গাছ হয়ে যাওয়া একটি মেয়ে আর এক আশ্চর্য ভয়ের গল্প ... ...
একটা কাঁসার থালা কেমন গল্প তৈরি করবে টিনার জীবনে? — এই কথকতাই পড়ুন মহুয়া দাশগুপ্তের লেখা মেট্রো গল্পটিতে। ... ...
মাটির দুলুনি একটু থামতে বাড়ির রাস্তা ধরেছিল মিতা। চেনা রাস্তা তবু যেন কেমন অচেনা! রাস্তার মাঝে মাঝে ফাটল দিয়ে বেরিয়ে এসেছে মহীরূহ। গাছ তেমন চেনে না মিতা, তবে চওড়া গুঁড়ি, ছড়ানো ডালপালা দেখে বোঝা যাচ্ছিল কচি গাছ তো নয়, আদিম অরণ্যের বৃদ্ধ সন্তান। রাস্তার পাশের বাড়িগুলোর পাঁচিল ফুঁড়ে উদ্ধতভাবে বেরিয়ে আছে মোটা সপত্র ডাল। ... ...
"লাভ জিহাদ এর মানে আমি জানি না। এই শব্দগুলো পাশাপাশি বসতে পারে বলে মনে হয় না। আর প্রেম.... আগুনের মতো প্রেম ও সর্বগ্রাসী। ছাইয়ের কোন অহংকার থাকে না, থাকতে পারে না। যারা ভালোবাসতে জানে, তারা জানে প্রেম ঈশ্বরের প্রতি হোক বা মানুষের প্রতি, সে নিজে দাহ্য, অন্যকে জ্বালায় না"। ... ...
রাজার বুঝিতে দেরী হইয়া গেল। দেরীতে হইলেও অন্তত সত্য বুঝিয়া পাইলেন। ভৌগোলিক বিভাজনে জাতি-ধর্ম-ভাষার বিবাদ মিটিল না। রাজার মনে দুঃখ জাগিল। প্রজাদের মধ্যকার ভিন্নতা আর বৈচিত্র্যকে মান্যতার ও শ্রদ্ধার শিক্ষা দিতে হইত। এই কথা কেন পিতৃপুরুষের ভাবনায় বিশেষ স্থান পাইল না? সহনশীলতা আর উদারতা প্রতিষ্ঠা পাইল না। তাই বিভেদ-বিবাদের উৎস বন্ধ হইল না। পরের রাত্রে রাজার ঘরেই- কাঁই মাঁই। চমকাইয়া রাজা তলোয়ার নিয়া উঠিলেন। দেখিলেন পৃথিবী উল্টাইল। চোখের সামনে রাক্ষসীরানি রাজপুত্রকে খাইতে লাগিল। ... ...
দীর্ঘ শীতে আইওয়ার বিস্তীর্ণ চাষের জমির কালো মাটি জমে বরফ। গ্রীষ্ম এলে রোদের তাপে মাটি আস্তে আস্তে নরম হবে, তবেই বীজ বোনা, ফসল ফলানো। কিন্তু মনের মধ্যে যখন বরফ জমে? আইওয়ার বংশানুক্রমিক চাষের কারবারী জর্জ মিলার কুড়িয়ে নিলেন ভালোবাসার উত্তাপ, বরফ গলে ধুয়ে গেল সাদা-কালোর বিভেদ। পনেরোই জানুয়ারি মার্টিন লুথার কিংএর জন্মদিন। তাঁর লড়াই ‘সিভিল রাইটস মুভমেন্ট’এর পথ ধরেই আমেরিকায় কালো মানুষের সমান অধিকার এসেছিল। এ লেখা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। ... ...
ঝিরঝিরে বৃষ্টি, ভোরের আকাশ ঘোলাটে মেঘে ছেয়ে আছে; যেরকম হয়ে থাকে সচরাচর লন্ডনের আবহাওয়া। রাস্তার পাশে পার্ক-করা গাড়িগুলোর বনেট বিন্দু বিন্দু জলে ভরে যাচ্ছে। ছোটো ছোটো ফোঁটা জুড়ে বড়ো হয়ে গড়িয়ে পড়ছে। শহর এখনও পুরোপুরি জাগেনি। রাস্তা, রাস্তার পাশে পেভমেন্ট, বন্ধ ক্যাফে বা পাবের বাইরে বসার জায়গাগুলো — সব আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে বৃষ্টির ধূসরতায়। ... ...
ক্রিসমাসের সাজের সঙ্গে পয়েনসেটিয়া গাছের অচ্ছেদ্য সম্মন্ধ। উজ্জ্বল লাল পাতার এই গাছটিতে ডিসেম্বরে ফুল ফোটে। ঠিক যেন একটি লাল তারা প্রতিটি ডালের ওপর বসানো আছে। মেক্সিকোর স্থানীয় গাছ এটি, ঝোপেঝাড়ে জন্মায়, বুনো গাছ। পয়েনসেটিয়া ছাড়া ক্রিসমাসের সজ্জা হবেই না। এই গাছটিকে ঘিরে মেক্সিকোতে একটি উপকথা চালু আছে, লোকের মুখে মুখে ঘোরে। সেই গল্পটি অবলম্বনে এই লেখা। ... ...
সুমাতা তো অনেকেই হয়। কিন্তু কুমাতা হলে? গল্পটা কেমন হবে? ... ...
মেয়েটি আর তার জুতো! নতুন কিছু বার্তা দেবে কী? ... ...
হিমু এই মন্তরটা পাঠাল ! আমাদের হিমাদ্রী পাল । বললো, - দাদা, সকাল বেলা শুদ্ধ চিত্তে এই মন্ত্র টা তিনবার পাঠ করলে যাবতীয় সমস্যা, পূর্ব জন্মের পাপ, সব ধুয়ে মুছে যাবে আমি কিছুদিন করে দারুণ লাভ পেয়েছি। ... ...
হ্যাঁ হ্যাঁ বুয়েছি, আপনি বলছেন এ চাপ তো রাবণের মায়ের, ছেলের কোথায়? আরে মশায়, দশ খানা মাথায় ঘুম আসাটা কি চাট্টিখানি কথা? এক মাথা চ্যাঁ ভ্যাঁ করলে পাশের জনের, থুড়ি, পাশের মাথার কানে চলে যাবে, ব্যাস, যেটুকু ঘুম এসেছিল তার বারোটা।... আবার কী বলছেন? রাবণের কান কটা? কেন, কু---- না না, ঠিকই তো বলেছেন। মাথাগুলো তো সবকটাই পাশাপাশি আটকানো, কানের জন্য কোনও অ্যালাউন্স তো নেই। তাহলে বোধহয় দুটোই কান -- ফার ইস্টের একটা আর ফার ওয়েস্টের একটা। এতে অবশ্য একটা সুবিধে -- কান বেশি থাকলে কামমলাও বেশি খেতে হত। ... ...
হারান যেন এল হড়পা বানের মত। আগল ছিঁড়ে। বাঁধন উপড়ে। রসিক ভেসে গেল সে বানের জলে! বিজলিকে হারান কেশবতী নাচনির গল্প বলে। অত যে বিখ্যাত রসিক বাউরীবন্ধু মাহাত, তাকে ছেড়ে, তার দলকে ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল না কেশবতী। তবে? বার বার শুনে শুনে মনে বল আসে। তারপর একদিন দুজন মিলে বাসে চেপে কাশীপুর টাউন। পিছনে পড়ে রইল রসিকের পুঁজি হারানোর হাহাকার, আঙ্গুল মটকানি, অভিশাপ। ... ...
দেখছিলাম সেই পাতাদের ওড়উড়ি, বুনোফুলে প্রজাপতিদের খেলা, জলে বাতাসের তোলা হালকা হালকা ঢেউ – যাতে মনে হয় মেঘের ছায়াতে সুড়সুড়ি লাগে। তখনই খুব আস্তে গাড়িটা বলল – এখন অনেকটা সুস্থ লাগছে। ... ...
চোখ খুলে চিত্তর ঘামে ভেজা জবজবে মুখটা দেখেই অনন্তরূপা আবার চোখ বন্ধ করে নিল।চিত্ত তখন তার সমস্ত সত্তা দিয়ে অনন্তরূপার গভীরতা ছুঁতে চাইছে। কিন্তু কিছুতেই যেন সে পারছেনা! বারবার চেষ্টা করেও সেই কাঙ্ক্ষিত তৃপ্তি সে পায় না; আদর দিয়ে শরীর জাগিয়ে তোলা তো দূরের কথা, অনন্তরূপাকে একটি মাংসল জড় পদার্থ ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না চিত্তর। ... ...
"ব্যবসা চলে না একেই, নিজের সংসার চালাতে...ছিঁড়তে হয়, আবার টাকা ধার দেবে। তোমরা মেয়ে মানুষ, আর কিছু না হোক শরীর বেচে খেতে পারো। আমরা পুরুষরা কি বেচে খাব?" ... ...
ভূত সম্বন্ধে দু-চার কথা যা আমি জানি। ... ...