ইমোশন দেখলেই তার উপচে পড়ছে কথকতা/ দৃশ্যকে পিঁড়ি পেতে ডাকে, বাবা বাছা করে/ আমদুধ মেখে দ্যায় কাঁসার থালায়/ অচেনা শব্দ এলে তার সঙ্গেই কত কথা... ... ...
একটি সন্ধ্যা হচ্ছে, যেন সব সন্তান দূরে চলে গেছে একা কোনো মা শাঁখ বাজাচ্ছে, ঘরের আলোয় ফুটে ফুটে উঠছে চলে যাওয়া মেয়েদের পা শ্যামলা সবুজ তরল মুখের ছায়াগুলো পালং... ... ...
তোমার ভেতর একটি পতঙ্গ আছে, অবাক ডানার হাসিমুখে সারাদিন ফুলে ফুলে ঘোরে। কিন্তু তুমি জানো বি-কিপার সরল মেশিন হাতে বন্দরের দিকে গেছে। লুব্ধ ক্ষারের মেশিন অতি দ্রুত প্রহরকে খায়, জলযান খায়, ভাষাভঙ্গি খায় মাতাদোর ও ষাঁড়ের মধ্যে পড়ে থাকা চিৎকার হামাগুড়ি দিয়ে মেশিনের পেটের ভেতর ঢোকে তবু পতঙ্গ তোমার বিকেলবেলায় অর্কিড-হাউস ঘুরে পাইনের দিকে আসে। ... ...
কালো পৃষ্ঠা, লাল কালি, সাদা পিঁপড়ে সবটাই অদেখা ও না-ছোঁয়া। এবং, এই পরিপ্রেক্ষিতে সপাট তানে একটি আধখাওয়া হিউম্যান বডিকে, যার মুন্ডটি পুরুষ, যার দেহটি নারী, তাকে ছিন্ন করে দেওয়া হল। দৃশ্যটি ঘটিবামাত্র, পৃষ্ঠাটি নারী হয়ে ওঠে, কলমটি পুরুষ, পিঁপড়েটি লাল, সাদা ও কালো হয়ে ওঠে। ... ...
যে চোখ সব কিছু দেখে, সে কিন্তু নিজেকে দেখতে পায় না, তাই চোখে পোকা পড়লে আমরা পাশের লোকটাকে বলি দেখতে। ডাক্তার সবার অপারেশন করে, তার পেটে ব্যামো হলে? জোনাকির নিজের বুকে আলো, তবু সে ধেয়ে আসে আলোর উৎসের দিকে। এ উদাহরণ অন্তহীন। জ্ঞানী লোকেরা হলে উদাহরণ দিয়েই বুঝিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু আপনি পড়েছেন আমার পাল্লায়। অত জ্ঞানী হলে আজ আমি প্রফেসর হতুম। সে যাক গে। ... ...
কোনো কথা বলার সময় / পকেটের মাপে, বেছে বেছে / আর কথা বাড়িয়ে কী লাভ... / ছোট ছোট রিচার্জ এসেছে ... ...
দুটি কবিতা ... ...