১)কিছুতেই কলকাতা যেতে চাইছিল না টুকি ওরফে শ্যামলী রাহা | স্কুলের স্যারের বলা চোখ বড় বড় করে দেওয়া ইতিহাসের গল্প , বিশ্বাস দাদুদের বাড়ির পিছনের জঙ্গলে টিয়াবাচ্ছার তদারকি , পুকুরে ডুব সাঁতার দিয়ে হাঁসেদের সাথে ছোটাছুটি , দামোদরের পারে মাঝে মাঝেই চড়ুইভাতি এহেন জরুরী কাজ ছেড়ে ট্রেনে করে শহরে যাবে কোন মুখ্যু ? তাও আবার এক আধ বেলার জন্য ঘুরতে যাওয়া নয় ওখানেই থাকা | ওর দু ক্লাস উঁচুতে পড়া পুতুল দু বার গেছে কলকাতায় , কালিঘাটে পুজো দেবার জন্য | ওর কলকাতা যাবার কথা শুনে চোখ কপালে তুলে বলেছি ... ...
সারাদিন পাহাড়পথ ভেঙে আপনি ক্লান্ত। আরাম করে বসুন এই ছোট্ট ক্যাফেটায়, আমার উল্টো দিকের চেয়ারে। টেবিলে দু'টো বিয়ারের বোতল। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে হিমালয়ান্ ব্লুজ। ... ...
তত্কালে লোকে বিজ্ঞাপন বলিতে বুঝাইতো সংবাদপত্রের ভেতরের পাতায় শ্রেণীবদ্ধ সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞাপন, এক কলাম এক ইঞ্চি, সাদা-কালো খোপে ৫০ শব্দে লিখিত-- পাত্র-পাত্রী, বাড়িভাড়া, ক্রয়-বিক্রয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, চলিতেছে (ঢাকাই ছবি), আসিতেছে (ঢাকাই ছবি), থিয়েটার (মঞ্চ নাটক, বেইলি রোড)-- ইত্যাদি।আমরা যাহারা কচিকাঁচার দল, ইঁচড়ে পাকা বলিয়া খ্যাত, তাহাদের তখনো অক্ষরজ্ঞান হয় নাই। তাই বইপত্র গিলিবার কাল খানিকটা বিলম্বিত হইয়াছিল। মূদ্রিত বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞানটুকু বয়ান করিব যথাসময়ে। ভূমিকাপর্বে সংক্ষ ... ...
কালবৈশাখীঅনেক অনেকদিন হয়ে গেল, কিন্তু সেরকম ঝড় আর দেখলাম না। সেই সব অদ্ভুত, সারা আকাশ কালো করা, নারকেলগাছ নুইয়ে, মাটিতে ঠেকানো ঝড়। অনেকদিন আগে যখন সাইকেল করে চূর্ণী নদীর ধারে সিগারেট খেতে যেতাম, যখন বৈশাখ মাসের শেষ, যখন সারা দুপুরের গরমে সেঁকতে থাকা রানাঘাট শহরতলি পড়ন্ত বিকেলের আলোয় কমলা-হলুদ রং মাখত, যখন পিচে ঢাকা ধুসর রাস্তায় খালি পা ঠেকানো যেত না, যখন চূর্নির ধারের ছোট ছোট ঝোপের পাশে সাইকেল স্ত্য্যান্ড করার সময় বুনো গন্ধ ভেসে আসত, ঠিক তখনি অনেক দূরে, চুর্নী যেখানে বাঁক নিয়ে বাঁদিক ... ...
বিখ্যাত ঐতিহাসিক রঙ্গনা রানাকৌতের মতে, মিডিয়া আবিষ্কার হয় ভারত স্বাধীন হবার কুড়ি বছর আগে। তার আগে ছিল প্রস্তরযুগ। লোকে শিকার করে আমিষ খেত। ইন্টারনেট এবং কেবল টিভি আবিষ্কার করার উদ্দেশ্য ছিল, এই অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোর দিকে নিয়ে আসা। কিন্তু তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের অপদার্থতার ফলে, কাজটা করা যায়নি। ইন্টারনেট আবিষ্কারের পরও দেখা যায় মানুষকে কষ্ট করে ভেবে-ভেবে গুগল সার্চ করতে হচ্ছে। এমনকি টিভি চালালেও উঠে উঠে চ্যানেল বদলাতে হচ্ছে। বনে বনে ঘুরে শিকার করার থেকে কাজটা কম কষ্টের নয়। ... ...
হ্যাঁ, এরই মধ্যে অসমীয়া উগ্র জাতিয়তাবাদীরা আসরে নেমে পড়েছেন। অসমীয়া পত্রপত্রিকায় চলছে খুল্লমখুল্লা জাতিরক্ষার আহ্বান। খিলঞ্জিয়াদের নিষ্ক্রিয়তা ত্যাগ করে জেগে ওঠার আহ্বান। আলফা নেতা জিতেন দত্ত সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেনঃ"ছয় বছরের আসাম আন্দোলন, চল্লিশ বছরের প্রতীক্ষা আর চৌদ্দশ কোটি টাকা খরচ করে বাংলাদেশীদের স্বদেশী বানানো হল। কাল পর্যন্ত ভয়ে ভয়ে থাকা বাংলাদেশীরা এখন বুক ফুলিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে জমির অধিকার চাইতে পারবে রাজনৈতিক অধিকার চাইতে পারবে। পাল পাল সন্তানের জন্ম দিয়ে, দ ... ...
ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য মতে, শুদ্ধ সুর সাতটি। কোমল ধরলে বারোটি। সুর এই বারোটিই কেন, এ নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে একটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম। সেখানে সংক্ষেপে লিখেছি। পুরো জিনিসটি এখানে লিখে রাখলাম, যদি কারো আগ্রহ থাকে তো পড়বেন। আঁক-টাক কষা আছে। অঙ্ক অপছন্দ হলে এর পরে আর এগোবেননা। আরও একটি কথা এখানে বলে রাখা দরকার। এই পুরো জিনিসটিই মূলত পাশ্চাত্য সঙ্গীততত্ত্বের নানা জায়গায় টুকরো-টাকরা করে পড়েছি। কিন্তু সেখানে অঙ্ক ছিলনা। হয়তো উচ্চতর শাস্ত্রে আছে। কিন্তু আমার বিদ্যে ততদূর গড়ায়নি। এছাড়া সঙ্গীত প্রযুক্তিতেও থাকা উচিত, কিন্তু তার তত্ত্বও আমার খুব কিছু পড়া আছে এমন না। ফলে এখানে যে অঙ্ক কষা হয়েছে, সবটাই আমার নিজের কষা। নিশ্চয়ই এর আগে কেউ কষে ফেলেছেন, কিন্তু জানা না থাকায় কৃতিত্ব দেওয়া গেলনা। আর যদি বাইচান্স না কষে থাকেন, তো আমি নিউটন। ... ...
১৯৯২ সালের ৬ডিসেম্বর ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার চরিত্র সম্পর্কে এক মৌলিক প্রশ্ন উঠে পড়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মধ্য দিয়ে। মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গেই স্লোগান উঠেছিল “ইয়ে তো পহেলি ঝাঁকি হ্যয়/ অব তো কাশী মথুরা বাকী হ্যয়”। কারা কীভাবে এই ধ্বংসকাণ্ডের ক্রীড়নক তা নির্দিষ্টভাবে খতিয়ে দেখতে নরসীমা রাও এর নেতৃত্বাধীন তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকার ঘটনার দু সপ্তাহ পরে গঠন করেন এক সদস্যের লিবারহান কমিশন। লিবারহান ছিলেন অন্ধ্র প্রদেশ উচ্চ ন্যায়ালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এই কমিশনের রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল তিন মাসের মধ ... ...
*এ কেমন রঙ্গযাদু?*ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলের আন্ডারগাউন্ডে গিজগিজে মানুষ। ইন্ডিয়ার ভিসা প্রার্থীদের দীর্ঘতর লাইন। হাতে হাতে সবুজ পাসপোর্ট। লাইনে নানা বয়সী পুরুষেরাই শুধু। মেয়েরা এখানে সংখ্যালঘু, তাদের লাইন নাই। মেডিকেল ভিসা প্রার্থীদের আবার আলাদা খাতির। মোডে মোডে ওয়াকিটকি হাতে নিরাপত্তা রক্ষী। ব্যাগ ভেতরে যাবে না, ব্যাগ জমা দিয়ে টোকেন নিন – নির্দেশ তাদের। বিশাল হল রুমে গোটা চল্লিশেক ডেস্ক। ওপাশে পেশাদার তরুণ-তরুণী। ভিসার ধরণ বুঝে টোকেন নিয়ে পাসপোর্ট জমা। স্লিপ হাতে নিতে না নিত ... ...
‘একটা ঘুমের ওষুধ বলবি বাবা? প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল ছেলেটা ঘুমোয়নি ঠিক করে, পড়াশুনোও তো করতে পারছে না কিছুই’পাড়ার এক কাকুর ফোন। আমাকে যতটা স্নেহ করেন, আমি প্রায় তার কাছাকাছিই স্নেহ করি তাঁর ছেলে প্রবীরকে—এ বছরের রাজ্যের ছিয়াত্তর হাজার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকের সাথেই একবার জয়েন্ট দিয়েছিল—মেডিক্যালে দু’হাজারের আশেপাশে র্যাঙ্কও আসে—সিদ্ধান্ত নেয় আবার একবার বসবে জয়েন্টে। পাড়াতেই ছোট্ট ভুষিমাল দোকান বাবার, ছেলে স্বপ্ন দেখে স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে পাড়ার সব ... ...
শহরে হেমন্ত আসে না। আসতে আসতে দু'দুটো ঢাউস জোড়া ব্রিজের মুখে সে কর্পুরের মতো উবে যায়। বিকেল নাগাদ একটা অজানা ঠাণ্ডা গন্ধ ছড়ায়। কারোর হঠাৎ মন কেমন করে। প্রয়োজনীয় কথার ফাঁকে ফাঁকে অকারণ ক্ষণবিরতি। এক মুহূর্তের কিছু বা বিস্মরণ। কোথাও কি যাবার ছিল? কেউ আসবে? কী জানি। পথচলতি লোকজন অকস্মাৎ একেকবার চোখ তুলে অকারণ আকাশ দেখে নেয়। কী দেখল কেন দেখল, জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না। ... ...
ঘড়ির কাঁটা বোধহয় সাড়ে আটটার ঘর ছাড়িয়েছে। ভাবতে ভাবতে সুপ্রকাশ হিরো হোন্ডার অ্যাকসিলেটর সামান্য কমিয়ে বাঁহাতের কব্জি মুড়ে ঘড়ি দেখার চেষ্টা করলো। হ্যাঁ, আটটা বেয়াল্লিশ, আর দুটো মোড় পেরোলেই---। পিলে-চমকানো প্রেসার হর্ন বাজিয়ে গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেলো দুটো বাইক আর বিচ্ছিরি ব্রেক কষে পাশে থামলো এক মারুতি সুইফ্ট। ---- ক্যা আংকল, তব সে সাইড মাংগ রহা হুঁ, কান পে জু নহী রেঙ্গা? বাদ মে শিকায়ত করোগে কি পিছেসে ঠোক দিয়া! সুপ্রকাশ কিছু বলার আগেই পেছনে ... ...
সকালে উঠেই জয়রাজ ভট্টচার্যের এই পোষ্টটা পেলাম।এর সাথে আমারও কিছু কথা মনে পড়ে গেল।আগে ওর লেখাটা দিই। গনেশ ঘোষের তখন বাহাত্তর তিয়াত্তর বছর বয়স, সিদ্ধার্থর সরকার রাজ্যে, দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে তাঁকে হারিয়েই প্রিয়রঞ্জন প্রথমবার সাংসদ। কিছু চ্যাংড়া কংগ্রেসি কালী পুজোর চাঁদা চাইতে বাড়িতে গেছে। তার বিখ্যাত অতি নম্র গলায় গনেশ ঘোষ বলেন- আমি তো কম্যুনিস্ট, পুজোতে চাঁদা দিই না, আপনারা কোন সমাজকল্যাণের কাজে চাঁদা চাইলে নিশ্চই দেবো। মানুদা, প্রিয়দার জমানা, কাটা পাইপের ছিটকিনি লাগানো মেশিন বের ... ...
দেশ এবার মুজিব জন্মশত বর্ষ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুরো দেশ এই প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছে। ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে ১০ জানুয়ারি থেকে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন থাকবে এবার। ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব৷ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ান, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেস দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন-সহ অনেকেই থাকবেন সেদিনের অনুষ্ঠানে৷ এত এত বিশেষ ব্যক্তিত্বের ভিতরেও বাংলাদেশ সরকার ওই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদীকে। ভারতেরে প্রধানমন্ত্রীকে এই বিশেষ সম্মান সরকার দিচ্ছে। ... ...
স্বাস্থ্য মানে কেবল চিকিৎসা-পরিষেবা নয়, কিন্তু এই আলোচনা পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা-পরিষেবা, বিশেষত সরকারী চিকিৎসা পরিষেবাতেই সীমিত। তৃণমূল সরকারের তিন বছর পার হয়ে গেল, এই তিন বছরে চিকিৎসা-সংক্রান্ত অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, অনেক ঘোষণা করেছে। তিন বছর পর ঘুরে দেখাই যায়—কি ছিল পদক্ষেপগুলো আর কতটাই বা সুফল পাচ্ছেন মানুষ। লিখছেন ডা পুণ্যব্রত গুণ। ২০১১-এ ৩৪ বছরের পুরোনো বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর নতুন তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকেই স্বাস্থ্য দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ ... ...
বড়দিনের মধ্যে আমরা এক শিশি নেসক্যাফে কেনার মত জিনিস জমিয়ে ফেললাম! নেসক্যাফের শিশি, সে বিরাট শৌখিন জিনিস! এছাড়াও আমরা বেশ কয়েক সপ্তাহ আমরা খুবই কৃচ্ছ্রসাধন করে কাটালাম - বড়দিনের দিন সেসব জমানো জিনিস দিয়ে, আটা ময়দা গুড়ের তৈরি খুব আনাড়ি কিছু মিষ্টি তৈরি করে সবাই মিলে ভাগ করে খেলাম! আর বড়দিনের ভোরে আমাদের জন্যে দারুন এক চমক অপেক্ষা করে ছিল - কে বা কারা আমাদের জন্যে দরজার সামনে একটা কেক আর এক ডজন কলা উপহার দিয়ে গেল! আর স্টোরের লোকজন আমাদের রেশনের সঙ্গে সেদিন বেশ কয়েক টুকরো পাঁঠার মেটে পাঠিয়ে দিল! জেনানা ফাটকের বাইরেও যে লোকজন আমাদের চেনে বা আমাদের খোঁজ খবর ভালোই রাখে সেটা সেদিন বুঝতে পারলাম! ... ...
জুলিয়াস ওলুওকুন কদিন ধরে বলছে, রায়, তুমি কি কালোঞ্জি চেনো?আমি চিনিনা। শুনে জুলিয়াস অবাক হয়। বলে, পাকিস্তানীরা চেনে। ইন্ডিয়ানরাও চেনে। তুমিই চেনো না। এটা কোনো কথা হল?কথা যাতে হয় সেকারণে কদিন বাঙালী, ইন্ডিয়ান আর পাকিস্তানী গ্রোসারীতে ঘুরে ঘুরে কালোঞ্জি খুঁজলাম। সবজি মাণ্ডিতে বোন বেনকে জিজ্ঞেস করতেই সে একটা বোতল বের করে দিল। বলল, এই নেও তোমার কালোঞ্জি।বোতলের চেহারাটা ভালই। মুখটা ভালো করে আটকানো। বাইরে লেবেল আটো। পরিস্কার ইংরেজীতে লেখা কালোঞ্জি। এই জিনিসটি জুলিয়াস খেতে চায়। হাসি পেল। ... ...
প্রশ্নটি প্রথম তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাবেরী গায়েন। গুমট গরমের পর বিকেলে এক ঝলক স্বস্তির বৃষ্টির সময় কাবেরী আপা মনে করিয়ে দেন শৈশবের সেই মায়াময় শিশুপাঠ:"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান,শিব ঠাকুরের বিয়ে হল তিন কন্যা দান।এক কন্যা রাঁধেন বাড়েন এক কন্যা খান,এক কন্যা রাগ করে বাপের বাড়ি যান।"এই শিশুপাঠে শিব ঠাকুরকে তিনটি কন্যা দান করার কথা বলা হচ্ছে, অর্থাৎ কি না তিন-তিনটি স্ত্রী! এর উপস্থাপনাটি এতোই নিরীহ যে, যেন এটি ঠাকুর মশাইয়ের প্রাপ্য এবং এটি ... ...
মাথায় উলের টুপি গায়ে মোটা জ্যাকেট পরে দোকানী হয় উদাসমুখে বাইরে দাঁড়িয়ে রোদ্দুর মাখছেন নয়ত পাশের দোকানীর সাথে গল্প জুড়েছেন। ক্রেতার প্রতি আবাহনও নেই বিসর্জনও না। ক্রেতা নিতান্তই কিনতে আগ্রহী হলে স্মিতমুখে ভিতরে ঢুকে বিকিকিনিতে ব্যস্ত হন। দেখে ভারী আরাম লাগে, কারো বিশেষ তাড়া বা উত্তেজনা কিছু নেই। ... ...