মুজতবা আলির পঞ্চতন্ত্রে বাংলার শাক্ত আর বৈষ্ণবদের 'বিবাদ' নিয়ে একটা চমৎকার চুটকি আছে। গপ্পোটা ছোট্টো। জনৈক শাক্তকে এক বৈষ্ণব বললেন, এই যে আপনারা বলি দেন, এতে পশুর ভিতরের 'শক্তি'টাকেই বলি দেওয়া হয় না কি? শুনে শাক্ত একটু হেসে বললেন, পশুটাকে যখন ধরে হাড়িকাঠে বাঁধা হয়, তখন আর তার 'শক্তি' কোথায়? পড়ে থাকে তো শুধু 'চৈতন্য'টুকু। ওটাকেই বলি দিই।গপ্পোটা ছোট্টো হলেও অসাধারণ, কারণ, এতে বাস্তবতাটা খুব সহজে ধরা পড়ে, যে, বাংলায় শাক্ত আর বৈষ্ণবদের তথাকথিত যে বিরোধ, তা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের ছদ্ম বিবাদের চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। এমনই বিবাদ, যে, তা নিয়ে চুটকি তৈরি হয়, এবং এক সৈয়দের ব্যাটা সেটা ঝপ ... ...
প্রাক উপনিবেশ মোঘল ভারত ছিল ধনী দেশ। বৃটিশ অর্থনীতির তুলনায় মোঘল অর্থনীতি ছিল প্রবল মুদ্রা সঞ্চালন নির্ভর উন্নত অর্থনীতি। শুধু সমৃদ্ধ কৃষি নির্ভর বাণিজ্যিক কার্যকলাপ নয় রপ্তানি নির্ভর শিল্প ভিত্তিক এই অর্থনীতিকে ঠিক পূজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা নির্ভর আর্থনীতির আগের পর্যায় অর্থাৎ প্রোটো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ের অর্থনীতি বলা যায়। বিশেষত সবচেয়ে সমৃদ্ধ মোঘল সুবা বাংলা ছিল এই নানারকম অর্থনৈতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রে যার প্রাণ ছিল ঢাকা শহর। মোঘল অর্থনীতিতে ... ...
দুই কিশোর-কিশোরীর পিতা হিসেবে যে লেখাটির প্রতিবাদ করতে এই অন্তর্জাল পত্রিকায় আমার লিখতে শুরু করা, এখন মনে পড়ছে মূল রাগটি অনুবাদিকা প্রত্যয় ভুক্তের উপর সেসময় নিক্ষিপ্ত হলেও প্রত্যয় ভুক্ত আসলে নামী হাংরি কবি ও লেখক মলয় রায় চৌধুরী ‘লেখাটি কেউ অনুবাদ করলে ভাল হয়‘ শিরোনামে নোরা বার্ণাকলকে লেখা জেমস জয়েসের চিঠিই অনুবাদ করেছেন। মানে ঘটনার মূল হোতা তিনি ছিলেন না। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে গতকাল মলয় রায় চৌধুরী নারী দেহের কোন বিশেষ দিক নিয়ে লিখেছেন দেখলাম। সেটাও মুখ বুঁজে পড়েছি। ভেবেছিলাম আর মুখ খুলব না এবং একটি শব্দও লিখব না। লিখলে ভাল কিছুই লিখব। এখন দেখি মলয় রায় চৌধুরী ... ...
এই নিউজক্লিক কান্ডের পর অন্য একটা কথাও মনে হচ্ছে। সেটা বিকল্প মিডিয়া প্রসঙ্গে। গত কুড়ি বছরে, বাংলা এবং গোটা ভারতেই বিকল্প লেখালিখির জায়গাটা দুমাদ্দুম স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এই স্টার্টআপ জিনিসটা কী? না আপনি নিজের উদ্যোগে বা খরচায় কিছু একটা ছোট্টো করে বানালেন। তারপর তার মুনাফা-বানানোর সম্ভাবনা আছে দেখিয়ে বড় কোনো শিল্পগোষ্ঠীর কাছে বেচে দিলেন। অথবা সরাসরি বেচলেননা, কিন্তু বেশিরভাগ শেয়ারই বেচে দিয়ে বিনিয়োগ আনলেন। জিনিসটা নতুন কিছু না, কিন্তু ... ...
হিসেব রাখা—বড় দায়।নিজের হিসেব? ধারণা, বক্তব্য, আর যাপনের গরমিলের হিসেব? আরও কঠিন। যদিও আমাদের, বাঙালিদের সুবিধে একটু বেশি। Hypocrisy-র বাংলা নেই যে! ওসব 'কপটতা'-ফপটতা বাদ দিন, কন্সেপ্টটাই ভিনদিশি। যা ভাবি, তা গুরুজনের বা সমাজের কথা ভেবে গিলে/বদলে ফেলবো না? সে আবার কেমন কথা! অতএব, 'যখন যেমন, তখন তেমন'!এর ওপর যদি আবার নিয়ে আসি সামঞ্জস্য বা ধারাবাহিকতার ব্যাপার, সে তো আরও কঠিন! পরশু মোহনবাগানকে নিয়ে যে জ্ঞানবাক্যি ঝেড়েছিলাম, আজ সেই একই কথা বেপাড়ার ছোকরা পাকিস্তানের ক্রিকেট টিম নিয়ে বললে, মেনে নিতে হবে? সমাজে সম্মান বলে একটা ব্যাপার নেই?তা, এমতাবস্থায়, সোশ্যাল নেটওয়র্কে জ্ঞান বিতরণের ঝক্কি অনেক। সাত বছর আগের নিজের পোস্ট/স্ক্রিনশট তুলে ... ...
৬০/৭০ বছর আগে --- / ঘরের জানলা খুললে সূর্য ওঠে / বারান্দাতে অস্ত যায়, / দক্ষিণ হাওয়া পাগল করে / এমন বাড়ী পাবে কোথায় ?
এই সেই বাড়ি, যেখানে ডায়পার পরে রবীন্দ্রনাথ হামাগুড়ি দিয়ে বেড়িয়েছেন চত্বর থেকে চত্বরে। হাঁটু ছড়ে গেছে, ট্রাইসেপ টনটন করেছে, বেবি ফ্যাট ঝরে গেছে। কিন্তু কালো বলে কেউ তাঁকে কোলে তোলেনি। বড় হয়ে ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে রবীন্দ্রনাথ বাড়ি ছেড়েছিলেন। খালি পায়ে হেঁটে চলে গিয়েছিলেন শিয়ালদহে, কাটিয়েছেন উদ্বাস্তু জীবন। তখন জায়গাটাকে শিলাইদহ বলা হত। বাংলার ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথই প্রথম উদ্বাস্তু। এক নম্বর প্লাটফর্মে বসে মনের সমস্ত ক্ষোভ উজাড় করে রবীন্দ্রনাথ লেখেন তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস গোরা। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, যে, ফরসা হলেই ছহী হিন্দু হওয়া যায়না। যতই পুজো কর, আচারবিচারের ভড়ং কর, শেষমেশ জানতে পারবে তুমি বিধর্মী। এখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় আরেক কালোপুরুষের ... ...
বোম্বে সিনেমার রাগী যুবক অমিতাভ বচ্চন এবং জনসংস্কৃতিতে তাঁর প্রভাব নিয়ে বাঙালি পন্ডিতরা পেপারে পেপারে প্রচুর অশ্রুজল ঝরিয়েছেন। অমিতাভ নায়ক হিসেবে এতই লম্বা যে পর্দায় আঁটেননা, গলা এতই ব্যারিটোন যে সাউন্ড সিস্টেম তাকে ধরতে পারেনা। তিনি নিপীড়িতজনের অশ্রুজলকে ধারণ করে তাকে ক্রোধের অঙ্গারে পরিণত করেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে হতাশ জনমানসের কম্পাস হয়েছেন। পর্দার অমিতাভ আসলে ভারতের আপামর জনতার আকাঙ্খার মূর্ত ... ...
সবাই ঠেলায় পরে বলছে যুদ্ধ থামাও। কেউ বলছে না নিরীহ পণবন্দিদের ছেড়ে দাও। এই দুঃখে ভারত যুদ্ধ করে না। নেপাল থেকে বিমান ছিনতাই করে কান্দাহার নিয়ে গেল। ভারত ওদের পায়ে ধরে ওদের দাবি মেনে নিল। ইসরাইল কারুর কথা শুনছে না। যেখানে পারছে বোমা মার্ছে। শ্যাম চাচা o বলছে এবার থামো। হামাসকে গুছিয়ে নিতে দাও। ... ...
এখানে মাঝে মাঝে গান পোস্ট করবো। যেকোনো রকম। এমনিই।কাল রাতে কয়েকটা গানের কথা মনে পড়লো বলে ইউটুবে শুনে নিলাম । Mission Impossible সিনেমার সাউন্ডট্রাকের অডিও ক্যাসেট কিনেছিলাম। এই সময়ে মাগাদের অ্যানথেম হতে পারতো No Government। কিন্তু ওরা বোঝে :)।আমার মনে পড়ছিলো পাল্পের আই স্পাই গানটা whicch has not aged well at all. টেলিগ্রাফ আর ল্যান্ডলাইন ফোনের মত। যেহেতু বিশ্লেষণ সব এআই করবে। you me world war 3 গানটাও শুনলাম lets talk deep and meaningful things বলে :D । আরো মনে পড়লো white town এর ইওর ওম্যান। কিন্তু তখন শোনা হয়নি , নাম শিল্পী কিছুই মনে পড়ছিলো না। শুধু হয়তো ভুল শোনা ... ...
উফ আমার মাথা আউলে গেছে পুরো।দগ্ধ বইটি বের করার সময় বাড়তি উত্তেজনা ও আবেগ ছিল অবশ্যই, কারণ এর সঙ্গে নানান রকমের রিস্ক জুড়ে আছে বলে মনে হচ্ছিল, সেসব বাস্তব না প্যারানৈয়া তা নিয়ে দ্বিধা ছিল, তবু ছিল। তাছাড়া টিমের অনেকের কাছেই জয় আজকের বাংলা কবিতার বর্তমান পিতামহ কিংবা ঈশ্বরতুল্য, আমার কাছে তো বটেই, আমার কবিতা পড়ার শুরু গোঁসাইবাবুর হাত ধরেই। সেই উত্তেজনা ও মুগ্ধতা ছিল। আমি ওস্তাদ বিসমিল্লা খান সাহেবের একমাত্র সামনাসামনি পার্ফরম্যান্স দেখেছি যখন, একটা ছোট ঘরোয়া আয়োজনে, তিনি অতিবৃদ্ধ, চোখের দৃষ্টি ঘোলা, হাঁটা চলা করতে পারেন না। তা বলে কি আর মুগ্ধতা কমে? তো, সেইসব ছিল। কিন্তু এর ... ...
বিদ্যাসাগরপুজোর হিড়িকে আমরা যেন ভুলে না যাই তাঁর প্রায় একশ বছর আগে রামপ্রসাদ সেন বাংলাভাষায় যে পদগুলি রচনা করেছিলেন, তার সঙ্গে আজকের লিখিত বাংলার ফারাক সামান্যই। এবং তাঁর বহু পদ বরিশালের মাঝিমাল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগুপ্ত কবিকাহিনিতে ছাপিয়েছিলেন। তবে রামপ্রসাদী বাংলা যাকে বলে যবনীমিশেলযুক্ত, যে বাংলাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদূরিত করার ইচ্ছে অনেকে আজ প্রকাশ করছেন।আরও ইন্টারেস্টিং দীনেশচন্দ্র সেন বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থে চৈতন্যসাহিত্য থেকে কিছু বাংলা গদ্যের নমুনা দিয়েছেন, যেগুলি প্রায় পাঁচশ বছর আগে রচিত। পাঠক পড়লে দেখবেন, সেই অর্বাচীন বাংলায় কত প্রাঞ্জল গদ্যরচনা হত।বাংলাভাষার আগের অর্জনগুলি ভুলে/ না জেনে জপেনদার মতন শুধু বিদ্যাসাগরচর্চা করলে আমরা একটা বড় প্রশ্নের ... ...
আমি সবসময় বাসের পেছনের সিটে বসি, আজকেও তাই বসেছিলাম। কানে হেডফোন থাকেই, আজও ছিল। কালীঘাট পেরোতেই শুনতে পেলাম, কন্ডাক্টর সামনে বসে থাকা একজন ভদ্রলোককে কিছু একটা বলছেন। বলা বাহুল্য, চিৎকার করছেন কন্ডাক্টর ভায়া। এইসব জিনিসে একটু কৌতূহল বেশি আমার , উঠে দাঁড়িয়ে তাকালাম সামনে। দেখলাম, এক ভদ্রলোক একটি তিন চার বছরের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, বাচ্চাটার নিম্নভাগে কোন পোষাক নেই আর সিটে একজন ভদ্রমহিলা কিছু একটা পরিস্কার করছেন। পাশে ওমরেশ পুরীর মত ভান করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কন্ডাক্টর মশাই।সামনে এগিয়ে গিয়ে ব্যাপারটা বুঝলাম, বাচ্চাটি পায়খানা করে ফেলেছে। তাই কন্ডাক্টর মশাইয়ের এত রাগ। বাচ্চাটিকে ডাইপার কেন পরানো হয়নি। সেই ... ...
দেশভাগের গান। ১৫ ই আগস্টের গান। পুরোনো গান। প্রতি বছর নিয়ম করে দিই। দিয়েও চলব। না দিয়ে উপায় নেই। কারণ এই পাপের কোনো প্রায়শ্চিত্ত হয়নি। হনুমানরূপী 'বীর'রা এখনও লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেকেই স্বাধীনতা বলতেননা। পার্টিশন বলতেন। পার্টিশন মানে দাগ। পার্টিশন মানে ক্ষত। এই ক্ষতকে মনে রাখার প্রয়োজন আছে।আমরা ১৫ তারিখ আরও কিছু জিনিস করতে চলেছি। ১। আমার নিজের একটা উপন্যাসিকা প্রকাশিত হচ্ছে এই ১৫ তারিখ। অনলাইনেই। "নুনু যখন শনাক্তকরণের চিহ্ন"। যখন লিখতে শুরু করেছিলাম, যাদবপুর-র্যাগিং-লিঙ্গ এইসব ... ...
মমতাশংকরের সাম্প্রতিক শাড়ী মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠা ঢেউ এর সাপেক্ষে স্বগত চিন্তার লিখিত রূপ মাত্র শরীর, শরীর তোমার মন নাই কুসুম? এই প্রশ্ন কুসুমদের চিরকালই করা হয়েছে? আর আজকাল আমরা বলি, শরীর শরীর তোমার মগজ নাই কুসুম? ( এই লাইনটা এক ফেসবুক বন্ধুর দেওয়াল থেকে নেওয়া। তাকে কৃতজ্ঞতা। ) অর্থাৎ শরীর বনাম মগজ। একটা বাইনারি। মগজ বলতে অবশ্য ... ...
যদি কিছু তামা'রে শুধাও নরেশ জানা ১ ঠাকুর ঘরের কোষাকুষি, পাইলস দমনের 'অব্যর্থ উপায়' হিসাবে আড়াই প্যাঁচের আংটি আর অম্বল নিবারনের জন্য ছোট্ট কলস অথবা গ্লাস। এর বাইরে গেহস্থলিতে আজকাল আর তামার ব্যবহার দেখিনা সচরাচর। সব তামা যেন সরু কিংবা মোটা তার হয়ে ইনসুলিটার আবৃত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের কাজে কিংবা মোটরে কয়েলবন্দি। আজকের ভারতীয় ... ...
ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ফলে বাংলার ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বদলে যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির হয়েছিল, যা ভারতকে আধুনিকতা ও প্রগতিশীল তার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিল। মানুষ দীর্ঘদিনের কুসংস্কার ও গোড়ামি থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খুঁজে পায় । এক কথায় বলতে গেলে নবজাগরণের সূচনা ঘটে। মানুষ যুক্তি দিয়ে কোনো কিছুকে গ্রহণ করতে শিখে। ... ...
মীর একটা ব্যান্ড খুলেছেন, যার নাম ব্যান্ডেজ। তারা হিন্দি গান গাইবে। "হিন্দি গান কে শুনবে? বিহারিরা?" জিজ্ঞাসা করায় প্রবাল নামক একটি ছেলেকে তিনি বলেছেন, তুমি কোন (প্র)বাল, হিন্দি গান শোনোনা?এই খানে মীরের প্রচন্ড 'স্মার্টনেস' ছাড়াও, একটা জিনিস ভারি আকর্ষণীয়। প্রবল আত্মবিশ্বাস, যে, পৃথিবীতে একটা ধরণের জিনিসই হয়, ওটাই নিয়ম। যেমন মেয়েলি পুরুষদের নিয়ে খিল্লি করতে হয়। এক-আধটা খিল্লি কারো করার ইচ্ছে হতেই পারে, কোনো চাপ নেই, কিন্তু চাপ হল সেটাই নিয়ম ভাবায়। সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি আমতা-আমতা করছিলেন, ভাবখানা হল 'ও মা করবনা? ওটাই তো করার কথা'। পাড়ার মোড়ে সঙ্গমরত কুকুর-কুকুরীকে ইট মেরে, দেখবেন অনেকে খুবই আনন্দ পায়। তাদেরকে ... ...
দুনিয়াটা দিন দিন নয়নতারার জঙ্গল হয়ে যাচ্ছে। / এমন জঙ্গলে তোমার জন্য গোলাপ কোথায় পাই বলো! / কোত্থাও কোনো জঞ্জাল পড়ে নেই, সব ঢাকা আগাছায়, / সবুজ চিকন কচি পাতা,নুলোর মতো সরু সব ডাল।
রাজারা হাতি পুষতেন, আর এই যুবরাজ জামনগরে একটা আস্ত হাতির হাসপাতাল বানিয়েছেন। হাসপাতালের নাম ভ্যান্তারা। হাতি ছাড়াও, সেখানে লেপার্ড, কুমীর, সব মিলিয়ে খান চল্লিশ প্রজাতির চিকিৎসা হয়। তাদের জন্য বিশেষ অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা আছে। অত্যাধুনিক এমআরআই-টেমআরআই হয়। হাসপাতালটা খুব বড়ো নয়, মাত্র তিন হাজার একর। কত বড় যদি বুঝতে না পারেন, তো বলে ... ...