মৃত্যু স্পর্শ করে সকালের ঘুম চোখ কারো এক পাঠানো বার্তা জানায় মারা গেছে কেউ – চেনা ছিল একদিন যে এখন ঘুম চোখে স্মৃতি খুঁজি বাইরের বারান্দা দেখায় বহুদূরে হাঁটছে চেনা অনেকেই হয়ত ভাবি কেমন চেনা ছিল সে কতখানি ঠিক? সামনে বসিয়ে কুশল মঙ্গল বা চোখের কোণে ব্যথা তার সেই প্রবল সময়ে যখন অন্ধকার চাইতাম, খুঁজে নিতাম নিভৃতি ... ...
গল্পের গরুগুলো গাছে উঠে ধান খায় / লেখকেরা নয়তো প্রায়শই খোঁচা দেয় / এরি মাঝে কেয়াবাৎ / প্রকাশক চিৎপাত / ধানগাছও উড়ে গিয়ে চাঁদে চালভাজা দেয়। ... ...
একদম হালআমলের শিল্পী এবং কবি। মেয়েটির জন্ম পাকিস্তানে, করাচীতে। ইউটিউব,ব্লগ,সোশ্যাল মিডিয়াতে অতি অভ্যস্ত। সমালোচকের বক্তব্য- "...নূর বলেছেন তাঁর নামের অর্থ, দিনের আলো। এই নাম,যথার্থ, কারণ তাঁর বইয়ের প্রতিটি লেখায় আছে এক আলোভরা জাদু। যা, আমাদের কাজ করতে, বেঁচে থাকতে, ভালোবাসতে প্রাণ জোগায়..." ... ...
ইরফানুর রহমানের ‘‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’’ সিরিজ থেকে অনুমতিক্রমে নেওয়া এক গুচ্ছ অনুবাদ কবিতা। ... ...
আমরা পাই সারগর্ভ উপদেশ, জ্ঞানের ফুলঝুরি, আমাদের কি করা উচিত ছিল, তার লম্বা ফিরিস্তি, ভবিষ্যতে কি শিক্ষা নেওয়া উচিত, নিজেকে কেমনভাবে পাল্টে নেওয়া উচিত, কি করলে এমনটা ঘটতো না। এ জেনে আমার কি লাভ? আমি কি পালটে ফেলবো এসব জেনে? আমি বিষ খেয়েছি, জেনে বা না জেনে, কিন্তু তোমার কাছে আমি শুধু একটু উপশম চাই। তার বদলে আমরা পাই, পুকুরে ডুবতে থাকা আপনাকে না বাঁচিয়ে, সাঁতার না জেনে আপনার পুকুরে নামা খুব অন্যায় হয়েছে, সেই মতামত, পুকুরের পাড়ে সাবধানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেদের থেকে। আর তারা কে? তারা বলে তারা আপনার বন্ধু। বলে, আমরা তোমার বন্ধু না হলে কি দরকার ছিল আমাদের সময় নষ্ট করে এইসব বলার। কিন্তু আপনি কি চান, আপনার কি দরকার, সেটা কেউ শুনেছে তাদের মধ্যে? ... ...
ইরফানুর রহমানের ‘‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’’ সিরিজ থেকে অনুমতিক্রমে নেওয়া এক গুচ্ছ অনুবাদ কবিতা। ... ...
তোমাকে পড়ছি রাষ্ট্রদ্রোহী, তোমাকে খুঁড়ছি নিরন্তর যাওয়া-আসা সেও চলতেই থাকে, পুড়ে যায় পোড়ো মাটির ঘর ... ...
উৎসব ইস্পেশাল, সম্পূর্ণ সূচিপত্র ... ...
যা হচ্ছে তা ভালোর জন্যই হচ্ছে কথাটা বিশ্বাস করব বলে আপাততঃ শরীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া মাথাটা এমনকি জোড়া লাগাবার চেষ্টাও করছি না বরং ব্যথা কমানোর ওষুধ নিয়ে অপেক্ষা করে আছি কতক্ষণে পুরোপুরি বিশ্বাস করে ফেলব যা হয়েছে তা ভালোই হয়েছে... ... ...
শুক্কুরবার রাতের কবিতার পাতায় আজ প্রকাশিত হলো কবি ও গদ্যকার বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ। ... ...
সেই কজনের ভিড়ে আমি ছিলাম খানিক আবিন্যস্ত। ভিড়ের মধ্যে একজন তো, তাতেই হবে। ঐকতানের মাধ্যে হলেও ঠিক আলাদা আওয়াজটি তার চিনছি তাতেই ফিনকি দিয়ে রঙ ছড়ালো শব্দগুলো। আবীর প্যাকেট হাতেই ছিল। নিজের কাছে অচেনা তাও তোমার কাছাকাছি ছিল। রোদ্দুরে সব ঝলসে ওঠা অভ্রকুঁচি চোখ ধাঁধিয়ে, সেই সুরে এক ডুবতে থাকা খুব অচেনা আবেশ ছিল। ইচ্ছে বলে কিছু একটা অল্প আবীর দিতে চাওয়া অনেকাদিনের স্বপ্ন ছিল। সেই আবেশে ভেসে গিয়ে ভুল ঠিকানায় ঠিক কথাটা স্রেফ একটিবার বলার ছিল। হাজার হাজার রঙের ফোঁটার সেই একটাই জীবন ছিল। ... ...
এ কদিন তুমি আসোনি কেন গো?অসুখবিসুখ করেছিল নাকি? সে বলল - না রে বাপ,ছেলেটা মরে গেল। এই কথাকটি বলে জল থাবড়াতে থাবড়াতে সে চিৎকার করে বাটা মাছ,কাৎলা মাছ,পাঙাশ,সিলভার কাপ বলে খদ্দের ডাকতে লাগল। নোয়াপাড়া থেকে আসা আমার প্রতিদিনের দেখা মা, শোককে জলে ডুবিয়ে মাছ বেচতে এসেছে। নাহলে পেটের খাবার জুটবে না।খিদের কাছে ম্লান হওয়া শোক আমার চেতনার ধুড়ধুড়ি নেড়ে দিয়েছে। ... ...
"আমি উচ্চারণ করছি না হর্ষ আমি উচ্চারণ করছি না বিষাদ শুধু ধীর ও অনিবার্য হাতে তোমার বিসদৃশ মাথা ছিঁড়ে ফেলছি" ... ...