এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন বিষয় : নতুন বিষয় : নতুন বিষয়

    notun bishoy
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০১১ | ১৬৩৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 137.157.8.253 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৭:২৯477345
  • সেই মুহূর্তে মধ্যযামের নক্ষত্রসকল দিনের আলোর গভীরে না গিয়ে চ্যানেলে চ্যানেলে সেঁদোচ্ছিল। আকাশ অন্ধকারময়। রাজকন্যা মীরাক্কেল দেখছিলেন। মুক্তোঝরা কলগেট হাসিতে চাট্টি নক্ষত্র এϾট্র নিল।
    কুমার ধড়মড়িয়ে ছাদ থেকে নেমে এলেন- জেলুসিল দিতে ভুলে গেলাম। যে। গ্রাইপওয়াটার যদি যথেষ্ট না হয়!!!
    রাজকন্যা তারাদের কপ করে গিলে গম্ভীর -দাদা, খুলে বলো।
    কুমার গোঁফে আলতো আলতো হাত বুলিয়ে বললেন-চুপ, চুপ। দেয়ালেরও কান আছে।
    রাজকন্যা কইলেন-আমার ফেসবুক অ্যাকসেস নাই। নির্ভয়ে কও।
    কুমার কানে কানে কইলেন-হীরকের রাজ্যে ট্রাফিক সিগনালের আকাল। রাণীর চাই ভবদুলালকে। ভবদুলালকে।
    রাজকন্যে যাঁর হাসিতে কলগেট, দেহগন্ধে শ্যানেল,পদযুগলে মেসি-কইলেন, হীরক খবর পায় ক্যামনে?
    কুমার নাক চুলকে বলেন-নো আইডিয়া।
  • i | 137.157.8.253 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৭:৪১477346
  • সেই নির্জন বনভূমিতে অবিন এবং ঘোড়সওয়ার যখন নিবিড় আলোচনায় রত, সেইখানে এসে দাঁড়ায় আর এক নারী-তার দেহগন্ধে শ্যানেল নাই, হাসিতে নক্ষত্র নাই, আছে মগজে এর্কুল পোয়ারো, শার্লক হোমস, ব্যোমকেশ বকশি, হৃদয়ে নারনিয়ার সিংহ।
    ফিসফিসিয়ে বলে-গ্রাইপ ওয়াটার যথেষ্ট নয়। মগজাস্ত্র আবশ্যক।
    অবিন, ঘোড়্‌সওয়ার চমকে ফেরে। বনমাঝে একাহারী তিত্তিস।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:৩৮477347
  • তিত্তিস বলে চলে একমনে আর সেই রাতে প্রতিটি কথা প্রতিধ্বনিত হয় অন্ধকারের অলিন্দে। কথায় বলে সময়ের স্মৃতি অতল, তাকে ছুঁতে লাগে অতলস্পর্শী গভীরতা অথবা একমুঠো অন্তরঙ্গতা। ভবিষ্যতের দিকচক্রবালে দাঁড়িয়ে তিত্তিসের অমোঘ মগজাস্ত্র পেরিয়ে চলে সময়ের সীমারেখা, নির্বাক শ্রোতা হয়ে শোনে অবীন ও তরুণ তুর্কী। গ্রাইপ ওয়াটার লাগবে কার? ভবদুলালের। ভবদুলাল আসলে কে? ভবদুলাল আসলে বাস্তব ও পরাবাস্তবের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিমূর্ত নির্মাণ। ওদিকে চ্যানেলে চ্যানেল সেঁদিয়ে থাকা তারারা হঠাৎ চমকে উঠে একে অপরের দিকে তাকায় - তাহলে তারা একা নয়। তাহলে গ্রাইপ ওয়াটার কার লাগে? চ্যানেলে সিধোনো বিমূর্ত অবস্কিওরিটির নাকি রাজপ্রাসাদে সিঙারা সাঁটানো মূর্তিমান বর্তমানের?
  • achintyarup | 115.111.248.6 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:০৩477348
  • কিন্তু ভবদুলালের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখ, গভীর নিতল চোখে টলটল করছে জল। দীঘির মত সেই চোখ, তার জলের নিচে পানি, তার নিচে আবার জল। সে দীঘির লোনা জল যেখানে গিয়ে হৃদয়সাগরে মিশছে, ঠিক সেখানে ভেসে রয়েছে এক নির্মোহ বদ্বীপ। তার ওপরে বসে আছেন মৎস্যকন্যা। এক হাত গালে, এক হাত ডাঙ্গায়। সোনালি-রুপুলি আঁশে ঢাকা তাঁর পুচ্ছটি এলিয়ে রয়েছে জলে। আলস্যে হাই তুলছেন কন্যে, সতৃষ্ণ চোখে তা দেখতে দেখতে সসম্ভ্রমে অনেকটা দূর দিয়ে সাঁতরে চলে যাচ্ছে হাঙ্গর কুমীরের দল।

    মৎস্যকন্যার চোখ দুটি অপরূপ। টলটলে গভীর দীঘির মত। তাতে ফটিক-স্বচ্ছ জল। সে দীঘির একেবারে তল পর্যন্ত দৃষ্টি চলে যায়। দীঘির নিচে বিশাল এক প্রাসাদ। তার চারদিকে যেন ধু ধু বালির মরুভূমি। চারদিকে কেউ কোত্থাও নেই। হাঁ করে খোলা প্রাসাদের সিংদুয়ার। সেখানে প্রহরী নেই।
  • i | 124.171.36.33 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১১:২৪477349
  • আর সেই সেখানেই-সেই জল-সেই বালি সেই বদ্বীপ পেরিয়ে যে প্রাসাদ-সেইখানেই ভবদুলালের সার্ভার-মৎসকন্যার হেফাজতে। নাটবল্টু খুলে সার্ভার কব্জা করতে এসেছে হীরকের পেয়াদা।
    -গ্রাইপ ওয়াটারে কাজ হবে না কেন বুঝতে পারছ? তিত্তিস বলে।
    ঘোড়সওয়ার আর অবিন মাথা নাড়ে -তাহলে উপায়?
    -ডেকচি, গামছা , গজদাঁত-একটা নকশা -
    -কি নকশা? পেয়াদাই বা কে?
    তিত্তিস হাতের কন্দে মৃদু কামড় দেয়-বলছি।
    তরুণ তুর্কী গ্রাইপ ওয়টার এ হাত থেকে ওহাতে নেয়। আলতো লোফালুফি করে। অবিনের বাঁহাত ছুঁয়ে আছে ডান হাতের কনুইকে। দক্ষিণ তর্জনী ঠোঁটের ওপর স্থাপিত। কপালে ভাঁজ।
    এই মুহূর্তে বনভূমি নিস্তরঙ্গ। অশ্বটি চরে বেড়ায়। পূর্ণিমা । জোছনার ফুল ফুটছে চরাচরে। অরণ্যে।
  • pi | 72.83.80.169 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১২:২৪477350
  • আর হু হু হাওয়া। টুপ করে খসে পড়ে একটা গন্ধরাজ।টিপ করে। মৎস্যকন্যার এলোখোঁপার বাঁকে।
    ঝুম ঝুম ঢলতি রাত।
  • achintyarup | 115.111.248.6 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:১৭477351
  • অশ্বটি চরে বেড়ায়। আর হয়কে যিনি নয় করতে পারেন, তুরঙ্গকে করতে পারেন তুরঙ্গতম, তাঁর অঙ্গুলীহেলনে মুহূর্তে শ্বেত অশ্ব হয়ে যায় অশ্বতর -- শ্বেতাশ্বতর।
  • i | 137.157.8.253 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৪০477352
  • নিশাকালে সে রূপান্তর মানুষের অগোচর থাকে। সেই ক্ষণে, সেই বনানীতে, সেই জ্যোৎস্নায় চিন্তামগ্ন থাকে তিন মানুষ-সে চিন্তায় পশুটির প্রবেশ নিষেধ।
  • achintyarup | 59.93.247.176 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৪:১৫477353
  • নো-এϸট্র সাইন লাগানো থাকে চিন্তার দ্বারমুখে। সাদা খচ্চরের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই।

    চিন্তামগ্ন তিন মানুষ তাকিয়ে থাকে কিন্তু দেখে না, চিন্তাপথের মোড়ে ল্যাম্পপোস্টে বাঁধা লাউডস্পীকারের রবীন্দ্রসঙ্গীত তাদের কানে ঢোকে, কিন্তু তারা শোনে না, ট্যাঁক থেকে বার করা ঠোঙার বাদামভাজা তারা গেলে, কিন্তু খায় না।

    প্রহরীহীন প্রাসাদের হা-হা খোলা দরোজা দিয়ে বেরিয়ে আসে হীরকের পেয়াদা। বগলে সার্ভারের প্রাণভোমরা, তাকে সামলানো দায়। বাঁদিক থেকে চেপে ধরলে ডানদিকের ডানা নাড়ে, ডানদিক থেকে ধরলে বাঁদিকের ডানা নাড়তে থাকে প্রপেলারের বেগে। হারমনির মত শব্দ ওঠে গুনগুন গুনগুন। পেয়াদার কানে ফিট-করা সোনারুপোর ছোট্ট ইয়ারফোনে নির্দেশ আসে -- হার্ড ডিস্কটা খুলে নে, ওরে হার্ড ডিস্কটা খুলে নে।
  • i | 137.157.8.253 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৪৩477071
  • নক্ষত্র মুছে গিয়ে এই মুহূর্তে আকাশ গোলাপী কমলা লাল। রূপান্তরিত প্রাণী আবডাল হারিয়ে অসহায়। আঁধার খোঁজে। শুঁড়িপথকে বাঁয়ে রেখে বিশাল বনস্পতির ছায়ায় যেতেই সার্ভার ভ্রমরের গুঞ্জনধ্বনিতে সচকিত হয়ে সামনের দুই পা শূন্যে তুলে হ্রেষারব তোলে। ঘোড়সওয়ার মুহূর্তে ঘাড় ঘোরায় এবং মেসির ক্ষিপ্রতায় ছুটে আসে, দ্রোগবার দক্ষতায় ঝাঁপায়- আবৃতমুখ হীরকের পেয়াদা পালাবার পথ পায় না ফলত:। সার্ভার ছিটকে মাটিতে পড়ে। অবিন তুলে নেয়। তিত্তিস এসে দাঁড়ালে প্রাচীন গুম্ফার ঘন্টাধ্বনি শোনা যায়। এখন ভোরের সময়।এখন আলো হবে।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:০৩477072
  • বুরো দানবটির মুখ ভর্তি দাড়ি আর গুম্ফা,ছোটো ছোটো ঘন্টা লাগানো তাতে। ভোরের বেলার মৌতাতে টুং টাং আওয়াজ হয় গুম্ফায়, দানবের ঘুম্পায়,মনে পরে তার বৌভাতের কথা, দৈবাত খেয়েছিলো সে দৈভাত,আর সেন্নাইএর সিন্নি। গিন্নি তাকান ক্ষেতের দিকে,ভালই বৃষ্টি পরেছে এইবার,আলু হবে।
  • i | 124.149.59.218 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:৩৫477073
  • গিন্নি আহ্লাদী মুখে ক্ষেতের দিকে তাকায় , আকাশ দেখে, বুড়ো তার পাশে দাঁড়িয়ে মাথা দোলায়, ঘন্টা বাজায়- ওগো আজ দৈ ভাত হবে নাকি? সেই যেমনটি রেঁধেছিলে সাড়ে চৌষট্টি বছর আগে?
    গিন্নি ফোকলা হাসে-আহা আলো হোক আলু হোক ভালো হোক।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:৪৮477074
  • বুড়ীও হাসে, হাসির চোটে তার পেখম ঝরে পরে। সলজ্জ ডিগবাজী খায় একটা।
    "মনে আছে। তুমি খেতে চেয়েছিলে ডিম পোস্তো। কিন্তু বাড়ীতে কুমড়ো ছিলো না। পাঁকাল মাছও নেই। সিন্দুক খুলে দেখি রয়েছে এক খাবলা ডাল আর লেটার বাস্কে আছে একটা বেগুন। তো তাই দিয়েই রেঁদে দিলেম দৈ ভাত।" বুরী তাকায় বুড়োর দিকে, তার লাল চোখে কৌতুকের চিরিক মিরিক।

    বুরো খুসী হয়, নাক ঝাড়ে সগর্বে। "আমারো মনে পরে, সেই গাঢ়ো লাল রঙের দৈ ভাত,সেই আঁষটে গন্দো যেনো এখনো আঙুলে মেখে আছে গো।" ভালোবেসে।
    উচ্চকিত প্রেমে সে ফুটিফাটা হয়, দুটো পাথর চিবিয়ে ফেলে খুসীতে।

    প্রথম আলো ফোটে, ঝাঁকে ঝাঁকে কাকতাড়ুয়ারা উড়ে যায়। তাদের হাট্টিম টাড্ডিম আওয়াজে খুসী আলুর ক্ষেত। ঝাঁকড়া পাতা নেড়ে ,প্রাচীন ডাল পালায় হিল্লোল তুলে তারা বুরো বুরীকে স্বাগত জানায়।
  • achintyarup | 115.111.248.6 | ০১ মার্চ ২০১২ ০০:২৮477075
  • আলু ক্রোমে আসিতেছে। হীরকরানি ক্রোমের জানালায় চোখ রেখে দেখেন বুড়োবুড়ি আনন্দে ডিগবাজি খায় আর আলু কুড়োয়। চতুর্দিকে ঝরে পড়া পেখম আর আলু, শাক দিয়ে ঢাকা মাছ, আর মাছ দিয়ে ঢাকা দৈভাত। জানালার কোনায় দেখা যায় দূর থেকে তিনটি বিন্দু এগিয়ে আসছে, উত্তর-পুব কোন বরাবর। বিন্দু তিনটি বড় হতে থাকে, বড় হতে থাকে, বড় হতে হতে ঢেকে ফেলে আলুর ক্ষেত, পেখম-ঝরা বুড়ি, গুম্ফাবান বুড়ো। সারেঙ্গীতে সুর ওঠে সারে জাঁহাসে আচ্ছা কিম্বা ছায়া ঘনাইছে বনে বনে।
  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ মার্চ ২০১২ ০০:৩৮477076
  • সেই তিনটি বিন্দু গুঁড়ো গুঁড়ো মরিচ হয়ে ছড়িয়ে যেতে থাকে সমস্ত আলুর ওপর----গোলমরিচের স্বাদে গন্ধে ভরে ওঠে আকাশ বাতাস ----
    জয় গোলমরিচের জয়!
    কে দেয়?! কে দেয়? ঐ জয়ধ্বনি?!
  • Tim | 173.166.51.226 | ০১ মার্চ ২০১২ ০০:৫৫477077
  • কে আবার? তিনটি ধনুকের মত ভ্রু, মাল্য ও গুম্ফে সজ্জিত পুং দেয় জয়দ্ধনী। শাস্তরে ওদের নাম দিয়েছে পুতিন।
  • pi | 128.231.22.249 | ০১ মার্চ ২০১২ ০০:৫৮477078
  • কিন্তু সম্প্রতি এফিডেভিট করে তাতিন করে নিয়েছে।
  • Tim | 173.166.51.226 | ০১ মার্চ ২০১২ ০১:০০477079
  • তাতিন কদাচ নয়, কারন তাতিনের গোঁফ নাই। তবে বোতিন হলেও হতে পারে। কিংবা যোতিন।
  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ মার্চ ২০১২ ০১:০৯477080
  • কিম্বা দিপ্তীন ও হতি পারে ---গোলমরিচের জয়ধ্বনি কিনা তাই কইলাম---
  • pi | 128.231.22.249 | ০১ মার্চ ২০১২ ০১:১১477082
  • ছিল তো। মামুর মত দাড়িও ছিল। যখন সে প্রেমটাকে বিপ্লবে ডিসপ্লেস করেছিল। তারপর একদিন দিনেদুপুরে, প্রকাশ্য দিবালোকে আম্রুদেশে সেগুলি চুরি যায়। দেশে তখন নিস্তরঙ্গ রাত। জ্যোৎস্নায় ফুল ফুটছে। তিত্তিসের কথা নির্বাক হয়ে শুনে চলেছেন আর তরুণ তুর্কী মশায়।

    বাস আর কি ।পাঁজিতে লেখা সঙ্কেÄও ২০১১ র বিপ্লবটা তাই পরিবর্তনে ডিসপ্লেস হয়ে গেল।
  • achintyarup | 59.93.245.199 | ০১ মার্চ ২০১২ ০৪:০২477083
  • আলু কমে আসিতেছে।
  • jty | 151.141.84.81 | ০১ মার্চ ২০১২ ০৪:৩০477084
  • কমতে কমতে কমতে কমতে শেষে একেবারেই নেই হয়ে গেল। ঘুরঘুটিয়ার মতন অন্ধকার। সেই ঘুরঘুট্টির ভিতর থেকে হেঁড়ে গলায় হোজো বললো, "এ পথ কোথায় গ্যাছে?"
    উপরের বাঁশের চূড়া থেকে দন্ডবায়সেন তখন নাক সিঁটকে বল্লো, "হেহ, কতা শোনো নেকুরামের, পথ কোথায় গ্যাছে? পথ কি চলে বেড়ায় নাকি পথের পাখা আছে উড়ে বেড়ায়? যেখানকার পথ সেখানেই আছে।"
  • i | 137.157.8.253 | ০১ মার্চ ২০১২ ০৬:৫৮477085
  • যেখানের পথ সেখানেই ছিল যেমন থাকার কথা অথচ পথিক বদলে যাচ্ছিল আর তাদের পায়ে পায়ে আসা ধুলো মাটি বালি ঝরা পাতা ঘাস ভিন পথ থেকে এ পথে আশ্রয় খুঁজছিল। নগরের ব্যস্ত পথে ক্ষণিকের আশ্রয় পাচ্ছিল, আর এই গহীন অরণ্যের শুঁড়িপথে তারা থেকে যাচ্ছিল, মিশে যাচ্ছিল ...
    এ পথের পাশে তখনও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পেয়াদার মুখের আবরণ খুলছিল অবিন। তিত্তিস জানত কার মুখ দেখবে। ভবদুলালের সার্ভারের খোঁজ পেতে প্রথমে তার পেটের মধ্যে সেঁদোতে হয়-এ অমোঘ কথা হেড কুক ছাড়া আর কেই বা জানবে!
    তাই হ'ল ।
    অবিনের হাতে পায়ে ধরছিল হেড কুক যাকে হীরকের পেয়াদা বলছিল সবাই। বলছিল-খালি হাতে হীরকে সে ফিরতে পারবে না-সার্ভিস ব্রেক হলে খাবে কি ? মুন্ডুও যদি যায়, ব্যাপার একই দাঁড়ায়।
    দুপুর খরতর হচ্ছিল। রূপান্তরিত প্রাণী ছায়া খুঁজে ফিরছিল। অবিন সামান্য নতমুখ ছিল। ঘোড়সওয়ার অন্যমনস্ক। তিত্তিস ভাবছিল।
  • i | 137.157.8.253 | ০১ মার্চ ২০১২ ০৭:০৪477086
  • আলু কমে আসছিল দেখে বুড়ি চিন্তিত হয়ে বেগুনের দম চাপায়-সর্ষে আর সামান্য হিং দিয়ে নাড়ে , বুড়ো অন্যমনস্ক হয়ে দৈ চিবোতে থাকে।
    আলু কমে আসছে, বেলা পড়ে আসছে। তিত্তিস খেতে আসে নি আজ। ম্যাগি আর কন্দ সেদ্ধ পড়ে আছে।
  • achintyarup | 59.93.247.91 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৩:৪৬477087
  • খালি হাতে হীরকে ফিরবে না পেয়াদা। অবিনের দয়ার শরীর। তার হাতে ধরিয়ে দেয় মুঠো মুঠো ঘাস পাতা, বেগুন আর দৈ। সার্ভিস ব্রেক লেখা খাতার পাতা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দেয় শুন্যে। বাতাসের ছোঁয়া লেগে কাগজের টুকরো রঙচঙে প্রজাপতি হয়ে উড়তে থাকে। তাদের লাল, নীল, সবুজ সে সব রঙের স্মৃতিতে এখনও ঝুলে রয়েছে রাজামশাইয়ের কর্ডলেস পাজামা। পাহারাদার ফড়িং কচুপাতার আগায় বসে সামনের ডান পা দিয়ে চোখ মোছে। বিড়বিড় করে বুড়ো বলে, সাজানো ব্যাপার, সব সাজানো ব্যাপার। কড়াইয়ে বেগুনের দমে পোড়া লেগে মোহময় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। পালে পালে গ্রেহাউণ্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নাক উঁচু করে বাতাস শুঁকতে শুঁকতে রাস্তায় নামে। সুযোগ বুঝে জলের তলার প্রাসাদ থেকে চুরি করে আনা সোনার কাঠি আর রুপোর কাঠি টুক করে হিপ পকেটে চালান করে দেয় হেডকুক। বুড়ি গুনগুন করে গান ধরে, রৈল বলে রাখলে কারে...
  • jtyu | 151.141.84.81 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৩:৫৫477088
  • "রইলো বলে রাখলে কারে
    হুকুম তোমার ফলবে কবে-
    টানাটানি টিঁকবে না ভাই
    রবার যেটা সেটাই রবে।"

    বুড়ী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গাইছে, বুড়ো তালে তালে মাথা দোলায়, বুড়োর গুম্ফায় ঝোলানো ঘন্টাগুলো দোলে আর বাজে। বুড়োর মুখে হাসি, চোখে জল।
  • i | 137.157.8.253 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৬:৪৫477089
  • গাইছে সবাই। বর্গীর দল, ভবদুলাল, নেকুরাম, হোজো সক্কলে। তাদের মুখে বেগুণী, গোঁফে বিটনুন। তৃতীয় স্বর অবিশ্যি জ্যোৎস্নারাতে টা গাইছে। সে গাক। গাইলেই হোলো।
    কোমরে গামছা বেঁধে নাচতে নাচতে গাইতে এলো গজদাঁত আর গজদাঁতী-তাদের দেখেই তিত্তিস বোল্লো-ইউরেকা!

  • jtyu | 151.141.84.221 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৬:৫২477090
  • কান থেকে চকচকে পালকের কলম নামিয়ে কাক্কেশ্বর ধূলায় আঁচড় দিয়ে দিয়ে বড়ো বড়ো করে তখন লিখতে থাকলো একষট্টি বাষট্টি তেষট্টি লাগ লাগ লাগ চৌষট্টি---
    গজ ফিতে নিয়ে ওদিকে ঘন্টাগুম্ফ বুড়ো গজদন্ত মাপতে শুরু করেছে, হাতি চুপ করে দাঁড়িয়ে গম্ভীর হবার চেষ্টা করতে গিয়ে ফিক ফিক হেসে ফেলছে আর হাতিনী নাক সিঁটকে বলছে মরে যাই, ঢং দ্যাখো না!

  • i | 137.157.8.253 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৭:১৭477091
  • পালে পাল গ্রে হাউন্ড তখন বাতাস শুঁকতে ব্যস্ত। বেগুণীর গন্ধ তাদের টেনে নিয়ে যায় ডেকচির কাছে। ডেকচি উল্টে দেখে-এই তো সার্ভার, নাটবল্টু খোলা, পষ্ট করে লেখা-'ভবদুলাল'। হীরকে পৌঁছে যায় সার্ভার।
    হীরকের রাণী তখন পদ্য লিখছিলেন। সভাসদ, মন্ত্রী, কবি, সবাই সিংহাসনের তলায়, রাজপ্রাসাদের ছাদে অন্ত্যমিল খুঁজে ফিরছিলেন, অমিলে সার্ভারের নাট বল্টু খুলে নেওয়া হতে পারে এবং সার্ভার ব্যতীত তাদের হারানোর কিছু ছিলও না।
    ভবদুলালের নাম লেখা সার্ভার পৌঁছতেই ক্রস চেক করার ব্যবস্থা হতে থাকে। নাটবল্টু জোড়া হয়, চেক লিস্ট নিয়ে সান্ত্রীরা রেডি হয়। হীরক রাণী বলেন-এবার গান হবে। এই গান বাজবে হীরকের পথে পথে, মন্ত্রীসভায়, হাসপাতালে, পাঠাশালায়। চালাও সার্ভার।
    গান বেজে ওঠে-
    জুআ খিস হুমুহুমু/ হেগা কপি হুকুহুকু
    একি!! পরের গান পরের গানে যাও শিগ্গির-
    গান বেজে ওঠে-
    লইর লেব লেখরা রেকা/ মকুহু রমাতো বেলফ বেক/ রমাতো নিটানাটা নাবেকটিঁ ইভা-

    আকাশে ( ভাইপো নয়)তারা ফুটছে তখন। বুড়ো বুড়ি, অবিন, ঘোড়সওয়ার, বর্গীরা খেতে বসেছে। তিত্তিসেরও খিদে খিদে পাচ্ছে।
    ভবদুলাল ভীড় এড়িয়ে শুঁড়িপথে পা রাখে। সঙ্গে রূপান্তরিত প্রাণীটি। তৃতীয় স্বর সঙ্গে চলেছে। এবারে জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে টা নিশ্চিন্তে গাওয়া যেতে পারে।
    **********************
  • i | 137.157.8.253 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৭:২৩477093
  • এই যা: শেষ পোস্টে এত **** এসে গেল কোত্থেকে? সরি।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন