এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্কুলের শিক্ষা পদ্ধতি, এদেশীয় বনাম বিদেশীয়....

    M
    অন্যান্য | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ১১৭৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৩৫433128
  • হৃদয় বাচ্চারা তিন চার বছরেই চিনে ফেলতে পারে, তাদের মনে হৃদয় এবং হার্ট নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে।

    আমার ছেলের স্কুলের এলিমেন্টারি সেকশনে ক্লাস টুয়ের ক্লাসরুমে দেখেছি কাঠের কংকাল ঝুলছে দেওয়ালে, টেবিলে রাখা প্লাস্টিকের হার্ট। ঐ দেখে দেখে আমার তিন বছরের ছেলেও কংকাল, হার্ট ইত্যাদি জেনে গেছে। চাপ কিছুই নেই।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৪১433129
  • সে তো ঠিক আছে। কিন্তু প:ব: বোর্ডে অত ছোট বয়সে হার্টের ভেতরের জিনিসপত্তরের নাম মুখস্থ কবে করতে হল?
  • vikram | 193.120.76.238 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৪২433130
  • কঙ্কালের একটা শেপ আছে তাই মস্তি লাগে। হার্টের চেহারাটাই কেমন যেন, বিমূর্ত টাইপ।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৫৭433131
  • মুখস্ত করতে হলে সবই চাপ হে অর্পণ। ক্লাস টুয়েই মুখস্ত করি, আর ক্লাস নাইনে, কলেজে গিয়ে সব ভুলে যাব অবধারিত, যদি না বিদ্যাসাগরের মতন মেধাবী হই। হার্টের কাজ কি সেটা জানা জরুরী। আর সেটা হাতে কলমে দেখিয়ে দিলে তিন বছরে শিখলেও আজীবন মনে থাকবে। যারা ডাক্তার হবে না তাদের এর বেশি শেখার দরকারই বা কি?
  • Arpan | 204.138.240.254 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:০৯433132
  • কিন্তু আমার তো মনে পড়ে না ইতিহাস আর ভূগোল ছাড়া অন্য কিছু মুখস্থ করেছি বলে। ওই যে লিখলাম ক্লে মডেল ছিল না। কিন্তু রঙীন চার্ট ছিল। তাতে কার্ডিয়াক সাইকল লাল আর নীল রঙে রাঙিয়ে চমৎকার বোঝানো ছিল।

    এইবার তুমি বলতে পার সব গভ: স্কুলে এইভাবে শিখিয়েছে কিনা! সেইটা অন্য ব্যপার। তাতে কারিকুলামটাকে খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না। সেইটাই আমার বক্তব্য ছিল।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:১৯433133
  • মএর ছেলের স্কুলের কথা শুনে ভালো লাগল। এই বয়সে হার্টের শিরা উপশিরার নাম মুখস্ত করার থেকে সাঁতার টেনিস খেলা অনেক ভালো।

    মধ্যবিত্তের স্কুলে পড়ে নিম্নবিত্তদের প্রতি সহানুভূতি কতটা গড়ে ওঠে জানি না। (চারপাশে যা কিছু সহানুভূতির ছড়াছড়ি দেখি সবই প্রায় মৌখিক অথবা লৈখিক)। কিন্তু এই যে বেশি মেধাবী আর কম মেধাবীদের বিভাজন, তাও টিচারের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ে - এটা কি সমাজের পক্ষে কম ক্ষতিকর? এইসব মেধাবীরাই তো বড় হয়ে বড় বড় চাকরি করবে। তারা তখন গুরুর পাতায় বড় বড় পোস্ট লিখতে পারবে হয়ত, কিন্তু ছোটোবেলার কম মেধাবী সহপাঠীরা, যারা স্বাভাবিকভাবেই কম মাইনের চাকরি করছে, তাদের প্রতি তুচ্ছতার মনোভাব কি সত্যি দূর হবে?

    মফস্বলের স্কুলে এই বিভাজন আছে, সেখানে পিছিয়ে পড়ারা বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেকেরই হয়ত প্রথম জেনারেশন স্কুলে পড়ছে। ফার্স্ট হওয়া প্রথম দিকের মেয়েরা অধিকাংশ সময়েই অনেক বেশি অবস্থাপন্ন ঘরের। নিম্নবিত্ত মেয়েরা কেউ চমকপ্রদ মেধাবী না হলে টিচারদের ক্লাসে তাদের দিকে মনোযোগ দিতে দেখি নি কখোনো। আর ভালো মেয়েদের পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য করা? আরো কম দেখেছি।

    অতএব বড় ম, একদম দু:খ করবেন না। অন্য মানুষের প্রতি সহানুভূতির শিক্ষা - যেসব স্কুলে টিচাররা শুধু ক্রিমদেরই গ্রুম করেন, আর পিছিয়ে পড়াদের দিকে তাকান না, যেখানে শাস্তিই হচ্ছে পড়াশুনো করার একমাত্র ইনসেন্টিভ - সেইরকম পরিবেশ থেকে কখোনো আসে না, আসতে পারে না। যাদের আসে তাদের বাড়ির পরিবেশ থেকে আসে। স্কুল থেকে নয়।

    ছোটোবেলায় সবচেয়ে দরকারী নি:শর্ত ভালোবাসা - ধন, মেধা নির্বিশেষে। বাচ্চা নিজে সেটা পেলে তবেই অন্যকে দিতে শিখবে। আপনার ছেলে যেখানে সেই ভালোবাসা পাবে, সেখানে বিলিয়ার্ডই শেখানো হোক আর ক্যারম, সেটাই তার পক্ষে আদর্শ শিক্ষার জায়গা।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:২২433134
  • অপ্পন কি আমাকে বললে? আমি কিন্তু মাঝের কোনো পোস্ট পড়ি নি, কারিকুলাম নিয়েও কিছু বলি নি। :-)))

    যা হোক, এবার কাজ করতে চল্লাম।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:২৩433135
  • হু। কাটাও। আমিও কাজ সারি। :-)
  • pi | 72.83.210.50 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:০৩433136
  • হার্টের চেহারা বিমূর্ত এ আমিও অনেক আগে বুয়েচিলাম। আর আমার ইস্কুলের দিদিমণি। আমার আঁকা ব্যাঙের হৃদয় দেখে বায়োদিমণি কয়েছিলেন একাডেমি অব ফাইন আর্টসে পাঠাতে।

    মাইরি বলছি,ক্লাশ টেন অব্দি ঐ গরু, টিকটিকি, আরশোলা, ব্যাঙের শরীরের সমস্ত কলকব্জা এইসব আঁকতে না হলে আমি বারো ক্লাশে বায়ো কখনো ছেড়ে দিতুম না।

    কিন্তু সেই পশ্‌শু থেকে বলে আসার পরেও বড়মা বুবুভা করে লিখলো না ! x-(
  • vikram | 193.120.76.238 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:২৪433138
  • মটর গাছের চিত্র, ধুতুরা ফুলের পুংকেশর গর্ভকেশরচক্র, জবাফুল, সাইন্যাপ্স সহ নিউরন (লোকে গুছিয়ে নেফ্রন আঁকতো, কখনও আবার তার উল্টো), দ্বিবীজপত্রী গাছের কাণ্ডের প্রস্থচ্ছেদ, রসের উৎস্রোত, প্যারেনকাইমা, নিউক্লিয়াস, জার্সি গরু (এইটা আমাদের দুবার এসেছিলো), আর একজাম্পল হিসাবে বিস্ফারিত চক্ষুসহ গয়টার।

  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:২৯433139
  • ব্যাঙের পৌষ্টিকতন্ত্র? ও আমি এখনো না দেখে ঝক্কাস। অন্য লোকে চিনতে পারে না তাদের দোষ। আমার আঁকায় ভুল নাই।
  • anandaB | 170.35.224.64 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪৯433140
  • প্রথম পাতা থেকে পড়তে গিয়ে একটা জোড়ালো ধাক্কা খেলাম...

    আজ কত, কত দিন বাদে বিনয় স্যারের নাম শুনলাম...

    M, আপনার ভাই কি ১৯৭৬-৮৭ এই সময়কালীন আর্য্য বিদ্যা মন্দির-এ পড়েছিলেন? ইনফ্যান্ট থেকে ক্লাস টেন, ঐ সময় টা কাটিয়েছি ওখানে, খুব দু:খ ছিলো কেন উচ্চ মাধ্যমিক টাও পড়তে পারলাম না...

    এই থ্রেডের আলোচোনার সাথে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক, তাই দরকার বুঝলে কাটিয়েও দিতে পারেন
  • Tim | 198.82.16.206 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:০৬433141
  • আর কোষ বিভাজন? মাইটোসিস, মিয়োসিস? বিমূর্ত কোষ বিভাজিত হতে হতে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে..... সব লাখ টাকার ছবি ছিলো, আজ্জোদার মতই।
  • ranjan roy | 115.184.4.209 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৩১433142
  • আমার মনে ধরেছে রিমির কথা, বাচ্চা যেখানে ভালোবাসা পাবে সেটাই ওর জন্যে ভাল স্কুল।
    কারিকুলাম ম্যাটার করে, কিন্তু আল্টিমেট নয়।
    আমাকে বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনে একজন স্থানীয় টিচার আধুনিক কবিতার ধারা বা ওই জাতীয় কোন প্রবন্ধের বই দিয়েছিলেন ক্লাস এইটে।
    তাতে এজরা পাউন্ড, এলিয়ট, ওয়ার্ডস্‌ওয়ার্থ এইসব নাম ছিল। কিস্যু বুঝিনি, কিন্তু অস্পষ্ট ভালো লাগা মনে আছে।
    আর মনেথাকার বিশেষ কারণ হল কোন ইংরেজি ধ্রুপদী কবিতার অনুবাদের কয়েকটি লাইন:

    তোমারে চুম্বন করি মুর্চ্ছাহত ইন্দ্রিয়সকল,
    উর্দ্ধ্বগামী অঙ্গ মোর ধায়--------।

    আমার কথা হচ্ছে কারিকুলামের দুটো ভাগ থাকবে। ৮০ বা ৯০ ভাগ থাকবে সবার জন্যে-- যেটুকু গড় নলেজ একটা বয়সে দিতেই হবে। বাকিটা থাকবে অন্যেরা স্কিপ করবে বা বুঝবে না। কিন্তু কেউ কেউ কখনো সখনো একটু ভাল বাসবে। সেটা বাকি জীবন তাকে একটা বিশেষ দিকে আগ্রহ নিয়ে কাজ করতে প্রেরণা দেবে। দুটৈ দরকার। যেমন দুরকম মাস্টারমশাই দরকার। এক, যিনি মাপা পায়ে সময়মত কোর্স কমপ্লিট করাবেন। দুই, যিনি ওসব কিছুই করবেন না, কিন্তু ছেলেদের নতুন আকাশ দেখাবেন। যে যেটা নিতে পারে।
  • bb | 117.195.184.139 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৫433143
  • @M একটু অনধিকার চর্চা করছি। আপনি একদম শিওর বিভিন্ন স্কুলে কেন আপনার ছেলেকে discriminate করছে?
    অনেক শিশুই কিন্তু সুন্দর হয় না বা অন্তর্মুখী হয় বা ছোট বয়েসে দুষ্ট হয় তাতে হয়ত একটু শাসন বেশী করা হতে পারে, কিন্তু অন্যের দোষে তাকে মারাটা বোধহয় একটু কষ্টকল্পিত।
    আমার মনে হয় অনেক ক্ষেত্রেই পিতামাতা হিসাবে আমরা একটু বেশী সংবেদশীল হয়ে থাকি। আপনার লেখা পড়ে মনে হল যে ব্যাপারগুলিকে বোধহয় এই ভাবেও ব্যাখা করা যায়।

  • M | 59.93.207.249 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:২২433144
  • bb,
    আপনাকে কি বলবো বুঝতে পাচ্ছিনা, একটাই আমার কাছে প্রমান করার মতো কিছু নাই।

    অর্নব,
    আমার ভাই ক্লাস টু থেকে আর্য্যতে, ও ৯২ তে মাধ্যমিক দেয়।
  • bb | 125.16.17.152 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৪433145
  • সবকিছুর জন্য প্রমাণ দিতে হয় না বা Link দেওয়ার দরকার নেই :)।
    আমি বলতে চাইছিলাম যে অন্যভাবে দেখলে হয়ত দুখ: কম হয়, মনে প্রশান্তি আসে।
  • Binary | 66.94.87.210 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৬433146
  • দেশীয় পড়াশুনা কেমন, এখন তা জানিনা। কিন্তু এখানকার একটা জিনিষ-ই আমার মনে হয়, সেটা, খুব হলফ করে বলতে না পারলে-ও, অনেকটা, 'শিক্ষার জন্যি শিক্ষা'। পেছনে ছুঁচোবাজি ছেড়ে দেওয়া প্রতিযোগিতা নেই।

    এখানে, মানে কানাডায়, শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ অনেক বেশী। আমেরিকার পাবলিক স্কুল আমি দেখিনি, কিন্তু কানাডার পাবলিক স্কুলের মান যথেষ্ঠ উন্নত। প্রাইভেট স্কুলে চলন কম, যা আছে তা মুলত: মিশনারি স্কুল।

    ১) কানাডার পাবলিক স্কুলে ট্রাকড্রাইভারের ছেলেমেয়ে, জেনিটারের ছেলেমেয়ে, ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টির ছেলেমেয়ে, কম্পানী এক্সিকিটিভের ছেলেমেয়ে পাশাপাশি বেঞ্চে বসে পড়ে। সবাই একই ফেসিলিটি পায়। প্রতি ২০-২২ জনে ১ জন টিচার। ভাল জিম। ভাল লাইব্রেরি। অসংখ্য এডুকেশনাল ট্রিপ। সাঁতার, বাস্কেটবলের কোচিং। নাটক, গান শেখার সুযোগ। সবই পাবলিক স্কুলে। সরকারি খরচে।

    ২) আমার ধারনা, এখানকার ৮-১০-১১ বছরের বাচ্চারা, সাধারণ জ্ঞানে অনেক এগিয়ে। বিশ্বযুদ্ধ-মহাত্মাগান্ধী-হেলেনকেলার-বিশ্বেরমানচিত্রভুগোল-সাধারনমাহাকাশবিজ্ঞান সবই জানে। সে জেনিটারের ছেলে-ই হোক বা ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টির ছেলে-ই হোক।

    ৩) গল্পের বই পড়ায় এখানে স্কুল থেকে প্রচুর উৎসাহ দেয়। স্কুলের লাইব্রেরির মান খুবই ভাল। ভাষা শেখায় গল্পের বই পড়ে। নিজে নিজে গল্প কবিতা লেখায় উৎসাহ দেয়। কে কত গল্পের বই পড়েছে, তার উপর স্কুল নিউজলেটারে 'রিডিং এক্সেলেন্সি' পাবলিশ করে।

    আরো কিছু ছিলো , পরে ...
  • M | 59.93.207.249 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৯433147
  • bb,
    আপনি আমাকে আর আমার বাচ্চাকে না জেনে কি দারুন মতামত দিয়ে যাচ্ছেন, আপনাদের মতো কনফি ওয়ালা লোকদের দেখে আমি ধন্য হই।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৪433149
  • একখান প্রশ্ন ওয়াকিবহালদের জন্য । আম্রিকার পড়াশুনোর হাল কি সত্যিই ভালো ? তাহলে ভারত আর চীনের বাচ্চারা যাতে সব চাকরি নিয়ে না নেয়, সে নিয়ে বারবার গলা ফাটাতে হচ্ছে কেন?
  • Samik | 122.162.75.61 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৭433150
  • ধরো প্রতিযোগিতা নেই। মারধোর নেই। উন্নত শিক্ষা আছে। টিচারদের ভালোবাসাও, অলপবিস্তর আছে।

    তার পরেও, তারপরেও, কিছু কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে যায়। লোকে স্কুলের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে হাত কামড়ায়। কিচ্ছু করার থাকে না।

    তুমি তোমার বাচ্চাকে ভালোবাসো, প্রমাণ করার জন্য টাকা ঢালো। কেবল অ্যাডমিশনের সময়েই নয়, সারা বছর ধরে, চোদ্দ বছর ধরে। টাকা ঢালো, খোলামকুচির মতো, যদি না-ঢালো, তোমার বাচ্চা একঘরে হয়ে যাবার ভয় থাকে, কারণ "বাকি বাচ্চাদের বাবা-মায়েরা তো দিচ্ছে'। টাকা খরচ করতে না পারলে তুমি তোমার বাচ্চাকে ভালোবাসো না। এবং ইনডিরেক্টলি এইটা বাচ্চার "মনের মাজারে' গেঁথে দেওয়া হয়।

    কেবল এক বছর ডিপিএসে পড়িয়েই এই পরিবর্তনটা লক্ষ্য করছি। মেয়ে বড় বস্তুবাদী হয়ে উঠছে।

    আজ বিকেলে মেয়ের একটা বার্থডে ইনভিটেশন আছে। নয়ডা কেএফসিতে। :-)
  • Binary | 66.94.87.210 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৯433152
  • আমেরিকার জানিনা, আমি কানাডার কথা বলেছি।

    আর শিক্ষার সঙ্ঘা যদি, চাকরি হয় তবে, ভারতের বা চীনের কিছু উৎক্‌ষ্টের থেকে কম হয়তো, কিন্তু সেই উৎক্‌ষ্ট-রা কতটা শিক্ষার প্রোডাক্ট আর কতটা চাপের প্রোডাক্ট, সেটা কে বলবে ?

    সাধারণ শিক্ষায়, অবশ্যাই হ্যাঁ অবশ্য-ই উন্নত
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৯433151
  • তার কারণটা যত না শিক্ষা তাচ্চেয়ে বেশি পয়সা। ভারতের এবং চীনের কোডাররা অনেক বেশি "শিক্ষিত' এটা বড় মিথ। হ্যাঁ তারা কীবোর্ডের তিনটে কী-এর ব্যবহার অন্যদের চেয়ে অনেক গুণে ভালো জানে, আর অনেক কমে কাজ করে দেয়। এই শেষেরটা তো পলিটিক্যালি বলা যায় না, তাই একটু ঘুরিয়ে বলা হয় আর কি...
  • Arpan | 112.133.206.20 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৩433153
  • সংজ্ঞা। বাপরে বাপ, কী বানাম!
  • Binary | 66.94.87.210 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৬433154
  • হুঁ: হুঁ:
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৭433156
  • আমার কাছে ইস্যুটা অ্যাপ্রোচ নিয়ে - কি শেখাব, কেন শেখাব, কি ভাবে শেখাব। এখানে এই অ্যাপ্রোচটা বেশিরভাগ স্কুলে বেশ পুরনো। যেটা আমি লরেন্সে দেখলাম - আমাদের সময়েও যা ছিলো, আজও তাই আছে। অথচ দুনিয়াজুড়ে বাচ্চাদের শেখানোর অ্যাপ্রোচ বদলে গেছে।
  • Arpan | 112.133.206.20 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৭433155
  • বাইনারিদা বাংলাটা বেশ চাপে শিখেছিল! : P
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৮433157
  • কিন্তু বন্ধুবান্ধবের মতে সিলেবাস অনেক ছোট, অনেক কম জিনিস শেখানো হয় আন্ডারগ্‌র্‌যাড লেভেলে ।
    ডি: - আমি পড়াশোনার কথা বলেছি, শিক্ষা শব্দটা কেয়ারফুলি বাদ দিয়ে । প্রকৃত শিক্ষা কী তা নিয়ে বিতর্কের শেষ এ জন্মে দেখে যেতে পারব বলে মনে হয় না !
  • Binary | 66.94.87.210 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৯433158
  • আরে বাংলায় সবময় ৪০।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:২৫433161
  • সিলেবাস ছোট - আম্রিকায় জানি না, তবে বিলেতে মনে হয়নি। হ্যাঁ - কম্প সায়েন্সে আমরা যে হাবিজাবি ড্রয়িং, অনেক কলেজে ই-এম/এফ-এম ইত্যাদি, বা গুচ্ছের সার্কিট থিওরি শিখতুম সেগুলো থাকে না। কিন্তু বাকি যেগুলো থাকে তার ডেপ্‌থ ঢের বেশি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন