পুরোনো দিল্লির প্রথম পাঁচটা শহর ... ...
অন্য যে কোন দেশের মতন ব্রিটেনে রাজনৈতিক দলের অর্থের প্রাথমিক উৎস বাৎসরিক সদস্য চাঁদা এবং শুভানুধ্যায়ীদের অকুণ্ঠ অর্থ সাহায্য। আপনার যা ইচ্ছে, কৌটোয় ফেলে দিন – লিব ডেমের কোন দাবি নেই ! নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কোন প্রার্থী স্থানীয় নির্বাচনে পনেরশ পাউনড, সাধারণ নির্বাচনে চুয়ান্ন হাজার পাউনডের ( ব্রিটেনের গড় পড়তা মাথা পিছু আয় ৪৪,০০০ পাউনড) বেশি ব্যয় করতে পারেন না - তার হিসেব তৈরি রাখতে হয়। নির্বাচন কমিশন সেটি যে কোন সময়ে চাইতে পারেন। যতদূর জানি, ভারতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয় সীমা ৯৫ লক্ষ টাকা (ভারতের মাথা পিছু জাতীয় আয়ের ৫২ গুণ) – কিন্তু পার্টি তার দলীয় বা তারকাদের প্রচারে যে কোন পরিমাণ খরচ করতে পারেন। সেটি অসীম। ... ...
পৃথিবীর মন ভালো নেই। থাকার কথাও না। এপ্রান্ত-ওপ্রান্ত জুড়ে চলছে অশান্তি আর অশান্তি। এত অশান্তি নিয়ে ভালো থাকা যায় না। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকানোর ব্যাপারে মানুষ অনেক সময় অসহায়- এটা সত্যি। ধেয়ে আসা হারিকেন ডরিয়ান ইতিমধ্যেই ক্যাটাগরি পাঁচে উঠে বাহামার উত্তর পশ্চিমে আঘাত করেছে। তার পরবর্তী লক্ষ্য ফ্লোরিডা। স্বভাবতই স্হানীয় মানুষজনেরা ভীত। জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হায় ব্যস্ত। ১৯৩৫ সালের লেবার ডে হারিকেনের পর ডরিয়ান ধেয়ে আসছে ভয়াবহ গতিময় চেহারায়। সবদিক থেকে ক্ষয়ক্ষতি কম হোক সে প্রার্থনা। ... ...
আমার ছোটবেলার গার্লস স্কুলে সব বন্ধুবান্ধবই প্রায় ছিল বাঙালি হিন্দু মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাবলে ঈদের নেমন্তন্ন বাদ পরেনি। আমার এক পিসি এক মুসলিম পরিবারে বিয়ে করেছেন। সেখানে অনেকবারই কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছি ঈদের নেমন্তন্ন। বাবার বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেও খেয়েছি ঈদের দিন। ছোটবেলা থেকে বাবা মা শিখিয়েছিলো ধর্মীয় দিকটা না দেখে যেকোনো উৎসবের সামাজিক চেহারাটা দেখতে। তাই পুজোয় যেমন চারদিন ঘুরেছি, ঈদের নেমন্তন্ন বা খৃস্টমাসের হুল্লোড় কোনোটাই বাদ পড়েনি উৎসবের তালিকা থেকে।উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেই আমি সোজা পা ... ...
এক স্তব্ধ সময়! আমাদের আঁকড়ে রয়েছে মনখারাপের ঘুণপোকা। সেই ডিপ্রেশন শব্দে রূপ পেলে ঠিক কেমন হয়? সঙ্গে থাকুন! ... ...
পুরোনো দিল্লির বাকি তিন শহর ... ...
দেবব্রত বিশ্বাস খুব সম্ভবত: সর্বোচ্চ আলোচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। দিস্তে দিস্তে লেখা হয়েছে ওনার গান গাওয়া সম্পর্কে, তাঁর জনাদর সম্পর্কে, বিরুদ্ধতা ও তৎসহ তাঁর অভিমান সম্পর্কে। কিছু আমি পড়েছি।ওনার গানের যে দুটো দিক নিয়ে আমি বিশেষ উৎসাহী, সে নিয়ে খুব লেখাপত্তর চোখে পড়েনি। এক, ওনার গানের যন্ত্রানুষঙ্গ ও বিন্যাস (arrangement) আর দুই, গানকে নিজের strength -এর জায়গা থেকে গড়ে নেওয়া।প্রথমেই ধরুন যন্ত্রের ব্যবহার। শান্তিনিকেতনী ঐতিহ্যে রবীন্দ্র গানের সঙ্গে সঙ্গতে বেজেছে এসরাজ, তালে ক ... ...
অর্ক’টা আজকাল বাইরে বিস্তর তেলে ভাজা খাচ্ছে।যেসব পেটরোগা’রা কবজহার খেয়ে দিন কাটায়,তারা যেচে এসে বাড়িতে খবর দিয়ে যাচ্ছে যে অর্ক'কে আজ অমুক বা কাল তমুক জায়গায় পাঁচটা চপ কি সাতটা সিঙ্গাড়া খেতে দেখা গেছে।তা নিয়ে যথারীতি বাড়িতে বকাবকি চলছে।আমি সেদিন ডেকে বললুম,‘হ্যাঁরে হতভাগা,একটু কমসম করে খেতে পারিস না?দু-একটা করে খেলেই তো ঝামেলা হয় না’।(প্রসঙ্গত,একদম তো আর না খেতে বলতে পারিনা,তাহলে তো হজরত মোহাম্মদ অণুসরণ করে আগে আমাকেই খাওয়া ছাড়তে হয়,আর সেটা অসম্ভব,পাতি বাংলায় ইমপসিবল)।অর্ক মাথ ... ...
আয়োজন বড় জরুরী। এই যে পুজোর আগের আয়োজন, মাঠে প্যান্ডেলের বাঁশ, রেডিওতে পুজোর অ্যাড, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেট হয়ে পাড়ার দোকানগুলোয় মানুষের গুঁতোগুঁতি, ফাঁকা জংলা মাঠে কাশ ফুল, এসব আয়োজন করে দিয়েছে পুজোর। এখন বৃষ্টি আসুক না আসুক কিচ্ছু আসে যায়না, আনন্দ হবেই। আনন্দের জন্য আয়োজন তাই বড় দরকার, সে আয়োজন বুঝিয়ে দেয় কেউ কোথাও অপেক্ষা করছে, অনেকটা যত্ন ভালোবাসা যেন ওই আয়োজনেই লুকিয়ে থাকে, মা খেতে দেয় যেমন আয়োজন করে, পরিপাটি ভাত তরকারি গুছিয়ে, লেবুর ফালি দিয়ে, সেই আয়োজনের প্রয়োজন।আজ যখন আসছি অ ... ...
একটা পুরোনো ঘটনা দিয়ে শুরু করি,এক শুক্রবার ওমরপুর থেকে ফিরছি।বেশ গরম।এফইউসি মাঠে সেদিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী ভাষণ দিচ্ছেন।বাস থেকে এফইউসি মাঠটা বেশ স্পষ্ট দেখা যায়।তা সেদিন দেখলাম মাঠ অর্ধেকের বেশি ফাঁকা।সাকুল্যে আড়াই হাজার লোক হয়েছে কিনা সন্দেহ।মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এত কম লোক???ফিচেল শাহনওয়াজটা পাশেই বসেছিল।বলল,‘দাদা,এটা কিন্তু কেন্দ্রের চক্রান্ত।কায়দা করে সূর্যের ভোল্টেজ বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে লোক বেশি না আসতে পারে’।ফিচেল নাম্বার টু,অণির্বাণ যাকে ফেসবুক চেনে অণির্বাণ এক্স ... ...
(১)বিপিন বাবু সোদপুর থেকে ডি এন ৪৬ ধরবেন। প্রতিদিন’ই ধরেন। গত তিন-চার বছর ধরে এটাই বিপিন’বাবুর অফিস যাওয়ার রুট। হিতাচি এসি কোম্পানীর সিনিয়র টেকনিশিয়ন, বয়েস আটান্ন। এত বেশী বয়েসে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসি সার্ভিসিং করা, ইন্সটল করা একটু চাপ।ভুল বললাম, অনেকটাই চাপ। সাধারণত: কেউ করে না। এই বয়েসে ম্যাক্সিমাম অফিসে বসে হাল্কা ডেস্ক ওয়ার্ক। খুব বেশী কায়িক পরিশ্রমের কাজ হলে কর্পোরেট অফিসে টানা সেন্ট্রাল এসি বসানোর কাজের দেখভাল। ওসব প্রোজেক্টে অনেক জুনিয়র ছেলে কাজ করে, তাদেরকে দিয়ে ঠিকঠ ... ...
পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির খবরকেও ছাপিয়ে দেশজুড়ে এখন লোকজনের প্রাত্যহিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে লেবুর অস্বাভাবিক দাম। গতমাসেও যেখানে কুড়ি টাকায় অন্তত ছটি লেবু পাওয়া যেত, সেই লেবুই এখন অবিশ্বাস্য ভাবে বিকোচ্ছে আক্ষরিক অর্থে সোনার দামে। একে তো গত ১২১ বছরে এত গরম নাকি মার্চ মাসে পড়েনি, তাই তৃষ্ণায় ছাতি ফাটা ধনী-দরিদ্র সব মানুষের সামান্য চাহিদা একটু লেবু জল। চাহিদা যখন আকাশচুম্বী লেবুর যোগান তখনই অন্যান্যবারের তুলনায় সবচেয়ে কম। লেবু এখন রাতারাতি বিলাস সামগ্রী। লেবুর দাম কমানো এখন বুঝি কেবল ভগবানেরই হাতে! সেই বিশ্বাস সম্বল করে বারাণসীতে তন্ত্র সাধনার জাগ্রত দেবী আদিশক্তির মন্দিরে তাই এগারোটি লেবু বলি দেওয়া হয়েছে। আজ হঠাৎ লেবু বিলাসিতার পর্যায়ে চলে যাওয়ায় স্মরণ করা দরকার, একেবারে গোড়ার দিকে রোমে লেবু ছিল ধনীদের কাছে বিরাট মর্যাদার প্রতীক। ঐতিহাসিক পম্পেই শহরের নানান মন্দির, প্রাসাদ, বাড়ি ও স্থাপত্যের দেওয়ালে খচিত ফ্রেস্কো পেইন্টিংয়ে লেবু চিত্রিত আভিজাত্যের চিহ্ন হিসেবেই। প্রাচীন গ্রিসে বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে লেবুর ব্যবহার ছিল। গুপ্তচরবৃত্তি, অবৈধ প্রণয় বা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও লেবুর ভূমিকা চাঞ্চল্যকর। প্রবাদ প্রতিম প্রেমিক ক্যাসানোভা ও তাঁর শতাধিক প্রণয়ীর সম্ভোগে জন্মনিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার ছিল লেবু। কিংবদন্তিতুল্য জেনেরাল টমাস 'স্টোনওয়াল' জ্যাকসন রণক্ষেত্রে যাবার আগে লেবু চুষতেন। সেই থেকে তাঁর পরিচিতি বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান লেবু-প্রেমিক হিসেবে। ... ...
৮৪ সালে দোলের সময় যাদবপুরের কয়েকটি ছাত্রছাত্রী গেছিল শুশুনিয়া পাহাড়ে শৈলারোহণ অভ্যাস করতে। সেই তিনদিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই কাহিনী। এতে আসবে মানবজীবনে প্রবৃত্তি ও প্রবণতার নানা প্রেক্ষিত। মিথস্ক্রিয়ায় নানা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অভিঘাত। আর পার্শ্বপ্রসঙ্গ হিসেবে - পর্বতারোহণ বিষয়ক কিছু প্রসঙ্গ। হয়তো গোটা কুড়ি পর্বেই শেষ হয়ে যাবে এই ব্লগ। ... ...
আবার অক্টোবরে ফিরি। আম্বোলিঘাটের দিকে যতই এগোতে চেষ্টা করি ততই দেখি গুগল ম্যাপে হোটেলের আনুমানিক দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই সারথীমশাইকে থামতে বলতে হল। খানিক ঘেঁটে বুঝলাম আমাদের খানাপুর হয়ে যেতে হবে, আম্বোলি নয়। অতএব ঘোরাও গাড়ি, গেল একঘন্টা জলে। যাকগে এখনো পৌনে সাতটা অবধি দিনের আলো থাকে। হায় তখন যদি জানতাম সামনে কী আছে। ... ...
"অত ঘাবড়ে যাচ্ছ কেন? ওই তো তোমার সুটকেস।" মুখ না তুলেই কথাকটি আমার দিকে ছুড়ে দিলেন প্রৌঢ়। আর আমি তখন হতভম্বের মতো ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি, কারণ ওনার কথা বর্ণে বর্ণে সত্যি। আমাকে আরো হতভম্ব করে প্রশ্ন করলেন "কলকাতা যাবে তো?"একটু ব্যাকট্র্যাক করি তাহলে বুঝতে সুবিধে হবে. বহুদিন ধরেই বাড়ির জন্য মন কেমন করছিলো কিন্তু ভিসা গ্রিন কার্ডের চক্করে আসতে পারছিলাম না. তাই যেই খবর পেলাম সে ঝামেলা মিটেছে, তক্ষুনি একটা বৃহস্পতিবার, তিনদিন পরের একটা টিকিট কেটে বসলাম বাড়ি যাওয়ার জন্য। এরম হ ... ...
আমাদের পরিবারের সাথে এখন খুব ঘুলেমিলে গেছে সোনামণি। ইচকি পিচকিও খুব খুশি তাদের নতুন মামি পেয়ে। এদিকে আমিও ওর হাতে দুজনকে সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত। মা এখন হরিপদবাবুদের পুরনো কুলারে আমাদের থাকার জায়গা করে দিয়েছেন, আর মেয়েটাও অল্প কদিনে ঐ খুপচিটাকে কেমন ঘর বানিয়ে ফেলেছে। ... ...
খ্রিস্টীয় ৬২২ সালে হজরত মহম্মদ মক্কা থেকে ইয়াথ্রিব বা মদিনায় যান। সেই বছর থেকে শুরু হয় ইসলামিক বর্ষপঞ্জী ‘হিজরি’। হিজরি সন ৯৬৩ থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু করেন মুঘল সম্রাট আকবর। হিজরি ৯৬৩-র মহরম মাসকে ৯৬৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস ধরে শুরু হয় ‘ তারিখ ই ইলাহি’, যে বর্ষপঞ্জীর উদ্দেশ্য ছিল বাংলার কৃষিবর্ষকে হিসেবে রেখে খাজনা আদায়ের দিনগুলি নির্ধারণ করা। বাংলার আকাশে তারা দেখে মাস নির্ধারণ করা হত। হিজরির চান্দ্রমাসের চলনকে ধরে রেখে তারা-ঝিকমিকি মাসগুলিকে পঞ্জিকায় ঢুকিয়ে ফেলেন ফারসি-ভাষী জ্যোতির্বিদ ফাতুল্লাহ ... ...
১৯৭৪। এপিডিআর থেকে মিছিল করে এসেছি এসপ্ল্যানেড ইস্টে, রাজনৈতিক বন্দিমুক্তির দাবিতে। মনে আছে, হাওড়ার ছেলে, বনবিহারীবাবুদের গ্রুপে ছিল সঞ্জীবদা, একটা বাসের মাথায় চড়ে বক্তৃতা করছিল। আমি আর জয় কৌটো ঝাঁকিয়ে পয়সা তুলছিলাম। সেদিন ওখানে ওয়েবকিউটার জমায়েতও ছিল। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম মনোভাবাপন্ন মাস্টারমশাইরা ওঁদের নানান দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। আমিই প্রথম দেখি আমাদের কলেজের সলিলদা (ইংরাজি পড়াতেন) আর হিতেনদা (বাংলা পড়াতেন) দাঁড়িয়ে আছেন। সদ্য কৈশোরের অ্যাডভেঞ্চার পোকা নেচে উঠল। জয়কে বললাম - চল যাই। ওঁরা সেই আমলে দশ টাকা দিয়েছিলেন। আর সলিলদা বলেছিলেন কলেজে দেখা করতে। ... ...