আরো অনেকের মত আমারও গান শুনতে ভালোলাগে। জি টিভিতে প্রতি শনি এবং রবিবার ‘সা রে গা মা পা’ নিয়ম করে দেখি, কোন কারণে মিস হয়ে গেলে রেকর্ডিং। গত রবিবার দেখলাম অঙ্কিতা বলে মেয়েটি কি চমৎকার দেবদাস সিনেমার গান গাইল, অবশ্য প্রায় রোজই ভালো গায় মেয়েটি। তবে সেদিন এতোই ভালো গাইল যে, শান্তনু মৈত্র সেই শ্রেয়া ঘোষালকে সঞ্জয় লীলা বনশালী কি ভাবে টিভি থেকে দেখে গান গাইবার জন্য ডেকেছিল ‘দেবদাস’ সিনেমায়, সেই গল্পটা আরেকবার করল। বলছিল যে, হয়ত অঙ্কিতার গান এমন ভাবেই কোন সঞ্জয় লীলা বনশালী শুনছে বা শুনে ফেলবে কোথাও! বড় ... ...
কেউ পাখী হতে চায়, কেউবা উড়তে / কেউবা উদাস হয়ে দেখতে ভালোবাসে / কিভাবে গাঢ় আঁধার / একাকী করে দেয় প্রিয়জনদের / অথচ / পাখীরাও ঘরে ফেরে দল বেঁধে / সন্ধ্যা ঘনালে ... ...
তোমার সাথে আলাপের অনেক আগেই আমি তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখে ফেলেছিলাম। তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখেছি, কবিতা সকল লিখেছি – তুমি আসার পরে তারা প্রেমের কবিতা হয়ে গেছে অনেকে। আবার অনেকে থেকে গেছে কেবলই কবিতা হয়ে তোমার আসা দেখতে দেখতে – নিজেদেরকে নতুন করে চিনে নেবার অপেক্ষায় । তুমি হয়ত জানতে এগিয়ে আসছ কাছে, দেখার দূরত্বে, আরো একটু পরে শোনার দূরত্বে – কবিতারা অবাক হয়ে দেখছে সেই এসে যাওয়া। কবিতারা ভালোবেসে ফেলছে তোমাকে, তাদের গা বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে মুগ্ধতা, আড়চোখে দেখে নিচ্ছে তোমার গ্রীবা।
কবিতারা আর ... ...
হিরোশিমা বিস্ফোরণের থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তামিকি হারা, তখন তাঁর প্রায় চল্লিশ বছর বয়স। তামিকি কি ভাগ্যবান ছিলেন নিজের কাছে বা আমাদের মতে? জানি না – তবে এটা জানি ভাগ্যবানের তকমা গায়ে বেশীদিন লাগিয়ে না রেখে ১৯৫১ সালে আত্মহত্যা করেন তিনি। ... ...
১।
আর একটু পর উড়ে যাব
ভয় করে
কথা ছিল কফি খাব
ফেরার গল্প নিয়ে
কত সহজেই না-ফিরে
ফুল হয়ে থাকা যায়
যারা ফেরে নি উড়ার শেষে
তাদের পাশ দিয়ে যাই ... ...
নিমো গ্রামের বাকি ছেলেদের মতন আমারও হৃদয়ে আপন করে নেবার ক্ষমতা ভালোই ছিল। কিন্তু একটা জিনিস বাদ দিয়ে, আর সেটা আমি অনেক পরে বুঝতে পেরেছিলাম – সেগুলি ছিল সো কলড্ প্রফেশ্যানাল লাইফে ‘সফট স্কিল’ জাতীয় ট্রেনিং। আগে এমন ট্রেনিং-এর শুরুতে বেশ ফালতু টাইপের জিনিস পত্র করতে হত – এখন তা আবার ‘সফট’ থেকে ডিফিউজ করে হার্ডকোর টেকনিক্যাল ট্রেনিংতেও ঢুকে গেছে। মাঝে মাঝে তাকে বলা হয় – ‘আইস ব্রেকিং’। আরে ভাই যদি বুঝতে, এই আইস ব্রেক হবার নয় – পুরো হিমবাহ স্বরূপ শীতলতা জমা আছে আমার বুকে।
বিশাল কিছু অ্যাম্ ... ...
অমৃতা জীবন ভালোবাসত – অফুরন্ত জীবনীশক্তি নিয়ে সে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছিল জীবনের সাথে। আরো সহজ করে বলতে গেলে সে বড় ভালোবাসা ভালোবাসত। স্বাভাবিক ভাবেই তার কবিতায় ঘুরে ফিরে এসেছে ভালোবাসার কথা আর তার সাথে লেগে থাকা জীবনের কথা।
“নারী পরাজিত হতে ভালবাসে
লতিয়ে থাকে ভালো থাকার
ঘন সবুজ আস্তানায়”
একমাত্র ভালোবাসার কাছেই পরাজিত ছিল সে। সেই স্বেছা পরাজয়ের পর খুঁজে নিয়েছে সে নিজের আস্তানা – যেখানে আস্তানা মানে ঘর, আস্তানা মানে আশ্রয়, আস্তানা মানে নিজের একান্তের প্রকাশ। এক সময় কব ... ...
কবি অনেকদিন হতেই “জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা” বলে আশ্বাস দিয়ে এলেও ছোটবেলায় হালকা ডাউট ছিল কবি কোন ধনের কথা বলেছেন এবং ফেলা অর্থে কোথায় ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন? ধন যে ফ্যালনা জিনিস নয়, সেটা আবার নিমোর ছেলেদের থেকে ভালো কে বুঝত! কিন্তু সেই নিয়ে কাব্যি করার জন্যি কনফিউশনটা তৈরী হয় আমাদের মধ্যে। যত দিন যায় ক্রমশঃ ততরূপে ধন আমাদের সামনে পরিস্ফুট হয়। এমন ভাবেই নিমো উন্নত অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক অবস্থা পার করা এবং ক্লাস ফাইভে মেমারী বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে উঠে সি এ টি – ক্যাট বলে ... ...
প্রায় মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রফেশ্যনাল ম্যাসাজের বলতে আমার দৌড় ছিল ওই সিধু জ্যাঠা অবদিই। বাড়ির উঠোনে সেই সকাল থেকে বাড়ি শুদ্ধু পাবলিকের দাড়ি, চুল কাটা চলছে। প্রথমেই বাবার দিয়ে শুরু, বাবা দাড়ি কেটে নিমো ফটকগোড়ায় নারানের চায়ের দোকানে রোজকার প্রাতঃকালীন আড্ডায় চলে গেল। কাকা রবিবার ছূটির দিনে দাড়ি ইত্যাদি কেটে একবার গেল চাষের জমিতে রাউন্ড মারতে, সে রাউন্ড মারা অবশ্য সিম্বলিকই ছিল। কাজের কাজ বলতে কাকা মাঝে মাঝে জমি থেকে গোটা কতক মূলো তুলে এনে বলত, মূলো গুলো খাবার মত হয়ে গ্যাছে, মুড়ি দিয়ে খাব বলে নিয়ে এলা ... ...
"কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে” – এই জাতীয় প্রশ্ন মনে হয় কবি আমার মত পাবলিকদের উদ্দেশ্যেই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সেই কবে। আর তারও আগে থেকে আমার মত পাবলিকদের মায়েরাই ‘সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়” বাগধারাটিকে শুধু টিকিয়ে নয় বরং জাগ্রত করে রেখেছেন আমাদের বিদ্ধ করে করেই। সেই দিন ভোর বেলা নাগাদ ফুরফুরে হাওয়ায় বারান্দায় চা খেতে গিয়ে বাঁদরের নাচানাচি এবং পাখির ডাক শুনতে শুনতে ভুতে কিলোনোর ব্যাপারটা আবার চাগাড় দিয়ে উঠল। প্রায় সবার ডাকনাম আছে, কিন্তু আমার কেন নেই – তার মানে কি আমার দিকে ঠিক মত নজর দেওয়া হয় ... ...