এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ব্যোমকেশ, ফেলুদা ও মগজাস্ত্র

    শারদ্বত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ মে ২০১৬ | ১৬৯১৪ বার পঠিত
  • সত্যজিৎকে নিয়ে আমরা কথা বলতে ভালোবাসি। আমরা খুবই সামান্য মানুষ। উচ্চাকাঙ্ক্ষা-স্বপ্ন-পরিশ্রম-লক্ষ্য সবই ছোটমাপের করে গড়ে নিই আমরা, তাই চারপাশে কেউ একটা অসাধ্য-সাধন করে বসলে আমরা তাঁর মতো হওয়ার পরিশ্রম না করে পুজো করতে শুরু করে দিই তাঁকে। শর্টকাট। কিন্তু এই পোস্ট সেজন্য নয়, সেই পুজো-সমালোচনার বাইরে কয়েকটা কথা বলতে ইচ্ছে হল। যাদবপুরে শেষ সেমেস্টারে স্পেশাল পেপার ছিল 'গোয়েন্দা-সাহিত্য'। সেই ক্লাসগুলোয় আমরা কিছু আলোচনা করতাম শম্পাদি-কাফিদার সঙ্গে। সেই সময়ের আলোচনা আর নিজস্ব চিন্তা থেকে তুলে আনা কিছু কথা আজকে প্রাসঙ্গিক হতে পারে।

    আমরা সবাই রাজনৈতিক। আমাদের প্রতিটি আচরণের, প্রতিটি কথার, প্রতিটি চুপ করে থাকার একটা করে রাজনৈতিক অবস্থান আছে। আমাদের সাহিত্যও, রাজনৈতিক উপন্যাস থেকে ননসেন্স ভার্স, সবকিছুরই একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে, সাহিত্যের পাঠকরা সেটা জানি। বাংলা সাহিত্যের সেরা দুই গোয়েন্দা চরিত্রের মধ্যে আমরা যদি রাজনীতি খুঁজতে থাকি, অনেক মণিমুক্তোই বেরোবে, অস্বস্তিও।

    আমার ব্যোমকেশকে ফেলুদার চেয়ে ঢের বেশি ভালো লাগে, তাকে মনে হয় অনেক বেশি পরিণত, শাণিত, মার্জিত। অন্যদিকে ফেলুদা টিন আইডল। টিন-এজ পেরনোর পর তাই বোধহয় ফেলুদা আর পাতে ওঠে না পাঠকের। ব্যোমকেশের কিন্তু এই বয়েসের বাধাটা নেই। সত্যজিৎ যখন ফেলুদা লিখতে শুরু করছেন, তখন বাজার ছেয়ে আছে দেব-সাহিত্য-কুটীর-সিরিজে-স্বপনকুমারে। এই ধরণের বইগুলোয় গোয়েন্দার বুদ্ধিবৃত্তির চেয়ে টিন এজারদের মনোরঞ্জনের উপাদান রাখার গুরুত্বটাই বেশি ছিল। ফলে আজগুবি কাহিনি আর সস্তা চমকে বোঝাই ছিল। সেকালের বাবা-মায়েরা 'ডিটেকটিভ বই' পড়তে দেখলে সেজন্যই চটে যেতেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ব্যোমকেশ লেখার সময় এরকম প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছিল। ডিটেকটিভ সাহিত্য সম্পর্কে পাঠকদের নাক সিঁটকানো দেখে তিনি লিখেছিলেন, '... আমাদের দেশে উহার প্রতি সাধারণের এত অশ্রদ্ধা কেন? প্রথম কারণ, যাঁহারা এদেশে সর্বাগ্রে গোয়েন্দা গল্প লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন তাঁহাদের অক্ষমতা। তাঁহারা গোড়াতেই জিনিসটাকে খেলো করিয়া দিয়া গিয়াছেন। ... ডিটেকটিভ গল্প যেন অন্ত্যজের ঘরেই জন্মগ্রহণ করিয়াছে, তাই বর্ণশ্রেষ্ঠদের কাছে হেয় ও অবজ্ঞাত হইয়া রহিল। ইহা ডিটেকটিভ গল্পের দোষ নহে- দোষ তাহার জন্মদাতাদের। দ্বিতীয় কারণ, বিদেশ হইতে তৃতীয় শ্রেণির ডিটেকটিভ গল্পের আমদানী...'

    সত্যজিতের সময়ে এই শ্রেণির সাহিত্য বাজার ছেয়ে ফেলেছে। সেসময় ফেলুদার কৌলীন্য বজায় রাখা হয়েছিল 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশ করে। আজকের দিনে প্রকাশিত হলে আমরা ব্যোমকেশকে 'দেশ'এর পাতায় দেখতে পেতাম, ফেলুদাকে কিন্তু 'আনন্দমেলা'র বাইরে ভাবাই যেত না। এসব কথা থাক, দু'একটা ঘটনা বা পরিস্থিতি উল্লেখ করলে এই লেখকদ্বয়ের জিনিয়াস আন্দাজ করতে পারি আমরা...

    ব্যোমকেশ বল্লভভাই প্যাটেলের অনুরোধে একটি কেস সলভ করতে যায় দিল্লিতে। এই উল্লেখ থেকে শরদিন্দুর রাজনৈতিক অবস্থানটা স্পষ্ট ধরা যায় বটে, কিন্তু আরো মজা আছে 'আদিম রিপু'তে। গল্পটা আমরা পড়েছি, বা না পড়ে থাকলেও অঞ্জন দত্তর ফিল্মটা দেখেছি। যদিও ফিল্মের সময়টা এগিয়ে যাওয়ায় এই সূক্ষ্ম দিকটা মাঠে মারা গেছে।

    'আদিম রিপু'র শেষ দিকটা মনে করা যাক। অনাদি হালদারকে খুন করা সত্ত্বেও ব্যোমকেশ প্রভাত হালদারকে পিতৃপরিচয় জানার শাস্তি দিয়েই ছেড়ে দ্যায়। ছেড়ে দেওয়ার আরেকটা কারণ, সেদিন ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার দিনটা। এই ঘটনা-কাল-রাজনৈতিক পরিস্থিতির পেছনে আরেকটা সূক্ষ্ম দিক আছে। অনাদি হালদার একজন ডাকাত-পিতৃহন্তার পাশাপাশি একজন কালোবাজারিও ছিল। যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের সময় কালোবাজারির মাধ্যমেই সে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিল, তাকে মারার জন্য প্রভাতের কোনো শাস্তিই হল না... পাঠকের মনে আছে, নেহরুর সেই বিখ্যাত লাইন, 'স্বাধীনতার পর প্রত্যেক কালোবাজারিকে ল্যাম্পপোস্টে ফাঁসি দেওয়া হবে!' সেই লাইনটা মনে রেখে আরেকবার 'আদিম রিপু' পড়ে ফেলুন।

    সত্যজিতের প্রথমদিকের উপন্যাসে লালমোহনবাবুর অস্তিত্ব নেই। সোনার কেল্লায় তাঁকে প্রথম দেখি আমরা। তার আগে ফেলুদার কাহিনিগুলো উপভোগ্য হলেও মজার হয়ে ওঠেনি সেরকম। লালমোহনবাবু আসার পর ফেলুদা সিরিজ সব বয়েসের সমস্ত পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ফিল্ম হওয়ার পর থেকে বাকিটা ইতিহাস। এবার লালমোহনবাবু চরিত্রটাকে যদি আমরা একটু খুঁটিয়ে দেখি, দেখতে পাব, আদ্যন্ত সাধাসিধে, বোকাবোকা প্রশ্ন করেন, ভাবেন কম, অথবা, যেটুকু ভাবেন তা ভুল ভাবেন। অথচ এই চরিত্রটা একজন বেস্টসেলার কিশোর উপন্যাস রচয়িতা, যাঁর নায়ক প্রখর রুদ্র, উপন্যাসগুলোর নাম যতটা না সত্যিকারের, তার চেয়ে ঢের বেশি প্যারডি, যাঁর কাহিনিতে উটেরা পাকস্থলীতে জল নিয়ে মরুভূমি পাড়ি দ্যায়। বুদ্ধিমান ফেলু মিত্তির তাঁকে কথায় কথায় অপদস্থ করেন, তিনি এতটাই সরল (পড়ুন বোকা) যে সেটাও ধরতে পারেন না।

    খুব সূক্ষ্মভাবে এখানে সত্যজিৎ অন্যান্য বেস্টসেলার কিশোর রচয়িতাদের কী ভাবতেন, তার ছায়া পড়ে। ফেলুদা তো সত্যজিতেরই প্রতিভূ। ভাবুন দেখি, যাকে পরাজিত (মগজাস্ত্র ও বাজার, দু'জায়গাতেই) করতে চাইছেন, তাকে নিজেরই সিরিজে একটা কমিক চরিত্র বানিয়ে তাকে ক্ষণে ক্ষণে অপদস্থ করা, পাঠকের কাছে একইসঙ্গে হাস্যাস্পদ আর জনপ্রিয় করে তোলা, পাঠকের মনে এই লেখকদের সম্পর্কে একটা স্থায়ী তাচ্ছিল্যের বীজ পুঁতে দেওয়া- এই সবকটা পাখি একঢিলে মারতে হলে, কীরকম জিনিয়াস হতে হয়। এঁকে বাকিরা প্রণাম করুন গে, আমি বরং বলি, 'আয় তোর মুন্ডুটা দেখি, আয় দেখি “ফুটোস্কোপ” দিয়ে'।

    মগজাস্ত্রকে সেলাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ মে ২০১৬ | ১৬৯১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.96.3.14 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০১:৫৮54303
  • ঃ)))
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০১:৫৯54305
  • ওনার সিনেমায় গান টান ইত্যাদি সুরারোপ টুরারোপ কে বা কারা কত্তেন?
  • ranjan roy | 24.96.3.14 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:০১54306
  • মানে? পরের দিকে তো লিরিক/সুর সবই রায়মশায়ের।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:০২54307
  • তবে যে কারা কইলো রবিশঙ্কর!!!!
    ঃ-)
  • | 11.39.15.21 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:০৪54405
  • সিঁফো
    সত্যজিতকে সিংগল আউট করার কারণ ওনার পুরো সাহিত্যকর্মেই এই ট্রেন্ডটা প্রকট হয়ে রয়েছে। সেদিক থেকে অন্যরা অন্যান্য গল্পে নারীচরিত্র এঁকেছেন।
  • sch | 113.240.99.187 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:০৪54308
  • হ্যারি পটার যদি শিশু/কিশোর সাহিত্য হয় - ফেলুদা তার থেকে অনেক বেশী যোগ্য শিশু সাহহিত্য।আর এত পবন্ধ লিখে কি হবে? যার ভালো ল্গবে পড়বে - যার লাগবে না সে পড়বে না। এই লেখাটা লিখে প্রবন্ধকার কি প্রমাণ করতে চাইলেন?
    উনি সত্যজিতের চালাকি ধরে ফেলেছেন
    সত্যজিত খুব সাধারণ ছিলেন লেখক হিসেবে
    কিন্তু এতে করে কি হবে? লোকের সত্যজিৎ প্রীতি ১% ও কমবে? তাহলে এই আলোচনায় লাভ কি? নিজের জ্ঞান জাহির করা?
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১০54309
  • আরে, একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক, তার লেখা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা রিভ্যু টিভ্যু হবে না????
  • ranjan roy | 24.96.3.14 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১১54310
  • এতোজ,
    রবিশংকর তো অপুতে। জলসাঘরে বাহাদুর খান। তখন থেকেই সত্যজিৎ বুঝলেন----!
    এরপর দেখুন গুগাবাবা সদগতি সবগুলোর লিরিক ও স্কোর এমনকি সতরঞ্জ কে খিলাড়িতেও ওঁর নিজের স্কোর। এটা অক্ষুন্ন রয়েছে আগন্তুক অব্দি।
    যদ্দুর মনে পড়ছে আইভরি মার্চেন্টের শেকসপিয়রওয়ালাতেও সত্যজিতই মিউজিক করেছিলেন।
    উনি পাশ্চাত্য শৈলীর বার নোটেশন লিখতে শেখার পরই আর ফিরে তাকান নি।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১৪54311
  • কিন্তু কিন্তু ----
    আগন্তুকে তো রবীন্দ্রসঙ্গীতও আছে। নেই?
  • :O | 132.177.132.230 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১৫54406
  • সিকি ছোটবেলায় এবং বড়বেলায়, দু সময়েই ঘনাদা পড়েছে, ফেলুদা পড়েছে, টিনটিন পড়েছে, জীবনানন্দও পড়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এ প্রশ্ন কেন?
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১৫54312
  • আচ্ছা সেই রবিশঙ্করই কি ভোল পাল্টে এখন সদগুরু টাইপের কী যেন হয়েছেন? নাকি এ অন্য লোক?
    ঃ-)
  • ranjan roy | 24.96.3.14 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১৬54313
  • আছে। তাতে কী? প্রয়োগ। জন-অরণ্যতে শর্মিলা রায়কে দিয়ে "ছায়া ঘনাইছে বনে বনে" সিচুয়েশনটা?
  • ranjan roy | 24.96.3.14 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১৭54315
  • এতোজ,
    ঘুমুতে যান; মশকরা করার আর --?
    কোথায় পরমপূজ্য শ্রীশ্রী আর কোথায় বাঙালী রোবু?
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১৭54314
  • ওঃ, তাই কন।
    "বাজিল কাহার বীণা রে" এর লিরিক যদি দাবী করে বসেন, তবেই চিত্তির। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:১৯54316
  • ঃ-) ঃ-) ঃ-)
  • Family trend | 74.233.173.181 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:২১54317
  • সত্যজিৎ তো অবশ্যই ওভার নীট অ্যান্ড ক্লীন।অপরাজিত ছাড়া একটাও পদের সিনেমা হয়নি। লেখালেখিতে ওঁর বাপ ঠাকুদ্দা সকলের মধ্যেই এই নারীবর্জিত শিশু সাহিত্য ঘরানা পাবেন। ইন ফ্যাক্ট একটু পিছিয়ে গেলে ওভারঅল বাংলা শিশু সাহিত্য ই নারীবর্জিত বা অন্য জটিলতা সামাজিক ক্লেদ বর্জিত, সুপার স্যানিটাইজড। ব্রাহ্ম সমাজের প্রভাব বলে প্রবন্ধ লিখতে পারেন। বা সময়ের মিরর ইফেক্ট হিসেবে দেখতে পারেন।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:২২54407
  • সুকুমার রায়? তাঁরও তো এক্কেরে নারী চরিত্র নাই।
    হ য ব র ল তে নাই
    হেশোরাম হুশিয়ারের ডাইরিতে নাই।
    পাগলা দাশুতে নাই।
    নাটকগুলোতে নাই।
    তবে ওনার যুগ আলাদা ছিলো।
  • Ekak | 53.224.129.54 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:২৯54408
  • হ্যা , তাই লিখে গ্যাছেন :

    ছোট ছোট মেয়েগুলি কিসে হয় তৈরী ?
    ক্ষীর ননী চিনি আর
    ভালো যাহা দুনিয়ার
    ছোট ছোট মেয়েগুলি তাই দিয়ে তৈরী ।

    ওনার শিশু মেয়েরা ননীর পুতুল আর কিশোরী -যুবতীরা পান খেয়ে মুখ লাল করা অন্তঃপুরবাসিনী । সেইযে ঘোষেদের ছোট মেয়ে পিক ফ্যালে পান খেয়ে , নীচু পানে নাহি চেয়ে হায় রে !

    বাকিরা গিন্নিবাননি -সহধর্মিনী বা দজ্জাল । যেমন কিনা রামভজনের গিন্নি । বা , নয় সন্তানের জন্মদাত্রী সেই পতিব্রতা যিনি স্বামীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভয় পাওয়া অতিথি কে কামড়ে দেবেন !!
  • Contemporary | 74.233.173.185 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:৩০54409
  • ""জীবনানন্দকে নিয়ে ভাবলাম। কী একঘেয়ে মাইরি - সেই এক চিল, প্যাঁচা, ইঁদুর, মৃত্যু, গুচ্ছখানেক কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে।

    প্রেমেন মিত্তির মনে পড়ল। সেই এক স্টাইলের ঘনাদার ঢপ, শিশিরের সেই একই সিগারেটের টিন থেকে সিগারেট বাড়িয়ে দেবার অনুষঙ্গ, বাকিদের তোষামোদ, কেমন একটা মনোটোনাস। তার ওপরে আবার ঐ, নারীচরিত্র নেই, ড্রেসিং গাউন নেই, পুরোটাই নিম্নমধ্যবিত্ত মেসবাড়ির ঘ্যানঘ্যানে আবহ। লোকে কী করে পড়ত এসব ট্র্যাশ?""

    এইটার জন্য। সিকিকে।

    সত্যজিতের আগের বা সমকালীন সন্দেশে ও সমধর্মী শিশুপত্রিকায় কোথায় কোন পুরুষ লেখকের মহিলা চরিত্রাবলীতে আপনেরা তুষ্ট বা সমাজসচেতনতায় পাশমার্ক দিচ্ছেন?
  • আপুনি | 132.177.132.230 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:৪১54410
  • খিল্লি বোঝেন্না?
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:৪৪54411
  • যে সময়ে সত্যজিত, গোয়েন্দা গল্প লিখেছেন, সে সময়ে মূল চরিত্রে নারী ঢোকানো ; না মুমকিন। ধরুন, ফেলুদা যদি ফেলু বৌদি হতেন। তাহলে এই এডভেঞ্চার, রাত্রি জেগে, মাথায় ডান্ডার বাড়ি খেয়ে গোয়েন্দা কর্ম করাটা ভীষণ রকম অবাস্তব হতো।আবার কমিক চরিত্রে লালমোহনের জায়গায় যদি কোনো মাঝ বয়সী লেখিকা সঙ্গী হতো; তাহলে মগন লালের ডেরায় তাঁকে সামলানোই ফেলু মিত্তিরের সবচেয়ে বড় হেডেক হতো।তোপসের জায়গায় দেবলীনা বা ঝিনুক বড় বেশি, বেশি লার্জার দ্যান লাইফ।
    মিতিন মাসি ফেলু মিত্তির হবার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ডানহা ফেল।কিন্তু লেখিকা সুচিত্রার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।ভবিষ্যতে আমরা হয়তো, বেটার মহিলা গোয়েন্দা বা এসিস্ট্যান্ট পাবো।
    ফটিক চাঁদের ক্ষেত্রেও তাই।ফটিক যদি একটি কিশোরী হতো; তাহলে হারুন দা ওকে চায়ের দোকানে কাজে লাগিয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করত না।হয়ত কোনো হোম এ দিয়ে আসতে হতো।গল্পের ইতি।বুঝতে হবে, দেশটার নাম ভারত বর্ষ!
    --
    তবে শঙ্কুর লেখাগুলো; এক কথায় অসামান্য।এটা সত্যজিতের অন্তর্নিহিত, জিনিয়াস ব্যাপার টা পরিস্ফুট করে।এগুলো কে কল্পবিজ্ঞান না বলে, কল্পলোকের বিজ্ঞান বলা ভালো।কি অসাধারণ সব আইডিয়া।
    শঙ্কুর কোনো আবিষ্কার ই বিজ্ঞানীরা কোনদিন ই আবিষ্কার করতে পারবে না।যেমন মিরাকিরল বড়ি, বটিকা ইন্ডিয়া,এনায়হিলীন,স্ব আবিষ্কৃত প্লেন, ল্যাবে জামা প্যান্ট পড়া ক্ষুদ্র শঙ্কু সৃষ্টি ইত্যাদি।
    আবার গল্পের মাধ্যমে ত্রিলোকেশ্বর সন্কুও কত অজানা জিনিস বা চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত হয়।যেমন গোটা মানুষের সোনা হয়ে যাওয়া, কর্ভাসের অঙ্ক কষা,অজানা দ্বীপে নানা বর্ণের ফুলের বিজ্ঞানীদের বুদ্ধি শুষে, বেঁচে থাকা,আশ্চর্য্য ফল খেয়ে, জলদস্যুর তিনশ বছরের ওপর বেঁচে থাকা, সাধুর সঞ্জীবনী মন্ত্র; তিব্বতে উড়ন্ত লামার চটি পড়ে,স্বর্গে চলে যাওয়া ;আরো কত কি।
    এগুলো সব অবাস্তব জেনেও কিশোর পাঠক বা পাঠিকা গোগ্রাসে গিলতে থাকে।অনেকটা হ্যারি পটারের মতন।
    একটা স্বপ্নের জগত; যাতে বিচরণ করতে আমি আগ্রহী।এ ঠিক জোজোর মতন বদ হজমের গুলি নয়।আবার দক্ষিনা রঞ্জনের ঠাকুরমার ঝুলিও নয়।
    ডিফারেন্ট। স্বকীয়তায় ভরপুর।
  • উমেশ | 118.171.128.168 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০২:৫৮54412
  • রাগ কোরো না sm,
    গুরুতে এই প্রথম তোমার কোনো পোস্টে আমার বড়ো করে ক দিতে ইচ্ছে হোলো।
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৩:০১54413
  • sm স্যার এইসব জায়্গায় না লিখে সারাদিন বিভিন্ন টইতে বালবিচি লিখে চলেছ্নে
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৩:০৩54414
  • ছোটো ভাইটি কে কেউ রাগ করে?
  • boyaal.r | 215.174.22.20 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৩:১৭54415
  • ছেলেদের মহাভারত নাম পাল্টে ছোটদের মহাভারত করাটা আমার মতে উচিত, স্বাগত ইত্যাদি। কিন্তু আদি নামকরনের জন্যে উপেনবাবুকে দোষ দেওয়াও প্রাণে সয় না। মানে সময়টা তো দেখতে হবে।

    সেই যে কে যেন আনন্দবাজারে লিখেছিলেন - হেঁকে বলে ও ঔ/ ভাত আনো কলিমুদ্দি মিঞা।

    আজকে যে বেপরোয়া বিচ্ছু গত পর্শু সে কুঠিবাড়িতে থেকে বজরা চড়ে বেড়াতো, তো দোষটা ব্যক্তিকে দিতে দ্বিধা হয়, দোষটা মূলত যুগের, ওঁরা তাও অনেকটা এগিয়ে ছিলেন নানা দিকে।

    ব্যাক্তিগত মত আরকি।
  • sinfaut | 74.233.173.177 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৩:১৭54318
  • সাহিত্য সমালোচনা করা হয় লেখকের কাটতি বাড়াতে বা কমাতে এটা আজ জানলাম। লেখক কোন সময়ে দাঁড়িয়ে একটা লেখা লিখছেন, অন্যরা কী লিখছেন তখন, কাদের লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন, কোন ঘটনার উল্লেখ করছেন, কোনগুলো করছেন না, এগুলো সাহিত্য সমালোচনার মূল উদ্দেশ্য না। রায় এক নতুন বিবু।
  • T | 165.69.178.32 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৩:৪৩54319
  • @সিঁফো, :) আমার ফেলুদা প্রেম বিশেষ নেই, কিন্তু ঐ একক যেমন বলেছে (এবং টিমদাও) টোটাল প্যাকেজটির প্রতি প্রেম অবশ্যই আছে। আরো স্পেসিফিক্যালি বলতে গেলে ইলাসট্রেশনগুলোর প্রতি। সত্যজিতের লেখার আলোচনা ঐ ইলাস্ট্রেশন বাদ দিয়ে করা সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। সেই 'চত্ববেলা' থেকেই তো টুকছি সেসব। এই সেদিনও কলেজ ম্যাগাজিনের গল্পের ইলাস্ট্রেশন করেছি অমন ভাবে। তো প্রেম থাকবেই।

    @রঞ্জনদা, বিংগো। ধরেছেন ঠিক। একটু বিশদে যা মনে হয় লিখি।
    টিনটিনের প্রভাব রয়েছে ফেলুদার সমস্তটাই জুড়ে। প্রথমে হার্জের ড্রয়িং লক্ষ্য করুন। সুস্পষ্ট লাইন এবং সেই লাইন গুলোতে থিকনেসের কোনো তারতম্য নেই। উনি যে সময় আঁকছেন তখন ডিপ পেন কালিতে ডুবিয়ে আঁকা ছিল অন্যতম টেকনিক। কার্টুনিস্ট এবং কমিকস্ট্রিপ মেকাররা পছন্দ করতেন কারণ এরফলে পেনের নিব না বদলিয়েও লাইনের থিকনেসের তারতম্য করা যেত। এটা কমিক স্ট্রিপ মেকারদের পছন্দের কারণ, একই ড্রয়িং ফ্রেমে দর্শকের অ্যাটেনশন কিছু বিশেষ অংশে ফোকাস করা যেত ওভারঅল হারমনি বজায় রেখেই। হার্জে এবং ওঁর সমসাময়িক আরো অনেকে লাইনের থিকনেসের তারতম্য ব্যাপারটা নিজেদের আঁকা থেকে বিযুক্ত করলেন দিলেন। কারণ এঁরা প্রাথমিকভাবে একটা গল্প বলতে চাইছিলেন যেখানে গল্পের সাথে গ্রাফিক ড্রইং পরস্পরকে সাহায্য করে চলবে, কেউ কাউকে দখল করে নিতে চাইবে না। রেললাইনের মতো, সমদূরত্বে রাখার প্রয়াস। এর জন্য পাঠক বা দর্শককে প্রাথমিকভাবে ড্রয়িং এর মোহময়তার খপ্পর থেকে বের করে আনতে হবে। গ্রাফিককে হতে হবে বাস্তবের কাছাকাছি কিন্তু মিনিমালিস্টিক রেখায়। লক্ষ্য করবেন প্রায় একই কারণে টিনটিনের কোনো ফ্রেমের কোন ফিগারে রঙের কোনো গ্রেডিয়েন্ট নেই। সমসত্ত্ব ব্যাপার। যতটুকু ইনফরমেশন না দিলে বাস্তবের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা যায় না ঠিক ততটুকুই আছে। প্রতিটি ফ্রেমে ডিটেলিং ও ততটুকুই।
    হার্জের এই কৌশলের জন্য টিনটিনের সাথে পাঠকের একটা সচেতন বা অবচেতন দূরত্ব থাকে, প্রথম থেকেই। কারণ হার্জের এক এবং একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে কৌতুহল সৃষ্টি করা। ইনভলমেন্ট নয়। 'কৃষ্ণদ্বীপের রহস্য' যেখানে টিনটিনকে শুরুর দিকে গুলি করা হচ্ছে সেখানে প্রথম পাতাতেই 'এ মা টিনটিন মরে গ্যালো' বলে হাপুস কান্নাকাটি করে ফেললে ব্যাপারটা হাবিজাবি হবে। বিযুক্তিটা আছে বলেই আপনি দ্রুত পাতা ওল্টাবেন পরে কি হ'ল জানার জন্য। হার্জের কাছে ওঁর কমিকবুকের সমস্ত ফ্রেম একই রকম গুরুত্বপূর্ণ, কেউ 'ছাগলের তৃতীয় সন্তান' নয়। এটার কারণ লুকিয়ে আছে সম্ভবতঃ টিনটিনের প্রকাশ ব্যাপারটায়। কারণ কমিক স্ট্রিপ হিসেবে যেখানে প্রতিদিন কাগজের পাতায় আপনি এক একটা স্ট্রিপ পাচ্ছেন, সেখানে ওই তিন বা চারটে ফ্রেমে আপনার কৌতুহলকে বজায় রেখে দিতে হবে, গ্র্যানুলার একটা ব্যাপার। এই কারণেই দরকার একটা প্রাথমিক বিযুক্তিকরণ। অথচ টিনটিনের গল্প একবার ছবি বাদ দিয়ে দেখুন খুব কিছু পাতে দেওয়ার মতো নয়। এইখানেই মজা। এবং হার্জে ব্যবহার করেছেন ডেপথ। কিছু ফ্রেমে যেখানে ক্যামেরার পজিশন চরিত্রের খুব কাছে, অনেকটা ক্লোজয়াপ শটের মতন, সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড সরিয়ে দিয়েছেন, বা মনোটোনাস কালার। কারণ ফোকাস। টিনটিন তাই অনেকটা সিনেম্যাটিক।

    এই বার রায়সাহেবের লেখা দেখুন। ওঁর প্রতিটি গল্প, সে শঙ্কুই হোক বা ফেলুদা বা অন্য ছোটো গল্প, এখানে কৌতুহল একটা ভয়ংকর জায়গায় দাঁড়িয়ে। উনি ভাষা নিয়ে পরীক্ষা করতে যাননি, চেয়েছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কৌতুহলকে বজায় রেখে টানটান থ্রিলার বানাতে। মাস্টার ক্রাফটসম্যান। শঙ্কুর প্রতিটি ডায়েরি এন্ট্রি ভাবুন। ছোট ছোট গ্র্যানুলার ইভেন্ট যেটা অ্যাটেনশন দাবী করে, ইনভলমেন্ট নয়। স্টাইলটাই তাই। লোকশিক্ষে দিতে চাইছেন না, পাঠককে ঘাড় ধরে সময় আদায় করে নিচ্ছেন। মেসেজ ইত্যাদি দেওয়ার ক্ষেত্র হিসেবে লেখাকে বেছে নেননি, তার জন্য সিনেমা ইত্যাদি। সময় থাকলে হয়তো কমিকবুকই বানাতেন।

    এইবার রায়সাহেবের আঁকা দেখুন। প্রতিটি ইলাস্ট্রেশন সিনেম্যাটিক, ডেপথের অসামান্য ব্যবহার, মিনিমালিস্টিক রেখা। প্রাথমিকভাবে তো সিনেমার লোক তাই ডেপথকে এনেছেন আলোছায়া এবং হাল্কা দাগ ও গাঢ় দাগের মাধ্যমে। পরপর স্ন্যাপশটস দেখিয়ে যাচ্ছেন যেন। এই 'দেখিয়ে যাওয়া' ওঁর বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে হয়। কারণ ঐ ইলাস্ট্রেশন লেখার পরিপূরক। আম আঁটির ভেঁপুর প্রচ্ছদ এঁকেই যেমন ছেড়ে দিয়েছন, ভিতরে আর কোনো কিছু করতে যাননি (যদ্দুর মনে পড়ছে) কারণ বিভূতিভূষণের লেখা একাই কাফী পাঠককে ধরে বেঁধে ইনভলভ ইত্যাদি করে রাখার জন্য। হার্জের প্রভাবটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। তো, লেখার থেকে একটা সযত্ন বিযুক্তিকরণ ওঁর উদ্দেশ্য ছিল বলেই আমার মনে হয়। যেকারণে বাদ দিচ্ছেন অনাবশ্যক ডিটেল। উল্লেখ করছেন মন্দির বা প্যাগোডার স্যালিয়েন্ট ফিচার। টিনটোরেটোর যীশুতে যেমন প্রোলগএই একটা কুকুরকে মেরে ফেলছেন, কিন্তু কোনো সেন্টিমেন্ট গ্রো হতে দিচ্ছেন না। ওঁর কাছে প্রতিটি প্যারাগ্রাফই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনো নির্দিষ্ট পর্যায়ের ছাপ যেন পাঠকের মনে চেপে না বসে। রাহুল দ্রাবিড় ঘরানা, ক্রাফটসম্যানশিপের চূড়ান্ত, প্রথম বাউন্সার বল যদি ঠুকে গোড়ালিতে নামাতে পারি, তো শেষটাও তাই করব।

    এবাদে ক্যানো মেয়ে চরিত্র নেই, ক্যানো নোংরা গলি আবর্জনার কথাবার্তা নেই, ক্যানো ব্রাম্ভো প্রভাব সেসব আমি বলতে পারব না। ঐ একককে ধরুন।
  • T | 165.69.178.32 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৩:৪৮54320
  • * ইনভলভমেন্ট, ধেত্তেরি।
  • | 125.117.238.186 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৪:১৩54416
  • এই নাম বদলটা আমার ঠিক পছন্দ হল না। এ তো প্রায় ইতিহাস বদলে দেওয়ার মত।

    আর দোষ দেওয়ার কথা আসছে কেন হুতো? অবজার্ভেশানগুলো বলতে গেলেও এত আপত্তি করবে, প্রাণপনে বুঝিয়েই ছাড়বে যে আবজার্ভেশানগুলো আনদেখি করে দাও --- এই ২০১৬ সালেও --- এইটা বেশ একটা দেখার মত ব্যপার নিঃসন্দেহে।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০৫ মে ২০১৬ ০৪:২০54321
  • "আম আঁটির ভেঁপুর প্রচ্ছদ এঁকেই যেমন ছেড়ে দিয়েছন"

    বনলতা সেন আর রূপসী বাঙলাও তাই। ঃ)।

    ( ইয়ে, কমেন্ট টা ভালো লেগেছে। এবার এটাকে একটু বাড়িয়ে টাড়িয়ে গ্রাফিক নভেলের ঘরানার দিকে আনা যাবে না?)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন