আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও নামক একটা ছোট্টো জায়গায় কিছু দলিত সংগঠন বনাম হিন্দুত্ববাদীদের একটা গোলমাল হয়। অভিযোগ, দলিতদের মিছিলে হিন্দুত্ববাদীরা আক্রমণ করেছিল। প্রতিবাদ ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। হিন্দুত্ববাদী একজন নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর ধাপে-ধাপে আসরে নামে বিশেষ-তদন্তকারী-দল এবং এনআইএ, যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারতবর্ষের নিরাপত্তারক্ষার মহান দায়িত্বে। না, হিন্দুত্ববাদীদের আর কিছু হয়নি। এক এক করে গ্রেপ্তার করা হয় ... ...
মাথার ভিতর থইথই করছে শব্দ, আরো পাঁচ কোটি শব্দ নিষেকের জন্য দাঁড়িয়ে লাইনে, ফ্যালফ্যাল করে হাঁটুগেড়ে আমাকে বলছে, আমাদের তুমি মালার দানার মতো, সুতো দিয়ে কবিতায় বাঁধো।
ফুর্তি। এইমাত্র খবর পেলাম, ব্রাজিলে বলসোনারো হেরে গেছেন। বামদিকের লুলা আসছেন, যদিনা অবশ্য এর মধ্যে কু-টু হয়ে যায়। সাও পাওলোর রাস্তায় উৎসব চলছে। মানে, টিভি আর ইন্টারনেটে যা দেখলাম।বলসোনারোর নাম জানেননা, এমন এই বাজারে কেউ নেই। দক্ষিণপন্থী ছাপ্পান্ন-ইঞ্চিদের মধ্যে মোদিবাবুর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবেন এই ভদ্রলোক। ভালোদিন এর খোয়াব দেখিয়ে জিতেছিলেন। তারপর ' কালাধন' আর 'দুর্নীতি'র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি বলে খপাখপ বিরোধীদের জেলে ভরছিলেন। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি লুলাকেও দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দী করেছিলেন। এ ছাড়াও, কোভিড মোকাবিলায় প্রচন্ড দক্ষতা দেখান, এবং দেশের নির্বাচনের পদ্ধতিই বদলে দেবেন বলে দাবী করেছিলেন।যা হোক, এসব সবাই জানেন। প্রবন্ধ লেখার মানে নেই। ফুর্তির ব্যাপার হল এই, যে, একে ... ...
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের কবি শহীদ কাদরী' (দীর্ঘ রোগে ভুগে ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্কে প্রয়াত) লেখা কবিতা "তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা" একটি অসামান্য রচনা। বেশ আগে কবির সুমন এই কবিতাটিকে সুর দিয়ে গান করেছেন, সেটিও অনবদ্য:"তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা! ভয় নেই এমন দিন এনে দেবদেখ সেনাবাহিনীর বন্দুক নয়,শুধু গোলাপের তোড়া হাতে কুচকাওয়াজ করবে তোমার সামনে,শুধু তোমাকেই তোমাকেই স্যালুট করবে তারা দিনরাত।ভয় নেই এমন দিন এনে দেব..."২কবি শহীদ কাদরীর প্রথম প্রেমিকা, প্রথম স্ত্রী নাজমুন নেসা পিয়ারী নয়ের দশকের শেষের দিকে এসেছিলেন ঢাকায়। বার্লিন প্রবাসী প্রায় ৬০ বছর বয়সী পিয়ারী তখনো দারুন সুন্দর, উজ্জল। ঢাকা ক্লাবের এক পার্টিতে কোনো এক সাংবাদিক বন্ধু পরিচয় করিয়ে দেন তার ... ...
আমার বাপ আমাকে একজোড়া ঘুড়ি আর একলাটাই ভর্তি সুতো কিনে দিয়েছিল ছেলেবেলায়। সেই যখন আমাদের মফঃস্বলী পাড়াগাঁ টাইপের বারাসাত, লোকের ভীড়ে উপচে পড়ে নি। রাস্তায় চলতে গেলে লোকের কাঁধে কাঁধ লেগে যেত না, আর ছাদে উঠে দূরে তাকালে, ছেলেবেলায় আঁকা গোল্লা গোল্লা ঝোপের পিছনে তালগাছের সারির পেছনে আকাশ শুরু হয়ে গেছে, দেখা যেত। এ সেই তখনকার কথা। বাপে ঘুড়ি তো কিনে দিল, কিন্তু উড্ডয়ণসূত্রটা জানা না থাকায় ঘুড়ি দশফুটের উপরে কিছুতেই আর উড়ল না। ঐ আমার প্রথম আর শেষ ঘুড়ি কেনা। ধুলোমাখা লাটাইখানা মাঝে মাঝে খাটের তলা, বাঙ্কের কোণা এরকম অদ্ভুত যায়গায় আবিষ্কার হয়ে আমাদের চমকে দিত। তারপরে ম্যালা চন্দ্রভূক অমাবস্যা কেটে ... ...
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বলতে অনেকে শীতকালে কম করে আতপ চাল খাবার কথা বলা হচ্ছে মনে করেন। আসলে কিন্তু কার্ব কম খেয়ে ওজন কমানোর সঙ্গে শীতাতপের কোনো সম্পর্ক নেই। উহা বাংলা এসি র সংস্কৃত নাম। সেই যন্ত্রের ওজন প্রচুর। ঘাড়ে তুলে নিয়ে গেলে পেশির বৃদ্ধি হতে পারে, ওজন কমা সম্ভব না। অনেকে ভাবেন, এসি চালালে পরিবেশ ঠান্ডা হয়। সেটাও ভুল ধারণা। এসি চালালে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন নামের খুব খারাপ গ্যাস বার হয়ে ওজন স্তরে ছ্যাঁদা করে দেয়। সেখান দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি গায়ে পড়লে মাথা এবং শরীর গরম হয়ে যায়। একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এ মাথা গরম করে পৃথিবীতে অনেক খারাপ কাজ হয়েছে। ভাইয়ে ... ...
আমার ক্যাবলা কাটিং হাসি পুরোনো গান। এর আগে লাইভ একটা ভার্সান ছিল। ভালো রেকর্ডিং ছিলনা। এবার নতুন করে করা হল। অ্যারেঞ্জ ট্যারেঞ্জ করে। মন্তব্যে কেউ কেউ বলেছেন, আগেরটাই ভালো ছিল। সে আর কী করা যাবে। পাপের ফল, হয়েছে যখন, থাক।
ওগো নির্জনতা, জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে অনেক কথা, গান, গল্প বলে তবুও মনে হয়"কিছুই তো হল না .......কিছুতে মনের মাঝে শান্তি নাহি পাই,কিছুই না পাইলাম যাহা কিছু চাই।"এবার তোমার হাতে হাত রেখে পথ চলতে চাই।ব্রাহ্মমুহূর্তের আকাশের মনের কথা জানতে চাই ---প্রথম আলোর ছোঁওয়া পেয়ে আকাশ কেমন সেজে ওঠে দু চোখ ভরে দেখতে চাই ---রবির প্রথম কিরণ মনের অন্তঃস্থলকে আলোকিত করে --- অনির্বচনীয় আনন্দের সাক্ষী থেকো তুমি নির্জনতা!নির্জনতা ! তোমাকে বন্ধু করে, পাখির প্রথম কলরব শুনতে চাই ---শুনতে চাই প্রজাপতি, মৌমাছির পাখা মেলার শব্দ--- আরোও --- আরোও অনেক কিছু চাই ---ঝুপসি গাছের পাতাগুলোর কানাকানি, তিরতির করে বয়ে যাওয়া নদীটার বুকের শ্বাস প্রশ্বাস , ... ...
আমি বারবার বলার চেষ্টা করছি যে ধর্ম আসলে একটা সমাজ বিজ্ঞান। সমাজকে সুস্থ ভাবে চালানোর জন্য বিভিন্ন রীতিনীতি চালু হয়। দূর্গা প্রতিমা বানতে বেশ্যা পল্লীর মাটি লাগে। ভাবুন সমাজ যাঁদের দূরে ঠেলে দিয়েছে, অবজ্ঞা আর বঞ্চনার পাহাড়সম দেওয়াল তুলেছে, ঘৃণা আর নোংরা দৃষ্টি ছাড়া যাঁদের কিছুই জোটে না, তাঁদের ঘরের মাটি দেবীমূর্তির অপরিহার্য ... ...
এক বন্ধুর সঙ্গে দেখে এলাম "অপরাজিত" ৷ একটা দৃশ্যে আমার চোখ ভিজে গেল, সেটা হরিহরের ঘরে ফেরার পরের দৃশ্য ৷ পথের পাঁচালী দেখতে গিয়েও ওইখানেই চোখ ভেজে , এখানেও ভিজল দূর্গার কথা ভেবেই ৷ প্রাণের প্রাচূর্যে উচ্ছল এক কিশোরী যাকে মেনে নিতে হয়েছে, জীবনে আনন্দের সব উপকরনে তার অধিকার নেই I তার ভাই অপুকে তার মা বেশী ভালবাসে , অন্যায়ভাবে বেশী ভালবাসে । পরের ঘরে চুরি করতে গিয়ে সে প্রায় ধরা পড়ে যায় .. একঘর লোকের সামনে ৷ বড় নির্মমভাবে তাকে মেরেছিলেন বিভূতিভূষন I আমি পথের পাঁচালী পড়েছিলাম ক্লাস সেভেনে ৷ সেই জন্যেই হয়ত পথের পাঁচালী সিনেমাটা কোনোদিনই আমার পুরোটা ... ...
বর্তমানের স্যোশাল মিডিয়ার যুগে যে কোনো দেশের খবর খুব সহজেই সারা পৃথিবীর লোক জানতে পেরে যায়। আর সব দেশেরই লোকেদের এখন অর্থ উপাজর্নের বা সহজে পরিচিতি পাওয়ার মাধ্যম হলো স্যোশাল মিডিয়া। স্যোশাল মিডিয়ার যেমন ভালো দিক আছে বা ভালোভাবে লোকেরা ব্যবহার করছে এই মাধ্যমকে তেমনি বহুলোক আছে যারা এই মাধ্যমকে অত্যন্ত খারাপভাবে ব্যবহার করছে। আবার বহুলোকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে কিছু বিতর্কিত ... ...
শেষ রাতের দিকে আঁধি উঠেছিল। ক্ষুব্দ হাওয়ার বদ্ধ জানালা সার্সিগুলির উপর ধমাদ্ধম আঘাত। তারপর ফাঁক ফোঁকর ছিদ্র খুঁজে ধুলো হাওয়া ঢুকে আনন্দকুঞ্জ এপার্টমেন্টের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরগুলির মধ্যে নিদ্রিত লোকগুলিকে জাগিয়ে তুলে দিল দিল্লীর আঁধি। নিদ্রা চোখে মানুষগুলি ছোটাছুটি করলো কিছুক্ষন এ ঘর থেকে ও ঘরে, রান্না ঘরে, বাথরুমে, এখানে ওখানে, খোলা আধখোলা জানালাগুলি বন্ধ করতে।৫নম্বর গেটের গায়ে গুলমোহর গাছগুলির ডালপালা ভেঙ্গে পড়ার সশব্দ আওয়াজ শুনেছে অনেকে। তারপরেই তো বিজলী চলে গেল। ধক ধক শব্দে বন্ধ হয়েছে এসি। ইনভারটারের জোরে কিছু সিলিং ফ্যান ঘুরে যাচ্ছে আপন মনে। বাইরে আরো কয়েক মিনিট মাতামাতি করার পর হাওয়ার শান্ত হয়েছে। মৃদু মৃদু মেঘের আওয়াজ ভেসে আসছে দূর থেকে। ... ...
কোরালাইন অনেকটা যেন আমাদের চেনা জানা সেই এলিসের গল্প; কিন্তু ওয়ান্ডারল্যান্ড নয়, তার বদলে যেন সে হাজির হয় দেয়ালের ওপাশে সমান্তরালে বয়ে চলা ভয়ের কোনো জগতে।লাইব্রেরি থেকে ধার করে আনা বইটা কয়েক পাতা পড়েই হারিয়ে ফেলি। সপ্তা-দু'এক পরে আবার খুঁজেও পাই, বিশাল বপু কয়েকটা বইয়ের নিচে চাপা পড়ে ছিল। কিন্তু ততদিনে ফেরত দেয়ার সময় চলে এসেছে। ধারের সময় বাড়ানো যেত, কিন্তু আর কেউ এটাকে বুক করে ফেলায় সেটাও পারা গেল না। শেষমেশ না পড়েই ফেরত দিয়ে এলাম। ... ...
"আজ তোমরা আবার আমার জন্মোৎসব করছ। জানি না আমার সম্পর্কে সব কথা ইতিমধ্যেই বলা হয়ে গেছে কিনা, নতুন কিছু আর বলার আছে কিনা ! সব কথা বলা হলো, বাকী শুধু রয়ে গেল কিছু বলিতে? আমি যদি ফুরিয়ে গিয়ে থাকি তাহলে সাহিত্যের রাজ্যে হারিয়েও গিয়েছি। আজ যদি কেউ আমাকে অশ্রদ্ধা করে, অবিশ্বাস করে, আমাকে স্মরণ না করে, তাহলে তার উপর কিছুতেই ... ...
বইমেলা ঘাড়ের উপর চলে এলে তবে আমাদের চৈতন্য হয়, যে, এবার বইটই ছাপতে হবে। তার আগে ঘোষণা করতে হবে। সম্পাদনা শেষ করতে হবে। প্রচ্ছদ বানাতে হবে। অনেক কাজ, কিন্তু সময় আর সাড়ে তিন মিনিট । সিনেমায় টাইম বোমার ঘড়িগুলো সবসময়েই কোনো অজ্ঞাত কারণে টিকটিক করে শব্দ করে। কিন্তু ওগুলো পুরোটাই গুলবাজি। বইমেলা নামক সময় বোমা কোনো শব্দ না করেই ঘনিয়ে ... ...
হেমন্তের হিমহিম হাওয়া কেমন একটা ঝিমধরা আলসেমি মাখিয়ে রাখে সকালগুলোতে। ধুলো আর কুয়াশা হাত ধরাধরি করে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে সূর্যকে। এমন ম্লান দিনগুলোয় বেজায় মনখারাপ হয়ে থাকে নীরার। ডা: নির্ঝরিণী মুখার্জী। শহরের প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন মনোবিদ। কফির কড়া ধোঁয়ায় মেজাজটাকে সেঁকে নিতে নিতে সে চোখ বুলিয়ে নিলো সাক্ষাৎপ্রার্থী তালিকায়। নাতিদীর্ঘ তালিকায় পাঁচটি মাত্র নাম। ... ...
বাণী ব্যাপারটা গোলমেলে। সে খালি গুরুদের একচেটিয়া। মানে যারা নিজেদের গুরু মনে করে, আর বাকি পৃথিবীকে চন্ডালতুল্য, তাদের একচেটিয়া। কাজ অবশ্য খুব কঠিন না, কারণ একবার গুরু বনে গেলেই বেরিয়ে আসতে থাকে অমৃতভাষণ, যার বেশিরভাগই আসলে অনৃতভাষণ। সচেতনভাবে যদি ঢপ না-ও দিয়ে থাকে, তবুও। সেই কোন প্রাচীনকালে ভারতচন্দ্র বলে গেছেন "সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর"।কোন ভারতচন্দ্র? মানে? কেশনগরের ভারতচন্দ্র হে। রায়গুণাকর। বিদ্যাসুন্দরের ভারতচন্দ্র।বিদ্যাসুন্দর বললেই মনটা কেমন সিক্ত হয়ে উঠলো, না? আফটার অল বাঙালি তো। মানে, বলছি যে ভারতচন্দ্র আফটার অল বাঙালি। ফলে বাকি ভারত আগামিকাল ভেবে ফেলার আগে তিনি আজই চরম সত্যিটা লিখে রাখলেন। উত্তরকালের জন্য।তো কথা হচ্ছিলো ... ...
হালতু শ্রমজীবি ক্যান্টিন চলছে, গত ৮ জুলাই থেকে। গড়ে ৫০০ টির মত দুপুরের খাবারের প্যাকেট ৬ টি বিতরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে প্যাকেট প্রতি ₹২০/- বিনিময় মূল্যে।যারা সাহায্য করতে চান যোগাযোগ করতে পারেন। আমার মাধ্যমে সাহায্য করলে মোটামুটি শর্তগুলি নিম্নরূপ১. ভারতে বসবাসকারী ও ট্যাক্সপেয়ার ও ভারতের নাগরিক হতে হবে, ভারতীয় ব্যাঙ্ক আকাউন্ট থেকে ভারতীয় টাকায় সাহায্য করা প্রয়োজন। কলকাতায় থাকলে খাদ্য সামগ্রী বা প্যাকেজিং সামগ্রী বা স্টোরেজ ব্যবস্থা, বা মাল তোলার যানবাহন দিয়ে, বা কোন অনুষ্ঠানে আমাদের সাধারণ খাবার নিয়ে সাহায্য করতে পারেন, তবে আগে্ ব্যক্তিগত ভাবে পরিকল্পনা জানালে আগে আমি সংগঠকদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবো জানাব।২. টাকা সিপিএম হালতু এরিয়া ... ...
লীলা মজুমদার বলেছিলেন "পাঁউরুটি হল অনেকগুলো ফুটোকে ময়দা দিয়ে জুড়ে রাখা।" জয়া মিত্র জিজ্ঞাসা করেছেন, "কবিতাও কি নয় অনেকগুলো চুপ করে থাকাকে কয়েকটা মাত্র শব্দ দিয়ে জুড়ে রাখা?" আমাদের মাস্টারমশাই কমলকুমার মজুমদার বলতেন -- "একমুঠো হারিয়ে যাওয়া মানুষকে মিলিয়ে দিয়ে... দুদন্ড জিরিয়ে নিয়ে... দুটো বিড়ি হাতবদল করে নিতে দেবার সরাইখানার নাম হলো গে পথ.."। আর একদিন, কমলকুমার আমাদের craft র ক্লাস নিচ্ছিলেন। হঠাৎ বললেন -- " ' পথ '- কি জানো? পথ হলো পথিকের মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা আর আলপথে সহসা দেখতে পাওয়া আরেকজন পথিক কে ডেকে বলা -- আমি চললাম... তুমিও চলে এসো । " কিছুই না বুঝে বলেছিলাম -- " আর কলকাতা হলে ? ... ...