এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন বিষয় : নতুন বিষয় : নতুন বিষয়

    notun bishoy
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০১১ | ১৬৩৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 75.76.118.96 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৮:০১477094
  • এই হল গিয়ে বর্তমানের মোচ্ছব। তথ্য, তথ্য এবম আরও তথ্যে ভরে যাচ্ছে আমাদের চারিপাশ, ব্রাউনীয়ান মোশনের মতনই তা একাধারে র‌্যান্ডম কিন্তু যোগ করলে সম্ভাবনার কিউমিউলেটিভ পশ্চিমের সূর্য্য ঢলে পড়ার মতনই নিশ্চিত। কুলোকে বলে আজ যত তথ্য আমাদের মাথার ওপর দিয়ে, কানের চারপাশ দিয়ে ঘুরে বেড়ায় তার ৯০ শতাম্‌শ নাকি গেল দুই বছরে তৈরি। অবীন, ভবদুলাল, রাজকন্যেদের চারপাশে যতটা তারা তারও অনেক বেশি অন্য অনেক কিছু, যার খানিক তথ্য, সামান্য তঙ্কÄ, বাকি বেশিটাই কোলাহল। বাইট এখন মেগা, গিগা পেরিয়ে পেন্টাতে ঠেকেছে। বাস্তব পৃথিবীর বাইরে যে তথ্য বলয় তা আজ ভুগোলের চারপাশে ওজোন স্তরের থেকেও বেশি অমোঘ, ব্যপ্তি যার সীমাহীন। বাস্তবের ভবদুলাল ঠিক যতটা সত্যি ঠিক ততটাই সত্যি হল সেই ভবদুলাল যা শুধুই তথ্য হয়ে এই মুহূর্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোন এক অচীন দেশে অচেনা মানুষের কেশরাজির গোলকধাধায়।

  • aka | 75.76.118.96 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৮:২৭477095
  • বাস্তবের ভবদুলাল যখন সিঙ্গারা খায় রাজপ্রাসাদের অলিন্দ্যে ঠিক তখনই তথ্য ভবদুলালের কোটর গত চক্ষে নির্মিত হয় বদ্বীপ। রাজকন্যে রাজকুমারকে কামনা করতে করতে কখনো সখনো রাতের তারাদের স্বাক্ষী রেখে ডুব দেয় সার্ভারে ভবদুলালের কোটোরগত চোখের গহীন বদ্বীপে - সাথী কখনো হীরকের পেয়াদা কখনো বা তিত্তিস। তরুণ তুর্কী আর অবীনের কথোপকথন চুপ করে শোনে তারারা আর এক একটি মুহূর্ত অপেক্ষা করে রূপকথার নির্মাণের। হতেই পারে, পারে নাকি এক রূপকথা তৈরি হতে?
  • aka | 75.76.118.96 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৮:৫১477096
  • বাস্তব ভবদুলাল যখন দাবী করে গ্রাইপ ওয়াটার, তরুন তূর্কী যখন নিয়ে ছোটে সেই বিশল্যকরণী তখনই তাকে তথ্য অবীন সার্ভারের গোলকধাধায় পাকড়াও করে। তরুণ তুর্কী ছোটে ছোটে আরও ছোটে। পরম শ্রান্তিতে যখন তার তেজীয়ান ঘোড়া সামনের পা তুলে হ্রেষাধ্বনি তোলে, অবীন তখন টেনে ধরে তার রশি।
  • aka | 75.76.118.96 | ০২ মার্চ ২০১২ ০৯:০৭477097
  • আসলে তথ্য ভবদুলালের গপ্পো যদি ঠিকমতন বোঝা না যায় তাহলে কি আর বোঝা যাবে মানুষ ভবদুলালের পথ্য? শুরু হয় মানুষ ভবদুলাল আর তথ্য। ভবদুলালের কাহিনী, যে কাহিনীর ভিত্তি হল অবস্কিওরিটি কিন্তু নির্মান হল পরম। কোলাহল থেকে ছেকে তুলতে হবে একরাশ সিদ্ধান্ত তবেই না সম্পূর্ন হবে ভবদুলালের গপ্পো।
  • siki | 155.136.80.36 | ০২ মার্চ ২০১২ ১০:২০477098
  • বা:। তারপর?
  • achintyarup | 59.93.243.63 | ০৩ মার্চ ২০১২ ০৪:৫৬477099
  • ব্রাউনীয় গতিতে ঘুরে ফেরে তঙ্কÄ আর তথ্য, ভবদুলাল আর রাজকন্যা, আর বুড়োর মাথার মধ্যে কেবলই ঘুরপাক খেতে থাকে একটা কথা -- রবার যেটা সেটাই রবে। বুড়ো মুখ তুলে তাকায়, টুং-টাং, মগজে ঘোরে রবার যেটা সেটাই রবে। ঠিক কি না? বাকি সব কিছু তো মুছেই যাবে, রবারে ঘষে ঘষে তো মুছে দেওয়াই যায় আস্ত সব ছবি। ঠিক ঠিক। রাজা আর রাজপ্রাসাদ, তিত্তিস আর বর্গীর দল -- এই সব কিছু যে মুছে দেবে সে-ই রবার। প্রমাণ হয়ে যাবে। ফর্সা ফ্যাটফ্যাটে ক্যানভাসের এক কোনায় যে পড়ে থাকবে সে-ই রবার। ঠিক কি না? নিজের মনেই ঘাড় নাড়ে বুড়ো, টিং লিং আওয়াজ ওঠে গুম্ফায় গুম্ফায়।

    মেঘলা বনের ধুলায় বিছানো শ্যাম অঞ্চলে দাঁড়িয়ে ঘুম্পায় শ্বেতাশ্বতরের। ফঁড়ড়ড় শব্দ করে নাক ঝাড়া দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড আর ধরণীর মাধুরী-টাধুরী বেড়ে গিয়ে একাক্কার কাণ্ড।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ মার্চ ২০১২ ০৯:৫২477100
  • হ্যা তথ্যেরও ভগবান থাকে, তারও এক স্বপ্নরূপ থাকে। হাচতে হাচতে বুড়ো খানিক আত্মপ্রসাদ লাভ করে, আরামে চোখ বুজে আসে চারিদিক ভিজে যায় নরম কুয়াশায়। বুড়োর ঘুমন্ত মগজে কিলবিল করে ঘুরে যায় কিছু মুখ, দুরন্ত গতিতে পালটে যায় দৃশ্যকল্প, ঘুরপাক খায় বুড়োর অর্দ্ধোন্মীলিত চোখ, আস্তে আস্তে ভারী হয় বুড়োর চোখের পাতা। কিন্তু থেমে থাকে না অবাক পৃথিবী। রাশি রাশি তথ্য তৈরি হয় এখানে ওখানে প্রতিনিয়ত, ঢেউয়ের মতন আছড়ে পড়ে হৃদয় থেকে হৃদয়ে।

    সত্যি ভবদুলালকে তো সবাই চেনে ঐ আর কি আর পাচজন হেরো লোক যেমন হয় - ঘোলটে চোখ, মলিন পোশাক, এলোমেলো কথা। হারতে তারও বিশেষ আপত্তি নেই, তাকে হারাতেও কেউ চায় না, পরিণতি প্রতিদিনের দয়া-হয় লুচি, নয়ত সিঙ্গারা। রাজপ্রাসাদের অলিন্দ্যে ভবদুলালের আনাগোণা কি শুধুই সেই দুবেলার দয়ার জন্য? নাকি সেই অলিন্দ্যের কিয়স্কে যখন তার কোটরগত চোক্ষে বদ্বীপ তৈরি হয় সেই মূহূর্তের লোভে?

    কখন কিভাবে কেজানে সিঙ্গারা খেতে খেতেই ভবদুলাল নাড়াচাড়া করত তথ্যভাণ্ডার। কেউ খুব আমল দিত না, কিই বা করবে পাগলাটা, ভাবত সবাই এমনকি বর্গীরাও। আর তাই তো জন্ম হল তথ্য ভবদুলালের সকালের চোখের আড়ালে। সবাই বলে বুড়োর চোখে নাকি এক ফোটা বিদ্যুত জমেছিল তখন, আর মুখে ছিল নির্মোহ হাসি। বুড়ো মনে ভেবেছিল ঠিক এমনটাই তো হবার ছিল, নইলে তো ত্রিকোণমিতিই ভুল।
  • dd | 110.234.159.216 | ০৩ মার্চ ২০১২ ১২:১৩477101
  • তথ্য ভান্ডারী বয়স অল্পো। এই তো সেদিন জন্ম হলো বি দুলালের (ছবি দেখে চিনুন)চোখের সামনে। বি দুলাল(সই) তখনো পিচকারেই আসেন নি। সিগনেচারেও না।

    বি দুলাল (ছবি) ছিলেন হীরো লোক। তার চোখ থাকতো নেশায় ঈষৎ ঘোলাটে, পরণে হাল ফ্যাশনের স্ট্রীট অ্যাটায়ার, মুখে স্যাটায়ার, কথায় তিনি হাড্ডহাড্ডি এলোমাঁতেল। তথ্য ভান্ডারীর সাথে তার আলাপ বহুদিনের। দুজনেই সিংগারায় ব্ল্যাক বেল্ট। লুচিতে কাঁপাকাঁপি পি হেইচ ডি। এ ছাড়াও দুজনের কেউই রোম্যান্টিক ভুতের গল্প ভালোবাসেন না, কেউই কোন্নোগর যান নি আর একজনও হটজোগ প্রবেশিকা পড়েন নি।

    বুরো তখন নিদ্রামগন। ধরণী অন্ধকার। দীক্ষিত মাধুরী অধরা। শ্বেত অশ্বেতর নামক সাদা খচ্চরটি গোয়ালে জাবর কাটে আনমনে। পক্ষীরাজ ঘোড়া (তার ল্যাজ নেই, কিন্তু সার্টিফিকেট আছে)খায় আপেল ও ফ্যানা ভাত। বুড়ী গুনে রাখে বুড়োর নতুন সম্পত্তি, উনো চল্লিশটি রবার। আর একটি হলেই একটি আলিবাবা ফ্রী পেয়ে যাবে।

    এটি ই তাদের নতুন সম্পত্তি, নতুন বিষয়।

  • dd | 110.234.159.216 | ০৩ মার্চ ২০১২ ১৫:৩৩477102
  • বুড়োর আর সময় কাটে না। সে এদানী দাড়িও কাটে না।

    একাসে বসে থাকে, তার দাড়ী ফ্যাকাসে হয়ে যায়,বাড়ী কুয়াসা হয়ে যায়, ঘড়ি ঝাপসা হয়ে শেষ মেষ উড়ে উড়ে ভ্যানিস হয়ে যায়।
    তার বন্ধুরাও কেমন আবছা হয়ে গেছে,কাকতাড়ুয়ারা তাকে ভ্যাঙায়।

    ভোর হলে দোর খুলে সে হামা দেয়। আলুর গাছে গাছে অংক পাখী চিল্লায় 'সাত দুকুনে চোদ্দো", শুনে শিউড়ে ওঠে পাঁকাল মাছেরা। কাঠবিড়ালীর সর্দি হয়। গোমড়া মুখে বসে থাকে ভোমরারা, হাঁসেরা তুমুল প্যাঁক দ্যায়।

    বুড়ী একদিন ভিরমি খেয়েছিলো সাত সকালে, বড্ডো টক ছিলো সেটা। আর একদিন বিষম খেয়েছিলো দুকুরে, সেটা একটু ঝাল হলেও মন্দ লাগে নি। রাতের বেলা কসম খেয়ে তার কি ফুর্ত্তি, উল্লাসে তার টপাটপ দাঁত গুলো পরে যাচ্ছিলো। বুড়ো একদৃষ্টে চেয়ে দেখছিলো আর নি:শব্দ হেঁচকি তুলে যাচ্ছিলো বারবার।
  • jtyu | 151.141.84.239 | ০৪ মার্চ ২০১২ ০১:৫৯477104
  • নতুন নতুন সব বিষয় আশয় দিনে দিনে পুরানো হয়ে যায়। মুছে মুছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় রবারের কোণাকাঞ্চি। পড়ে থাকে ভাঙাশীষ পেন্সিলের দল, কেউ কেউ যারা কিনা মোলায়েম সিলিন্ড্রিকাল চেহারার, তারা গড়ায়। কেউ কেউ হেক্সাগোনাল, তারা গড়ায় না। ছবি মুছে যাওয়া কাগজগুলো ঝুলে থাকে দেয়ালে, কেউ কেউ পড়ে থাকে মেঝেতে, কেউ কেউ উড়ে বেড়ায়।
    উস্কোখুস্কো পাখির বাসা চুল আর ঘন্টা ঝোলা গুম্ফা এলিয়ে মাটিতে পড়ে ঘুমায় বুড়ো, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দ্যাখে চারিদিকে গাছে গাছে রবার ফলে আছে, টুকটুকে লাল আর ধবধবে সাদা সব রবার।
  • kumu | 122.161.211.204 | ০৪ মার্চ ২০১২ ১৭:৫০477105
  • ঘুম?এত ঘুম?

    ক্রড়-ক্রড় ঘম্ম ঘম্ম মেঘ ডাকে,মেঘ ডাকে,শীতল হাওয়া বয়।পাখীরা সভয়ে বাসায় ফেরে,বুড়ো গাছেরা ত্রাসে অসহায় টালুমালু চায়-

    এক মুহুর্তের জন্য নি:শব্দ হয়ে যায় চরাচর,তার পর ছুটে আসে লক্ষ অশ্বের গতিতে হাওয়া,বৃষ্টিধারাপাত,বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে মুছে দেয় ভয়ংকর প্রলয়কারী জলপ্রপাত।
  • kumu | 122.161.211.204 | ০৪ মার্চ ২০১২ ১৮:১১477107
  • অবিশ্রাম ভৈরব বর্ষাধারা আগে আগে ছুটে আসে রাজকন্যা-

    অমসৃণ,উদ্ধত,নিরাভরণ কন্যা হেঁকে হেঁকে বলে,ওরে তরুণীপথিকললনা,কিঙ্কিণীকলকলনা,আর মেকাপ নিতে হবে না,সেটে আয় শিগ্গিরী-ই।
  • dd | 122.167.42.247 | ০৪ মার্চ ২০১২ ১৮:১১477106
  • "প্লাম্বারটাকে এখন না ডাকলেই নয়," টেকো চার মাথা চুলকে বলেন ব্রহ্মা
  • dd | 122.167.42.247 | ০৪ মার্চ ২০১২ ১৮:২৯477108
  • র‌্যাদা দিয়ে চেঁছে তেল চুকচুকে করেন তাকে, হাতুড়ী পিটিয়েঅয় আন্টি ইন্‌কামবেন্ট ভোট দিয়ে ঔদ্ধত্য কমিয়ে বিনয়ী করেন কন্যাকে।

    ইউরেনিয়ামের গয়না পরিয়ে দেন কন্যাকে অত:পর।

    কন্যা তেজোময়ী হন। তার ওজ: স্পর্শ করে ত্রিভুবনকে।

    "এবার এনভাইরনমেন্টওয়ালারা কেস না ঠুকলেই হোলো" ব্রহ্মা বলেন, তার চার নাক চুলকে।
  • achintyarup | 59.93.244.31 | ০৫ মার্চ ২০১২ ০৪:৩০477109
  • নাক, নাক, তোমার টাক নাই কুসুম? পাশ দিয়ে যেতে যেতে পাসিং মন্তব্য করেন সুভাষ দত্ত।
  • jtyu | 151.141.84.239 | ০৫ মার্চ ২০১২ ০৫:১৪477110
  • অমনি ফট ফট ফটাস ফটাস শব্দে অযুত নিযুত কুসুম ফুটে ওঠে চরাচরে। পদ্মযোনি ত্রিং করে উঠে বলেন, "তাই তো আমার পদ্ম! সেটা কোথা? " দাড়ি টাড়ি চুল টুল উড়িয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে হ্রদের কিনারে গিয়ে একলাফ মেরে গিয়ে বসেন পদ্মের উপরে, গুম্ফায় তখন ঘন্টা বাজছে আর গান হচ্ছে "ও ও ওঁ ম ম মণিপদ্মে হুম "
    জলের ভিতর থেকে মাথা তুলে মধু কৈটভকে ফিসফিস করে বলেন, " এই শোন, মা মধুর কৌটোগুলো কোথায় লুকিয়েছে কিছু খবর পেলি?"
  • achintyarup | 141.0.10.143 | ০৫ মার্চ ২০১২ ১৩:৩৭477111
  • মধু বাতা ঋতায়তে, তাও জানিস না? মধুগুলো সব রীতিমত চালের বাতায় রাখা আছে। আর খানিকটা সমুদ্রে আছে, বাকিটা গরুতে খেয়েছে।
  • Tim | 198.82.19.177 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২১:০৯477112
  • শুনে কৈটভ, ডাকনাম কোটি, বড়ো ভাবনায় পড়লো। গোরুতে মধু খেলে কি আর দুধ দেবে, নাকি মিষ্টি দই? কঠিন সমস্যা।
  • pi | 72.83.76.34 | ০৫ মার্চ ২০১২ ২২:০০477113
  • কঠিন সমস্যাই বটে। এই নিয়ে একটা ডিসকাশন হওয়া দরকার।কেটিতে বসে। কোটি কেটির উদ্দেশ্যে রওনা হইল।
  • jtyu | 151.141.84.221 | ০৬ মার্চ ২০১২ ০৭:০২477115
  • চারিদিকে তখন কোটি কোটি কেটি নাচতে নাচতে টুইঙ্কল টুইঙ্কল গাইছে। আকাশে কেটি বাতাসে কেটি। মানে কেটির প্রোজেকশন আরকি। গুপী তো আটখানা হয়ে গাইতে শুরু করলো, "কী আনন্দ আকাশে বাতাসে।" কোথা থেকে ছুটতে ছুটতে তাঁবুর সামনে এসে লিকী সাহেব ব্যস্তসমস্ত হয়ে কইছেন "কই গো মেরী, আমার কফিটা হোলো? কেটি বাউন্ডারির ব্যাপাট্টা আজই ফয়সালা কত্তে হবে। নইলে গুরুচরণ হয়ে যাবে কেস।"
    আর ইদিগে আরেক কান্ড। কোটি আর কেটিতে গুলিয়ে ফেলে সেই শেষের কবিতার অমিতো ভীষণ ঘাবড়িয়ে গিয়ে এক গেলাস ঘোল চোঁ চোঁ করে মেরে দিলে। এদিকে সেই ঘোল অ্যালট করা ছিলো অগস্ত্যের নামে। তিনি এসে খুব রেগে চটে ক্ষেপে যাচ্ছেতাই ব্যাপার। তখন ইল্বল এসে মধুর মোলায়েম গলায় কইলেন, "আহা রাগেন কেন স্যর? এই নিন বাতাবি লেবু খান।" বলেই পেল্লায় সাইজের একটা বাতাবী দিলেন অগস্ত্যকে।
  • Kaju | 121.242.160.180 | ০৬ মার্চ ২০১২ ১১:৪০477116
  • গরুকে মধু খাওয়ানো শুনে আমার থেকে থেকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের গরুকে মিষ্টি দুধের প্রত্যাশায় গুড় খাওয়ানো আর সেই নিয়ে দ্বিপেন্দ্রনাথের মন্তব্য মনে পড়ছে।
  • achintyarup | 141.0.10.221 | ০৬ মার্চ ২০১২ ১২:১৪477117
  • এ তারও কিছুদিন আগের ঘটনা। ব্যাদে আছে নিস্‌চয়ই।
  • achintyarup | 115.111.248.6 | ০৭ মার্চ ২০১২ ০০:২২477118
  • গুম্ফাগুলি ঘন হয়ে আসে। আঁধার জমতে থাকে, মধুর মত গাঢ়। ঘণ্টাঘরে উলুধ্বনি হয়। সেই শব্দে ঘুম ভেঙ্গে ধড়মড় করে উঠে বসে কুমার। কোষমুক্ত বিশ্বস্ত অসি তখনো শুয়ে আছে পাশটিতে। প্রাসাদের দিকে তাকিয়ে দেখে সিংদরোজা তখনো বন্ধ, কিন্তু প্রাকারের পাশের অলিন্দ থেকে তার দীর্ঘ কেশ ঝুলিয়ে দিয়েছে রাজকুমারী। সেই কেশ বেয়ে ধীরে ধীরে উঠতে থাকে কুমার। প্রাকারের ওপর পৌঁছতে আর হাত কয়েক মাত্র বাকি, ঠিক সেই সময় চারদিক থেকে জোনাকির দল হাজার পিদিম জ্বালিয়ে নিয়ে আসে কুমারকে বরণ করে নিতে। কোকিল, পিউ কাঁহা গান গেয়ে ওঠে। আবার উলুধ্বনি হয় ঘণ্টাঘরে। বুড়ো হাসি হাসি মুখে মাথা দোলায়। কষ বেয়ে গড়িয়ে পড়া একটুকখানি সোমরস মুছে নেয় হাতের পেছনে। চতুরানন দেখেন আর ভাবেন, তাই তো, আমিও কি বুড়ো হয়ে গেলাম তাহলে?
  • Tim | 198.82.20.232 | ০৭ মার্চ ২০১২ ০১:১৫477119
  • চতুরাননের ভাবনাকে হাওয়ায় মিলিয়ে দিয়ে দৈববানী হয়। সেই আলকাতরার মত অন্ধকারের ব্যাকড্রপে জোনাকির চোখ ধাঁধানিয়া আলোয় গুম্ফাগুলি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। নদীতে বান আসে, পাখপাখালি উচ্ছ্বাসে গেয়ে ওঠে, তাদের ছানারা হৃৎকম্পে জেগে উঠে মাকে খুঁজতে থাকে।
    প্রাসাদের অন্যত্র ছিলো এক শয়তান দস্যু। সেই ভয়াল দস্যু, হিচকিচ তার জাদু তরবারিতে সব দেখে ফেলেছে। তার হাতে হ্যারিকেন, কানে সুবর্ণ কুণ্ডল, নাকে শুঁটকিমাছ আর লেজে ক্যাকটাস। কোমরে জাদু তরবারিটা গুঁজে, বিড়িটা নিবিয়ে পকেটে ফেলে সে গদাইলস্করি চালে ছাদের ধারে এসে দাঁড়ায়।
  • Tirthang | 140.247.252.58 | ০৭ মার্চ ২০১২ ০২:১১477120
  • এদিকে হিচকিচের ল্যাজের ক্যাকটাসে অল্প র‌্যাঞ্চ ড্রেসিং মাখিয়ে কখন তাকে মুড়িয়ে খেয়ে ফেলেছে ব্যাকরণশিং। গলায় কাঁটা ফুটে তার তো যায় যায় অবস্থা। মুখ বন্ধ করতে না পেরে "ব্যা' বলতে গিয়ে ভেϾট্রলোকুইস্টদের মত বলেছে "গ্যা!' অমনি সবাই গ্যাস হয়েছে মনে করে তাকে গুম্ফার তিব্বতী কম্পাউন্ডারের কাছে নিয়ে গেছে।
  • nk | 151.141.84.239 | ০৭ মার্চ ২০১২ ০২:২২477121
  • তিব্বতী কম্পাউন্ডার একটা বাটিতে চা, মাখন আর ছাং নিয়ে অনেক মন্ত্র তন্ত্র পড়ে ব্যাকরণি্‌সং এর উপরে ছিটিয়ে ছিটিয়ে ফেলছে আর তাই দেখে ক্যাপ্টেন হ্যাডক ত্রিং ত্রিং করে লাফাতে লাফতে বলছে, এইভাবে জিনিসটা নষ্ট না করে আমাকে একটু দিলেও তো পারতো।
  • jtyu | 151.141.84.239 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২৩:৫৮477122
  • এদিকে দৌড়াতে দৌড়াতে এইমাত্র এসে পৌঁছলেন হেঁশোরাম আর চন্দ্রখাই। ওনারা পাহাড়ী দুর্গম জায়্‌গায় ভীষণ ঝড়ে পড়েছিলেন বলে আসতে এত দেরি হোলো। ডাইরি ফাইরি ফটো টতো ভিডিও টিডিও সব উড়ে গেছে, সংগৃহীত নমুনাগুলোর তো কথাই নেই, তাই কোনো প্রমাণ ও দেখাতে পারছেন না। কিন্তু হলপ করে বলছেন ওনারা নানা আজব জীব দেখেছিলেন।
  • jtyu | 151.141.84.239 | ১২ মার্চ ২০১২ ০০:৪৬477123
  • আর কোনো নতুন এϾট্র ক্যানো নেই?
  • achintyarup | 115.111.248.134 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১৭:১৪477124
  • ডানদিকের গেট দিয়ে খোলা চুলে বিদ্যা বালানের প্রবেশ। ভিদ্যা নয়, বিদ্যা।
  • i | 124.168.173.42 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৫১477126
  • চুলে ঝরা পাতা লেগেছিল, মাকড়শার ছেঁড়া জাল, সামান্য খুশকি। উকুন ছিল না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন