বানরেন্দ্র ভারত কি আমেরিকাতে গিয়ে নাক গলাচ্ছে? আর আমেরিকা সব বুঝেও মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে পাশ ফিরে ঘুমাচ্ছে? সম্প্রতি এক আমেরিকান জার্নাল এই বিষয়ে একটি বিশদ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। সেখানে সরাসরি যে কথাটা বলা হয়েছে, তা এরকম --- ...Biden administration is putting little pressure on Modi to change his ways. Judging New Delhi too important in the fight against China, the US government has adopted ... ...
বেশ শীত পড়েছে আজকে। সকালবেলায় গায়ে চাদর জড়িয়ে বসে চায়ের কাপ নিয়ে বসে খবরের কাগজে চোখ বোলাচ্ছিল অমল। পাতাগুলো একটু উল্টেপাল্টে দেখে একপাশে সরিয়ে রাখল। তাদের অফিস থেকে ছাব্বিশে জানুয়ারি একটা পিকনিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে কল্যাণীর ওদিকে এক জায়গায়। অফিস কর্মীরা যদি চায় আরও দু একজন পরিচিত বা পরিজনকে সঙ্গে নিতে পারবে। মাথাপিছু পঞ্চাশ ... ...
হয়তো আমি এখনো ঈশ্বরের কাছে যেতে পারিনি, চেষ্টাই করিনি তো! প্রতিদিন ঈশ্বরের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও আমি মোক্ষ নিইনি হাত পেতে, ঈশ্বরের ইগো বড্ড বেশি, তাই সে আমাকে ভালোবাসা সত্ত্বেও মুক্তির অমৃত দেয়নি। ভালোবাসে সে আমায় সন্দেহ নেই, কিন্তু অধোশির চায়
লোকসভা ভোটের বাজারে মমতার দুটো আগ বাডিয়ে বলা কথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রথমটা হল বাইরে থেকে ইন্ডিয়া জোটের সরকারকে সমর্থন করার কথা। দ্বিতীয়টা কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে আনা সরাসরি রেজিনগরে দাঙ্গার অভিযোগ আর রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের বিরুদ্ধে দিল্লীর চাপে বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে প্রত্যক্ষ ভাবে হাওয়া দেওয়ার অভিযোগ। ক্রনোলজি মেনে দুটি কথা রাখলাম। যদিও গুরুত্ব বিচারে পরেরটা নিয়ে আগে ... ...
বিশে-র ফ্যাসাদ ----------------- পীযূষ কান্তি সরকার পাখা চালিয়ে ঠান্ডা ঘরে / পান্তা খাবে বিশে / সামনে রাখা ভাতের থালা / তেঁতুল টক ডিশ-এ।/ কাঁচালঙ্কা, কাঁচা পেঁয়াজ / সঙ্গে তেলেভাজা / গরম ঠেকাতে আরাম
এসো হে মহান প্রাণ —————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————— তুমি ই কি সেই ক্ষণজন্মা তুমিই কি সেই কবি? শব্দে তুমি আগুন ঝরাও আঁকো মানবতার ই ছবি ! তুমি অগ্নিবীণার সুর ঝংকারে লিখেছো রক্ত লিখা মরমী কণ্ঠে ‘মানুষেরে’
এই ভিডিও না দেখলে জীবন বৃথা। ওরে গুহাবাসীফোট ভাঁড় ফোট, লাগল যে ভোটস্থলে জলে বনতলে, পাকাসনা ঘোঁটকচি খাসি, বলে হাসি, রাঁচি বেনারসেকে বা মাতা মোর, আমি ফলেছি আকাশেআমি শুধু রাম নয়, আমি রাম-গোট। বন্ডের টাকা ওড়ে, দখিনা বাতাসেগরু চরে খায়, ঘাসে ঘাসেআম্বানি, ফিরে চায়, পয়সা উশুলি আমি তাই, কেঁদে কেঁদে, ঝেড়ে
আচার অনাচারআমরা ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠি আচার আচরণে নানান বিধি, নিষেধের আবহে। কোন বাড়িতে মাত্রাটা বেশী, কোথাও একটু শিথিল। এই বিধি নিষেধ গুলো তৈরি হয় মূলত সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারকে(কু) অবলম্বন করে। ধর্মযাজকেরা বিভিন্ন সময়ে নিজ প্রয়োজনমত ওইগুলি পরিবর্ধন এবং পরিবর্তন করে পরিবেশন করেন। আর আমাদের ঘরে ঘরে তা রুপায়নের দিকটি নিষ্ঠার সঙ্গে তদারকি করেন বয়স্কা মহিলারা। অণু পরিবারে ... ...
ভিখারি ডাকটা চেনা হয়ে গেছে। প্রতি সোমবার সকালে খঞ্জনী বাজিয়ে নাম সংকীর্তন করতে করতে হাজির হয় লোকটা। মাথায় সাদা পাগড়ী, অঙ্গে সাদা শার্ট আর ধুতি। চুল দাড়ি ধবধবে সাদা। একহারা টানটান চেহারা। বাড়ির সামনে এসে গান থামিয়ে গৃহস্থের উদ্দেশ্যে হাল্কা করে ডাক “জয় নিতাই”। এক আধ দিন আবার একটু বেশি সকালে চলে আসে। আমরা তখনো হয়ত ঘুম থেকে উঠিনি। তাই ডাকে কোন রেসপন্স না পেয়ে ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪০ রজতের বৌভাতের পরের দিন নয়ন অফিসে জয়েন করল। কাজ শুরু করার একটু পরেই অভিজিৎ সামন্তর তলব এল। ঘরে ঢুকতেই পরিচিত গম্ভীর আওয়াজ ভেসে এল—বন্ধুর বিয়েতেই তিন দিন ছুটি!--খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্যার। একেবার ছোটবেলা থেকে একসাথে পড়াশুনা করেছি। --নিজের বিয়ের আপডেট কী? পছন্দের কেউ আছে, নাকি মা বাবাই ভরসা!নয়ন একটু লজ্জা পেয়ে বলল--তেমন কেউ নেই ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩৯ রজতের বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ওর এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না। প্রেম পর্যায়ে আরো এক আধ বছর ভাসার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু দুই বাড়ি থেকেই চাপ আসতে থাকায় বিয়েটা আর ঠেকান গেল না। নয়ন অনুরোধ করেছিল, ওর চাকরির এক বছর পার হবার পর যেন বিয়েটা হয়। তা না হলে ওর পক্ষে ছুটি পেতে একটু সমস্যা হবে। নয়নের দুই বাড়িতেই বেশি রকমের গুরুত্ব আছে তাই, ওর ইচ্ছে ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩৮ হাঁড়ি পুকুরের ধারে তখন প্রচুর লোক। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ এসেছে। এমন ভয়ানক ঘটনা এই চত্বরে কখন ঘটেনি। পুকুরে এক তরুণীর দেহ ভাসছে। নেপালি ধরণের মুখের গড়ন। পুলিশ এসে পুকুরের চারধারে তল্লাশি করে একটা পেন আর একটা রুমাল পেয়েছে। এমনই কপাল, সেগুলো পাওয়া গেছে, নয়নরা যেখানে বসে আড্ডা মারে সেইখানে। মানে পুকুর ঘাটের চাতালের ঠিক ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩৭ কচিদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নয়ন রাস্তায় একটু এদিক ওদিক দেখছিল।--কি খুঁজছিস?--দেখছিলাম, যদি একটা রিক্সা পাওয়া যায়। --চট করে পাবি না। এদিকটায় সব আমার মত ভি আই পি লোকজন বাস করে। খুব ঠেকায় না পড়লে এরা হেঁটেই যাতায়াত করে। চিন্তার কিছু নেই, চল আমি তোকে স্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসছি। ---আরে না না, তুমি এই একটু আগে বাড়ি এলে। আবার একবার যাবে ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩৬ চাকরিতে ঢোকার পর নয়নের আড্ডা দেওয়াটা অনেক কমে গেছে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় দিনই আটটা নটা বেজে যায়, ফলে রবিবার ছাড়া সময় হয় না। এক রবিবার ফুল হাউস আড্ডা চলছে। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে শোভন এসে বলল—জানিস, কাল কচিদাকে দেখলাম।সমস্বরে প্রশ্ন এল—কোথায় ?---বজবজ লোকালে। কি যেন একটা ফিরি করছিল।নয়ন বলল—তুই ... ...
নিখিলবাবু বললেন, ' ও ... নীলাঞ্জন আপনার ছেলে ? আজই তো পড়তে এসেছিল ... ' ----- ' হ্যাঁ ... জানি ... ' বিকাশবাবু একটু চুপ করে রইলেন। তিনি পুলিশের পোশাকেই এসেছেন। বুক পকেট থেকে একটা ছোট নোটবুক বার করে কি যেন দেখতে লাগলেন। তারপর নিখিলবাবুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মুখ তুলে সরাসরি বললেন, ' হ্যাঁ স্যার ... যেটা বলছিলাম ... আমি রেজিস্ট্রেশন চেক করেছি। গাড়িটা আপনার নামে নেই। আর প্রথমত ওই গাড়ি থেকে শ্যুট করা হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই। রাস্তা অন্ধকার ... ...
গভীর রাত, শাজাহানাবাদের কেল্লায় রাতের রাগ শেষ করেছেন খুশহাল খান ও বিসরাম, দুই কলাবন্ত। কায়দা করে, তাঁর সুর বিহ্বলতার সুযোগে বিখ্যাত দেওয়ান মুর্শিদ কুলি খানকে দারার মহল থেকে ঔরঙ্গজেবের মহলে পাঠানোর সাজিশে লিপ্ত হতে, শাজাহান দুজনকেই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন দরবার থেকে । তখন অন্যরা গাইত কিন্তু তাতে কারুর আশ মিটত না , কোথায় সে গলা ? কোথায় তানসেন ঘরানার কলাবন্ত আর কোথায় অন্যরা ? সুর হারিয়ে গিয়েছিল শাহী মহলের। ঔরঙ্গজেব বাদশাহ হয়েই আবার ফিরিয়ে এনেছেন খুশহাল খান ও তাঁর ভাই বিসরামকে , তাঁদের সঙ্গে আছেন বীণ ও রবাব বাজিয়ে কলাবন্ত সারাস বীণ ও সুঘার সেন আর তাঁদের ঘরানার অন্যরা। খুশহাল খানের ... ...
নির্বাচন চলছে, ষষ্ঠ দফা সমাগত, এই সময় ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন তথা প্রথম নির্বাচন কমিশনার সম্পর্কে ভুলতে বসা দুই-চারটে তথ্য একটু স্মরণ করে নেওয়া যেতে পারে। ২৬ শে জানুয়ারি ১৯৫০, দেশবাসীর হাতে সমস্ত রকমের ক্ষমতা প্রত্যর্পণ করে ফিরে গেল ব্রিটিশ। ১৯৫১ সালে গঠিত হলো ভারতের নির্বাচন কমিশন। বিস্তর আলোচনার পর ঠিক হল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তখনকার চিফ সেক্রেটারিকে ... ...
রামযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধামবানরের পাল বেচে, জয়শ্রীর আম।জাম্বুবানে নৃত্য করে, শিং নাড়ে ষাঁড়েপিছন থেকে মারে পকেট, ভক্ত পকেটমারে।তাদের নেতা মহাভক্ত, বিখ্যাত তার ত্যাগপকেট মেরে আদানিকে পাঠিয়ে দিত ব্যাগ।তারই বড় ভাই উনিজি, যদিও মাসতুতোমাসির ছেলে নয় কিন্তু, অযোনিসম্ভূত।হনুমানে করত খেলা, মাসির বাড়ির ছাতেএকদিন এক ছোট্টো ছানা পড়ল মাসির হাতে।সেই ছানাটিই বিরাট এখন, মস্ত বড় হনুসবাই তাকে নমো বলে, সবাই নতজানু। সারা জগৎ পায়ে ... ...