এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • ধ্যান ও  স্নায়ুবিজ্ঞান 

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ১২ জুন ২০২৪ | ৫৯৮২ বার পঠিত | রেটিং ৩.৮ (৪ জন)
  • | |

     
    গোড়ার কথা: কি, কেন, ইত্যাদি 
     
    এই প্রবন্ধটির আলোচনার বিষয় ধ্যান এবং স্নায়ুবিজ্ঞানএর পারস্পরিক সম্পর্ক, বা বলা যেতে পারে স্নায়ুবিজ্ঞান এর "চোখ" দিয়ে ধ্যানের মতো একটি বিষয়কে বোঝার চেষ্টা করা। আজ অবধি এই বিষয়ে মোটামুটি যা যা জানা হয়েছে ও জানা হচ্ছে তার একটি অতি সংক্ষিপ্ত, হয়তো কিছুটা লঘু ধরণের অবতরণিকা পেশ করা। এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে হঠাৎ করে এইরকম একটি বিষয় নিয়ে, বিশেষ করে ধ্যান ও স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়ে দু চার কথা পাড়তে গেলে যা হয়, আপনারা যারা পাঠক আপনাদের কারো কারো মনে হতে পারে যে কোথায় কি নিয়ে গপ্পো? মানে কোথায় ধ্যানের মতো গুরুগম্ভীর ধর্মীয় বিষয়, রীতিমতন সাধারণ ভাবে যার সঙ্গে নানারকমের ধর্ম কর্মের যোগ প্রবল, আর কোথায় নিউরোসায়েন্স, অতি জটিল বিজ্ঞান, বিশেষত মস্তিষ্কের জটিল অন্তর্জগতের হদিস দেওয়া যার কাজ - এই দুটো বিপ্রতীপ বিষয় কি তেল আর জল মেশানোর মতো অসম্ভব ব্যাপার নয়? এখানে আমার উত্তর "না নয় :-) ",  কিন্তু কেন নয়, ক্রমশ প্রকাশ্য । 
     
    এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুবিজ্ঞান অতি জটিল বিষয়, এবং অনেকেই হয়তো ভাবেন যে যাদের ও বিষয়ে ব্যুৎপত্তি নেই, তাদের পক্ষে ও বিষয় না যায় বোঝা, না যায় বোঝানো । তার থেকে অপেক্ষাকৃত ভাবে ধ্যান ব্যাপারটি আপাতভাবে আরেকটু সোজাসাপ্টা ও হাতেকলমে করে দেখা যেতে পারে। এইটা আমার মনে হয়, তাই এই লেখাটিতে প্রথমে ধ্যান ব্যাপারটিকে নিয়ে চর্চা করা যাক। তারপর পর্যায়ক্রমে ধ্যানের সঙ্গে নানান রকমের ব্যবহারিক প্রয়োগ, এই করে আমরা স্নায়ু, মস্তিষ্ক, সেখান থেকে নির্গত সংবেদনাকে ধরার জন্য ইলেক্ট্রোএনকেফালোগ্রাফি (EEG), মস্তিষ্কের অভ্যন্তর দেখার জন্য MRI ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে, কারণ ধ্যান, এবং মনোবিজ্ঞান এবং স্নায়ুবিজ্ঞান ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ের অবতারণা করতে গেলে এই বিষয়সমূহ আসবেই ।
     
    লেখাটার গোড়ায় এখানে একটা কৈফিয়ত দেবার ব্যাপার আছে। সেটা এই যে আমাদের এই আলোচনা কিন্তু ধ্যানের ধর্মীয় দিকগুলো নিয়ে আমরা করব না, আমরা বরং বিষয়টিকে বৈজ্ঞানিক পরিপ্রেক্ষিতে দেখার চেষ্টা করব। তার অর্থ অবশ্য এই নয় যে ধ্যানের ধর্মীয় ব্যাপারটি কম গুরুত্বপূর্ণ, বরং উল্টোটা। ধ্যানের অবশ্যই একটি ধর্মীয় দিক রয়েছে, এবং সে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । এবং সে দিকটি বিভিন্ন ধর্মের ধ্যানের চর্চায় দেখা যায়। উপনিষদিক ব্রাহ্মণ্যাধৰ্মে যেমন হঠযোগ (বিশেষ করে প্রাণায়াম প্রক্রিয়া ইত্যাদিতে) এবং রাজযোগে ধ্যানের অপরিসীম গুরুত্ব, তেমনি বৌদ্ধধর্মে অনপনসতী (শ্বাস প্রশ্বাস এর দিকে নজর রেখে ধ্যান), বা কায়াগত সতী (শরীরের বিভিন্ন অংশে নজর রেখে ধ্যান) বা বিপাসনা (আসলে বলা উচিত বিপস্যনা), তেমনি আবার খ্রীষ্ট ধর্মেও সুপ্রাচীন কাল থেকে ধ্যানের তাৎপর্য রয়েছে (মরু যাজকদের সূত্রে, desert fathers , দেখুন, https://www.contemplativeoutreach.org/the-christian-contemplative-tradition/ ), তেমনি ইসলাম ধর্মেও ধ্যানের  ভূমিকা রয়েছে।  সেইসব জটিল পারমার্থিক বিষয়ের মধ্যে না গিয়ে আমরা আপাতত ধ্যান কি সেই দিকটায় প্রাথমিক মনোনিবেশ করি, কারণ ধ্যান কি ও কত রকমের । এছাড়াও ধ্যান বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যে কতরকমের অদ্ভুত ধারণা আমাদের সমাজে আছে, সে সমস্ত নিয়ে দু একটি কথা আলোচনা এখানে প্রাসঙ্গিক হবে বলে মনে নয়। এখানে আরেকবার লিখে রাখা যাক যে  ধ্যান মানেই ধর্ম-কর্মের ব্যাপার নয়, এই ব্যাপারটা স্পষ্ট করে না লিখলে এ আলোচনা এগোনো যাবে না। 
     
    ধ্যান বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা 

    এক কথায় ধ্যান কথার সঙ্গে  মনোনিবেশ বা মনঃসংযোগ ব্যাপারটির একটি যোগাযোগ রয়েছে, যদিও সচরাচর বাংলা ভাষায় ধ্যান কথাটি বললে সেই ব্যাপারটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে না । সে তুলনায় হিন্দি ভাষায় যদি "মন দিন" বলতে হয়, বলা হয় "কৃপয়া ধ্যান দিজিয়ে"। আমরা বাংলা ভাষায় ধ্যান বলতে অনেকটা এইরকম একটা ছবির কথা ভাবি সাধারণত :
     

    (জনৈকা ধ্যানরতা)
     
    ছবিটা "মন দিয়ে" দেখুন । ছবিতে যে মানুষটিকে দেখা যাচ্ছে তাঁর চোখদুটি বন্ধ, দুই হাত দুই হাঁটুতে রেখে, তিনি  বসে আছেন। ধ্যানরত লিখলাম বটে, তিনি কি প্রকৃত পক্ষে ধ্যান করছেন? অস্যার্থ , কারোর এই রকম ছবি দেখে কি বোঝা যায় যে  তিনি সত্যি সত্যি ধ্যান করছেন? সেটা আমরা জানছি কি করে? ধ্যান ব্যাপারটা কি শুধুই হাতের মুদ্রা আর বিশেষ রকম পিঠ টান টান  করে বসে থাকার ব্যাপার? ইনি  ধ্যান আদৌ করছেন কিনা আমরা কিন্তু জানি না, কাজেই যে কেউ তাঁর ধ্যানস্থ অবস্থায় বসে থাকার নানাবিধ ছবি দেখাতে  পারেন (আজকাল বৈদ্যুতিক সামাজিক মাধ্যমের যুগে অনেকেই সেই ধরণের ছবি পেশ করে থাকেন), তা থেকে কিন্তু প্রমাণিত হয় না যে তিনি অভিনয় করছেন, না সত্যিকারের ধ্যান করছেন । আপাত ছবি দেখে যদি সত্যিকারের ধ্যানের কথা ভাবা যায়, তাহলে ভুল হবে । একথা লিখছি কেন?  একটা সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করি । 
     
    চুপটি করে বসে থাকো, কিছু কোরো না
    যেমন ধরুন, ছোট বয়েসে  "চুপটি  করে বসে থাকো, কিচ্ছু করো না" এই কথাটা আমরা হয়তো অনেকেই শুনেছি । কিন্তু এই ব্যাপারটাই, যে কোন কাজ কর্ম না করে চুপ করে বসে থাকার ব্যাপারটি প্রাপ্ত বয়েসে কেমন হয়?   মনে করুন আপনি স্থির হয়ে বসে থাকা মনস্থ করলেন। আরো মনে করুন আপনি স্থির করলেন প্রায় ২০-২৫ মিনিট মতন ঐরকম এক ঠায় একটি চেয়ারে বা আসনে বসে থাকবেন। কাজ কর্ম কিছু করবেন না, শুধু এক জায়গায় চোখ বুজে চুপ করে বসে থাকবেন। প্রথমত ঐরকম করে বসে থাকা, নেহাত সহজ নয়, বা করলেও যেটি অবধারিত ভাবে হবে, মনে নানান রকমের চিন্তা ভিড় করে আসতে থাকবে, মন যেন জংলী বাঁদরের  মতন, এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে বেড়ায় (বৌদ্ধ ধর্মে এই মনের অবস্থাকে বলে "কপিচিত্ত ", আমরা আপাতত ধর্মকর্ম জাতীয় আলোচনা না করা মনস্থ করেছি, অতএব এ নিয়ে কথা বাড়াবো না)। এখন "কপিচিত্ত " দশা প্রাপ্ত হলে যা হয়, মনে নানান রকমের চিন্তা ভিড় করে আসে, এক চিন্তা অন্য চিন্তায় মিশে যায় বিস্তর দিবাস্বপ্ন দেখা হয়। বাইরে থেকে আপনাকে দেখলে মনে হবে আপনি বুঝি গভীর ধ্যানে নিমগ্ন, আসলে তা তো নয়। এবং এই ব্যাপারটি ধ্যানও নয় কারণ ধ্যানের অন্যতম শর্ত  মনোনিবেশ করা, সেটি না হলে ধ্যান বলা যাবে না।
     
    এবার আমরা আরেকবার বিষয়টিকে বিবেচনা করে দেখি । এইবার, আবার, বসে থাকার একই ব্যাপার, কিন্তু আগের থেকে এবারের তফাৎ, এবার চোখ বন্ধ করে ও সুখাসনে উপবেশিত হয়ে আপনি "মনোনিবেশ" করবেন, মনকে একেবারে লাগামহীন অবস্থায় ছেড়ে দেবেন না । অতএব আবার সেই  ব্যাপার, একই রকমের বসার ভঙ্গি, এবারও ২০ মিনিট ঘড়ি ধরে একটি নরম গদিতে ধরুন আসন পিঁড়ি হয়ে বসলেন, বা একটি চেয়ারে বসলেন । চোখ বন্ধ করলেন, এবং , এইবার স্থির করলেন যে "মনোনিবেশ" করবেন, মনকে লাগামহীন ঘুরতে দেবেন না । এই অবধি তো হল, এখন মনোনিবেশ করবেন কিসে? 
     
    সব ধ্যান একরকম নয় (যে ধরণের ধ্যানের কথা আমরা এই প্রবন্ধে আলোচনা করছি না )
     

    এইখানে দুটি কথা বলার আছে। প্রথমত, মনে করুন মনোনিবেশ করবেন কোনো একটি রূপকল্পনায়, কোনো একটি  শব্দে, বা কোন একটি  মন্ত্রে ।  মহাঋষি মহেশ যোগী বলতেন শব্দের ওপর "ধ্যান দিতে", যাকে এখন বলা হয় transcendental meditation । এই ধরণের ধ্যান করার সময় অন্য কোন কিছুকে মনে স্থান দেওয়া যাবে না । অনেকে তাই এই ধরণের ধ্যান কে চিন্তাশূণ্য ধ্যান বলেন । এই জাতীয় ধ্যান বা মনোনিবেশ আমাদের এই আলোচনার বিষয় নয়, অন্য কোনো সময় একে নিয়ে চর্চা করা যাবে। দ্বিতীয়ত, আমরা যে ধরণের ধ্যান নিয়ে এই প্রবন্ধে আলোচনা করতে চাই তাকে "মুক্ত ধ্যান" (open awareness meditation) বলা যেতে পারে। সে কিরকম ধ্যান? আসছি সে কথায় ।
     
    আমাদের আলোচ্য ধ্যান: মনোনিবেশিত ধ্যান বা Mindfulness Meditation
     
    আগের বারের মতন এবারেও আপনি মনে করুন ২০-২৫ মিনিট সময় নিয়ে ঘড়ি ধরে ধ্যান করতে শুরু করেছেন। এইবার আপনি "মন" দেবেন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রতি, আপনার নাসারন্ধ্রে শ্বাস নেবার সময় হাওয়া প্রবেশ করছে, শ্বাস নির্গত হচ্ছে ওই পথে, আপনি তার প্রতি মনোনিবেশ করবেন । এবার দেখবেন কিছু পরে পূর্ববর্ণিত কপিচিত্তের কার্যকলাপ শুরু হবে, আপনার মনে নানান রকমের চিন্তাভাবনা আসতে থাকবে। এক্ষেত্রে আপনি সেইসব চিন্তাসমূহ দূরে কোথাও সরিয়ে রাখবেন না, বরং নিজেকে বলুন যে "আমি আর আমার মন আমার চিন্তা এক নয়, অতএব সবিশেষ কৌতূহল নিয়ে তাদের দেখি", এই বলে  নিজের শরীর থেকে মন সরিয়ে নিয়ে কৌতূহল সহকারে এই যে নানান ধরণের চিন্তা মনে আসছে, তাদের দেখতে থাকুন ।  এই ব্যাপারটা মোটেও সহজ নয়, এই কাজটি করতে আপনার সময় লাগবে, ধৈর্য্য লাগবে । আপনার ভাবনাচিন্তা এমন ভাবে  "দেখতে" থাকুন, যেন গ্যালারিতে বসে খেলা বা নাটক দেখছেন । চিন্তার উদয় হওয়া মাত্রই, তাদের একটি নাম দিন, এবং তারপর আবার পুনরায় আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রতি  মনোনিবেশ করুন। যেমন ধরুন, ধ্যান শুরু করেছেন, শ্বাস প্রশ্বাস এর দিকে নজর রাখতে শুরু করেছেন, এমন সময় মনে একটি চিন্তা উদিত হল  যে অমুকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, এখন অবধি করা হয়ে ওঠেনি । সে চিন্তা ভারী প্রবল হয়ে মনে উপস্থিত হল । এখন আপনি ধ্যান করা ছেড়ে উঠে গিয়ে অমুকবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, কিন্তু তা না করে, এই চিন্তাটির যে উদয় হয়েছে, তার প্রতি কৌতূহল প্রকাশ করে মনে মনে নিঃশব্দে নিজেকে বলতে লাগলেন "যোগাযোগ", "যোগাযোগ", এবং একাগ্র মনে আবার শ্বাস প্রশ্বাসের প্রতি নজর ফিরিয়ে আনলেন । এই ধরণের যে ধ্যান, যেখানে মনোসংযোগ করা হচ্ছে ঠিকই, তবে অন্যান্য ধারণাকে দেখে, তাদের অগ্রাহ্য করা হচ্ছে না, এই ধরণের ধ্যান নিয়ে আমাদের আলোচনা (এর ইংরেজি পরিভাষায় "open awareness meditation" বলা হয়, আমরা বাংলা করে বলতে পারি "মুক্ত চেতনার ধ্যান" ।
     
    আকাশ ও মেঘ 
     
    এবার এখানে একটা ব্যাপার নজর করুন । এই যে পদ্ধতিতে ধ্যানের কথা বলা হচ্ছে, এই যে শ্বাসের প্রতি মন নিবিষ্ট রেখে অন্যান্য যে সমস্ত চিন্তা ভাবনা মনে আসছে তাকে চিহ্নিত করতে থাকছেন, তাতে করে কিন্তু মন থেকে চিন্তা "দূর" করার কোন  ব্যাপার নেই,  মনকে "চিন্তাশূণ্য" করার কোন প্রয়োজন নেই। ক্রমাগত যদি চিন্তা ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের উদয় এবং অস্ত যাওয়া লক্ষ করতে থাকেন , তাহলে একটা ব্যাপার অচিরে বুঝতে পারবেন।  প্রতিবার এই যে চিন্তাভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করতে থাকবেন, এরা একবার করে উদিত হবে, তারপর আবার মিলিয়ে যাবে। ধ্যানের বিভিন্ন ঘরানায় (বিশেষত বিভিন্ন ধর্মে), এর একটা উপমা দেওয়া হয়, এ যেন অনেকটা নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনার মতন ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথের পূজা ও প্রার্থনা পর্যায়ের "মাঝে মাঝে তবে দেখা পাই" গানের কথা স্মরণ করলে দেখবেন কবি লিখেছিলেন, "কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে তোমারে দেখিতে দেয় না", এও তাই । আপনার হৃদয় একটি আকাশের মতন, সেখানে নানান চিন্তা ভাবনা মেঘের মতন আসে, কিছু সময় যেন ভেসে বেড়ায়, তারপর মিলিয়ে যায় । আপনার মন আকাশ, আর চিন্তা ভাবনা, ধারণাসমূহ মেঘের মতন ভেসে বেড়ায় ।  উপনিষদেও "চিদাকাশ" কথাটির ঐরকম একটি  ধারণা পাওয়া যায় । এই রকম করে, আপনি যতক্ষণ অবধি  ধ্যান করবেন, আপনার মনে একেকবার একেকটি চিন্তা আসতে থাকবে, আপনি তাদের চিহ্নিত করবেন, তারপর আবার ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে মন নিবদ্ধ করতে থাকবেন । কালক্রমে ক্রমশ এলোমেলো চিন্তা ভাবনার মনে আসা যাওয়া কমে আসবে, মন পুরোপুরি শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রতি নিবদ্ধ হবে। আমি যেভাবে লিখলাম, কথাটা লেখা সহজ, কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটি অমন সহজ নয় । বেশ কয়েকদিন নিয়ম করে ধ্যান করতে থাকলে তখন দেখবেন এই ব্যাপারটি হয়তো কিছুটা সম্ভব হবে, তবে সে হতে দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে প্রায় প্রতিদিন কিছুটা সময় ধ্যানে ব্যয় করতে হবে ।

    তার পর লক্ষ  করবেন, মন হয়তো কিছুক্ষন এর জন্য শ্বাসপ্রশ্বাসে নিবেশিত হয়েছে । তারপর, শরীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান রকমের ব্যাথা বেদনা  সংবেদনা এসে উপস্থিত হবে। আপনি এই অবস্থায় ধ্যান করার অভ্যাসে রণে ভঙ্গ দিতে পারেন, আবার  নাও পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো ক্ষণকালের জন্যে আপনার  মনকে শরীরের থেকে "আলাদা" করে নিয়ে ভাবতে শেখাতে হবে যে, এই সাময়িক শারীরিক সংবেদনা নেহাতই শারীরিক ব্যাপার, একে আপাতভাবে শরীরের "হাতেই" ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে । তবে এখানে একটা কথা মনে রাখবেন  বলে সব রকমের শারীরিক সংবেদন উপেক্ষা করার বিষয় নয়, কোনটা করার আর কোনটা নয় ধরে নেওয়া যেতে পারে সে বোধ আপনার রয়েছে । বেশ কিছুক্ষন যদি এইভাবে স্থির থাকেন, তখন দেখবেন ঠিক যেমন প্রাথমিক উড়ো চিন্তাভাবনা গুলো প্রথমে জড়ো হয়ে তারপর ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল (অবিশ্যি মিলিয়ে আর গেলো কোথায়, মনের গভীরে কোথাও সে রয়ে গেলো, শুধু আপনাকে আপনার ধ্যান থেকে সরিয়ে দিতে পারল না), এই শারীরিক ব্যাপারগুলো সেইরকম, উদিত হবে, কিছুক্ষন জ্বালাতন করবে, তারপর অস্তমিত হবে। তারপর আবার যখন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে মনোনিবেশ করেছেন, তখন আবার অন্য রকমের কিছু মানসিক চিন্তা ভাবনার উদয় এবং অস্ত হতে থাকবে। এরকম চলতেই থাকবে। ব্যাপারটি অনেকটা এইরকম,
     

     
    এখন, এই যে ধরুন মনের মধ্যে একেকটি ভাব চক্রাকারে চলতে থাকছে এবং একে যদি আপনি নিয়ম করে প্রতিনিয়ত ধ্যান করে যেতে থাকেন, বিশেষ করে এই যে নানান রকমের ভাব উদিত হচ্ছে, তা থেকে আপনি নিজেকে সরিয়ে রাখতে সক্ষম হন, কোনো রকম আলাদা করে ভালো মন্দর বিচারবোধ দিয়ে তাকে না দেখেন, এই ব্যাপারটিই  মনোনিবেশিত ধ্যান যাকে ইংরেজি পরিভাষায় mindfulness meditation বলা হয় । একে যদি  আপনি মাস দুয়েক নিয়ম করে চালিয়ে যেতে সক্ষম হন, আপনি  "নিজের মধ্যে" দুটি ব্যাপার লক্ষ  করবেন :
     এক, আপনার শারীরিক, মানসিক বা চেতনায় যে সমস্ত সংবেদন আসবে, তার কোনটির প্রতি কতটা মনোসংযোগ করবেন, আপনি স্বয়ং তার নিয়ন্ত্রক, অর্থাৎ, ক্রমাগত আস্তে থাকা অনুভূতি গুলো আপনাকে আপনার একাগ্রতা থেকে সরাতে সক্ষম হবে না ।
    দুই, এই যে আপনার বিভিন্ন রকমের অনুভূতি, সে যা হোক, ব্যাথা,  বেদনা,মানসিক উদ্বেগ, বিষন্নতা, প্রতিটির প্রতি আপনার এক ধরণের ঔৎসুক্য বলুন, কৌতূহল বলুন, এমন একটা সম্পর্ক স্থাপিত হবে, যেন আপনি আর তারা আলাদা, আপনি ও আপনার অনুভূতি, আপনার মন এক নয়, ব্যাপারটির  উপলব্ধি হবে  । বিশেষ করে, যত দিন যাবে, তত ক্রমশ নিজের মধ্যে নজর করবেন মনের মধ্যে এক ধরণের পরিবর্তন আসছে  যে আপনি যা ছিলেন, তার তুলনায় আরো অনেক নিস্পৃহ ও শান্ত হয়ে পড়ছেন । আপনাকে বাইরে থেকে দেখলে হয়তো কেউ বুঝতে পারবে না, সে পরিবর্তন অন্তরের পরিবর্তন । আপনার উদ্বেগ, রাগ, একই  কথার চর্বিতচর্বন, এই ধরণের চিন্তা ভাবনা গুলো ক্রমশ কমতে থাকবে  ।  সে ধরণের পরিবর্তন হয়তো আপনি নিয়মিত ধ্যান না করলে হত  না, আর আপনি যদি ধরুন কয়েক সপ্তাহ ধ্যান করা বন্ধ করে দেন, আপনি আবার আপনার পুরোনো অবস্থায় ফিরে যাবেন ।  এই ব্যাপার গুলো থেকে মনে হতে পারে আপনার অন্তরের যে পরিবর্তন তাতে ধ্যানের একটা প্রভাব রয়েছে ।
     
    স্নায়ুবিজ্ঞানের কথাটা আসছে  কেন?
     
    এই  ব্যাপারগুলো যেহেতু সাধারণ মানুষের মধ্যে লক্ষ করা যায়, স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে যে কি কারণে এমন হচ্ছে? তাহলে কি ধ্যান ব্যাপারটি কোন ভাবে আমাদের চেতনায় একটা পরিবর্তন আনছে? তাই যদি হয়, তাহলে তাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে? যেহেতু মস্তিষ্ক এবং চেতনার কথা উঠছে, তাই স্নায়ু এবং সেই সূত্রে স্নায়ুবিজ্ঞানের বিষয়টিও আসছে । সেই সূত্রে যে প্রশ্নগুলো অবধারিত ভাবে আসবে, ধ্যান যদি/হয়ত "কাজ" করে, কিন্ত তার কারণ কি? এখন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এমন অনেকবার হয়েছে যে প্রামাণ্য তথ্য মিলেছে, কিন্তু তার মূল কারণ কি জানতে বহু সময় পেরিয়েছে । হাতের কাছে চটজলদি  উদাহরণ  ১৮৫৪ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক জন স্নো সাহেবের লন্ডনে  কলেরা মহামারীর প্রতিকার । যখন তিনি প্রতিকার করেছিলেন, তখন কলেরার জীবাণু কি তাই নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না,  কলেরার জীবাণু  আবিষ্কার করবেন  ১৮৮৩ তে রবার্ট কখ (তার সঙ্গে অবশ্য কলকাতার একটি যোগাযোগ আছে, এখানে সে সব আলোচনার অবকাশ নেই) । এইরকম আরেকটি আবিষ্কার, অষ্টাদশ শতাব্দীতে, ১৭৪৭ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক জেমস লিন্ড স্কার্ভি অসুখের চিকিৎসা করার জন্য এর নাবিকদের লেবু খাবার পরামর্শ দেওয়া ১৯৩৩ সালে চার্লস কিং এর  ভিটামিন সি  আবিষ্কার করবেন । অতএব চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস ঘাঁটলে  এমন অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে যেখানে ডাক্তাররা কিছু একটা লক্ষ করছেন, রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন, পুরো ছবিটা তৎক্ষণাৎ  জানা যায় না, পরে জানা যাবে ।  এই ধরণের ব্যাপারগুলো কেন্দ্র করে আজকের দিনের  evidence based medicine গড়ে উঠেছে, কাজেই আজকে ধ্যান কেন কাজ করে, তার একেবারে ঠিক মূল্যায়ন যদি আমরা নাও জানি, কাল যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে না, কেউ বলতে পারেন না ।  সে সব পরের কথা, আপাতত যে বিষয়টি নিয়ে শুরু করেছিলাম,তার উত্তর খোঁজা যাক,যে, এই যে মনোনিবেশিত ধ্যান  (mindfulness meditation ) এর কথা আলোচনা করা হচ্ছে, এর সঙ্গে মনোবিজ্ঞান,  সাইকিয়াট্রি, চিকিৎসা, এমনকি স্নায়ুবিজ্ঞান কে জড়ানোর কারণটি কি? এই ধরণের ব্যাপারগুলো কারা শুরু করেছিলেন এবং কোথা  থেকে শুরু হয়েছিল? 
     
    অন্তত বাংলায় বা বাঙালির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্নগুলো অবান্তর নয় । কারণ ধ্যান ব্যাপারটা আমরা যতদূর বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ বুঝি তাতে সাধু বা ধরুন, সাধু সন্তদের ভেক ধরে  যারা ধর্মের বা ধর্মের "ব্যবসার" সঙ্গে জড়িত, এই সমস্ত লোকজন লোক দেখানো ধ্যান ইত্যাদি করে থাকেন । দুঃখের বিষয়, এদের সবাই যে সৎ , এমন বলা যাবে না, অনেকেই নানারকম অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে মানুষকে হতচকিত করে ঠকিয়ে দেবার চেষ্টা করেন, শুধু তাই নয়, যুক্তির বদলে, তর্কের বদলে, এরা  চান মানুষ এদের বিশ্বাস করুন, যার জন্য এমনিতেই যুক্তিবাদী লোক এদের ব্যাপারে বিরক্ত , বিশ্বাস করার প্রশ্নই ওঠে না । আরো একটা ব্যাপার রয়েছে । মনে করুন  যদি ধ্যান ব্যাপারটায় মানুষের সত্যি সত্যি মানসিক পরিবর্তন হয়ও, যারা ধর্মের ব্যবসায়ী, তারা ব্যাপারটাকে "ধর্মীয় কীর্তি"  বলে চালিয়ে দেবেন, সে পরিবর্তনের পশ্চাৎপটে নিয়মিত  ধ্যান করার একটা "মনস্তাত্বিক" ব্যাপার আছে, সেই প্রসেস  বা সেই প্রচেষ্টাকে সেভাবে এরা গুরুত্ব দেবেন না । এই সমস্ত নানান কারণে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, যে হঠাৎ মনোবিদ, স্নায়ু বৈজ্ঞানিক, ডাক্তার, যারা পেশাগত ভাবে বিজ্ঞান চর্চা করেন, এরা  এইসব নিয়ে কেন মাথা ঘামাচ্ছেন । তো এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখতে দুটি ভিন্ন বিষয়ে লিখতে হয়, দুটিই এই ধরণের ধ্যানের সঙ্গে সম্পৃক্ত । স্নায়ুবিজ্ঞানের সূত্রে ধ্যানের তাৎপর্য নিয়ে লেখার আগে ধ্যান ও স্নায়ুগত আরো দুয়েকটা ব্যাপার দেখা যাক:  (১) একটা ধ্যান এবং Flow (জানিনা, বাংলায় ইংরেজির ফ্লো  কথাটিকে হয়তো প্রবাহ বলা যেতে পারে), (২) ধ্যান এবং আধুনিক মনোবিজ্ঞানে ও চিকিৎসায় তার তাৎপর্য ।
     
    (এর পরের পর্বে বাকিটা, চলবে  )
     
     
     
    ---
    তথ্যপঞ্জী 
    ১) Keng SL, Smoski MJ, Robins CJ. Effects of mindfulness on psychological health: a review of empirical studies. Clin Psychol Rev. 2011 Aug;31(6):1041-56. doi: 10.1016/j.cpr.2011.04.006. Epub 2011 May 13. PMID: 21802619; PMCID: PMC3679190
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | |
  • প্রবন্ধ | ১২ জুন ২০২৪ | ৫৯৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মত  | 165.225.8.117 | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:০৮533286
  • অরিনের কাছে ব্যক্তিগত আবেদনঃ যাঁরা এই লেখাটার কাউন্টার করছেন, উনার জ্ঞানী মানুষ এবং উনাদের ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা রয়েছে। সে অতি উত্তম অ্যাজেন্ডা এবং ব্যক্তিগতভাবে সেসবের অনেককিছুই সমর্থন করি। তাছাড়া, আপনি এবিষয়ে একজন অধিকারী বলেও উনারা ধ্যানের অ্যাকাডেমিক লিমিট বুঝতে চাইছেন হয়ত। 
    তবে, আপনিও ব্যস্ত মানুষ। অনেক কমিটমেন্টও আছে নিশ্চয়। এখনকার মত আপনার প্ল্যানমাফিক লেখাটা আগে শেষ করে ফেললে হয়ত সবারই সুবিধে হত। তার্পরে নাহয় সময়মত কাউন্টার করতে চাইলে করতেন, সময় না থাকলে করতেন না, অন্য কারো ইচ্ছে বা সময় থাকলে সে করত, নইলে সেখানেই থেমে থাকত। AI নিয়ে রিসার্চও তো কত বছর ধরে একজায়্গাতেই থমকে ছিল। 
    ইন্টারাঅ্যাকসানের বহর দেখেই নিশ্চয় ইন্টারেস্টটা বুঝতে পেরেছেন। এলেবেলেও এরকম সমস্যায় পড়তেন, পরে খয়ের পরামর্শমত আগে লেখা শেষ করে তারপর প্রশ্নের উত্তর দিতেন। মনে হয় এক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতিতে পাঠকদের লাভবান হবার সম্ভাবনা বেশী। নইলে, খামোখা তর্কবিতর্কে লেখক উতসাহ হারালে আমাদের ভারি লস! 
      
  • dc | 2401:4900:634c:1279:8da2:a1b1:e699:5fe8 | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:১২533287
  • হ্যাঁ, পুরো লেখাটা শেষ করে নিলে ভালো হয়। আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম পুরোটা পড়ে নিয়ে তারপর আমার অবজেকশানগুলো লিখবো। 
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:২৩533291
  • ধন্যবাদ nb একেবারে ঠিক বলেছেন ।
    dc , citescore নিয়ে তো দেখলেন । 
    ধ্যান ব্যাপারটা হয়ত বিতর্কিত, তবে আপনি যদি @মত এর লেখাটা পড়েন, দেখবেন কতগুলো মূল্যবান পয়েন্ট  লিখেছেন  । ক্রিটিসিজম হোক, আপত্তি নেই, তা হতেই পারে । 
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:২৫533292
  • ঠিক কথা dc এবং মত , এর পরে আগে লেখাটা শেষ করে তারপর উত্তর গুলো লেখা যাবে । সেটাই উচিত কাজ হবে ।
  • dc | 2401:4900:634c:1279:8da2:a1b1:e699:5fe8 | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:২৭533293
  • মত যা লিখেছেন সেটা ওনার পার্সোনাল অ্যানেকডোট, আমারটাও তাই। তবে আমরা তো এথনোগ্রাফিক স্টাডি করছি না, এভিডেন্স বেসড প্র‌্যাক্টিস নিয়ে আলোচনা করছি। যাই হোক, আপনি পুরোটা লিখে ফেলুন। 
  • মত  | 165.225.8.117 | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:৩৪533294
  • @DC
    "ধ্যান ... কিছুটা ... বিশ্বাসে মিলায় বস্তু টাইপের বিষয়" - আপত্তি জানাচ্ছি, কারণ বস্তুটি reproducable. মানছি এটি পার্সোনাল অ্যানেকডোট, তাই আপনার ব্যক্তিগত প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থাকলে জানতে আগ্রহী।
     
    তবে ডিসির অন্য বক্তব্যে আমিও একমত! smiley 
  • নীপা | 2405:8100:8000:5ca1::38:19fd | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:৪৩533295
  • অরিনবাবুর অন্যের ভুল শুধরানোর ব্যাপারে খুবই উৎসাহী। নিজের সমালোচনাগুলোকে ঠিক স্পিরিটে নেওয়ার ব্যাপারেও একটু উৎসাহ থাকলে ভালো হত না কি? এটা বিশ্বাসযোগ্য যে উনি জানেন না কোন জার্নালের কি গুরুত্ব? International Journal of Environmental Research and Public Health সায়েন্স সাইটেশন ইন্ডেক্সে নেই - এককালে সায়েন্স সাইটেশন ইন্ডেক্স এক্সপাণ্ডেড-এ ছিল, সেখান থেকেও ডিলিস্টেড হয়েছে। এখন, ভারত সহ অনেক দেশেই রিসার্চ গ্র্যান্ট পেতে গেলে PIকে জানাতে হয় তার ক'টা পেপার সায়েন্স সাইটেশন ইন্ডেক্সে লিস্টেড জার্নালে বেরিয়েছে (এক্সপাণ্ডেড ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না)।

    গুরুতে অরিনবাবুর গুণমুদ্ধ অনেক লোক আছে কিন্তু লোকে অন্য কথা বললেই তাকে যাস্ট ধমকে থামিয়ে দিতে চাইলে নিজেকেই খেলো করা হয়। উনি সব বোঝেন আর নীপারা কেউ কিছু বোঝে না এমনটা ভাবা ঠিক নয়। আপনাদের পপিচু আর দলবদ্ধ আক্রমণের কারণেই অনেকে নাম দিয়ে লিখতে চান না।
  • dc | 2401:4900:634c:1279:8da2:a1b1:e699:5fe8 | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:৪৫533297
  • মত, আপনার সাথে আমার সিচুয়েশানে কিছু মিল পেলাম, কিছু অমিল। 
     
    মিল হলো, আমরা দুজনেই দীর্ঘদিন ডায়বেটিক। অমিল হলো, আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো, এক সময়ে আপনার স্ট্রেস লেভেল বেশী ছিলো আর মেডিটেশান করে সেই স্ট্রেস লেভেল কিছুটা কমেছে। কিন্তু আমার স্ট্রেস লেভেল কখনোই বেশী ছিলোনা, আমি সবসময়েই মোটামুটি টেনশান ফ্রি থাকি। কাজেই ধ্যান করে আমার সুগার লেভেল কমবে বলে মনে হয়না। 
     
    সেইজন্যই বলছি, পার্সোনাল অ্যানেকডোটের ওপর নির্ভর করে জেনারালাইজ না করাই ভালো। 
  • dc | 2401:4900:634c:1279:8da2:a1b1:e699:5fe8 | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:৪৮533298
  • নীপা, তা কেন? আমি তো নিজের নামেই লিখছি :-) যা লেখার নির্ভয়ে লিখুন, ক্রিটিসাইজ করতে কখনো পিছপা হবেন না। 
  • dc | 2401:4900:634c:1279:8da2:a1b1:e699:5fe8 | ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:৫১533299
  • নিজের নামে না, নিজের নিকে। 
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ১০:০৯533300
  • "এটা বিশ্বাসযোগ্য যে উনি জানেন না কোন জার্নালের কি গুরুত্ব?"
     
    Ijerph scopus এ indexed, pubmed, pmc তে রয়েছে, জার্নাল হিসেবে মোটেও কিছু খারাপ নয়, কাজেই clarivate আর mdpi এর সমস্যায় এই জার্নাল টিকে টেনে আনা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।
     
     
    সব ছেড়ে দিয়ে এখন জার্নাল নিয়ে পড়লেন?
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ১১:০২533303
  •  dc, "মত যা লিখেছেন সেটা ওনার পার্সোনাল অ্যানেকডোট, আমারটাও তাই। তবে আমরা তো এথনোগ্রাফিক স্টাডি করছি না, এভিডেন্স বেসড প্র‌্যাক্টিস নিয়ে আলোচনা করছি।"
     
    ধ্যান বিষয়ক গবেষণায় বিশেষ করে এভিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে এইটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যার যার নিজের জার্নি, নিজের অন্তর্বীক্ষন, সেই পয়েন্ট থেকে কি এবং কোন উপায়ে একটা বৃহত্তর সত্যে উপনীত হওয়া যেতে পারে।
    এটাকে নিয়ে পরের কিস্তিগুলোতে লিখব।
    আপাতত এইটুকু থাক।
  • dc | 2401:4900:634c:1279:c9f1:5ba0:f7c2:d744 | ১৬ জুন ২০২৪ ১১:৩৭533304
  • আচ্ছা, তাহলে এক্সপ্লোরেটরি রিসার্চ। বেশ। 
  • Debasis Bhattacharya | ১৬ জুন ২০২৪ ১৩:৪২533312
  • অরিনবাবু,

    সমালোচনাকে যদি ধমক দিয়ে থামাতে চান, তো পাল্টা ধমক খাবার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে, কিচ্ছু করার নেই। এইভাবে যখন কথা বলছেন, তখন কয়েকটা সাদা কথা সাদাভাবে বলা যেতেই পারে। 

    (১) ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর, সাইটস্কোর আর ব্রেন স্ক্যান নিয়ে এমন সব কতাবাত্রা চলছে, মনে হচ্ছে যেন বিজ্ঞান-টিজ্ঞান নিয়ে এক ভয়ঙ্কর টেকনিক্যাল চর্চা হচ্ছে। কিন্তু আসলে যা হচ্ছে সেটা হচ্ছে কমপ্লিট ভেগোলজি, ডিজাইন্ড টু চিট। বিশেষ ভঙ্গিতে চুপচাপ বসে থেকে থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে নজর রাখতে রাখতে এলোমেলো ভাবনা নিয়ে ভাবনা --- এইসব হচ্ছে পিওর ননসেন্স। ওইসব করে কিছুই হয়না, শুধু সরলবিশ্বাসী খদ্দেরের পকেট থেকে মোটা মোটা টাকা ধূর্ত ওয়েলনেস-ব্যবসায়ীর পকেটে ঢোকে।
     
    (২) পরে যা লিখবেন লিখবেন, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিটুকু দিয়ে ইতিমধ্যে যা সব ভুলভাল লিখছেন তার প্রতিকার কীভাবে হবে? যদি এমন বলতে চেয়ে থাকেন যে, বলবার সুবিধের জন্যে কিছু কথা আগেভাগে বলে রাখছেন, সত্যিকারের প্রমাণটা পরে দেবেন --- তাহলে তো সবার আগে সেইটা স্বীকার করবার দরকার ছিল। বলতেই পারতেন যে, জানি এখনও তেমন কিছু প্রমাণ হয়নি, কিন্তু আপাতত মেনে নিন, পরে দেখছি। তা না করে মস্ত বৈজ্ঞানিকের মতন ভাবভঙ্গি করে এঁড়ে তক্কোই বা করছেন কেন, আর ‘না ইচ্ছে হলে পড়বেন না’ ব্র্যান্ডের বোকা-তেজই বা দেখাচ্ছেন কেন?
     
    (৩) ওপরে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তর কথা বলেছি, আর ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর নিয়ে মাত্র একটি জার্নাল প্রসঙ্গে বোধহয় তিন-চার লাইন লিখেছি। যেমন সব চেয়ে দরকারি কথাটা ছিল এই যে, ব্রেন স্ক্যান করে মনের মধ্যে কী ঘটছে তার খুব বেশি হদিস পাবার কথা না। আমার মতে, সবচেয়ে জরুরি কথা ওটাই ছিল। কিন্তু আপনি সে সব নিয়ে উচ্চবাচ্য করলেন না, শুধু ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর নিয়ে বিস্তর কথা বলে গেলেন। একমাত্র ওই পয়েন্ট-টাই আপনার পক্ষে আছে বলে মনে হল বুঝি? আচ্ছা বেশ, সেই নিয়েই দুয়েকটা কথা বলি তবে।
     
    (৪) ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর দিয়ে একটি বিশেষ লেখার সারবত্তা বিচার করা যায়না, জানি। জানি বলেই তো ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর না থাকা গুরু-তে বকবক করি। তবুও কী জানেন তো, ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ব্যবস্থা থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যাবার মধ্যে একটা কেলেঙ্কারি আছে। যেমন ধরুন, কোনও রিসার্চ পেপার-এর সারবত্তা বুঝতে হয় তার তথ্য-যুক্তি দিয়ে, বিজ্ঞানীর ডিগ্রি দিয়ে নয়, তবুও রিসার্চ পেপার বেরিয়ে যাবার পরে যদি দেখা যায় যে বিজ্ঞানীপ্রবর কেলাস এইট পাস, তাহলে তার মধ্যে একটা কেলেঙ্কারি থাকেই, এবং স্রেফ লম্ফঝম্ফ করে সে কেলেঙ্কারি ঢাকা যায় না।
     
    (৫) আর একটা কথা কথা হচ্ছে, রিসার্চ পেপার-এর নিজস্ব মান মাপবারও মাপকাঠি আছে, তার নাম সাইটেশন ইন্ডেক্স। এক অর্থে, একটা পত্রিকার ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর হচ্ছে বিগত কয়েক বছরে ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধগুলোর সাইটেশন ইন্ডেক্সের গড় মাত্র। কাজেই, ওই পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয় তার মান সাধারণত কেমন হয় বা হতে পারে তার আন্দাজ ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর দিয়ে খানিকটা হয় বইকি, তা না হলে জিনিসটার তো কোনও মানেই থাকত না। আপনি যদি এ সব জেনেই ওই সব পেপার রেফার করে থাকেন, তার অর্থ হচ্ছে, আপনি জানেন যে, আপনি যা বলছেন তার সমর্থন শুধু নিকৃষ্ট জার্নালেই পাওয়া সম্ভব। সেটা মোটেই ভাল কথা নয়।

    (৬) আপনি ওই জার্নালটির সাইটস্কোর উল্লেখ করেছেন, স্কোরটি খারাপ না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই স্কোর সাম্প্রতিক। আপনি যে বিশেষ পেপারটির উল্লেখ করেছেন সেটি ২০১৮ সালের, এবং সেই সময়ে তার সাইটস্কোর ছিল ৩.১ --- খুব নিচু স্কোর।
     
    (৭) ‘এক্সপ্লোর’-এর মত ভুয়ো চিকিৎসার জার্নালও আপনার কাছে ব্রাত্য নয়, দেখে স্তম্ভিত হলাম। আপনার কাছে প্রত্যাশিতই, যদিও।
     
    (৮) সাইটস্কোর কত ভাল জিনিস তার প্রমাণ হিসেবে আপনি এলসেভিয়র-এর বিবৃতি কপি-পেস্ট করেছেন, যে এলসেভিয়র নাকি নিজেরাই এই স্কোর-টি বানিয়েছে। এই স্পেক্টাকুলার নির্বুদ্ধিতায় চমৎকৃত হলাম।
     
    (৯) ইন্টারনেট এক কামধেনু, সেখানে যে যা চায় তাই পায়। আপনি ধ্যান বিষয়ে ভাল ভাল কথা চেয়েছেন, তাই পেয়েছেন। কড়া কতাবাত্রা চাইলে, তাও পেতেন। লিঙ্ক দেওয়া নিষ্প্রয়োজন, কারণ, সকলেই নিজে নিজে খুঁজতে পারে।
     
    (১০) হোমিওপ্যাথি, জ্যোতিষ, জন্মান্তর --- সব বিষয়েই অসংখ্যা ‘রিসার্চ পেপার’ আছে, নেট ঘাঁটলেই সব আঙুলের ডগায়। কাজেই, দশখানা পেপার-এর লিঙ্ক দিলেই বেশ একটা বিজ্ঞান-টিজ্ঞান হল, ব্যাপার অতখানি সোজা না। আমি ওপরে লিখেছি --- “ধ্যানের সুফল নিয়ে 'রিসার্চ পেপার' ইন্টারনেট-এ প্রচুর পাবেন, যেমনটি পাবেন হোমিওপ্যাথি ইউফো জাতিস্মর এইসব নিয়েও। আপনি ঠিকই বলেছেন, "উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না"। সমস্যা হল, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের জন্য তা যথেষ্ট নয়। যথেষ্ট সংখ্যক উচ্চমানের  পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তার সিস্টেম্যাটিক রিভিউ, নির্ভরযোগ্য জার্নালে তার প্রকাশ, নানা প্রশ্ন ও আপত্তি পেরিয়ে একটা জায়গায় থিতু হয়ে দাঁড়ানো, 'ককরেন ডেটাবেস'-এ অন্তর্ভুক্তি, বিজ্ঞানী সমাজের মূলস্রোতের কাছে স্বীকৃতি, চিকিৎসার টেক্সটবুক-এ অন্তর্ভুক্তি --- এই হল কোনও বিশেষ চিকিৎসা-পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতার কঠিন ও দীর্ঘ পথ। এবং, না, ধ্যানের উপকারিতা সে পথ এখনও অবধি পেরোতে পারেনি।” কিন্তু সাদা বাংলা কথা বোঝেননা, কী করা যাবে!
     
    (১১) ধ্যান-চিকিৎসার কার্যকারিতার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দাবি করাটাকে ‘অনর্থক একগুঁয়েমি’ বলে মনে হল বুঝি? তাহলে স্নায়ুবিজ্ঞানের নাম করে জোচ্চর মহেশ যোগীর নাম-কীর্তনকে কী বলা যাবে --- ‘সার্থক অত্যুৎসাহ’?
     
    যাই হোক, লিখুন যা লেখার, আপাতত আর কথা বলছি না। যদি পারি, ধ্যান নিয়ে আমার নিজের বক্তব্য প্রকাশ করে আলাদা একটা লেখা দেবার চেষ্টা করব।
  • যুক্তির পক্ষে | 103.249.39.163 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৪:২৮533316
  • শ্রদ্ধেয় দেবাশিসবাবুকে অনেক ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন, বিজ্ঞানের মোড়কে ছদ্ম বিজ্ঞান প্রচারের পথ রুখে দেওয়ার জন্য। আর বিভিন্নভাবে যারা দেবাশিসবাবুর মত প্রাজ্ঞ এক্টিভিস্টকে ছোট করছেন ও গালি দিচ্ছেন, টোন কাটছেন বা বাঁকা কথা বলছেন, তাঁরা কি নিজেদের কাছে নিজেরাই ছোট হচ্ছেন না? ভেবে দেখবেন। ধন্যবাদ।
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ১৪:৩৯533317
  • "কিন্তু আসলে যা হচ্ছে সেটা হচ্ছে কমপ্লিট ভেগোলজি, ডিজাইন্ড টু চিট। বিশেষ ভঙ্গিতে চুপচাপ বসে থেকে থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে নজর রাখতে রাখতে এলোমেলো ভাবনা নিয়ে ভাবনা --- এইসব হচ্ছে পিওর ননসেন্স। "
     
    ননসেন্স যে নয়, সেটা বোঝানোর জন্য, নিচের উল্লিখিত লেখা গুলো পড়ে দেখতে পারেন, 

    * The Effectiveness of Mindfulness-Based Interventions on Anxiety Disorders. A Systematic Meta-Review (পেপারটা ফ্রি ওপেন এক্সেস, https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC8314302/, 
    "A total of 9 of the 12 (75%) reviews indicated a positive effect of MBIs, comparing pre-post intervention anxiety scores and compared with a control group. In three SRs/MAs, with MBI vs. comparison group, the effect size did not reach a significant level, or the results were equivalent between MBI group and comparison group. This equivalence was especially true when the comparison group included some CBT intervention [13,21,32,37].
    For RSs/MAs with positive results for mindfulness, the weighted mean effect size was standardized mean difference (SMD) = 0.57 (95% CI = 0.22–0.89); for those with negative results, SMD = −0.27 (95% CI: −0.52–0.02). Participants receiving MBI improved their anxiety levels, with a medium effect size." (পুরোটা দেবার প্রয়োজন নেই, নিজে পড়ুন)

    * David Creswell. Mindfulness Interventions. https://doi.org/10.1146/annurev-psych-042716-051139 
    এটাও ফ্রি, নিজে পড়ে দেখুন , 
    " Our scientific understanding of mindfulness interventions has accelerated over the past two decades, and this review provides some selective highlights of this literature. RCTs provide promising evidence that mindfulness interventions can improve mental and physical health, cognitive and affective factors, and interpersonal outcomes. Some of the strongest and most reliable RCT evidence indicates that mindfulness interventions (and particularly 8-week mindfulness programs, such as MBSR and MBCT) improve the management of chronic pain, reduce depression relapse rates in at-risk individuals, and improve substance abuse outcomes. In these RCT studies, there is consistent evidence that mindfulness interventions improve outcomes relative to TAU or no-treatment control groups, some evidence that mindfulness interventions can improve some outcomes relative to other active behavioral treatments (e.g., relaxation or health education programs), and limited evidence for a relative advantage of mindfulness interventions over other gold-standard pharmacological or behavioral treatments (e.g., CBT)"
    ( ২৬ পাতার বড় রিপোর্ট, নিজে পড়ুন বাকিটা)
     
    'চিট , পিওর ননসেন্স', 'ধমক', এই সমস্ত কথাগুলো লিখে আপনি কিন্তু একটি খোলা ফোরামে  শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করছেন ।
     
    আপনার লেখাগুলো থেকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট আপনি ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ইত্যাদি কিছু বোঝেন না, একটা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধএর কি করে গুনাগুন বিচার করতে হয় তার কিছুই না জেনে তর্ক করেন, এবং বোঝেন যে না, সেটাও জানেন না, এই ব্যাপারটা আরো বিরক্তিকর । 
     
    দ্বিতীয়ত, আপনার একটা কথা মনে রাখা উচিত, এই লেখাটা ধ্যান এবং নিউরোসায়েন্স নিয়ে প্রবন্ধ রূপে exploratory আর্টিকেল রূপে খোলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যে ধ্যানের কি উপকার তাই নিয়ে আলোচনার জন্য নয় । হতে পারে আপনি বোঝেন নি, বা বুঝেও ইচ্চাকৃত ভাবে বিদ্রুপ করবেন বলে উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যে অত্যন্ত রূঢ় মন্তব্য করেছিলেন  তবুও ভদ্রতাবশত আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি কয়েকটি লেখা আপনাকে পড়ার জন্য এখানে উল্লেখ করেছিলাম । এর পরেও আপনার এই  জাতীয় মন্তব্যের পর আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি  আপনি একটি ট্রোল  বই আর কিছু নন ।
     
    তৃতীয়ত, বিজ্ঞান বোঝেন বলে দাবী  করছেন, আপনার জানা উচিত, বিজ্ঞানে বিষয়ের শুরু হতে পারে, কোন বিষয়কেই না দেখা হয় এমন নয়, ও  শেষ কথা বলে কিছু হয় না । বিশেষত যে বিষয়টি নিয়ে চর্চা করা হচ্ছে সেটি একটি অপেক্ষাকৃত নবীন বিষয়, মানুষের মন দূরে থাক, ধ্যান, ERP ,EEG , DMN , মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর অনেক কিছুই মানুষের অজানা । আমি বারবার করে লিখেছি আমরা খোলা মনে ব্যাপারটার বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা  করতে চাই । 
     
    আলাপ আলোচনা করতে চান করুন, অনলাইনে অভদ্রতা করবেন না, শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করবেন না ।
    মনে রাখবেন এটি একটি প্রবন্ধ, এর বেশি কিছু নয় ।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:210c:60d3:b13a:dd48 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৪:৫০533318
  • আমি দুজনকেই অনুরোধ করছি বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে। মতপার্থক্য হতেই পারে, হওয়া ভালোও, তবে আমরা যেন সেটা বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারি, ব্যাক্তিকে টেনে না নিয়ে আসি। লেট আস প্লিস রিসেট অ্যান্ড কন্টিনিউ অবজেক্টিভলি :-)
  • যুক্তির পক্ষে | 103.249.39.163 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৫:২৫533324
  • অরিনবাবু
    আপনার ঔদ্ধত্য আর অন্যকে ছোট করার প্রবণতা অত্যন্ত নিন্দনীয় ,মাফ করবেন , বলতে বাধ্য হলাম। দেবাশিসবাবুর মত পোড়খাওয়া এক্টিভিস্ট যদি ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর না বোঝেন ,তাহলে কে বোঝেন আপনি? উনি যদি ট্রোলার হন তাহলে আপনি কী? আপনি সামান্য সমালোচনার ঠেলায় যেভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন , এতে যুক্তিবাদী স্পিরিটটাকেই কি আপনি অপমান করছেন না? ভেবে দেখবেন।
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ১৫:৪৭533325
  • dc, মহা  মুশকিল হচ্ছে এই ভদ্রলোক বিষয়টাতে নানান রকম ওপিনিয়ন দিচ্ছেন, যার অনেকগুলো একেবারেই আজগুবি। 
     
    যেমন, লিখলেন, "যেমন সব চেয়ে দরকারি কথাটা ছিল এই যে, ব্রেন স্ক্যান করে মনের মধ্যে কী ঘটছে তার খুব বেশি হদিস পাবার কথা না। আমার মতে, সবচেয়ে জরুরি কথা ওটাই ছিল। কিন্তু আপনি সে সব নিয়ে উচ্চবাচ্য করলেন না"
     
    এখন এই মতামতটি ওনার ব্যক্তিগত মতামত, বাস্তবে শুধু ব্রেন স্ক্যান (সে যাই হোক) দিয়ে "মনের মধ্যে কি ঘটছে" দেখা হয় না তো, যে কারণে কনটেম্পলেশনের কথাটা উঠছে। অন্তত পাঁচ ছয় রকমের ব্রেন ইমেজিং এর ব্যাপার রয়েছে (ইইজি এমিজি যদি নাও ধরি), তাদের অনেকের চমকপ্রদ অগ্রগতি  হয়েছে, বিশেষ করে diffusion based tensor ইমেজিং ইত্যাদি। বিশেষ করে default mode নেটওয়ার্ক "দেখার" ব্যাপারগুলো। 
    তা সেইসব লেখার সময় পেলে তো, সবাই এমন হাঁউমাঁউ গালাগালি  শুরু করলেন! 
    দেখি পরের পর্বে এগুলো লিখবো যদি সুযোগ পাই। 
  • যুক্তির পক্ষে | 103.249.39.163 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৫:৫৭533326
  • অবশ্যই লিখবেন স্বাগত কিন্তু দেবাশিসবাবুর মত প্রাজ্ঞ এক্টিভিস্টকে গালি দিলে ছোট করলে নিজের কাছেই নিজেই ছোট হবেন ,এটা মাথায় রাখবেন , ধন্যবাদ
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ১৬:০৩533327
  • এ তো আচ্ছা মুশকিল, আমি দেবাশিস বাবুকে কোথায় গালি দিলাম, দেখান দেখি আপনি ? 
    উল্টে "ভদ্র"লোক ই তো "চিট" , "ননসেন্স", "ধমক দেব" এই সমস্ত লিখে ফেললেন । এই যদি আপনার এক্টিভিস্টের প্রজ্ঞার বহর হয় তাহলে কিছুই বলার নেই  :-) 
  • যুক্তির পক্ষে | 103.249.39.163 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৬:০৫533328
  • আপনার লেখাগুলো থেকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট আপনি ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ইত্যাদি কিছু বোঝেন না, একটা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধএর কি করে গুনাগুন বিচার করতে হয় তার কিছুই না জেনে তর্ক করেন, এবং বোঝেন যে না, সেটাও জানেন না, এই ব্যাপারটা আরো বিরক্তিকর । 
     
    আপনার এই  জাতীয় মন্তব্যের পর আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি  আপনি একটি ট্রোল  বই আর কিছু নন ।
     
    এই মন্তব্যগুলো ওঁর প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর। নির্দিষ্ট করে পয়েন্ট আউট করে দিলাম
  • পাঁচিলে বসা পাবলিক | 2a0b:f4c2::19 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৬:১৭533329
  • এইটা অরিন মনে হচ্ছে।
    দেবার ক্রেডেনশিয়াল কেউ ফ্যালো দিকি এখানে। তালে বুঝবো কার কথার৷ ওজন বেশী।
  • অরিন | ১৬ জুন ২০২৪ ১৬:৩১533330
  • অরে মশাই,ব্যাপারটা বোঝাতে পারছি  না কেন? 
     
    প্রাজ্ঞ মহাশয় লিখলেন তো,
     
    "আর একটা কথা কথা হচ্ছে, রিসার্চ পেপার-এর নিজস্ব মান মাপবারও মাপকাঠি আছে, তার নাম সাইটেশন ইন্ডেক্স। এক অর্থে, একটা পত্রিকার ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর হচ্ছে বিগত কয়েক বছরে ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধগুলোর সাইটেশন ইন্ডেক্সের গড় মাত্র। "
     
    কিন্তু সাইটেশন ইনডেক্স তো পাবলিকেশনের নয়, যিনি লেখক বা গবেষক, তাঁর কয়েক বছরের কাজকর্মের মাপকাঠি!  
     
    (নিজে পড়ে দেখুন না, উইকিপিডিয়াতে তো রয়েছে, 
    "A citation index is a kind of bibliographic index, an index of citations between publications, allowing the user to easily establish which later documents cite which earlier documents."
    https://en.wikipedia.org/wiki/Citation_index )

     কাহাঁতক ভদ্রলোক কে শুধরে দেওয়া যায়, শুধরোলে আপনিই হয়তো  লিখবেন "কি ব্যাপার মশাই কেন অন্যের ভুল ঠিক করছেন"!
     
    তারপর দেখুন, আপনার "প্রাজ্ঞ" ভদ্রলোক লিখলেন, 
    "পরে যা লিখবেন লিখবেন, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিটুকু দিয়ে ইতিমধ্যে যা সব ভুলভাল লিখছেন তার প্রতিকার কীভাবে হবে?", 
     
    আমি কি ভুলভাল লিখেছি সেটা বলবেন তো? ও লেখাটার মধ্যে শুধু ধ্যানের বর্ণনা বাদ  দিলে আর বিশেষ কিছু লেখা ছিল না কিন্তু ।  তাতে হয়তো কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তা সেসব কিছু লিখলেন না তো ।
     
    আসলে ইনি  একটা ধারণা করে বসে আছেন যে ধ্যান মানেই  " বিশেষ ভঙ্গিতে চুপচাপ বসে থেকে থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে নজর রাখতে রাখতে এলোমেলো ভাবনা নিয়ে ভাবনা --- এইসব হচ্ছে পিওর ননসেন্স। ওইসব করে কিছুই হয়না, শুধু সরলবিশ্বাসী খদ্দেরের পকেট থেকে মোটা মোটা টাকা ধূর্ত ওয়েলনেস-ব্যবসায়ীর পকেটে ঢোকে।" সব ক্ষেত্রে সেটা যে নয়, ধ্যান নিয়ে যে সিরিয়াস গবেষণা করা হয়, এই ব্যাপারটা পড়ার মতন ধৈর্য্য থাকলে তো? 
     
    তার ওপর আপনি দেখছি ভদ্রলোকের হয়ে কলম ধরতে ওস্তাদ (আবার কিছু মনে করে বসবেন না কিন্তু, আপনার প্রশংসা করছি, এইরকম ভক্ত সত্যি দুটি মেলে না )
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d850:3fc6:dc35:fc22 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৬:৪৭533331
  • আমি যদি ভুল না করে থাকি, তাহলে একই ব্যাক্তি গুরু, বোধোদয়, আর যুক্তির পক্ষে - এই তিনটে নিক থেকে পরষ্পরবিরোধী পোস্ট করছেন। আর এই ব্যাক্তিই মাঝে মাঝে লগইন করে দেবাঞ্জন ব্যানার্জী নামে লেখেন। এটা কি করছেন? 
  • যুক্তির পক্ষে | 103.249.39.163 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৬:৫৪533333
  • অরিনবাবু আপনি দেবাশিসবাবুর কথার সাথে একমত নাই হয়ে থাকতে পারেন, সেটা নিয়ে তো তর্ক পাল্টা তর্ক হবেই। কিন্তু এটা তো মানবেন, দেবাশিসবাবু একজন প্রাজ্ঞ এক্টিভিস্ট, সেটা গুরুর সবাই জানে। তাঁর সঙ্গে দ্বিমত হওয়া না, তাঁর বিরুদ্ধে তির্যক অবমাননাকর মন্তব্য করাটা আমাদের অনেকের কাছেই আপত্তির। আপনার যদি সেটা করতেই ইচ্ছে হয় করুন, আমার কিছু বলার নেই, আপনার থ্রেড, নিশ্চয়ই আপনি আপনার কথাই লিখবেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
  • :) | 2a0b:f4c2:1::1 | ১৬ জুন ২০২৪ ১৮:৩৫533335
  • প্রাজ্ঞ এক্টিভিস্ট আবার কেমন ক্রেডেনশিয়াল? মানেটা কি? এন্টায়ার এক্টিভিজম সায়েন্সে পিএইচডি?
  • kk | 172.58.242.148 | ১৬ জুন ২০২৪ ২০:৪৫533337
  • 'মত' এর ৯ঃ০৮ আর ডিসির ১৪ঃ৫০  এর পোস্টের সাথে সহমত। লেখাটা শেষ হলে পর তর্ক-বিতর্ক গুলো হলে ভালো হয়। পাবলিকে ফোরামে যেকোনো লেখায় বিভিন্ন পার্সপেক্টিভের কমেন্ট আসবেই। অনেক সময় কিছু কমেন্টের টোন কিছুটা ধারালোও হবে কারণ প্রকাশভঙ্গী সবার এক রকম নয়। বুঝতে পারছি যে এই জিনিষগুলো কিছুটা ডিস্ট্র‌্যাক্ট করে। কিন্তু লেখার মূল প্রবাহ এর ফলে অন্য দিকে সরে গেলে একটা ভয় থেকে যায় যে লেখা শেষ অব্দি সম্পূর্ণ হবে কিনা।অন্য এক থ্রেডে আমিই বলেছিলাম এই বিষয়টা নিয়ে বিশদে লেখা হলে ভালো হয়। তাই এটা খুবই চাই যে অন্য অনেক থ্রেডের মত এটাও মাঝপথে থেমে না যাক। আমি লেখক আর সমালোচক(রা) দুই তরফকেই অনুরোধ করছি  মূল লেখাটা প্লিজ  শেষ হতে দিন। তারপর আলাপ-আলোচনা, চাপান-উতোর হোক না যত হবার।

    'মত' এর পোস্টগুলোর আরো কিছু কিছু অংশের সাথে একমত হয়েছি। সেগুলো পরে বলা যাবে নাহয়।

    'যুক্তির পক্ষে'র পোস্টগুলো পড়ে একটা কথা মনে হলো। শুধু "প্রাজ্ঞ অ্যাক্টিভিস্ট"কে ছোট করলেই নিজে ছোট হওয়া হবে? আমার ধারণা কাউকেই ছোট করতে গেলে নিজে ছোট না হওয়া ছাড়া গতি নেই। এনিওয়ে, এটা পার্সোনাল মনে হওয়া।
  • অরিন | ১৭ জুন ২০২৪ ০১:৪৭533352
  • ধন্যবাদ কেকে। এই কারণেই নতুন ব্লগটায় আপাতত সবাইকে অনুরোধ লেখাটি শেষ হলে কমেন্ট করলে ভাল হয়।
    যুক্তির পক্ষে নিক দিয়ে যিনি লিখছেন, আপনার লেখা থেকে যেটুকু বুঝলাম, দেবাশিসবাবু যেহেতু একজন অ্যাকটিভিস্ট তাই তাঁর লাইসেনস আছে সকলকে তিরস্কার করার, কিন্তু আমরা যারা লিখি, বা যারা কমেন্ট করেন বা করি, আমাদের ওনার মন্তব্য বা ভুলভ্রান্তি মেনে নিতে হবে বা প্রশ্ন করা যাবে না, এমনকি পাল্টা মন্তব্য করা যাবে না কেননা উনি অ্যাকটিভিস্ট। এরকম ধরণের জব রোলের সঙ্গে আমি এর আগে পরিচিত ছিলাম না। একটিভিস্ট রা কি করেন? 
    তবে ভবিষ্যতে উনি বলে নন, যে কেউই বাজে কথা লিখলে এবারের তুলনায় আরেকটু স্পষ্ট করে উত্তর দেব, এইটুকু লিখতে পারি।
  • Nature reviews neuroscience | 128.14.196.25 | ১৭ জুন ২০২৪ ০২:১৩533353
  • যুক্তিবাদী দেবাশিসের এই গবেষণা পত্রটি সম্পর্কে কি মতামত? নাকি নেচার রিভিউও এলেবেলে জার্নাল? 
     
    Tang, YY., Hölzel, B. & Posner, M. The neuroscience of mindfulness meditation. Nat Rev Neurosci 16, 213–225 (2015). https://doi.org/10.1038/nrn3916
     
    The neuroscience of mindfulness meditation
     
    Abstract

    Research over the past two decades broadly supports the claim that mindfulness meditation — practiced widely for the reduction of stress and promotion of health — exerts beneficial effects on physical and mental health, and cognitive performance. Recent neuroimaging studies have begun to uncover the brain areas and networks that mediate these positive effects. However, the underlying neural mechanisms remain unclear, and it is apparent that more methodologically rigorous studies are required if we are to gain a full understanding of the neuronal and molecular bases of the changes in the brain that accompany mindfulness meditation.
     
    লেখক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। পেপারটি ২০১৫ সাল থেকে তিন সহস্রাধিক বার সাইটেশন পেয়েছে।
     
    দেখি যুক্তিবাদীর মুরোদ! 
     
    অরিনবাবু লেখাটি চালিয়ে যান। বিএসসি ফেল যুক্তিবাদী আর ফুট কাটবে না। জোঁকের মুখে নুন ফেলে দিয়েছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন