এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... - ১৮

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪৭ বার পঠিত
  • ।। আঠারো ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ] 

    রবিবার সন্ধ্যায় ইন্দ্রনীলের বাড়ি যাচ্ছে অরুণাভ আর বিনীতা, রঙিনের একটা জন্মদিনের নেমন্তন্ন এসে যাওয়ায় ও সেখানে গেছে। বেশ কিছু দিন বাদে আজ নিজেই গাড়ি চালাচ্ছে  অরুণাভ। তাকে বেশ খুশি খুশি দেখাচ্ছে, যদিও তার কারণ বুঝতে পারছে না বিনীতা। তার নিজের মধ্যে অন্য কিছু চলছে। বিনীতা স্পষ্ট বুঝতে পারছে তার মনে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে ডাক্তার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। যদিও তার মস্তিষ্ক সেটা উপেক্ষা করার চেষ্টা করছে, জেনে বুঝে ডিনায়াল মোডে থাকতে চাইছে। ইন্দ্রনীলকে দেখতে পাওয়ার ইচ্ছেটা জোরালো বলেই বিনীতা আজ আসতে রাজি হয়েছে, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই চাওয়াটাই যেন একটা অশ্লীল চিন্তা। এই প্যাঁচালো টানাপোড়েনের মাঝে, স্বামীর পাশে কাঁচ তোলা গাড়ির মধ্যে বসে প্রবল শারীরিক অস্বস্তি হচ্ছে বিনীতার।

    “কাঁচটা একটু নামাচ্ছি,” বলল বিনীতা। তার দিকের কাঁচটা নামিয়ে দিল কিছুটা। শীতকালের কনকনে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকে এল গাড়ির ভেতরে।
    “শরীর খারাপ লাগছে?” জিজ্ঞাসা করল অরুণাভ, মাথা নেড়ে না বলল বিনীতা। “এত চুপ করে আছ কেন?”
    উত্তর দিল না বিনীতা। যে নিজে সারা দিন দুটো কথা স্ত্রীর সাথে বলে কি না সন্দেহ, আজ সে জানতে চাইছে বিনীতা চুপ কেন!
    “তোমার যাওয়ার ইচ্ছে নেই?” বিনীতার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল অরুণাভ, আর সেটা করতে গিয়ে আর একটু হলে সামনের গাড়িতে ধাক্কা মারছিল সে। সামনে সিগন্যাল লাল হয়েছে বলে সে গাড়িটা দাঁড়িয়ে গেছে। শেষ মুহূর্তে ব্রেক কষেছে অরুণাভ।
    “সাবধানে চালাও,” বলল বিনীতা। 

    কিছুক্ষণ পরে ওরা এসে পৌঁছে গেল ইন্দ্রনীলের কোয়ার্টারে। চার তলা বাড়ির দোতলায় তার ফ্ল্যাট। দরজা খুলল ডাক্তার, তার গায়ে কালো রঙের পাজামা আর হালকা নীল টি-শার্ট, আর তার ওপরে একটা কিচেন অ্যাপ্রন।

    স্বাগত জানাল ইন্দ্রনীল। “আসুন, আসুন… এ কি! রঙিন কই?”
    এদের ঘরে ঢোকার জন্য দরজা ছেড়ে দাঁড়াল ডাক্তার। ঘরে ঢুকে এল রোগী, পিছনেই বিনীতা।

    অরুণাভ বলল, “মেয়ে বন্ধুর বাড়ি গেছে, জন্মদিনের নেমন্তন্ন।… আপনি কি রান্না করছিলেন?”
    “না তো। কেন?”
    অরুণাভ আঙুলের ইসারায় অ্যাপ্রন দেখায়। ইন্দ্রনীল জিভ কাটল। “ভুলে গেছি খুলতে। একটু আগেই রান্না শেষ করেছি।… বসুন, ম্যাডাম বসুন। আমি এক মিনিট আসছি।”

    ইন্দ্রনীলের গায়ে ডাক্তারি অ্যাপ্রনের জায়গায় কিচেন অ্যাপ্রন দেখে বিনীতার মজা লেগেছিল। সেটাকেই খুলে রাখতে বোধ হয় ভেতরে গেল সে। বড় সোফায় বসল অরুণাভ, তার পাশে বিনীতা। ঘরটাকে দেখছিল দু’জনেই। যেদিকে তারা বসে আছে সেদিকে তিনটে স্টিলের সোফা, দুটো সিঙ্গল আর একটা ডবল। সোফাগুলোর ওপর হালকা গদি, তার ওপর রাখা কভারগুলো পুরনো, একটা সেন্টার টেবিল যেটা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু উঁচু। ডানদিকে মেঝে থেকে ফুট চারেক উঁচু কভার দেওয়া শেলফ, তার ওপর টিভি। দেওয়ালের গায়ে লাগানো একটা ছোট শোকেস, তাতে টুকটাক জিনিস যেগুলো এককালে হয়তো সাজানো গোছানো ছিল, এখন অযত্নের ছাপ। শেলফের অন্য দিকে কিছু বইপত্র রাখা। তার পাশে একটা ছোট কিন্ত নামী কোম্পানির স্পিকার। ভদ্রলোক গান শুনতে ভালবাসেন মনে হয়। 

    ঘরের অন্য দিকে ছোট গোল কাঁচের ডাইনিং টেবিল। তার ওপর তিন-চারটে ঢাকা দেওয়া পাত্র। দুটো চেয়ার দেখা যাচ্ছে। একটা ফ্রিজ, আর তার পাশে মনে হয় রান্না ঘর। আর অন্য পাশে একটা জানলা। জানলার পাশে একটা বেসিন, তার পরের দরজাটা সম্ভবত বাথরুমের, কিছুটা ফাঁকা দেওয়ালের পর পাশাপাশি দুটো দরজা, তার পরদাও বেশ পুরনো। তারই একটা দরজা দিয়ে ঘরে এল ইন্দ্রনীল, এখন অ্যাপ্রন নেই গায়ে। একবার রান্না ঘরের দিকে গিয়ে মিনিট খানেকের মধ্যে ফিরে এসে বসল একটা সোফায়। 

    “চায়ের জল বসিয়ে এলাম একেবারে… চায়ে আপত্তি নেই নিশ্চয়?” বলল সে।
    অরুণাভ বলল, “একেবারেই না।”
    “আপনারা তো দুধ-চা খান, আজ একটা অন্য চা খাওয়াতে চাই, সেটা দুধ দিয়ে খাওয়া চলে না। স্মেল চলে আসে,” বলল ইন্দ্রনীল।
    “কী চা?” জানতে চাইল তার রোগী।
    “আর্ল গ্রে,” জানাল ডাক্তার।
    “আমি খেয়েছি এক-দু বার। এমনিতে আমি টিপিক্যাল মশালা চা-ই পছন্দ করি। আর্ল গ্রে-র কেন এমন নাম জানেন তো?”
    “কোনও আর্লের নামে হবে নিশ্চয়,” হাসল ইন্দ্রনীল।
    “আর্ল তো বটেই, তবে যেমন তেমন নয়। এনার নাম চার্লস গ্রে, ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন নাইনটিন্থ সেঞ্চুরিতে। কোনও এক চাইনিজ ডিপ্লোম্যাট নাকি ওনাকে ওই বিশেষ ব্লেন্ড উপহার দেন,” জানায় অরুণাভ।
    “এই ব্লেন্ডের স্পেশালিটিটা ঠিক কী?”
    “ব্ল্যাক টি-র সাথে বার্গামট তেল মিশিয়ে বানানো হয়।”
    ইন্দ্রনীল বিস্মিত হয়। “আপনি খান মশালা চা, এদিকে এই চায়েরও এত খবর রাখেন! সত্যিই আপনার মত লোক রেয়ার। আমি তো এই চা মাঝে মাঝে খাই, কিন্তু কিছুই জানি না।”
    হাসে অরুণাভ। ইন্দ্রনীল এবার তাকায় বিনীতার দিকে। “ম্যাডাম তো কথাই বলছেন না?”

    এতক্ষণ ধরে বিনীতা প্রবল চেষ্টা করছিল স্বাভাবিক থাকার। এই ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকে তার বুকের মধ্যে একটা ধুকপুকুনি শুরু হয়েছে, অস্বস্তি হচ্ছে। সে কি টিনএজ গার্ল নাকি? নিজেকেই ধমকে ঠিক রাখছিল সে। একটা উত্তর দিতেই হয়। বলল, “আপনার চায়ের জল ফুটে ফুটে মরে গেল বোধ হয়।”
    “এই রে।” চট করে উঠে দাঁড়াল ইন্দ্রনীল, “দাঁড়ান আসছি।” দ্রুত রান্না ঘরের দিকে চলে যায় সে। তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে বিনীতা। অরুণাভ উঠে শেলফে রাখা বই গুলোর দিকে এগোয়। দু-একটা হাতে তুলে দেখে, সেগুলো প্রায় সবই ডাক্তারি পেশা সংক্রান্ত।

    ফিরে আসে ইন্দ্রনীল। “চা ভিজতে দিয়েছি, তিন মিনিট লাগবে। আসুন ততক্ষণ আমার কোয়ার্টারটা ঘুরে দেখবেন।”
    “চলুন,” বলে অরুণাভ।
    “আসুন ম্যাডাম,” ডাক দেয় ইন্দ্রনীল। একটু অবাক হয় বিনীতা, কোয়ার্টার কেউ ঘুরিয়ে দেখায় নাকি? নিজের ফ্ল্যাট হলে তাও একটা কথা ছিল। যাই হোক, এগোয় বিনীতা, অন্দরমহলের দিকে যেতে কেন কে জানে তার অস্বস্তি বাড়ে।
    পর্দা সরিয়ে পাশের ঘরে যায় সবাই। ফার্নিচার তেমন নেই  একটা সিঙ্গল খাট, একটা স্টিলের রকিং চেয়ার, একটা ছোট টেবিলে একটা ইংরেজি খবরের কাগজ, একটা ওষুধ কোম্পানির উপহার দেওয়া ডেস্ক ক্যালেন্ডার। টেবিলের পাশে একটা বড় স্টিলের বুক কেস, আর তার পাশে একটা জামাকাপড়ের আলমারি। “এই ঘরটা তেমন ব্যবহার হয় না।”
    “আপনারও তো ভালই বই আছে,” বলল অরুণাভ।
    “এটা আপনি বললে খুব লজ্জা পাব। তবে আমি এই রকিং চেয়ারটায় বসে বই পড়তে ভালবাসি।”
    ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের চওড়া বারান্দায় গেল সবাই। জামাকাপড় মেলার দড়ি ঝুলছে দুই সারি, তাতে কয়েকটা ক্লিপ লাগানো। এক পাশে ওয়শিং মেশিন রাখা। বারান্দার বাইরে রাস্তা দেখা যাচ্ছে, সেখানে আরও কোয়ার্টার। রাস্তায় দুটো গাড়ি দাঁড় করানো আছে দেখে অরুণাভর একটা কথা মনে এল।
    “বেশ কিছুদিন পরে আজ নিজে ড্রাইভ করে এলাম। লাস্ট করেছি সেই দোকানের ইনঅগারেশনের দিন। আপনার সাথে কাফেতে দেখা হল না?”
    সেই দিন কাফের ঘটনা মনে পড়ায় খারাপ লাগল বিনীতার।
    ওদিকে ইন্দ্রনীল জবাব দেয়, “গুড। একদম ঠিক করেছেন। মাঝে মাঝে ড্রাইভ করবেন। আসুন।... এইটা বেডরুম।”

    বারান্দা থেকেই অন্য ঘরে আসে তারা।  এই ঘরটা একটু বড়। একটা ডবল বেড রয়েছে এক দিকের দেওয়ালে, তার হেড বোর্ডের সামনে খান চারেক কুশন, তার কভারগুলো পুরনো হয়েছে। বিছানার পাশে একটা বেড সাইড টেবিল, তার ওপর কয়েকটা ডাক্তারি বই, একটা জলের বোতল আর এসির রিমোট।  অন্য দুই দেওয়ালে দুটো জানলা, একটা জানলার ওপর এসি। দুই জানলার মাঝে একটা স্টিলের আলমারি। অন্য দেওয়ালের সামনে একটা ছোট ড্রেসিং টেবিল, তার আয়নার সামনে পুরুষদের প্রসাধনী সামগ্রী রাখা। ঘর থেকে অন্য দরজা দিয়ে বেরোলে একটা খুব ছোট প্যাসেজ। সেই প্যাসেজের এক দিকে ওয়াশরুমের দরজা, অন্য দিকের দেওয়ালে খান তিনেক রডে রাখা আছে প্রতিদিনের পরার পোশাক। আর সামনে পর্দা ঝুলছে। সেই পর্দা সরিয়ে ফের বাইরের ঘরে চলে এল ওরা।

    অরুণাভ আর বিনীতা এগোল সোফার দিকে। “বসুন, চা-টা নিয়ে আসি,” বলে ইন্দ্রনীল চলে গেল কিচেনের দিকে।

    বিনীতা বসে ভাবছিল নানা কথা। কত দিন আগে ডিভোর্স হয়েছে ডাক্তারবাবুর? ওই ঘরের ড্রেসিং টেবিল কি ওনার স্ত্রী ব্যবহার করতেন? বিছানায় রাখা কুশনও কি ওনার কেনা ছিল? ড্রইং রুমের  কাঁচের আড়ালে রাখা শো-পিস গুলোও কি তাই? বিনীতার একবার ইচ্ছে হল রান্নাঘরের দিকে যায়, সে ইচ্ছেটা দমন করল সে। এমন কেন হচ্ছে তার? এখন মনে হচ্ছে না এলেই ভাল হত, এখন তো চলে যাওয়ারও উপায় নেই। রঙিন বাইরে আছে ওই ছুতো করে তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে খেয়ে নিয়েই। 

    হাতে করে ট্রেতে চায়ের কাপ আর প্লেটে বিস্কুট নিয়ে আসছে ইন্দ্রনীল। সেন্টার টেবিলের ওপর ট্রেটা রাখল সে। কাপ, প্লেট, ট্রে - তিনটেতেই বেশ সুরুচির ছাপ রয়েছে।
    “নিন,” বলল ইন্দ্রনীল।
    হাতে কাপ তুলে নিল অরুণাভ। “আপনি তো বেশ গোছানো লোক। সিঙ্গল বলে মনেই হয় না।”
    হাসল ইন্দ্রনীল। “এতটা থাকে না। আপনারা আসবেন বলে একটু গুছিয়ে রেখেছি।”
    চায়ে চুমুক দিয়ে বিনীতা বুঝল তার মানও খুব ভাল।
    “চা-টা খুব ভাল হয়েছে,” বলল বিনীতা। কম বয়সে দার্জিলিং চা খাওয়ার স্মৃতি ফিরে এল তার। যদিও এত দামী চা খাওয়ার সাধ্য তাদের ছিল না, জলপাইগুড়ি শহরে এমন চা সেই সময়ে পাওয়া যেত কি না তাও জানা নেই তার।
    চা ভাল হয়েছে শুনে খুশির হাসি ফুটে উঠল ইন্দ্রনীলের মুখে। সে ভাল খাবার আর তা ভাল পাত্রে খেতে পছন্দ করে, তবে খায় পরিমিত। রান্না ভাল করলেও খাওয়ানোর লোক পায় না একেবারেই।
    “আশা করি অন্য খাবারগুলোও ভাল লাগবে আপনাদের,” বলল ইন্দ্রনীল।
    “নিশ্চয় লাগবে। কী রান্না করেছেন জানতে পারি?” বলল অরূণাভ।
    “সেটা সারপ্রাইজই থাক না আপাতত।… ভাল কথা, ওষুধ টোষুধ সব ঠিক মত খাচ্ছেন তো?”
    “হ্যাঁ হ্যাঁ, খাচ্ছি।” চায়ে চুমুক দিল অরুণাভ।

    বিনীতাও কাপ তুলে নিয়েছিল, এমন সময়ে খেয়াল হল তার ব্যাগে রাখা মোবাইলটা বাজছে। এখন আবার কে ফোন করল? রঙিন বাইরে আছে, তার আবার কিছু হল না কি? কাপ রেখে ব্যাগ থেকে ফোন বার করার আগেই সেটা বেজে বেজে থেমে গেল।

    ফোন হাতে নিয়ে বিনীতা দেখল স্কুলের এক সিনিয়র টিচারের মিসড কল দেখা যাচ্ছে। রিং ব্যাক করল সে, তিনি ফোনটা ধরলেনও, কিন্তু কথা শোনা গেল না। কেটে দিয়ে আবার ফোন করল সে, লাভ হল না।
    “বারান্দায় চলে যান, ঘরে মাঝে মাঝে কানেকশন প্রবলেম হয়,” অরুণাভ বলল বিনীতাকে, ইসারায় বারান্দার দিকটা দেখিয়ে দিল। সোফা ছেড়ে উঠে বারান্দার দিকে চলে গেল বিনীতা, ইন্দ্রনীল খেয়াল করল ম্যাডামের চা পুরোটা খাওয়া হয়নি। প্লেট দিয়ে তার কাপটা ঢেকে দিল ইন্দ্রনীল, ঠান্ডা হয়ে গেলে ভাল লাগবে না।
    “মেডিক্যাল ফিলোজফির ওপর একটা বই রয়েছে দেখলাম ওখানে,” শেলফটা দেখিয়ে বলল অরুণাভ, “ওটা কয়েক দিনের জন্য পেতে পারি পড়ার জন্য?”
    “নিশ্চয় পারেন। আজই নিয়ে যান,” বলল ইন্দ্রনীল।

    বই নিয়ে দুজনের কথাবার্তার মধ্যেই পর্দা সরিয়ে ঘরে আসে বিনীতা। দুজনে ওর দিকে তাকায়, দেখে তার মুখে একটু চিন্তার ছাপ।
    “কিছু হয়েছে?” জিজ্ঞাসা করে ইন্দ্রনীল।
    “ভেরি সরি। আমায় এখনি একটু বেরোতে হবে,” কুণ্ঠার স্বরে বলে বিনীতা। (ক্রমশঃ)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন