একটা রহস্যময় সোনালী মাকড়সার কামড় খেয়ে তিনদিন জ্বরে অচৈতন্য ছিল সে। চারদিনের দিন জ্বর সেরে উঠে সে দেখতে পায় মাকড়সার মত সে দেয়াল বাইতে পারছে! এমনকি হাতের পালস দেখার জায়গা থেকে মাকড়সার জালও বের হচ্ছে!অসাধারণ! নিজেকে সে তৎক্ষণাত ‘মাকড়সা-মানব’ নাম দেয়।নিজের ঘরে সে দেয়াল সিলিং বেয়ে ঠিক একটা মাকড়সার মত করেই হেঁটে আসে। সিলিংয়ে ঝুলে থাকে, পড়ে না। সামনে হাত দুটো আর পা দুটো ... ...
শান্তি বিলাস শুকদেব চট্টোপাধ্যায় জীর্ণ বাড়িটার সদর দরজার পাশে খোদাই করে লেখা “শান্তি বিলাস”। স্পষ্ট বোঝা যায় না, কষ্ট করে পড়তে হয়। কোন এক সময় অনেক সাধ করে নামটা লেখা হয়েছিল।বর্তমানে বাড়ির বাসিন্দা মাত্র চারজন। ছোট পরিবার, কিন্তু হলে হবে কি ‘ছোট পরিবার সুখী পরিবার’ নিদানকে বেহুদা সাব্যস্ত করে দিয়েছে ওই গুটি কয়েক মানুষ। পারস্পরিক বাকবিতণ্ডায় প্রায়ই মুখরিত হয়ে ওঠে বাড়ির অন্দরমহল। ‘শান্তিবিলাসে’ শান্তি ... ...
উত্তমপ্রদেশদাদাগিরি অখিলেশ রাহুল জুটিরুটিরুজির বদলে রাম নিয়ে মাতামাতি ৬৫ জন সাংবাদিক খুন হওয়ার পরও ইউ টিউবার এবং সাংবাদিকদের লড়াকু ভূমিকাজোর করে পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ দখলদলের মো-শা বিরোধীদের অনীহাগুজরাট থেকে ঠিকাদার আসছে।শ্রমিক আনছে অন্য রাজ্য থেকে।ফলে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ।বারাণসীতে ৩৬০ মন্দির ধ্বংস ধর্মের চেয়ে পেট বড়।শুধু রাম নয়, রুটি আরও জরুরি। এবং একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা। বোঝালেন নীরব মানুষপশ্চিমবঙ্গবাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কৃষক ভাতাবৃদ্ধ বৃদ্ধাদের পেনশনকন্যাশ্রী।। মেয়েরা উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলেই ২৫ হাজার টাকা।ছাত্র-ছাত্রীদের নবম শ্রেণিতে উঠলেই সাইকেল৫০ লাখের বেশি ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি ৮ কোটি মানুষের খাবার। মাসে মাসে খাবার চাল গম পাঁচ টাকায় ভরপেট ডিম ভাতএকশো দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া । বকেয়া টাকা না দেওয়া। সেই টাকা দেয় মমতা সরকার আবাস যোজনা ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪১ নয়ন শিলিগুড়িতে যে কখনো আসেনি এমন নয়, তবে তা কেবলমাত্র দার্জিলিং যাওয়ার জন্য। ফলে এই শহর তার কাছে পুরোপুরিই অচেনা। স্টেশন থেকে রওনা হওয়ার আগে, অসিত একবার টেলিফোন বুথে গিয়ে নিজেদের ফিরে আসার সংবাদ আর সঙ্গের অতিথির কথাটা বাড়িতে জানিয়ে দিল। অসিতদের বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের খুবই কাছে। গাড়িতে মাত্র পনের মিনিট লাগল। রাস্তার ধারে দোতলা বাড়ি। বাড়ির সামনে ... ...
খুনটা তাহলে হয়েই গেলো। ছেলেটা বিড়ি খেতো আর ভাবতো মৃত্যুবরণ করবে। মানুষের বক্ষমণি, অনেকদিন আগে স্কাইলাইন থেকে হারিয়ে যাওয়া যে অবিনশ্বর শকুন উড়ে বেড়াচ্ছিল, তার কাছে তা মাংসখন্ড। খুবলে নিয়ে দক্ষিণ আকাশ চিরে ফিরে যাচ্ছে। নদী হারায় না, মরে যায়, গড়ে ওঠে ধানি জমি, বসতবাড়ি, ভেড়ি। বন্ধুকে হিংস্র মাছি ধাওয়া করেছে, জঙ্গলের মধ্যে নদী, এই যে জঙ্গল তাতে শুধু গভীর গাছ, বনবাদাড় ভেঙে পচা আধশুকনো পাতা মাড়িয়ে জল খেতে আসা বাঘ আর পিঁপড়ে মানে লক্ষণরেখা। বন্ধু তখন নৌকায়, জলে, শিকার করে ফিরছে, আমি শুধু একবার চিৎকারই করতে পারলাম, শব্দ হাউই এর মতো একবার জ্বলে ঝরে পড়লো নিস্তব্ধতায়। বন্ধু স্কুলের, ছিলো ... ...
আমাদের গ্রামে আজও বুধবার হাট বসে। গ্রামের হাট। বড় হাট। হাটের ঠিক পাশেই যেখানে বাঁশ ডালের ঝুড়ি গুলো নিয়ে কালো কালো পাথরের মত মেয়েগুলো বসে থাকে 20 টাকা জোড়া ঝুড়ি বিক্রি করার জন্য তার ঠিক পাশেই সালকু বসেছিল। দুটো মুরগি নিয়ে। দেশি মুরগি।খুব টেস্ট। চোখ গুলো পাথরের মত করে একের পর এক খদ্দের কে ফিরিয়ে দিচ্ছিল। কয়েকজন খদ্দেরকে তো বলেও দিল ‘বিক্রি করবোক নাই ... ...
স্বপ্নটা দেখেছি কিনা মনে নেই তবে তাতে তুমি ছিলে গোপন করাটাই শেখা হল মন যদিও কথা ফুলঝুরি ও দু এক পিস ছিটকে পড়বে আলো তাতে দেখি বিন্দু দাঁড়িয়ে আছে।তারপর ক্রমাগত তার পিছনে যাওয়া, খোলা কাঁধের সাদা মাংস, সাদা হাত, সমস্ত শরীর আর শেষে রুমালের ফাঁসে মৃত্যু গল্প শেষবিন্দুর পয়েন্ট অফ ভিউ ... ...
ভালোবাসা বলি বা প্রেম, একটা মিষ্টি অনুভূতি। নিঃসন্দেহে মিষ্টি তবে পুরোটাই কী মিঠে! একটুও টক নয় কি? তাছাড়া টক সব সময় অসহ্য নয়, অনেকের কাছেই সব সময় স্বাদু। ব্যক্তিগতভাবে অামি টক পছন্দ করি তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে কষ্ট হয় বৈকী।ভালোলাগা, ভালোবাসা নিয়ে এখানে এমন কয়েকটা ঘটনার উল্লেখ করব, যেগুলো প্রচলিত চিনি মাথা মধুর ঘটনা নয়। তবে ঘটনাগুলো যথেষ্ট বর্ণময়। প্রচলিত ছকে না অাঁটলেই সেটা খারাপ, আমরা যা দেখিনি শুনিনি সেটাই অপবিত্র এমন ভাবাও তো ভুল। তাছাড়া একটা কথা সব সময় সত্যি। মানুষ কোন পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটা না জেনে তার সমালোচনা করা উচিত নয়। অনেকে পারিবারিক চাপ থেকেও বিয়ে ... ...
এখন দেশে ভোটরঙ্গ নিয়ে মানুষের আশা আকাঙ্খা উচ্ছাস উল্লাস আশংকা সবই চরমে। আমার নিজের এই ভোটযুদ্ধের ব্যাপারে নিজের জীবনের দুটো অভিজ্ঞতার কথা আজকে বলবো। প্রথমেই বলে রাখি এদুটো কিন্তু লোকসভা বা বিধানসভা নয় পাতি এলাকার মিউনিসিপ্যালিটির ভোটের কিন্তু আজকে এখানে এই ঘটনা উল্লেখ করলাম ভোটরঙ্গের একটা ছবি তুলে ধরতে।প্রথম ঘটনা ২০০৫ সালের। আমাদের নতুন ফ্লাট কিনে নতুন পাড়াতে ওঠবার পরে ওটাই ছিল আমার প্রথম ভোট। তা সকাল সকাল ৮ টার মধ্যেই বুথে গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার ঠিক আগে এক ভদ্রলোক ছিলেন, তাকে চিনতাম এই জন্য যে পাড়াতে তিনি খুব সম্ভবত: ছোট একটা মুদিখানার দোকান তখন চালাতেন; সেই সময়ে ... ...
এই পথে আমি শত-সহস্রবার গেছি আগে,আমি এখানের প্রতিটি ইঁট, সিমেন্ট,এমনকি বালির কণাকেও চিনি,এই পথের পাশের গাছ আমাকে বেশি ছায়া দেয়,পথের লোকেরা আমার আত্মীয়।কখনো আত্মীয়তা দাবি করিনি,ওটা স্বতঃস্ফূর্ত।আমি নিশ্চিন্তে যেকোনো ঘরের দরজায় কড়া নাড়তে পারি,আমার পরিচিত সবাই।কিন্তু মাঝে এক দশক কেটে গেছে হয়তো,আমি হিসেবে বড্ড কাঁচা কিনা?তবে বেশ অনেকদিন, একথা বলতে পারি।আজকে যখন হেঁটে এলাম,অনেক নতুন মুখ যোগ হয়েছে রাস্তায়,দরজায়,জানালায়,দোকানের কাউন্টারে।ওদের সাথে পুরোনো মুখের আদল মেলে,কিন্তু তাতে নতুন যুগের পালিশ।ওদের মুখের অবাক অপরিচিত ভাব বলে দেয়,আমি বাতিল হয়ে গেছি।তাই আমি ফিরে যাই কবরস্থানের দিকে,ওদিকে আমার পরিচিত বেশি।নতুন যারা, তারাও পুরোনো, চেনা।ওদের সাথে কথা বলা যাবে না, ঠিক।কিন্তু ওদের উপস্থিতিও আন্তরিক।আমি ঘন্টার ... ...
পৃথিবীর সব মানুষ যে এক, মানুষের যে মানুষ ছাড়া আর কোন পরিচয় নেই এই সত্যটি আমি জেনেছিলাম পর্ণগ্রাফি দেখার পর। ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই’ এই বাক্য মুখস্ত করে বায়ুবীয়ভাবে আমি পৃথিবীর মানবজাতির একমাত্র পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হইনি। বহু দেশীয় পর্ণগ্রাফি দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি পৃথিবীর সব জাতি, সম্প্রদায়, জাতিসংঘের স্বীকৃত দেশ, অস্বীকৃত দেশ - সব জায়গার পুরুষদেরই বিচি আছে। আছে তাদের লিঙ্গ। আর সব মেয়েদের দুটো ... ...
জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচন গতকাল.....?.... সাঙ্গ হলো। রাজনৈতিক দল ও ভোট দানকারী র তুলনায় অনেকটাই ফ্যাকাশে আলোয় ভোট কর্মীরা যাঁদের অমানুষিক পরিশ্রম ছাড়া এই রঙ্গ সম্ভবই হতনা। এদের মধ্যে একটা বড় অংশ মহিলা। পিঠে নিজেদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যাগ,সাথে ভারী ভারী ভোট মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে এদের হেঁটে যেতে দেখা গেছে, অপেক্ষা করতে দেখা গেছে, খবরের কাগজের ছবিতে খুব ছোট্ট ... ...
রাত্রি বেশ তাড়াতাড়ি পা চালাচ্ছিল। বাড়িতে বাবা একা আছে। রান্নাও কিছু করতে হবে। অমল তো আশা করা যায় নিখিল স্যারের সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বলবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই তো সামঞ্জস্যপূর্ণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছন যাবে। সাগরের বাড়িতে প্রত্যেক রবিবারই যায় রাত্রি। এই রবিবার যাওয়া হল না বাড়িতে লোক আসায়। এক মাসতুতো ভাই এসেছিল সস্ত্রীক। অনেকদিন ... ...
অনেক বিয়ার গেলা হয়েছিল। ফলে যা হয় সবাই খুব হাসছিলাম। হাসতে হাসতে মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল। একটা পুরোনো বাড়ির অন্ধকাচ্ছন্ন ঘরে বিয়ারের আড্ডা। আমি ছাড়া বাকীদের তেমন চিনি না। একজন ছোলা ব্যবসায়ী ছিলেন এবছর যিনি ছোলা ডাবল দামে বিক্রি করে লাল হয়ে গেছেন। একজন মানুষের মাংস বিক্রেতা, ডাক্তার, প্রকৌশলী আর রাজনীতিবিদ। আলাদা আলাদা টেবিলে বিয়ার খেতে খেতে কি করে যেন একটা টেবিলে কখন ... ...
প্রতিটা ঘরের একটা আলাদা গন্ধ আছে,সেটা সেই ঘরের লোকে হয়তো বুঝতে পারে না,কিন্তু আমি পারি,আর পারে,যারা ওই ঘরের বাসিন্দা নয়।এই গন্ধ ওই ঘরের লোক,ঝরে পড়া পানির পরিমাণ,আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা কীট-পতঙ্গ,এমনকি ঘরের আয়তন,বাতাস সবাই মিলে নির্ধারণ করে।প্রতিদিন পাল্টে যায় একটু,কিন্তু তাতেও মিল থাকে আগের দিনের সাথে।তখন মনে হয়,ঘরটা মানুষের মতো।ওরও নিজস্ব সত্ত্বা আছে,ওরও প্রাণ আছে হয়তো,আমরা জানতে পারিনি।ও কী খায়?মানুষের প্রাণ? ... ...
গর্বের মাস?- এই যে এই বিপুল পৃথিবী, নানা জায়গায় নানা মানুষ, নানা ধর্ম-সংস্কৃতি, নানা ধরনের মন মানসিকতা, সেই মিশ্রণে মিশে আছি আমি, আমরা; দিকে দিকে মানুষের দিগন্ত, জীবের চেতনার দিগন্ত নিয়ত উন্মোচিত হচ্ছে, আলো-অন্ধকার-ছায়ার খেলা চলেছে নিরন্তর আমাদের চিত্তলোকে। এখন পৃথিবীতে বড়ো সুখের সময় নয় সত্যি। জরতী পৃথিবীর অন্নপাত্র নিঃশেষপ্রায়, দিকে দিকে চিতার আগুনের হল্কা মুখে এসে লাগে, পোড়া মাংসের গন্ধে শ্বাস ... ...
অগত্যা রুচিরা গল্পের ঝাঁপি খুললো। ‘‘যতোদূর মনে পড়ছে, ললিত এই বাড়ীর ছোট ছেলে, বাসুদার সবচেয়ে ছোট ভাই, একটু আদরে বাঁদর, বিদ্যে ক্লাশ টেন পর্য্যন্ত। আমার সঙ্গে আলাপ সুমিত্রার বিয়ের সময়। আমি সুমিত্রার বন্ধু, তাই আমার যত্নআত্তির দায়িত্বটা ও নিজেই নিয়ে নিলো। পরিবেশনের সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আমার খাওয়ার তদারক করলো। মিষ্টি লাল দইএর হাঁড়ি থেকে সরটুকু উঠিয়ে আমার পাতে দিলো। ... ...
কাঁটাতারে কি সেতার তৈরী হয় সঙ্গীত এক ছন্দোবদ্ধ কোলাহল সাম্যের আধারে জীবন অকুতোভয় মৌন পাহাড়ে বেজে উঠছে দৃপ্ত মাদল। পরতে পরতে জীবন রয়েছে
একদিন বিকেলবেলা, ১৯৮৯ সালের সেদিন বুধবার, আমাদের পাড়া দিয়ে একটা মিছিল যাচ্ছিল। একজন লেখককের ফাঁসি চায়। কেউ তার সম্পর্কে জানে না। কিন্তু নামটা আমাদের কাছে অচেনা বিদেশী মনে হয় না। তো মিছিলটায় এমন পায়ের ধুলোর ঝড় উঠেছিল, আমি আর চোখে কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। চোখ ডলতে ডলতে চেনা রাস্তা ছেড়ে বেপাড়ায় চলে গিয়েছিলাম আর সেখান থেকে শহরের বাইরে লোকালয় ছেড়ে জনবিরল একটা জায়গায় চলে আসি। আর তখন একটা ভাল্লুক ... ...
সুপ্রিয় খানিকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে থাকল অমলের দিকে। তারপর বলল, ' অমল, তোর কি কোন ইনভলভমেন্ট আছে কোথাও? তাহলে আর কথাটা বাড়াব না ... ' ----- ' আরে না না ... আমার আবার কি ইনভলভমেন্ট ... ওসব কোন ব্যাপার নেই ... ' অমল কথাটা উড়িয়ে দিল। সুপ্রিয় মাথা নেড়ে বলল, ' তা বললে হবে না ... ব্যাপার একটা আছেই। সে যাই হোক ... পার্সোনাল ব্যাপারে আমি ঢুকতে চাই ... ...