এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • তোমার বাস কোথা যে...- ১৫

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ২২ আগস্ট ২০২৪ | ৪৪২ বার পঠিত
  • ।। পনেরো ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ] 

    কলিং বেলটার বেজে ওঠা ঘরের তিন জন মানুষের মুখে তিন রকম প্রভাব ফেলল। অরুণিমা উৎসুক কে এল জানার জন্য; অরুণাভর মুখে একটা নিশ্চিন্ত ভাব ফুটে উঠল যার আসার ছিল সে এসেছে বলে; আর বিনীতা যেন একটা যাঁতা কলে আটকে গেছে - এক দিকে তার মন চাইছে বন্ধ দরজার ওপারে যেন সেই মানুষটাই থাকে যাকে সে চাইছে, আর অন্য দিকে ভাবছে - নাহ, সে না এলেই ভাল হয়।

    “ওই এল বোধ হয়,” বলল অরুণাভ, তাকাল বিনীতার দিকে। বোঝাই গেল সে চাইছে স্ত্রী দরজাটা খুলুক।
    বিনীতা ইতস্তত করছে দেখে তার ননদ উঠল, “আমি দেখছি।”
    হাতের ইসারায় তাকে নিরস্ত করল বিনীতা। হৃদয় আর মস্তিষ্কের মধ্যে যে লড়াই চলছে তা সহজে মিটবে না। গলা তুলে ডাকল সে - “বিসপাতিয়া, দেখো তো কে এল।”
    রান্না ঘরে বসে থাকা বিসপাতিয়া একটু অবাক হল। বাইরের ঘরে সে আসতে না আসতেই দ্বিতীয় বার বেল বাজল।

    দরজা খুলল বিসপাতিয়া। হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে একজন লোক। তাকে এদের কেউই চেনে না।
    হাত জোড় করে নমস্কার জানিয়ে নিজেই পরিচয় দিল সে। “আমি ডক্টর বিশ্বাসের ড্রাইভার। উনি আসতে পারলেন না, একটা জরুরী কল এসেছে হাসপাতাল থেকে, ওখানে চলে গেছেন। এইটা পাঠিয়ে দিলেন।”
    ফুলের তোড়া এগিয়ে দিল সে। লাল রঙের অনেকগুলো গোলাপের মাঝে কয়েকটা হলুদ গোলাপ। লাল গোলাপকে ঘিরে আছে জিপসি ফুল, আর বাহারি সেলোফেন পেপার দিয়ে সুন্দর করে মোড়া আছে পুরো জিনিসটা।
    “একটা কার্ডও পাঠিয়েছেন,” বলল ইন্দ্রনীলের ড্রাইভার গৌতম।
    দু’জন মহিলা আর একজন পুরুষ বসে আছে সোফায়, আর একজন মহিলা, সম্ভবত বাড়ির কাজের লোক, দাঁড়িয়ে। ফুলের তোড়া আর কার্ড কে নেবে বুঝতে পারছিল না গৌতম। শেষ পর্যন্ত অরুণাভর দিকেই দুটো জিনিস এগিয়ে দিল সে।
    অরুণাভ এক বার তাকিয়ে দেখল স্ত্রীর দিকে, অরুণিমাও তার দিকে দেখছে। বিনীতার মুখ সম্পূর্ণ অন্য দিকে ঘোরানো।
    অরুণাভ হাত বাড়িয়ে ফুল আর কার্ড নেয়। “আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ডাক্তারবাবুকেও আমাদের হয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে দেবেন।”
    ফের নমস্কার করে চলে গেল গৌতম। দরজা বন্ধ করে দিল বিসপাতিয়া। বিনীতা এখনও অন্যদিকেই তাকিয়ে আছে। 
    ***
     
    পরের দিন শনিবার, রঙিন বা বিনীতার স্কুল নেই। অরুণাভও একটু দেরি করে কাজ যাবে। বিনীতা ঠিক করেছে ননদকে দিয়েই বাগানে বসে সকালের চা খাওয়াটার উদ্বোধন হবে। একটা নিচু টেবিল ছিল গেস্ট রুমে, যেখানে এখন অরুণিমা রয়েছে। সেই টেবিল এনে রাখা হয়েছে বাগানে। অন্যান্য ঘর থেকে আনা হয়েছে দুটো চেয়ার আর একটা মোড়া। একটা প্রায় ব্যবহার না হওয়া টেবল ক্লথ পেতেছে বিনীতা, সাদার ওপর সাদা সুতোর কাজ করা।

    আগের দিন রাতে অরুণিমা উপহার দিয়েছিল বৌদিকে - হালকা নীল রঙের একটা কোলাপুরী সিল্ক শাড়ি। কোলাপুরী শাড়ি সাধারণতঃ উজ্বল রঙের হয়, এটা সেই দিক থেকে ব্যতিক্রম। আর দাদার জন্য এনেছিল একটা অদ্ভুত জিনিস - একটা অ্যালবাম। তাতে রয়েছে অরুণাভ, অরুণিমা আর তাদের ছোটবেলার বেশ কিছু ফটো, পুরনো ছবি স্ক্যান করে সেখান থেকে প্রিন্ট করে নেওয়া। টেবিলের ওপর সেই অ্যালবামটাও রয়েছে, আর রয়েছে খবরের কাগজ।

    অরুণাভ এসে বসে ওখানে, খবরের কাগজটা তুলে নিয়েও রেখে দেয়। হাতে নেয় অ্যালবামটা। ক্লান্ত থাকলেও কাল রাতেই দেখেছে সে এটা পাতা উলটে উলটে। স্কুলে পড়ার সময়ের কয়েকটা ছবি আছে এখানে, স্কুলের ছবিও আছে, পাহাড়ের ব্যাকগ্রাউন্ডে। অরুণিমার স্বভাব অনেক সময়েই একটু রুক্ষ মনে হয়। ভাই-বোনের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ কম হলেও তাদের বন্ডিং খুব ভাল, ঠিক যেমন বিনীতা আর তার নিজের দাদার।

    “গুড মর্নিং,” অরুণাভ দেখে বোন এসে গেছে। অ্যালবামটা নামিয়ে রেখে প্রভাতী শুভেচ্ছা ফিরিয়ে দেয় সে। বসতে বলে অরুণিমাকে।
    বিসপাতিয়া আর বিনীতাও এসে পৌঁছয়। বিসপাতিয়ার হাতে চায়ের ট্রে, তার মালকিনের হাতেও রয়েছে আর একটা ট্রে - তাতে আছে বিস্কুট আর আগের দিনের বেঁচে যাওয়া কেক।

    গুড মর্নিং জানিয়ে টেবিলের ওপর ট্রে নামাতে অরুণিমা সাহায্য করে বিসপাতিয়াকে। সাদার ওপর গোলাপী ফ্লোরাল প্রিন্টের কাজ করা টি-কোজিতে ঢাকা রয়েছে টি-পট। পাশে তিনটে পেঁচার মোটিফ ওয়ালা সেরামিকের কাপ, চিনি আর দুধ রাখা আলাদা পাত্রে। টি-কোজি সরালে দেখা যাবে পটটাও একই রকম। বছর দুই আগে বোকারোর দোকান থেকে সখ করে কিনেছিল বিনীতা, সেভাবে ব্যবহার হয়নি। আজ বাগানের নতুন সাজ আর অরুণিমার আসা উপলক্ষে ফের জিনিসগুলো বার করল সে।

    “রঙিন ঘুমোচ্ছে এখনও?” জিজ্ঞাসা করে অরুণিমা।
    বিনীতা বলল, “উইক এন্ডে একটু বেশি ঘুমোয়। ডাকি না।”
    বিনীতা টি-পট থেকে চা ঢালে কাপে। চামচে করে চিনি তোলে।
    “আমায় দুধ চিনি দিও না বৌদি, ছেড়ে দিয়েছি,” বলে অরুণিমা।
    বিনীতা মুখ তুলে তাকিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিল। তার আগেই অরুণাভ বলে, “সুগার হয়েছে নাকি তোর?”
    অরুণিমা উত্তর দেয়, “হয়েছিল সামান্য, সামলে নিয়েছি। তাছাড়া দার্জিলিং চা খাই, দুধ-চিনি ছাড়াই ভাল লাগে।”
    বিনীতা জিজ্ঞাসা করে, “কত দিন হল সুগার ধরা পড়েছে?”
    “বছর দেড় দুই হবে,” উত্তর দেয় অরুণিমা।

    বিনীতার মনে পড়ে অরুণিমার ডিভোর্স হয়েছে বছর খানেক আগে। অনেক বছর ধরেই মুম্বাইতে থাকে সে, নামী কোম্পানির মাঝারি অফিসার। এক কলিগকে বিয়ে করেছিল সে। বছর পাঁচেক টিঁকেছিল সম্পর্কটা। কোনও সন্তান নেই। ডিভোর্স টিভোর্স নিয়ে টেনশনেই সুগার হল কি না কে জানে। অবশ্য যে ধরনের চাকরি করে, তার স্ট্রেসের জন্যও হতে পারে। ডিভোর্সের পর ঘাটকোপরে একটা ছোট ফ্ল্যাট কিনেছে, সেখানে একাই থাকে অরুণিমা। বিনীতা অবশ্য মুম্বাইতে যায়নি কখনো।

    অরুণাভ আর বিনীতা দুধ-চিনি দেওয়া চা খায়, তাতে আদা আর ছোট এলাচ দেওয়া থাকে। বিনীতা বিয়ের আগে এমন চা খেত না; এখন খায় অরুণাভ পছন্দ করে বলে, নইলে তার জন্য ফের আলাদা রকম চা বানাতে হবে। বাড়িতে কেউ এলে অবশ্য কারোর চায়েই আদা টাদা দেওয়া হয় না। যেমন আজ দেওয়া হয়নি।

    বিনীতার বাড়িয়ে দেওয়া কাপ হাতে নিয়ে অরুণাভ বলে, “অনেকেই আজকাল লিকার চা খায়। আমার ডাক্তারও। সুগার টুগার নয়, এমনি-ই।”
    “সে ঠিক আছে, তবে বয়স তো আর কমে না, বেড়েই চলে। তাই সময় থাকতে সাবধান হওয়াই তো ভালো। বাবারও তো সুগার ছিল,” বলল অরুণিমা। চায়ে একটা চুমুক দিল।
    “হ্যাঁ, আমিও অফিসের একটা বড় প্রোজেক্টে হাত দিয়েছি। সময় মত কাজটা শেষ করতে হবে।”
    অরুণিমা দাদার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে, ফের চুমুক দেয় চায়ে।
    “কিছু বলবি?” জিজ্ঞাসা করে অরুণাভ।
    ধীরে ধীরে মাথা উপর নিচ করে হ্যাঁ জানায় অরুণিমা। “অফিসে সময়ের কাজ তো সময়ে করে যাচ্ছিস। আর বাড়িতে?” সোজাসুজি প্রশ্নটা করে।
    অরুণাভ কিছু না বলে সোজা তাকিয়ে থাকে। আর বিনীতার অস্বস্তি হয়।
    অরুণিমা বলে চলে, “দেখ দাদা, আমার ইমোশন টিমোশন নেই। ডিভোর্সের পর থেকে বোধ হয় আরও কাঠখোট্টা হয়ে গেছি। তাই যা বলছি, সেটা শুনতে খারাপ লাগতে পারে। বৌদিকে জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেওয়াটা ভাল। আগে কোনও দিন দিয়েছিস বলে তো মনে হয় না। তবে তার চেয়ে অনেক ভাল গিফট হবে ওর আর রঙিনের ভবিষ্যতের জন্য কিছু একটা করে যাওয়া। তোর তো যে কোন দিনই কিছু হয়ে যেতে পারে।”
    অরুণাভ গম্ভীর ভাবে শুনতে থাকে, চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে এক টুকরো কেক তুলে নেয়। 
    বিনীতা বলে, “সকাল সকাল এসব আলোচনা না করলেই নয়?”
    অরুণিমা উত্তর দেয় না, দাদাকে বলে, “তোর জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কিছু আছে?”
    অরুণাভ গম্ভীরভাবেই মাথা নাড়ে, নেই।
    “তোর… তোর থাকা না থাকার সঙ্গে বৌদির চাকরির কোন সম্পর্ক আছে?” একটা ঢোক গিলতে হয় অরুণিমাকে।
    অরুণাভ আবারও মাথা নাড়ে।
    “দ্যাটস গুড,” বলে অরুণিমা।
    এগুলো জরুরী কথা, আর এই নিয়ে আলোচনা করার মত কেউ নেই। তবুও বিনীতার ভাল লাগছিল না এই সব কথাবার্তা।
    “এখনই এ সব কথা বলতে হবে?” আবার বলল সে।
    এবার অরুণিমা ঘুরল বিনীতার দিকে।
    “আর কবে বলব বৌদি? আই অ্যাম লিভিং টুমরো। পরে আর… চান্স আসবে কি?” অরুণিমার গলার মধ্যে যেন একটা পাথর চেপে বসেছে, স্বর বেরোচ্ছে না, চোখ ফেটে জল আসছে। তার কাজ-পাগল দাদা হয়তো আর বেশিদিন থাকবে না। তবে দাদার সাথে যে দুজন জড়িয়ে আছে, তারা যেন ঠিক থাকে।
    “এসব ডিসকাশন তো তোমার আর রঙিনের জন্যই করছি,” সব সামলে নিয়ে বলে অরুণিমা।
    বিনীতা কথা খুঁজে পায় না।
    অরুণিমা বলে, “এগুলো তো তোমারই বলার কথা। তোমাদের ফিউচার পড়ে রয়েছে।”  দাদার দিকে তাকায় সে, “তোর নিজের কি এগুলো মনে হয়নি?”
    অরুণাভ উত্তর দেয়, “মনে হয়েছিল... আমরা নিজেদের জন্য যা করি তা আমাদের সঙ্গেই শেষ হয়, সেটাই থেকে যায় যেটা আমরা অন্যদের জন্য করি।”
    “ফিলোজফি!… এত যদি জানিস তো সেটা কাজে করিস না কেন? মানে বাড়ির মানুষের জন্য?”
    অরুণাভ চুপ করে থাকে। তার বোনও কথা বলে না কিছুক্ষণ। তার পর মুখ খোলে, “যাকগে... বৌদি, পরে তুমি কি বাপের বাড়ির দিকে থাকতে চাইবে? দাদার কাছে?”
    বিনীতা, “কিছু ভাবিনি।”
    অরুণিমা বলতে যাচ্ছিল ‘আর কবে ভাববে?’ শেষ পর্যন্ত বলল না কথাটা। জিজ্ঞাসা করল, “চাকরিটা তো করবে?” বিনীতা মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানাল। “দেন ইউ হ্যাভ টু স্টে হিয়ার। রিটায়ারমেন্ট কতয়?”
    যাট, জানাল বিনীতা।
    “গুড… কিন্তু তোর কিছু হলে তো বৌদিদের এই বাংলো ছাড়তে হবে?”
    মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বলে অরুণাভ।
    কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ। কাপের চা-ও শেষ হয়ে গেছে।
    বিনীতাই নীরবতা ভাঙে। “আমি স্কুলের কাছে বা বোকারোতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকব।”
    অরুণিমা বলে, “সেটা একটা স্টপগ্যাপ অ্যারেঞ্জমেন্ট হতে পারে। তবে একা মহিলাকে বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ভাড়া দিতে অনেকেরই আপত্তি থাকতে পারে। অবশ্য টিচার হিসেবে তোমার পরিচিতি আছে, তাই স্কুলের কাছে হলে বাড়ি পেতে অসুবিধে হবে না মনে হয়। যদিও বাড়ি বা ফ্ল্যাট একটা পারমানেন্ট ব্যাবস্থা। পার্টিকুলারলি রঙিনের জন্য সেটা একটা ইনসিওরেন্সের কাজ করবে।”

    অনেকক্ষণ বাদে কথা বলে অরুণাভ। “আমি খোঁজ নেব।” 
    ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা দরকারি আলোচনা যে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে, সেটা বিনীতার মনে হয়নি কখনও। অরুণিমার ‘গুড মর্নিং সুইটি’ শুনে সে দেখল রঙিন আসছে। এই সুযোগ উঠে পড়ার; বিসপাতিয়াকে ডেকে চায়ের কাপ গোছাতে শুরু করে বিনীতা। 
    মোবাইলে সময় দেখে নিয়ে অরুণাভও চেয়ার ছাড়ে। “আমি উঠি, অফিস যেতে হবে।”

    “বাবা, টেলিস্কোপ…?” টেবিলের কাছে রঙিন বলে।
    উত্তর দেয় অরুণিমাঃ “বাবা তো অফিস যাবে। চল, আমি আর তুমি মিলে টেলিস্কোপটা সেট করে ফেলি।”

    বিনীতার একটা কথা মনে এল। টেলিস্কোপ দিয়ে দূরের জিনিস দেখা যায়। দূরের সময় দেখতে পাওয়ার কোনও যন্ত্র নেই? (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২২ আগস্ট ২০২৪ | ৪৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালনিমে | 103.244.242.18 | ২৩ আগস্ট ২০২৪ ২২:০৮536786
  • এই লেখাটার অপেক্ষায় থাকি আজকাল - দু সপ্তাহ হয়েই গেল এবার - দেখুন যদি সপ্তাহে লিখতে পারেন।
  • Nirmalya Nag | ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২২:০২536812
  • @ কালনিমে - অনেক ধন্যবাদ। নানা কারণে গত সপ্তাহে দিয়ে উঠতে পারিনি। অবশ্যই চেষ্টা করব যাতে প্রতি বৃহস্পতিবার দিতে পারি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন