এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • প্রেম দেহ মন - পর্ব ৭ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩০ বার পঠিত
  • প্রেম দেহ মন
    পর্ব - ৭ 

    বিদিশা

    যাকে অন্তর থেকে ভালবাসতাম, বিশ্বাস করতাম, যাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতাম, ভাবতেও পারিনি তার বাড়িতে  সেই লোকটা  আমার সাথে  এমন একটা পাশবিক আচরণ করবে। জানিনা ও কেন এমন করল, হয়ত ও নিজেও জানত না। ওকে তো আমার অদেয় কিছু ছিল না, তবে সব কিছুরই একটা সময় আছে, পরিস্থিতি আছে। এতদিনের চেনা নিরীহ ভালমানুষটা  আমার দেহের দখল  নিতে গিয়ে যে বন্য হিংস্র আচরণ করল তাতে দৈহিক এবং মানসিক উভয়ভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। একটা ট্রমার মধ্যে দিন কাটছিল।  কয়েকদিন স্কুল কামাই হল। জয়িতাদি ফোন করেছিলেন, জানালাম শরীর খারাপ। বাড়ির সবাইকেও একই কথা বললাম। মায়ার মনে হয় কিছু সন্দেহ হয়েছিল তাই শরীর খারাপের কথায় পাত্তা না দিয়ে বলেছিল, “দিদি তোর নিশ্চই তন্ময়দার সাথে ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে। আমায় বল কি হয়েছে, আমি গিয়ে তন্ময়দার সাথে কথা বলছি।”
    যা হয়েছে তাতো  বলা সম্ভব নয় তাই ওকে এটা ওটা বলে কাটিয়েছিলাম।   কটা দিন চুপচাপ শুয়ে বসে কাটিয়ে একটু সামলে নিয়ে স্কুলে জয়েন করলাম। এর মাঝে তন্ময় অনবরত ফোন করে গেছে, একটাও ধরিনি। একটা সময় পরে বিরক্ত হয়ে ফোন সুইচ অফ করে  রেখেছিলাম। কথা বলতে প্রবৃত্তি হচ্ছিল না। আমার দৈনন্দিন জীবনের বাদবাকি অংশ অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এল।  ফোন বেশিদিন সুইচ অফ করে রাখা সম্ভব নয় তাই আবার চালু করলাম। আবার তন্ময়ের ফোন আসা শুরু হল, যথারীতি ধরিনি। একদিন স্কুল ছুটির পর দেখি গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি দেখেও না দেখার ভান করে এগিয়ে চললাম। পাশে হাঁটতে হাঁটতে সমানে ঘ্যান ঘ্যান করে যাচ্ছিল,পাত্তা দিইনি। ততদিনে নিজেকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে ও আর আমার জীবনে অপরিহার্য নয়। মানুষ ভাবে এক আর হয় এক, অন্তত আমার জীবনে এ কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। প্রতিমাসের দৈহিক ঘটনাটি নির্ধারিত সময়ে না হওয়ায় চিন্তায় পড়লাম। আরো কিছুটা সময় অপেক্ষার পরও যখন হল না তখন বাধ্য হয়ে টেস্ট করালাম। রিপোর্ট ‘পজিটিভ’। কি করব ভেবে উঠতে পারছিলাম না। আমার তখন পাগল পাগল অবস্থা।  প্রথমে ভেবেছিলাম  অর্চনাকে গিয়ে সব কিছু খুলে বলে ওর পরামর্শ নিই। তারপর ভাবনা পাল্টে ঠিক করলাম যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাকেই সবার  আগে জানান দরকার। মনটা একটু শান্ত হবার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে হত্যার পথে যাব না। এই সন্তানের আমি জন্ম দেব। এই ব্যাপারটাকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে গেলে দরকার বিয়ের এবং অতি শীঘ্র। তাই  মনে মনে ঘৃণা করলেও পরিস্থিতির  চাপে তন্ময়ের কাছে গেলাম বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে। আমি সন্তান সম্ভবা শুনে ও কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে চুপ করে কিছুক্ষণ বসে রইল। গর্ভপাত করাতে  চাই না শুনে আরো ঘাবড়ে গেল। নানা কারণ দেখিয়ে বিয়েটা  সেই মুহূর্তে করা যে ওর পক্ষে কতটা সমস্যার তা বোঝাতে চেষ্টা  করল। অ্যাবর্ট করিয়ে ফেলার জন্য বারে বারে মিনতি করল। রাগে আমার গা জ্বলে যাচ্ছিল, বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে এলাম। এমন একটা অমানুষের সাথে ভালবাসার সম্পর্কে  জড়িয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে ধিক্কার দিলাম। আর কোনো উপায় না থাকায়  অর্চনাকে জানাতেই হল। একদিন ওর বাড়ি গিয়ে ওকে সমস্ত ঘটনা বললাম। অর্চনা আমাকে আশ্বস্ত করে বলল—তুই একদম ঘাবড়াস না, আমি তোর পাশে আছি। আগে আমার জানোয়ার ভাইটার সাথে একটু বোঝাপড়া করি তারপর দেখছি কিভাবে কি করা যায়। 
    কয়েকদিন বাদে গম্ভীর মুখে অর্চনা এসে জানাল—অনেকবার চেষ্টা করেও তন্ময়ের  সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমার ফোন দেখলেই কেটে দিচ্ছে। এখন একটাই উপায়, বাড়িতে গিয়ে ওর মা বাবার সামনে ওকে চার্জ করতে হবে। সামনের  রোববার বিকেলবেলা রেডি থাকিস, আমার সাথে ওদের বাড়ি যাবি।
    ওদের বাড়িতে যাওয়ার আমার একদম ইচ্ছে ছিল না কিন্তু অর্চনার  হুইপ মানতেই হল। যথা সময়ে তন্ময়ের বাড়িতে পৌঁছলাম। কাকিমা দরজা খুলে ভেতরে নিয়ে গিয়ে বসালেন।
    --বুলি, কতদিন বাদে এলি! এদিকে আসা তো ভুলেই গিয়েছিস। আজ আবার দুই বন্ধু একসাথে, কি ব্যাপার বলত!
    --মামি তুমি একটু তনুকে ডেকে দাও, ব্যাপারটা ওকেই বলব। আর হ্যাঁ তুমি আর মামা এখানেই থেক, তোমাদের সামনেই কথাটা বলতে হবে। 
    অর্চনার গম্ভীর মুখ আর কাটা কাটা কথা শুনে কাকিমা বেশ ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন—কি হয়েছে রে? আমায় বল না।
    --তনুকে যখন বলব তখন শুনবে, সবটাই শুনবে। ওকে একটু ডেকে দাও।
    বাইরের লোকের গলা পেয়ে তন্ময়ের বাবা ঘরে ঢুকলেন। মুখ যথারীতি গম্ভীর,  হাসির ছিটেফোঁটাও নেই। আমার দিকে চোখ পড়তে ভুরু আরো কুঁচকে গেল।  উনি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন এমন সময় তন্ময়কে সাথে নিয়ে ওর মা ঘরে ঢুকল।
    অর্চনা ওর মামা আর মামিকে ওনাদের অনুপস্থিতিতে তন্ময় আমাকে  ওই বাড়িতে ডেকে এনে যা যা করেছে  বিস্তারিতভাবে সব জানাল। এও জানাল যে আমি সন্তানের মা হতে চলেছি জানার পর ও বিয়ে করতে রাজী হচ্ছে না। চাপ দিচ্ছে সন্তানকে নষ্ট করে ফেলার জন্য।
    সব কিছু শুনে তন্ময়ের বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন—তোমার লজ্জা করেনি অন্যের বাড়িতে ঢুকে এই নষ্টামি করতে? ভাবলে কি করে যে তোমার মত একটা নোংরা মেয়েছেলেকে  এ বাড়ির বউ  করা হবে? এ বাড়ির একটা মান সম্মান আছে। ছোটলোকদের আমার বাড়িতে কোন জায়গা নেই। আর বুলি তুই বা কি বলে এমন একটা অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে এলি?
    তন্ময় কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, ওর বাবা ধমক দিলেন, ‘চুপ, একদম চুপ। তুমি কোন কথা বলবে না।’ ওর মা একটা কোনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন।
    অর্চনা চুপচাপ সবটা শোনার পর বলতে শুরু করল—তুমি তোমার মত ব্যাখ্যা কোরো না মামা। তোমরা কেউ বাড়িতে নেই জানার পর বিদিশা এখানে আসতে চায়নি। তনু ওকে একরকম ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে আসতে বাধ্য করেছিল। আর তারপর যেটা হয়েছিল তাকে বাংলায় কি বলে জান, ‘ধর্ষণ।’ হ্যাঁ তোমাদের ছেলে বিদিশাকে ধর্ষণ করেছিল। ধর্ষক হল ভদ্র ছেলে  আর ধর্ষিতা হল নোংরা মেয়েছেলে, তাই না!
    তন্ময়ের বাবা চিৎকার করে বললেন- বুলি মুখ সামলে  কথা বল। বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তাও শিখিস নি। জানিস আমি কি করতে পারি? আর যাকে নিয়ে এসেছিস সে অন্য  কোথাও  নোংরামিটা করে প্রেগন্যান্ট হয়নি তার কোন প্রমাণ আছে।     
    অর্চনাও সূর চড়িয়ে বলল- মামা একদম চোখ রাঙিয়ো না, এতক্ষণ অনেক বাজে বাজে কথা  বলেছ। ছোটলোকের বাবা অন্যকে ছোটলোক বলছে। লজ্জা করে না!  তুমি খুব ভাল করেই জান যে কার সন্তান তা প্রমাণ করতে সময় লাগেনা।  আর তনু, তোর থেকে তো রাস্তার কুকুর বেড়াল ভাল রে। তারা অনেক বেশি বিশ্বস্ত। চেনা লোক বিপদে পড়লে তারা এগিয়ে আসে, তোর মত নিজের বাপের ভয়ে পালায় না। তুই একটা মেরুদণ্ডহীন অমানুষ। আর মামা তুমি আমার কিচ্ছু করতে পারবে না।  তোমার এই বড় বড় কথা, রোয়াব, দম্ভ, সব না একদিনে ঘুচিয়ে দেব। আর তার  জন্য থানায় একটা অভিযোগ লেখালেই যথেষ্ট, এই কেসে কোনো মাতব্বর তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। এরপর আমি তো নয়ই, আমার বাড়ির কারো সাথে কোনোরকম যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবে না। আমরা ভদ্রলোক তাই নীচ, ছোটলোকদের সাথে সম্পর্ক থাকাটা কাম্য নয়।
    অর্চনার ওই ভয়ানক রুদ্র  মূর্তির সামনে আর কেউ কোন কথা বলেনি। কাকিমা মাটিতে বসে অঝোরে কাঁদছিল।  অর্চনা আমার  হাত ধরে বলল, “চল, এই নোংরা পরিবেশে  আর থাকিস না। আর ওই কাপুরুষটা ভবিষ্যতে তোর সাথে কোনরকম যোগাযোগের চেষ্টা করলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিবি।”
    আমরা বেরিয়ে আসার সময় তন্ময় ‘বুলি একবারটি শোন’ বলে কিছু একটা বলতে আসছিল কিন্তু ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম। 
    কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাপারটা বাড়িতে জানাতে হল। এই ব্যাপারে কথা বলতে অর্চনার সাথে তন্ময়দের বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং ওখানকার কি প্রতিক্রিয়া সবটাই জানালাম। সব শুনে বাবা আর বোন মাথা নিচু করে চুপ করে বসে রইল। মা ঘটনাটা শোনার পর থেকে সেই যে হাহুতাশ আর গালমন্দ করতে শুরু করল তা অবিরাম চলতে থাকল। ‘এরপর ঘটনাটা জানাজানি হয়ে গেলে পাড়ায় আর থাকা যাবে না। এতদিনের বাস গুটিয়ে চলে যেতে হবে। আমার আর একটা মেয়ে আছে, অমন গুণধর দিদি বাড়িতে আছে শুনলে তাকেও আর কেউ বিয়ে করবে না। তুই আমার মেয়ে হয়ে এই নোংরামি কি করে করলি?’ এই ধরণের কথা সারাক্ষণ শুনতে শুনতে নিজের ওপরেই ঘেন্না ধরে গেল। আমার জন্যে যখন এত সমস্যা তখন বাড়ি থেকে চলে যাওয়াই ভাল। কিন্তু যাব কোথায়?
    আবার সেই অর্চনা। আমাকে নিয়ে গেল ওর পিসির বাড়িতে। পিসিকে চিনি, আগেও এক আধবার এসেছি। নিঃসন্তান বিধবা। কিছু অনাথ ছেলেমেয়েকে মানুষ করেন। অর্চনাকে খুব ভালবাসেন। পিসিকে ও আমার সব ঘটনা জানাবার পর আমি পিসির পাদুটো ধরে বললাম “যদিও এখানে শিশুরা থাকে তবু  অনাথ মনে করে এই মেয়েটাকে  একটু আশ্রয় দেবেন?” পিসি আমাকে বুকে টেনে নিয়ে বললেন, “তোমার কোন চিন্তা নেই মা। আজ থেকে এটাই তোমার বাড়ি। যাও এখনই  তোমার সব জিনিসপত্র নিয়ে এস।”
    ওখান থেকে স্কুলে এসে জয়িতাদিকেও সবকিছু বললাম। উনি খুব আশ্চর্য হয়ে বললেন, “ছেলেটাকে দেখে তো এইরকম মনে হয়নি। অবশ্য সমস্যায় না পড়লে মানুষের আসল রূপটা বোঝা যায় না।”
    আমার অনেক খবরই জয়িতাদির  জানা তাই জিজ্ঞেস করলেন, “তোর বাড়িতে কি অবস্থা?”
    বললাম যে আমি বাড়িতে না থাকলেই বোধহয় সকলের সবদিক থেকে ভাল। শুনে সঙ্গে সঙ্গে বললেন, “এই মুহূর্তে বাস্ক প্যাঁটরা নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আয়।” মনে বড় শান্তি পেলাম।  ভাবতে ভাল লাগল যে  এই বিপদের দিনে আমি একা নই। প্রতারণায় দেউলিয়া হওয়া  এই মানুষটার   চারপাশে ঘিরে থাকা একটা ভালবাসার বলয়  এখনও তাকে সুন্দর ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে। জয়িতাদিকে জড়িয়ে ধরলাম। চোখের জল আটকাতে পারিনি। অর্চনার পিসির বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে জানিয়ে বললাম, “আপনার এই ভালবাসা কোনদিন ভুলব না।”
    --তুই আমার মেয়ের মত। মেয়ের ক্ষেত্রে যা করতাম তোকেও তাই বলেছি। যাক থাকার ব্যবস্থা যখন করেই এসেছিস তখন তো আর বলার কিছু নেই। টাকা পয়সা যখন যা লাগবে বলবি, কোন সঙ্কোচ করবি না। পুরোনো ঘটনাগুলো মনের থেকে সব ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নতুন ভাবে বাঁচতে  শুরু কর। আমি আর তোর কাকু সব সময় তোর পাশে আছি।
    আমি দিদিকে নমস্কার করে বাড়ি এলাম। বিকেল বেলা বাবা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর মাকে বললাম—মা তোমাদের আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি। আর আমার জন্য তোমাদের কোন অশান্তি  হবে না। লোকলজ্জার কারণে যাতে তোমাদের কোন সমস্যা না হয় তার জন্য  আমি বাড়ি ছেড়ে  অন্য যায়গায় চলে যাচ্ছি।
    বাবা আশ্চর্য হয়ে বললেন—কি বলছিস তুই? এই অবস্থায় একা কোথায় থাকবি তুই? মা কি বলল আর রাগ করে তুই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবি! শোন, এই সংসারের মাথা আমি, আমি বলছি তুই এখানে থাকবি।
    বিপন্ন সন্তানের জন্য আমার নিরীহ বাবা সেদিন গর্জে উঠেছিল।
    মা বলল—আমার ওপর রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবি? যা বলেছি মায়ের মনের দুশ্চিন্তা থেকে বলেছি, কিছু ভেবে বলিনি রে। 
    মার এমন মিঠে সুর খুব কমই শুনেছি।
    মায়াও আমাকে অনেকবার বোঝাবার চেষ্টা করল।  ওদের বললাম যে রাগ করে নয়, সব দিক বিবেচনা  করেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোথায় থাকব সেটা জানিয়ে বললাম যে চিন্তার কিছু নেই,  ওটা আমার চেনা নিরাপদ আশ্রয়।  কোন সমস্যা হবে না। ইচ্ছে হলে মাঝে মাঝে দেখা করে আসাতেও কোন সমস্যা নেই। জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরোবার সময় বাবা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে  শুরু করল। বোন আর মাও কাঁদছে। খুব কষ্ট হচ্ছিল তবু নিজেকে শক্ত করে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলাম। বিপদের দিনে বাড়ির সকলের এই কান্নাটাও একটা বড় পাওয়া।

    চলবে  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন