মোজাম্মেল হক আরাম করে হেলান দেওয়ার ভঙ্গিতে বসে আছেন। মুখে দুনিয়ার যাবতীয় সুখ। পকেটে রাখা বিদেশী সিগারেটের প্যাকেটটা হলো খুশির কারণ। তবু তাঁকে কর্কশ গলায় ডাকাডাকি করতে দেখা গেল। “কই তারার মা, পোলাও মাংস রাঁধতে বলসিলাম নাকি। একটা কাজ যদি করে ঠিক মতো”। তাঁর মতে, ঘরের মেয়েমানুষদের সঙ্গে ছাঁড় দিয়ে কথা বলতে হয় না। বললেই বিপদ, এরা দাম দিবে না। মাথায় চড়ে ঢং-আহ্লাদ করবে। ধমকের উপর রাখলে সে সাহস গজাবে না। কৌশলটা মোজাম্মেল হক শিখেছেন তাঁর এক চাচার কাছ থেকে। যদিও চাচাজানের একটা অভ্যাস তাঁর ভালো লাগে না। অভ্যাসটা হলো গায়ে হাত তোলা। খুব মারধর করতেন চাচাজান। বউ-সাবালক মেয়ে-ধামড়া ছেলে ... ...
শ্রীরামপুর (১১ই অক্টোবর ১৮৪৫ এর পরে এখানে ইংরেজ শাসন শুরু হয়, ডেনিশরা ইংরেজদের বিক্রি করে দেয় শ্রীরামপুর), চন্দননগর, চুঁচুড়াসহ আদি হুগলী জেলায় ইংরেজ শাসন চালু হতে পারেনি কোনোকালেই। ইংরেজদের কুদৃষ্টি থাকলেও তার প্রভাবমুক্ত ছিল এইসব এলাকা। বরং এইসব এলাকায় চলত ডেনিশ, ফরাসী, ওলন্দাজদের শাসন। ইংরেজদের শাসনাধীন এলাকা ছিল না বলে এবং কলকাতার এত কাছের এলাকা বলে ভারতীয় বিপ্লবীদের নির্জনঝাট চারণভূমি ছিল এইসব এলাকা। ব্রিটিশ ভারতবর্ষে বিভিন্ন ধরনের বিপ্লবী কাজকর্ম করে বিপ্লবীরা এইসব এলাকায় এসে গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন দিনের পর দিন। আবার একই কারণে এইসব এলাকায় অসংখ্য বিপ্লবী এবং বিপ্লবী সংগঠন গড়ে উঠেছিল। বিভিন্ন গুপ্ত সমিতির চারণভূমি ছিল এই উপনিবেশগুলো। ... ...
বিকল্প মিডিয়া নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম আগের দিন। আমাদের কথা, অর্থাৎ গুরুচণ্ডা৯ নিয়ে কিছু লিখিনি। সেটাও বলা দরকার। আগামী বছর গুরুচণ্ডা৯র কুড়ি বছর হবে। ২০০৪ সালে ওয়েবসাইট খোলা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত গুরুচণ্ডা৯ সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ, আমরা বই ছাপি, বিক্রিও করি, কিন্তু যদি তা থেকে লাভ-টাভ কখনও হবার সম্ভাবনা হয়, তাহলে সেটা পকেটে পুরে কেউ বাড়ি নিয়ে যায়না। বইয়ের ক্ষেত্রে লাভ করার বিশেষ চেষ্টাও অবশ্য আমরা করিনা, কম দামে সুলভে বই দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। লেখালিখির ক্ষেত্রে লক্ষ্য, 'অন্যরকম' ঘরানাকে উৎসাহ দেওয়া, তৈরি করা। আর ইন্টারনেটে লক্ষ্য একটা আলোচনার পরিসর তৈরি করা। বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক অ্যাফিলিয়েশন আমাদের কোত্থাও নেই। ... ...
হাভাতে বুড়িটি ভাতের সন্ধানে কোনো এক আত্নীয় সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন। তার জন্ম এপারে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর রংপুরের মঙ্গা পীড়িত কোনো এক দূর্গম গ্রামে। তাই আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না, অনিবার্য এক অচিন ক্ষুধা আজন্ম চিটচিটে ঘামের মতো লেপ্টে থাকে তার জঠরে, গতরে এবং সর্বাঙ্গে। বুড়ির জীবনের গল্পটিও তাই মঙ্গা উপদ্রুত অন্চলের অন্যান্য বুড়ির মতো অতি সংক্ষিপ্ত এবং স্যাঁতসেঁতে টাইপের পুরনো। তাই আসুন, এই পর্বটুকু আমরা বরং এক বাক্যেই সেরে নেই : ১৫ বছর বয়সে এক ক্ষেতমজুরের সঙ্গে বিয়ে, বছর না ঘুরতেই বাচ্চা, পরের বছরগুলোতে আরো আরো আন্ডা-বাচ্চা, স্বামী আরেকটি বিয়ে করলে মেয়েটি পাঁচটি ছেলে-মেয়েকে একাই ক্ষেতমজুরী করে ও চেয়ে-চিন্তে বড় করে, মেয়ে-গুলোকে সাধ্যমত অন্যত্র ... ...
প্রথম প্রহর প্রতিদিনের খবরের কাগজটা গোপিকাই বাইরে থেকে তুলে এনে রাধাকান্তকে পৌঁছে দেয়। কর্তা মশাই তখনও গতর এলিয়ে আয়েশ করছেন রাত শয্যায়। গোপিকার সে সুযোগ কোথায়? সে মনে করে এমন সুখের জন্য অনেক কপাল করে আসতে হয়। সকাল মানেই গোপিকার কলের ইঞ্জিন হয়ে ছুটে চলা। কেবলই শতেক কাজের প্যাচে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা।কাজের কি আর অন্ত আছে? সদর দরজার ... ...
বছরের শুরুতে দিল্লিতে জোর মিটিং। অবস্থা অতীব কঠিন, এবার বৈতরণী পার হওয়া যাইবে কী করিয়া? অমিত শাহেনশাহ কহিলেন, হোক রামমন্দির। যেমন কথা তেমন কাজ। ঢাক ঢোল ও টিভি চ্যানেল আনিয়া, ধাঁইধপাধপ ডিজে চালাইয়া উদ্বোধন হইয়া গেল। চারদিকে হই হই কান্ড। শাহেনশাহ ঢেকুর তুলিয়া মিডিয়া ম্যানেজারকে তলব করিলেন। কী সংবাদ হে? সে কাষ্ঠহাসি হাসিয়া কহিল, সংবাদ অতি উত্তম। কেবল বঙ্গাল মুলুকে দুষ্ট বালকেরা ছড়া কাটিতেছেঃজলে ভেজেনা পদ্মপাতা ... ...
রবীন্দ্রনাথের লাইন দিয়েই শুরু করি, সুখে-দুখে-প্রেমে - গানে তিনিই তো আশ্রয় আমার - " যাঁর বেড়ি তাঁরে ভাঙা বেড়িগুলি ফিরায়ে বহুদিন পরে আজ মাথা তুলে উঠেছি "। সেই উত্থান, সেই মুক্তির প্রাথমিক অভিজ্ঞান এই লেখার সূত্রপাত। জানি এখনো অনেক বাঁধন-ছেঁড়ার সাধন বাকি, তাও এই ছোট্ট ধাপটুকু আমার ব্যক্তিগত মনোজগতে এক বিপুল অভিঘাত, এক বিপ্লব ঘোষণার সামিল। এই লেখাটা শুরু করছি, ধারাবাহিক আকারে চলবে, ... ...
যাচ্ছেতাই ...আরবে কেউ নাই আমার। ঘরের লোক বেছে বেছে ইয়া বড় মুসলমান নাম কিকরে রাখলো তা আজ অবধি বুঝিনি। নামের আগে আবার শেখ আছে আমার। আধার, রেশন, ভোটার সব ভুলের বাধা টপকে যখন সরকারি খাতায় ঠিক নাম দেখি তখন একটু জিরান আসে মনে। তাও শান্তি নাই। ইদিকের পঞ্চায়েত মেম্বার হেব্বি খাতির করে বলে কিনা আপনে মুরুব্বি মানুষ। জীবনে কিচ্ছু গোছাতে পারিনি। তাই কয়েক বছর ধরে নিজের ইমেজ গোছাচ্ছি। পলিটিক্যাল ইমেজ। নন পলিটিক্যাল নাকি আ পলিটিক্যাল জানি না। তবে দুটোই গোছাচ্ছি। ... ...
আমি থাকি মূল কলকাতা শহর থেকে প্রায় ঘন্টা দুয়েক দূরে। হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায়। আমার কাজের জায়গা কলকাতায়। সেখানে আমাকে প্রায় যেতে হয়। এবং আমার কাজটা সব সময় মোটেই ঘরে বসে কাজ নয়। নিয়মিত মাসিক চাকরীরও নয়। যে প্রায় গোটা মাস ছয়েক গৃহ বন্দী হয়ে থাকলে চলে যাবে। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে লক ডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে আমাকে প্রায় নিয়মিত না হলেও সপ্তাহে বার চারেক কলকাতায় যাতায়াত করতে হয়েছে। তাও আমি অনেকের থেকে ভাগ্যবান কলকাতায় আমার বন্ধুর বাড়িতে অনেকটা সময় তারা আমাকে থাকতে দেয়। প্রচন্ড ভালোবাসে এবং আমাকে সহ্য করে। শুধু এইগুলো লেখার জন্য আমি এই কথা গুলো বলতে বসিনি। মফস্বল ... ...
সোশ্যাল অ্যানথ্রোপলোজিস্ট জোসেফ ড্যানিয়েল আনউইন ৫,০০০ বছরের ইতিহাস ঘেঁটে ৮৬টি আদিম গোত্র এবং ৬টি সভ্যতার ওপর এক পর্যালোচনা করেন।.আনউইন এ গবেষণা শুরু করেন সভ্যতাকে অবদমিত কামনা-বাসনার ফসল হিসেবে দাবি করা ফ্রয়েডীয় থিওরি যাচাই করার জন্যে। কিন্তু ফলাফল দেখে হকচকিয়ে যান আনউইন নিজেই।.১৯৩৪ সালে প্রকাশিত Sex & Culture বইতে দীর্ঘ এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন তিনি। বিভিন্ন সভ্যতা ও সেগুলোর পতনে আনউইন দেখতে পান একটা স্পষ্ট প্যাটার্ন......কোনো সভ্যতার বিকাশ সেই সভ্যতার যৌনসংযমের সাথে সম্পর্কিত। যৌনতার ব্যাপারে কোনো সমাজ যত বেশি সংযমী হবে তত বৃদ্ধি পাবে বিকাশ ও অগ্রগতির হার।.সহজ ভাষায় বললে , সভ্যতার বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধা স্বাভাবিক যৌনাচার আবশ্যিক। ... ...
ইনস্টাগ্রাম খুলতেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল। গাজায় ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্ষুধার্ত মুখগুলি এখনো আমাকে ভয়ার্ত করে তুলছে। কংকালসার চেহারায় তারা হাসপাতালে মৃত্যুর দিন গুনছে। গাজায় এখনো অবধি মৃতের অফিসিয়াল সংখ্যা ৩০,৭০০ ছুঁইছুঁই। মনে প্রশ্ন জাগে ইজরায়েলের এই ইহুদিরা কি সেই হলোকাস্ট পার করা মুষ্টিমেয় সারভাইভারদেরই বংশধর? নিজেদের পূর্বপুরুষদের সাথে হওয়া বর্বরতা ... ...
এই বর্ণভেদ ক্রমশ জাতিভেদে রূপান্তরিত হয়ে দাস ব্যবস্থা, সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং অধুনা একনায়কতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে থাকা ক্রোনি ক্যাপিটালিস্টদের অল্প পয়সায় শ্রমের যোগান ব্যবস্থা পাকা করেছে, সেজন্যে অতি অবশ্যই ব্রাহ্মণ্যবাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এই হায়ারার্কি যুক্ত যে জাতিভেদ প্রথা আমাদের দেশে চালু আছে, তা এককথায় ইউনিক। আপনি এই জাতিভিত্তিক ব্যবস্থার যে অংশেই থাকুন না কেন আপনি তলায় অবস্থিত কোন জাতিকে পাবেন নিপীড়ন করার জন্য। এর কোন ব্যত্যয় নেই। ... ...
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, দেশের কোনও আদালতের কোনও বিচারপতির, যে মামলার শুনানি এখনও চলছে, সেই মামলা নিয়ে কোথাও কোনও সাক্ষাৎকার দেওয়ার এক্তিয়ার নেই। এই পর্যবেক্ষণ রাখার পাশাপাশি, তিনি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি বাংলার শিক্ষা জগতের অন্যতম বৃহৎ, এসএসসি ও টেট পরীক্ষার দুর্নীতির মামলার শুনানি চলাকালীন একটি বেসরকারী সংবাদ
সব কিছুই তেই রাজনীতি আছে,পদ্মশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দেওয়ার কথা তার নব্বই বছর বয়েসে মনে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কথা। পুরস্কার কাকে কখন কোন সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয় তার কোন প্রিফিক্সড গাইডলাইন ভারত সরকারের আছে কিনা জানিনা। এটা সুপারিশ ভিত্তিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ছিলেন এবং বেশ জোরালো ভাবেই। তাহলে তিনি তখন সুপারিশ করেন নি কেন? ... ...
এলগিন মোড়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। হাঁটার পথটা পেরিয়ে এসে আমার প্রিয় বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এদিক ওদিক দিয়ে নানারকম যানবাহনের আপন গতিতে ছুটে চলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে এই সময়টা। পাশে নানা লোকজনের নানা রকম মুখের ভাজ দেখতে আরও ভালো লাগে। মুখের ভাঁজ গুলো অনেক রকমের হয়। যেমন বাস দেরি করে আসার একরকম ভাঁজ আবার বাস মিস হয়ে যাবার আর এক রকম ভাঁজ। নানা-রকম ভাঁজের মাঝে নিজেকেও গুলিয়ে ফেলি মাঝে মাঝেই। কারণ আমারও বিরক্ত লাগে বাসের জন্য দশ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে। আজ সেই বিরক্তিই হচ্ছিল। প্রায় পনের মিনিট দাড়িয়েও বাসের দেখা পাচ্ছি না। মনে মনে রাগও ধরছে। ... ...
পুজোর উৎপাত থেকে কুছ দূর মফস্বলে থাকি। পুজোর বিশ্ব ল্যাদ আমাকেও কামড়েছে। বসে বসে শৈলসুতের স্তোত্র শুনছিলাম আর ভাবছিলাম এতো গুণের আধার সম্পূর্ণ ইনহিবিশন বর্জিত এক খিস্তিবাজ যৌন কর্মী ছাড়া আর কেইবা হতে পারে? মূলবাসী পরম্পরায় মহাবলী হুদুর দুর্গার স্মরণ করি যদিও তাঁর জন্য ঋষিগণ বল্লমের খোঁচা ছাড়া আর কিছু রাখেন না। মহাবলীকে প্রলুব্ধ করেছিলেন এক যৌন কর্মী তারপর গুপ্ত হত্যা। সেই কান্নার পরম্পরায় দাসাঁই পরব। কান্না হয়েই চলেছে আর শৈলসুতের বন্দনাও। সে হোক, কিন্তু শৈলসুতে ছিলেনটা কেডা? তিনি কি আর্যদের নিয়োজিত এক আর্য সম্পূর্ণা, যৌন কর্মী কাম গুপ্ত ঘাতক? নাকি এক পাহাড়ি মেয়ে যাতে দেবতার আর্য গুষ্টি উপগত হয়, ... ...
ষোলোশো ছত্তিরিশের প্ৰথম দিক দ্বিতীয় বুন্দেলা বিদ্রোহ দমন অভিযানে সফল নেতৃত্ব দেওয়ার পর বাবার সঙ্গে ওরচা থেকে দাক্ষিণাত্যে আসছেন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব। পথে কত কেল্লা, পাহাড়ে ঘেরা সব আঁকাবাঁকা দুর্গম রাস্তা, অপূর্ব লেক, শ্বাপদ সংকুল অরণ্য পড়েছিল। একবার আগে কখনো দেখা যায়নি এমন আশ্চর্য এক জায়গায় বিশাল লেকের ধারে শাহী তাঁবুর পাল পড়েছে। গান বাজনা শুরু হয়েছে দুপুরের পর থেকে। খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় ... ...
মেয়েটির নাম জ্যেনা। সে তার পরিবারের জন্যে রুটি সংগ্রহ করতে গেছে। মোট সাতটা রুটি কিনলো জেন্যা। কালো জিরা দেওয়াদুটো রুটি বাবার জন্যে। মায়ের জন্যে দুটো রুটি পোস্ত দেওয়া, তার নিজের দুটি রুটি মিষ্টি দেওয়া আর ছোট্ট ভাই পাভলকের জন্যে একটা। জেন্যা এদিক ওদিক যায় অবাক হয়ে দেখে। এই সুযোগে একটা কুকুর তার সাত সাত টা রুটি খেয়ে নেয়। জেন্যা তাকে তাড়া করে। কিন্তু কুকুরের নাগাল পায় না। হঠাৎ সে নিজেই হারিয়ে যায়। ভয় পেয়ে সে কাঁদতে লাগে। হঠাৎ এক বুড়ি আসে। বলে এই মেয়ে কাঁদছিস কেন। জেন্যা সব ঘটনা খুলে বলে বুড়ি কে। বুড়ি বলে রুটি আমি কোথায় পাবো?তবে এই ... ...
-- লক্ষ্য করলাম শাহাজাদা সবচেয়ে নির্মম ছিলেন কাদের প্রতি। -- কাদের প্রতি ? -- শিয়া – নতুন ইসলামি সহস্রাব্দে মসিহার আবির্ভাব প্রত্যাশী অন্য মুসলিমদের প্রতি। -- হিন্দুদের প্রতি, জৈন দের প্রতি নয় ? -- না, তারা ধিম্মি, যাদের রক্ষা করা ইন্দো- মুসলিম শাসকের কাম। তারই মুল্য চোকাতে জিজিয়ার বাধ্যতা চাপানো হচ্ছে পরে কিন্তু অমুসলিমরা নয় ঔরঙ্গজেবের টার্গেট গুজরাটি বেয়াড়া শিয়ারা বা প্রতিবাদী মাহদাভিরা ... ...
কোনার্ক থেকে ফিরছি। সারাদিনের ট্রেন। গায়ে ‘সুপারফাস্ট’ লেখা, কিন্তু কাজ করে না। চেয়ার-কার। পিঠ সোজা করে ঢুলুনি। রিজার্ভেশন ব্যাপারটা কারুর কাছেই খুব স্পষ্ট নয়। অনেকেই এসে ক্লেম করছে ২০ নং সিটটা তার, কিন্তু ওটা আসলে আমার। ফিরছি, আমি আর আমার বন্ধু।এমনিতেই দূরপাল্লার ট্রেনে বাঙালী সহযাত্রীর সান্নিধ্য আমি খুব একটা উপভোগ করি না, যদি না একেবারেই আত্মীয়-পরিজন গোত্রের হন তাঁরা। কারণ, বাঙালী মূলতঃ পরিবার-পালিত পশু। তাই, ট্রেনে করে দূরে যাওয়ার পথে, এবং দূর থেকে ট্রেনে করে ঘরে ফেরার পথে তাঁর মধ্যে একটা অবিশ্বাস্য সেন্ট্রিপেটাল ফোর্স কাজ করে পরিবারের প্রতি, ঘরের প্রতি। তখন, ট্রেনে, বাঙালী ভাষা দিয়ে পরিবার বিচার করে। আপনারা দু’জন ... ...