetasatteoorapranemerefelarvoidekhiyejorkoreaikajkore.amrakarorkachthekekonosahajyopachhina.kaojodidayakoreaisahaisambalhinbridhyerjomijaigaudharerkichubabosthakorenamderkonovabeaktusahajjokorentaholeamardadubechejan.fromsudarsanadas.........12r.ntagoreroadkrishnagarnadia.ph..........09333070342
  • ranjan roy | 115.117.202.74 | ২৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৬:৩৪428374
  • আপনার খোলা " হেল্প'' টইয়ে কিছু লিখেচি, দেখুন।
  • ranjan roy | 115.184.4.120 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৫৩428375
  • পরের কয়েকটা মাস বড় যন্ত্রণার। সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়!
    কোথাও কিছু এগুচ্ছে না। খালি পাচ্ছি নানান ধরণের আশ্বাসবাণী।
    --- ঘাবড়াবেন না, হচ্ছে, একটু ধৈর্য্য ধরুন।
    ব্যাপারটা দাঁড়াল এইরকম।

    মূল বিবাদ বিল্ডারের দু'নম্বরীর সঙ্গে জোড়া ফ্ল্যাটের মালিক রায়পরিবারের ও এক ভাড়াটে পরিবারের।
    বিল্ডার চেষ্টা করছে অসম্পূর্ণ অ্যাপার্টমেন্টে ওর দাদাগিরি-জীহুজুরি চালিয়ে যেতে, কাজ পুরো হয়ে গেছে বলে মিথ্যে ঘোষণা করে মেইন্টেনান্সের দায়দায়িত্ব কিছু ফ্ল্যাটমালিকদের নিয়ে বানানো পেটোয়া কমিটির ওপর চাপিয়ে দিতে। কর্পোরেশনের কাছে বন্ধক রাখা ফ্ল্যাটগুলোকেও বিক্রি করে এবং অ্যাপার্টমেন্টের ঘেরা জমিতে কিছু বে-আইনি দোকান খুলে নিজের গ্যাং বসাতে। তারওপর আছে ওনার গিন্নির বচপন স্কুলের তিনটি গাড়ি যেগুলো ওর বাংলোতে না রেখে রাখা হবে আমদের ওখানে এবং রোজ পাম্পচালিয়ে ধোয়া হবে। ওর ড্রাইভার এখানেই স্টোর রুমে থাকবে, তার কুলার-বিজলি চলবে আমাদের কমন মিটার থেকে। ওর আরেক মিনি পার্টনার, বাড়ি থেকে ভাগ নিয়ে চলে আসা এক সর্দারজি, দুটো ফ্ল্যাট ও এক ছাদ বেআইনি ভাবে বিনা রেজিস্ট্রি করে কিনবেন, সে¾ট্রালাইজড্‌ এসি চালাবেন, কিন্তু কোন মিটার ছাড়াই। সকলের কমন মিটার থেকে তার জুড়বেন বা এর ওর থ্রি-ফেজ মিটার থেকে হুকিং করবেন--- এসব নিয়ে কিস্যু বলা যাবে না।
    পার্কিং স্পেসের মধ্যে দোকান খোলা হবে, চুপ করে থাকতে হবে। রেন-ওয়াটার হার্ভেস্টিং পিট আজকাল কম্পালসারি, জেনারেটর রুমে ওর স্টোর, তবু চুপ করে থাকতে হবে।
    আমি হরিদাস পাল খুব ভদ্রলোক, তাই ওর কমিটিরও ট্রেজারার:))-- জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে যে! তবে তো ওদের একস্পোজড- করা যাবে! কিন্তু রত্না রায় একেবারে মাওবাদী। জনগণের একতায় দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনে বিশ্বাস নাই।
    সে তর্ক করে, কর্পোরেশনের অফিসে গিয়ে রাইট টু ইনফর্মেশনের আবেদন দিয়ে প্রমাণিত নকশা এনে চেঁচামেচি লাগায়।
    --- এরা আমাদের বোকা বানাচ্ছে, তোমাদের পাঁচজনকে বন্ধকী ফ্ল্যাট বিক্কিরি করেছে, কাল তোমাদের কর্পোরেশনের লোক ঘরখালি করাতে বলতে পারে। রেজিস্ট্রির টাকা ডুববে। তোমরা কথা বল।
    ওরা ভয় পায়, বিল্ডারের কাছে যায়। বিল্ডার বোঝায় --- সব বাজে কথা, ওই মহিলা বন্ধকের কী জানে! আমি সব ঠিক করে দেবো।
    বিল্ডার বিজলি বিভাগে পয়সা খাইয়ে তিনটে বন্ধকী ফ্ল্যাটে মিটার লাগিয়ে দেয়। জনতা মুগ্‌ধ, জনতা কনভিন্সড-।
    বিল্ডার ওয়েলফেয়ার স্টেট, রায়পরিবার মাওবাদী। ফলে ওরা ঝাঁপিয়ে পড়ে।
    আমাদের মিটার জ্বালিয়ে দেয়া হয়। জল ছাড়া, আলো ছাড়া আমার ৮৬ বছরের মা ও বৌ ক'দিন কাটায়। আমি হরিদাস পাল ভাটাপাড়ায় ব্যাংকের অডিট নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
    জনতা বিল্ডারের মাহাত্ম্যে মুগ্‌ধ হয়ে হাততালি দেয়।
    (চলবে)
  • ranjan roy | 115.184.4.120 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৭:৪৩428376
  • এবার বিল্ডার পুরো ব্যাপারটা আম পাব্লিক ও অ্যাড্‌মিনিস্ট্রেশনের সামনে অন্য ভাবে পেশ করে।
    প্রেস কনফারেন্সে, থানায়, পত্রিকার অফিসে বা মন্ত্রীদের কাছে কোথাও বিল্ডারকে দেখা যায় না। থাকে বিল্ডারের বৌ ( ওর নাকি ছাদে একটি নির্মাণাধীন পেন্ট হাউস আছে, সেই সুবাদে) আর কিছু মহিলা-পুরুষ-শিশু, হয়তো একই পরিবারের জনাচারেক।
    -- আসলে না ওটা ফ্ল্যাটের অধিবাসীদের কমিটির সঙ্গে এক বাইরে থেকে আসা হরিয়ানার পরিবারের ক্ষমতার লড়াই।
    -- আর কি জানেন, ওই পরিবারটি, ওরা বিশেষ সুবিধের নয়। ওরা না স্বামী-স্ত্রীও নয়। বন্ধুর বৌকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছে।
    -- ওমা! সেকি কান্ড!আর--?
    -- হ্যাঁ, হ্যাঁ, যা ভাবছেন তাই! রাত্তিরে নানারকম লোকজন আসে। বলুন তো, আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘর করি, আমরা কি করি?
    -- কী করি? তাড়াও বাপু, তাড়াও! এটা ভদ্দরলোকের পাড়া, এসব অসৈরণ চলবে না।
    --- কিন্তু ওই রায়পরিবার! ওরা তো ভাললোক বলেই জানতাম। মিসেস রায় শুনেছি সবাইকে সাহায্য করেন।
    --- দূর থেকে ওমনি মনে হয়। আমরা তো ভুক্তভোগী। মিসেস রায় আসলে নাম কামাতে চায়। ক্ষমতালোভী। বিল্ডার যদি ওকে প্রেসিডেন্ট করতো তাহলে দেখতেন ওই সবার আগে ঐ বিয়ে না-হওয়া জাঠ পরিবারটিকে দূর-দূর করে তাড়াতো।
    --- আর স্বামী? ব্যাংক অফিসারটি?
    ---- আরে মশাই কে যে কার স্বামী? ওদের মধ্যে তো মিলমিশ নেই। থাকবে কোত্থেকে? অমন ডাকাবুকো মহিলার ওই মিনমিনে ন্যাকাষষ্ঠী হাজব্যান্ড! খালি ব্যাংক, বইপত্তোর আর গোটাকয় বন্ধু।
    কাঁহাতক পোষায়! কি বলছি বুঝতেই পারছেন। হি-হি-হি-হি-!
    এইভাবে দুটো পরিবারকে বাস্তুহারা করার জন্যে একটি জনপ্রিয় যুক্তিসংগত মিথের নির্মাণ হয়। আহিস্তা! আহিস্তা!

    কাউকে বলা হয় না যে হরিদাস পাল নিজে ওই কমিটির ট্রেজারার। বলা হয় না যে বিল্ডারের স্ত্রী প্রত্যেক মিটিংয়ে বসে সবাইকে উশ্‌কিয়ে ছিলো -- চলো, সবাই মিলে হরিয়ানার পরিবারটিকে ঘর থেকে টেনে বার করি।
    প্রত্যেক মিটিংয়ে রত্না রায়কে আঙুল তুলে বলতো-- ওই ষাট বছরের বুড়িয়া! আমাদের বিরুদ্ধে থানায় যাচ্ছে, বিজলিবিভাগে যাচ্ছে, করপোরেশনের অফিসে যাচ্ছে।
    বলা হয় না যে জবাবে রত্না শুধু শুকনো ইংরিজিতে বলতো--- মিটিংয়ে কথা বার্তা অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী হোক, তারপর মিনিটস্‌ লেখা হলে সবাই মিনিটস্‌ বুকে সাইন করে বাড়ি যাক, ঘরের কাজকম্মো পড়ে আছে।
    সবাই পরে অবাক হয়ে বলতো--আপনারা এত শুনেও চুপ করেআছেন!
    হরিদাস পাল হাসতো--- ওদের হিসেবে খেলবো না, আমার হিসেবে খেলবো।
    রত্না রাত্তিরে হেসে বলতো-- আমার বয়স ছ'বছর বাড়িয়ে দিলো। তুমি চুপ করে রইলে? ( চলবে)
  • ranjan roy | 115.184.4.120 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:১২428377
  • এই সময়ের কিছু কোলাজ:

    এক, মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের জন্মদিন। উনি সাফারী স্যুট পরে হাসিমুখে বসে আছেন। সমানে লোকজন আসছে। রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, পলিটিক্যালি করেক্ট বিহেভ করনেওয়ালা সমাজসেবী সংগঠন, কিচু এন জি ও। সবাই ফুলের তোড়া দিচ্ছে, কেউ কেউ পা' ছুঁয়ে আশীর্বাদ চাইছে। চমকাচ্ছে ফ্ল্যাশবাল্ব, চারদিক থেকে বন্দুকের ভোঁতা নলের মতন উঁচিয়ে আছে ভিডিও ক্যামেরা। আর সত্যিকারের বন্দুকও অগুনতি, আমরা যে মাওবাদী হামলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের নিবাসী!
    এমন সময় বিবাদী সুর! রেণুবালা গুপ্তা ও রত্না রায় নামে দুই মহিলা ঢুকে শুরু করেছে প্যাচাল পারা,--- আপনার রাজ্যে আমরা কি ভাবে আছি! আপনার পুলিশের সঙ্গে সাঁঠগাঁঠ করে আমাদের বিল্ডার মাফিয়া ঘরছাড়া করেছে। ওদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯৫ ধারায় ডাকাতির মামলা রুজু হওয়ার পরেও কেন আজ অব্দি কেউ গ্রেফতার হয় নি? আমরা ভাড়া বাড়িতে রায়পুরে কতদিন এভাবে থাকবো?
    ক্যামেরা চমকাতে থাকে, ভালো বাইট!
    মুখ্যমন্ত্রী হতভম্ব! এই সক্কালে যে বিলাসপুর থেকে জনাদশেক মেয়েমদ্দ-ছেলেছোকরা এসে ফুলদেয়ার সাথে সাথে কান্নাকাটি করে গেল! বিলাসপুরের পুলিশ নাকি রায়পুরের বড়কত্তাদের চাপে মেয়েমদ্দ-বুড়োহাবড়া-কোলের বাচ্চা সবার নামে ডাকাতির মামলা লাগিয়ে রোজ থানায় ডেকে জিগ্যেসাবাদের নমে পরেশান কচ্চে?
    এরা আবার কি বলে! কোনটা সত্যি?
    ছত্রধর মাহাতো না অর্ধেন্দুশেখর!
    ইতিমধ্যে রেণুবালা হাউ হাউ করে এক বালতি কাঁদে। কাটা চুল, সিঁদুরবিহীন, আধুনিক পোশাকের চল্লিশ ছুঁই-ছুঁই মহিলার কান্না, মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত।
    ক্যামেরা চমকায়!
    এবার বেসুর নয়, একেবারে ক্যাকোফনি! হার্মোনিয়ামের বেলো ফেটে গেছে। রত্না রায় মধ্যসপ্তকের কোমল নিষাদে কেটে কেটে ইংরেজিতে বলে-- Hon'ble Chief Minister! Don't u find it strange that -- blaa-blaa-blaa!
    ক্যামেরা আর ভিডিও প্রচন্ড স্পীডে চলে।
    রমন সিংহের চোয়াল ঝুলে পড়ে।
    সন্ধ্যেবেলায় হরিদাস পাল বলে-- খামোকাই ইনজিরি খরচ করলে! উনি কবর্ধার আয়ুর্বেদ ডিগ্রি ধারি ডাক্তার। ঠিকমতো কম্যুনিকেশন হল না, খালি তোমার গায়ের ঝাল ঝাড়া হল, ব্যস্‌।
    রত্না বলে-- কিছু একটা তো হল।
    কিন্তু পরের দিন দু'গাড়ি পুলিস বৈশালি প্রাইডে পৌঁছোয়। ঘরে ঘরে গিয়ে নাম জিগ্যেস করে। সবাই জানায় ঐ নামে কেউ এখানে থাকে না। বাইরে গেছে, ইত্যাদি।
    কয়েক ঘন্টা পরে পুলিশ খালি হাতে ফিরে যায়।
    পরের দিন রেণুর স্পাই , মন্দিরের পূজারী খবর পাঠায় যে সবাই বিল্ডারের ঘরে সারাদিন লুকিয়ে ছিল।
  • Manish | 117.241.229.24 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:৪১428378
  • @Ranjan

    পরের কিস্তি চাইইইইইই
    কিন্তু পাচ্ছিনা কেনোনোনোনোনো
  • Rajdeep | 202.79.203.59 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৪৬428379
  • রঞ্জনদা , তুলে দিলাম
  • ranjan roy | 122.168.73.218 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:৫২428380
  • কোলাজ-২
    সমস্ত পত্রিকায় বেরুলো যে এই ব্যাপারটার তদন্ত করতে একটা জেলাস্তরের কমিটি তৈরি হয়েচে।
    মি: কে এল ধ্রুব, এস পি (রুরাল)এর মুখ্য তদন্তকর্তা অফিসার। ওর অধীনস্থ একজন ট্রেনি ডি এস পি ও আর একজন নিকটস্থ থানার দারোগা জয়সোয়াল। রায়পুরের পুলিশের বড়কর্তারা বল্লেন-- কমিটির সঙ্গে কো-অপারেট করুন। যা যা জানতে চায় বলে দিন। একটু দেরি হবে, কিন্তু আখেরে ভাল হবে।
    হরিদাস পাল রঞ্জন স্টেটমেন্ট দিতে বিলাসপুরে এস পি অফিসে গেল।
    যে লিখবে সে প্রথমে লিখলো--"" মাইক থ্রি দ্বারা আদেশিত হইয়া আমি ইহা লিপিবদ্ধ করিতেছি-----""
    এ আবার কি? হরিদাস পাল জানলো যে মাইক ওয়ান মানে জেলার আই জি। মাইক টু হলেন এস পি, থ্রি এস পি( রুরাল)।
    সব তো হোলো, এখন এনকোয়ারি কবে শেষ হবে? কবে আই পি সি ৩৯৩ ধারাতে ওরা গ্রেফতার হবে?
    হবে , হবে। ধৈর্য্য ধর। আরো একটু বাকি।
    -- আচ্ছা, অত লক্ষ টাকার গয়না সত্যিই সেদিন আপনার কাছে ছিল? বানিয়ে বনছেন না তো? কোন প্রমাণ আছে? আর সেদিন আশি -নব্বুই হাজার টাকা আপনাত ঘরে কোত্থেকে এল? মানে হটাৎ? কোন প্রমাণ আছে?
    রেণুবালা গয়না কেনার তিনটে রসীদ দেখায়,দুটো ওদের হরিয়ানার মহকুমা শহর ক্যায়্‌থালের, আর একটা বিলাসপুরের, গণেশ জুয়েলার্সের।
    তিনদিন পরে হটাৎ মোবাইলে বাজে বিলাসপুরের জুয়েলার্সের ভয়ে কাঁপা কন্ঠস্বর।
    --দিদি! আপনি কোথায়? আপনার সঙ্গে দেখা হওয়া খুব জরুরি। ওরা আমাকে--- ওরা আমাকে--।
    ফোন কেটে যায়, এমন হল দুদিন। তারপর রেণু ও রত্না ওই দোকানে বাচ্চাছেলেটার সঙ্গে দেখা করতে গেল।
    দোকান বন্ধ, মস্ত তালা ঝুলছে। পাশের দোকানে জানা গেল যে ও শ্বশুরবাড়ি মুঙ্গেলী শহর গেছে কদিনের জন্যে। এও জানা গেল যে বিল্ডারের লোকজন ও স্থানীয় পুলিশ ওকে ধমকেছে।
    কোলাজ-৩
    হরিদাস পাল ঠিক করলো এমনি করে চলতে পারে না। ভাল উকিল ধরে বিল্ডারের বিরুদ্ধে নকশায় ঠকানোর ( মানে ওদের ফ্ল্যাট নম্বর ২০৫ ও ৩০৫ সামনের সারিতে, কিন্তু ওদের ঠকিয়ে পেছনের সারিতে ২০৫ ও ৩০৫কে জবরদস্তি গছানো হয়েছে। এবং কমন লিফট প্যাসেজে না থেকে শুধু ওদের দুটো ফ্ল্যাটের মধ্যে দিয়েই উঠেছে।ইত্যাদি) অপরাধে পেনাল কোদের ধারা ৪২০এ একটা ক্রিমিনাল কেস এবং ওই একই ডকুমেন্ট এর জোরে কনজিউমার ফোরাম স্টেট লেভেল এ ২০লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়ে কেস লাগানো হোক।
    ঠিক হোল ক্রিমিনাল কেস প্রবীণ সরদানা নিজে করবে, কোন পয়সা নেবে না। ও নাকি হরিয়ানায় ভাল ক্রিমিনাল প্র্যাকটিস করত। রেণুর সঙ্গে প্রেম , বৌয়ের ডিভোর্স না দেয়া এইসব ঝমেলায় শহর ছেড়ে বিলাসপুরে চাষবাস করতে এসেছে, আমার কপালে জোটেও একেকটি স্যাম্পল।
    চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধারা ৪২০ এর পিটিশন পড়ে সিভিল লাইনস্‌ পুলিশকে তদন্ত করে একমাসের মধ্যে রিপোর্ট সাবমিট করতে বল্লেন। হরিদাস পাল খুশ হুয়া, কিছু তো হচ্ছে।
    তারপর উপভোক্তা ফোরামের উক্লিলকে নিয়ে ঘর দেখাতে নিয়ে গেল রত্না আর রেণুবালা।
    গিয়ে ওদের চক্ষুস্থির!
    রেণুবালাদের ২১০ নম্বর ফ্ল্যাটের সেই ভাঙা দরজা এনে্‌কায়ারি অফিসার বিল্ডারকে দিয়ে খুলিয়ে রায়পুরে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্যে পাঠিয়েছে।
    -- মশাই! আমার তালাম্ভেঙে বিল্‌দারকে দিলেন কি করে?
    -- না, মানে আপনি তো আর আসবেন না। কজেই--।
    --ইয়ার্কি পেয়েছেন? অগ্রিম ভাড়া দেয়া আছে। আমি আবার এখানেই থাকবো। আপনি আমার তালা ও দরওজা ফেরৎ আনুন। ( রোজ চলবে)
  • ranjan roy | 122.168.254.233 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:০৩428381
  • -- আর কতদিন লাগবে?
    -- আগে থেকে কি করে বলবো? আমার আরো অনেক কাজ আছে।
    ---কোন টাইম ফ্রেম?
    --- বলা মুশকিল! আর আমি আমার বড়কত্তাদের জানাবো। পিটিশনারদের জানাতে বাধ্য নই।
    রত্না বলে-- আমরা হাইকোর্ট যাচ্ছি।
    -- যান, সেখানে জবাব দেব, আপনাদের নয়।
    ইতিমধ্যে দরজা লেগে যায়, প্রায় দুমাস বাদে।
    আর রেণু ঘটনার আগের দিন ব্যাংক থেকে একলক্ষ টাকা তোলার প্রমাণ হিসেবে ব্যাংক থেকে কম্পুটারাইজড্‌ স্টেটমেন্ট দেয়।
    বিজলী বিভাগের কনজিউমার ফোরাম রত্নার পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু স্থানীয় বিজলী বিভাগের অসহযোগ ও বিল্ডারের কথায় দিনকে রাত করার চেষ্টা স্পষ্ট হয়।
    ইতিমধ্যে কিছু কমিক ইন্টারল্যুড ঘটে।
    হরিদাস পাল ট্রেনে সহযাত্রীর কাছে জুতোচুরির দায়ে অভিযুক্ত হয়। এছাড়া ব্যাংকে এক সেক্স ওয়ার্কার মহিলাকে লোন দেয়ার ব্যপার নিয়ে কেউ কেউ ওর স্ত্রীর কানে গুজগুজ-ফুসফুস করে।
    ( চলবে)
  • Nina | 66.240.33.38 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৪৬428382
  • কথা রাখবেন কিন্তু, রঞ্জন , রোজ লিখবেন। ছোটবেলায় পড়া সেই ডিটেকটিভ গল্পের মতন নি:শ্বাস আটকে বসে রইলুম!

  • Manish | 117.241.229.73 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৪১428383
  • এই টইটা বারবার ডুবে যাচ্ছে কেনো।
  • kd | 59.93.194.213 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:৫১428385
  • এই যে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন