পুতিন একজন স্বৈরাচারী শাসক। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফোঁপরদালালি হিপোক্রিসি। ... ...
লেবু বেশী কচলালে তেতো হয়ে যায় – তবে কিনা যত বড় লেবু তত বেশী সময় লাগবে তেতো হতে, ততক্ষণ আপনি কচলে যান। আমার ক্ষেত্রে এই কচলানোটা ঠিক কবে শুরু হয়েছিল ঠাওর করতে পারছি না, কিন্তু আপাতত আমি রীতিমত ফেড-আপ – বিদেশী খাবারের সাথে আমার কত ফ্যামিলিয়ারিটি, সেই বোঝানোর জন্য বাঙালী তথা জানাশুনা ভারতীয়দের নিদারুণ প্রচেষ্টা দেখে দেখে! কার বাড়িতে দিদিমা পিৎজা বানাতো – দাদু তিনতলার ছাদে অলিভ গাছ লাগিয়ে ছিলেন, কার মামা ছোটবেলায় বার্গার খেয়ে খেয়ে এখন পুরোপুরি অবিস এবং অম্বলের রুগি, কার দেশের বাড়িতে পাঁঠা দিয়ে থাই ... ...
বাণী বসু অলকানন্দা রায়রা খুব চিন্তিত। তার সাথে আনন্দবাজার। এবং আমরা। গৃহশ্রমিক (মানে কাজের লোকেরা) ইউনিয়ন বানিয়েছে। এইবার শুরু হবে গৃহস্থদের হয়রানি। এই কাজের লোকগুলো মাসে চার দিন ছুটি দাবী করেছে। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে একদিন। যেমন আমার আপনার থাকে আর কি। বাণী বসু তাতে খুব চিন্তিত। কেন না এই কাজের লোকগুলো না বলে কামাই করে খুব ফ্যাসাদে ফেলে। হক কথা। না বলে কামাই করবে কেন? বলেই তো ছুটি নিতে পারে। সি এল, ই এল, মেডিক্যাল লীভ তো আছেই। শরীর খারাপের অজুহাত ... ...
পঞ্চাশবার লিখতে হলে পঞ্চাশবারই লিখব, কিন্তু মোদ্দা কথা হল এন-আর-সি একটি বর্বর জিনিস। কেন বর্বর? ওপার বাংলা থেকে এপারে কি লোক আসেনি? আসেনা? একশবার এসেছে। কেন এসেছে? কারণ আমাদের ধেড়ে খোকা জাতীয়-নেতারা তেলের শিশির বদলে একটা জাতির মাঝখান থেকে একটা লাইন টেনে দিয়েছিলেন। তার ফলে অন্তত কোটিখানেক মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে যখন পাড়ি জমাচ্ছিলেন সীমান্তের একদিক থেকে অন্য দিকে, তখন আমাদের নেতারা কী করছিলেন? নেহরু এই মানুষগুলিকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি অবধি দেননি, ওপারে ফিরে যাবার উপদেশ দিয়েই কর্তব্য শেষ করেছেন। কান ... ...
কমলবাবু হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।ছেলেবেলায় "চাঁদের পাহাড়" আমাদের অনেকেই পড়েছি ও শিহরিত হয়েছি। বাংলা ভাষায় লেখা শিশুপাঠ্য উপন্যাসের মধ্যে "চাঁদের পাহাড়" নিঃসন্দেহে একদম ওপর দিকে থাকবে। আজ থেকে অত বছর আগে স্রেফ কিছু বই আর নিজের কল্পনার জোরে অ্যাফ্রিকার পটভূমিতে যে অমন উপন্যাস লেখা যায় ভাবতেই মস্তিষ্কে জট পড়ে যায়। আজকের মতন তথ্যবহুল, প্রায়-বাস্তব-ছবিসংকুল তেমন বইও কি আর তখন হত? আর মফস্বলে বা কলকাতাতেও কটাই বা ভাল বই পাওয়া যেত রিসার্চ করা জন্যে? কোথায় ছিল ডিসকাভারি চ্যানেল, হলিউডের অ্যাডভেঞ্চ ... ...
মাস তিনেকের জন্য প্রজেক্টে লঙ্কাকাণ্ড বাধাবার কড়ারে এসেছি ব্যাঙ্গালোরে। তো শুরু থেকেই প্রজেক্টে এমন আগুন জ্বলে রয়েছে, যে আমাকে আলাদা করে আর কিছু করতে হচ্ছে না, ধুনুচির বাতাস করা ছাড়া। আগুন সেঁকছি, ঘ্যানঘ্যান করছি, আর দিল্লি ফেরার দিন গুনছি। এই সময়ে জনৈকা হেইচার মেল করে জানালেন, সারামাসব্যাপী ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের ড্রাইভ চলেছে কর্ণাটক জুড়ে। প্রতি উইকেন্ডে কর্ণাটকের এক এক প্রান্ত। কে কোন উইকেন্ডে খালি আছো, জানিয়ে মেল করো। চাকরি জীবনে অজস্র ইন্টারভিউ নিয়েছি, নিয়েই থাকি। কিন্তু সে সব এক ... ...
আমার শৈশবের অনেকখানি আর কৈশোর ছিল ভারী একলামত| আমি যখন আট নয় বছরের মেয়ে, তখনই আমাকে প্রায় পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে গণ্য করা হত| প্রায় বললাম, কারণ পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত আমার মতামত গ্রাহ্য করা হত না, কিন্তু কাজকর্মে, আচার আচরণে পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত ব্যবহার আশা করা হত| আমি বুঝতে শুরু করেছিলাম ভাইয়ের আগে জন্মানোয় আমাদের প্রাচুর্য্যের সময়ের পুরোটা, আট বছর ধরে আমি ভোগ করেছি, কিন্তু ভাই মাত্র দুই বছর ----- তাই এখন আর আমার কিছুই প্রাপ্য নয়| নয় বছর বয়সেই আমার পাড়ার মাঠে খেলাধুলো একদম বন্ধ ক ... ...
মিতাকে আমি ভাল করে চিনতাম না। আমিও, ওরই মত, যাদবপুরে বাংলা পড়তাম। ক্লাস করে ফেরার সময় সিঁড়িতে দেখা হত কখনো-সখনো। একই ব্যাচ, একই বিভাগ, বিষয়ও এক, কিন্তু এরকম হয়েই থাকে, আমার বন্ধুমহল আর ওর বন্ধুমহল আলাদা ছিল। আলাপ হয়েছিল রি-ইউনিয়নে। আমার ওপর দায়িত্ব পড়েছিল ডিপার্টমেন্ট সাজানোর, আর আমাকে সাহায্য করার জন্য ছিল আরো দশ-বারোজন, তাদের মধ্যে মিতাও ছিল। টানা চার-পাঁচদিন শোলা কেটে রঙ করে আঠা দিয়ে ঘর সাজাতে সাজাতে রি-ইউনিয়নের আগের দিন খুব ক্লান্ত হয়ে ও বলেছিল, ‘এত খাটলাম, কিছু খাওয়াবি না?’ অগত্যা সবাই মিলে ... ...
(এখানে প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা দুজনেই আপনি অথবা আপনার প্রতিনিধি -আমরা ইচ্ছা করেই কর্পোরেট প্রতিনিধিদের এই আলোচনা তে আমন্ত্রণ জানাইনি , আর তাছাড়া তাদের ছাপানো উত্তর আমাদের অজানা নয় ,তেনারা এমনিতেই ভীষণ চিন্তিত এই আমাদের এই একমাত্র বাসস্থানের ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ এর সমস্যার সমাধানে - সেই সুযোগে আমরা নিজেরাই দেখেনি গ্রীন এনার্জির প্রতিশ্রুতি কতদূর সত্য ) প্রশ্ন ঃ- গ্রীন এনার্জি - উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক এককথায় ‘ গ্রীন টেকনলজি ‘ কি আমাদের পৃথিবী কে বায়ু দূষণের হাত থেকে ‘গ্লো ... ...
শিবাংগী বলেছিল, এ শহরে ডিসেম্বরেও ফ্যান চালাতে হয়। হাঁ করেছিল চিন্টু। হাঁ-করা তার পুরনো অভ্যেস। হাভাতে এক শহরতলীর হাঘরে, উঠে এসেছে ধ্যাবড়া এক চাকরি নিয়ে। চাকরিটা তার ‘ধ্যাবড়া’ মনে হয়, প্রায়ই যখন আগাগোড়া বাংলা মিডিয়মকে অনুবাদ আর উচ্চারণ গার্গল করে টিম কনফারেন্সে স্লাইড-শো’র আঁচে ট্যাঁস ভাষায় ডেমো দিতে হয়। এই ‘ট্যাঁস’-টাও এত হুহু বদলে চলেছে, সেটাও সে সাঁতরে ধরার চেষ্টা করে। প্রাথমিক মোলাকাতে লোকজন এমন ভাব দ্যাখায়, যেন ‘হাই বাডি’ বলে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। সঙ্গে ‘হট’, ‘খিউল’ (ইয়ে, কুল), ‘ওয়াও’-এর গুঁ ... ...
দুর্গাপুজোর মাঝে কিছু অদ্ভুত পোস্ট চোখে পড়ল ফেসবুকে... এক ধরণের কাউন্টার-প্রোপাগ্যান্ডা... মহিষাসুর 'অসুর' নামের কোন আদিবাসী উপজাতির লোককথার এক রাজা... যাকে সাদাচামড়ার ( implying, depending on the context, উচ্চবর্ণের বা ইন্দো-ইউরোপীয় ) দুর্গা কৌশলে হত্যা করে... আর তাই দুর্গাপুজো তাদের কাছে শোকের দিন...এমন পোস্ট অবশ্য এবছরই প্রথম নয়, এর আগেও 'হুদুর-দুর্গা' ইত্যাদি নিয়ে লেখালিখি চোখে পড়েছে...যাই হোক, ইতিহাস বিকৃতি এই হনুমানদের ভারতবর্ষে একরকম গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছে বা গেছে বলা চলে. ... ...
আমি এতদিন ভাবতাম গরুর রচনা হলো গরুর ওপরে লেখা রচনা। এখন দেখছি, গরুর রচনা মানে হলো গরুর বা গরুদের দ্বারা লিখিত রচনা। ... ...
ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের যাতে কোনোভাবেই ব্যালান্সড রিপোর্টিং না হয়, তার জন্যে আমেরিকার চ্যানেল এমএসএনবিসি তাদের প্রধান তিনজন মুসলমান অ্যাঙ্করকে কার্যতঃ ফায়ার করে দিয়েছে। গণসম্মতি উৎপাদনের রাজপথে তাঁরা বিশাল কাঁটা। ... ...
অস্বীকার করবার প্রায় কোনও জায়গাই নেই যে ছোটবেলায় আমাদের অনেকেই প্রায় নিয়ার-পারফেক্ট শুদ্ধাচারী ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতিতে বড় হয়েছিলাম। হিন্দি গান শোনা ছিল মহাপাপ, গাওয়া তো উচ্ছন্নে যাওয়ার স্পষ্ট লক্ষণ ছিল। ছোটখাটো বিচ্যুতি, এই যেমন অনুপ জালোটা, মান্না দে এটুকু বাদ দিলে বাংলাময় ছিল আমাদের জীবন। পাড়া কালচারে বড় হয়েছি আমরা। গ্রাম নয়, আবার পুরোদস্তুর শহরও নয়, মফস্বল সংস্কৃতিতে কাজ করত পাড়া-কালচার। শুভানুধ্যায়ী কাকু-জেঠিমা-মোড়ের সিগারেটের দোকানের স্বপনদা, এঁদের স্নেহদৃষ্টির ছায়াতেই আমরা বড় হয়েছি। প্রায়শই ... ...
শ্রীজাত শাসকদলের হয়ে লিখেছেন ও সেটাকে বলেছেন প্রোফেশনাল কাজ। এর ফলে যা যা হলো...... বিতর্কলিস্টিঃ ১ স্বঘোষিত জ্যাক কেরোয়াকের দল বলতে শুরু করলেন - "দেখলে তো! সব আসলে স্টান্ট! আরি বাওয়া যেটা প্র্যাক্টিস করি সেইটেই লিখি, এ জিনিস রোইন্দোনাত ছাড়া আর কে আছে বল দিনি" ২ পাছা থেকে স্কুল বেঞ্চের দাগ না যাওয়ারা অব্দি অ্যানালিসিস করতে বসলেন "দূর শ্রীজাত নাকি আবার লেখক! তরল লেখা সমস্ত। খাপছাড়া ইমেজারি, আনন্দবাজার অব্দি ঠিক আছে, তার বেশি অ্যালাউ করা উচিত না।" ... ...
এক বন্ধুর কাছে শুনলাম আই.আই. টির এন্ট্রান্স টেস্ট নাকি পৃথিবীর কঠিনতম পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেই প্রসঙ্গে খানিক আলোচনা হলো বন্ধুদের সঙ্গে। কিছু তথ্য, ফিটজি ইত্যাদি সংস্থা, এম সি কিউ, বইপত্তর ইত্যাকার বিষয়ে খানিক খোঁজ নেওয়ার পর একটি আশ্চর্য তথ্য পেলাম। যেখান থেকে এই লেখা লিখতে প্ররোচিত হলাম।আই আই টির এন্ট্রান্স যারা ক্র্যাক করেন তাঁরা নিঃসন্দেহে প্রতিভাবান, তাঁদের অনেকেই বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হন, কেউ হন নামী সংস্থার সি ই ও, কেউ বা গবেষণায় সফল, বিশেষত পলিসি মেকিং এও তাঁদের ভূমিকা থাকবেই। ... ...
বিনোদবিহারী সখেদে বলেছিলেন, “শিল্পশিক্ষার প্রয়োজন সম্বন্ধে শিক্ষাব্রতীরা আজও উদাসীন। তাঁরা বোধহয় এই শিক্ষাকে সৌখিন শিক্ষারই অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছেন। শিল্পবোধ-বর্জিত শিক্ষা দ্বারা কি সমাজের পূর্ণ বিকাশ হতে পারে?” (জনশিক্ষা ও শিল্প)কয়েক দশক পরেও, পরিস্থিতি বদলায় নি। হয়তো, কিছুটা অধঃপতনই হয়েছে।শিল্প বা শিল্পীর প্রতি সাধারণ মানুষের অবজ্ঞা বা অনীহা চোখে পড়ার মতো। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও, যাঁরা এমনকি বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়ের চর্চা করে থাকেন, তাঁরাও রীতিমতো গর্বের সাথে বলে থাকেন, মডা ... ...
গল্পটা ঠিক গুরমেহরকে নিয়ে শুরু হয় নি। শুরু হয়েছে তার দুদিন আগে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজাস কলেজে দুদিনব্যাপী ডিবেটের অনুষ্ঠান ছিল, বিষয় ছিল প্রতিবাদের সংস্কৃতি। তো, সেই ডিবেটের দ্বিতীয় দিনে আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার, উমর খালিদ।এই অবধি পড়েই নিশ্চয়ই আন্দাজ করে নিয়েছেন কেন অচল সিকি আবার এক বছর বাদে বসে গেছে মন কি বাত লিখতে? বিচ্ছিন্নতাবাদী, রাষ্ট্রবিরোধী, আফজল গুরুর সমর্থক, “ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে” বলে স্লোগান দেওয়া “ভামপন্থী” উমর খালিদকে সেদিন ... ...
সে ছিল আমাদের কিশোর বয়েস, স্কুলের উঁচু ক্লাস, যাকে বলে টিনকাল গিয়ে যৌবনকাল আসার সময়। সে বয়েসে কত কি ঘটে! ঢাকুরিয়া লেকে হঠাৎ খুচরো চুমুর দ্বিধা থরথর অমরাবতীর পাশেই সযত্নে লুকনো থাকে রঙ্গীন চটির ছেঁড়াখোঁড়া মলাট। প্রথম সিগারেট টানার রোমাঞ্চ এবং হঠাৎ করে নারীশরীরে উন্মুক্ত ব্রা-এর স্ট্র্যাপ দেখে শিরশিরানি কোথাও গিয়ে মিলে যায়। এ সেই বয়েস, নব্বই-এর শেষভাগ, যখন অনায়াসে বিশ্বাস করা যায় যে মড়ার খাটের নিচে বোমা রেখে আসলে তা একদিন গোটা শ্মশান উড়িয়ে দেবে। সেই বয়েসে রিটা হেওয়ার্থের অর্ধ-অনাবৃত পোস্টার পরম মম ... ...
এমনিতে দিবস-টিবস নিয়ে আমার মাথাব্যথা থাকে না। কারণ দিবস বানিয়ে যদি কিছু উদ্যাপন করতে হয়, বুঝতে হবে, সমস্যা আছে বলেই তার এত আড়ম্বরের ঘটা। নারী দিবস তাই আর পাঁচটা দিনের চেয়ে আলাদা। আর কোনো তন্ত্রে বা সিস্টেমে (সিস্টেম বললেই ব্যাপারটা বোধগম্য হয় আরও) শোষক এবং শোষিত এত কাছাকাছি অবস্থান করে না। আর কোনো সিস্টেমে এই দুই শ্রেণি চার দেওয়ালের মধ্যেও থাকে না, এক বিছানায় শোয় না দরজা বন্ধ করে। অন্য আর পাঁচটা সিস্টেমের থেকে এখানেই পুরুষতন্ত্র আলাদা, তাই পুরুষতন্ত্রের মধ্যে ‘নারী দিবস’ সেই সংখ্যালঘুর, গুরুত্ব ... ...