এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন বিষয় : নতুন বিষয় : নতুন বিষয়

    notun bishoy
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০১১ | ১৬৩৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sayan | 160.83.96.83 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১৮:০১477127
  • শুঁড়িপথ বেয়ে উঠে আসে বুনো স্পাইডারম্যান। করুণ ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকায় ছেঁড়া জালের ধ্বংসাবশেষের দিকে, প্রশ্ন হানে, "বিদ্যা, আমার ঘর ভাঙলে কেন, জবাব চাই জবাব দাও, দাও, দাও' ...
  • pi | 72.83.85.245 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫৫477128
  • সেই অল্প অল্প খুসকিরা শান্তির আশ্রয় পেয়েছিল নীহার শান্তি আমলা ওএলের সিক্ত স্নিগ্‌ধ এবং স্বল্প চ্যাটচ্যাটে স্পর্শে।
    বিদ্যা কি কেবলি ছবি, সুদূর নীহারিকা ?
    'জানিনা'।
    আমি না।
    কবিও না।
    কয়ে গেছেন চন্দ্রবিদু।
    তাঁদের জিগান।
  • i | 137.157.8.253 | ২০ এপ্রিল ২০১২ ১০:৪৫477129
  • রেডিওতে বিবিধ ভারতী চলছিল-আমলা তেলের। টিভির আওয়াজ শুনছিল বিদ্যা-বোধ হয় স্টার-'স্পাইডার্ম্যান স্পাইডারম্যান'। বড় রাস্তায় মিছিল যাচ্ছিল -'জবাব চাই, জবাব দাও'। এই সব শব্দ আওয়াজ কখনও খুব স্পষ্ট কখনও আবছা হয়ে কানে আসছিল বিদ্যার। একটা শব্দ একটা আওয়াজের পিঠে সওয়ার হচ্ছিল কখনও, একটা আওয়াজ আবার একটা শব্দকে ভেঙে খান খান করে ছড়িয়ে দিচ্ছিল। ভাঙা শব্দগুলি জুড়ে যাচ্ছিল নিজে নিজেই। পর্যায়হীন। ও বুঝতে পারছিল ওর মন ভালো নেই। ও বুঝতে চাইছিল ও নির্জনে আছে।
  • achintyarup | 14.99.173.127 | ২১ এপ্রিল ২০১২ ০৫:৪৮477130
  • ও বুঝতে চাইছিল ও নিরালায় আছে। ব্যথায় আছে। রাজপুরীর সেই কোণের ঘর ফার্নিচারহীন, ঘটাং ঘট ঘটাং করে ঘুরে যাচ্ছে ক্রম্পটনের পুরোনো সিলিং ফ্যান, বিদ্যা বসে আছে মাটিতে। দুই হাঁটুর ওপর রাখা তার চিবুক, আলতো হাওয়ার ছোঁয়া তার কপোল বেয়ে গড়িয়ে আসা চুলে, পাড়হীন সাদা শাড়িটির আঁচল মেঝেতে ছড়ানো। বিদ্যা নির্জনে আছে। মাথার মধ্যে একটা কী সুর গুনগুনিয়ে বেজে যাচ্ছে তার -- শান্ত নদীটি পটে আঁকা ছবিটি। মিছিলের শব্দ ছাড়িয়ে সেই সুর চলকে পড়ছে, কাঁপছে, ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে। খোলা জানালা দিয়ে এক চিলতে অন্ধকার এসে পড়ছে মেঝেতে।
  • dd | 110.234.159.216 | ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৩:৫৮477131
  • শুঁড়িপথ দিয়ে মাতালেরা আসে, হাতীপথ দিয়ে দাঁতালেরা। গাঁটকাটারা আসে চুরি করে।
    সামনে দেখে এক কবন্ধ, তার দুই হাঁটুর উপরেই চিবুক আর চিবুকের সাথেই সাঁটা তার মাথা।
    সে লেখে এক নিবন্ধ, তাতে সনির্বন্ধ অনুরোধ করে বিলেতে যেও না, চিলেতে ধরবে। কিন্তু অন্ধকার কথা শোনেনা। সে অনুপম (খের নয়) ভংগী করে কয় "চিল ইট, ডুড্ডু"।
  • achintyarup | 141.0.10.23 | ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৫:২২477132
  • অন্ধকারে চৌরাশিটা চিবুক জ্বল জ্বল করে। আর টিক টিক করে ডাকে।
  • i | 202.159.132.144 | ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৪২477133
  • চৌরাশি আয়না। ফ্লুওরেসেন্ট। একলা টিকটিকি। রাত নামছে।
  • dd | 110.234.159.216 | ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৪477134
  • রাশি রাশি চৌ, গাদা গাদা চিলি চিকেন। সেন্টেড ফ্লু। টিকটিকি কভু একলা নয়, তার কাছে তার মা থাকে।
    উদিকে রাত নামছে, ভোর ভোঁস ভাস ঘুমাচ্ছে, দিনে একটু বেড়াতে গেছে। বলেছে কাল ফিরবে।
  • i | 202.159.132.144 | ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৭:১৫477135
  • বলেছিল কাল। ফিরল আজই। এবারে বাঁদিকের গেট। এবারে বিনুণী। এবারে বি নয় , এবারে ভি।

  • pi | 72.83.85.245 | ২২ এপ্রিল ২০১২ ০৩:১৮477137
  • ভি নয়, ভি নয়। ওটা হবে ভৌ ভৌ।
    এভাবেই মিল দিন, বলেন অমিত চৌ।

    ভৌ ! ভৌ !
    না:, ভোরটাকে আর ভোঁসভাঁস ঘুমুতে দিলে না এরা।

  • i | 147.157.8.253 | ০৩ জুলাই ২০১২ ১০:৩৮477138
  • কুকুর ডাকছিল। কেমন কান্নার মত আওয়াজ করছিল। বিবিধ ভারতী চলছিল না। কখন যেন বন্ধ হয়ে গেইয়েছিল। বিদ্যা বাইরে এল। বাইরে । বারান্দায়। যদিও বকুলগাছ জ্যোৎস্নায় ভিজে যাচ্ছিল অবিরাম, বারান্দাময় বকুল নয়, ভাঙা আরশির টুকরো বিছানো ছিল। সেই জ্যোৎস্নাময় রাতে অজস্র প্রতিফলন দেখছিল ও। টুকরো কাচে সহস্রবুটি। বিনুনী এবং ভিদ্যা। বাগানের গেট বন্ধই ছিল।
  • achintyarup | 24.96.33.143 | ০৪ জুলাই ২০১২ ০৪:০৭477139
  • মাঝরাতের দিকে শীত পড়েছে জমিয়ে। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রাজকুমার ফোঁওৎ করে নাক ঝাড়ে। উঠোনের পেছনের মন্দুরায় দাঁড়িয়ে ঘুমোতে ঘুমোতে চমকে ওঠে পক্ষীরাজ। তারপর ন্যাজ নাড়তে থাকে। তার দুকাঁধের কাছে ডানার কুঁড়িগুলোতে ব্যথা করে।
  • Qy | 161.141.84.239 | ০৪ জুলাই ২০১২ ০৪:২১477140
  • চাঁদের আলোর ভিতর দিয়ে উড়ে নেমে আসে এক দুধসাদা পক্ষীরাজ, আসলে সে মেয়ে পক্ষীরাজ, পক্ষীরাণী ও বলা যায়। দুইপাশে তার দুই ডানা মেলা। মন্দুরার কিশোর পক্ষীরাজটির কাছে এসে সে বলে, "অ্যাই ভোঁদু, দড়ি কাটতে পারিস না? চিবিয়ে কেটে ফ্যাল, তারপরে-- তুই তো উড়তে পারবি না, দৌড়ে পালাই চল ঝাঁঝার জঙ্গলে।"
  • i | 147.157.8.253 | ০৪ জুলাই ২০১২ ০৬:৫৩477141
  • পক্ষীরাজ মাথা তোলে, কেশর ঝাঁকায়, জোছনা পিছলে পড়ে শরীরে। সে শিকল ছেঁড়ার চেষ্টা করে। পারে না। পক্ষীরাণীটি তার দীর্ঘ পক্ষ বিস্তার করে কিশোর অশ্বটিকে বেষ্টন করে। শিকল খুলে যায়। চাঁদের আলো মাখা উঠান, বকুলগাছ। অনন্ত মায়া। তবু তারা ডানা ঝাপটায় ও উড়ে যায়।

    বারান্দাতেও চাঁদ ছিল। জ্যোৎস্না আর গ্রিল গরাদের ছায়া। বিদ্যা বারান্দা পরিষ্কার করছিল। সমস্ত কাচের টুকরো টুকিয়ে তুলছিল ওর হাত, ওর আঙুল। এই নিরন্তর মার্জনায় ভিদ্যা হারিয়ে যাচ্ছিল, হারাচ্ছিল বিনুনী। বারান্দা জুড়ে এখন শুধু জ্যোৎস্না আর এলোচুল। ঝরাপাতা তাতে, ঈষৎ খুশকিও। উকুন ছিল না।

    এই সব জ্যোৎস্নাকথা, যাবতীয় এলোকেশ, ও ভাঙা আরশি টুকিয়ে তোলার সাক্ষী ছিল রাজকুমার। রাজকুমার রায়না। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। বাঁ হাতে নাক ঝাড়ছিল, ডান হাতে নোট নিচ্ছিল সে। সব্যসাচী।
  • | 127.194.99.127 | ০৪ জুলাই ২০১২ ০৮:৫১477142
  • তবে আপনারা ভাববেন না কবি এখানে সব্যসাচী বলতে সেই মহাভারতের অর্জুন কে বুঝিয়েছেন। আসলে ইনি হালের সব্যসাচী চক্রবর্তী।টল ,ডার্ক,হান্ডসাম(?)। ইদানীং ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করে নাম কিনেছেন।
  • i | 147.157.8.253 | ০৬ জুলাই ২০১২ ০৭:৩৩477143
  • রাজকুমারকে ফেলুদা বলত একজন। নীপবীথি সান্যাল। ক্লাস ফোরে সহপাঠিনী ছিল রাজকুমারের।
    লন্ডনের পিসেমশাই নীপবীথিকে একটি খাস বিলিতি ওয়াটারবটল প্রেজেন্ট করেন জন্মদিনে। যদিও সে বোতল ভরে টালার পরিস্রুত জলই আনত নীপবীথি, সে জলে টেমস এর রাজকীয়তা পরিলক্ষিত হত পিসেমশাইহীন কতিপয় সহপাঠীর চোখে। গোপন ঈর্ষায় ।
    ফলতঃ একদিন টিফিনবেলার অনতিকাল পরেই নীপবীথির আকুল ক্রন্দন- আমার বোতল কোথায়?
    রাজকুমার এর সে বয়সেই সন্ধানী চোখ। এক সহপাঠীর আচমকা ফুলে ওঠা স্কুলব্যাগে তার দৃষ্টি আটকায়। বোতল উদ্ধার হয়।
    পরদিন নীপবীথি রাজকুমারকে একটি ছবি এঁকে দেয়-নীল প্যাস্টেলের জল ও আকাশ। কালচে জাহাজ, লাল সূর্য ও উড়ন্ত সবুজ পাখি। ছোটো ছোটো ঢেউভরা জলের এককোণে বেগুণী কালি-টু ফেলুদা। উইথ লাভ। বীথি।
  • i | 147.157.8.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:৪০477144
  • শাদা পাতা। কেউ লেখে না।
  • শঙ্খ | 169.53.110.143 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:১১477145
  • আমি লিখছিঃ

    তোপসে এই গল্পটা চারপাতা লিখে ফেলেছিল। গল্পটার নাম 'বালিগঞ্জের বীথির বোতল ও বাল্যব্যথা বিষয়ক' রাখাতে ফেলুদা দুটো পাতা জ্বালিয়ে এক প্যাকেট চারমিনার খেয়ে ফেলে। বাকি দুটো পাতা দিয়ে ভিদ্যার জন্য রানিং হট ওয়াটার তৈরি হয়। নীহার আমলা মাখা চুলে গল্পের ঘ্রাণ লেগে থাকা গরমজলের স্পর্শে ভিদ্যার মাথায় উকুন মরে যায়, জন্ম নেয় 'কাহানি'-র কাহিনী। কিন্তু মোটে দুটো পাতার জন্যে প্লটটা আধা খ্যাঁচড়া হয়ে যায়।

    সেই চারটে পাতা থাকলে কি হত, অভীক সরকার আজো ভাবে আর রাতে গুমরে গুমরে কাঁদে। সত্যজিতের অপ্রকাশিত গল্পের বদলে এবারের পুজোতেও তাকে রবীন্দ্রনাথের অপ্রকাশিত চিঠি ছাপাতে হবে।

    মাঝ রাত্তিরে আকাশে গোল থালার মত বড় চাঁদ ওঠে। সেই আলোয় ঝলসিয়ে ওঠে পক্ষীরাজ, তার শাদা দাঁতের হাসি।
  • i | 147.157.8.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১০477146
  • হয়বদনী হাসিকে লাজে লুকালে সে জোছনারূপ ধারণ করে। বিদ্যা বারান্দায় হাঁটে। গ্রিলগরাদে উঁকি দেয়। বাগানে তাকায়। বকুলডালের আগায় জ্যোৎস্না। বনজোছনা মনজোছনা।
    রাজকুমার লুকিয়ে দেখে বিদ্যাকে। সিগ্রেট ধরায় একটা । নাক ঝাড়ে। তারপর মোবাইলে দুটো টেক্স্ট পাঠায় । একটায়-সিচুয়েশন আন্ডার কন্ট্রোল। অন্যটায় -ভালোবাসি।
  • | 75.255.37.237 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:২১477148
  • রাজকন্যা বসে বসে মোবাইলে .....
    ভবদুলাল কিছুই বুঝলেন না, রাজকন্যার গ্যালাক্সিতে পরমব্রত কেন নড়ছে! ভাবলেন কোনওভাবে রাজপুত্রের কানে তুললে ইনকাম হতে পারে |
    কন্যে কী বুঝল কে জানে, ভবদুলালএর বুক থেকে চিপস্ খুলে মাথায় লাগিয়ে দিল, ফলে ভবদুলাল নিজেকে ফেঃবুঃদালাল ভাবতে শুরু করল!
    এদিকে পেয়াদারা আন্তর্জালে কিস্যুটি করতে পারছে না, বরং কয়েকবার বর্গিদের চায়ের কাপে ক্যাল খেয়েছে তাই হীরকএর রানী মহা টেনশনে...
    'নতুন বিষয়' রাজ্যে নিশ্চয় তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে অথচ তিনি খেই পাচ্ছেন না|
    ভাবছেন গোপন্পতির কথা কি বর্গিরা জেনে গেছে?
    বুদ্ধিজীবীরা ফেলুদাকে ঘাড় ধরে মাঠে নামাতে ব্যস্ত, কিন্তু তিনি যে লণ্ডনএ ছোঁড়া পাতার জেরক্স কপি উদ্ধারে গেছেন !
    সুযোগ বুঝে তপসে যা পারছে ভাটাচ্ছে......
  • achintyarup | 69.93.246.28 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:১৯477149
  • জোছনায় চমচম করছে চারদিক। একটু শীত শীত ভাব। জোনাকিরা তেঁতুল পাতার ওপর ডানা মুড়ে বসে চাঁদের আলো পোহায়। কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে গা মোড়ামুড়ি দেয় বুড়ি লক্ষ্মীপেঁচি। তারপর ডানা সাপটে উড়ে যায় প্রাসাদের দিকে।
  • nina | 78.34.167.250 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:৫৩477150
  • প্রাসাদের গায়ে লেপ্টে রয়েছে নীল নীল জোছনারা--বাতাস ফিস ফিস করে কত কি বলছে ---গহীন কালো রাত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে অপেক্ষায়------
  • শঙ্খ | 118.35.9.186 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:২০477151
  • এই রাতেই কালপুরুষ নেমে আসে মসৃণ বালির চকে। তার কুকুরের এলোমেলো, মুক্ত, আহ্লাদী পায়ের ছাপ লুটোপুটি খায় অন্যমনস্ক বাতাসে। কালপুরুষের ভেজা হাতের তালুতে নিশ্চিন্তে চোখ বন্ধ করে ঘুরুর ঘুরুর শব্দ তোলে তৃপ্ত পায়রা। প্রাসাদের কার্নিসের ছোট্ট খুপরিতে।

    প্রাসাদের কোন এক ঘরে বিছানায় প্রায় মিলিয়ে আসা বুড়ি মায়ের অবয়বের দিকে তাকিয়ে মমতায় গলা বুজে আসে প্রৌঢ়ত্বের চৌকাঠে থমকে থাকা চিরশিশুর। পাশের ঘরে রুজু জানালায় কালপুরুষের আকাশ ছুঁইছুঁই ব্যাপ্তি দেখে রাতজাগা নবজাতক ফোগলা মাড়িতে হাসে, দুটো একটা তারা চেবাবে বলে বাড়িয়ে দেয় তুলতুলে আঙ্গুল, তার গাল চেটে দেয় চির উজ্জ্বল কুকুর। আবার এক চক্রের সূচনা ও সমাপ্তি, তবু এই সবের মধ্যেই সৃষ্টিসুখের উল্লাসে ক্লান্তি নামে তারও পাশের ঘরে।

    একলা নির্জন প্রান্তরের ওপর দিয়ে অনেকদিনের জমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কালপুরুষ, ছোট্ট ধুলোর ঝড় ঘুরতে ঘুরতে মাড়িয়ে যায় ভীতু খরগোশের গর্ত, বালিহাঁসের বিল, নিঃসঙ্গ রেলব্রীজ। তার হাসিতে তেঁতুল আর ছাই দিয়ে সদ্য মাজা চাঁদের থালা ঝকমকিয়ে ওঠে। তার মনখারাপে একবিন্দু জল কেউ-জানে-না-কোথা থেকে টুপ করে ঝরে পড়ে, সেই জল জমে শুক্তির বুকে, কালপুরুষ আলতো হাতে মুড়ে দেয় তার খোলা।

    এই রাতেই কেউ চিঠি লেখে আকাশের ঠিকানায়, শুধু লেখে ভালো আছি, ভালো থেকো। আর তখুনি অনেক দূর থেকে ভেসে আসা ফিসফিসে গলায় বন ডাকে কালপুরুষকে। সমুদ্র ঢেউভাঙ্গা মিনতি পাঠায় বালির চকে, স্থাবর প্রাসাদ অশ্বত্থের চারা উঁচিয়ে ধরে তার ছাতের অগোচর কোণে....

    যেতে যেতে কালপুরুষ কি একবার ফিরে তাকায়?

    কে জানে?

    ফিকে হয়ে আসে রাত।
  • | 75.255.37.169 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১১477152
  • চাঁদের বুড়ি থেকে কালপুরুষএর পিঠে চেপে নেমে আসে সুকুমার রায়, চেখে যায় তার রচনার সিকোয়েল| বিন্দু অশ্রু ঝড়ে পরে গুচর পাতায়|
    কালপুরুষ মিলিয়ে যাবার আগে আলতো কাঠি বুলোয়
    ফেবুদালালের চোখে| অবশ হয়ে আসে চোখ|
    আকাশ ফরসা হয়.....
  • i | 147.157.8.253 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:৪১477153
  • এ' কহানী অদ্যপি তুমুল জ্যোৎস্নাময় ; গল্পের খেই পূর্ণ চাঁদের মায়ায় পথ হারায়। একসময় বেনোজলে চাঁদ ডোবে। হয়। নক্ষত্র অপসারিত। এই সময় গ্রিলগরাদ বরাবর আলো আসতে থাকে। ধূলিকণাগুলি দৃশ্যমান হয়। কোথাও কুকুর ডাকে। মোবাইলের রিংটোনে লুব্ধক ডাকলে কালপুরুষ বসাক চোখ কচলায়। কালপুরুষ রাজকুমার রায়্নার অ্যাসিস্ট্যান্ট। বালিশে কনুই রেখে ঘড়ি দেখে। আটটা বেজেছে।
  • i | 147.157.8.253 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:৪২477154
  • হয় হবে না।
  • i | 147.157.8.253 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৪:০৬477155
  • অ্যাকচুয়ালি কাল রাতে ভালো ঘুম হয় নি কালপুরুষের। জ্যোৎস্নায় গা কুটকুট করছিল। পায়ের কাছে চাঁদ আসছিল জানলা দিয়ে। পা বেয়ে গায়ে। শেষরাতে জানলা বন্ধ করে দেয় কালপুরুষ। তখন ঘুলঘুলি দিয়ে হ্যাংলা চাঁদ আবার ঢোকে। তারপর চাদর টানে গায়ে। চাদরে চাঁদ নিয়ে ঘুমোয়।
    এখন মোবাইল সাইলেন্ট করে বালিশে মুখ গুঁজেছে কালপুরুষ।আর একটু ঘুমোবে।
  • i | 147.157.8.253 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৪:১২477156
  • অ্যাকচুয়ালি কাল রাতে ভালো ঘুম হয় নি কালপুরুষের। পায়ের কাছে চাঁদ আসছিল জানলা দিয়ে। পা বেয়ে গায়ে। শেষরাতে জানলা বন্ধ করে দেয় কালপুরুষ। তখন ঘুলঘুলি দিয়ে হ্যাংলা চাঁদ আবার ঢোকে। কালপুরুষ তখন চাদর টানে। চাঁদ নিয়ে ঘুমোয়। জ্যোৎস্নায় গা কুটকুট করে ওর।
    এখন মোবাইল সাইলেন্ট করে বালিশে মুখ গুঁজেছে কালপুরুষ।আর একটু ঘুমোবে।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৫১477157
  • সত্যি। জ্যোৎস্নার বড়ো অত্যাচার চলে সারা রাত।

    পক্ষীরাজ বাবু ডিনার সেরে বাইরের ঝুল বারান্দায় বসে খুব মিহি সুরে একটি কালোয়াতি গান ভাঁজবার চেষ্টা করছেন সেই সময় দড়াম করে এক তাল জোছনা তার মাথায় পরে একাক্কার। কবিরাজ পর্যন্ত্য গড়িয়েছিলো সেই ঘটনা।

    কালো পুরুষ আর সাদা মহিলা অমনই এক রোম্যান্টিক সন্ধ্যায় হাত ধরাধরি করে হাঁটছেন আর বিড় বিড় করে মধুর মধুর কবিতা আবৃত্তি করছেন এমন সময় মাটীতে পরে থাকা জোসনায় পিছলে পরে সাদা মহিলাকাদায় মাখামাখি আর ছিটকে আসা জোছনায় কালো পুরুষটিও জুবজুবে হয়ে যান এবং যুগ্ম ভাবে জেব্রারুপ ধারন করেন। সে এক কান্ডো।

    পরন্তু ঘুলঘুলি দিয়ে উঁকি মারা, চৌখাটের নীচ দিয়ে সুরুৎ করে গলে যাওয়া, পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে হু হু করে সিটি মারা এসব তো চলেই।

    এ ছাড়াও উপনিষদের ছেলে রাত্রি ও বেদের মেয়ে জোৎস্না নিয়েও অনেক কিৎসা আছে। সে গুলো বড়োদের জন্য।
  • i | 147.157.8.253 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:২৬477159
  • সেই সব জোছনা কিৎসা এড়িয়ে চলে কালপুরুষ। অন্যথায় হাঁচি হয়। গা চুলকোয়। এই মুহূর্তে কালপুরুষ জ্যোৎস্নাহীন। বালিশে ইঞ্চিখানেক রোদের ফালি নিয়ে ঘুমোচ্ছে। এলোমেলো বিছানা, ঘরদোরে চুইঁয়ে ঢুকছে রোদ্দুর। রোদ্দুরের ফালি দেড় ইঞ্চিটাক হয়ে চোখের পাতা ছুঁয়ে যায় কালপুরুষের। বালিশের পাশেই মোবাইল । ঊনিশটা মিসড কল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন