মুখে বসন্তের দাগ , মাথার ডাক্তার , রসিয়ে কেচ্ছা জুড়েছে পেটে পড়তেই : না চিনতাম না। কিকরে চিনবো ? তখন সবে ট্রান্সফার হইছি। একদিন দুপুরে হাজির। দিব্যি আপিসবন্ত মানুষ। বলে কীনা একটা কুকুরকে স্বপন দেখছে রোজ । ... ...
ছোট গল্প ... ...
বেচারা সরকার বাবু, গন্ধ সাবান আর কানাই ভ্যারাইটি স্টোর্সের গপ্পো.... ... ...
আসলে এই সব কথা ওদের মনে বুড়বুড় করে সর্বক্ষণ - ঢাকা দেওয়া হাঁড়িতে ভাত ফোটার মত অনেকটা - তারপর একসময় কথা ফোটা বন্ধ হয়; সব কথারা ঠান্ডা হয়ে গিয়ে সর ফ্যালে আলটিমেটলি ; সেই জমাটবাঁধা থকথকে শাদা ফ্যান দিনের শেষে ড্রেনের মুখে নিজেরাই ঢেলে দেয় ওরা; জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলে, শলার ঝাঁটা দিয়ে বাড়তি জল কাচায়, তারপর শুতে যায় সেদিনের মত। ... ...
সার্কাসে তুলসীদা খেলা দেখিয়েছে কী দেখায় নি, এই নিয়ে পাড়ায় বিবিধ মত ছিল। আমার বন্ধুরা জোর দিয়ে না বলেছিল, অথচ শিবুদা, কেষ্ট কাকা হলফ করে বলেছিল, তুলসীদাকে এক চাকা সাইকেল চালাতে দেখেছে, কাঁধের ওপর সাদা কাকাতুয়া; তুলসীদার বুকের ওপর টান টান করে সাদা ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। ... ...
এই অঞ্চলের গ্রীষ্মকালের রাতগুলি বাষ্পহীন, মেঘহীন এবং নিঃশব্দ। সামনের একটা মাঠ ছাড়া চোখের সীমানায় কোথাও আলোর কোনো উৎস নেই, খালি দূরে হাইওয়ে যেন জ্বলন্ত আংরার শেষ আভাটুকু হয়ে ফুটে থাকে। এই রাত্রের অন্ধকারের মধ্যে মিশে বসে থাকি রোজ, মাথার উপরে তাকিয়ে খুঁজতে থাকি বাল্যবন্ধুর মতো চেনা তারামন্ডল - লুব্ধক চিনতে পারি, চিনতে পারি কালপুরুষের কোমরবন্ধনী, জিজ্ঞাসাচিহ্নের মত হাতড়ে হাতড়ে খুঁজি সপ্তর্ষিদের -- পুলহ, পুলস্ত্য, অত্রি, অঙ্গিরা ... আর? নামগুলো মনে পড়ে না আর, শুধু মনে পড়ে আগের জন্মের শহরে ফেলে আসা একটা অলৌকিক ছাদ আর সে ছাদের কোণায় কোণায় জমে থাকা ধুলোর মত ময়লা একটুকরো ছেলেবেলার গল্প ... ... ...
থাপ্পড়ের রকম ফের ... ...
গল্প ... ...
মনোলীনা ছায়াছবির এক উঠতি নায়িকা জেনে ভেদীপ্রিয়ার রাগ সেদিন চরমে...আর ওর রাগ মানেই ছোঁড়াছুঁড়ি... প্রথমে বালিশ, চাদর তারপর মগ, প্লেট যা হাতের কাছের পায়... ঘরেতে প্রান ফিরেছে, তাই চুপ থাকলেও পরে কাঁটাচামচ দেখে চিৎকার... এবারে কি সত্যি সত্যি মার্ডার করবেন!!...রাখুন ওটা, বলে ভেদীপ্রিয়ার হাত থেকে যখন কাঁটাচামচ ছাড়াচ্ছি, টের পেলাম ল্যাপটপ স্ক্রীনে মনোলীনার ছবিটা ঝাপসা হয়ে আসছে... এরপর সব শান্ত...কি যেন একটা ঘটে গেল ... ভেদীপ্রিয়ার মুখ লাল... দু কারণে হতে পারে... ... ...
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অমলবাবু বুঝলেন মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। আসলে এটা কাল রাতের রেশ। রাত তখন প্রায় বারোটা। হাই উঠে গেছে গোটা পাঁচেক, ঘুম ঘুম পাচ্ছে। এমন সময় এল। কবিতার লাইন। কবিতা যারা লেখেন তাঁরা জানেন, কবিতা খুব মারাত্মক জিনিস। একবার এলে, যতক্ষণ না লিখে ফেলা হচ্ছে, পেটের ভেতরটা গুড়গুড় করে, মন আনচান। লিখে ফেললে তবে শান্তি। অমলবাবুও দেরি করেন নি। স্ত্রী সুরমা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছেন। চট করে কবিতাটা লিখে ফেলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট। কিন্তু কটা লাইক পড়ল সেটা দেখার জন্য বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারেন নি অমলবাবু। ঘুমে চোখ জড়িয়ে এসেছিল। কটা লাইক পড়ল সেটা দেখার জন্য আজ একটু তাড়াতাড়িই ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। ... ...
তখন আমি ছিলাম দারুণ গরীব এবং দারুণ সুখী, হেমিংওয়ের মতো বলতে পারলে ভালো হতো; কিন্তু সত্যিটা এটাই, পকেটে পয়সা না থাকাটা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। তখন আমি থাকতাম ডাউনটাউন ব্রুকলিনের একটা বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টে। আমার বাথরুমটা ছিল নিজস্ব আর শুধু এইটুকুর জন্যে আমি ঐ ঘুপচি অ্যাপার্টমেন্টটা ছাড়িনি। অনেকরকম ছোটখাটো কাজ করতাম আমি, যার মধ্যে রেস্তোরাঁয় বাসন ধোয়া থেকে শুরু করে ডেলিভারি সবই ছিল। কখনও কখনও বেশ অদ্ভুত কাজে জড়িয়ে পড়তাম। ... ...
ওয়াই একজন তরুণ প্রফেসর; মাত্র কয়েকবছর আগে সে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনিওর পেয়েছে। ব্রুকলিনের ক্যাম্পাসে তাকে যে অফিসটা দেওয়া হয়েছে, সেটা ছোটো হলেও তার পছন্দসই। সে প্রকৃতপক্ষে ক্যানেডিয়ান, তার কলেজজীবন কেটেছে টরন্টোতে। আন্ডারগ্র্যাডে সে জেডের ছাত্র ছিল। নিজের রিসার্চ কম্যুনিটিতে জেড একজন নামকরা গবেষক; যদিও তাদের আগ্রহ আলাদা আলাদা বিষয়ে বলে ওয়াই জেডের সাম্প্রতিক কাজগুলো সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ছিল না। গত তিনবছরে জেডের কোনো পেপার সে পড়েনি। ... ...