এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • প্রেম দেহ মন - পর্ব ৩ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ১১৬ বার পঠিত
  • অর্চনা

    আমি  আর বিদিশা  লেখাপড়া স্টার্ট থেকে ফিনিশ একসাথে করেছি।  কেবল লেখাপড়াই নয়  আমাদের প্রেম পর্বও প্রায় গায়ে গায়েই শুরু হয়েছে। হাঁদাটা  আমার একটু আগে শুরু করেছে। এখন অবশ্য আর হাঁদা নয়, যা খবর পাচ্ছি দুটো হাঁদাই এখন তুখোড় খেলোয়াড়। প্রেমের বর্ষপূর্তির তেমন রেওয়াজ নেই তাই, তা না হলে আড়ালে আবডালে লুকোচুরি খেলতে খেলতে দুটোতে কবেই বছর পার করে দিয়েছে। 
    আমাদের ঘোরাঘুরির পছন্দের জায়গা ছিল গঙ্গা। অন্য কোথাও যে যেতাম না তা নয় তবে বেশিরভাগ দিনই গঙ্গার ধারে যেতাম। গঙ্গার ঘাটে বসে বাদাম চিবোতে চিবোতে গল্প করতাম।  কাশীর গঙ্গার ঘাটের কথা অনেক শুনেছি কিন্তু কলকাতার বুকেও যে এত ঘাট  আছে তা আগে জানতাম না। এক এক দিন এক একটা ঘাটে গিয়ে বসতাম। এমন কত ঘাটে গিয়ে বসেছি যার কোনদিন নামই শুনিনি। প্রেম করার পাশাপাশি এটাও একটা নেশার মত হয়ে গিয়েছিল। প্রেমের ওই আউটডোর পর্বে মাঝে মাঝে বেশ মজার ঘটনা ঘটত।  একদিন বিকেলবেলা বরাহনগরের কাছে ছোট একটা ঘাটের ধারে একটা বাঁধান বড়   চাতালে বসে দুজনে গল্প করছি, দেখি এক বৃদ্ধ মুখে বিশ্বের বিরক্তি নিয়ে পাইচারি করতে করতে আমাদের  দিকে কটমট  করে তাকাচ্ছেন।  দুটো ছেলে মেয়ের প্রকাশ্যে বসে গল্প করাটা বোধহয় ওনার পছন্দ নয়।  এটা ওনার ব্যক্তিগত সমস্যা, আমাদের কিছু করার নেই। আমরা আমদের মত কথাবার্তা চালিয়ে গেলাম। একটু পরে আরো কয়েকজন বয়স্ক মানুষ গল্প করতে করতে ওখানে এলেন। প্রথম জনকে উদ্দেশ্য করে ওনাদের একজন বললেন—ওহে অরুণাভ, মুখটা অমন বেজার কেন হে? চাতালে না বসে অমন পাক খাচ্ছ কেন?
    যার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তিনি ভুরু দুটো যথাসম্ভব কুঞ্চিত করে আমাদের দিকে ইশারা করে বললেন—বসার কি আর উপায় আছে? সব তো নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছ।
    বুঝতে পারলাম চাতালটা ওই বৃদ্ধ লোকগুলোর বিকেলবেলা নিত্য আড্ডার জায়গা। ওই সময় ওখানে আমাদের উপস্থিতিটা কাম্য নয়। অমিত একটু পাশে সরে এসে মিস্টি করে ডাকল—ও অরুণাভ দাদু, অনেক তো জায়গা রয়েছে, এসে বসুন না। মিছিমিছি ঘুরছেন কেন? আমরা তো নাতি নাতনির মত, পাশে বসতে সঙ্কোচ করছেন কেন?
    বয়স যতই হোক রাস্তাঘাটে দাদু সম্বোধনটা অনেকেই পছন্দ করেন না।
    অরুণাভ চিড়বিড়িয়ে উঠলেন—চোপ রাও বেহায়া ছোকরা। কে তোমার দাদু হে, কে তোমার দাদু?
    রাগা দূরে থাক অমিত ব্যাপারটায় বেশ মজা পাচ্ছিল।
    আবার মিস্টি করে বলল—ঠিক আছে দাদু বলব না। কাকুতে আপত্তি নেই তো অরুণাভ কাকু?
    অমিতের মজার কথায় অন্য বৃদ্ধরাও হাসতে হাসতে সকলে আমাদের পাশে চাতালে এসে বসলেন আর ওনাদের সেদিনের   গল্পের আসরে  আমাদেরও সঙ্গী করে নিলেন। অরুনাভও এসে বসলেন তবে একটু তফাতে। একটু বাদে কথায় কথায় অমিতের ডাক্তার পরিচয়টা প্রকাশ হতে সকলে আমাদের আরো আপন করে নিলেন। ফিরে আসার সময় দেখি অরুনাভও অমিতের একেবারে পাশে চলে এসেছেন।
    আমাদের ঘোরার কোন বাঁধা ধরা সময় ছিল না। অমিতের ডিউটি অনুযায়ী আমরা আমাদের সময় অ্যাডজাস্ট করতাম।  এক দিন সকালবেলা বাগবাজার  ঘাটের কাছে একটু নিরিবিলি দেখে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলাম। গল্প করতে করতে লক্ষ করলাম   একটা মেয়ে ধীরে ধীরে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। জামা কাপড় অপরিচ্ছন্ন হলেও ঠিক ভিখারির চেহারা নয়। একেবারে সামনে এসে অমিতের দিকে চেয়ে ফিক ফিক করে হাসতে শুরু করল। পাগলী বুঝতে পেরে উপেক্ষা করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু উপেক্ষা করতে দিলে তো! আরো কাছে এসে অমিতকে চোখ মারতে শুরু করল। অমিত দেখি চুপচাপ বসে মিটিমিটি হাসছে। পাগলীর আচরণ আর তাতে মজা পেয়ে অমিতের হাসি দেখে মেজাজ গেল গরম হয়ে।    আর থাকতে না পেরে মেয়েটাকে জোরে ধমক লাগালাম।  ধমক খেয়ে ভয় পাওয়া দূরে থাক আমার দিকে ফিরে উল্টে আমাকে ধমকে  বলল—আমি তো আমার নাঙ্গের সাথে একটু  রঙ্গ করছি, তাতে তোর কেন এত গা জ্বলছে রে মাগি?
    ওই বানী শুনে থতমত খেয়ে গেলাম। আমার মত মেয়েও ওই পাগলীর সাথে আর মুখ লাগাতে সাহস পাইনি। রেগেমেগে ওখান থেকে ছিটকে বেরিয়ে এলাম। অমিত পাশে এসে বলল, “আহা ওর কথায় রাগ করছ কেন? ওর কি কোন বোধ আছে!”
    বললাম, “খুব আছে। কই আমাকে তো চোখ মারেনি, তোমাকেই মেরেছে।”  
    অমিত স্বভাবসুলভ মজা করে বলল—আরে পাগল হলে কি তার লিঙ্গ জ্ঞান হারিয়ে যাবে নাকি? আমার মনে হয় মেয়েটার আমাদের মত ভরা প্রেমে থাকাকালীন সময়ে কোন কারণে মাথা বিগড়েছে। তাই অপূর্ণ বাসনাগুলো আমার মত লোকজনকে বিলিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন আমাদের মধ্যে কারো যদি মাথা বিগড়োয় তাহলে হয়ত এমনটাই করে বেড়াব। একটা পাগলীকে সতীন ঠাউরে অযথা রাগ কোর না।
    রাস্তার মাঝেই অমিতের পিঠে বেশ কয়েকটা কিল মেরে মাথা ঠান্ডা করেছিলাম। পরে ঘটনাটার কথা মনে  পড়লে খুব হাসি পেত।    
    গঙ্গার কিনারে  অনেকগুলো  এপিসোডের পর  আমার  আর অমিতের ভাব ভালবাসা বেশ জমাট বেঁধেছে। আমার মাকে বলেছি, “তোমাকে একটা বড় চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম, কষ্ট করে আর জামাই খুঁজতে হবে না।”
    মা আমার বন্ধুর মত। এইসব ক্ষেত্রে সব  মায়েরা মেয়েদের যে ধরণের  স্ট্যাটিউটরি ওয়ার্নিং দেয় আমার মাও সেটা হাল্কা করে  দিয়েছে, তবে সব শুনেটুনে গ্রিন সিগনালও দিয়েছে। মাকে মজা করে বলেছি, “মা তোমার কত ভাগ্য বলত, না খুঁজতে হল বৌমা না খুঁজতে হল জামাই। এত বড় গুরু দায়িত্ব তোমার ছেলে মেয়েরা নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছে।” শুনে মা বলল, “একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে। কোন সমস্যা হলে আমার দিকে আঙুল তুলতে পারবি না,  নিজেদের হ্যাপা নিজেদেরই সামলাতে হবে।”   
    অমিতকে দেখার পর ওর আচার আচরণে মা খুব খুশি। অমিত মার রান্না খেয়ে একেবারে ফিদা হয়ে গেছে। আর অমিতের মুখে বারে বারে রান্নার প্রশংসা শুনে মাও আপ্লুত হয়ে বা একটু অন্যভাবে বললে গ্যাস খেয়ে  মাঝে মাঝেই নেমন্তন্ন করে খাওয়াচ্ছে। চালু ছেলে, শুধু রান্নার প্রশংসা করেই  নয় সাথে গৃহ চিকিৎসক এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বাড়িতে যে কোন সময় অবাধ  যাতায়াতটা নিশ্চিত করে নিয়েছে।
    অমিতদের বাড়ি বর্ধমানে। ওরা দু ভাই এক বোন। অমিত বড়, মাঝে বোন, আর ভাই সব থেকে ছোট। ওর বাবা স্কুল   শিক্ষক, এখনও দু এক বছর চাকরি বাকি আছে। মা গৃহবধূ, বোন কলেজের শেষদিকে আর ভাই সবে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ঢুকেছে। হয়ত বাবা শিক্ষক হওয়ার কারণেই বাড়িতে লেখাপড়ার পরিবেশ আছে। আমাদের ব্যাপারটা ওদের বাড়ির সকলেই জানে, আর আপত্তির কোন খবর এখনো অব্দি আমার কানে আসেনি। সামনাসামনি কারো সাথে দেখা না হলেও ফোনে মাঝে মাঝেই ওদের সাথে, বিশেষ করে ওর মা আর বোনের সাথে, কথা হয়। কথা শুনে মনে হয় ওরা আমার সাথে দেখা করতে খুবই আগ্রহী। মনে মনে আমিও।
    ইন্টার্ন আর হাউসস্টাফ হিসেবে দু বছর কাটিয়ে অমিত তখন কয়েক মাস  হল হেলথ সার্ভিসে জয়েন করেছে। পোস্টিং  কলকাতাতেই। আমার ইচ্ছে ছিল এমডি করে তারপর চাকরি বাকরি করুক, কিন্তু ও জানাল যে চাকরিতে  ঢুকে সার্ভিস কোটায় পরে এমডি করবে। বলল---বাবার বয়স হয়েছে। অনেকদিন একা আমাদের সংসারটা টানছে।  বোনের বিয়ে বাকি, ভাই এখনও পড়ছে, এ ছাড়া বাড়ির অন্যান্য খরচ তো আছেই। আমি চাকরি করলে বাবার ভারটা একটু লাঘব হবে। আর আমাদের বিয়ের ব্যাপারটাও তো ভাবতে হবে। বেকার অবস্থায় তো আর বিয়ে করতে পারি না। সুযোগ বুঝে পরে একসময় এমডি করা যাবে।
    ওর ভাবনা সঠিক ছিল তাই আপত্তি জানাবার প্রশ্ন ওঠে না। চাকরিতে ঢোকার পর  মেস ছেড়ে হাসপাতালের কাছে একটা বাড়ি ভাড়া বাড়িতে চলে এল।
    কিছুদিন বাদে ওই বাড়িতেই সকলের অনুরোধে দেখা করলাম আমার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সাথে। ওঁরা মূলত আমাকে দেখার জন্যই কয়েকদিনের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। এতদিন পরিচয়টা কানে কানে  ছিল এবার চোখে চোখে হল। সারাদিন খুব আনন্দে কাটল। ওঁরা বললেন যে আমাদের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে দু এক দিনের মধ্যেই আমার মার কাছে আসছেন।  মার হাউস ফিজিসিয়ান সঙ্গে করে নিয়ে আসবে, আমার কোন চাপ নেই। বাড়ি ফিরে মাকে  জানাতে মা তখন থেকেই অতিথি আপ্যায়নের তোড়জোড় শুরু করে দিল। কি করবে আর না করবে ভেবে পাচ্ছিল না। পঞ্চ ব্যঞ্জন দিয়ে অতিথি  আপ্যায়ন হল। রান্নার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুনে মা একেবারে গদগদ। বিয়ের ব্যাপারে বড়দের মধ্যে খানিক আলোচনা হল। অমিত জানিয়ে দিয়েছে যে আগে বোনের বিয়ে হবে তারপরে সে বিয়ে করবে। ফলে প্রেম পর্বের মধ্যেই আমাদের আরো কিছুটা সময় কাটাতে হবে।  সকলকে নিয়ে খুব সুন্দর আর একটা দিন  কাটালাম।
    একদিন বিদিশাকে বললাম—নেহাত কম দিন হল না আমরা জোড়ায় জোড়ায় পাক খাচ্ছি। কিন্তু একবারও কি ভেবে  দেখেছিস যে তন্ময় আর অমিত এখনও একে অপরকে কখনো সামনাসামনি দেখেনি! অবিলম্বে  একটা যৌথ  মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।   বিদিশাও সম্মতি জানাল। একদিন একটা বড় গাড়ি নিয়ে সকাল সকাল লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা চারজন আর সাথে মায়া। বিদিশার মাকে বলেছিলাম যে আমরা তিনজন মানে আমি বিদিশা আর ওর বোন সায়েন্স সিটিতে যাব। মায়া সঙ্গে যাচ্ছে শুনে কাকিমার মনে তেমন একটা সন্দেহ হয়নি তাই অনুমতি পেতে খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। শুধু বলেছিলেন, “সন্ধের মধ্যে ফিরে আসবে কিন্তু”।
    অমিতের কারো সাথে পরিচিত হতে বেশি সময় লাগে না। তন্ময়কে দেখেই “এসো ব্রাদার” বলে জড়িয়ে ধরে পরিচয় পর্বটা সেরে নিয়েছিল। সেদিন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সারাদিন ধরে ঘুরতে ঘুরতে প্রাণ ভরে আনন্দ করা, কোন বিশেষ জায়গা আমদের গন্তব্য ছিল না। আমরা বানতলা, ঘটকপুকুরের রাস্তা দিয়ে মিনাখা মালঞ্চ ছাড়িয়ে আরো অনেকটা পথ গিয়েছিলাম। এদিকে আগে কোনোদিন আসিনি। ঘটকপুকুরে নেমে গরম গরম কচুরি জিলিপি আর চা দিয়ে প্রাতরাশ সারা হল। ঘটকপুকুর পার হওয়ার পর থেকে রাস্তার দুধারে ইটভাটা, ভেড়ি, শাক সবজির খেত আর মাঝে মাঝে ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাড়িঘর আর দোকান, দেখতে খুব ভাল লাগছিল।  মালঞ্চতে বড় রাস্তার ধারে একটা রেস্তেরায় বসে দিশি মুরগীর ঝোল  ভাত আর একটা পাঁচমিশালি তরকারি  দিয়ে গুছিয়ে মধ্যাহ্নভোজ হল।  শেষ পাতে দইও ছিল। মালঞ্চ থেকে বাঁ দিকে একটা রাস্তা খাল পার হয়ে বসিরহাটের দিকে চলে গেছে। আমরা একটু বিশ্রাম নিয়ে ডান দিকে আরো খানিকটা পথ গেলাম। কলকাতার এত কাছে থেকেও এদিকের গ্রামগুলো এখনো হারিয়ে যায়নি। নগরায়নের বিষাক্ত আগ্রাসন থেকে আর কতদিন নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে জানি না। ছায়া পূব দিকে একটু লম্বা হতেই আমরা অ্যাবাউট টার্ণ করে ফেরার পথ ধরলাম।  আড্ডা তামাশা বেড়ান খাওয়া সব মিলিয়ে সেদিন আমরা চুটিয়ে এনজয় করেছিলাম। মায়াও দেখলাম খুব ভাল সঙ্গী। দারুণ সুন্দর মজার মজার কথা বলে জমিয়ে রেখেছিল। এমন নিখাদ মজা আর আনন্দের দিন খুব কমই আসে। বাড়ি ফিরতে সন্ধে হয়ে  গিয়েছিল। দেরী করে ফেরার জন্য কাকিমার কাছে বিদিশা  ঝাড় খেলেও দুই বোন একসাথে থাকায় ডোজটা স্বাভাবিকের থেকে একটু কম ছিল। আমার বাড়িতে তো চিরকালই মুক্ত আবহাওয়া তার ওপর হাউস ফিজিসিয়ানের  সাথে বেরিয়েছি, সমস্যার কোন প্রশ্নই নেই।  বাড়ি ফেরার পর মা  জিজ্ঞেস করল—কিরে বুলি, সারাদিন কেমন ঘুরলি?  মাকে সারাদিনের ঘটনা গুছিয়ে বললাম আর  মাও খুব উৎসাহ নিয়ে সামনে বসে সবটা শুনে  আদর করে বলল, “দিনটা তাহলে ভালই কাটল, কি বল?” 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ১১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন