লক্ষ্মীদেবী নমো নমো মাতা ফ্যান্টাস্টিক। তোমারে স্মরিব মাগো ঘুরি দিগ্বিদ।। ছয়দিন কর্মস্থলে আসি আর যাই। পথে পথে কত লক্ষ্মী দেখিবারে পাই।। ট্রেনে লক্ষ্মী বাসে লক্ষ্মী অফিসে লক্ষ্মী মা। টিভিতে কাগজে দেখি নাই পরিসীমা।। সপ্তম দিবসে মাতঃ রবিবার বলে। বাড়িতে ব্রেকফাস্ট মাগো লুচি আলু ছোলে।। ... ...
রাতদুপুরে আমার ধুনুচির ’পরে পরি নামছে। অবিকল পাশের বাড়ির ঠিকে ঝি-র কলেজে পড়া মেয়েটির মতো। তার মুখ জ্যোৎস্না রাতের আলোয় দেখা ঝিলের জলে ভাসমান মেঘ। এই আমি, তারই হাতে হাত রেখে খুলে রাখছি আমার মহাজাগতিক বৃষ্টিবাকল। ... ...
হাজার বছর আগের কবিরা এমনকি আজকের ফেসবুকে স্টেটাস আপডেট দেওয়া কবিদের সঙ্গেই যেন কিভাবে এক অলীক আত্মীয়তায় রয়েছেন। তাই , কাহ্নু, কৃত্তিবাস, জয়, বিনয় , সুনীল, মৃদুল, জয়দেব(বসু), সোমনাথ যেন নিরবচ্ছিন্ন কালপ্রবাহে একই সূত্রে বাঁধা, কিন্তু তাদের দেশ একই।সে আমাদের বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলা রে।মনে পড়ে গেল সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের এই কবিতায় সত্যজিৎ রায়ের কথা। মনে পড়ে গেল বিভূতি ভূষণ। অপুর হাতে ধরা গ্লোব, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের এই কবিতা আবৃত্তি করে অপু এই পুরস্কার জিতেছিল। সুদুরের পিয়াসী, কৌতূহলী, অপু এই গ্লোব সবসময় হাতে রাখত, সত্যজিতের ‘অপরাজিত’ সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু এও মনে পড়ে গেল সত্যেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ: ' সত্যেন করতেন কিছু/যদি না ছুটতেন ছন্দের পিছু পিছু'। ... ...
মণিশঙ্কর বিশ্বাসের কবিতা ... ...
"সকল শোকের কাছে পড়ে থাকে পাথরের হাত একটি বিষণ্ণ গাছ ছায়া নামে সূর্য ডুবে যায় কোথা যায়, কার কাছে নামিয়ে রেখেছে তার সারা দিন ভার" শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের চারটি কবিতা ... ...
সমিধ বরণ জানার কবিতা ... ...
কয়েকটি কবিতা - বেবী সাউ ... ...
মঞ্চে প্রবিষ্ট অভিনেতার ওপর কবি তো আলো ফেললেন, সে আলো পাঠককে চিনে নিতে সাহায্যও করলো কী সেই অদম্য প্রকাশবাসনার উৎস, কী সে বক্তব্য যা না বলে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে কবির পক্ষে। কিন্তু সেখানেই কি কাজ শেষ হলো? এই জায়গায় এসেই সম্ভবত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় আত্মজিজ্ঞাসা। সাধারণভাবে কবিতা কেন লেখা হচ্ছে এই বিষয়ে আমরা কথা বললেও এখনও পর্যন্ত একটি বিশেষ কবিতা কেন লেখা হচ্ছে সেকথায় আসিনি। "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" সৃষ্টি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন চোখের ওপর থেকে পর্দা সরে যাওয়া, লিখেছিলেন "বিষাদের আচ্ছাদন" ভেদ করে আলোর প্রবেশের কথা (জীবনস্মৃতি)। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এই ঘটনার উল্লেখ করে লিখেছিলেন ঐ বিষাদের আবরণ বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া - কবির এই উপলব্ধির কথা মনে রাখলে “নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের” বিস্ফোরণ বহুগুণে স্পষ্ট হয়। এই চমৎকার উদাহরণে আমাদের কাছে দুটো ব্যাপার স্পষ্ট হয়। কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা আমাদের চোখ খুলে দেয় অন্যতর অর্থের দিকে। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো আত্মজিজ্ঞাসা ও সততা। যে বিষাদ বা আনন্দের প্রকাশে কবিতা লেখা হচ্ছে, সেই প্রকাশ কতখানি কবির নিজস্ব, কতখানি আরোপিত সেই অস্বস্তিকর সত্যের মুখোমুখি না হয়ে তাঁর উপায় নেই। উপায় নেই কবিতা যে ব্যাপ্তি দাবি করে তা এড়ানোর। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যে কবিতা নিয়ে উদ্বেল হবে সেই কবিতা লিখতে গেলে নিজের মধ্যে যেমন ডুব দেওয়া চাই, তেমনি নিজের বাইরে বেরোনোরও দরকার আছে। দরকার আছে আবেগের সাথে দূরত্ব তৈরী করে, ধীরভাবে সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশের। আমাদের আশা প্রথম দুই পর্বের মত তৃতীয় পর্বের কবিতা সংকলনেও সেই বহিঃপ্রকাশ পাঠক আবিষ্কার করবেন। লিখেছেন - শৌভ চট্টোপাধ্যায়, মজনু শাহ, বোধিসত্ত্ব সেন, রামিজ আহমেদ, শাকিলা তুবা, তনুজ সরকার, ঈশিতা ভাদুড়ী, অনিকেত মৃণালকান্তি, অর্পিতা আচার্য্য, বুবুন চট্টোপাধ্যায়, দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম, রুদ্রদীপ চন্দ, মাজুল হাসান, শ্ব, মিঠুন ভৌমিক। ... ...
রুমির কবিতার অরণ্যে পথ চেনার পথে আমার সামনে আর একটা বড়ো প্রশ্ন রয়েছে৷ রুমির কবিতার মর্মোদ্ধার - এখানে রসাস্বাদন আর মর্মোদ্ধরের মধ্যে একটা সতর্ক পার্থক্য করছি - কি ইসলাম ধর্মকে গভীরে না জেনে এবং তাকে সম্পূর্ণ স্বীকার না হোক তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিশ্বাস ছাড়া সম্ভব? আমার মনে হয়েছে ইসলামের শ্রদ্ধাশীল উপলব্ধি অস্বীকার করে রুমির মর্মে পৌঁছনোর দাবি নাব্যতাকে স্বীকার না করে সাঁতার কাটার মতো! মুশকিল হল পশ্চিম থেকে, মূলত মার্কিন মুলুক থেকে যে রুমি-পাঠের প্রবল বান ডেকেছে তাতে আমরা এই প্রাচ্যেও অনেকে ভেসে যেতে শুরু করেছি৷ রসের তোড়ে ভেসে যাওয়ার একটা আনন্দ আছে বইকি, কিন্তু তাতে অবগাহন আছে কি? রুমির কবিতা থেকে কী ভাবে ইসলামকে বেছে বার করে পরিবেশন করা হচ্ছে এক শতকেরও বেশি সময় ধরে তার বেশ একটা ধারণা মেলে রোজ়িনা আলির লেখা প্রবন্ধ “The Erasure of Islam from the Poetry of Rumi” থেকে৷ ... ...
"কবিতার কী ও কেন" বইতে কবিতাপাঠের "প্রয়োজন" সম্পর্কে লিখতে গিয়ে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উল্লেখ করেছিলেন আসলেই প্রয়োজনহীনতার কথা। বস্তুত, যে সৌন্দর্য্যবোধের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে পাঠক অন্য চোখে এই পৃথিবী দেখতে চান, সেই বোধের অভাবেই যাঁর বর্তমান অবস্থান, তাঁকে এই অভাব পীড়া দেবেনা, দেয়ও না। তবু প্রচুর কবিতা লেখা হয়, বিস্তর বই ছাপা হয়, এবং তার ভগ্নাংশ কেউ কেউ পড়েও থাকেন। এই নিরন্তর চর্চার একমাত্র ভালো দিক হলো, এর থেকে লেখালেখির ক্ষেত্রটি ঊর্বর ও সম্ভাবনাময় থাকে। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে কবিতার পাতা সাদা বাংলায় সাদা থাকলে তা আসলে মোটেই সুবিধের ব্যাপার না। অবজ্ঞায় নিভৃতচর্চার গভীরতর কারণ খুঁজতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই কবিতারই কাছে। আটষট্টি সালের বন্যায় ছাত্র ঠেঙিয়ে ঘোর কাদা ভেঙে ঘরে ফিরতে চাওয়া সেই মাষ্টারমশাইয়ের কথা আমাদের মনে করতে হবে যাঁর - "কাদার ভিতর থেকে কলম আঁকড়ানো হাত কনুই পর্যন্ত উঠে আছে"। ("আমাদের ছাদে এল", জয় গোস্বামী) চলে এলো উৎসব সংখ্যা প্রথম পর্বের কবিতা। এই পর্বে লিখেছেন কোয়েলী সরকার, বেবী সাউ, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সুমন মান্না ও কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। ... ...
ঘাসে ঢাকা ফুল - কৌশিক বাজারীর কবিতা ... ...
কবিতা - জগন্নাথদেব মণ্ডল ... ...
এখন সরব নয় গাছের পাতারা আর সামান্য বর্ষায় ঝোলে ঝালে অম্বলে দিনযাপনের পর মনে কিছু নেই তার ঠিক কোন কথাগুলি ভেসে গেল জলে? এখন কয়েকদিন ধরে বাসাগুলো সারাবে পাখিরা ফের গুটি গুটি কুটোকাঠি জুড়ে বর্ষার শেষে পিঁপড়েরা অফিসে বেরোবে নতুন পাতারা স্কুলে এল আগমনী সুরে। বর্ষার জলে গাছের অন্তর কেঁপে ওঠে এখন সহজ রস শিরায় শিরায় ছমছমে হয়ত শব্দ পায়, উচ্চারিত অদৃশ্য ঠোঁটে শ্যাওলার কাঁথা পেতে ধরে যত জল জমে। প্রতি বর্ষায় গাছ আয়ু থেকে বেড়েছে বয়েসে যতখানি হারিয়েছে, তত বেশি জল ভালবাসে। পড়তে থাকুন, এই বর্ষার কবিতাগুচ্ছ। ... ...
যারা মানুষকে দেশহীন, কালহীন, নামগোত্রহীন ক'রে নোম্যানসল্যাণ্ডে ছুঁড়ে ফেলে, নন-এন্টিটি করে দেয়; সেইসব হিংস্র রাজাকার বাহিনীর উদ্দেশে ... ...
বেবী সাউ-এর কবিতা ... ...
আমি ভিখারীর মতো হাত পেতে দাঁড়াই। দয়াপরবশ হয়ে একটা দু'টো টুকরো যদি কখনও ভেসে ওঠে! কখনও জাগর চোখে তার অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করি। কিন্তু আসে কি! অসম্ভব ঔদাসীন্যভাব তার। হবেই নাই বা কেন! কতটুকু সাধনা করতে পারি আমি? অন্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য কতটুকুই বা চেষ্টা আমার! আর মুক্তি! ছোটবেলা থেকে আমি মৃদুভাষী। বুকের মধ্যে অসংখ্য কথা, শব্দ, অক্ষর কিন্তু প্রকাশ করতেই যত বাধা। ভাইবোনদের বললেই ওরা হেসে কুটিপাটি। মায়ের সংসার। অবসর নেই! একা বারান্দায় এসে দাঁড়াই। রাতের কালপুরুষ কথা বলে, সকালের রোদ কথা বলে, শব্দ দেয় প্রবল নৈঃশব্দ। এরাই একদিন বন্ধু হয়ে ওঠে। ... ...
এসে পড়েছে ১৪২৫ নববর্ষ সংখ্যার বকেয়া কবিতা। এই পর্বে লিখেছেন মিতুল দত্ত, চিরশ্রী দেবনাথ, সোনালী সেনগুপ্ত, চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, হিন্দোল ভট্টাচার্য। ... ...
পয়লা একলা - ঐ একই হলো, এমনিতেও পয়লা হলে সচরাচর একলা হয়। সে যাই হোক, সংক্রান্তি পেরিয়ে গেল, আজ কবিতার শুভ হালখাতা মহরৎ। কবিতার ভৌগোলিক গন্ডী হয়না, কিন্তু সাহিত্যের ভূগোল কিছু থাকে তো। ক'দিন আগেই আলোচনা হচ্ছিল বাংলা সাহিত্যের কলকাতা-কেন্দ্রিকতা নিয়ে। সেই ভূগোলের সীমানা ভাঙার চেষ্টা করছি, আপাতত তার সামান্য ছোঁয়া এখানেও থাকবে। হুগলী কপোতাক্ষ আড়িয়াল খাঁ বুঢ়া লুঈ ছুঁয়ে সুদিন আসুক, নতুন বছরের কবিতা পড়ি আমরা। এই পর্বে লিখছেন যশোধরা রায়চৌধুরী, রামেশ্বর ভট্টাচার্য, মিঠুন ভৌমিক, সোমনাথ রায়, জারিফা জাহান, সায়ন কর ভৌমিক, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সুমন মান্না। প্রকাশিত হল নববর্ষ ১৪২৫ সংখ্যার প্রথম পর্বের কবিতাগুলি। খুব শিগ্গিরই বেরুবে আরো কবিতা, এই সংখ্যার পরের পর্বে। ... ...
বেলা চলে গেছে, ঘোচেনি এখনো খেলা রিক্সা চলেছে অংক স্যারের বাড়ি রাধিকার ব্যাগে কেসিনাগ, বই খাতা স্কুল থেকে সোজা, বাসন্তী রং শাড়ি ... ...
কচি কচি কুমড়োর ঝোল কে খেয়েছে রে? খোকা খেয়েছে সোনা খেয়েছে মণি খেয়েছে রে। লতায় হলুদবরণ ফুল খোকার চুলগুলি দুল্দুল্। খোকার মুখখানি ঢল্ঢল্ যেন পদ্ম টলমল্। ... ...