এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন বিষয় : নতুন বিষয় : নতুন বিষয়

    notun bishoy
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০১১ | ১৬৩৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ladnohc | 116.218.58.229 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৬:০৮477160
  • কালপুরুষের কালপেঁচা কালের নিয়মে স্থান নেয় এইসম​য়ের পাতায়।
  • ladnohc | 116.218.58.229 | ১১ নভেম্বর ২০১২ ১৬:০৯477161
  • কালপুরুষের কালপেঁচা কালের নিয়মে স্থান নেয় এইসম​য়ের পাতায়।
  • i | 147.157.8.253 | ১৩ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৩৪477162
  • অথচ এ পেঁচা তার ঠাকুমার। কিম্বা জ্যোৎস্নার। কোজাগর পূর্ণিমায় বারান্দা চাঁদে ভাসছিল। লক্ষ্মীর পাঁচালী পড়া শেষ হলে, পাথরের গেলাসে চা খাচ্ছিল ঠাকুমা। ছানিকাটা চোখের সামনে ল্যান্ড করে পেঁচা। কালপুরুষের ঠাকুর্দার ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় আধঘন্টার মধ্যে। শ্মশানযাত্রীরা স্নান সেরে ফেরার পথে রূপোর থালার চাঁদ তাদের দেখছিল বলে কথিত আছে।
    কালপুরুষকে ঠাকুমা বলেছিল সে সব কাহিনী। বলেছিল, কালপুরুষের বাবাকে নিয়ে ঠাকুমা কলকাতায় চলে এসেছিল কদিন পরে। সেদিনও রাতের রেলগাড়ি থেকে পূর্ণচন্দ্র দেখা যাচ্ছিল স্পষ্ট।
    ঠাকুমার এই নিরন্তর জ্যোৎস্নাভ্রমণ থেকেই কালপুরুষের জ্যোৎস্নায় অ্যালার্জি। এব্যতীত, সে রাতে ঠাকুমার সামনে ল্যান্ড করা পাখিটা লক্ষ্মী না কালপেঁচা এইটা সে জানতে চেয়েছিল। ঠাকুমা উত্তর না দিয়ে দু হাত কপালে ঠেকিয়ে আকাশের দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। জ্যোৎস্না ছিল আকাশে সেদিনও।
  • achintyarup | 125.111.242.10 | ১৪ নভেম্বর ২০১২ ০১:৩০477163
  • ঠাকুমার ছ্ড়ানো দু হাত থেকে ফরফর করে উড়ে গিয়েছিল রাশি রাশি আরশোলা -- সাদা, নীল... নানা রঙের।
  • 3Q | 161.141.84.239 | ১৪ নভেম্বর ২০১২ ০১:৩৯477164
  • জ্যোৎস্না থেকে পালাতে পালাতে সে চলে আসে দীঘাইপাহাড়ে। চূড়ার কাছে এক গুহা, সেখানেই সে থাকে। শুক্লপক্ষে বেরোয় না চাঁদ না ডোবা পর্যন্ত, কৃষ্ণপক্ষে কোনো কোনোদিন একটুখানি বেরোয় সাঁঝের বেলা, আকাশের কোণে চাঁদের গলুইটুকু দেখা দিলেই আবার গুহার ভিতরে সেঁধিয়ে যায়।
    কিন্তু আজ অমাবস্যা, আজ সারারাত সে থাকবে খোলা আকাশের নিচে। আকাশ জুড়ে তারা ফুটফুট করে, নতুন ফোটা খইয়ের মতন সব তারারা, আকাশটা যেন উপুড় করা কড়াই, সে কড়াই থেকে ছড়িয়ে পড়ছে কেবলি ছড়িয়ে পড়ছে তারার খই। সে হাত বাড়ায় খই নেবার জন্য।
  • i | 134.171.52.45 | ১৪ নভেম্বর ২০১২ ১৭:২১477165
  • বস্তুতঃ সেই সব শাদা নীল আরশোলাদের প্রায়ই স্বপ্নে দেখে সে। দেখে একটা গোলাপী ঘর-নীল ছোটো টিভি আর একটা লোক। টিভিতে পেল্লায় মাঠ ডোরাকাটা। ড্যানিয়েল প্যাসারেলাকে দ্যাখে তারপর। লম্বা হাতা গেন্ঞ্জি। তারপর অজস্র কাগজের কুচি উড়তে দেখে মাঠময়-নীল টিভিময়-সেই লোকটা উবু হয়ে কাগজ কুড়োয়-মাঠময় ঘরময় টিভিময় অনন্ত কাগজের কুচি-নীল সাদা গোলাপী-হাফ প্যান্ট পরা কালপুরুষ হাত লাগাতে গেলে কাগজকুচি আরশোলা হয়ে ওড়ে। তারপর খই হয়ে যায়। অজস্র খই। সাদা খই। বল হরি হরি বোল।
    ভয় পায় কালপুরুষ। ঘুম ভেঙে যায়। এবারে মিসড কল তিরিশটা।
  • 3Q | 161.141.84.239 | ১৬ নভেম্বর ২০১২ ০২:৩৯477166
  • অনন্ত সাদা খই ছড়ানো নীল মাঠের উপর দিয়ে হাঁটতে থাকে কালপুরুষ, দূরে কোথায় দূরে দিগন্ত, সেখানে উপুড় হয়ে পড়েছে সবুজ আকাশ। সেইদিকে চলতে থাকে কালপুরুষ। পায়ে সুড়সুড়ি দেয় নীল আংটিদূর্বা, নীল চোরকাঁটা বিধে যায় পরণের কাপড়ে। মাঠের একপাশ দিয়ে বইছে লাল নদী, তার কিনারে বেগুণী বালিতে উঠে রোদ পোহাচ্ছে দুটো গোলাপী কাছিম। সবুজ আকাশে অলস ভাসছে ম্যাজেন্টা রঙের মেঘেরা।
  • i | 147.157.8.253 | ১৬ নভেম্বর ২০১২ ০৫:১৪477167
  • মেঘ উল্টে পাল্টে মোবাইল খুঁজছিল কালপুরুষ। একটার পর একটা ম্যাজেন্টা মেঘ তুলে তন্ন তন্ন করে সবুজ আকাশ ঢুঁড়ে ফেলছিল। অথচ বাজছিল ফোনটা খুব কাছেই। মেঘ আসছিল। মেঘ যাচ্ছিল। মেঘের ভেতর হাত ঢোকাচ্ছিল কালপুরুষ। মেঘ গলে যাচ্ছিল ওর হাতে । আঙুলের ফাঁকে কিছু লেগে থাকছিল না । মেঘে তবে আঠালো কিছু থাকে না? অভিমানে হাত বের করে আনছিল কালপুরুষ। ভিজে যাচ্ছিল হাত, ঠান্ডা অসাড় হয়ে যাচ্ছিল। ঠিক এই সময়ে আবার বাজল ফোনটা। কালপুরুষ হাত বাড়াতেই মোবাইলটা ওর হাতে তুলে দিল পিঙ্ক কাছিম। আলতো করে।
    কালপুরুষ লাফ দিয়ে বিছানা ছাড়ল-হ্যালো কে বলছেন?
    নরম গলায় জবাব এলো-আমি বিদ্যা। ভি নয় বি। বি ফর বিনুণী।
  • 3Q | 161.141.84.81 | ১৬ নভেম্বর ২০১২ ০৫:৪৩477168
  • কালপুরুষের সবুজ আকাশ জুড়ে অমনি দুলতে থাকে বিদ্যার বিণুনী, চকচকে নীল বিণুনী। এক থেকে দুই, দুই থেকে চার, চার থেকে আট, আট থেকে ষোলো ---জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে বিণুনীর সংখ্যা, বদলে যেতে থাকে রঙ, সোনালী লাল কমলা কালো বিণুনীরা পাক খুলে খুলে মিশে যেতে থাকে ম্যাজেন্টা মেঘে।
    কাঁচকড়ার পুতুল বুকে চেপে সবুজ ফুটি ফুটি ফ্রক পরা বুন্টুলি এসে বলে, আমারও নাম বিদ্যা, আগে ছিলো, কিন্তু আমি তো আর নেই। ঐ নীলকমলিনীর ঝাড়ের কাছে মাটির নিচে আমার ছাই আছে। আমি এখন যেখানে থাকি, সেখানে আকাশে একজোড়া কমলা চাঁদ, কমলা রঙের জ্যোৎস্না হয় সেখানে। তুমি দেখতে চাও?
  • i | 147.157.8.253 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ০৯:০৫477170
  • বিদ্যুৎগতিতে টেক্স্ট করে কালপুরুষ - ব্লু লোটাস, টু অরেঞ্জ স্ট্রীট। দশ মিনিটে পৌঁছচ্ছি।
  • Tim | 188.91.253.11 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৫৯477171
  • হাঃ, দশ মিনিট? রাস্তায় তখন ঢল। বালকান বলে একজনের দেহ নিয়ে মিছিল চলেছে। কুড়ি কুড়ি হাজারের ঢল। সে ভারি জোয়ান লোক, এককালে শয়ে শয়ে লোক মেরেছে যুদ্ধে। যাদের মেরেছে তাদের ছেলেপুলেও আজ শবদেহে কাঁধ দিয়েছে, শব্দ হারিয়েছে শোকে। যেসব মানুষ ও নামানুষ একদা তটস্থ ছিলো বিরক্ত ছিলো তাদেরও পতাকা অর্ধনমিত আজ।

    ম্যাজেন্টা মেঘে গৈরিক ছোঁয়া লাগে, রাস্তা লাল হয় আবিরে ও রক্তের দাগে- কালপুরুষ হাঁ করে বালপুরুষের শবযাত্রা দেখতে থাকে। চাঁদ অস্ত যায়।
  • dd | 120.234.159.216 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৬:০৪477172
  • ঢলঢলে চাঁদ অস্ত গেলে মস্ত হয় ফাঁদ। ঘুঘু তখন লুকিয়ে ঢিল ছোঁড়ে তারস্বরে।

    তরোয়ালমহিলা আর ঢালপুরুষে ঢলাঢলি করলে লজ্জায় মুখ ঢাকে বিজ্ঞাপনেরা। কোথাও ঘন্টা বাজে। ঢং বলে মুখ ব্যাঁকায় জনতা। হাতীরা কচু খায়। বেল বাজলে কাকের কি? ভাবে শুভাপ্রসন্ন। মমতায় ভরে ওঠে তার ন্যাজ।
  • dd | 120.234.159.216 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৬:৩৯477173
  • গদগদো ভাবে ঢালপুরুষ কয় তরোয়ালমহিলারে " চিন্তা কিসের? ওগো ভয়াতুরা ঢলপুতুল আমার"। এবং পরের মুহুর্ত্তেই প্রাণ হারায় ত মহিলার এক মারাত্মক কামড়ে।

    ঠাকুর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ,পোদোকে বলেন "তখনই বলেছিলাম"। পোদোও দুঃখে মাথা নাড়ে "আই নো।" বলে অস্ফুটে।
  • i | 134.168.44.74 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৭:০২477174
  • এই বলে ম্যাজেন্টা মেঘে মিলিয়ে যায় পোদো ও ঠাকুর। গৈরিক রাজপথ ঝাড়ু দেয় বিশলাখ ন্যাজ।
  • i | 134.168.44.74 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৭:০৪477175
  • ন্যাজে ন্যাজে বেলা যায়।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৭:০৭477176
  • কী বেলা যায়? রুটি না লুচি নাকি পরাঠা?
  • i | 134.168.44.74 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৭:২৩477177
  • বিশ লাখের ল্যাজের জন্য লুচি। বাঘনখ লুকিয়ে ময়দা ঠাসেন ভয়াতুরা। গব্য ঘিয়ে ফোলে লুচি। সে কি সহজ গান?
  • Kaju | 131.242.160.180 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৭:৩০477178
  • লুকোনো বাঘনখ থেকে ময়লা মিশে যায় লুচি-তে। লুচি হয়ে ওঠে ফুচকার মত সুস্বাদু। মোহনভোগের বদলে বাঘনখে-বলিপ্রদত্ত ভয়াতুর ছাগস্বামী মিনমিন করে বলেন, 'গিন্নী, বরং একটু তেঁতুলজলই দাও।'
  • | 69.161.187.14 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৭:৩৮477179
  • গানগুলি সব গাঁ গাঁ করে বেরিয়ে যায় জানলা দিয়ে, দরজা দিয়ে, ঘুলঘুলি, নদ্দমা, কুলুঙ্গির পিছনের গর্ত দিয়ে। ভিদ্যিয়া অবাক হয়ে দ্যাখে কানের তালা চাবি সব খুলে বেরিয়ে যাচ্ছে শৈবালেরই দলের মতন। বিদ্যা মুখ মটকে বলে 'দুর মুখপুড়ি, ঢঙ দ্যাখো না'
  • | 69.161.187.14 | ২০ নভেম্বর ২০১২ ১৭:৪৯477182
  • ফাঁকা রেলব্রীজের উপর থেকে ভবদুলাল উঁকি মেরে দ্যাখে দুঃখী দুঃখী মলিন ন্যাজেদের। শান্টিং করা মালগাড়ীর ভেতরে নড়েচড়ে ওঠে ঘুমন্ত রাজকুমার। ভিদ্যিয়া নেমে আসে মজা বিলের ঘাসে, ওখানেই পড়ে আছে তালা আর চাবি।
  • i | 147.157.8.253 | ২১ নভেম্বর ২০১২ ০৫:২১477183
  • বাস্তবিকই ন্যাজেরা বড় মলিন আর দুঃখী ছিল। রাজপথ ঝাড়ু দিতে গিয়ে ন্যাজেদের রোম খসে পড়তে থাকে, তারা সরু আরও সরু হতে হতে প্যাংলা হয়ে যায়-তখন তাদের মলিন আর বিমর্ষ দেখাতে থাকে। ওদিকে সেই সব রোমরাজি, রাজপথের গৈরিক ধুলিকণা যাদের হাঁচিয়ে মারছিল, লুচির গন্ধে সেইসব সংবেদনশীল মানুষ স্বস্তি পেল। ঘ্রাণে ঘ্রাণে সব সর্দি ছুটে যেতে থাকল। ঈষৎ নাক টানা ব্যতীত কিছুই বাকি রইল না শেষ অবধি।

    এদিকে ভবদুলালের ন্যাজের শখ বহুদিনের। উপকারী ও অপকারী ন্যাজ বিষয়ে তার একটি থিসিস লেখা চলছিল। ন্যাজের দৈর্ঘ্য,প্রস্থ, রোমের ঘনত্ব ও স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে বহুবিধ আঁক কষেছিল সে।
    এখন নিঃসঙ্গ রেলব্রিজ, তার ওপর বিশলাখ ন্যাজ তাকে বড় উদাস করল। থিসিসের শিরোনামে ন্যাজ কেটে পুচ্ছ করে দিল ভবদুলাল।
  • 3Q | 161.141.84.81 | ২১ নভেম্বর ২০১২ ০৫:৩৪477184
  • তখন লাখে লাখে পুচ্ছ নাচিয়ে জোড়া জোড়া ডানা মেলে উড়তে শুরু করে দিলো পাখিরা, তারা সব সবুজ কেটজাল পাখি হয়ে গেছে। চারদিন চাররাত্রির নিরন্ধ্র অন্ধকারের পরে ভোর হয়েছে, নতুন যুগের ভোর।
  • nina | 79.141.168.137 | ২১ নভেম্বর ২০১২ ০৭:১৬477185
  • সোনার থালা ভরা রদ্দুর--ন্যাজেগোবরে মাখামাখি ---যুগের হাওয়ায় এক নতুন উন্মাদনা---শুধু বেচারা দাঁড়কাক খুব ভয়ে ভয়ে চলাফেরা করছে--পুচ্ছটা কেমন যেন নড়বড় করছে--------
  • i | 147.157.8.253 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৭:৩৫477186
  • রোদ পড়ে এলে ছায়ারা দীর্ঘ হয়। দীর্ঘ তারপর দীর্ঘতর । একসময় দীর্ঘতম হয়ে গিয়ে অবয়বকে ছাড়িয়ে যায় - খুব জোরে পা চালিয়েও ছায়ার নাগাল পাওয়া যায় না। একলা হয়ে যায় মানুষ তখন। দিশেহারা মত । হয়তো সামান্য পাগল আর কাঙাল।

    বিকেলের হাওয়া বইছিল রেলব্রিজের ওপর। সেই সব হাওয়া একলা হওয়ার গন্ধ বহন করছিল। কখনও সখনও কান্নার গন্ধ। এ বাতাসে মানুষ ঘর ছাড়ে। বিবাগী হয়। বিষ খায়।
    সেই সব হাওয়ায় হেঁটে ফিরছিল ভবদুলাল, পুচ্ছ নাচানোর দিন গিয়াছে বোধ হয়।
  • Yan | 161.141.84.239 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:৪৬477187
  • ছায়ারা বেড়ে যায় সংখ্যায় ও আকারে, তারপরে মিলেমিশে যায় সব ছায়া। একাকার অখন্ড ছায়ার উপরে ভেসে আসে অদ্ভুত নীলচে সাদা কুয়াশা। কুয়াশা আর কুয়াশা, চরাচরে ব্যপ্ত ধোঁয়ান্ধকার।

    মিমারা আর নিশিতা কিন্তু জানে এই কুয়াশা পার হয়ে উড়ে যেতে পারলেই আছে আকাশভর্তি ঝমঝমে তারা আর একফালি উজ্জ্বল চাঁদ। আজ শুক্লা তৃতীয়া কিনা!

    মিমারা ডানার খোঁজ করে, কোথায় যে গুঁজে রেখেছিল লুকিয়ে! নিশিতা চোখ মিটমিট করতে করতে দ্যাখে মিমারার ব্যস্ত অনুসন্ধান। সে জানে কোথায় আছে ডানাজোড়া। কিন্তু জানে বলেই বলবে কেন?
  • i | 147.157.8.253 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:০২477188
  • অতএব সে ঝিম মারে নিশ্চিন্তে।চোখের পাতার ওঠানামা স্তিমিত হয়ে আসে। আধবোজা চোখে মিমারার হাতে অদ্ভূত এক কলম দেখে সে - ঝকঝকে রুপোলী কলম, - কুয়াশার ওপর আঁচড় কেটে চলেছে কলমের তীক্ষ্ণ ডগা-কুয়াশা ছুঁয়ে যাচ্ছে কলম আর নীলচে বেগুণী আলোর অক্ষর তৈরি হচ্ছে, অক্ষরের পাশে অক্ষর বসছে, শব্দের পাশে শব্দ... কলম তুলে নিলেই কুয়াশায় ঘিরে নিচ্ছে সব...
    নিশিতা পড়তে চাইছিল, পারছিল না, ওর চোখে ঘুম দানা বাঁধছিল দ্রুত। চোখের পাতা ভারি হয়ে বুজে এল একসময়।
    অথচ মিমারা লিখছিল। আর পৃথিবী বিদ্যুৎ দেখছিল -নীল বেগুণী আঁচড়ে ফালা ফালা আকাশ। সাবধানী মানুষ দুয়ার এঁটে দিচ্ছিল। জানলা বন্ধ করছিল। ভাবছিল বৃষ্টি আসবে।
  • dd | 132.167.8.185 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:৫৮477189
  • সে এক হিংস্র সময়। কেউ কিল মারে, কেউ ঝিম মারে। এক রক পাখী সুনিপন ডিম পারলে তা আধসোজা মিমারার টাকে ফেটে চৌচির হয়। খবর শুনেই অক্ষরা ছুটে আসে। হাজারে হাজারে অক্ষ। এক অক্ষর পাশে বসে আরেক অক্ষরের কাছে দাঁড়ায় আরেক অক্ষর...ইঃ।

    নিশিতার পরীক্ষা তো সামনেই কিন্তু কে বা কারা তার চোখে দানা ফেলে যাওয়ায় বেদানায় সে কাতর হয়। পাথর হয় তার চোখ। "ভারী তো,হিঃ" বলে শ্লেষোক্তি করে সে ঘুমাতে যায় শেষ অবদি।

    বনীর পাড়ায় খুব বৃষ্টি হয়। শক্তিশালী বৃষ্টি। সে দুয়ার এঁটে ধরে। অমনি গাভীর দল ভেসে আসে আর বিকট চেঁচায় "বনী, অ বনী, বাড়ী আছো? এই দ্যাখো, ফালা ফালা বেগুন। এবারে ভেজে ফ্যালো তো দিকি।"

    অপর পাড়ে ক্যাঙারুরা বিষন্ন হয়। সাধের প্লাটিপাসটি গেছে বাপের বাড়ী। মন ক্যামন করে।
  • Tim | 12.133.35.8 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:২১477190
  • মন ক্যামনের গান শুনে ভবদুলালের হাসি পায়। প্লাটিপাস বাপের বাড়ি থেকে ফোন করে বকেঝকে শেষে বিষম খেয়ে অস্থির। তাতে ক্যাঙারুর দেশে ঠান্ডা পড়ে। বুকের থলেতে হ্যারিকেন নিয়ে ক্যাঙারুর দল দূরদেশে পাড়ি দিতে চায়।

    কিন্তু অতই সহজ নয় সব। নিশিতা চোখের পাথর খুলে আংটিতে বিষ ভরে। ন্যাজে রুমাল বেঁধে গিঁট দেয়। তারপর আগুনগোলা থুতু কোমরবন্ধে ভরে উড়ে পড়ে। ক্যাঙারুর দল যেতে যেতে দেখে, ঘরবাড়িহোটেলব্রথেল সব ছাই।

    ছাইয়ের গাদা থেকে দাঁত মাজতে মাজতে ভবদুলাল বেরিয়ে আসে। এখন এখানে ঝিঁঝিঁ খ্যালা হবে। ছাইয়ের কাপ পুরষ্কার দেওয়া হবে। লালমুখো খট্টাশ আর ক্যাঙারুরা পাজামা পরে টরে তৈরী হয়।
  • | 24.97.150.215 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৫৪477191
  • অথচ টুকলিপিটিং এসব কিচ্ছু জানত না। সে তখন আপনমনে খেলছিল রিসাং নদীর ধারে। নদী ওকে বলছিল 'আয় বেড়াতে যাবি আমার সাথে?' টুকলিপিটিং এক পা নামে, এক পা ওঠে, আবার দুই পা নামে, এক পা ওঠে। রিসাং হাসে খিলখিল, ঝিলমিল। পাশ থেকে ছেয়ে রঙের গম্ভীর রাস্তা হেঁকে বলে 'যাস না ওর সাথে ও রাক্কুসি সব ভুলিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে হারিয়ে যায়। যাস না-আ-আ'। টুকলিপিটিং তাকায় রাস্তার দিকে। কেমন গম্ভীর দ্যাখো, চারপাশে কেমন একগাদা ধুঁয়ো ধুঁয়ো রঙের ধুলো মেখে শুয়ে আছে। আবার তাকায় নদীর দিকে। কেমন ঝলমলে চিকচিকে জামা পরে খিলখিলিয়ে হাসতে চলেছে দ্যাখো। টুকলি তিন পা নামে, আধ পা ওঠে। দূউর থেকে ওর মায়ের ডাক ভেসে আসে 'টুকলি-ই-ই, পিটাই সোনা খেয়ে যাও।' টুকলি আরো চার পা নেমে আসে। রিসাং ছলছলিয়ে ঝলমলিয়ে এগিয়ে আসে তিন পা। দুইদিকে দুই পাহাড় দিয়ে কষে বাঁধা রাস্তা শুয়ে শুয়ে দ্যাখে অসহায় ----- কি করবে ভেবে না পেয়ে সন্তর্পণে বার করে ময়ুরকন্ঠী রঙের ল্যাজখানা, অতলপুরীর রাজকন্যা যোজনগন্ধা ফেলে গেছিল --- ঝপাং করে ছুঁড়ে দেয় টুকলিপিটিঙের গায়ে ---- কি আশ্চর্য্য ঠিকঠাক ফিট করে গ্যাছে ---- টুকলির মায়ের ডাক শোনা যায় 'টুকলিপিটিইইইং --- টুকলিইইইইই' ------পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধনি ওঠে ৯-ই-ই-৯-ই-ই
  • | 24.97.150.215 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৫৬477193
  • প্রতিধ্বনি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন