এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নতুন সরকারের শিক্ষা শিল্প স্বাস

    Suvajit
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০১১ | ৩৫৯৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:০৫478170
  • অবশ্যই মেয়ে জানে কে ভালো খেলার পার্টনার। :)
  • byaang | 122.172.229.74 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:০৬478171
  • অপ্পণের শেষ পোস্টটি যদি আমার অতি পরিচিত বিবাহিত পুরুষটির ব্যাপারে হয়ে থাকে, তবে জানিয়ে রাখি, তিনি নীরব পাঠক। মাঝে মাঝেই আমাকে চমকান, "কীসের যে এত কাজ কাজ কর বুঝি না, এদিকে তো দেখলাম এতটার সময়ে অমুকটা লিখেছ''
  • aka | 168.26.215.13 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:০৭478172
  • গুরুর মায়েদের সেই ছোটবেলার নীতিকথা মনে করিয়ে দিই-

    ...
    লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়
    ...
  • byaang | 122.172.229.74 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:০৮478173
  • আমি এই নতুনবেলার নতুন লাইনটি লিখে দিই -

    তারা কাজে বড় না হয়ে কথায় বড় হয়
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:০৯478175
  • খেলার পার্টনার?? খিখিখি :-))) যত বলা হচ্ছে, দাঁত মাজা, খাওয়ানো, পড়ানো ইত্যাদি, তত এরা খেলাধূলোর কথা কইছে।

    মায়েদের যদি সাহস থাকে, গুরুর মায়েরা এক সপ্তাহের জন্যে ভ্যাকেশনে যাক, এক সপ্তাহ গুরুর বাবারা সবকিছু সামলাক। তারপরে না হয় এই আলোচনা আবার করা যাবে।

    তবে আমি এইটা পারব না, কারণ ছেলে বেজায় কান্নাকাটি করবে, আর আকাও :-(

    ব্যাং, :-))
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:০৯478174
  • লোকটি পুং হলে দুটো কথা আছে।

    .. ..
  • byaang | 122.172.229.74 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:১২478176
  • টইয়ের বিষয় থেকে সরে যাচ্ছি। মোদ্দা কথা আমি যেটা বলতে চাইছিলাম সেটা হল এখানে এরা অনেক কিছু জানছে, শিখছে, কিন্তু নিজে নিজে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতার ব্যাপারে বেশ দৈন্য। আর তার কারণ এখানে সিস্টেমটাই ঐভাবে বানানো, তার বাইরে পা ফেলার জন্য ছোটদের যথেষ্ট উৎসাহ দেওয়া হয় না।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:১৪478177
  • এইসব ব্যপারে মুখে কুলুপ আঁটলাম। কারণ ওই 11:04-এর পোস্টে দেওয়া আছে।

    হ্যাঁ, কোন্দিন মেয়ের সাথে দেখা হলে শুধায়ে নেবেন। বাচ্চারা এসব নিয়ে মিথ্যে কথা বলে না। :)
  • Paramita | 122.167.172.70 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:২০478178
  • দেশে আম্রিকার মত রেডিমেড সুযোগসুবিধা সিস্টেম রাস্তাঘাট নীল আকাশ পাবে না। পিরিয়ড। এখানে যে থাকতে চাইবে, তাকে ধৈর্য ধরে আস্তে আস্তে এখানকার মালমশলা দিয়ে অন্যরকম পরিকাঠামো তৈরী করে নিতে হবে। বাড়িতে যিনি বাচ্চাকে দেখবেন তাঁর সঙ্গেও সেইরকম সম্পর্কের জায়গায় যেতে হবে। বিশ্বাস একদিনে তৈরী হয় না। আমাদের এখানে ফিরে আসার বড় কারণ দুজনের ডিম্যান্ডিং চাকরির কারণে চারজনের অত্যন্ত স্ট্রেসফুল একটা জীবন। আমার মেয়েরা এখন চারটেয় বাড়ি ফিরে পার্কে খেলতে যায়, হপ্তায় দু তিনদিন নাচ গান করে, আমরা যখন ফিরি, হাসিমুখে দৌড়ে আসে। ওখানে? এগারো বারো ঘন্টা বাড়ির বাইরে। পাবলিক স্কুলের আফটার কেয়ারের মান বেশ খারাপ। বস্টনের বেস্ট ও বে এরিয়ার বেস্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্টে পড়ানো বাবা-মাদের ফিডব্যাক তাই। ধুঁকতে ধুঁকতে ওদের তুলে কোনমতে বাড়িতে সন্ধের আলো জ্বালিয়ে ঢোকা, চান করতে পাঠানো, হোমওয়ার্কে বসানো, জোর করে চাট্টি মুখে গুঁজে ঘুমোতে পাঠানো। তারপর নিজেদের ঘরকন্না শেষ করতে না করতেই সারি সারি কংকাল। ধুত্তেরি জীবন ছিল। এখানে ওদের জীবন অনেক বেটার। স্কুল নিয়ে প্রচুর কমপ্লেন আছে, তোমরা তো জানোই। তবে ওখানেও ক্রমাগত ফিডব্যাক লুপ চলছে। সুখের কথা টিচারদের সঙ্গে টু ওয়ে কমিউনিকেশান সম্ভব। ব্যাং-এর তুলনায় আমার উল্টো সমস্যা। সবাইকে অলরাউন্ডার বানানোর ঝোঁকটা কমিয়ে একটু ডিসিপ্লিন আর লেখাপড়া শেখালে ভালো হয়। আর শেখানোর মেথডটা পালটানো দরকার। কারিকুলাম পাল্টেছে। টিচারদের অ্যাপ্রোচ পাল্টাতে হবে।

    সবচেয়ে বড় কথা, এখানে বড় হওয়া আম্রিকান বাচ্চাদের (লুরুতে যার সংখ্যা হু হু করে বাড়তে দেখছি) হাতে রইলো দুটো দেশ। কোনোদিনও যদি কাজে লেগে যায়? একাকীত্ব না চায়? দাদু দিদা পিসি তুতো ভাইবোনেদের সঙ্গে একটা সত্যি সত্যি সম্পর্ক তৈরী হয়? ঘড়ির কাঁটার পেছনে দৌড়োনো আম্রিকা আর অবিরত ল্যাদ খাওয়া ভারতবর্ষের দুই এক্সট্রিমিটির মধ্যে একটা বেছে নেওয়ার অপশান থাকে, কি ব্যালান্স করার অপশান থাকে, তার কথা ভেবে আমারও আনন্দিত হওয়াই তো উচিত, না? ওখানে বড় হলে যা কোনোদিনই সম্ভব হোতো না।
  • Tim | 198.82.20.198 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:২২478180
  • পামিতাদির কথাগুলো ভারি পছন্দ হলো। এক্কেরে মনের কথা।
  • kiki | 59.93.220.250 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:২৪478181
  • তিমি ঠিক ই বলেছে আমার পাসসোনালিটি স্পিলিট করে গ্যাছে।

    যাকগে এবার শ্রী শ্রী অ্যাকাদেমি,ব্যাঙ তুমি রভিশঙ্করের স্কুল গুলো দেখতে পারো, ওদের তো হেড কোয়াটার ব্যাঙ্গালোর।একটাই প্রবলেম, একটু গুরুভজনা হয়। সেটুকু কাটিয়ে দিতে পারলেই চাপ নেই। সেদিন ছেলে এসে বললো আজ কি একটা ছিলো, তো গুরুজির ফটোর সামনে এমনি এমনি করে আলো ঘোরাচ্ছিলো, যা বুঝলাম,পুজো আচ্চা হচ্ছিলো।তো ছেলের ব্রেন ওয়াশে আমি সক্ষম হয়েছি, তিনি এখন পুজো করার কোনো দরকার নেই বুঝেছেন, বললাম , দেখিস ওসময় কিছু বলিসনে, সবাই যা করছে করে যাবি। ও সেটা বুঝলো।

    কিন্তু আমার স্কুলটা ভালো লাগছে, এটাও নতুন স্কুল, আগের বছর শুরু হয়েছে। এখানেও টিচার স্টুডেন্ট রেশিওটা কম। একজন টিচার একটু খচে ছিলেন, সেটাও এখন ঠিক আছে। ক্লাস টিচার ভীষন ভালো। প্রথম দিনেই বলে দিয়েছিলেন, ক্লাস সেভেনের বাচ্চা, ওদের আমরা আর ছোট ধরি না, ওর যা বলার নিজেকে বলতে বলবেন।আপনি বারে বারে আসবেননা প্লিজ। আমার যেতেও হয়নি।সামার ব্যাকেশন এ যে চারটে হোমওয়ার্ক ছিলো তা হলো, ইংলিশে হাইডি আর রস্কিন বন্ডের কোনো বই পড়া।অঙ্কে একটা সমীক্ষা মতো ছিলো, ৫০ জনের কে কি কাগজ পড়ে, তার ও একটা লিস্ট ছিলো,সেটা এক্সেলে করে প্রিন্ট আউট নেওয়া, বাঙলায় একটা গল্প পড়ানো হয়েছিলো , সেটার পরের ভাগ কি হতে পারে বানিয়ে লেখো।আর ইতিহাসে ছিলো, মনে করো তুমি মহম্মদের আগের সময়ে আরবে থাকতে, তাহলে তুমি তখন কি ভাবে থাকতে সেই নিয়ে গল্প লেখো।

    হোমওয়ার্ক চেক করে কারেকশন বলে আবার ভুল গুলো লেখায়। একটা খাতায় দেখলাম যে ভুল বেশ, মানে জিনিসটা ধরতেই পারেনি কি প্রশ্ন, তো লেখা আছে, আমার কাছে ফাঁকা সময়ে এসে বুঝে যেও। যদিও তেনাকে চেপে ধরে জানা গেলো টিচার ঈমন লিখেছে সে জানেইনা। এরম স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে আর যাহোক টিচারকে দোষারোপ করা চলে না। এখন ও বাড়ী থেকে কিছু বানিয়ে নিয়ে যেতে হয়নি। আর পরীক্ষা মাত্র দুটো, হাফ ইয়ারলি আর অ্যানুয়াল।ক্লাসে যেগুলো হচ্ছে সেগুলো ও যে প্রসেসে পড়ানো হয় বাচ্চা মনযোগী হলে আপসে তৈরী হয়ে যাবে। আর টিচারের ও দেখলাম ছেলে পড়াশুনো ঠিক করে করে না শুনে, মানে আমায় বলছিলেন যে ও অনেক কিছু বাইরের খবর রাখে, তো আমি বলেছিলাম হ্যাঁ, কাজের টাই যা করে না। শুনেও কোনো রাগ করেননি।উল্টে বলেছেন সবাই কি সমান হবে নাকি! ক্লাস টেনে যখন উঠবে তখন আমার সব বাচ্চারাই ভালো হয়ে যাবে। ছেলের ও প্রচুর বন্ধু হয়েছে।

    মোদ্দা কথা এখন ও পর্যন্ত্য ছেলেও হ্যাপি, মাও হ্যাপি। আর দুজনেই বিন্দাস, কাজেই পড়াশুনা নিয়ে কেউ ই চাপ নেয় না।
  • byaang | 122.172.229.74 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:২৬478182
  • পারমিতা র পোস্টের প্রথম ভাগটার সঙ্গে আমি একটু দ্বিমত। ধরা যাক, এমন কোনো বাবা-মা যাদের বাড়িতে বাচ্চাকে কেউ ঠিকসময়ে খেতে দেবে, পড়ে গেলে তুলে ওষুধ লাগিয়ে দেবে সেই সাপোর্টটাই নেই, তখন তাদের কিন্তু ডেকেয়ারে পাঠানো ছাড়া অপশন থাকে না। অথবা বাবা বা মা কোনো একজনকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হয়। আর কেউই যদি বাড়িতে থাকতে রাজি না হন, তখন কিন্তু তোমার পোস্টের আমেরিকার জীবনের সঙ্গে এখানকার জীবনের তফাত নেই।
  • byaang | 122.172.229.74 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:২৭478183
  • আর এই অলরাউন্ডার বানানোর কথাটাতে আমি পারমিতার সঙ্গে একদম একমত।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৩৩478184
  • অলরাউন্ডারের ব্যপারটায় ভীষণভাবে একমত।
  • dukhe | 117.194.229.14 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৩৪478185
  • গুরুকুল শিক্ষা চাই । ছেলেপুলে যজ্ঞের সমিধ নামিয়ে রেখে গোচারণে যাবে । বেদ পুরাণ পতঞ্জলি পড়বে । বাপ মা ট্যাঁফোঁ করতে পারবে না । শুধু শেষ বেলায় গুরুদক্ষিণাটা স্পনসর করবে ।
  • Du | 14.99.16.53 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৩৬478187
  • টেস্ট দিয়ে মাপা যাবে যে স্কীল সেটা যে খুব ভালো হবে এমন তো ক্লেম কেউ করছে না।

  • dukhe | 117.194.229.14 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৩৭478188
  • র্পণ কী সব দেন ! এ তো ইঞ্জিরি সাইট । সমোস্কিত কোথায় ?
  • aka | 168.26.215.13 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৩৯478189
  • একটা কথা বলি। আমি যখন লিখেছিলাম তখন ইন জেনারাল দুটো সিস্টেম নিয়ে লেখাই উদ্দেশ্য ছিল। যে যেখানে রয়েছেন তা ব্যক্তিগত প্রেফারেন্স বা কনস্ট্রেইন্ট। তাই নিয়ে আমার কোন বক্তব্য ছিল না।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪১478191
  • আহা, ও তো ক্লায়েন্ট ধরার জন্য। আজকালকার বাবারা সমস্কিতো থোড়ি জানেন।
  • dukhe | 117.194.229.14 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪২478192
  • কিন্তু আকা তো বেঞ্চমার্ক রাখলেন নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই ।
  • dukhe | 117.194.229.14 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৫478193
  • আরে ইঞ্জিরি জানি না বলেই তো মেয়েকে ইঞ্জিরি ইস্কুলে দিলাম । সমোস্কিত জানলে আর সমোস্কিত খুঁজবে কেন লোকে ?
  • pi | 72.83.100.43 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৫478194
  • হ্যাঁ, পামিতাদির পোস্টকে লাইকিয়ে গেলাম।

    আর প্রথম প্যারার সাথে আমার এখানে দেখা অনেকের কথাই হুবহু মিলে যায়।

    ফিডব্যাক লুপের প্রসঙ্গটাও এসে ভাল হয়েছে। এটা খুব জরুরি কথা।
    এই কথাটা অনেকদিন আগে শুনেছিলাম প্রফেসর অনিল সদাগোপালের টকে। TIFR এর প্রফ ছিলেন। সব ছেড়েছুড়ে এডুকেশন নিয়ে মাতেন। একলব্য র হোসেঙ্গাবাদ প্রোজেক্টের কর্ণধার।
    এই 'কমন স্কুল সিস্টেম' , 'এডুকেশন বিল' এগুলোর নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
    ইনি: http://www.hindu.com/fline/fl1716/17160700.htm

    তো,বলছিলেন, কীকরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটা এমনি করে ভেঙে পড়লো বা ভেঙ্গে দেওয়া হল।
    এক সময় নাকি পরিকল্পনা ছিল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বা ঐ ছাঁচে (আরেকটু কম সুযোগসুবিধাসম্পন্ন) অনেক অনেক বিদ্যালয় দেশের প্রতি আনাচে কানাচে তৈরি করা হবে।
    সে পরিকল্পনা বাতিল হয়।
    শুরু হয় প্রাইভেটাইজেশন ( দুটো ঘটনা সম্বন্ধিত হতে পারে) । সেখানে একটু ভাল শিক্ষা পাওয়া যাচ্ছে বলে (উচ্চ)শিক্ষিত মা বাবারা সেখানে দেওয়া প্রেফার করতে লাগলেন। এবার ব্যাপারটা অনেকটাই ভিশাস সাইকেলের মত হল। যাঁরা ( মা-বাবারা) ফিডব্যাক দেবেন, একটা প্রেশার তৈরি করতে পারবেন , তাঁরা কেউই প্রায় আর সরকারি স্কুলের ভরসায় থাকছেন না। আর তাতে করে এই স্কুলগুলোর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে চলেছে।

    মা-বাবার ফিডন্যাক, ডিম্যান্ড ও প্রেশার ভীষণ জরুরি।

    পাড়ার কর্পোরেশন স্কুলের অবস্থাও যে দিন কে দিন খারাপ হয়ে চলেছে, তার ও একটা বড় কারণ এটা। অনতত ওনার তাই মত।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৬478195
  • পামিতাদি থ্যাংকস। এটা সত্যি যে আমেরিকায় থেকে দাদু দিদা তুতো ভাইবোনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের ক্ষেত্রে, আমরা ব্যাংগালুরুতে থাকলেও ব্যপারটা একই রকম চ্যালেঞ্জিং হত, কারণ আত্মীয়স্বজন সবাই হয় কলকাতায়, নয়ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে। এটা ভীষণ মিস করি।

    আর হ্যাঁ, এটাও সত্যি যে আমার চাকরি এখানে তত স্ট্রেসফুল নয়, অনেক সময় আমি পাই। সামারে বিশেষ করে ছেলের সঙ্গে অনেক সময় কাটে। সেই সময়টা না পেলে আমি দেশে ফিরে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে করতাম হয়ত। ছেলের স্কুলের আফটার কেয়ারও খুব ভালো ছিল, এখন পাবলিক স্কুলে কি হবে জানি না।

    তবে অলরাউন্ডার বানানোর ব্যপারটা কি বুঝলাম না। সেটা কি স্কুলে করা হয়?
  • pi | 72.83.100.43 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৬478196
  • আকাদা এমনিতর গোলপোস্ট সরালে খেলবো না ! x-(
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৭478197
  • গোলদার বাবু গোলপোস্ট সরিয়ে নিচ্ছেন।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৮478198
  • গোলপোস্ট কোথায় সরালাম?
  • Paramita | 122.167.172.70 | ২৮ জুলাই ২০১১ ২৩:৫৪478199
  • ধরে নিলাম যে ডে কেয়ারে বাচ্চা পাঠায় সে সাপোর্ট অ্যাফোর্ড করতে পারে।

    এবার সে কি সেটা চায়? প্রাইভেসি, অ্যাভেলেবিলিটি ও কোয়ালিটি তিনটি কোশ্চেন মার্ক সেখানে। প্রথমটায় কিছু করা যাবে না। এখানে কোনো প্রাইভেসির গল্প নেই। যদি স্পেস ও প্রাইভেসি ইজ আ বিগ থিং ফর সামওয়ান, দেশে ফেরার কথা ভাবাই উচিত নয়(যেটায় আমার খুব প্রবলেম হত/হয়)। অ্যাভেলেবেলিটি ও কোয়ালিটি - এটা একদিনে হবে না, আস্তে আস্তে ট্রাই করে করে একটা সম্পর্ক তৈরী করতে হবে। আমার মনে হয় করা যায়। সম্ভব। আর ছাড়তে ও বিশ্বাস করতেও পারতে হবে। ভালো বেনিফিটস দিতে হবে। ট্রেনিংও দিতে হবে। তারপরেও অনেক অনিশ্চয়তা থাকবে। তখন WFH কি PTO সম্বল।

    নইলে চাকরি করা চলবে না বা তিনটে অবধি কত্তে হবে।
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৯ জুলাই ২০১১ ০০:০৩478200
  • ভালো বেনিফিটস দিলে কিন্তু আমেরিকাতেও বেশ কোয়ালিটি সাপোর্ট পাওয়া যায়। দুজনে চাকরি করে সেই বেনিফিট দেওয়া সম্ভবও। আমার এক বন্ধু তার দুই বাচ্চাকে বহুদিন ধরে ন্যানির কাছে রাখছে, সে তো ন্যানির খুব প্রশংসা করে। কিন্তু আমরা সাহস করে সেই বিশ্বাসটা করতে পারি নি। আমাদের মনে হয়েছিল ডে কেয়ার অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।
  • pi | 72.83.100.43 | ২৯ জুলাই ২০১১ ০০:০৭478202
  • রিমিদি, দেশের ইউনিতে পড়ালেও এমনি গ্রীষ্মাবকাশ পেতে কিন্তু।

    আর ব্যাংদি, পামিতাদিকে যে প্রশ্নটা করলে তার একটা উত্তর আমি দিতে পারি। কারণ, আমার ঠাকুর্দা, দাদু, দিদা কেউ ছিলেন না। ঠাকুমার পক্ষে টানা এসে থাকা সম্ভব ছিল মা। তিন মাস লিভের পরই মাকে আপিস জয়েন করে যেতে হয়েছিল।
    অসুবিধে হয়েছিল। সব মাসীর কাছে থাকার অভিজ্ঞতাই আমার ভালো, এমন না। কিন্তু ভাল ও ছিল।সব মিলিয়ে হয়ে গেছিল।
    স্কুলে এক্সট্রা সময় থাকতাম। খেলতাম , ঘুমোতাম। স্কুলের হেডমিস্ট্রেসের কাছে কখনো কখনো পড়তাম ও। উনি থাকতেন। আমার জন্য মা বলে আলাদা ব্যবস্থা করিয়েছিল।
    তারপর স্কুল থেকে এসে দাদা রাখতো। তারপর বাবা।

    আমার ছোটোবেলা নিয়ে আমার অন্তত আমার মা-বাবার কাছে কোনোরকম অভিযোগ নেই।
    আমি ভালোই ছিলাম।
    পাশের বাড়ির পিসি ছিলেন। নিচের তলার কাকিমা।

    ক্লাস থ্রি থেকে একা একা থাকতে শিখে যাই। দাদা তখন নরেন্দ্রপুর চলে গেছে। অন্য স্কুল। এখানেও স্কুলে একটা পিরিয়ড বেশি থাকতাম। খেলতাম।
    বড়দের সংগে ফিরতাম। তাও বাড়ি ফিরে একা নাথেকে উপায় নেই। স্কুল থেকে ফিরে চাবি খুলে একাই থাকতাম।
    আমার জন্য বাড়িতে কোলাপসিবল গেট বসানো হয়। কড়া নির্দেশ ছিল, বাড়ির লোক বাদে আর কেউ এলেই যেন ঐটা না খুলি।
    টুলে উঠে আই-হোলেও দেখে নিতাম।
    মা সব ঘিছিয়ে রেখে যেত। কী খাবো, কী পড়বো। কোনোরকম অসুবিধে হয়নি। বাবা ও চলে আসতো খানিক বাদে। পার্কে চলে যেতাম। সব খেলার শেষে দোলনা চড়তে চড়তে দেখতে পেতাম মা ফিরছে। ওটার্‌র জন্য অপেক্ষা করতাম। দিব্বি অভ্যেস হয়ে গেছিলো।

    শনিবার দিন ও একা থাকতাম।
    ছুটিতে অবশ্য ঠাকুমার বাড়ি, মামার বাড়ি ও ছিল ।

    তবে এই একা থাকতে হওয়াতে আমার উপর কোনোরকম কিছু অন্যায় , অবিচার হয়েছে বলে একদিনের জন্য ও মনে হয়নি।

    বরং ভীষণ রকম এনজয় করতাম ঐ একা থাকাটা। :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন