সিঙ্গুর থেকে আমাদের ছিল ঘন্টায় ঘন্টায় ট্রেন। সকালে হাওড়া যাবার একটা ট্রেনের সময় ছিল আটটা বাইশ। লোকে বলত সাড়ে আটটার ট্রেন। আমাদের পাড়ার ডেলি প্যাসেঞ্জার কাজুদা (নাম পরিবর্তিত) সেই ট্রেন ধরতে বাড়ি থেকেই বেরোতো সাড়ে আটটায়। সাড়ে আটটার ট্রেন ধরতে তার আগে লোকে বেরোবে কেন? বাড়ি থেকে স্টেশন ছিল ১০ মিনিট। এবং বেশিরভাগ দিনই ট্রেন পেয়ে যেত। এক আধদিন ফস্কালে বিলাপ করতে শোনা যেত - “ট্রেনগুলো আজকাল ... ...
খাওয়াদাওয়া নয়, বাড়ি গাড়ি নয়, টাকা পয়সা নয় , শাড়ি গয়না নয়, সাজগোজ নয়, আমার একমাত্র শখ হলো বেড়ানো। কপালগুণে কর্তামশাইয়েরও শখ প্রবল বেড়ানোর! সুতরাং, আমাদের দুই বেড়ানোবাজের একমাত্র মেয়ে হলো ডাবল বেড়ানোবাজ। তবে এক্ষেত্রে মেয়ে আর আমি সমমনস্ক সমগোত্রীয় অর্থাৎ আমার আর মেয়ের আবার বেড়ানোয় বাছাবাছি নেই, পাহাড় জঙ্গল মরুভূমি সমুদ্র সবেতেই সমান রুচি। জাস্ট তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো। কিন্তু কর্তামশাই আবার ভয়ঙ্কর রকমের পাহাড়প্রেমী কিন্তু উনি আবার খাদেও বড্ড ভয় পান! বৈচিত্র্যময় সমাপতন! মেয়ের সেকেণ্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা সেবার বেশ অনেকদিন পিছিয়ে যাওয়ায় শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া হয়ে উঠলো না। তাতে কুছপরোয়া নেহি, দোলের তিন দিন আগে মেয়ের পরীক্ষা ... ...
এক যে ছিল ট্রামপর্ব - ৫|| রক্তে লাল ট্রামলাইনে মহিনের ঘোড়াগুলি চরে ||"আমরা যাই নি মরে আজও--তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়:মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জোছনার প্রান্তরে,প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন--এখনও ঘাসের লোভে চরেপৃথিবীর কিমাবার ডাইনামোর 'পরে।"কার্তিকের জোৎস্নায় ঘোড়া চরে বেড়াচ্ছে ধু ধু প্রান্তরে বরিশালের কোনো এক অখ্যাত গ্রামে | হয়তো তিনি দেখে থাকতে পারেন | যে অপার্থিব দৃশ্য দেখে তার মনে হয়েছিল আমৃত্যু আমাদের সামনে এসে এমনি দাঁড়ায় অজস্র দৃশ্য | কবির ছাত্র প্রখ্যাত কবি অরবিন্দ গুহ এক লেখায় বলেছেন বরিশালে তাঁর মামাবাড়ি তে লক্ষ্মী পুজোতে নেমন্তন্ন থাকতো, তিনি অনেকবার দেখেছেন মন্তাজ মিয়াঁর আস্তাবলের ঘোড়াগুলি কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে চারিদিক ভেসে ... ...
ফিরে এলাম তোমার কাছে থাকবো বলে ফিরে এলাম তোমায় ভালোবাসবো বলে ফিরে এলাম তোমার সাথে
তাই না তাই সব হলো ছাই / মরিচিকায় দিন চলে যায়।। / নেশায়ে মেশা নয়নেরও নিঘা / পরানের আবরণ কে যেন ঢাকে, হাই।।
গুরুপদ নষ্করের সম্পত্তি বলতে ছিলো বাপ-ঠাকুরদার আমলের একটা ভাঙ্গাচোরা বাড়ী - নদীর ধার ঘেঁষে। আর ছিলো বাড়ীর লাগোয়া কয়েক বিঘা চাষের জমি। এছাড়াও ছিলো ওর বুকের একটা পাষাণভার -একটা কালো মেয়ে ঢলঢলে দুটি চোখ কিন্তু কপালে শ্বেতীর দাগ জ্বল জ্বল করে । তাই গুরুপদ মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারছে না। ঘটকরা ওকে দেখলে অন্য রাস্তায় হাটে, কারণ গুরুপদ ওর শ্বেতীওয়ালা কালো ... ...
"স্যার আপনি কি বাতিল?" ক্লাস এইটের কোন এক ছাত্রের কাতর জিজ্ঞাসা তার প্রিয় মাষ্টারমশাইকে। মাস্টারমশাই এর উত্তর যাই হোক না কেন, এক বিরাট মানসিক ক্ষতি হয়ে গেল মনে হয় কচিকাঁচাদের। ক্ষতি হয়ে গেল সেই সব নিষ্কলুষ মনন এর, যাঁরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো স্যার/ম্যাডাম মিথ্যে বলেন না বা স্যার/ম্যাডামরা সব জানেন। যাঁরা ঘটা করে সেই জুলাই মাস থেকে প্রস্তুতি নিত মহান শিক্ষক দিবসের, যাঁরা বড় হয়ে স্বপ্ন দেখতো শিক্ষক ... ...
সবচেয়ে প্রাচীন ছড়া বলে যেটি লিপিবদ্ধ আছে সেটা পাওয়া যাচ্ছে প্রখ্যাত ভাষাচার্য সুকুমার সেনের "বাংলার ছড়া" গ্রন্থে। এটি আগে ঠাকুমা দিদিমাদের মুখে মুখে শোনা যেতো কিন্তু এখন তেমন আর শোনা যায় না। এটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। গ্রাম বাংলার মানুষের মুখ থেকে এটি সংগ্রহ করেছিলেন উইলিয়াম কেরী। মাছ আনিলা ছয় গন্ডা, চিলে নিলো দুই গন্ডা, বাকি র'লো ষোলো, তাহা ধুতে আটটা জলে পলাইলো তবে থাকিলো আট, দুইটায় কিনিলাম দুইকাটি কাঠ, তবে থাকিলো ছয়, প্রতিবেশীকে চারিটা দিতে হয়, তবে থাকিলো দুই, তার মধ্যে একটা চাখিয়া দেখলাম মুই। ... ...
এত করে বকেঝকেও গুরুচন্ডালী দোষ যে কাকে বলে ছাত্রদের তিনি তা বুঝিয়ে উঠতে পারেননি - উক্ত দোষমুক্ত করা তো দূরে থাক ...
নাগরিক জয়িতা ভট্টাচার্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সংঘাত নতুন কথা নয়।রাষ্ট্রিয় ক্ষেত্রে বেনিয়ম ও ভ্রষ্টাচারও সর্ব দেশে দেখা যায়।কিন্তু এখন একটি যুক্তিযুক্ত আন্দোলনে আরো একটি বিষয় প্রকাশিত যে নাগিরকের মধ্যে নীতিহীনতা কতটা ব্যাপক। শিক্ষিত জন ঘুষ দিয়ে শিক্ষক হতে চান। অসদুপায়ে সরকারি চাকরি পেতে প্রতারণার শিকার হন
নির্জন রাতে সমুদ্র ভয়াল নয় অতটাও যতটা ভয়াল মানুষ পশুর কাম, কেন ছেলেমেয়ে বিহারে যাও সমুদ্রসৈকতে, জানো না কি, রাষ্ট্র নেবে না দায়িত্ব সুরক্ষার। মেয়ে হলে পশু ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে দেহ, পুরুষ হলে পিটিয়ে করবে লাল, ভয়ে ভয়ে থাকো, মেনে নাও যত নিষেধ এবং শিকল, জানো নি কি এখনো, রাত্রি অথবা নির্জনতায় ধর্ষকদেহে পুরুষাঙ্গ কামরোগে বেসামাল।
'নেক্রোফোবিয়া' সম্বন্ধে আমরা কমবেশি সবাই একপ্রকার জানি। Google- এ সার্চ করলে প্রথমেই বেশ সুন্দর একটা কবরস্থানের ছবি চোখে পড়ে। সেটিতেও আমার ভীতু হৃৎপৃণ্ড দুর্ধর্ষ রকমের ভয় পায়। বেশ কয়েকবছর পর্যন্ত আমি কোনো শোকবাড়িতে যেতে পারতাম না। কিছুদিন হলো আবার শুরু করেছি। কেননা, ওই যে, কর্তব্যটুকু আগে, সামাজিকতা আগে।
থার্ড গিয়ারে ধুমায়িত হুল্লোড় আই পি এল। কে কাকে কিনল যেন সাড়ে এগারো কোটিতে, ঝটতি পড়তি খেলুড়ে বাছারাও পাঁচ ছ কোটিতে মারে মুঠোভরা খাবলা।
দামোদর নদীতে বান আসছে। / বাঁধের রাস্তা। / কাঁধে স্কুলের ব্যাগ। / চটি খুলে এক হাতে নিয়ে অন্য হাতে ছাতার ভার সহ্য করে
চাষাগুলোকে পিষে দিয়েছে। বাঙালি মিডিয়া শাহরুখের পেছন পাকা ছেলে নিয়ে খুব ব্যস্ত...
বুটকা কদিন ধরেই মনমরা, কিছুই ভালো লাগে না তার। দাদু ছিল তার প্রাণের বন্ধু, ভালোবাসা। আসলে বুটকা জন্মের পর থেকেই মামাবাড়ীতে। বাবার চেহারা সে দেখেনি কোনোদিন। বাবা নেই বলেই হয়তো, দাদুর অত্যন্ত প্রিয় সে। ছোটবেলা থেকেই দাদু, দিদা, মামা, মাসী নিয়েই তার জগৎ। দাদুর মুখে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছে, এই পৃথিবীতে মৃত্যুই একমাত্র সত্য, নিত্য। বাকী সবকিছুই মোহ, মায়া, অনিত্য। তবুও মৃত্যু যে মানুষকে এত বিচলিত করতে পারে, মননে এত বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তার প্রমাণ ... ...
যখন বাবার উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য বালখে লড়ছেন যোদ্ধা শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব তখন শাহাজাদা এ বুলন্দ ইকবাল - সৌভাগ্যমণ্ডিত শাহাজাদা দারা শুকোহর অন্য এক শাহী ইমেজ তৈরিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন শাজাহান। সেটা হল স্বর্গীয় আশীর্বাদপুষ্ট বাদশাহের উপযুক্ত দার্শনিক শাহাজাদার ইমেজ যা দারার পছন্দের সঙ্গে খাপও খায়। ষোলোশো ছেচল্লিশে মুরাদকে মধ্য এশিয়ায় পাঠানোর সময় শাজাহান তাঁকে এগিয়ে দিতে কাবুল পর্যন্ত এলেন। শাহাজাদা দারা শুকোহ আসছিলেন বাবার সঙ্গে। পথে লাহোরের শেখুপুরায় জাহাঙ্গীরের প্রিয় পোষ্য কৃষ্ণসার হরিণ মনসরাজের স্মৃতিতে ... ...
একদিন মাটির ভিতর বাস হবে, এ মানব সংসার ত্যাগ করে মাটির জগতে যেতে হবে। ও মন থাকবে পড়ে নিজের বাড়িথাকতে হবে মাটির ভিতর রে- যাবে না অর্থ খ্যাতি যশ মান এ দেহের সাথে। ও মনধরবে যখন দেহে
সলিল হালদার মশাই কলতানকে একটা কুড়ি হাজার টাকার চেক দিয়ে গেছেন আগাম । কিছু খরচ খরচা হয়ত লাগতে পারে কাজটা শুরু করলে । বাকি 'পেমেন্ট' পরে করে দেবেন বলে জানালেন । সঙ্গত কারণেই কলতান কোন আপত্তি করেনি।