ভালবাসি মা কে, বাবা কে, তারা আমার হৃদয়ে আছে, পাশেই আছে, সবসময়।ভালবাসি আমার পরিবার কে।ভালবাসি আমার বন্ধু, বান্ধবীদের, আমার বান্ধবীসম স্ত্রীকে।ভালবাসি নীল আকাশে সাদা মেঘ, সবুজ গাছ গাছালি, ছোট্ট নদী, যারা সমুদ্র এড়িয়ে চলে। ভালবাসি বৃষ্টির বড় ফোটাতে ভিজতে, অথবা দুপুর রোদে ছুটতে।ভালবাসি শব্দ, অথবা ভালবেসে নি:স্তব্ধতা কে আপন করে রাখতে।ভালবাসি ছোট বেলা, কফি হাউসের অশান্ত যৌবন, ফিরে তাকান বার্ধক্য, দখিনের জানলা ধরে।ভালবাসি একা একা নিজের মনে কথা বলা, গল্প বলা।ভালবাসি যা খুশি পড়তে, লিখতে।ভালবাসি সবার সঙ্গে মিছিলে পায়ে পা মেলাতে, প্রতিবাদে মুখর হতে।ভালবাসি তোমায়, ভালবাসি তোমাদের সবাইকে, এই পৃথিবীকে, সব মানুষ কে।ভালবাসা, তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা, তুমি আমার একান্ত আপন, ... ...
বর্তমান প্রজন্ম এক আত্মপরিচয়ের অভূতপূর্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিসে তাদের আনন্দ, কিসে তাদের বেদনা বোঝা খুবই কঠিন। তবে এই যুগই এমন যে কি আর বলবেন! মন দিয়ে পড়াশোনা করে চাকুরি পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। পিছন দিয়ে কত কি হয়ে যায় বোঝা যায় না। কিছুদিন আগে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দফতরকে মাঝরাতে ঘিরে ফেলতে হলো যাতে তথাকথিত দুর্নীতির তথ্য কম্পিউটার রুম থেকে লোপাট না হয়ে যায়! ভাবা যায়! তাহলে মানুষ কাকে বিশ্বাস করবেন? এখন নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরাই মা বাবার একমাত্র সন্তান। সাবেক যৌথ পরিবার টিঁকে আছে শুধু টিভি সিরিয়ালের পর্দায়, পুরানো গল্প উপন্যাস ও চলচ্চিত্রে ... ...
( ফাঁকা ঘর। একটা বন্ধ জানালা। বইয়ের শেল্ফ,একটা টেবিল ও চেয়ার।)ও মা! তোমরা সবাই এসে গেছ? একটা কবিতা লিখেছি তোমাদের জন্য। দাঁড়াও। পড়ে শোনাই। আজ যে আমি এক্কেবারে একা ঘরেতে আজ নেই রে গো ভাই কেউ , গরম ছুটি কাটবে এমন ফাঁকা! তাই, মনসায়রে দুখ-জাগানি ঢেউ। ভিডিও গেম আর কার্টুন চ্যানেল খুলি একলা ঘরে থাকবো কতক্ষন ? ইচ্ছে করে মনের ডানা মেলি , নিই খুঁজে নিই পরম আত্মজন। কেমন হয়েছে বলতো কবিতাটা? ভালো হয়েছে? কী বলছো একটু দুখ-ভাবনার আভাস রয়েছে? একটুখানি গুরুচন্ডালির দোষ আছে? এসবই যে খুব স্বাভাবিক। এতো বড়ো একটা ... ...
২১ মার্চ ছিল না কি ১৪? দেখতে হবে। দেবেশ রায়ের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ। অনেকক্ষণ কথা হলে, অনেকবার কথা হলে, প্রগলভ হয়ে পড়া যায় কিছুটা৷ দে রা-র সঙ্গে তেমন প্রগলভতা চলেই আসত, যা হয়ত অনধিকারও বটে। সেই অনধিকারের স্পর্ধায় প্রশ্ন করেছিলাম অনেক। সেই স্পর্ধিত প্রশ্নের মধ্যে অনধিকারীর স্পর্ধাবোধে যেমন থাকে, উত্তর বগলে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। তার অন্যতম ছিল, নকশাল আন্দোলন নিয়ে শিল্পোত্তীর্ণ ও কালোত্তীর্ণ সাহিত্য কটা আছে? যে আন্দোলন এত বড় ঘটনা বাংলায়, তা নিয়ে? দে রা বুঝেছিলেন, উত্তর আমিই দেব, সম্ভবত সে কারণেই নীরব ছিলেন। এবং আমি বের করেছিলাম আমার আস্তিনের তাস। দীপেনের শোকমিছিল। আর কিছু নেই, আর কিছু হয়নি, ... ...
আমদের এই কাহিনীর নায়িকা এক জারিয়া। নবাবের হারেমের শত শত অভাগিনী দের মতো সে ও এক্জন । কিন্তুঅসাধারণ তার সৌন্দর্য্য । অসমান্য বুদ্ধিমতী। কিন্তু শুধু ত হলেই তো হবে না। ভাগ্যদেবীও সুপ্রসন্না। সব মিলিয়ে জারিয়া থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন লুৎফা। স্বয়ং সিরাজের দেওয়া নাম। যার মানে হল ভালো বাসা।এই মেয়ে টির মনেপ্রাণে শুধুই সিরাজ। কী করে সিরাজ কে একটু আনন্দে রাখা যায় সেটাই তার একমাত্র চিন্তা।বাংলার মসনদে তখন আলিবর্দী খাঁ। সুশাসক আর প্রজাদরদী আলিবর্দী প্রজাদের চোখেরমণি।রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দুর্দান্ত বর্গী নেতা ভাস্কর পন্ডিত কে দমন করে বাংলার মানুষ কে স্বস্তি দেন তিনি।ঘষেটি বেগম। আলিবর্দীর র দুহিতা। দৌদ্রন্ডপ্রতাপ। সেই ... ...
একশ বছর হয়ে গেল তবু তোমায় বলতে পারলাম না কথাটা। কত সুযোগ এসেছিল পাশাপাশি বসেছিলে, চোখে চোখও লেগেছিল, কিন্তু পারলাম কই? এখন দুশোর পথে হাঁটছি
পুলিশি জেরার মুখে গিউলিয়া স্বীকার করে ১৬৩৩-১৬৫১ এই আঠেরো বছরে পাঁচশোর বেশি পুরুষকে সে হত্যা করেছে 'একুয়া তেফানা'- র সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৯ সালে বিচারে গিউলিয়া এবং তার সাহায্যকারীদের ফাঁসি হয়।
শাহরুখ খান একটা ডাইলোগ মনে পরেছে হালকা হালকা। ঠিক মনে নেই, তবে বোধহয় কথাটা এরকম ছিলো হারকে ভি যো জিতা হে ওহি বাজিগর। মাফ করবেন আমার হিন্দি টা পিসিমার চেয়েও বাজে। আমার শুভ চিন্তকরা বলেছেন পিসিমার বিরুদ্ধে কথা বললে আমাকে সোসিয়াল মিডিয়া থেকে একঘরে করে দেবে। তবুও আমি হাজার বার বলবো।হেরেও জিতে গেল বিজেপি। না তিন থেকে ৮২ টা, প্রধান বিরোধী দল হয়েছে বলে বলছিলাম না তাঁরা সফল । এর পিছনে অন্য গল্প ও আছে। বেশীর ভাগ বাঙালি যখন আনন্দ উল্লাসে ব্যাস্ত বিজেপির মত একটা সাম্প্রদায়িক দলকে হারিয়ে। ... ...
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ফুলচোর উপন্যাসে এক মাস্টার মশাই ছিলেন যিনি কিনা কোয়ালিফিকেশন খ্যাপা! টাইপ শেখো, ইলেকট্রিকের কাজ শেখো.. দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে শুধু শিখে যাও!এতগুলি বিজাতীয় যোগ্যতা ধুয়ে কী ভাবে জল খাবো সেটি জিজ্ঞেস করেছো তো মরেছো! বাস্তব জীবনে এরকম নানান কিসিমের উৎসাহদাতার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত।এক অংক স্যার বিদঘুটে সময়ে অংক করাতে আসতেন, শীতের রাত সাড়ে দশটা ... ...
মেরুদন্ডহীন ছাপ্পান্ন ইঞ্চির রাজত্বে সন্দেশখালী কখন কাশ্মীর হয়ে যাবে ধরতে পারবেন না। সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুকে কনডোম পরানো ছিল।
আমাদের মতো কিছু মানুষ, যারা বিজেপিকে হারাতে জোট ইন্ডিয়ার পক্ষে বাজি ধরে বসে আছি সমস্ত রকম ভবিষ্যত বিপন্নতার ঝুঁকি নিয়ে, তারা বর্তমানে প্রায় দিশেহারা অবস্থায় রয়েছি কংগ্রেস নেতৃত্বের দলীয় স্বার্থ সম্পর্কিত কারণে জোটকে প্রায় শীতঘুমে পাঠিয়ে দেবার উদাসীন মনোভাবে। তাঁরা হয়তো ভাবছেন, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলে যদি গোটা চারেক রাজ্যে ফল খুবই ভালো হয় তবে জোটের আসন ... ...
রোডামিন-বি ও কিশোরবেলার ফাঁকি মিঠাই (১) চলুন একটু ঘুরে আসি। ভাবছেন কোথায়? না, না। একদম চিন্তা করবেন না। আমরা এখন স্মৃতি পথে মানসযাত্রা করবো। একেবারে হাল আমলের কচিকাঁচাদের বাদ দিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব বা ষাটোর্ধ্ব মানুষজনের কাছে এই যাত্রা যে খুব স্মৃতিমেদুরতায় ভরা এক চনমনে আনন্দের পথচলা হবে তা আমি গোড়াতেই হলফ করে বলতে পারি। গরমের ছুটি পড়েছে স্কুলে। মধ্যাহ্ন ভোজনের পাট চুকিয়ে ... ...
সকালে মোবাইলে অ্যালার্ম বাজলে প্রথমেই মোবাইলটা তুলে নিয়ে অ্যালার্মটা অফ করে দেখে নিই কিছু নোটিফিকেশন এসেছে কিনা | তারপর আরো আধ ঘন্টা ঘুমিয়ে নিই | আধঘন্টা বাদে দ্বিতীয় অ্যালার্ম বাজলে সত্যিকারের ঘুমটা ভাঙে | এটাই অভ্যেস | কিন্তু আজকে একটাও অ্যালার্ম বাজেনি, তাই চোখ খুলে প্রথমেই মনে হল প্রচুর দেরী হয়ে গেছে |বিদ্যুৎবেগে মোবাইলটা তুলে লক স্ক্রিনে সময় দেখতে পেলাম না | ছুটলাম বাথরুমে | তারপর চান করে বেরিয়ে আবার ইচ্ছে হল সময় দেখার | আনলক করে মোবাইলের হোম পেজে ঘড়ির উইজেটটা পেলাম না | উদ্ভট ব্যাপার |খটকা লাগল, ঘড়ির উইজেটটা কি কোনো কারণে কাল রাতে ডিলিট করে দিয়েছি ?গলি থেকে ... ...
রবি ঠাকুর কেন ঠাকুর হলো না?? বাঙালি ভাইরা - এবার একটু জাগুন। গণশক্তি ছেড়ে জাগোবাংলা পড়েও কেন জাগছেন না। ঘুম থেকে জেগে উঠে একটা পেপসি খেয়ে, "জয় বাংলা" না বলে বলুন "এ দিল মাঙে মোর"। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, বাঙালি অল্পতেই সন্তুষ্ট। বেশি কিছু চায় না। সাহিত্যে দেখো ... ...
ইংরাজীতে ‘COMPACT’ বলে একটা শব্দ আছে। ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’ সেই অর্থেই কমপ্যাক্ট লেখা। ঝরঝরে, নির্মেদ এক উপন্যাস, যার জন্যে পড়াশোনা করতে হয়। ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’ গত চার বছরের অন্যতম জনপ্রিয় এবং আলোচনাপ্রিয় উপন্যাস। মাথা চটকিয়ে দেওয়া এমন আর কোন উপন্যাস এযাবৎ মনে পড়ে কি? না। অন্তত এতদিন ধরে সাধারণ পাঠকসমাজে এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নি আর কোনও উপন্যাস। বর্তমানে এর ২৩-তম মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসটির রহস্যময়তা ... ...
বেফাঁস কাজকর্ম করাই কাশীপুরের ওসির উন্নতির মূল কারণ। ঝুটঝামেলা তেমন নেই, আর ওসি সায়েব একটু সমাজসেবা করতে ভালোবাসেন, তাই মাঝেমধ্যে থানায় ছেলেপুলেদের ডেকে সাহিত্য পড়ান। সেই থেকেই কেলোর সূত্রপাত। একদিন গফুর বলে এক ছেলেকে পড়াচ্ছেন। নাম দেখেই প্রশ্নটা মাথায় এসে গেছে, বল তো মহেশের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? ছেলেটা প্রশ্ন শুনে আমতা-আমতা করছে, ইশকুলের আজকাল এই হাল হয়েছে, শরৎচন্দ্রের গল্প পড়ে-টড়েনি নির্ঘাত, কিন্তু সেই নিয়ে বকাঝকা করার আগেই ... ...
বাবা বললেন, ‘খাবি কি?’কথাটা উঠেছিল হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার পরে। হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে স্কুল ছেড়ে কলেজে ঢোকার সময়ে। বহুদিন আগের কথা। সেটা উনিশশো তিয়াত্তর সাল।পরিস্থিতি ভাবলে মনে পড়ে যায় মনীশ ঘটকের কবিতা - ‘এর চেয়ে মর্মান্তিক গুরুদণ্ড ভার, সেদিন অতীত ছিল ধ্যান ধারণার’। কবির কল্পনার সেই 'দু-চোখ ডাগর' মেয়ে, 'কুড়ানি' যার নাম, তার দেওয়া শাস্তি ছিল - 'তরে করুম না বিয়া'! কিন্তু এই দন্ডে দন্ডিত আমি যাই কোথায়?ছোটবেলা থেকেই জানি যে বড় হয়ে আর্টিস্ট হব, ছবি আঁকবো। স্কুল পাশ করে কলকাতায় আর্ট কলেজ-এ পড়তে যাব এতে কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই. কখনো ভাবি নি বাবা তাতে বাদ সাধবেন; ভাবি নি শিল্পী ... ...
খাওয়াদাওয়া নিয়ে আরো কয়েকটা কথা বলব আজ। কিছু অন্যের মুখে শোনা, কিছু নিজের চোখে দেখা ও শোনা। খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে মানুষের আর্থিক সামর্থ্য জড়িয়ে থাকে। তার ওপর পরিবারের গিন্নি বাপের বাড়িতে যে ঘরানার রান্না শিখেছেন, তাঁর সংসারে সে ধরণের রান্নাই বেশি চলে। কে না জানে, বাঙাল ও ঘটি রান্নায় যথেষ্ট পার্থক্য তবে এটা খুবই হাল্কা করে বলা হল। তথাকথিত ঘটি রান্নারও ... ...
মাটির নিচে সুড়ঙ্গ। সিমেন্ট বাঁধানো গলির ভেতর শুখনো ভয়ের গন্ধ। আঁধো অন্ধকারে দেওয়ালে ঝোলানো প্রায় বারোশো মামি। এক কোনে একটা কফিনে শোয়ানো আছে একটা বাচ্ছা মেয়ের মামি। মনে হচ্ছে যেন ঘুমিয়ে আছে একটা মিষ্টি মেয়ে। এই মামি-টা মনে হচ্ছে সবচেয়ে নতুন, মেয়েটির নাম ছিল রোসালিও লাম্বার্ডো, ১৯২০ সালে শিশুটি মারা গেছিলো দু বছর বয়েসে। বাকি গুলো খুব পুরোনো। পুরোনো মামি থেকে চামড়া খসে ... ...
আজ বিশ্ব জল দিবস ২২ মার্চ দিনটি প্রতি বছর পালিত হয় বিশ্ব জল দিবস হিসেবে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে জলের গুরুত্বের কথা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলার দরকার হয়না। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বৈশ্বিক প্রাণধারাকে বজায় রাখতে জল সাহায্য করে। এক সময় বলা হতো পার্থিব জলের ভাণ্ডার হলো অফুরান সম্পদের উৎস। প্রকৃতির এই অকৃপণ সম্পদের কারণেই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র নীলগ্রহ ধরিত্রীর বুকেই বিকশিত হয়েছে বহু বিচিত্র প্রাণের ... ...