একটু পরে হরিপ্রসাদ আগরওয়ালের ফোন এল একটু পরে ।কলতান বলল, ' হ্যাঁ বলুন ... মিস্টার আগরওয়াল... এনি প্রবলেম ? '----- ' না আর কিছু হয়নি এখনও। তবে সব সময়ে ডর লাগে । কখন আবার ফোন আসে ...----- ' ঠিক আছে । আমি নজর রাখছি ... আপনি চিন্তা করবেন না । কোন কল এলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন ... '----- ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই.... আপনার ভরোসাতেই তো আছি স্যার । আপনার পেমেন্টের কিছুটা দিতে পারলে শান্তি পেতাম ... '----- ' ওটার জন্য চিন্তা করবেন না । আমি ঠিক সময়ে বলব ...'------ ' আর একটা কথা স্যার .... আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। সাধনা আমাকে ইয়াদ ... ...
বুঝি না... যখন হাওয়া তাঁত বোনে আমাদের শরীরের কলে। তখন অন্ধতাঁতি জানতো না, তাঁর শ্রমের মাপকাঠি। তখন অন্ধকৃষক জানতো না, তার উৎপাদন। ফড়িংও ফুরিয়ে গেছে মাঠে মাঠে। ইন্টারনেট তাও বেজায় লাগে নাজেহাল। ওরে হৃদপিণ্ড, তোর ধমক বুঝি না! তোর শিরা উপশিরার পরিশ্রম বুঝি না। জীবনের কলকাঠি কে নাড়ে তাও বুঝি না। সবজির দোকান রাতে বন্ধ হয়ে গেলে
রোদ ছিটিয়ে আলো ছরায়। / আগুনকে ভয় পায় সবাই।
অনেকদিন অপেক্ষা করার পরেও কোন উচ্চবাচ্য, এ্যাডমিনের তরফ থেকে না পেয়ে, স্থির করলাম, এই পোর্টালে আর লিখব না। এখানে বেশির ভাগই সবজান্তা ব্যক্তি বর্গ, যাদের ধারে কাছে আমি যেতে পারবো না, চাইও না। বেশির ভাগই অত্মম্ভরি। মানুষকে সম্মান দেওয়া দূরে থাকুক, তারা ভাল ভাবে বাংলা কথাও
BOOKER 2023 SHORTLISTED BOOK #1 বিধিসন্মত সতর্কীকরণঃ এই উপন্যাসটি পড়তে হলে স্কোয়াশ খেলা, খেলার বিধিবদ্ধ নিয়ম এবং কোর্ট সম্পর্কিত খুঁটিনাটি জানা আবশ্যক। প্রফেশনাল লেভেলের না হলেও বিগেইনার লেভেলের তো বটেই। নচেৎ, উপন্যাস পাঠের সময় কল্পনাশক্তির অভাবে আপনি বারবার উপন্যাসের টিউনিং থেকে হঠে যেতে পারেন। খেলাটাও একটু দেখে নিলে ভালো হয়। আমি, মাঝখান থেকে, ভারত এশিয়ান গেমসে ... ...
..
সিনেমার নাম "The Terminal"। এ সিনেমা বোধকরি অধিকাংশ দর্শকই দেখে ফেলেছেন। ইউরোপের দেশ ক্রাকোজিয়া থেকে আগত এক বিমানে জন এফ কেনেডি (JFK) বিমানবন্দরে নামে ভিক্টর নাভোরস্কি (টম হ্যাঙ্কস) নামের এক মধ্যবয়স্ক লোক। যাবে নিউইয়র্কে, তার বাবার এক অসম্পূর্ণ স্বপ্ন সম্পূর্ণ করতে।
"একটা কাঁধ দেবে সাঁই…একটু কাঁদবো…সব্বাই সব দেয় গো…অনেক অনেক দেয় । শুধু ,কেউই কাঁদতে দেয় না ।" কিচ্ছু গোছাতে পারি নি। সে স্কুলের বাক্স হোক আর জীবনের হিসেব । সব এলোমেলো হয়ে যাওয়াটাই মনে হয় স্বাভাবিক আমার কাছে । বউ বলে তোমার গ্রহে দোষ আছে , হতে পারে । ভূগোলে আমি বরাবরই দুর্বল, গ্রহ নক্ষত্র বরাবর আমার দুর্বোধ্য । তবে একটা জিনিস খেয়াল করেছি যাই হোক না কেন আমি উল্টো জিনিসকে ... ...
জঁ-র ব্যাপারটা আমার কোনকালেই পছন্দের ছিল না। এইভাবে সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্মে ভেঙেচুরে ‘ট্যাগ’ করাটা শপিং মলে কিম্বা ওষুধের দোকানেই শোভা পায়। সেখানকার যারা কর্মচারী তাদের সহজ হয় বিক্রীবাট্টার ক্ষেত্রে। তেমনই জঁ-র ব্যাপারটা স্কলার বা রিসার্চারদের ক্ষেত্রে ঠিকঠাক মনে হলেও পাঠক মহলে এটা বর্জনীয় হলে আত্মিক দৃষ্টি সুদূরপ্রসারিত হয়। নাহলে যে সমস্ত পাঠক শুধু ‘গোয়েন্দা’ কিম্বা ‘তন্ত্র’ ইত্যাদি (উদাহরণস্বরূপ) নিয়েই শুধু থাকতে চাইছেন, তাদের অবস্থা খানিকটা একদৃষ্টি হরিণের মতো হয়ে যায়। লাভের লাভ খুব একটা কিছু হয় না। যারা নিজেদেরকে জঁ-র-এর জটাজালের থেকে বাইরে নিয়ে আসতে চান তাদের লাভ বেশি। এর একটা বড়ো উদাহরণ ‘গারিনের মারনরশ্মি’ নামক উপন্যাসটি। ... ...
#সকালের_লড়াই_আর_চায়ের_কাপ _________________ আমার প্রতিটা সকালই প্রানোজ্জল থাকে। সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের মুখটা দেখার পর মনে হয় পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসটা দেখালাম বোধহয়।আর যদি আমার থাকাকালীন মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় তো কথাই নেই।যতক্ষন থাকি আমার কোলে ঘুম জড়ানো চোখে মাথাটা গুঁজে থাকে। এই পাওয়াটা অনেক বড় আমার কাছে। ঠিক অমরত্ব পাওয়ার মতই। যাক এবার আসল কথায় আসি।আজকেও যথারীতি সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের ঘরে গিয়ে ওর মুখটা দেখে এসে চেয়ারে বসে চায়ে চুমুক দিলাম।দেখলাম “মন” একবার নক করল হাসিমুখে ।সকালের এই ঘুম থেকে ওঠা আর অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর মধ্যেকার সময়টা বড় অদ্ভুদ আমার কাছে। প্রতিদিন ... ...
আমি দুঃখকে কাছে পেতে চাইদুঃখে আছে অনেক সুখ তাই।একাকিত্বের যন্ত্রনার সঙ্গীদুঃখ বিনা আর কে?সুখের সাগরে ভাসলেএকাকিত্বকে বুঝবে কিভাবে?আমি দুঃখকে ভালোবাসতে চাইদুঃখের সময়ই মন করে অন্য মনের অস্তিত্ব অনুভব তাই।জীবন সঙ্গী দুঃখ কি হতে পারে?দুঃখের মতো এত গভীর ভাবে হৃদয়ে নাড়াপারবে কি দিতে কেউ এ বিশ্ব ভরা?--- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী১৩ই মে,২০২৩, বারুইপুর
ইতিহাস, এক্কেবারে টিভি চ্যানেলের মতোই বস্তু। কোনটা দেখাবেন, কতটা দেখাবেন, কীভাবে দেখাবেন, তার উপরেই পুরো গপ্পোটা দাঁড়িয়ে আছে। একটু আগে রামমোহন রায়কে নিয়ে একটা লেখা পড়ছিলাম, পড়তে পড়তে আরেকবার মনে হল। জিনিসটার একটা বিচ্ছিরিরকম মজা আছে। ধরুন, আমি যদি বলি সতীদাহ কী, তাহলে আপনি কী বলবেন? শুধু আপনি কেন, প্রসঙ্গটা এলেই আমি আপনি সবাই দুলে দুলে বলব, পুরাতন ভারতীয় সমাজে ... ...
এখন বর্ষার মরশুম। আর বর্ষার মরশুম মানেই কৃষকেরা জমিতে সারাক্ষণ। এখন আমন ধান রোয়ার সময়। প্রথমে ট্রাক্টরের সাহায্যে জমি চষা তারপর ধান রোয়া হবে। রোদ হোক বা বৃষ্টি, সমস্ত দূর্যোগ উপেক্ষা করে খালি পায়ে কৃষকেরা সারাদিন জমিতে কাজ করেন। আছে বিষধর সাপের ভয়। কয়েক বছর আগে এমন বর্ষাকে উপেক্ষা করে দিন-রাত ট্রাক্টরের সাহায্যে কৃষকেরা জমি চষার কাজ করতেন। তখন কোনো একটা জমির ওপরে বাঁশের মাচা করে তার ওপর তাঁবু খাটিয়ে রাতে পালা করে একজন ঘুমাতেন অন্যজন জমি চষতেন। তারও আগে দেখেছি দুটো বলদের সাহায্যে নাঙল দিয়ে জমি চাষ করতে। দুটো গরুর কাঁধে থাকত একটা কাঠের দণ্ড। দণ্ডের সঙ্গে মাঝে বাঁধা থাকত ... ...
A man was inside, a man was outside / There was no shadow.
১ .মানুষের অনেক কথা বলার ছিল,ফিসফিসিয়ে বলে মাটিকে,চলার পথে ঝুঁকে থাকাগাছের পাতায় হাত বুলিয়ে সে কথা বলে ।দীর্ঘ অন্ধকারে ফুটপাথ জুড়েঅনবরত সেই সব কথারা কানাকানি করে,মানুষের অনেক কথা শোনার ছিল ।২. গল্প বলা আর গল্প শোনাএইভাবে সভ্যতা এগিয়ে যায় ।তোমার নগ্নতায় মুগ্ধ হয়ে,বারবার চোখ তুলিও লজ্জায় নামিয়ে নিই ।বিরক্ত হয়ে চলে যাই,আকণ্ঠ লোভে ফিরে আসি আবার ।তারপর সারারাত শিশির পড়ে ,আমাদের ক্ষমায় ভিজিয়ে দেয় তোমাকে । ... ...
oi,ak rokom
ছোট্ট পুটুস কখনো সখনো মায়ের সাথে বেড়াতে বেরোয় বিকেলে। ও যখন যায় তখন একটা পার্কের পাশ দিয়েই যায়। তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। অনেক.. অনেক দিন আগে ও খেলতে আসত এখানে। কি মজাই না হত। পার্কের পাশ দিয়ে গেলেই ওর সব মনে পড়ে যায়। দোলনা, ঢেঁকি, স্লিপ। মায়ের কাছে বায়না করে একটু নিয়ে যেতে। কিন্তু ওর তো বারণ। ... ...
বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে রাধাকৃষ্ণ সর্বাধিক পূজনীয়। বৈষ্ণবধর্ম তো রাধাকেন্দ্রিক। আবার সাহিত্যাঙ্গনেও রাধাকৃষ্ণ দখল করে আছে বিস্তর জায়গা। সেই রাধার পরিচয়োদঘাটন করার জন্য এই পোস্টটি। রাধার শাস্ত্রীয় পরিচয়ের পূর্বে কৃষ্ণের শাস্ত্রীয় পরিচয় কিছুটা জেনে নেয়ার প্রয়োজন আছে। ঋগ্বেদের কয়েক জায়গায় কৃষ্ণের উল্লেখ পাওয়া যায় কিন্তু তাঁরা দেবকীনন্দন বা মহাভারতের বা বর্তমানে যাঁর পূজা করা হয় সে কৃষ্ণ নন। তবে, অথর্ববেদে কৃষ্ণের উল্লেখ পাওয়া যায়। বেদ আরও বেশি অধ্যয়ন করলে কৃষ্ণ নাম পাওয়া না গেলেও কৃষ্ণের বৈশিষ্ট্যধারণকারী বেশ কিছু নামের উল্লেখ আছে। তবে, সেই বৃহৎ শাস্ত্র থেকে খুঁজে বের করে আনা একটু কঠিন। ... ...
সিএএ আইন প্রবর্তনের পর শাহীনবাগ এবং তৎপরবর্তী যে 'দাঙ্গা' হয়েছিল মাত্র দুবছর আগে, ২০২০ সালে, পরবর্তী দুবছরের করোনা পরিস্থিতিতে সেকথা অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। অথচ ভয়াবহতার নিরিখে এই ঘটিয়ে তোলা 'দাঙ্গা' অন্যান্য গণহত্যাগুলির চেয়ে কম কিছু নয়। 'দাঙ্গা' চলাকালীন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি, কিছু সমাজকর্মী দিল্লির কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা দেখেন, যে, পদ্ধতি এবং প্রকরণে নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে তোলা হয়েছিল দিল্লিতে, তা ২০০২ এর গুজরাত বা ১৯৮৪ র দিল্লির 'দাঙ্গা'র থেকে পৃথক কিছু নয়। হত্যার সংখ্যা নিঃসন্দেহে অনেক কম, কিন্তু পদ্ধতি এবং নৃশংসতা একেবারে এক। ... ...
নীলুদা, ভালমানুষ হয়ে লাভ কী ? প্রথমত দ্বিধা, তারপর ঘৃণা নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে, জিভের ডগায় লোভ, থু থু থু থু ৷ অর্থাৎ চেষ্টা ছিল ভাদ্রমাস সর্বনাশ এইসব জটিলতা ছিল আমাদের আগে পরে, পাতায় পাতায় ডালে ডালে, এ চমৎকার জীবনে, এস-এস-হে-বৈশাখে হে-হে-হে-হে , বনের ধারে সূয্যি-ডোবা দেশে ! সাহিত্য, সুর আর বাঙলা-ভাষা রক্তে-সিমেনে, ভদ্রলোক তুমি ৷পোস্টডকে গিয়ে খুব খিটখিটে হয়ে গেছ শুনলাম ৷ সিডিউলড মৃত্যুর জন্য, শান্তভাবে ভদ্রভাবে ... ...