মৈতৈরা সিংহভাগ হিন্দু। কিছু সংখ্যক মৈতৈ মুসলিম, সানামাহি-ধর্মী ও খৃষ্টান। কুকিরা বেশিরভাগ খৃষ্টান। দাঙ্গার কারণ ধর্মীয় নয়, জাতিগত। দাঙ্গায় মৈতৈদের সতেরোটা মন্দির পুড়েছে, কুকিদের ২২১টা চার্চ- ২রা জুনের ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী। ঐ সময় অবধি মৈতৈদের প্রায় দু'হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। কুকিদের প্রায় দেড় হাজার। শুরুতেই অনেকগুলো সংখ্যা একের পর এক তুলে ধরার উদ্দেশ্য হল দাঙ্গার ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতাটা বোঝা। হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষিত ভারতীয়রা শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমস্যার গল্প শুনে ভারতে ভোট দেয়, তাই দেশের ভেতরের সমস্যার কথা তাদের বলার জন্য সবার প্রথমে ঘরহারা মানুষ আর ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি ও ধর্মস্থানের সংখ্যা তুলে ধরা জরুরি। ... ...
বাস্তব হল এই, যে, রিজার্ভ ব্যাংকের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী – ৯৯.৩ শতাংশ নোট ব্যাংকে ফিরে এসেছে। বড় ব্যাগধারী রাজাদের টাকা ডোবেনি, গরিবদের সুদে পড়ে থাকা কিছু নোট অবশ্যই পচে গেছে। বোঝাপড়া ছিল, যে, দুর্নীতিবাজরা নোটের বান্ডিল লুকিয়ে রাখে। দেখা গেল—তারা আমাদের চেয়ে বেশি চালাক এবং তাদের টাকা বেনামি সম্পত্তি, জমিজমা বা হীরা ও গহনাতে রূপান্তরিত করে রাখা হয়। জাল নোটের সংখ্যা অনেক বেশি বলেও দাবি করা হয়েছে। পরে, রিজার্ভ ব্যাংক নিজেই জানিয়েছিল যে জাল নোটের অনুপাত মাত্র ০.০০০৭ শতাংশ। ... ...
"He has avenged the great Argentine people oppressed by ignoble imperialist in the Malvinas..It's a political act..he humiliated them, you understand?" - বৃদ্ধ আঙ্কল আলফ্রেডো উত্তেজনায় ফ্যাবিয়েত্তর হাতটা চেপে ধরেন! মালভিনাস হল ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ। ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের প্যাটাগোনিয়ান শেল্ফে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের আবিষ্কার ও ইউরোপীয়দের দ্বারা এর উপনিবেশায়ন নিয়ে প্রভূত বিতর্ক আছে। ফরাসিরা, স্প্যানিশরা ও আর্জেন্টিনীয়রা বিভিন্ন সময়ে এই দ্বীপগুলিতে বসবাস করলেও ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশরা তাদের শাসন পুনরুদ্ধার করে। কিন্তু আর্জেন্টিনা এই দ্বীপপুঞ্জের উপর তাদের দাবি বজায় রাখে। ১৯৮২ সালে ২রা এপ্রিল আর্জেন্টিনা সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ আক্রমণ করে ও দখল করে। তাদের দাবি ছিল দ্বীপগুলি আর্জেন্টিনার ভূখণ্ডেরই অংশ এবং এই আক্রমণের দ্বারা তারা আসলে নিজস্ব ভূখণ্ডই পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। ৫ই এপ্রিল ব্রিটিশ সরকার পাল্টা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অঘোষিত এই যুদ্ধ চুয়াত্তর দিন স্থায়ী হয়েছিল। ১৪ই জুলাই আর্জেন্টিনা আত্মসমর্পণ করে এবং দ্বীপগুলিতে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসে। আঙ্কল আলফ্রেডো এই ফকল্যান্ড যুদ্ধের কথাই বলছেন। ... ...
এমন ঘটনা ইদানীং অনেক ঘটছে। বস্তত এত বেশি পরিমাণে ঘটছে যে আঠারোর কাছাকাছি নাবালিকাদের বিয়ের খবর পেলে আজকাল চাইল্ড লাইন বা প্রশাসনের তরফে সেই বিয়ে বন্ধ করার খুব একটা সদিচ্ছা দেখা যায় না। দিন পনেরো আগের ঘটনা। সতেরো বছর পাঁচ মাস বয়সী একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে শুনে থানায় ফোন করেছিলেন হুগলী জেলার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ‘থানা থেকে তো পরিষ্কার বলে দিল, কী লাভ মাস্টারমশাই এই বিয়ে আটকে? আর তো মাত্র ক’মাস, একবার আঠারো বছর হতে দিন, দেখবেন ও মেয়ে নিজেই পালিয়ে যাবে বয়ফ্রেন্ডের সাথে।’ – দুঃখ করছিলেন তিনি। ... ...
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—অনেকে জানলেও, এখনও বেশিরভাগ মানুষই জানে না, যে—এই ভারত জোড়ো অভিযান ছিল যোগেন্দ্র যাদবের ‘ব্রেন চাইল্ড’। তিনি জানতেন এই অভিযান রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে করা সম্ভব হলে সমাজে ও রাজনীতিতে তার প্রভাব হবে অপরিসীম এবং নির্ণায়ক। সেই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করতে দীর্ঘদিন যোগেন্দ্র যাদবের টিম অসীম ধৈর্য সহকারে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ও তাঁদের মা সোনিয়া গান্ধীকে বুঝিয়েছেন, আশ্বস্ত করেছেন এর সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক সুফল সম্পর্কে। কারণ, কংগ্রেস নেতৃত্বের একটা বড় অংশ বিষয়টিকে খুব একটা সুনজরে দেখেননি এবং এক অজানা আশঙ্কায় এটিকে অনাধিকার চর্চা বলেই মনে করেছেন। এমনটা যে বাস্তবে সম্ভব—অনেকেই তা ভাবতে পারেননি। এই যাত্রার সাফল্য নিয়ে সংশয় ছিল খোদ রাহুলের ও তাঁর পরিবারেরও। ... ...
তখন আমি বিশ্ববাঙালি হই নি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল পড়াই। ভূগোলের পাঠ্যবস্তুর একটা অন্যতম অংশ ছিল ক্ষেত্রসমীক্ষা। তখনকার দিনের ভূগোলের নিয়মকানুন ও ঐতিহ্য অনুসরণ করে, এধরণের যাত্রায় আমরা দূরদূরান্তরের নানা অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করতাম। এখানে বলে নেওয়া ভালো যে বেশির ভাগ শিক্ষক ও শিক্ষিকারাই পাঠ্যের এই অংশটি অপছন্দ করতেন। হয়তো তাঁদের পরিবার-সংসার ও দৈনন্দিন জীবনে সকলকে সামলে ছুটির ফাঁক বের করার সুযোগ ছিল কম। তাছাড়া অনেকগুলি সদ্য টিন-উত্তীর্ণ, বক-বকন্দাজ যুবক-যুবতীর সঙ্গ সকলের ভালো লাগারও কথা নয়। ... ...
কর্ণাটকের নির্বাচনে এক অনন্য পরীক্ষা চলছে। "ইয়েদেলু কর্ণাটক" এর নামে রাজ্য ও দেশের অনেক সামাজিক সংগঠন এবং আন্দোলনকারী গোষ্ঠী কর্ণাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে, যাকে বলা যায় এক রকমের, প্রয়োজনীয় আবিষ্কারের জননী। দেশের ইতিহাসের এই পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ব্যতিক্রমী নির্বাচন অস্বাভাবিক হস্তক্ষেপের জন্ম দিয়েছে। ১০ মে আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন দেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন কেবল গণতন্ত্রই নয়, আমাদের প্রজাতন্ত্রের অস্তিত্বও হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। গত কয়েক বছরে, ভারতের স্বধর্মের তিনটি স্তম্ভ (সহানুভূতি, বন্ধুত্ব এবং বিনয়) একযোগে মারাত্মক আক্রমণের শিকার হয়েছে। ... ...
জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের চাঞ্চল্যকর সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর থেকে টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রগুলো সাপের গন্ধ পেয়েছে। গুলাব নবি আজাদের ছোট-বড় অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ অনুষ্ঠান চালাতে থাকা চ্যানেলগুলোর কাছে এই উদ্ঘাটন নিয়ে আলোচনার জন্য এক মিনিটও সময় নেই। ১৫ এপ্রিলের সংবাদপত্রে কোথাও এই খবরের উল্লেখ ছিল না। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১-এ যখন পুলওয়ামা ঘটনা ঘটেছিল, তখন সত্যপাল মালিক জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন। প্রকাশ ট্যান্ডন এবং তারপরে করণ থাপারকে দেওয়া একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে সরকারের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমাদের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এটা এড়ানো যেত।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তারপর অজিত ডোভাল তাঁকে এ বিষয়ে চুপ থাকতে বলেছেন। ... ...
নববর্ষের দিনে সম্ভব হলে দিশা ‘অনিন্দ্যা’ বা ‘রূপবতী’ বা ‘নিউ স্বর্ণালী’-এর হিসেবের খাতায় থাকা বাকি বকেয়া সমুদয় মিটিয়ে দিতেন। বকেয়া মেটানো হোক বা না হোক আমাদেরকে আসতে দেখলে এই দোকানের মালিক-বিক্রয়কর্মীরা খুশি হতেন। তাঁরা আমাদেরকে যথাসাধ্য আপ্যায়ন করতেন। দুই-তিন বার কী করে যেন হালখাতার দিনেই আমাদের কেনাকাটা করার প্রয়োজন হয়েছিল। ঐ কয়েকবার তাঁরা বিপুল আনন্দিত হয়েছিলেন। ... ...
আমাদের নিউটনবাবু মিলিটারি ও পুলিশ পরিবৃত হয়ে শেষমেশ পৌঁছলেন তার গন্তব্যে। যদিও ইতিমধ্যে সঙ্গী আইনরক্ষকরা তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন দূরবর্তী ক্যাম্পে বসেই কাগজেকলমে ভোটপর্ব সেরে নিতে। কারণ জঙ্গি হানায় কুঁকড়ে থাকা ঐ আদিবাসী গ্রামের নিরক্ষর স্বল্পসংখ্যক মানুষদের মধ্যে কেউ-ই কোনো কালে এই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে অভ্যস্ত নন। নিউটনও ছাড়ার পাত্র নন। ‘স্বদেশব্রত’-ই যে তখন তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান! হয়তো তেমনটাই যৌক্তিক। প্রথমবার ইলেকশন ডিউটি পেয়ে হয়তো এমনই গরম রক্তে আমিও ফুটেছিলাম গণতন্ত্রের মহান উৎসবে সামিল হতে। কিন্তু পোড় খাওয়া অভিজ্ঞতা বড় নির্মম। মানুষকে কাপুরুষও করে তোলে। বাস্তবে এমন আশাতীত প্রস্তাব পেলে হয়তো বুদ্ধিমান প্রিসাইডিং অফিসার তা দু’হাতে লুফে নিতেন। আবারও সিনেমা-প্লটের অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে ব্যক্তিগত হিসেবনিকেশের দুস্তর ব্যবধান। তবু শিল্পমাধ্যম তো তখনই যথার্থ হয়ে ওঠে, যখন হৃদয়-উৎসারিত বেদনা উন্মোচনে তা অনুঘটকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ... ...
জুনিয়ার হাইস্কুলগুলি নতুন হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি সব অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ভৌগোলিক অবস্থান দেখলেই বোঝা যাবে কেন সেখানে ছাত্র-ছাত্রী কম। ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত জঙ্গলে ঘেরা গ্রামের একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কি ছাত্রসংখ্যা দুশো হবে? নাকি ছাত্র সংখ্যা ত্রিশের কম বলে তাকে তুলে দেওয়া চলে? যদি ধরেও নিই এলাকাবাসী ততটা সচেতন নন বা কী থেকে কী হল স্কুল বন্ধ হয়ে গেল এতটা ভাবার সময় যদি তাদের নাও থাকে তবুও কি সরকারের নৈতিক দায়িত্ব নেই স্কুলগুলিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার? অবশ্যই আছে। যেখানে প্রথম থেকেই ছাত্রসংখ্যা কম হওয়ার কথা সেখানে এই অজুহাতে স্কুল তুলে দিতে হলে এই ভাবনা যাদের মস্তিষ্কপ্রসূত তাদেরকেই আবার স্কুলে ভর্তি করতে হয়। কারণ তাদের ন্যূনতম জ্ঞানবোধপ্রজ্ঞাই তৈরি হয়নি। তাই এখানে কীভাবে স্কুলটিকে টিকিয়ে রেখে শিক্ষাদানের পরিবেশ বজায় থাকে তারই চেষ্টা করার জন্য সরকারি পরিদর্শক আছেন। তাঁর কাজ কেবল অফিসে বসে বসে মিডডে মিলের রিপোর্ট নেওয়া আর সরকারি প্রকল্পগুলি চলছে কিনা দেখা নয়। কেন স্কুলছুট হচ্ছে কোনও শিশু, কেন সে বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজ করতে চলে যাচ্ছে তার খোঁজ নেওয়াটাও তাঁর দায়িত্বে মধ্যেই পড়ে। ... ...
তবু একদিন যাবার সময় হয় রঘুর। বনবিভাগ ফেরত চায় হাতিকে। তারা মিনতি করে হাতিটিকে রেখে দেবার কিন্তু নিষ্ফল সে আবেদন। রঘু চলে যায়। নীরবে চোখের জল ফেলে বোমান আর বেলি। সন্তানকে দূরে পাঠাতে হলে যেভাবে দুমড়ে যায় মন। কিন্তু ততোদিনে এসে গেছে নতুন একটি হস্তিশাবক, তারা নাম দিয়েছে আম্মু। হাতির সেবায় উৎসর্গীকৃত জীবন থেমে থাকে না। দূরের বন থেকে কখনো দেখা করতে আসে রঘু। বোমান হাঁক দেয়, কেমন আছিস রে রঘু? রঘু তার শরীরী ভাষায় জবাব পাঠায়। আশ্চর্য মুহূর্ত ধরে ক্যামেরা। ... ...
এমন প্রত্যক্ষ প্রমাণেরও অভাব নেই যেখানে মোদি সরকার এমন নীতি তৈরি করেছিল যা সরাসরি আদানি গোষ্ঠীকে উপকৃত করে। একদিকে আদানি অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে কয়লা আমদানি শুরু করে, অন্যদিকে সরকার সেই কয়লা আমদানিতে শুল্ক বাতিল করে। আদানি 'গ্রিন হাইড্রোজেন' তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করার পরপরই, সরকার গ্রিন মিশনের অধীনে এটিকে ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আদানি শস্য সঞ্চয় করার জন্য সাইলো নির্মাণ শুরু করে। কখন? যখন সরকার মজুত রাখার আইন শিথিল করার জন্য কৃষক বিরোধী আইন সংশোধন করে। সরকারি নিয়ম পরিবর্তন করার ফলে আদানি দেশের বেশিরভাগ বন্দর ও বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থ মন্ত্রক এবং নীতি আয়োগের আপত্তিও উপেক্ষা করা হয়েছিল। এছাড়াও সন্দেহ রয়েছে যে আদানির প্রতিদ্বন্দ্বী জিভিকে-র কাছে আয়কর এবং ইডি অভিযানের হুমকি দিয়ে মুম্বাই বিমানবন্দর আদানির হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিল। ... ...
সম্প্রতি, ১৯ মার্চ, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামশেদপুর শহরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষজনদের এক বিপুল সমাবেশ দেখা গেল। প্রায় লক্ষাধিক বাঙালি বাংলা ভাষাকে ভালোবেসেই একত্রিত হয়েছিলেন এমনটাই ভাবা যায়। ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বাংলা ভাষার দাবি নিয়ে, বাংলা ভাষাটিকে ধীরে ধীরে বিদ্যালয় পঠনপাঠন থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বাংলা ভাষার পুন:বহালের দাবি নিয়ে জামশেদপুর শহরের, গোপাল ময়দান, বিষ্টুপুরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন। জানি না, সরকারের টনক কতটা নড়বে কিন্তু এই দাবি চাইতে আসা মানুষজনদের দেখে খুব আশাবাদী। তবে কি ২১শে ফেব্রুয়ারির মত, ১৯ শে মে -এর মত আরেকটি দিন ১৯শে মার্চ সংযোজিত হবে ভাষা আন্দোলনে? বাঙালি অলস জাতি এই অপবাদ মুছে ফেলে শুধুমাত্র ভাষার দাবিতে জেগে উঠবে ঝাড়খণ্ডের বাঙালি? ... ...
কিছু ব্যতিক্রম বাদে কোনো ক্ষেত্রেই কোনো বিশেষজ্ঞ বা বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত নয়। ব্যতিক্রম হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ডক্টর বিজয় রাঘবন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান কস্তুরিরঙ্গন প্রমুখের নাম নেওয়া যেতে পারে। ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি জগতের কিছু বড় নাম সরকারে যোগ দিতে প্রস্তুত। কিন্তু অন্য সব ক্ষেত্রে এই সরকার সম্পূর্ণভাবে বলপ্রয়োগের ওপর নির্ভরশীল। ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চের একজন প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, যে নিম্নস্তরের মানুষ আজ এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রবেশ করেছে, তা আগে কখনও ঘটেনি। ... ...
ভারত জোড়ো অভিযান বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে প্রতীক্ষিত সেতুবন্ধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি প্রথমবার নয় যেখানে অদলীয় রাজনৈতিক গঠন গড়ে তোলা হচ্ছে। সূচনা পর্বেই আমি উল্লেখ করেছি সেতুবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা: “আন্দোলন থেকে আসে গভীরতা, পার্টি দেয় ব্যাপ্তি। আন্দোলন ইস্যুর জোগান দেয়, পার্টি সেগুলিকে কার্যকরী ফলাফলে পরিণত করে।” আমি বিশেযভাবে আবেদন জানিয়েছিলাম “প্রতিরোধের অদলীয় রাজনীতির” উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বর্তমান আক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে কিন্তু কোনও একটি বিরোধী দলের পক্ষপাতমূলক স্বার্থে আবদ্ধ না হয়ে। ... ...
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া রাহুল গান্ধিকে ‘কোভিড নির্দেশিকা’ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি লেখেন এবং তাঁকে “কোভিড মহামারী থেকে দেশকে বাঁচাতে জাতীয় স্বার্থে ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত করার” অনুরোধ করেন। বেচারা ভুলে গিয়েছেন, যে চিঠিটি লেখার সময় দেশে কোনও কোভিড নির্দেশিকা কার্যকর ছিল না। এমনকি দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরায় একটি বড় জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। রাজস্থান বিজেপি ১ ডিসেম্বর থেকে সেরাজ্যে ‘জন আক্রোশ যাত্রা’ করেছে। মন্ত্রীর চিঠির পরেই বিজেপি দিল্লিতে ঘোষণা করেছিল যে তারা জাতির স্বার্থে রাজস্থানে যাত্রা স্থগিত করছে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজস্থানের বিজেপি জানিয়েছে, এই যাত্রা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে – কোভিড সংক্রমণ ভারত জোড়া যাত্রায় হয়, তবে বিজেপির যাত্রায় নয়। ... ...
অবশেষে পোস্টার থেকে সরে দাঁড়ালেন আসল রাহুল গান্ধি। যাঁর রয়েছে গভীর আত্মবিশ্বাস। যিনি সত্যিকারের অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক সাম্যের সাংবিধানিক আদর্শে বিশ্বাস করেন। একজন চিন্তাবিদ যিনি দেশ এবং বিশ্বের সমস্যাগুলি কেবল তুলে ধরেন না, বরং এক সংবেদনশীল মনের অধিকারী ব্যক্তি যিনি সমস্যার মোকাবিলা করতে পারেন। একজন মানবিক নেতা যিনি ক্রমাগত সহমর্মিতাকে অনুসরণ করেন, যিনি ঘৃণাকে জয় করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। একজন রাজনীতিবিদ যিনি ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত নন। একজন সোজাসাপ্টা ব্যক্তি যিনি নাটক এবং মিথ্যাকে পরিত্যাগ করেছেন। বিপরীতে নরেন্দ্র মোদি যেটা করতে অপারগ। ... ...