এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | 24.100.134.60 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:১৯54259
  • আজ্ঞে 'দা' বিষয়ক সিরিজগুলো তো লোকশিক্ষের বই নয়, সেরম তাদের কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না মনে হয়। আর জনতা ঠিক ভাঁড়ামো খুঁজে বের করে আনন্দ পাবার জন্যও বোধহয় পড়ে না, মূল গল্পের টানেই পড়ে। এমনিতে দেখবেন একশ এক হাসির চুটকিও প্রচুর বিক্রী হয়। মানে লোকের হাসির সময় একটা প্রস্তুতিও নিয়ে নেয় আর কি। অভাব তো নেই।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:২২54261
  • ফেলুদার গল্পের মধ্যে মানবচরিত্রগুলোর মধ্যে অনুভূতির বড্ড অভাব, ব্যোমকেশে তেমন নয়। এমনিতেই ডিটেকটিভ গল্পে অনুভূতি কম থাকা দরকার, খুন টুন হলে নির্লিপ্ত হয়ে খুনের তদন্ত করতে হয়। পারিপার্শ্বিকের দুঃখশোকের অনুভূতিগুলো চেপে দেওয়া হয়, খুনের মোটিভটাই মুখ্য থাকে, বাকি সব জাগতিক অনুভূতির মধ্যে ষড়রিপুর কিছু কিছু প্রভাব মোটিভের মধ্যে থাকলেও শোক দুঃখকে দূরে সরিয়ে রেখেই ডিটেকটিভ গল্প উপন্যাস লেখা হয়ে থাকে, যাতে পাঠক চোখের জল না ফেলে রোমহর্ষকতা সাসপেন্স কানায় কানায় এনজয় করতে পারে। এখানেই আমার আপত্তি। দুনিয়ার সব গোয়েন্দা গল্পেই এটা থাকতে হবে। থাকবেই।

    এবার ফেলুদার গল্প প্রসঙ্গে। কিশোরদের কিছু আউটনলেজ বিতরণের লোভ সত্যজিৎ সামলাতে পারেননি। খারাপ নয়, ভালই। যেটা পোষায় না, সেটা মধ্যবিত্ততা। ড্রয়িংরুম পরিবেশ। কোনো দারিদ্র্য দুঃখ কি আনন্দের তীব্রতা, কিস্যু নেই। মনোটোনাস। ভোঁতা। আর গাদা গাদা কিশোরমন ঐগুলো পড়ে পড়ে নিজের অজান্তেই সেইটাতে সাবস্ক্রাইব করে নিরাপদ অবস্থান নিল। অল্পক্ষণের জন্য হলেও। আবার অনেকে এর মধ্যেই রয়ে গেছে দীর্ঘকাল, প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছেও। আমার কাছে এটা সাফোকেটিং।
  • sosen | 177.96.49.239 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:২২54260
  • বেসিক্যালি ফেলুদার গল্পে কোথাও বেশি জটিলতা নেই বলে বেশ সহজপাঠ্য। মেয়ে চরিত্র আনলে যে লাইট অ্যান্ড শেড আসতো এবং সেটা রায়বাবু এড়াতে পারতেন না কারণ ওটা উনি খুব ভালো করতেন, চিত্রনাট্য থেকে যা বুঝি, আমার মনে হয় সচেতন ভাবে এড়ানোর জন্যই করা। যৌনতা রেখে কিশোরদের জন্য কিছু তৈরি করা তেমন সহজ নয়, মেয়েদের মাসি পিসি মা ইত্যাদি সম্পর্কের মধ্যে জাস্ট পোর্ট্রে করতে উনি স্বচ্ছন্দ ছিলেন না বলেই মনে হয়। এটা বেশ সচেতন চয়েস।

    বিজয়া রায়ের বইয়ের কথা বেশি বিশ্বাস করা ভালো নয়কো
  • উমেশ | 118.171.128.168 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:২৪54168
  • তাহলে শুধু আমি নয়, আরো অনেকে কিরিটী পছন্দ করে না।
    সৌভাগ্যক্রমে আমার গোয়েন্দা গল্প পড়া হাতেখড়ি শার্লক হোমস দিয়ে, অবশ্যি অনুবাদ, কিন্তু খুব ভালো অনুবাদ ছিল, তখন আমি ক্লাস নাইন হবো।
    তারপর কিরিটী আর জয়ন্ত পড়তে শুরু করেই দেখি, প্রায় গল্প গুলো হোমস এর গল্পের সাথে মিলে যাচ্ছে। তারপর আর পড়িনি।
    অথচ শুনেছি খুবই পপুলার, এমনকি ব্যোমকেশ আর ফেলুদা'র থেকেও পপুলার।

    নায়ক সিনেমা তে ওটা ছবি বিশ্বাস ছিলো এটা আমিও শুনেছি।
  • sosen | 177.96.49.239 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:২৬54262
  • এটা ঠিক। কিন্তু ঐরকম গোয়েন্দাসাহিত্য ভালো লাগে। লেখাও সহজ নয়। একমাত্রিক লেখা আদৌ সহজ নয়।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:২৯54263
  • কিন্তু যৌনতার কথা আসছে কেন? কিশোরীরা ইকুয়াল ফুটিং এ আসতে পারে না কিশোরদের সঙ্গে? পাশাপাশি কাজ করে রহস্য সমাধান করতে পারে না?
    এই পুরো সিরিজগুলোতে কিশোরীরা লেফট আউট ফিল করতে পারে, তাদের কোনো রোল নেই, তাদের কোনো ভাবনাচিন্তা কোনোকিছুর কোনো সাড়া নেই।
  • উমেশ | 118.171.128.168 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৩০54169
  • জটায়ু আর সুনীল গাংগুলী কানেকশনটা প্রথম শুনছি।
    ৭০ এ সুনীল গাংগুলী এমন কিছু জনপ্রিয় ছিলেন না। তখনও কবিতা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন, উপন্যাস/গল্প সেই ভাবে শুরু করেননি।
  • Arpan | 233.227.114.155 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৩১54170
  • কিন্তু মানিকবাবুর আরেকটা দায়ও ছিল। সন্দেশের মাধ্যমে লোকশিক্ষা দেওয়া। লোকশিক্ষা মানে অবশ্যই পরিশীলিত রুচি ও ব্রাহ্ম সংস্কৃতির লিগাসি কিশোর মনে গেঁথে দেওয়া। ফেলুদার যে সবসময় একটা জ্ঞানদা টাইপের অ্যাটিটুড নিয়ে চলে সেইটাও এই একই কারণে। অথচ ওনার বাপের কলম দিয়েই পাগলা দাশু টাইপের চরিত্র সৃষ্টি হয়েছিল। সেও এই সন্দেশের জন্যই।

    প্রসঙ্গত সন্দেশ উল্টেপাল্টে দেখেছি একটু বড় হয়ে। সব সময় মনে হত একটা ক্লাসরুম ক্লাসরুম ভাব। আনন্দমেলায় যেটা কোনদিন মনে হয়নি।
  • T | 24.100.134.60 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৩৪54264
  • যাব্বাবা এ তো সাসপেন্স জনরা। শোক দুঃখ পরিতাপ সাস্পেন্স ইত্যাদি প্রভূত পরিমাণে চাইলে টিনএজ সাহিত্যে হ্যাপ আছে তো। কিছু জনতা কিশোরবয়সে যদি স্রেফ ফেলুদাই পড়ে আবার তা থেকেই নিরাপদ অবস্থান গ্রহণ করেই কাটিয়ে দেয় চিরকাল তাহলে ও জিনিস প্রকৃতির যাকে বলে আজুবা বলেই ধরে নিন। কত কিই তো হয় আর কি।

    আমি আবার উল্টোটাই প্রচুর দেখেছি, ফেলুদা পড়া পাবলিক, টিনেজ আর কি, মাণিক এমনকি অদ্বৈত মল্লবর্মণ অবধি পড়ে ফেলছে।
  • sosen | 177.96.49.239 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৩৫54265
  • ইকোয়াল ফুটিং এর সাথে যৌনতার সম্পর্ক কি? কিশোরী গোয়েন্দার কথা তো হচ্ছে না, সেরকম গন্ডালু ছিল, ভালো ও লাগতো। লেখকের কমফর্ট জোন থাকে, সব কিছু তো এজেন্ডামূলক হয়না। আমি বলতে চাইছি যৌনতা, ডার্কনেস, লেয়ার বাদ দিয়ে নারীচরিত্র আঁকতে সত্যজিত স্বচ্ছন্দ ছিলেন না।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৩৫54171
  • "তুমুল মতবিরোধ" বোধহয় নয় - জলসাঘরে ঘোড়ায় চড়ার সিন নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। কারণ, তুমুল মতবিরোধ নিয়ে কাজ করার মতন লোক ছবিবাবু ছিলেন না।
    তবে হ্যাঁ, নায়ক-এর মুকুন্দ লাহিড়ি-র ক্যারাকটার ছবি বিশ্বাস-কে মনে করায়। এখন এগুলো তো স্পেকুলেশন, সত্যজিত তো আর বলে যান নি ওটা ছিল ছবিবাবু ।
  • উমেশ | 96.0.57.209 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৩৭54266
  • প্রথমেই শারদ্বত একটা ধন্যবাদ দিয়ে দি।
    আজ একটা দিনে সত্যজিৎ নিয়ে কত্তো কিছু জানতে পারলাম।

    তুমি লেখা না লিখলে, সত্যজিৎ নিয়ে অনেক অনেক কিছু অজানা থেকে যেত। কাল থেকে সত্যজিৎ এর লেখা পড়তে বসলে, এই লেখা গুলো খুব মনে পড়বে।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৩৭54172
  • সুনীলের সঙ্গেও "তীব্র মতবিরোধ" নয়, সুনীলের লেখাতেই ছিল। সুনীল কিঞ্চিৎ মনক্ষুন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু তেমনভাবে ঝগড়া করেন নি।
  • T | 24.100.134.60 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৪৩54267
  • আতোজকে,
    যাক দোষ তাহলে মানিক বাবুর একা নয়, প্রেমেন্দ্র ইত্যাদিও আছেন। হ্যাঁ, অবশ্যই কোনো মেয়ে চরিত্রের কোনো উদয় হয় নি কেন এ প্রশ্ন খুবই ভ্যালিড। কিন্তু সেটা লেখকদের একটি অভিন্ন প্রোপাগান্ডা বিস্তারের নিদর্শন ধরে নিলে আর কি, বলতেই হচ্ছে যে ওঁদের কি খেয়ে দেয়ে আর কাজ ছিল না! আমার মনে হয় যা রচনা করতে গিয়ে কেস খেতেন তা নিয়ে হাত পোড়াতে যান নি।

    হাত পোড়াতে গেলে কি হয়? উলতো উদাহরণ হচ্ছে এই মিতিনমাসী। অবশেষে নারী গোয়েন্দা এলো সাথে পার্থ মেসো। অ্যাকন এই পার্থমেসো চরিত্র নিয়ে লেখিকা অ্যাত বাজে ছড়িয়েছেন যে পুরো উপন্যাসগুলো প্রায় প্রতিটিই জাস্ট দাঁড়ায়নি। সবই সাবজেক্টিভ কিন্তু পাঠক পাঠিকা মহলে এইমতে কনশেনসাস একটা পাবেন।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৪৭54268
  • মনে করুন একটা গোয়েন্দাগল্প। ছেলেটার নাম রিজওয়ানুর। সে খুন হয়ে গেল। গরীব ঘরের ছেলে, প্রেম করেছিল অন্য ধর্মে। এবার ফেলুদাকে নিয়োগ করছে রিজওয়ানুরের শ্বশুরমশাই খুনি কে তা জানবার জন্য। তোপশে ও জটায়ুসহ পার্কসার্কাসের বস্তিতে সবাই উপস্থিত হলো ফরেন মেড সবুজ হিসপানো সুইজা গাড়িতে। ড্রাইভার ধাঙড়বাজারের বাইরে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছে। বস্তির গলিতে নাকে সর্দিঝরা উলঙ্গ অর্ধ উলঙ্গ শিশু। ঘরের মাপ এত ছোট যে ভেতরে ঢোকা যায় না। পাশেই কলের জল তোলা নিয়ে খিস্তিসহ ঝগড়া চলছে। নিহতের মা কেঁদে চলেছেন বুক চাপড়ে। ফেলুদা তার জিনসের জ্যাকেটের পকেট থেকে চারমিনার বের করে গলির মোড় অবধি তাকিয়ে মোটামুটি সব জরিপ করে নিল। এবার নিহতের বিধবা মা কে জেরা করতে হবে। নিহতের শ্বশুর ফেলুদাকে আগাম দক্ষিণা দিয়েছেন। তাঁর মেয়েকে যে বিধবা বানালো সেই আততায়ীকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত শ্বশুরমশাইয়ের শান্তি নেই। জটায়ু নাকে রুমাল চেপে আছেন বস্তির গলিতে ঢোকার টাইম থেকে। সন্ধ্যা বলে একটা মেয়ে মন্দ মন্থরে গলির কাছটায় আসতেই লাউডস্পীকারে আজানের আওয়াজ পাওয়া গেল। সবাই মাথায় কাপড় দিয়ে ফেলল। এবার ফেলুদা নিহতর মাকে কয়েকটা প্রশ্ন করবে।
  • কল্লোল | 111.63.84.122 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৫০54173
  • আসলে কিরীটি আর দীপক চ্যাটার্জি পড়ার সময় ও বয়স আছে। এগুলো ব্যোমকেশ, ফেলুদা বা হোমস কি প্যোয়েরোর মতো কালজয়ী নয়। ওগুলোর রস পেতে গেলে ১৯৬৫-৬৬তে টিনকালে থাকতে হবে। যখন সমবয়েসী মেয়েরা কেমং জটিল গোছের হতো, যাদের কোন কথাই বোঝা য্তো না (যদি বা কথা বলার সুযোগ হতো, তবেই)। যখন সবে বাংলা পর্ণ রেরুচ্ছে - জীবন যৌবন। কোকশাস্ত্র বা কামলীলা কি কামসূত্র নয়। প্রতিমাসে যৌনতা নিয়ে পত্রিকা। যখন প্রথমবার ফুল ঔর পাত্থরে ধর্মেন্দ্র খালি গা দেখাচ্ছে, শাম্মীর আ-আ-আযার সাথে আশা পারেখ শেক করছে। আর তাতে বাঙ্গালী ভদ্রলোকে দিগ্বিদিক কাঁপিয়ে ছিছিক্কার করছে।

    স্বপনকুমারের একটা "কলেজ স্টুডেন্ট্দের জন্য" সিরিজ ছিলো। গল্পগুলোতে খুব একটা যৌনতা থাকতো না, ঐ আলোআঁধারী বারে নাচ-টাচ এই আরকি। কিন্তু এই সিরিজের প্রচ্ছদে লাস্যময়ী মাহিলার বেশ প্রলুব্ধকারী ছবি থাকতো। ফলে একবার জন্মদিনে পেয়েও হারাই, মানে বাবা বা মা হরিয়ে দেন আরকি।
    আর তাছাড়া এগুলো তো গোয়েন্দা গল্প নয়। এগুলো রহস্য-রোমাঞ্চ জঁরের। যেমন জেমস বন্ড।
  • T | 24.100.134.60 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৫১54269
  • প্রথম ভুলটা হচ্ছে যে ফেলুদা শখের গোয়েন্দা। তাকে 'নিয়োগ' করার প্রশ্ন নেই, সে কেস যদি ইন্টারেস্টিং মনে করে (প্যাঁচ ওয়াইজ) তবে নেবে না হলে পুলিশের জন্যই ছেড়ে রাখবে। এনিওয়ে, তারপর।
  • কল্লোল | 111.63.84.122 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৫৪54174
  • সুনীল ছাপার অক্ষরে বলেন, "সিনেমাটি আমার অরণ্যের দিনরাত্রি নয়" বা "সিনেমাটি সত্যজিতের অরণ্যের দিনরাত্রি" এরকম গোছের কিছু।
    তখন তীব্র মতবিরোধ ওরকমই হতো। আজকের মায়াপাতার মতো কেউ কাউকে ধোর বাল বা বোকাচোদা বলে দিতো না।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৫৬54270
  • রিলেট করবার একটা ব্যাপার আছে। ফেলুদার গল্পের কোনোখানেই আমি নিজেকে রিলেট করতে পারিনি। আমার শৈশবে কৈশোরে ওগুলো টাটকা লেখা গল্প। একই টাইমজোনে। একই শহর কোলকাতা। তবু গল্পগুলো এত দূরের কেন? আমার চেনা কোলকাতা সেখানে নেই। সমস্ত আবর্জনা দুঃখ গরম কষ্ট আরো অনেক কিছু ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে কেমন একটা ফিল্টার্ড জুস মতো। ফলের খোসা নেই, বীজ নেই, দাগ নেই, পোকা নেই, আছে একটা একঘেঁয়ে জুস, চুমুক দিয়ে গিলতে হয়।
  • sosen | 177.96.42.82 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৫৯54271
  • রিলেট বা আইডেন্টিফাই করতে গেলে ভালো লাগা বইয়ের সংখ্যা বেজায় কমে যাবে।
  • কল্লোল | 111.63.84.122 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৫৯54176
  • আমার যতদূর মনে আছে অভিনয় স্টাইল ও বাঈ নাচের দৃশ্যে ছবিবাবুর কস্টিউম নিয়ে বেশ ভালো-ই মতবিরোধ হয় ও ছবিবাবুর জেদই বজায় থাকে। ঘোড়ায় চড়া ও তালে তালে লাঠির মাথায় আঙ্গুলে তাল রাখা নিয়েও ঝামেলা হয়েছিলো।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৬:৫৯54175
  • আচ্ছা, ওটা "তীব্র" মতবিরোধ। বেশ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:০১54177
  • ধুস্‌, এসব তো সিনেমায় বানাতে গেলে হয়ই। পার্ট অফ্‌ দ্য প্রসেস - নো বিগ ডিল।
  • একক | 53.224.129.47 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:০৫54272
  • প্রত্যেক লেখকের সীমাবধ্ধতা আছে। তার মধ্যে ভালো লেখক তারা যারা জানে সে কোথায় সীমাবদ্ধ , আর বাকিরা সেটা জানে না । আমার মনে হয়না কাওকে দোষ দিয়ে লাভ হয় কিছু :) পড়তে গিয়ে অবস্যই মনে হয় এরকম হলো , ওরকম হলো না ক্যান ? সেক্ষেত্রে আইদার অন্য লেখক খোঁজা নইলে নিজে চাপ নিয়ে লিখতে বসা এ ছাড়া তো কোনো উপায় দেখিনা :) আর একটা ব্যাপার , বিশেষত গোয়েন্দা কাহিনীর ক্ষেত্রে । সাহিত্য রিয়ালিটি নয় ঠিকই কিন্তু রিয়ালিটির ওপরেই গড়া । গোয়েন্দা সাহিত্য সেটুকু ও নয় । বাস্তব জগতের গোয়েন্দা দের থেকে তাদের কোনো কেস শুনলে আদৌ গল্পের মজা পাবেন না । হয়ত শুরুই করবে এইভাবে : "আর বলোনা সে বাল সকালবেলা একে পেটে কিছু পরেনি ,ওদিকে হ্যাং কেস , হেগে ফেলেছে , আইও মাল টা নতুন জয়েন করেছে কিস্যু বোঝেনা , ফরেনসিক এ আবার তিনদিন পরপর ছুটি ওদিকে আগের ফাইল জমে ......." । পাবলিক এসব শুনতে চায়না । পাবলিক আসলে গোয়েন্দা গল্পের নামে পড়তে চায় যা সে নিজে কল্পনা করে গোয়েন্দা দের রোমাঞ্চকর জীবন তাঁদের ক্ষুরধার বুদ্ধি এইসব । কাজেই লেখক কেও সেইভাবেই ফোকাস করে ব্যাপারটা সাজাতে হয় । গোয়েন্দা গল্প এত একমাত্রিক হওয়ার সেটা একটা বড় কারন।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:০৯54273
  • সোনারকেল্লা সিনেমাটা আমি বাচ্চা বয়সে রাধা সিনেমায় (নাকি উত্তরা?) ব্যালকনির সীটে বসে দেখেছি। গল্পে যেগুলো ভিজুয়ালাইজ করতে পারিনি সেগুলো রূপালি পর্দায় দেখে মনে অদ্ভূত অনুভূতি হয়েছে। তোপশে দুধের গেলাসের আদ্দেক দুধ না খেয়েই পালালো। ফলের রস খেলো না। তোপশের বাবা মা কেমন যেন সাজানো বাবা মা। ফলের রস না খেয়ে, দুধ ফেলে ছড়িয়ে খায়! বড়োলোক নাকি? ফেলুদারা রাজস্থানে যায়, সোনার কেল্লায় যায়, পুরো ব্যাপারটায় আমার মনটা অনেক কিছু মেলাতে পারে না। আমার বয়স মুকুলের চেয়ে বেশি, তোপশের চেয়ে কম। ভীষণ আর্টিফিশিয়াল লাগে। সিনেমা দেখে ফিরবার পথে অন্যমনষ্ক থাকি। ফেলুদাযে আসামীদের ধরে ফেলবে সে তো বই পড়ে আগেই জানতাম। যেটা জানতাম না, সেটা হচ্ছে তোপশে ফেলুদার কোলকাতা বা আরো অনেক কিছু আমার থেকে অনেক অনেক দূরের। আমি একটা জায়গাতেও নিজেকে বসাতে পারি না।
  • de | 24.139.119.174 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:১২54178
  • যাবৎ বাঁচি তাবৎ শিখি - ঃ)) কিস্যুই জানতাম না!

    ঘাসের চটি আমারো খুব দেখার ইচ্ছে ছিলো।

    আহা, শারদ্বত কি ভালো বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করে!
  • T | 24.100.134.60 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:১৩54274
  • প্রথমতঃ 'রিলেট করা' ব্যাপারটা অ্যামন আবশ্যিক ক্যানো। রিলেট করা না গেলে কি ভালো লাগে না না খারাপ লাগে না। আমি তো হগওয়ার্টসে পড়িনি, ইংল্যান্ডে যাই নি, ম্যাজিক তো দূরের কথা, ব্রিটিশ বন্ধু অবধি নেই।

    দ্বিতীয়তঃ সত্যজিত যে ভাবে লিখছেন তাতে সামগ্রিকভাবে খুব কি ফিচারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটার উদাহরণ দেখবেন ফেলুদার ইলাস্ট্রেশনগুলোতে। কাঠমান্ডুর মন্দিরের ছবি, কিন্তু সামনের রাস্তার টুকরোটাকরা আবর্জনার হদিশ নেই। কাশী বিশ্বনাথে ক্যাপ্টেন স্পার্কের বাড়ী থেকে পাশের বাড়িতে জনতা বাঁশের লাঠি বেয়ে ছাদ ডিঙোচ্ছে, ইলাস্ট্রেশন দেখুন। বেশীরভাগ সময়েই মিনিমালিস্টিক রেখা। পাঠকদেরকে ছেড়ে দিচ্ছেন বাকিটা ভেবে নেওয়ার জন্য। সব ধরে ধরে বলতে আরম্ভ করলে পাঠক সিরিয়াসলি এনগেজড থাকবে ক্যানো? যতটুকু দরকার ততটুকু, সহজ, সরল। উল্লেখযোগ্য ব্যবহার লাইট এন্ড শেডএর। সোনার কেল্লার ইলাস্ট্রেশন। একসাথে সবটা দেখতে নেই, তাই ডাকাতের গালপাট্টার বিবরণ রয়েছে। এতে কী এলিমেন্টগুলো বা ক্লুগুলোর প্রতি ফোকাসড থাকা যায়। উলটো ধরণ লীলা মজুমদারের। বনের বিবরণ, এবং কি নিখুঁত। ঐশ্বরিক ক্ষমতা না হ'লে ওসব নিয়ে সুস্বাদু কিছু লেখা যায় না। এবং পান্ডব গোয়েন্দা দেখুন, লজের নাম ঠিকানা টেলিফোন নাম্বার কত নম্বর বাস, কে হ্যাঁচ্চো করল, এবং পুরোটাই জিজিতে গ্যাচে। এইসব আর কি।

    আর ফেলুদার সমস্ত গল্প তো কলকাতায় নয়, ইন ফ্যাক্ট হরিদ্বার বা লছমনঝুলা বা কাঠমান্ডুর কি বর্ণনাই বা আছে।
  • T | 24.100.134.60 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:২০54275
  • সমাজের সব স্তরের মানুষের, এবং সব শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌঁছতে গেলে তো অ্যাবস্ট্রাক্ট কিছু ছাড়া উপায় দেখছি না। কবিরা সাধারণত এই সুবিধে পেয়ে থাকেন। গদ্যলেখকদের কাছে এ তো মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। কটাই বা উতরোয়। 'তিতাস একটি নদীর নাম' পড়ে কজন মধ্যবিত্ত ড্রেসিংরুম ওয়ালা বাঙালী মালোপাড়ার...:)
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:২৪54276
  • আবশ্যিক হবে কেন? রিলেট না করেও গাদা গাদা ফেলুদা ফ্যান। রিলেট করা না করা তো সিঙ্গল ডিজিট বয়সে বুঝতাল না। যেটা অনুভব করেছি সেটাই বললাম। একটা সিনেমা একবারই দেখেছি, তখন ভিএইচএস আসে নি। পরে, প্রায় পঁচিশ বছর পরে মেয়েকে দেখানোর জন্য ডিভিডি কিনলাম। সেই এক ধাক্কা। সেই এক জায়গায়। ওভারনিটঅ্যান্ডক্লীন। আলপনার মতো।
  • T | 24.100.134.60 (*) | ০৪ মে ২০১৬ ০৭:২৬54277
  • যা ব্বাবা, মূল আপত্তিটা তো রিলেট না করতে পারা নিয়েই বোধহয়। সেইরম অনুভবই তো শুনছিলাম। যাক সে কথা, আমার আর কিছু বক্তব্য নাই, যা লেখার লিখে ফেলেছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন