এতে শাহরুকের কোনো দোষ নেই। কিন্তু এ একদম নির্জলা সত্য কথা, যে, 'বাবা কেন চাকর' দেখে কেউ উলুতপুলুত হলে তাকে নিয়ে আপনি যেমন হাসেন, শাহরুক খানকে নিয়ে উলুতপুলুত হলে, আপনাকে নিয়ে আমি ততটাই। হ্যাঁ, হতেই পারে, শাহরুক বিরাট শিল্পী, বড় পর্দাতে তাঁর অভিনয় দক্ষতা ঠিক আঁটেনি, হিন্দি সিনেমার খাতিতে নানা অখাদ্য ছবিতে তিনি নাগাড়ে চড়া দাগের মোটা অভিনয় করে গেছেন। তা, সে তো এও হতে পারে, আদতে স্বপন সাহা বিরাট পরিচালক, কষ্ট করে সিনেমার ছোটো ফ্রেমে আঁটেননি, কষ্ট করে 'বাবা কেন চাকর' বানিয়েছেন, স্রেফ বাংলা সিনেমাকে বাঁচাতে। সবই সম্ভব, কিন্তু যা দেখেছি তার ভিত্তিতে ৮০-৯০ এর শাহরুক এবং সমকালীন বলি-সমাজকে ... ...
কুমিল্লার ঘটনায় এবং তার পর বাংলাদেশে পুজোর সময় বহু মন্ডপ আক্রান্ত। সবাই জানেন। যেটা জানা নেই, সেটা হল, হিন্দু 'ভির'রা কী করছেন? নিন্দায় ফেটে পড়েছেন? মিছিল-টিছিল করেছেন? বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেপুটেশন দিয়েছেন? নিদেনপক্ষে নিন্দে করে একটা বিবৃতি? ছাপ্পান্ন ইঞ্চি কি একটা চিঠিও লিখেছেন? নাঃ। বালাই ষাট। বরং উল্টোটা। তথাগত রায় বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো আছেন। সে হয়তো হাসিনার আমলে হিন্দুরা সব মিলিয়ে ভালই আছেন, কিন্তু কুমিল্লার ঘটনার পর, নিন্দা নেই, হুঙ্কার নেই, স্রেফ মিনমিন করে বলা, হিন্দুরা তো ভালই আছেন। ভাবতে পারছেন? এই নাকি হিন্দু 'ভির'? ওদিকে বাংলার মুসলমানের মুক্তিসূর্য আব্বাস কী বলেছেন? হেবি হুঙ্কার ঝেড়েছেন। হনুমানের পায়ের কাছে কোরান? হালুম। যা ... ...
আমার ক্যাবলা কাটিং হাসি পুরোনো গান। এর আগে লাইভ একটা ভার্সান ছিল। ভালো রেকর্ডিং ছিলনা। এবার নতুন করে করা হল। অ্যারেঞ্জ ট্যারেঞ্জ করে। মন্তব্যে কেউ কেউ বলেছেন, আগেরটাই ভালো ছিল। সে আর কী করা যাবে। পাপের ফল, হয়েছে যখন, থাক। ... ...
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বলতে অনেকে শীতকালে কম করে আতপ চাল খাবার কথা বলা হচ্ছে মনে করেন। আসলে কিন্তু কার্ব কম খেয়ে ওজন কমানোর সঙ্গে শীতাতপের কোনো সম্পর্ক নেই। উহা বাংলা এসি র সংস্কৃত নাম। সেই যন্ত্রের ওজন প্রচুর। ঘাড়ে তুলে নিয়ে গেলে পেশির বৃদ্ধি হতে পারে, ওজন কমা সম্ভব না। অনেকে ভাবেন, এসি চালালে পরিবেশ ঠান্ডা হয়। সেটাও ভুল ধারণা। এসি চালালে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন নামের খুব খারাপ গ্যাস বার হয়ে ওজন স্তরে ছ্যাঁদা করে দেয়। সেখান দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি গায়ে পড়লে মাথা এবং শরীর গরম হয়ে যায়। একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এ মাথা গরম করে পৃথিবীতে অনেক খারাপ কাজ হয়েছে। ভাইয়ে ... ...
ক্লান্ত লাগে। ভিডিওটা খুলেছিলাম অনবধানে। আর পাঁচটা যেমন খুলি। খুলে দেখলাম পুলিশ কাদের যেন গুলি করতে করতে তেড়ে যাচ্ছে। একটা লোক হাত তুলে দৌড়ে এল। মারধোর করতে নয়, আত্মসমর্পণের ভঙ্গীতে। পুলিশ তার দিকেও তেড়ে গেল। পুলিশের যা স্বভাব। তারপর লাঠি দিয়ে ধড়াদ্ধম পিটুনি। সঙ্গে কয়েকটা গুলির শব্দ। গুলিটা কোথায় লাগল ঠিক বুঝতে পারিনি। পয়েন্ট ব্ল্যাংকে ওইভাবে কাউকে গুলি করে নাকি? লোকটা পড়ে আছে দেখা গেল। ভাবলাম, এমন করে মারল, যে অজ্ঞান হয়ে গেল? তারপর দেখলাম, ক্যামেরা হাতে একজন, পুলিশের ফটোগ্রাফারই হবে, দৌড়ে গেল পড়ে থাকা শরীরের দিকে। তারপর শরীরের উপরে উঠে জান্তব উল্লাসে নাচ। দেখে আঁতকে উঠে ভাবলাম, মরে যাবে ... ...
জানি তো ফিরবেনাকুলে তো ভিড়বেনাভেঙেছে মাস্তুল, ডুবেছে শিপ। তবুও সন্ধ্যায়বন্ধ জানালায়হঠাৎ ছায়া, বুক কী ঢিপঢিপ। এখনও পড়ে মনেরামনবমী দিনেতোমার জামা আর সিঁদুরে টিপ। তোমার বাণী যত কীভাবে অবিরতছড়িয়ে দিত ওই দুইটি লিপ। সত্যি ফিরবেনা?শিকে কি ছিঁড়বেনা?কখনও কোনোদিন, আর দিলীপ? পু: জীবনানন্দের পরে এমন মরমী কবিতা আর হয়নি। কেউ যদি বুঝতে না পারেন, তো মানেবইএর অংশ হিসেবে বলে দিলাম। ... ...
এবার নাকি রুনু গুহনিয়োগির 'সাদা আমি কালো আমি' অবলম্বনে হিন্দিতে রাজনৈতিক ওয়েবসিরিজ। চারু মজুমদার চরিত্রে নওয়াজ সিদ্দিকি। জ্যোতি বসু চরিত্রে, পরেশ রাওয়াল কিংবা বোমান ইরানি। একটা বাংলা ভারসানও নাকি হবে। নির্ঘাত ডাব-টাব। সত্যি-মিথ্যে জানিনা, ডিজিটাল আনন্দবাজারে পড়লাম। প্রথম রিঅ্যাকশনে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু হিন্দি সিনেমার উপর রাগ করে আত্মহত্যা করতে হলে অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তা যখন করিনি, এবারও ক্ষান্ত দিলাম। পরের চিন্তাই মাথায় এল, এবার একখানা ফিলিম বানিয়ে ফেলি। কত আর খারাপ হবে। খারাপ হলেই বা কী। যত খিস্তি, তত ভিউ। একদম ইংরিজিতে বানাব। ভারতের ইংলিস মিডিয়াম বিপ্লবী থেকে আমেরিকান আঁতেল, সব্বাই দেখবে। ... ...
এই নিউ নর্মাল আর নেওয়া যাচ্ছেনা। কিন্তু কথা হল, দুঃখের মধ্যে লোকে কী করবে? গান-টান গাইবে। নইলে তো মরে যাবে। জেলখানায় বসে জেলখানার গান গাইবে। অন্ধকারে বসে অন্ধকারের গান গাইবে। এ সব অন্ধকারের গান। তার মানে এই নয়, যে, হেবি সিরিয়াস, গম্ভীর গলায় বসে দরবারী কানাড়া সাধা হচ্ছে। বরং উল্টো। হাল্কা করে টাইম-পাস। অল্প ফুর্তি। সময়টাই তো এরকম। কে জানে আর কদ্দিন। ... ...
ইন্দ্রাণীদি ফেসবুকে নেই। অর্থাৎ, এই নশ্বর পৃথিবীতেই নেই। যেখানে মানুষে-মানুষে যোগাযোগের পোশাকি নাম নেট-ওয়ার্কিং। যেখানে আলোয় ভেসে থাকার জন্য সর্বদা আকুলি-বিকুলির নাম আলোকপ্রাপ্তি। ইন্দ্রাণীদি এসবের বাইরে। তাঁর সাধনা নৈঃশব্দের। বাক্য নিক্তি মেপে। আখ্যান ছেনি হাতুড়ি দিয়ে কোঁদা। সেও এক ম্যাজিক, তবে অন্ধকারের। যেখানে পৃথিবীর কিমাকার ডায়নামোর পরে মহীনের ঘোড়ারা ঘাস খেতে আসে, এ সেসব এলাকার কাহিনী। হুড়োহুড়ি, গুঁতোগুঁতিতে ইন্দ্রাণীদি নেই। তার বাইরের যে অন্ধকার ইন্দ্রাণীদির ম্যাজিক সেই অঞ্চলের। ইন্দ্রাণীদির প্রথম গল্পের বইয়ের নাম ছিল 'পাড়াতুতো চাঁদ'। যা দেখিয়ে দিয়েছে, নিঃস্তব্ধতারও কিছু অনুসারী আছেন। হয়তো সংখ্যায় বেশিই আছেন, দেখা যায়না, কারণ তাঁরাও নিঃস্তব্ধ। "আমি নিজেকে পড়ুয়া বলে মনে করি, কিন্তু ইন্দ্রাণীর খোঁজ ... ...
বেনেগাল লিখেছেন, "বোম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়েই ভেবেছে, সত্যজিৎ রায় ভারতের জন্য ঠিক কাজ করছেননা। রাজকাপুরের সঙ্গে তাঁর একবার বিরাট ঝামেলা হয়েছিল। রাজ কাপুরের সিনেমা 'জাগতে রহো' পরিচালনা করেছিলেন বাংলার বিখ্যাত নাট্যপরিচালক শম্ভূ মিত্র। সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের যা উচ্চতা, নাটকে তিনি তার সমানই ছিলেন। শম্ভূ সিনেমাটা বানিয়েছিলেন, এবং ১৯৬৪তে কারলভি ভেরি উৎসবে সেটা রাজকাপুরকে সেটা একটা পুরষ্কারও জিতিয়ে দেয়। ওই একই বছর ভেনিসে অপরাজিত জেতে স্বর্ণ সিংহ। তারপর রাজকাপুর এবং সত্যজিৎ রায়ের কোনো একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়। সত্যজিৎ বলেন, বাংলা সিনেমার জন্য এটা একটা বিরাট সম্মান। রাজ কাপুর বলেন, 'বাংলা কেন, আপনি ভারতীয় না? আপনি কেন বলেন, আপনি একজন বাঙালি চিত্রপরিচালক?' সত্যজিৎ বলেন, ... ...