এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তৃ-প-বু-ভু--৫

    Boo
    অন্যান্য | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ২১৫৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.208.238 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৪:৩৩432200
  • ধন্যবাদ, অর্পণ। ঠিক বলেছ। যথারীতি ডিটেইলস্‌ এ ছড়িয়েছি। কিন্তু মূল কনটেন্ট বদলাবো না।
  • bb | 115.113.115.130 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৪:৩৪432201
  • @nyara আমি যতদুর জানি কথাটি আজও ভদ্র সমাজ সহজে ব্যবহার হয় না। এর সঙ্গে কলেজ, স্বর্গের তুলনা না আনাই ভাল। আপনি নিজেই লিখেছেন যে অপরিচিত লোককে এই কথা লেখা যায় না।
    যাই হোক আপনাকে উপদেশ দেওয়ার ইচ্ছা বা অধিকার আমার নেই, শুধু আশা করব 'নিজের ব্যবহারই নিজের পরিচয়' এই আপ্তবাক্যটি স্মরণ রাখিবেন।
    এটি আনমডারেটড সাইট তাই কি লিখবেন তার অধিকার এবং দ্বায়িত্ব উভয়ই আপনার।
  • PT | 203.110.246.230 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৪:৫৫432202
  • @ranjan

    আরেকটু পরিষ্কার করুন। যে সংবিধানের ভিত্তিতে মাওবাদীদের বিচার করার কথা বলছেন, সেই সংবিধানই পুলিশকে রাইফেল হাতে ধরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে রক্ষা করার অধিকার দিয়েছে। সেই রাষ্ট্রের অধীনে থাকা সম্পত্তির এবং মানুষজনের রক্ষার জন্য গুলি চালিয়ে অপরাধীকে হত্যা করারও অধিকার দিয়েছে। সেক্ষেত্রে মাওবাদীরা দুদিক থেকে দোষী---একদিকে তারা এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই মানে না অন্যদিকে এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে মেনে নিয়েছে এমন মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করছে আর রাষ্ট্র যে সম্পত্তির সৃষ্টি করেছে তার ধ্বংসসাধন করছে। তারা আদিবাসীদের স্বার্থ সত্যি রক্ষা করে কিনা বা তাদের পথ ধরেই গরীব মানুষের উপকার হবে কিনা সেটি পরীক্ষিত সত্য নয়। এমনকি গরীব মানুষেরা সত্যি তাদের দ্বারা উপকৃত হতে চায় কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়। কাজেই মাওবাদীরা যদি গুলি চালানোর সময়ে গুলি খেয়ে মরে তাহলে তাদের জন্য মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্ন ওঠে কেন?
  • Blank | 170.153.65.102 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৫:৩৭432203
  • পিটি বাবু
    প্রশ্ন টা মনে হয় উঠেছিলো ফেক এনকাউন্টার নিয়ে। অর্থাৎ লালমোহন টুডু কে পাতি তুলে নিয়ে এসে গুলি করে মারা হয়েছে কিনা, নাকি সত্যি লালমোহন টুডু পুলিশের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে গুলি খেয়েছে।
    দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কিস্যু করার নেই, প্রথম ক্ষেত্রে তদন্তের তো দরকার আছেই। ২০১১ তে সরকার বদলালে, পুলিশের গুলির ডিরেকশানতো বদলাতেই পারে :)
  • PT | 203.110.246.230 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৫:৫০432204
  • @ blank
    অর্থাৎ বামফ্রন্টের রাজত্বে পুলিশের গুলিতে মাওবাদী মরলে তৃণমুলের রাজত্বে পুলিশের গুলিতে বামফ্রন্টের কর্মীরা মরবে? মানে ২০১১-র পরে সরকার বদলালে তৃণমূলী সরকারের পুলিশ মাওবাদীদের হয়ে সিপিএমের কর্মীদের মারবে?
  • PT | 203.110.246.230 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৫:৫৮432205
  • আরও একটি কূট প্রশ্ন:

    মাওবাদীদের সব হত্যাকান্ড বা এনকাউন্টারই যেহেতু ""ফেক"" (অর্থাৎ কোন আইনি বৈধতা নেই), সেহেতু পুলিশের বদলে ক্রমাগত মার খেতে থাকা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যদি ""ফেক"" এনকাউন্টার করে মাওবাদীদের মারে তাহলে এরাও মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনের আওতায় আসবে কি?
  • ranjan roy | 122.168.218.56 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৬:২৮432206
  • a,
    সংবিধানবিরোধী হলেই অপরাধী কেন হবে? ভারতের আইনে যে কাজগুলোকে অপরাধ বলে চিহ্‌ণিত শুধু সেই কাজ করলে তবে অপরাধী হবে। যেমন খুন, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ ইত্যাদি, তা সে যেই করুক, নকু-মাকু-কং-তিনো সবাই অপরাধী।
    কিন্তু মাওবাদীরা মিছিল-মিটিং করলে, বা আর্টিকল্‌ লিখে সংবিধান বদলাবার কথা বললেও অপরাধী হবে না। নেপালের মাওবাদীদের কথাই ধরা যাক।
    আর আগেই বলেছি সমস্ত অপরাধীদেরও সাংবিধানিক অধিকার আছে, অপরাধ প্রমাণিত হলেও।
    কিন্তু তোমার ওই বক্তব্যটা নিয়ে আমার আপত্তি, ওই যে মানবাধিকার কর্মীরা মাওবাদীদের বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছে কেন?
    মানবাধিকার কর্মীরা কাউকে বাঁচাবার দায়িত্ব নেয় নি, least of all, মাওবাদীদের। ওরা শুধু স্টেট যখন নিজের অসীমিত ক্ষমতা কারো বিরুদ্ধে( মাওবাদী, কংগ্রেস, বিজেপি,তিনো বা কোন একক ব্যক্তির বিরুদ্ধে) illegal পদ্ধতিতে ব্যবহার করে, তখন চ্যাঁচ্যায়। ওটাই ওদের কাজ। তুমি ব্যাপারটা উল্টো দিক থেকে দেখছ।
    মানবাধিকার কর্মীরা সমাজের স্বঘোষিত বিবেক বা মানবতার অবতার নয়। মানবাধিকার আর মানবতা এক নয়। মানবাধিকার নেহাৎই ইউ এন ও 'র চার্টার অনুযায়ী আইনি কনসেপ্ট।
    ফলে মানবাধিকার কর্মীরা কারো পক্ষে নয়। বরং রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে, ওদের ক্ষমতা অপব্যবহারের ওয়াচ ডগ।
    কাজেই কেউ কেউ যখন বলেন যে অমুকের নারকীয় হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মানবাধিকার কর্মীরা কেন চুপ? বা তমুকের নৃশংসতার ব্যাপারে বিবৃতি নেই কেন? তখন তাঁরা আসলে বলতে চান যে এইসব অমানবিক কাজের প্রতিবাদ নেই কেন?

    আবার স্পষ্ট করি---এটা মানবাধিকার কর্মীদের কাজের ক্ষেত্র নিয়ে ভুল ধারণার ফল। এরা ভূদান করছেন না, বিনোবা ভাবে ন'ন। ওদের কাজ রাষ্ট্রের অত্যাচারের ব্যাপারে প্রতিবাদ করা। সেটা বঙ্গে সিপিএম, ছত্তিশগড়ে বিজেপি, দিল্লিতে কংগ্রেস। হয়তো ২০১১'র পর বঙ্গে মমতা হবে।
    আশা করি খানিকটা স্পষ্ট করতে পেরেছি। তাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নন্দীগ্রাম নিয়ে রিপোর্ট বানায়, লালগড়ে কিষেনজীকে নিয়ে নয়। এরা তো আর মমতার ছত্রছায়ায় নেই। সারা দুনিয়ায় যেখানেই রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহার হয় সেখানেই রিপোর্ট বানায়।
  • ranjan roy | 122.168.218.56 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৬:৪৯432207
  • PT, এককথা কতবার জিগ্যেস করবেন? আসলে আপনি কারো লেখা মন দিয়ে পড়েন না। ক'দিন আগেই কল্লোল স্পষ্ট লিখেছেন যে রণক্ষেত্রে মাওবাদীসেনা বা ভারতীয় রাষ্ট্রসেনা কারো মৃত্যুতেই শোক করার কিছু নেই। কারণ দুপক্ষই মরবে-মারবে জেনে তৈরি হয়ে এসেছে। প্রশ্ন রাজায়-রাজায় যুদ্ধের সময় যদি উলুখাগড়ার প্রাণ যায় তাদের হয়ে কথা বলার।
    আর আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নটি সেরেফ প্রশ্নের খাতিরে প্রশ্ন করা।
    কারণ, এক, ফেক এন্‌কাউন্টার যে ক্ষমতায় আছে শুধু সেই করতে পারে, যে পড়ে পড়ে লাগাতার মার খাচ্ছে সে করতে পারে না।
    দুই, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সমস্ত এনকাউন্টারই ফেক, ওটা আপনার কথা, আমার নয়।
    তিন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে মাৎসন্যায় করে মরলে( নকু-মাকু-কং-তিনো নির্বিশেষে) তার জন্যে দেশের আইন্‌কানুন ( ইন্ডিয়ান পেনাল কোড) আছে। সেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখবে। মানবাধিকারের ইস্যু তখনই জন্ম নেবে যখন রাষ্ট্রযন্ত্র আইনের শাসন স্থাপন করতে গিয়ে কোন দলের বিরুদ্ধে ( নকু-মাকু-কং-তিনো-আর এস এস-জামায়েত ইসলামী নির্বিশেষে)নিজেরাই আইন ভাঙ্গছে, অর্থাৎ বে-আইনী তরিকা ইউজ করছে। আবার বলছি মানবাধিকারের কাজ হল রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ওয়াচ ডগের কাজ করা।কোন ব্যক্তি বাদল বাগ্রুপ বে-আইনী কাজ করলে তার জন্যেদেশের আইন কানুন আছে। কিন্তু রাষ্ট্র নিজেই নিজের কানুন ভানগলে তার জন্যে মানবাধিকার সংগঠন।
    এর বেশি চাওয়া মানে আবার ওই শেতলা মায়ের কাছে পরীক্ষা পাশের পূজো দেয়া।
  • pinaki | 67.43.241.179 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৭:০১432208
  • রঞ্জনদার বক্তব্যটা পুরোটা বোধহয় তথ্যগতভাবে ঠিক নয়। মানবাধিকার কর্মীরা শুধু রাষ্ট্রের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে কথা বলবে - এরকম বোধহয় নয়। যেকারণে কিছুদিন আগে মাওবাদীরা যখন জামুরই এর ১২ জন নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে মারল, মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে সেখানে বক্তব্যটা হল মাওবাদীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে - এটা ধরে নিয়ে তাদের জেনেভা কনভেনশন মানতে বাধ্য করা এবং নিরস্ত্রকে মারা বা এইধরণের প্রোটোকলগুলো না মানাটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে কাউন্ট করা। যে কারণে রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধে মাওবাদী মারা গেলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করে না, কিন্তু সাধারণ লোক মারা গেলে করে। নিষিদ্ধ নয়, এমন গণ সংগঠনের লোককে পুলিশ মারলে তার প্রতিবাদ করা হয়। কিন্তু পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সশস্ত্র রাষ্ট্র বা মাওবাদী - এরা একে অপরকে মারলে প্রতিবাদ করা হয় না। গ্রীন হান্টের প্রতিবাদ করা হয় এইজন্য নয়, যে সেটায় কিছু মাওবাদী মারা যেতে পারে, বরং এইজন্যে যে সেটায় সাধারণ নিরস্ত্র আদিবাসীদের মানবাধিকার হরণ হবে।

    তবে ঐ মৃতের দেহ দাহ করতে না দেওয়ার বিরুদ্ধে পকাবুরা প্রতিবাদ করেছিলেন। পিটিবাবু দেখেন নি। পুলিশের চর বলে মেরে দেওয়া এবং মেয়েকে দিয়ে বাবা সিপিএম করবে না জাতীয় পোস্টার লেখানোরও প্রতিবাদ করা হয়েছে। পিটিবাবু দেখেন নি। আসলে এইগুলো সবই প্রতিদিন বা দৈনিক স্টেটসম্যান এ বেরিয়েছে। আজকাল বা আবাপ তে বেরোয় নি। তাই চোখে পড়ে নি।
  • PT | 203.110.246.230 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৭:৪২432211
  • @ ranjan

    ১। আপনি আর kallol যে একই দলে আছেন তা জানতাম না। আজ থেকে ক-র উত্তর র-এর আর র-এর উত্তর ক-এর বলে ধরে নেব।

    ২। ক্ষমতায় থাকলেই ফেক এনকাউন্টার করা যায় এই কথাটা সত্যি হলে এতগুলো সিপিএম-এর কর্মী মাওবাদীদের হাতে মরত না। কিছুদিন আগে এই টইতে কেউ একজন বিভিন্ন রাজ্যে সাধারণ মানুষ , পুলিশ আর মাওবাদীদের মৃত্যুর তুলনামূলক পরিসংখ্যান দিয়েছেন --- সেটা দেখে নেবেন।

    ৩। একটু ভুল বুঝেছেন আমার কথা। মাওবাদীদের দ্বারা সংঘটিত সব হত্যাকান্ড বা এনকাউন্টারই ফেক-এই কথাটা বলতে চেয়েছি। কেননা তাদের কোন কাজকর্মেরই কোন আইনি বৈধতা নেই।

    ৪। এক নি:শ্বাসে সব দলের নাম উচ্চারণ করলেন দেখে বিস্মিত হলাম। যারা রাষ্ট্রকে মানে আর যারা মানেনা তাদের সকলের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অবস্থান এক হবে কেন?

    ৫। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল যাই বলুক না কেন, রাষ্ট্রকে রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রেরই। এবং রাষ্ট্রকে আঘাত করতে যাচ্ছে এমন কোন শক্তিকে in anticipation প্রতিহত করার দায়িত্বও রাষ্ট্রের।

    ৬। শ'খানেকেরও বেশী যেসব নেংটি পরা রাষ্ট্রশক্তির প্রতিনিধি (আদিবাসী) মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছে তাদের সম্বন্ধে অ্যামনেস্টি কি লিখেছে জানতে সাধ জাগে। (standard উত্তর: মাওবাদী মরলে রাষ্ট্র মারছে আর নেংটি পরা আদিবাসী মরলে রাষ্ট্র আর মাওবাদীদের লড়াইয়ের মাঝে পরে মারা যাচ্ছে!!)

    ৭। সর্বোপরি-- কতবার আর লিখব-- বোঝাই যাচ্ছে আমার লেখাও অন্যরা পড়েনা। আদিবাসীরা মাওবাদীদের হিংস্র পথের মাধ্যমে উপকৃত হতে চায় সেটা জানার উপায় কি? মাওবাদীরা যদি আদিবাসীদের বেশীর ভাগের মতামতের প্রতিনিধিত্ব না করে তাহলে তারা তো চম্বলের দস্যুদের মত অস্ত্রধারী ডাকাত মাত্র।

    ৮। মাও/মার্ক্স ইত্যাদিদের নামে আরেক মার্ক্সবাদী দলের লোককে মারার রাজনৈতিক ব্যাখ্যা কি? চারু মজুমদারের একটি নির্বোধ রাজনৈতিক তত্বের প্রয়োগ নিশ্চয়। এমনকি কলিঙ্গনগ্রের হত্যাকান্ডের পরে এরা কতজন শ্রেনীশত্রু ক্ষতম করেছে জানতে ইচ্ছা করে। এই তথাকথিত মাওবাদীরা তাহলে কাদের স্বার্থে তাদের কর্মকান্ড চালাচ্ছে?

  • Rajdeep | 202.79.203.59 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৭:৫০432212
  • ""পকাবু"" দের প্রতিবাদ দেখার জন্য দু দুটো দৈনিক জাগো বাংলা রেকমেন্ড করছেন ? :-)

    ও দুটো কাগজ রোজ খুঁটিয়ে পড়া সত্যি চাপের ;-) তবে হ্যাঁ রাষ্ট্রশক্তির রেলদপ্তরের নানারকম তথ্যে পরিপুর্ণ বিজ্ঞাপন যদি দেখতে চান এবং ভারতীয় রেলচলাচলের বিষয়ে গবেষক হোন তাহলে কিন্তু হেব্বি কাজে দেবে - রোজ মন দিয়ে পড়ুন

    মাইরি ! ইন্টারলকিং কাজের জন্য এর্নাকুলামে মালাবার এক্সপ্রেস দুদিন বেশিক্ষণ দাঁড়াবে - সেই টাইপের অ্যাডও ঐ দুই কাগজে ; মিষ্টান্ন বিতরে.......
  • ranjan roy | 122.168.243.43 | ০১ মার্চ ২০১০ ২৩:১৭432213
  • PT,
    না:, আপনার সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা আমার সত্যি নেই। শেষ বারের মত নাক খত দিয়ে আপনার সঙ্গে প্রশ্নোত্তরের পালা থেকে বিদায় নিচ্ছি।
    শুধু তিনটে কথা বলে যাই।
    এক, অ্যামনেস্টি বা যেকোন মানবাধিকার সংগঠনের রোল হল রাষ্ট্রশক্তির ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধেসরব হওয়া। যেকোন মানবিক ইস্যুতে মুখর হওয়া নয়। তার জন্যে অন্য সংগঠন আছে।
    হ্যাঁ, রাষ্ট্রই রাষ্ট্রকে রক্ষা করবে, কিন্তু সংবিধান এবং আইনি পদ্ধতিকে মেনে, নইলে মাওবাদীদের পদ্ধতি আর রাষ্ট্রের পদ্ধতি এক হয়ে যায়। এইটাই মানবাধিকারের ইস্যু।
    দুই, ফেক এনকাউন্টারের আপনার নিজস্ব পরিভাষা আপনি অন্যের ওপর চাপাতে পারেন না। ফেক এনকাউন্টারের সর্বজনস্বীকৃত মানে হল যে আদৌ কোন এনকাউন্টার হয় নি। ধরে বেঁধে গুলি করে মারা হয়েছে।
    আইনি স্বীকৃতি না হলে এনকাউন্টার ফেক এই কথাটা অর্থহীন। মাওবাদীদের ক্যাঙ্গারু কোর্টে কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়া আদৌ কোন এনকাউন্টারই নয়।
    কাজেই যে কারণে সমস্ত রকম মৃত্যুদন্ডের বিরোধিতা/নিন্দে করি, সেই কারণেই মাওবাদীদের দেয়া মৃত্যুদন্ডেরও বিরোধিতা করব।
    আর মাওবাদীরা নিজেদের এনকাউন্টারের কথা বলে, ফেক অর আদারওয়াইজ, এটা আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। স্পষ্টত: ফেক এনকাউন্টারের মানেই হল ভিকটিমকে বন্দী করে মারা। এটা যে শক্তিশালী সেই করতে পারে। এই জন্যেই রাষ্ট্রযন্ত্রই দরকার মত ফেক এনকাউন্টার করে। কিছু এলাকায় সিপি এম দুর্বল, মার খাচ্ছে, কাজেই সেখানে সিপিএম ফেক এন্‌কাউন্টার করবে , আপনার এই হাইপোথিসিসটাই ক¾ট্রাডিকটরি--এই কথাটাই বলতে চেয়ে ছিলাম।
    তিন, রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতার অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানেই বিরুদ্ধ পক্ষের কার্যশৈলীকে বা ইডিওলজিকে সমর্থন করা নয়, হাজারবার বলেছি, আজকেও বলেছি।
    ফলে মাওবাদী ও আদিবাসীদের সমপর্ক নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে যাব কেন? আমি ও কল্লোল তো মাওবাদীদের মত ও পথকে সঠিক মনে করি না।
    না: আপনি সত্যিই মন দিয়ে অন্যের বক্তব্য শোনেন না। অনর্থক কিছু প্রশ্ন করেন।
    ""আপনি গড়ি তোলে বিপদজাল, আপনি কাটি দেয় তাহা''।
    আমাকে ছাড়ান দ্যান। নমস্কার।
  • ranjan roy | 122.168.243.43 | ০১ মার্চ ২০১০ ২৩:৩১432214
  • পিনাকি এবং অর্পণ পুরোপুরি সঠিক। তবে আমার বক্তব্য হল লিট্টে লংকার একটা অঞ্চলে সরকার প্রতিষ্ঠাব করেছিল। রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউ এন ওতে মান্যতার চেষ্টা ইত্যাদির মাধ্যমে জাফনা এলাকায় পুরোদস্তুর রাষ্ট্রশক্তি হয়ে উঠেছিল। তাই তাদের কার্যকলাপের ব্যাপারে ওয়াচ ডগ হওয়া মানবাধিকার সংগঠনের আওতায় আসে।
    মাওবাদীরা যদি বস্তার বা এমনি কোন অঞ্চলে সমানান্তর সরকার স্থাপন করে ( সম্ভাবনা কম) তাহলে তারাও ইকুয়ালি মানাবাধিকার সংগঠনের লেন্সের তলায় আসবে।
    বিনায়ক সেন থেকে শুরু করে অনেকেই সেন্সলেস হিংসার আশ্রয় নেয়ার বিরোধ করেছেন,
    ( আমার মতে ব্যক্তিগত কনসার্ন থেকে, মানবাধিকার সংগঠনের প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে নয়)। তবু---।
    গোধরা কান্ডের সময় আর এস এস এর বক্তব্য ছিল যে সোনিয়া গান্ধী কেন এস-৬ কোচে পুড়ে মরা ছেলেগুলোর জন্যে দু:খপ্রকাশ করেন নি বা ঘটনার নিন্দে করেন নি। তাহলেই নাকি পোস্ট-গোধরা ব্যাপক হত্যাকান্ড ঘটত না।
  • kallol | 124.124.93.202 | ০২ মার্চ ২০১০ ১০:০৬432215
  • সেদিন কাগজে দেখলাম পুলিশে বলছে উন্নয়ন করেই মাওবাদীদের হঠাতে হবে। গ্রাম ধরে ধরে উন্নয়ন করতে হবে। ওরা প্রস্তাব দিয়েছেন ছত্রধরের গ্রাম থেকেই শুরু করতে হবে।
    সীমিত ক্ষমতায় এরকম করা যায় বুঝি??
    তা, পশ্চাতে মাওহুড়ো না খেলে এগুলো মাথা থেকে বের হয় না বুঝি???

    যে পার্টিটার নেতা (কোথাকার যেন মেয়র) আরএসএসের অফিস উদ্বোধনে যায়। পরে তাকে তাড়িয়ে দেয় বটে। কিন্তু পোস্নো হলো - নেতারা আদৌ যায় কেন? মানব আবার কোথায় যেন মন্দিরে পূজোটুজো দিয়েছে, সুভাস তো তারাপীঠ না তারকেশ্বরে মালাও চড়িয়েছিলো। এদের গায়ে হাত দেবার সাহস পোকাশদের নেই অবশ্য।
    তাদের আবার বক্তব্য!!!

    সিপিএম এর আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে কোন ভাবনা আছে কি?
    এবার উত্তরের বদলে পাল্টা পোস্নো আসবে - তিণোদের, মাওদের পকাবুদের মানবাধিকারেদের আছে কি?
    উত্তর জানা থাকলে দিবেন, পাল্টা পোস্নো কবিবেন না। পোস্নো করুন - জবাব পাবেন। পাল্টা পোস্নো জবাব লয়।
  • PT | 203.110.246.230 | ০২ মার্চ ২০১০ ১০:২৫432216
  • ""মাওবাদী ও আদিবাসীদের সম্পর্ক নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে যাব কেন?""
    ---বোঝা গেল যে আসল সমস্যাটা এইখানেই নিহিত। অর্থাৎ মাওব্যথীরা এই সম্পর্কটা প্রমাণ করতে চান না। কেননা তাহলে দেখা যাবে হয়ত মাওবাদীরা আদিবাসীদের নাম করে নিছক ডাকাতি করছে। আর ডাকাতদের মানবাধিকারের ব্যাপারটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা যেতে পারে।

    আরো একটা প্রশ্ন বার পাঁচেক করেও উত্তর পাওয়া গেলনা। কলিঙ্গনগরের ১৬ জনের মৃত্যু মাওবাদীরা কি করে হিমঘরে পাঠিয়ে দিল!! নাকি মাওবাদীদের এই রাজনৈতিক অবস্থানকে নিয়ে মাওব্যথী বা পকাবুরা কোন আলোচনাতে ঢুকতে চাননা।

    বস্তারে মাওবাদীরা সমান্তরাল সরকার গড়লেই সেটাকে অ্যামনেস্টি আর পাঁচটা সরকারের মত বিচার করবে সেটা সম্ভবত: ভুল তথ্য। কোন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া অ্যামনেস্টির এক্তিয়ারভুক্ত নয়।

    01 Mar 2010 -- 02:15 PM-র পোস্টিং :""ওদের (মানবাধিকার কর্মীদের) একটাই কাজ। রাষ্ট্রসংঘের চার্টার অনুযায়ী নাগরিকদের যে অধিকার দেওয়া আছে তা রাষ্ট্রযন্ত্র ঠিক মত পালন করছে কিনা তা দেখা।"" যারা ভারতবর্ষের সংবিধান মানে না এবং সেই সংবিধানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দেশটিকে উৎখাৎ করতে চায় তারা ভারতের নাগরিক? সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য একটি দেশ ভারতবর্ষের সংবিধানে প্রদত্ত মানবাধিকার মাওবাদীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কেন? সেই মানবাধিকার ভারতকে দেশ হিসেবে মানে এমন আদিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এই বাক্যটির মাধ্যমে ইচ্ছে করে আদিবাসী এবং মাওবাদীদের এক করে দেখানোর চেষ্টা চলছে?
  • PT | 203.110.246.230 | ০২ মার্চ ২০১০ ১০:২৭432217
  • সিপিএমের আয়নাতে প্রতিচ্ছবি না দেখে কিছু ভাবা যায়না বুঝি?
  • Arpan | 216.52.215.232 | ০২ মার্চ ২০১০ ১০:৩৪432218
  • পিটিবাবু, একটু কামান দাগা বন্ধ রেখে গুগলে সার্চান। ওড়িশায় মাওবাদীদের কার্যকলাপের অনেক লিংক পাবেন।
  • a | 208.240.243.170 | ০২ মার্চ ২০১০ ১০:৩৮432219
  • রন্‌জন দা, ধন্যবাদ উত্তরের জন্যে। মানবিধিকার গ্রুপগুলোর কাজ আর scope সম্বন্ধে খানিকটা ধারণা হল। কিছু লিংক দেবেন যাতে আরেকটু পড়াশোনা করতে পারি এই বাবদ?

    আপনার ২:৩২ এর পোস্টটা পড়ে একটা ইন্‌ফারেন্স টানছি, আপনি আইন পড়েন নি, academically। না, অপরাধীকে ডিফেন্স দেওয়া রাষ্ট্রের দায় নয়, আসামীকে ডিফেন্স দেওয়া হয় যতক্ষণ না তার দোষ প্রমাণ হচ্ছে। কাসবকে ফেয়ার ট্রায়াল দেওয়া নিয়ে ডিসপিউট আছে, আমার মতে এই ডিসিশনটা মূলত কূটনৈতিক।

    এখানেই আমি বারবার বলছি, মাওবাদীরা "অপরাধী", আসামী নয়। তাদের চার্টার আর ফিলোসফি অনুযায়ীই তারা de-facto অপরাধী। এটা নিশ্চই জানেন খুন না করলেও তার প্ল্যান করা এমনকি ভাষণ দিয়ে খুন করতে প্ররোচনা দেওয়াও শাস্তিযোগ্য? যদি তাই হয়, তাহলে কেন এদের সপক্ষে অনেকানেক মানবতা বিরোধী গ্রুপকে দেখা জাচ্ছে?

    এই জায়গাটাকে আপনি অস্বীকার করছেন, যে, human rights groups are not standing by maoists, কিন্তু এটা জেনেরাল পার্সেপশন। সেটা কি অস্বীকার করতে পারবেন?
  • PT | 203.110.246.230 | ০২ মার্চ ২০১০ ১০:৪৪432222
  • @ Arpan

    খুব একটা সার্চানোর দরকার নেই। উড়িষ্যাতে মাওবাদীরা সরকারী রাজনৈতিক দলের কতজন কর্মী-নেতাকে খতম করেছে তার হিসেব দেখলে এবং তার সঙ্গে প:বঙ্গে তাদের কার্যকলাপের তুলনা করলেই, ডাল মে যে কুছ কালা হ্যায় সেটা পরিষ্কার হবে।
  • a | 208.240.243.170 | ০২ মার্চ ২০১০ ১১:০৮432223
  • পিটিবাবু, একদম ঠিক, মাওবাদীরাও ভারতের নাগরিক। এটা যত দ্রুত বুঝবেন, ততই ভালো।

    সিপিয়েমের কথা আর তুলবেন না প্লীজ। এবিষয়ে তিনোমুল আর সিপিয়েম সমান ভাবে "ঢ্যামনামি" করছে।
  • PT | 203.110.246.230 | ০২ মার্চ ২০১০ ১১:১৬432224
  • @ a

    কিষেণজীকে ভারত সরকার passport দেবে তো?
  • a | 208.240.243.170 | ০২ মার্চ ২০১০ ১১:৪২432225
  • সেতো বহু MP কেও দেবেনা, জেলে আছে বলে। তো তারা কি ভারতের নাগরিক নয়? নাহলে MP হল কি করে? এরকম পল্কা যুক্তি দেন কি করে?
  • kallol | 124.124.93.202 | ০২ মার্চ ২০১০ ১২:০২432226
  • পিটিবাবু - সিপিএমএর আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে কোন ভাবনা আছে কি? পাল্টা পোস্নো করে এড়িয়ে যাবেন না। উত্তর না দিয়ে পাল্টা পোস্নো বা ফাঁকা আবাজ দিলে বোঝা যাবেই ডাল মে গভীর কালা হ্যায়।

    অ - জেনারেল পার্সেপশন হলো, মানবাধিকার সংগঠনগুলো যতো চোর, ডাকাত, মাওবাদী, সন্ত্রাসবাদী এদের অধিকার নিয়েই চ্যঁচায় - কই, এরা যখন পুলিশ মারে তখন তো কিছু বলে না! পুলিশের কি মানবধিকার নাই?

    আমার সীমিত জ্ঞান নিয়ে বলার চেষ্টা করি।
    ১) পুলিশের মানবাধিকার আছে কি না।
    ব্যক্তি পুলিশের অবশ্যই আছে। এর পরে কিছু ভাগভাগি আছে : ১ক) যেসব মানবাধিকার সংগঠন মনে করেন যে রাষ্ট্র দমনের যন্ত্র (নৈরাজ্যবাদী বা মার্কসবাদী দর্শনে আস্থা রাখেন) - তারা মনে করেন পুলিশ-সেনাবাহিনী-বিচারবিভাগ-প্রশাসন যেহেতু ঐ দমনযন্ত্রের অংশ তাই তাদের ওপর আক্রমন (এক্ষেত্রে ওঁরা প্রতিআক্রমন কথাটা ব্যবহার করেন) মানবাধিকার
    হরনের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু রাষ্ট্রের যন্ত্র দিয়েই তাদের মুখোশ খুলে দেবার জন্য তারা পুলিশ বা বিচারবিভাগকে ব্যবহার করেন (থানায় ডাইরী করা বা মানবাধিকার সংক্রান্ত মামলা করা)।
    ১খ) যেসব মানবাধিকার সংগঠন মনে করেন রাষ্ট্র দমনের যন্ত্র হলেও তার কল্যানকর কিছু দিকও আছে। সময় সময় রাষ্ট্র সামাজিক-রাজনৈতিক চাপে/বাধ্যবাধকতায় কিছু আইন তৈরী করে/কিছু আদালতের রায় দেয় যা মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত/অধিকারের সীমানা বাড়িয়ে দেয়। তারা রাষ্ট্রের উপর আক্রমনের বিরোধী যদি তা একতরফা ভাবে হয়। মানে প্রতিআক্রমন বা আত্মরক্ষার তাগিদে হিংসা এঁরা মানবাধিকার হরণের আওতয় রাখেন না। কিন্তু কোথাও কিছু নেই হঠাৎ থানা উড়িয়ে দিলো - এটা মানবাধিকার হরণ - শুধু পুলিশের নয়, এলাকার সাধারণ মানুষেরও - তাদের নিরাপত্তা পাবার অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
    ১গ) যেসব মানবাধিকার সংগঠন মনে করেন রাষ্ট্র ও রাষ্টের আইনের আওতায়ই মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে হবে এবং হিংসা কোন পন্থা নয়। তারা আইনী হিংসা (আত্মরক্ষার তাগিদে হিংসা) ছাড়া যেকোন হিংসাকেই মানবাধিকার হরণ বলে মানেন।

    মানবাধিকার সংগঠনগুলো যতো চোর, ডাকাত, মাওবাদী, সন্ত্রাসবাদী এদের অধিকার নিয়েই চ্যঁচায় - এটা নিয়ে একটু পরে আসছি।
  • PT | 203.110.246.230 | ০২ মার্চ ২০১০ ১২:১৪432227
  • আপনি ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি।

    পাসপোর্ট ফর্মের 17(c) কলমে কারো বিরুদ্ধে কোন মামলা থাকলে তার NOC জমা দিতে হবে। এই ধারাটি ঐ বজ্জাত এমএলএ, এমপিদের জন্য। এটা আইন সংক্রান্ত ব্যাপার।

    কিষেনজীর সমস্যা অন্যত্র। ঐ ফর্মের ১৯ নং কলমে তাঁকে declaration দিয়ে সই করতে হবে এই বলে: I owe allegiance to the sovereignty, unity & integrity of India...."। নাহলে তিনি পাসপোর্ট পেতে পারেন না কেননা পাসপোর্টের প্রথম পাতাতে লেখা থাকে যে: ""These are to request and require in the name of the President of the Republic of India all those whom it may concern to allow the bearer of this passport to pass freely without let or hindrance and to afford him or her every assistance and protection of which he or she may stand in need.

    ভাবতেও আনন্দ লাগছে যে ভারত সরকারের protection-নিয়ে কোনদিন কিষেণজী বিদেশ সফরে যাচ্ছেন!!
  • PT | 203.110.246.230 | ০২ মার্চ ২০১০ ১২:১৭432228
  • আমার পোস্টিংটা a-র জন্য।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ০২ মার্চ ২০১০ ১২:১৮432229
  • ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে? প্রচণ্ড যান নাই?
  • PT | 203.110.246.230 | ০২ মার্চ ২০১০ ১২:২৫432230
  • প্রচন্ড তো তখন নিজেই রাষ্ট্র, তাই না? (time-frame টা মনে নেই)
  • kallol | 124.124.93.202 | ০২ মার্চ ২০১০ ১২:২৭432231
  • রাষ্ট্র কিছু আইন করেছে যা রাষ্ট্রকেও মানতে হয়। কিন্তু আজ থেকে বছর ৪০ আগেও রাষ্টের আইন ভাঙ্গা নিয়ে খুব একটা কথা হতো না।
    আইনে আছে গ্রেফতার হওয়া মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে, কিন্তু মানসিক বা শারিরীক অত্যাচার করা যাবে না। জিজ্ঞাসাবাদের সময় গ্রেফতার হওয়া মানুষটির উকিল থাকতে পারবে এবং উত্তর দেওয়ার আগে একান্তে সে তার উকিলের সাথে পরামর্শ করার অধিকারী।
    গ্রেফতরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করতে হবে।
    ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না দিলে মামলা ""নাল অ্যান্ড ভয়েড"" হয়ে যাবে।
    এরকম আরও নানান আইন আছে - যা পুলিশ আগে মানতই না, এখনো চাপে না পড়লে মানে না।
    এই আইনগুলো না মানলে গ্রেফতর হওয়া মানুষটির মানবাধিকার/আইনী অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাতে মানবাধিকার সংগঠনেরা চ্যাঁচামিচি করলেই - লোকে, বিশেষ করে পুলিশে বলে - এরা যতো চোর-ডাকাত....... ইত্যাদি ইত্যাদি।
    তাতেই ঐ জেনারেল পার্সেপশন।
  • a | 208.240.243.170 | ০২ মার্চ ২০১০ ১৩:১৪432233
  • কল্লোলদা, একমত। কিন্তু, এটাও তো ঘটনা যে কিছু কিছু exceptional scenario থাকে যখন এই নিয়্‌মগুলো চলে না, যেমন কার্ফিউ ইত্যাদি। তবে, বেসিকালি, আমি আপনার সাথে ক, এই জেনেরাল পার্সেপশনের বিষয়ে। আর মূল প্রশ্নের উত্তর রন্‌জন দা দিয়েই দিয়েছেন, মানবাধিকার গ্রুপগুলো মাওবাদীদের পক্ষে নয়, সাধারণ মানুষের পক্ষে। এইখানে কিন্তু জেনেরাল পার্সেপশনটা রয়েই যাচ্ছে আর চিদুবাবু তাকে হার্প করেই চলেছেন।

    আরেকটা কথা, পকাবু আর মান্বাধিকার গ্রুপগুলো তো আর এক নয়। তাহলে এদের এক করে দেখানো চেষ্টা কেন?

    পিটিবাবু, আমি বুঝিনি না আপানি বোঝাতে পারেন্নি? আপনার বক্তব্য (আমি যা বুঝেছি) ছিল, মাওবাদীরা ভারতের নাগরিক নয়। কারণ এরা পাসপোর্ট পাবে না।

    অ) কোথায় লেখা আছে পাসপোর্ট না পেলে ভারতিয় নাগরিক হওয়া যাবে না? পাস্পোর্ট একটা আইনি ডকু, সেটা পাবার কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো মিট না করলে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না। এর সাথে নাগরিকত্ব (বাই বার্থ) এর যোগ কোথায়?
    পাসপোর্ট থাক্লে আপনি ভারতের নাগরিক, কিন্তু উল্টোটা সত্যি না।
    আ) কোন ধারা/উপধারা অনুযায়ী মাওবদীরা ভারতীয় নয় বলুন তো? পাসপোর্ট আর তুলবেন না প্লীজ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন