এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের হাতের রান্না

    Sumit Roy
    অন্যান্য | ০৬ এপ্রিল ২০১২ | ৩৯২৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:১৯537264
  • যা: বাবা, আকার পোস্ট পড়ে ঠিক যেই লিখতে যাব, অমনি রিমি আমার সব কথাগুলো আঙুল থেকে কেড়ে নিয়ে টাইপ করে দিল। বিশেষ করে প্রথম দুটো লাইন, একদম অক্ষরে অক্ষরে টাইপ করে দিল।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:২১537265
  • একই দিনে জন্মালে এরম হয়। বেশ একটা যমজ যমজ ব্যপার :-))
  • nk | 151.141.84.239 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:২৪537266
  • বুঝলেন আকা, সোনার দেশ মহান বঙ্গদেশে সমাজ কী ছড়া মেয়েদের শেখাতো?
    "স্বামীর কোলে দিয়ে ছেলে/ মরণ যেন হয় গঙ্গাজলে।"
    অর্থাৎ কিনা পুত্রসন্তান উৎপাদন করে ভালোয় ভালোয় কেটে পড়ুন সিঁথিতে সিঁদুর নিয়ে-পরোক্ষে এইটি বলে দেওয়া হলো। এইভাবে মনকে সাধুন, সেটাই শিখিয়ে দেওয়া হলো। :-)

    নইলে এতো উপোস টুপোস, এত সব ব্রত ট্রত, এসব সব কেন মেয়েদের জন্য ছিলো পুরুষরা যখন দিব্যি খেতে টেতে পারতেন? পথের পাঁচালি নিয়ে এত থর থর আদিখ্যেতা বাঙালির , কেউ কি লক্ষ করেন দুর্গা কেমন ফালতু ও বাড়তি? অপু পাঠশালে যাবে, দুর্গা যাবে না, অপুকে আতুসি আতুসি পুতু পুতু করে মানুষ করা হবে, দুর্গা হেলাফেলা, বনেবাদাড়ে ঘুরে নিজে নিজে লড়ে বাঁচতে পারলে বাঁচো, নইলে কেটে পড়ো কেস? এতো আলোচনা এতো ছলছল আলোচনা শুনি পথের পাচালি নিয়ে, এইদিকটা ছুঁয়ে যেতে কাউকে দেখিনি। কেজানে হয়তো কোথাও কেউ করেছেন, কিন্তু নজরে পড়ে নি আমার, আপনার পড়েছে?

    শ শ বছরের সামাজিক মগজধোলাই, ও কি সহজে যাবার?
  • nk | 151.141.84.239 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:২৬537267
  • রিমি, ক কয়ে ক্ক।

  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:২৭537269
  • নিশি, পথের পাঁচালী পড়ে আমার সেই ছোট্টোবেলা থেকেই এইটা মনে হত। অপুর মায়ের উপর খুব রাগও হত। পথের পাঁচালীর এইদিকটা আমার একটুও ভালো লাগে নি। এটা কিন্তু খুব সত্যি যে এত আলোচনা এই বই নিয়ে, কিন্তু এই দিকটা কারুর লেখায় পড়ি নি।
  • S | 71.191.163.151 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:২৭537268
  • aka র পোষ্টের প্রথম প্যারাগ্রাফের সঙ্গে পুরোপুরি একমত। শঙ্কুর মেটার্নিটি নিয়ে পোষ্ট টি ভুলভাল। কিন্তু মায়ের রান্না নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করার অধিকার ওনার পুরোপুরি আছে। শঙ্কুর মা তার জন্যে ঘেমেনেয়ে হোক কি চাই এসি ঘরে হোক যেভাবে খুশি রান্না করতে পারেন। এই নিয়ে ব্যাং এর পোষ্ট টি আমার নিতান্ত আপত্তিজনক এবং ব্যক্তিগত পরিসরে নাক গলানো মনে হয়েছে। ধরে নিচ্ছি ব্যং আর শঙ্কু পরস্পরের পরিচিত নন। আমার বাচ্চাদের জন্যে আমি বাড়িতে এমন অনেক বেবিফুড বানিয়েছি যা না বানিয়ে গার্বার কিনলে দিব্যি চলে। তার জন্যে যদি কেউ আমাকে গায়ে পড়ে উপদেশ বা আওয়াজ দিতে আসে তাহলে তাকে চাট্টি গালি দেওয়া ছাড়া কিছু করার নেই।

    বেশ কিছুদিন আগে একটি বুলবুলভাজাতে পড়েছিলাম কিছু স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের মায়েদের কথা, যারা দোকানে দোকানে বাঁদর, খরগোশ ইত্যাদির মুখোশ খোঁজেন আর রাত জেগে ছেলেমেয়েদের হাতের কাজ করে দেন। তো এইসব ছেলেমেয়েদের জন্যে ব্যাং এর ঝুলিতে কি কি বিশেষণ আছে ?

  • nk | 151.141.84.239 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৩৩537270
  • পথের পাঁচালি বইটায় তো আরো উলঙ্গ করে আছে এই তফাৎ, "খোকা আমার সোনা মানিক", আর খুকিকে চ্যালাকাঠ নিয়ে তাড়া দেওয়া।পিটিয়ে ছাল তুলে দেওয়া।
    সুকৌশলে সবাই এটা এড়িয়ে যান আলোচনায়।
    মেয়ে হলেই দুধে মুখে ডুবিয়ে মারতো যে দেশে, সেখানে জন্মাতে আর বেঁচে থাকতে যে দিয়েছে এই তো ঢের-এই ভাবতো মনে হয়। :-(
    "ভায়ের মায়ের এত স্নেহ/ কোথায় গেলে পাবে কেহ", ঠিকই কইতো আমাদের সেই সারকাস্টিক মণিদিদি।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৩৬537272
  • S, শংকু ঠিক "মায়ের রান্নার স্মৃতি রোমন্থন" করেন নি। সুমিত রায় মায়ের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন, শংকু না।
    শংকু মায়ের রান্নাঘরে জীবন কাটানোকে গ্লোরিফাই করতে চেয়েছেন, ড: কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর সঙ্গে তুলনা করে। শংকু এই জেনারালাইজেশন না করে শুধু ব্যক্তিগত স্মৃত চারণা করলে বলার কিছু থাকত না।
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৩৬537271
  • ঐসব ছেলেমেয়েদের জন্য ব্যাঙের ঝুলিতে ভালোকথা ছাড়া কিছুইই নেই, কারণ ব্যাং নিজেই নিজের ছেলের হাতের কাজ করে দিত অথবা দোকান থেকে কিনে দিত, তবে ইদানিং ছেলেই নিজেই এসব শিখে নিচ্ছে, একান্তই না পারলে হাতের কাজ না নিয়ে স্কুলে যায় ইদানিং তবু মাকে বলে ""তোমাকে এসব করতে হবে না, টিচার বকলে বকুনি খাব''। তাই আজকালকার বাচ্চাদের জন্য ব্যাঙের ঝুলিতে ভালো কথা বই মন্দ কথা নেই।
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৪৩536677
  • ক্যাপিটাল এস, লক্ষ্য করবেন, সুমিত রায়ের পোস্ট, নীনাদির পোস্ট নিয়ে আমি কোনো কথাই বলি নি। আর গায়ে পড়ে উপদেশ আমার অনেক আগে শঙ্কু আজকালকার মা এবং বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন। মায়েদের নিজেদের সন্তানদের জন্য ঘেমেনেয়ে খাবার বানাতে ভালো লাগতেই পারে, তবে মায়ের ঐ ঘেমেনেয়ে বানানো দেখে সন্তানের মনে মায়ের জন্য অনুকম্পা জাগা এবং নিজের অকর্মণ্যতা সম্পর্কে বোধ জাগাটা একান্তই জরুরি মনে করি। আপনি করেন না, ভালো কথা।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৪৫536678
  • নিশি, "মারত"?? এই ২০১২ সালেও, আজকেই কাগজে দেখলাম, বঙ্গপুঙ্গব বাবা ২ মাসের মেয়েকে নিকোটিন খাইয়ে মেরে ফেলেছে। সে ছেলে নয়, মেয়ে বলে। বাচ্চার মায়ের উপরেও বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার চলত।
    আমরা সমাজের উপরতলায় বসে থাকি বলে নিচুটা দেখতে পাই না। এই ২০১২ সালে? এই খবরগুলো গুরুর বাবাদের বুকে গিয়ে ধাক্কা মারে না??? মনে হয় না যে বাচ্চাটির মা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে, আর সঠিকভাবে প্রতিবাদ করতে জানলে এই শিশুটির এমন মৃত্যু হত না?

    রান্নাঘরে জীবন কাটানোকে গ্লোরিফাই করলে এই জন্যে রাগ হয়। আমেরিকার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপিকা মায়ের বাচ্চার জন্যে যত্ন করে খাবার বানানো, আর ভারতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাহীন মহিলাদের পুরোপুরি রান্নাঘরে জীবন কাটানো, পুরো জীবনটাই ছেলে মেয়ে স্বামী শ্বশুরবাড়ির সেবায় কাটিয়ে দেওয়া - দুটোর মধ্যে এত তফাৎ , এতই তফাৎ যে তুলনা আসেই না।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৪৭536679
  • তাইলে তো বলতে হয় এ বংগদেশের মেয়েরা খুব-ই সুখী। তাদের পড়াশোনার চাপ নেই, চাকরী খোঁজার বাঁশ নেই। শুধু পতিসেবার মত তুচ্ছ জিনিস করেই স্বর্গলাভ ঘটতে পারে।

    যত বাঁশ তো ছেলেদের-ই দেখছি। :(
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৫৭536680
  • হ্যাঁ, ব্যাং এর 7.43 আমারো মনের কথা। আমার মাকে যদি ঘেমে নেয়ে কষ্ট করে খাবার তৈরী করতে দেখি কোনোদিন, সেই খাবার আমার গলা দিয়ে নামবে না। ইন ফ্যাক্ট, সারাদিন স্কুল করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মার রান্না করতে কষ্ট হত বলেই কাজের লোক রাখা হল একসময়। আর সেই কাজের লোকের অখাদ্য রান্না আমি আর আমার বোন মুখ বুজে খেয়ে নিতাম। কোনোদিন "রান্না খারাপ হয়েছে" বলি নি, পাছে মা আবার নিজে কষ্ট করে ঐ ঘুপচি রান্নাঘরে রান্না করতে বসে!!
  • Jhiki | 219.83.85.197 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৮:০৫536681
  • রিমি'র 11th april 1.50 AM এর লেখা প্রসঙ্গে:

    বি ই কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে আমি একটি অতি বাম দলের সাথে অল্পবিস্তর যুক্ত ছিলাম। ওরা আমাকে ভোটেও দাঁড়াতে বলেছিল, রাজী হইনি, তবে মিটিং ইত্যাদি তে যোগ দিতাম...... কিছুদিন পরে দল ভেঙ্গে দু-টুকরো হল, আমি গেলাম অতি অতি বামের দলে।
    বি ই কলেজেরই এক প্রাক্তন ছাত্র আমাদের নেতা ছিলেন, তিনি থাকতেন কাছাকাছি একটা অঞ্চলে একটি দরমার বাড়ীতে...... একবার সেই বাড়ীতে মিটিং এ গেছি, দাদা-বৌদি অনুপস্থিত, দলে আমি একাই মেয়ে। সেখানে পৌঁছনো মাত্র এক অতি-অতি বাম দাদা আমাকে হুকুম করলো, এই তুই সবার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আয় তো! সবাই তাতে সহমত-ও হল।
    আমি হাঁ - এই এদের বিপ্লবী মানসিকতা!! এরাও তো একজন মেয়েকে আগে মেয়ে-ই ভাবে!!
    সেদিন চা অবশ্যই বাইরের দোকান থেকে এসেছিল, কিন্তু ফেরত আসার পর থেকে আমি সেই দলের সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিলাম....... কেউ বিশ্বাস করত না যে অত তুচ্ছ (!) কারণে আমি সেই স্টেপ নিয়েছিলাম!
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৮:০৮536682
  • শ্রেণিহীন রাষ্ট্রহীন আলোপৃথিবীর সেই দেশে
    আপনি বলুন মার্কস, মেয়েরা কি বিপ্লবের সেবাদাসী হবে?
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৮:১৮536683
  • ঝিকি, তুমি কি "ধুসর মস্কো" বইটা পড়েছ? সারিনা জাহানের লেখা, উনি নব্বই এর দশকে বেশ কয়েক বছর রাশিয়ায় ছিলেন, ওখানে পড়াশুনো করতেন। এই বইতে পড়েছি, জর্জিয়ায় বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সারিনা অবাক হয়ে দেখেন, পরিবারের পুরুষদের ভয়ে মেয়েরা জড়োসড়ো। যদিও বান্ধবীর পরিবারের সকলেই উচ্চশিক্ষিত ছিল, বান্ধবীর মা বড় চাকরি করতেন তবুও। মেয়েদুটি কোথাও বেড়াতে গেলে ছোটো ভাই অভিভাবক হয়ে সঙ্গে যেত। দুই ভাইএর ঘর জামাকাপড় বোনকেই গুছিয়ে রাখতে হত।

    সারিনা এও লিখেছেন যে রুশি ছেলেরা বৌদের শুধু চোখ রাঙায় না, অনেক সময়েই দৈহিক অত্যাচারও করে। নব্বই দশকের চূড়ান্ত বামপন্থী দেশেই এই!!! আমাদের প: বঙ্গের হিপোক্রিট বামেদের কথা তো অনেক পরে আসে।
  • Jhiki | 219.83.85.197 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৮:৩৫536684
  • না পড়িনি, pdf থাকলে লিংক দিও।

    তুমি সমসাময়িক কোন পুরুষ লেখকের রচনায় এইসব দিক দেখতে পাবে না, হয় এগুলো তাদের চোখেই পড়ে না বা তারা দেখেও না দেখার ভান করে।
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৮:৫৪536685
  • ছেলেদেরও যাবার জায়গা ঠিক থাকে। সাধ্য থাক বা না থাক, ইচ্ছে করুক বা না করুক ছেলে হয়েছ মানেই পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব তোমার। মেয়ে হলে রান্নাঘরে কাটানো যেমন সোশাল কনস্ট্রাক্ট তেমনি ছেলে হলে প্রতিদিন টাকা রোজগার করতে হবে এটাও সোশাল কনস্ট্রাক্ট।

    এমনকি রান্নাঘরে কাটানো যে চুল্লীর সামনে ১২ ঘন্টা কাটানোর থেকে বেশি স্ট্রেসফুল এটাও সোশাল কনস্ট্রাক্ট। মুশাইয়ার বাবা সিইএসসির বড় বড় যে চিমনি হত সেখানে উঠে কাজ করত। একদিন পড়ে মরে গেল। যারা বলছেন মুশাইয়ার মার রান্না করাটা এর থেকেও বেশি কষ্টকর আসলে তারা একটা বিশেষ সোশাল কনস্ট্রাক্ট থেকেই বলছেন। অতএব বেশি জেনারালাইজেশন না করে সেই সোশাল জায়গাতেই থাকি। কারণ আমার বলাটা সেই জায়গা থেকেই। বাকিটা নিয়ে আমাদের ধারণা খুব কম।

    ছেলে হয়ে যদি কেউ পরিবারের ভরণ পোষণ করতে অক্ষম হয় তাহলে তাকেও কিছু কম স্ট্রেস সইতে হয় না। অন্তত যে সোশাল পার্সপেক্টিভ থেকে আমরা কথা বলছি সেই জায়গাতে তো বটেই। একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা চোখে পড়ে নি, সেটা হল আমি কতকগুলো অ্যাজাম্পশন করেছি। ফেয়ার ফ্যামিলি সোনার পাথর বাটি? মনে করি না। দুটোই আপ্তবাক্য, ডিপেন্স আপনি নিজে কেমন ভাবেন। ;)

    আম্রিগাতে বহু মহিলাই বাই চয়েজ হোমমেকার। তাতে কি তাদের মর্যাদা কমে? না অত্যাচার সইতে হয়। যে সোশাল সেগমেন্ট নিয়ে কথা বলছি সেখানেও অবস্থাটা সমানই। বাকিটা কাটান দেন। মুশাইয়ার বাবারকর্মক্ষেত্রে বেশি কঠিন চুইল না মুশাইয়ার মার সে আমরা ভেবে দেখি নি। সিলেবাসের বাইরের জিনিষ নিয়ে কথাবার্তা বলতে গেলে উল্টে কেস খাবেন।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১০536686
  • আহাহা সত্যি তো, এই যে এক বঙ্গপুঙ্গব মেয়েকে নিকোটিন দিয়ে মেরে ফেলল এও তো একরকমের সোশ্যাল ক¾ট্রাক্ট। ভারতের মতন গরীব সমাজে যেখানে মেয়ের বিয়ে দিতে টাকা খরচ হয় সেখানে মেয়ের জন্ম নিয়ে রাগ হওয়াটা সোশ্যাল ক¾ট্রাক্ট ছাড়া আর কি? তোমরা কি বলতে চাও যে বাবা নিজের মেয়েকে মেরে ফেলেছে তার সমাজের উপরে এই তুমুল ক্রোধ আর কষ্ট যে শিশু না জন্মাতেই মারা যায় তার থেকে কিছু কম???

    কিম্বা মনে করো পণ?? বিয়ে করলে একটা পেট বাড়ে, তাকে খাওয়ানোর দায়িত্ব কার? বরের। অতএব বরের দিক থেকে শ্বশুরের কাছে পণ চাওয়াটা একটা সোশ্যাল কনট্রাক্ট। আবার কি??

    সবই সোশ্যাল ক¾ট্রাক্ট। এভাবেই ভারতবর্ষে এক অসামান্য সিলেবাস রচিত হতে থাকে।

    ওরে ব্যাঙ, কোথায় গেলি? আকাকে ধরে দু ঘা দে না।
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১২536688
  • মায়ের ঘেমেনেয়ে রান্না করার স্মৃতি রোমন্থন তো অনেক ছেলের লেখাতেই পড়লাম, আপনি দু-একটা মুশাইয়া বা তার মত আরো কোন মেয়ের লেখার খোঁজ দিন, যেখানে সেই মেয়েরা তাদের বাবাদের সেইসব কঠোর শারীরিক পরিশ্রম কে গ্লোরিফাই করছে!
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৩536689
  • কলকাতা থেকে দিল্লি আসতে হবে খুব শর্ট নোটিশে, একই ক্লাসের ছেলে মেয়ে সবাই আছে। কোথায়, কোন কোঠায় কিভাবে কি করলে আরএসির টিকিট কনফার্ম হবে তার দায়িত্ব? আবার কার ছেলেদের।

    দূরপাল্লার জার্নিতে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন থামলে পুরি, সবজী থেকে খাবার জল ভরার দয়িত্বও ছেলেদের।

    ঝিকির মতন এও কম দেখলাম না। শুধু ত্যাগ দিতে পারি নি। ;)
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৭536690
  • ঝিকি কি জানতে চাইল আর আকা কি উদাহরণ দিল!!! মেয়েরা বাবাদের পরিশ্রমকে গ্লোরিফাই করার উদাহরণ কি না দিল্লির টিকিট কনফার্ম করা।

    উফ মাইরি, এই টই পড়লে হাঁড়িছাচারাও হেসে কুটিপাটি হবে। কোথায় সারাজীবন রান্নাঘরে বন্দীদশা আর কোথায় টিকিট কনফার্ম!!!
    আকার মাথা একদম হাঁড়াপ হয়ে গ্যাসে
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৮536692
  • রিমি, গেক আর চুক, তাই না?
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৮536691
  • ঝিকি, মুশাইয়ারা লিখতে জানে না, জানলেও গুরুতে তাদের অ্যাকসেস নেই। তাদের কথা জানতে হলে তাদের সাথে উঠে বসেই জানতে হবে। লেখা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৯536695
  • খ্যা খ্যা খ্যা হাসি।

    কেন? গুরুর পাঠককুলে রান্নাঘরে বন্দী মায়ের স্মৃতিচারণা আসে, দু:খী পরাধীন বাবাদের কথা লেখার জন্যে মুশাইয় পর্যন্ত ছুটতে হয় কেন??

    ব্যাং আর নিশি তোরা কই গেলি?
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৯536694
  • অকা এগুলো ব্যক্তিগত কথা। নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নেওয়ার কথা!! তবে বাবার রেলের চাকরীর সুবাদে আমার টিকিট বুক বাবা-ই করত, পরে ওখলা থেকে আমি নিজেই করতাম!
    এখন ছুটীতে যাওয়ার সময় প্ল্যানিং, বুকিং, প্যাকিং আমার, আর প্যাকড লাগেজ ঠিকঠাক নিয়ে যাওয়া, জার্নির বাকি কমফর্ট দেখা আর একজনের........ কেউ কারোর কাজে নাক গলাই না!!
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৯536693
  • টিকিট কনফার্মটা চা করার পরিবর্তে এসেছে। রান্না করার জন্য চিমনি চড়া আছে একটু আগে।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২০536696
  • হ্যাঁ রে চুক গেক :-))))))
  • rimi | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২১536697
  • তাও যদি বুঝতাম আকা সত্যি মুশাইয়াদের সঙ্গে ওঠাবসা করেছে। মাইরি কি খোরাক!!!
  • byaang | 122.172.226.54 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৩536700
  • সত্যি আকা, তোর এই ট্রেনজার্নিতে মেয়েদের দ্বারা ছেলেদের অত্যাচারিত হওয়ার বর্ণনা শুনে চোখে জল এসে গেল। তবে সত্যি বলতে কি, ছেলেরা নিজেদের নোলাটা যদি ক®¾ট্রালে রাখতে জানত, কোনো মেয়ের ক্ষমতা ছিল না ছেলেদের তাসপিটুনি বন্ধ করিয়ে শুধুই মেয়েদের নিজেদের জন্য ছেলেদের দিয়ে খাবার আনানোর।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন