জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩৩ একদিন ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস কম ছিল। অন্য কোথাও না গিয়ে নয়ন সোজা বাড়ি ফিরে এল। বাড়িতে ঢুকে দেখে, মায়ের চোখটা ছলছল করছে।--কি হয়েছে গো মা? দেখে মনে হচ্ছে তোমার মনটা ভাল নেই।আহেলি চোখের জল মুছে বলল—দুপুরে ছোড়দা ফোন করেছিল, ছোট কাকিমা আর নেই।নয়ন চুপ করে বসে পড়ল। খবরটা যে অপ্রত্যাশিত এমন নয়, তবু খুব খারাপ লাগছে। দাদু দিদা বলতে নয়ন ঐ দুজন মানুষকেই ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩২ পিসির বাড়ি থেকে নয়নের কাছে জরুরি তলব এল। একটা শনিবার বিকেলের দিকে নয়ন পিসির বাড়িতে এল। ঢোকার মুখেই নেহার সাথে দেখা।--দাদা, আমরা ধরা পড়ে গেছি। বাবা আমাদের দুজনকে দেশপ্রিয় পার্কে দেখে ফেলেছে।--কাকুর কাছে ধরা পড়েছিস, আবার বড় মুখ করে বলছিস!--মা ওর সম্বন্ধে জানতে চাইতে, সব বলার পর বলেছি যে ... ...
জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩১ কুণাল ছেলেটাকে বার দুয়েক মত ইরার বাড়িতে দেখেছি। বোনের কাছে শুনলাম, ও বাড়িওয়ালার ভাগ্নে। ওদের আচরণে আমার একটু সন্দেহ হয়। সদ্য পরিচিত বাইরের একটা ছেলের এত আপন হওয়ার কথা নয়। আমি ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় হয়। একদিন ইরাকে ডেকে ছেলেটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। ইরা প্রথমে খোলসা করে কিছু বলতে চাইছিল না। একটু চেপে ধরতে বাস্তবটা জানাল। বুঝলাম যে ... ...
“Language, too, was a knife. It could cut open the world and reveal its inner workings, its secrets, its truths. It could cut through from one reality to another. It could call bullshit, open people’s eyes, create beauty. Language was my knife.” তা বৈ কি। আপনার ভাষা তো ছুরির মতোই। এমন এক ছুরিকাঘাত করলেন, তা দিয়ে অপারেশান হল, না মানুষের আবেগ ক্ষতবিক্ষত হল, তা ঠিকঠাক ঠাহর করার ... ...
কত বিচিত্র সব নাম কানে আসে বরাবর। কিছু নাম অবাক করে দেয় বই কী!হিন্দিভাষী অবাঙালিদের মধ্যে রতি, কামনা, আঁচল এসব নাম হামেশাই শোনা যায়। গুণবন্তী, লাজবন্তী, ভাগবন্তীও শোনা যায়। রাহুল শব্দটির মানে "মূর্তিমান রাহু" অথচ কত কত ছেলের নাম রাহুল রাখা হয়।অন্য রকম এবং কঠিন কঠিন নাম দেওয়ার ব্যাপারে বাঙালিরাই এগিয়ে ছিল এক সময়। এখন আর নয়। এখন এই শহর এবং অন্যান্য শহরবাসী সমস্ত রাজ্যের শিক্ষিত আধুনিক মানুষ ছেলেমেয়েদের "অন্য রকম" নাম দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। তবে রীতিরেওয়াজ মেনে দেবদেবীদের নামে ছেলেমেয়েদের নামকরণ দক্ষিণ ভারতে সবচেয়ে বেশি। এখনো নামের ব্যাপারে তাঁরা মোটের ওপর রক্ষণশীল। কলকাতার এক বাঙালি দম্পতি পারিবারিক রীতি ... ...
রাজনীতির মিউটেশন সম্প্রতি চাকুরী হইতে সেবা নিবৃত্ত হইয়াছি। বৃদ্ধ বলদের স্কন্ধ হইতে সরকার গুরু দায়িত্বের জোয়াল তুলিয়া লইয়াছে। প্রাতঃকাল হইতে উর্ধশ্বাসে দফতরে ছুটিবার তাগাদা নাই। চা-বিস্কুট সহযোগে ‘বার্তালিপি’ পত্রিকাখানা আদ্যোপান্ত পাঠ করিয়া, বাজারের থলি হস্তে, হেলিয়া দুলিয়া বাজারে গিয়া নয়ন ভরিয়া নতুন আলু, লঙ্গাই বেগুন, ফুলকপি, সীম ইত্যাকার শব্জি দেখিয়া পুলকিত হই। মাছ বাজারে গিয়া জলের সোনালী ... ...
স্কুলের পাঠ্যক্রমগুলি অতিক্রম করার পর আপনার সন্তান উচ্চতর শিক্ষা লাভ করবে কোথায়? কোন বিষয় নিয়ে সে পড়াশোনা করবে? যদি আপনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাহলে সর্বাধিক প্রচারিত যে কোনো সংবাদপত্রের 'পাত্র চাই' কলমগুলিতে একবার চোখ বোলান! বিজ্ঞাপনগুলিতে কেবল ৬-৭ টি ডিগ্রি আর আট-ন'টি প্রেশার কর্মীদেরই চাহিদা। অথচ দেশের প্রায় ৪৫ কোটি কর্মচারীর মধ্যে ওই ৮-৯ টি পেশার কর্মীদের সংখ্যা ... ...
য়্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট ... মানবেন্দ্রনাথ রায়। নিখিলবাবু এম এন রায়ের খুব ভক্ত। সময়ের গাড়ি গড়িয়ে যায় নিজের মতো নিয়ম মেনে। বুকে পিঠে সওয়ারি নিয়ে সময় গাড়ি পেরিয়ে গেল দু বছর। এসে গেল উনিশশো বাষট্টি।। সুমনার মেজদি বন্দনার বিয়ে হয়ে গেছে, সুমনা প্রতিবিম্বদের কলেজের পাট চুকে গেছে। প্রতিবিম্ব এম এস সি পড়ছে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে। কাবেরীও মোটামুটি মার্কস পেয়ে অনার্স নিয়ে পাশ করেছে। এখন আর নিখিল ব্যানার্জীর কোচিং ক্লাসে যাবার প্রশ্ন নেই। কিন্তু ... ...
শরীরে অরণ্য নিয়ে ঘোরে যে বাঘিনী, তারও বুকে জমে ওঠে দুধ, সেই দুধ পান করে বড় হয়ে উঠে মাংস আর রক্ত খোঁজে তার যুবক সন্তান। তাদের দাঁতের, জিভের কাছে কবে থেকে যেনদুগ্ধস্বাদ হয়েছে বিস্বাদ, রক্ত হয়েছে অমৃত। স্বেদ তার স্বেচ্ছায় তাই চেয়ে বসে শিকারবাসনা। অরণ্যের ভয় নেই তাকে, গাছের পাতায় তার বিন্দুমাত্র নেই লোভ। পৃথিবীতে কবে থেকে হত্যাবৃত্তি সৃষ্টি ... ...
গতকাল আমার প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মি. পাপাঙ্গুল সঠিক তথ্য পরিবেশন করেছেন। তারপরে আর নতুন কিছু লেখা থাকে না। পাপাঙ্গুল বাবুকে ধন্যবাদ ! আগামীকাল নতুন কিছু লেখা যাবে।
আমি শুধু তোমাকে চাই শুধু তোমাকে তোমাকে তোমাকে তোমাকে আর কাউকে নয় বিশ্বাস করো আর কাউকেই নয়। তুমি যদি আমার হয়ে যাও তাহলে আমি আর কাউকে চাই না একদম সত্যি
কি জানি কেন, আজকের রাতটা ঠিক স্বাভাবিক নয়! পাখিদের ডাক চড়া, আকাশে চাঁদ না থাকা সত্ত্বেও যেন ঠিক অন্ধকার নয়, গাছগুলোও ঠিক করে উঠতে পারছে না, হাওয়া বওয়ানো উচিত, নাকি
রমরম করে নির্বাচন চলছে! দিকে দিকে ঢক্কানিনাদ আর ঢাকার শ্রাদ্ধ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা মাসিক বা বার্ষিক খরচাটা হিসাব করে নিই। এদেশে মোট ৪১২০ জন এম এল এ আর ৪৬২ জন MLC (বিধান পরিষদের সদস্য) আছেন। অর্থাৎ মোট ৪৫৮২ জন বিধায়ক। সমস্ত বিধায়কের পেছনে মাসে মোট ৯১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা খরচা হয়। বছরে খরচা ১১০০ কোটি টাকা। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ৭৭৬ জন ( ৫৪২ + ২৩৪ ) ... ...
বলা নেই কওয়া নেই। সিনিয়র সাংবাদিক ও গুরুত্বপূর্ণ পোর্টাল নিউজ ক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থকে ইউএপিএতে গ্রেফতার করেছিল দিল্লী পুলিশ। দেওয়া হয়েছিল চিনা ফান্ড নেওয়া অপরাধে দেশদ্রোহীতার চার্জ। কারণ না দর্শিয়ে সেই গ্রেফতারীর পরোয়ানা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পঙ্কজ বনসল মামলার রায় উল্লেখ করেছে যাতে বলা আছে না জানিয়ে গ্রেফতার অবৈধ। তাই শ্রী পুরকায়স্থকে ... ...
ভাষা যা কিনা মনের ভাবের প্রকাশক — তার রঙ ঢং সব কিছুই বদলে যায় বা নতুন রকমের হয়ে ওঠে শুধুমাত্র বলার ভঙ্গীর চোটে। আর সেই ভঙ্গীসহ যেন নতুন ভাষার তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে কোনো ‘ক’অক্ষর গোমাংসে’র শিক্ষানবীশদের বেশ নাকানি চোবানি খেতে হয়। তখন গবেষণা কর্মী হলেও নবজাতকের মন দৃষ্টি নিয়ে সব শব্দ, প্রতিটি ভঙ্গী গলাধঃকরণ করতে হয়। তা নাহলে আসল কাজটি যায় আটকে! হ্যাঁ আমার মেয়েবেলার জার্মান সাহেবের কথাই ... ...
হয়তো বা ঘাস হয়ে রয়ে যাবো হেথা চলে গেলে সবাই মহান হয়ে যায় না এ দুঃসময়ে নিরন্তর মিথ্যার বেসাতি মানুষের কাছে থাকা প্রয়োজন ছিল। তুমি যেন লিখো না
সময়টাই যখন অন্ধকার, তখন মানুষ কি আর খিল্লি করবেনা? অবশ্যই করবে, তারা তখন উনিজিকে নিয়ে খিল্লি করবে। - বারটোল্ড খ্রেশট বিশেষ প্রতিবেদনঃ চতুর্থ দফার পর, জয়-বাংলার তিনজন অবাঙালি প্রার্থী স্বস্তিতে। কীর্তি আজাদ ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, সব দলই তো দেখা হয়ে গেল, এখনই নতুন চাকরি ছাড়ার কোনো কারণ দেখছেননা। শত্রুঘ্ন সিনহা, শোনা যাচ্ছে, সাম্মানিক বাঙালিত্বের জন্য বাংলা পক্ষর কাছে আবেদন করবেন। ইউসুফ পাঠান কিছু নিয়েই চিন্তিত নন, সমস্ত প্রশ্নের উত্তরেই বলছেন, আমি তো কেকেআরে খেলেছি। রাজ্যের শাসকদলের সূত্রে খবর, এটাকেই তাঁরা নতুন স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করবেন। দুর্নীতি-গুন্ডামিসহ যেকোনো প্রসঙ্গ এলেই এতদিন ট্রাকে উঠে হরিবোল ... ...
ল্যাকটোজেন বা কৌটোর দুধে বাচ্চা তো বাড়ছেই (!), এছাড়াও ভারতে কি কি বাড়ছে! (১) Sensex (২) ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া লোকের সংখ্যা। (৩) NPA Loss থেকে ব্যাংকে written off এর পরিমাণ। (৪) NPA (৫) কোম্পানি Liquidation এর
চিত্রকর রাণী চন্দের প্রায় সমগ্র জীবনটাই কেটেছে শান্তিনিকেতনে। এবং, এর মধ্যে প্রথম অর্ধ কেটেছে রবীন্দ্রসান্নিধ্যে। এই রবীন্দ্রসান্নিধ্য আবার যেমন তেমন করে নয়। একটা পর্যায় তো কেটেছে একেবারে প্রতিবেশী হিসাবে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ যে বাড়িতে থাকতেন, একদম তাঁর লাগোয়া বাড়ীতেই তিনি থাকতেন স্বামীসহযোগে। তাঁর স্বামী অনিল চন্দ। রবীন্দ্রনাথের সেক্রেটারি। রাণীর শুরুটা অবশ্য হয়েছিল শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক হিসাবে। রাণী চন্দের দাদা মুকুল দে গভর্মেন্ট আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ ... ...
শেষ অব্দি ওই ঢেকুরটাই দিলো সব বারোটা বাজিয়ে। বেশ চলছিল ওদের সম্পর্কটা। বড়বাজারে গিলোটিলালার গদিতে খাতা লেখে বির্জুপ্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের ছেলে, মামা গুলবন্তীলাল কোলকাতা থেকে কীসব পাইকারি জিনিসের ব্যবসা করে। সেই জুটিয়ে দিয়েছিল কাজটা। জৌনপুর থেকে বাসে আরও ভিতরে বোগলি, খুব ছোট গঞ্জ-গ্রাম, সেখানকার ছেলে বির্জু। একেবারে শুদ্ধ শাকাহারী ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে, তাদের তিনকুলে কেউ আমিষের ... ...