এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন বিষয় : নতুন বিষয় : নতুন বিষয়

    notun bishoy
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০১১ | ১৬৩৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 110.234.159.216 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:২৮477312
  • ইউটেরেসে নয়,ইউ টিউবে। টিউমার ও নয়, রাজ পেয়াদা গোছের কিছু। আর ও আপজল খা হবে কোন দু:খে, ও তো বরোপ জল খা নামের শীতল পাখী।

    কিন্তু ব্রহ্মা রেগে যান, ঘ্যান ঘ্যান করতেই থা "যে যেখানে পারে লিখে যাচ্ছে, কে একজন দ্যাখো একটা টিকটিকিও ফেলে দিলো। কিন্তু ঘটনা টা যে অ্যাকচুয়ালি কি হচ্ছে, সেটা জানা গ্যালো?"
    কেষ্ট বলেন "টিকিটিকি নিয়ে ক্যানো ভাবছো লালখোকা ? সব ই আমার জীব। উটি তৃতীয় টিকটিকি। আমার লীলা পড়োনি বুঝি? সমাদ্দার ইনভেস্টিগেশনের টিকটিকিদের কিছু হয় না।"
    ব্রহ্মা তাও ঠোঁট ফোলান "এক রাজা ছিলো, তার কর্মচারীরা সবাই সিপিএম,কাজ টাজ কিছু করে না। সমস্যা তো এই। তো সলুশনটা কি"

    কেষ্টো বিষ্টু একগাল হাসেন "ভো লালখোকা, দ্যাখো, একটা টই খুলে দিইছি। সেখানে সবাই মামদো মুখে যৎপরোনাস্তি লিখে যাচ্ছে। হাতী ঘোড়া। আরেকটু ঘোড়ালো হোক, দেখবে প্লট আপন ই ই বেড়িয়ে আসবে। জোলাপ ও লাগবে না। এট্টু কল্প খানিক সবুর করো।"
  • i | 220.235.103.168 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:০২477313
  • এদিকে তো ভবদুলালের গজগজিয়ে বয়স বাড়ছে।তার সঙ্গে হজমের গন্ডগোল। ঢেকুরে কথা কয়। যেই মাত্তর মেরিবিস্কুটপানা জিনিসটে কপাৎ করে মুখে দিয়ে আলতো চিবিয়ে গলা:ধকরণ করেছে, ঢেকুর উঠলো- সব ঝুট হ্যায়, সব ঝুট হ্যায়। রাজবাড়িতে রব উঠল-ঐ তো রাজকন্যের মোবাইলের রিংটোন।পাওয়া গেছে ,পাওয়া গেছে। ওরে কে আছিস!
    ভবদুলাল ভাবল-রাজমোবাইলই যদি হবে তবে তার ন্যাজ ছিল কেন? গাছের তলায় রামধনু রঙা গামছা পাতা। কার কে জানে। ভবদুলাল ডেকচি মাথায় শুলো।বুড়ো আঙুল চুষতে চুষতে নিকষ ঘুম। উদগার উঠল-মধুর তোমার শেষ যে না পাই। সবজে গঙ্গাফড়িং উড়ে এসে জুড়ে বসল ভুঁড়িতে-তুতলিয়ে বোল্লো -সর সর , তরে পিমড়ে খাইবো।
  • byaang | 122.167.66.44 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:১৫477314
  • যেই না ভবদুলাল ধড়মড়িয়ে উঠে বসেছে, অম্নি দ্যাখে ডেকচিটা নড়বড়িয়ে উঠেছে। ভবদুলাল আরো এগিয়ে যায়, ভালো করে ডেকচির নাচ দেখতে। ডেকচিও গবগবিয়ে, ফড়ফড়িয়ে তুড়ুকনাচ নেচে বেড়ায়। এমনসময় বর্গীসর্দার এসে ভবদুলালকে দেয় এক ধমক - ""তোর লজ্জা করে না ড্যাবডেবিয়ে একটা তুচ্ছ ডেকচির নাচ দেখতে!! তোর বয়সে আমরা যেতুম রঙমহলে মিস শেফালীর নাচ দেখতে। আর যখন অফশোরে যেতুম , আমাদের সঙ্গে যেত হেলেনের ক্যারাভান। রোজ সন্ধ্যেয় তাঁবু ফেলার অপেক্ষাটুকু যা, তারপরেই আগুন জ্বালিয়ে হেলেনের বেলিডান্স! আর তুই গোমুখ্যু কোথাকার! ডেকচির নাচ দেখে বাপপিতেমোর নাম খারাপ করছিস!'' বলেই বর্গীসর্দার করেছে কী তালোয়ারের ডগায় ডেকচিটাকে দিয়েছে ঝুলিয়ে!
    অম্নি হল কী? সে যা একটা কান্ড হল না! ভবদুলাল দ্যাখে আর বলে - একী, ডেকচির তলায় দেখি, আজব এক জানোয়ার, তার কিনা দুটো আধভাঙা গজদাঁত!!
    বর্গীসর্দার বলে, "আরে দুদ্দুর, আজব জানোয়ার কেন হতে যাবে, ওতো আমাদের সেই বিলেতের চিঠি লিখত যেই বন্ধু, সেই ড্রাকুলা। তা হ্যাঁ রে ড্রাকুলা, এমনধারা শ্রিঙ্ক করে গেলি কী করে? আর অমন আধফোকলাই বা হলি কী করে?''
  • i | 137.157.8.253 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৬:৪০477315
  • চতুদ্দিকে ইতনা ক্যাচাল-বর্গী, তরোয়াল, ডেকচির নাচ..
    ফড়িং তার আন্টেনা বাঁকায়, ব্লু টুথ অন করে, রাজকন্যার মোবাইল থেকে ডাউনলোড করতে থাকে গান টান, ছবি টবি, রাজভৃত্যের সঙ্গে রাজকন্যার প্রেমদৃশ্য, রাণীমার পরকীয়া -এইসব। একটা সাড়ে তিন মিনিটের ক্লিপিংএ পাওলি দামকে দেখতে পায় সে , ফলত: পুড়ে মরে। পাখাদুটি জ্বলে খাক হয়। সবুজ শরীর কালো হয়ে যায়। আর ব্লু টুথে ব্লুটুথে জঙ্গলে, অরণ্যে, পর্বতে, শহর আর শহরতলিতে পৌঁছে যায় পাওলি, পরকীয়া, গান টান। এইখানে বর্গী সর্দার কেঁদে ফেলে এবং পাওলির খোঁজে শহরে গিয়ে গাড়ি চাপা পড়ে জেব্রা ক্রসিংয়ে । বস্তুত: গাড়িরা তখন সঞ্চারী শুনছিল ট্রাফিক সিগনালে।
    ডেকচির আড়াল থেকে গজদাঁত আর গজদাঁতী বেরোয়-ডেকচি বেয়ে উঠে ডিগবাজি খায়। গান ধরে-জুআ খিস হুমুহুমু/হেগা কপি হুকুহুকু/ ঞ্জ কুবনে হুঁদু হুঁদু রহাদোঁ নেপা অচা।
    ইত্যবসরে ভবদুলাল সটকে পড়ে এবং একটি নিষ্পত্র মেহগনী বৃক্ষের তলায় বাকি ঘুম দিতে থাকে। চারদিকে ছিটিয়ে থাকে রাঙা জবা, গামছা, ডেকচি, সিপিএম, পাওলি ও তৃণমূল। টপ টেন টইয়ের মত। এই সময় তার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কেউ বলতে থাকে, বলতেই থাকে-মেইল চেকান, মেইল চেকান, প্লীজ মেইল চেকান।
  • pi | 80.187.222.81 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৩৭477316
  • ফিসফিসিয়ে বল্লে শুনছে কে ?
    মেইল চেকাআঅন, মেইল চেকাআঅন, প্লীজ মেইল চেকাআআআআআআআআন।

    গাঁক গাঁক গাঁক গাঁক !
  • Netai | 121.241.98.225 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:৪৫477317
  • ঘুম ভাঙতে ভবদুলাল দেখে পায়ের কাছটায় একটা কাঠবেড়ালী কুটকুট করে কামড়াচ্ছে। ভবদুলাল রেগে কাঁই হয়ে যায়। উন্মাদের মত চেঁচাতে থাকে-
    -এই অসময়ে তুমি কোথেকে আসচো? স্ক্রিপ্টে তো তোমার কথা লেখা ছ্যালো না। বলি পড়া কর নাই? অ্যাঁ?
    কাঠবেড়ালী থতমত খেয়ে যায়। কাঁচুমাচু হয়ে বলে
    -স্যার ভুল হয়ে গেছে। কাঠবেড়লীর কথা তো পড়ি নাই। লুঙ্গীর কথাও না। ভুল করে ঢুকে পড়েছি। মাপ করে দ্যান।
    -ঠিক আছে ঠিক আছে। যা পালা। তোকে মাপ করে দিলাম।
    বলেই ভবদুলাল আবার ভোঁস ভোঁস করে ঘুমাতে থাকে।
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৫ জানুয়ারি ২০১২ ২১:৫৫477318
  • কিন্তু ভবদুলাল ! হায়!

    বুঝতেও পারেনা তার পরনের নীল-লাল চেক লুঙ্গীটিও কাঠবেড়ালী নিয়ে পালিয়েছে---তাকে বাদাম খেতে হবে তো, না কি? আর দুনিয়ায় এখনও লোকে লুঙ্গী পরছে--এই অনাসৃষ্টি দেকলে যারা তেল থেকে আগুনে--আগুন থেকে তেলে পড়বেন--তাদের লীডর ই তো বাদাম সাপ্লায়ার পুরো কাঠবেড়ালী গুষ্ঠীর!!
    সো কাঠবেড়ালী হ্যাড নো চয়েস !
  • achintyarup | 59.93.241.44 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ০৪:০৩477319
  • কুমারও ঘুমে বিভোর। ওদিকে রাজপুরীর নিভৃত কক্ষে কন্যে তখন চ্ছম্মক চ্ছল্লো, দেবদ্যুতি তার ঈশ্বরকণাময়, ঠিকরে পড়ছে আর্শি থেকে আর্শিতে। কন্যার গ্রীবাভঙ্গী গর্বিতা মরালীর ন্যায়, ভ্রূযুগলে কাকপক্ষীর উড়াল। তর্জনী-মধ্যমা-বৃদ্ধার ত্রিকোণে চিবুক ঠেকিয়ে সে কেবল ভাবে আর ভাবে। ছোট্ট হীরে চিকচিক করে কানে।
  • i | 124.168.134.109 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৩৮477320
  • স্ক্রিপ্টে না থাকলে কি হয়, স্বপনে তো আসা যায়। অথচ ভবদুলাল বুঝতেই পারে না সে জেগে না ঘুমিয়ে। ডাক শোনে সে-ফিসফিসিয়ে, হাঁক ডাক, চিল চিৎকার।একদিন কান্নাও শুনেছে-তুলোয় পড়ে নাক গেল বাছারে, তুলোয় পড়ে নাক গেল বাছারে। কখনও টের পায় কেউ তাকে দূর থেকে দেখছে। জঙ্গলের গাছ, ঘাস ফুল পাতা কাঠবেড়ালী ... টের পায় চিমটি কাটলো কেউ, সুড়সুড়ি দিল হয়তো আর একজন, কান টানলো, চড় চাপ্টা, ইভন গাঁট্টাও। অথচ তার হেল দোল নেই। সে যেন এক কল্পকাল ধরে ঘুমোবে অথবা জেগে আছে সেই কবে থেকে। অথচ বয়স বাড়ছে, ঢেকুর বাড়ছে। আজ মনে হচ্ছিল এই এখন কেউ আসবে। কেউ আসবে।
    এলও কেউ। একটা গর্জন শুনল ভবদুলাল সিংহগর্জন-'বাঙালীর এখন পাওলিকে চাই, শুধু পাওলি। বিশেষ করে এই সব ক্রাইম ফাইম,লাল লাল কষা মাংসের মত জিনিসপত্রে"।
    সে এসে দাঁড়ালো। বলল-জাগো বাঙালী।
  • i | 124.168.134.109 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৪০477322
  • স্ক্রিপ্টে না থাকলে কি হয়, স্বপনে তো আসা যায়। অথচ ভবদুলাল বুঝতেই পারে না সে জেগে না ঘুমিয়ে। ডাক শোনে সে-ফিসফিসিয়ে, হাঁক ডাক, চিল চিৎকার।একদিন কান্নাও শুনেছে-তুলোয় পড়ে নাক গেল বাছারে, তুলোয় পড়ে নাক গেল বাছারে। কখনও টের পায় কেউ তাকে দূর থেকে দেখছে। জঙ্গলের গাছ, ঘাস ফুল পাতা কাঠবেড়ালী ... টের পায় চিমটি কাটলো কেউ, সুড়সুড়ি দিল হয়তো আর একজন, কান টানলো, চড় চাপ্টা, ইভন গাঁট্টাও। অথচ তার হেল দোল নেই। সে যেন এক কল্পকাল ধরে ঘুমোবে অথবা জেগে আছে সেই কবে থেকে। অথচ বয়স বাড়ছে, ঢেকুর বাড়ছে। আজ মনে হচ্ছিল এই এখন কেউ আসবে। কেউ আসবে।
    এলও কেউ। একটা গর্জন শুনল ভবদুলাল সিংহগর্জন-'বাঙালীর এখন পাওলিকে চাই, শুধু পাওলি। বিশেষ করে এই সব ক্রাইম ফাইম,লাল লাল কষা মাংসের মত ডার্কি মার্কি জিনিসপত্রে"।
    সে এসে দাঁড়ালো। বলল-জাগো বাঙালী।
  • i | 124.168.134.109 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:৩৩477323
  • ভবদুলাল জানে-এই লোকের নাম অবিন হয়। অবিন। এই লোকের ছোটোবেলায় একটা পুরোনো দীঘি থাকে-শ্যাওলা, গুল্ম, ছায়া, জল-জলের নাম হয় আমি থাকি নিজমনে। জানে ভবদুলাল। ওর একটা গল্প মনে পড়ে যায়। একটা লোক দূর থেকে মঠের সোনার চূড়া দেখত-কোনোদিন কাছে যায় নি-সম্পূর্ণ করে দেখলে সুখ থাকে না লোকটা জানত। ভবদুলাল তাই জিগ্যেস করল না -আপনি কে? কোনদিন তো দেখি নাই।
    ভবদুলাল বুঝল তার বড় বিপদ-এ লোক তাকে ধরলে সেও অবিন হয়ে যাবে। ঘুমোবে না, ঢেকুর তুলবে না। তাকে এই মুহূর্তেই পালাতে হবে।

    ওদিকে,রাজকন্যে তর্জনী মধ্যমা বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের ত্রিকোণকে বৃত্তে পরিবর্তন করে তাতে চোখ রাখে-বনের মাঝে দেখতে পায় ভবদুলাল আর একজনকে।
    সে বলে-দাদা, জাগো, জাগো।
    কুমার ধড়মড় করে উঠে চ্যাঁচায়-'তখনই বলেছিলাম গ্রাইপ ওয়াটার আবশ্যক। এখন সামলাও ঠ্যালা।'

    বনের মধ্যে সে লোক টুপি খোলে। ভবদুলালের চোখে চোখ রেখে বলে-থানা থেকে আসছি।
  • Kaju | 121.242.160.180 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১১:০৯477324
  • ভবদুলাল নাম শুনিয়া ভাবিবেন না ইহা ভবানন্দের আরেকটা নাম। ইনি যদিও নন্দদুলালের মত ছন্দে ছন্দে নাচিতে পারিতেন না, তথাপি কেহ তাঁহাকে পেন্নাম করিলেই কিছু একটার সাথে 'ভব' যোগ করে আশীব্বাদ করিতেন। এনার দুটো মাত্র লাল জামা ছিল বাল্যকাল হইতে, তাই ভবদুলাল নামে ইনি এক রকম সার্থকনামা বলা-ই চলে।

    যেহেতু এই মুহূর্তে বর্তমান লেখকের লিখিবার সময় বা আন্তরিক ইচ্ছা কোনোটাই অবশিষ্ট নাই, তাই ভবদুলাল বিশ্বের অপরাপর মনুষ্যের ন্যায় একদিন ভবলীলা সাঙ্গ করিয়া চলিয়া গেলেন।

    ওমা সাঙ্গ করি ভবের খেলা
    এবার বিদায় নিবি ভবা
  • Kaju | 121.242.160.180 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১১:১০477326
  • ভবদুলাল বাল্যকালে যখন হাফ পেন্টু পরে অ্যাংলো পাড়ায় ঘুরে বেড়াত, মেমরা তাঁদের বাড়ির বারান্দা থেকে তাকে ডাক দিতেন - 'ভ্যাবা, হেই ভ্যাবা'। ভবদুলাল ফ্যালফ্যাল করে ওপরের দিকে তাকাত। কী ব্যাপার, না, সকালবেলা, নানারকম কাজ ঘরেদোরে, এদিকে খোকা খাটের ওপর হাত-পা ছড়িয়ে বসে আকাশপাতাল কাঁপিয়ে হেভেনে জিসাসের কানের পোকা নিধন করে এনেছে প্রায়। কে তাকে সামলায়? মেমদের ফুরসত নেই মোটে, তাই 'ভ্যাবা'-কে দেখেই ডাক। ভ্যাবা ডু Lull , অর্থাত, ওহে ভ্যাবা, এসে আমার ছানাটিকে খানিক দেখাশুনো করো তো হে। এই যে লোকে এত বেবিসিটার হ্যানাত্যানা কয়, তার প্রথম পথিকৃত হলেন আমাদের এই ভবদুলাল তাঁর বছর দশেক বয়েসে। ভ্যাবা এসে খোকাটিকে Lullaby শোনাতে শোনাতে এ বিপুল মর্ত্যলোককে সিংহনাদ হতে নিস্তার প্রদান করবে। পয়সাকড়ি? উঁহু। ভারি তো বোতাম-ছেঁড়া হাফপেন্টু ভ্যাবা, কে তারে পয়সা দেবে আইসকিরিম খাবার জন্যে? বড়জোর তিনদিনের বাসি দুটো 'জালেবি' দিয়ে গেল যেমনতেমন করে। ঐ খাও গা। তবে মেমরা কিন্তু পারিশ্রমিকের দিক থেকে খুবই রসিকা ছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। কেন? এখনো বোঝেন নি? আরে, Lullaby শোনানোর জন্যে 'জালেবি' দেবে না তো কি মাসিমার সেই গরমাগরম মালপো দেবে? যত্তসব !

    জলে যায় জলের পোকা
    সামাল দে কোলের খোকা
    ভবা তুই হদ্দ বোকা
    মেমদের পাল্লায় পড়ে
    আমি যে ভ্যাবা ডু Lull গো ...
  • Bokolma of Tim | 121.242.160.180 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১১:১০477325
  • সেই একজন ছিলো, রেগেমেগে একদিন তাকে সন্নেসি অভিশাপ দিয়ে বলেছিলো তোমার একখান খোকা হোক। তারে আস্কারা দিয়ে মাথায় তোলো, তারপর সে তোমার সব্বোনাশ করুক। সন্নেসি হলে বেশি কথা বলতে নেই, ইন ফ্যাক্ট না বল্লেই ভালো, কিন্তু না বল্লে অভিশাপটা পাবলিসিটি পায়না, তাই গম্ভীরভাবে সমস্কিতো করে বল্লো দুলাল ভব। সমস্কিতোটা খুব পোক্ত ছিলোনা, কিন্তু ধরাও পল্লো না কারণ সেই আপদ সমস্কিতো জানেনা, বাংলায় থার্ডক্লাস, খালি ইংরেজিটা মাতৃগর্ভে শিকে রেকেছিলো। সে ভাবলে আহা, গুরু বুঝি আমায় নতুন খেতাব দিলো। সেই থেকে তার নাম হলো ভব দুলাল। বাঙালী নাহলে হয়ত সে দুলাল ভাবা, এইরকম কিছু একটা নিত আর আমরাও আরেকজন নমস্য বিজ্ঞানী পেতেম কিন্তু কি আর করা, বিধি বাম। সেই থেকে সে ভবদুলাল হয়ে রয়ে গ্যালো।

  • Kaju | 121.242.160.180 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১১:১২477327
  • *পথিকৃৎ
  • Tim | 98.249.6.161 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:৫৯477328
  • ভবদুলালের রিদয় বলে কিছু ছিলনা। রিদয়ের জায়গায় একটা খোপরমতন, তাতে লতাপাতা হয়ে, শেকড়বাকড় গজিয়ে একসা। কতদিন পথ ভুলে টিকটিকি ঢুকে পড়েছে ইয়ত্তা নেই।
    রিদয়হীন ভবদুলাল পড়ে, খেলে, বাসন মাজে, ঝাঁটপাট দিয়ে উঠোন নিকোয়। এইভাবে সে আস্তে আস্তে বড়ো হতে থাকে। তারে হাঁসে ঠোকরায়, মুরগিতে গালাগালি করে, বেরাল রোঁয়া ফুলিয়ে শাসিয়ে যায়, ইঁদুর চোখ পাকায়, দুধেলা গাই তারে দেখে লাথি ছোঁড়ে, পাখপাখালি চেঁচিয়েমেচিয়ে বাড়ি মাথায় করে।
    এইসব দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভবদুলাল। সংসারে কেউ তারে ভালোবাসেনা। একমাত্র নারকেল গাছে তার এক মিতে আছে, নাম তিত্তিস। সেই তার দুদন্ড সুখদু:খের কথা কওয়ার অবকাশ।

    তিত্তিসের একটাই চোখ, তাও আবার কপালে। টঙে বসে সেই একচোখে সে পিটপিট করে সব দেখে, আর নিজের মনে হেসে খুন হয়। সে একাহারী, সাঁঝের ঝোঁকে এক আঙুল পরিমাণ কন্দ চিবোলেই হয়ে যায়। বাকি সময়টা তার অবসর।

    ভবদুলাল এসে পড়ায় তিত্তিস খুশি হয়। আমচুরের মত খেতে একটা কিসের যেন শেকড় বাড়িয়ে দিয়ে আপ্যায়ন করে। দুই বন্ধুতে গপ্প জমে, রাত ঘনায়, পুকুরের দিক থেকে শেয়াল ডাকে। পায়ে চলা পথটা চাঁদের আলোয় ঝমঝম করতে থাকে। ভবদুলাল উদাসমুখে বাড়ির পথ ধরে।
  • jhumjhumi | 14.96.107.95 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৬477329
  • যেতে যেতে তার কি মনে হয় সে করালীর মাঠের পথ ধরে। ঝমঝমে চাঁদের আলো,ঝিরঝিরে হাওয়ায় দিব্যি চলছিলো, পাকুড় গাছের পাশ থেকে হঠাৎ একটা লোক তার সামনে এসে বলে "তুমি কি জানো সেটা কোথায়?'
    ভবদুলাল ভালো করে চেয়ে দ্যাখে, উলুর ঝুলুর এক মাথা চুল, শতছিন্ন কোপনি পরা ,কোমরে সোনালি রং এর শেকল বাঁধা এক পাগল প্রশ্ন ভরা ঘোলাটে চোখে তার দিকে তাকিয়ে।
    "কি কোথায়'?
    "যেটা খুঁজছি'।
    "কি খুঁজছ'?
    "তা তো জানিনা'।
    "জানো না তো খুঁজছ কেনো'?
    "খোঁজার আনন্দেই খুঁজছি। বলো না কোথায় পাবো তারে'?
    "জাহান্নমে' বলে পাগলের হাত ছাড়িয়ে এগিয়ে চলে সে। কাকজ্যোৎস্নার মায়াবী আলোয় আকাশগঙ্গা থেকে নেমে আসে সাতরঙা রামধনু। আর সেই রামধনুর সাঁকো বেয়ে নেমে আসে এক কন্যে,ঝিরঝিরে হাওয়ায় তার রামধনু রঙা আঁচল ছুঁয়ে যায় ভবদুলালের মুখে। ধীর পায়ে এগিয়ে এসে কন্যে হাত রাখে ভবদুলালের সেই খোপরমতন জায়গাতে,তারপর পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে ভবদুলালের নির্বিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে "এত দিন কোথায় ছিলেন'?
  • achintyarup | 115.111.248.6 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:৫৭477330
  • তাই তো, কোথায় ছিলুম? কোথায় ছিলুম? সিংহল সমুদ্র কি? না কোন্নগর? না ভাই, ওসব আমার মনে টনে নেই। আর এখানে কিছু হবে টবেও না, তুমি অন্য জায়গায় দেখ।
  • Nina | 12.149.39.84 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৯477331
  • হুমমমমম! ভাবতে হবে---
  • achintyarup | 59.93.255.44 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৩:২১477333
  • ওদিকে প্রাসাদে তখন আরেক কাণ্ড।
  • aka | 75.76.118.96 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৫:৫৯477334
  • এমন করেই বালিশ পাজামা জড়িয়ে, মাথায় এক ডেকচি বোঝা নিয়ে আমাদের গল্প রামধনু রঙ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে। ঠিকানার নির্মানকে অবলীলায় ঝুটা হ্যায় বলে ভবদুলাল যাপন করে রাজপ্রাসাদের অলস সান্নিধ্য, আর সেখানেই গোধুলিতে ধুলোর কুণ্ডলি পাক দিয়ে ওঠে, আর সমাপতনের অপেক্ষায় রাজপ্রাসাদের পাকশালায় পাকদণ্ডী বায় রাজ পাচক। জ্বলে ওঠে চুলো, গড়ে ওঠে ধোঁয়া, মিশে যায় ধুলোয়, ধুলো আর ধোঁয়ায় চোখ কচলায় ভবদুলাল থেকে রাজকন্যে সবাই, আনমনে। আর নিশ্চিন্ত অবহেলায় সদ্য নির্মিত সোডিয়াম বাইকার্বনেট বেসন মেখে নিমজ্জিত হয় এক কড়াই ফুটন্ত তেলে। কিন্তু কিন্তু, তাও জেগে থাকে এক ফোঁটা ঘ্রাণ সদ্যজাত শিশুর মতনই তার সমস্ত উৎসাহ নিয়ে ভেসে বেড়ায় এক চরিত্র থেকে অন্য গল্পে, অফুরান।
  • jty | 151.141.84.239 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৭:১৬477335
  • "বেগুনী, বেগুনী, মনে পড়েছে বেগুনী।" মনে পড়ে যাওয়ায় ফূর্তির চোটে উদ্দাম নৃত্য শুরু করে ভবদুলাল, যোগ দেয় বর্গী ভাস্কর। পাতলা বেগুণের ফালি সোডাঘন বেসনে ডুবিয়ে তেলে ছেড়ে দিতে থাকে পাচকঠাকুর, লম্বা লম্বা মোটা মোটা বেগুণী ভাজা হয়ে পড়তে থাকে বেতের ঝুড়িতে, খবরের কাগজে রাশ করা মুড়ি ঢেলে তাতে বেগুনী সহযোগে সন্ধ্যার পিকনিক শুরু হয়। সবাই ঘিরে বসেছে, রাজা ভবদুলাল, পাগল, তিত্তিস, সেই পদত্যাগী ভৃত্য ফিরে এসে বসে পড়েছে, আর বর্গীরা সব দলেবলে যোগ দিয়েছে।
    উপরে রামধনু রঙের সামিয়ানা। হেঁড়ে গলায় কে যেন গান ধরেছে, "তুমি কেমন করে খাও হে বেগুনী!" আহা কী দরদ ভরা সে গান!
  • aka | 75.76.118.96 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:০৬477336
  • বেগুনী বললে বেগুনী, আর ভবদুলালের নিয়তি বললে তাই। আসলে যেকোন অবজেক্ট কে কনসেপচুয়ালাইজ করতে ঘটনা লাগে, প্রতিদিন, নিয়মিত একই ঘটনা বারবার ঘটলে সেই অবজেক্ট আমাদের মনে যে ইমপ্রেসন তৈরি করে তারই অনুভুতিকে আমরা রিয়ালিটি বলি। যেমন রাজপ্রাসাদের অলস সান্নিধ্যে বসে ভবদুলাল এট অলের বেগুনীর জন্য অপেক্ষা ও হেঁড়ে গলার গান যে চিত্রকল্প ফর্ম করে আসলে তা কনটেম্পোরারি রিয়ালিটি - মনে হয় বুঝি, কিন্তু আবছায়া। চিল যেমন চিল নয়, শালিক শালিক হয়েও যেমন গাংচিল নয়, স্বপ্নের বাস্তব যেমন বাস্তবের নিরিখে অলীক, তেমনই আমাদের ভবদুলাল আসলে রিয়ালিটির এক বিমূর্ত নির্মান।
  • pi | 72.83.80.169 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:২২477337
  • একটু বিটনুন থাকলে বেগুনীগুলো জমতো ভাল। কিন্তু তার কৌটোটা যে চাই কই গেল ! তবে খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে পড়লো দুটো ম্যাগির প্যাকেট।সেদিন কত্ত খুঁজেও পেল না। কাল তিত্তিসের জন্য রেঁধে নিয়ে যাবে খন। কন্দ দিয়ে মন্দ লাগবে না মনে হয়।

    আরেকটা ছোট বাটিতেও আরেকটু নিয়ে নেবে।পাগলটার জন্য। বলা যায় না, তার মত পাগলটাও হয়ত ম্যাগিই খুঁজে মরছিল।
  • i | 137.157.8.253 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:৩০477338
  • অথচ শঙ্খচিলে ফুকার দেয় কোথাও। রামধনু গামছার সামিয়ানা বেয়ে রঙেরা দলবেঁধে আসতে থাকে-সিপিয়া বর্গী, কমলা রাজা ,মেঘলা ভবদুলাল মুড়ি বেগুনী খেতে থাকে।ভবদুলালের উদগার ওঠে- মরি লো মরি...
    মুহূর্তে হেঁড়ে গলা শিউরে সরু-'এঁই তোঁ এঁই ত্তোঁ এইত্তোঁও।
    বর্গীরা হা রে রে রে করে ওঠে, পকেট থেকে রাঙা জবা বের করে কানে দেয়-সড়কি বাগিয়ে বলে কে তুমি? তুমি কে? গলা কেন বদলায়?
    বেগুনী বিছোনো পথে জবাব আসে-আমি? আমি তৃতীয় স্বর।
  • pi | 72.83.80.169 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:৩৯477339
  • আর ভাঙা পথে অনাদরে পড়ে থাকে কিছু রাঙা ধুলো মাখা বেগুনী ও ব। নির্মোহে, অনাদরে।
  • i | 137.157.8.253 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১১:১২477340
  • সত্যি প্রাসাদে তখন আর এক কান্ড।
    ক্রন্দসী রাজকন্যে ভ্রূভঙ্গি করে বলে -ও যে অবিন দাদা। ওকে ভয় কেন?
    কুমার ছটফটিয়ে ছাদে ওঠে , দূরবীনে চোখ রাখে-চিনেছি আমি ঠিকই। হীরকের রাণী পেয়াদা পাঠিয়েছে। এখন তরুণ তুর্কী ছাড়া গতি নাই। মধ্যযামের আগেই গ্রাইপ ওয়াটার পৌঁছন চাই।নইলে ভবদুলালের সমূহ সর্বণাশ। ওরে কে আছিস?
    তরুণ তুর্কী শাদা ঘোড়ায় জিন দিয়ে এসে দাঁড়ায়-দীর্ঘদেহী, মুন্ডিত মস্তক, ঘোরকৃষ্ণবর্ণ, আঙরাখায় পষ্ট লেখা ১৯। কোমরবন্ধে ঢুকিয়ে নেয় গ্রাপ ওয়াটারের শিশি।
    এই অশ্ব নিহত নয়, দ্রুতধাবমান। অশ্বক্ষুরে ধুলা ওড়ে। গহীন অরণ্যানী সেই ছন্দে বুক চাপড়ে গায়-ডেম বা বা ডেম বা বা ডেম বা বা।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:২২477341
  • কুন্ডলী পাকানো ধোঁয়ায় ধুলো উড়িয়ে, গ্রাইপ ওয়াটার ট্যাঁকে গুঁজে অশ্বারোহী রওনা দেয়। গহীন অরণ্যানীর আকুল হতাশায় সুর মেলায় সাদা ঘোড়ার দ্রুত পদক্ষেপ - ঠকাঠক ঠকাঠক ঠকাঠক ঠকাঠক। অরণ্য পেরিয়ে, মেঘমাখা পর্বতের কুয়াশা গায়ে মেখে কৃষ্ণবর্ণ তুর্কী এগিয়ে চলে রাতের তারাদের স্বাক্ষী রেখে, লক্ষ্যের দিকে। সেই মায়াবী রাতের একদিকে অবীন দা অর্থাৎ হীরকের রাণীর পেয়াদা আর অন্যদিকে তরুণ তুর্কীর নির্ভিক অশ্বারোহন। যুক্তি, বুদ্ধি বলে ভবদুলালের সমূহ বিপদ, তরুণ তুর্কীর নির্ভিক অশ্বারোহন জালিয়ে রাখে আশার এক চিলতে শিখা। স্বাক্ষী থাকে শুধু রাত পেঁচারা, শুধু বাস্তবের নয়, পর্বতের কুয়াশায় যে ভবিষ্যত রচিত হচ্ছে, যে ভবিষ্যত আগামী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে কথিত হবে তারও। শুরু হল সেই ভবিষ্যতের।
  • achintyarup | 59.93.243.5 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৪:১৯477342
  • অশ্বটি দ্রুত ছোটে। কেশর উড়তে থাকে ফনফন ফনফন। ঝামর ঝামর লেজ দৌড়ের তালে তালে ওঠে আর পড়ে। কষের কাছে জমে ওঠে ফেনা, ফোঁটায় ফোঁটায় ঘাম গড়িয়ে পড়ে সাদা ঘোড়ার শরীর বেয়ে। বাতাস হিমেল নয়, তাও তুর্কীর শীত লাগতে থাকে।
  • i | 137.157.8.253 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৫:১৭477344
  • নির্জন বনপথ। সমস্ত আকাশ উপুড় হয়ে নক্ষত্র ঝরে পড়ছে বনভূমিতে। মধ্যযাম শেষ হতে আর বাকি নাই। তরুণ তুর্কী গতি বাড়ায়। অশ্বখুরে মধ্যরাতের তারা স্ফুলিঙ্গ হয়ে নাচে।
    সহসা বজ্রনির্ঘোষে মানবকন্ঠ ধ্বনিত হয়-থামো হে ঘোড়সওয়ার।
    তুর্কী গতিসম্বরণ করে থমকে দাঁড়ায়।
    -রে হীরকের পেয়াদা! তুর্কী তরবারি খোঁজে। হাতে উঠে আসে গ্রাইপওয়াটার।
    মধ্যযামে বনভূমি শুনতে পায়-
    -পেয়াদা ফেয়াদা হীরক ফিরক-কিস্যু না। আমি অবিন।অবিনয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন