এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • আই এস আই - কত যে মধুর স্বপ্ন ছিল

    dukhe
    নাটক | ১৭ অক্টোবর ২০১১ | ৩৩৬১২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৭ অক্টোবর ২০১১ ১১:৪৪493628
  • দিল্লি হস্টেল । কমনরুমে টিভি দেখছে কেউ, কেউ কাগজ পড়ছে । শ্রীপর্ণা হঠাৎ হেসে ফেলল ।
    কৌতূহলী দিব্যেন্দুর প্রশ্ন - হাসলি কেন ?
    - না, একটা পুরোনো জোক মনে পড়ে গেল ।
    দিব্যেন্দুর সপ্রশংস বিস্ময় - বা: - তোর কী মজা রে । একটা জোক শুনে রাখলেই হয়, যখন তখন সেটা মনে করে হেসে ফেলতে পারিস । আমাদের কত্ত জোক শুনতে হয় !
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৭ অক্টোবর ২০১১ ১৭:৪৯493629
  • বিবেক ম্যাঙ্গিপুডি । অদ্ভুত কাণ্ডকারখানার প্রতিভা ধরত । জিওলজি ট্যুরে গিয়ে রক ক্লাইম্বিং করে একখানা টিলায় উঠেছে । আর নামতে পারে না । সবাইকে বলল - তোরা চলে যা, আমি রইলাম ।
    - রইলাম কী রে ! - দায়িত্ববান নিতাই ও আরো কয়েকজন বিস্তর কালঘাম ছুটিয়ে তাকে উদ্ধার করেছিল ।

    সোশিওলজি ট্যুর । ঘাটশিলা থেকে কাঁকড়াঝোরের জঙ্গলে গেছি । ম্যাঙ্গি আবার রাস্তায় একটা তীর ধনুক কিনেছে । শোনা গেল তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে হবে । হাতী বেরোতে পারে । সূর্য ডুবে গেলে বিপদে পড়তে হতে পারে । ম্যাঙ্গি বলল - একটু ঘুরে আসি ।
    বেশ । কিন্তু তাড়াতাড়ি আসবি । দুটোর মধ্যে এখানে চলে আসবি, একসঙ্গে ফিরব ।
    ম্যাঙ্গি সেই যে ঘাড় নেড়ে উধাও হল, আর পাত্তা নেই । আড়াইটে বাজল, তিনটে বাজল । সাড়ে টিনটের সময় গাছের ডালে একটা পাঁউরুটির প্যাকেট ঝুলিয়ে "ম্যাঙ্গি, তোমার রাতের খাবার" লিখে আমরা রওনা হলাম । জল্পনা চলল - হয়তো পাঁচ বছর পর আই এস আইয়ের ছেলেরা এসে তীরধনুক হাতে বিশাল চুলদাড়িওয়ালা আদিম ম্যাঙ্গিকে দেখতে পাবে - জঙ্গলে জঙ্গলে শিকার করে বেড়াচ্ছে ।
    শেষ পর্যন্ত ম্যাঙ্গি অন্য একটা পাহাড় টপকে অনেক দূরের এক মোড়ে আমাদের সঙ্গে এসে জুটল ।

    দিল্লিতেও তাই । একটা ছোট দল গেছি আগ্রা ফতেপুর সিক্রি দেখতে । আগ্রায় ট্রেন থেকে নেমে অটোতে উঠছি ভাগ ভাগ করে । ম্যাঙ্গি উধাও হয়ে গেল । পরের দিন ফতেপুর সিক্রিতে উদয় হল মূর্তিমান ।

    শেষ বছরটা আমাদের ক্লাস হত জিওলজি অডিটরিয়ামের বিল্ডিং-এ । দু মাস হয়ে গেল, ম্যাঙ্গি কোন ক্লাস করে না । একদিন ক্যাম্পাসে দেখা । ক্লাস করে না কেন জিজ্ঞেস করতে খুব উদ্বিগ্নভাবে বলেছিল - আরে, মাইরি, ক্লাসগুলো যে কোথায় হয় -

    ম্যাঙ্গি শেষে আমাদের একটা চাকরির অফার দিয়েছিল । ওর এক বন্ধু কোম্পানি খুলছে, হর্তাকর্তাবিধাতা হয়ে জয়েন করতে হবে ।
    - কিসের কোম্পানি ?
    - সে তুই যা ঠিক করবি ।
    - লোক কজন ?
    - তুই যতজনকে নিবি ।
    - মাইনেপত্তর ?
    - যত ইচ্ছে । যেমন ব্যবসা করতে পারবি, তার থেকে নিয়ে নিবি ।
    তখন বুঝিনি । সময়ে সেই অফারে সায় দিলে হয়তো স্টিভ জোবস হয়েই বসতাম । কপাল !
  • siki | 122.177.162.177 | ২৭ অক্টোবর ২০১১ ১৯:৩৭493630
  • :)))
  • Abhyu | 99.172.116.143 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ০৬:৩৩493631
  • বিথ্রিতে অরূপ বোস অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন - নট টু বি সাবমিটেড বাট টু বি ডান। করতে হবে, কারণ ওগুলো থেকেই পরীক্ষায় কোশ্চেন আসবে। মৃদুল একটা অঙ্ক কিভাবে করতে হবে জানতে চাইল। উনি বললেন উনি ট্রাই করে জানাবেন। পরের দিন ক্লাসে এসেই সেই বিখ্যাত হাসি।

    -মৃদুল? হোয়্যার ইস মৃদুল?
    -এই যে স্যার এখানে।
    -আই হ্যাভ ট্রায়েড ইয়োর প্রবলেম। ইট'স ইজি। ডু ইট।

    ব্যাস এই হল সলিউশন!
  • Abhyu | 99.172.116.143 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ০৮:০৯493632
  • অন্তর, কৃশানু, ভাস্কর (ঢ্যা) মেস ম্যানেজার হয়েছে বি-ওয়ানে। ডিসম্বর মাসে। কৃশানুদা বলল শীতের রাতে আমি ঐ রকম দরজায় দরজায় গিয়ে ভিক্ষে চাইতে পারব না সুতরাং অন্তরদা আর ভাস্করদা গেল মেস অ্যাডভান্স কালেক্ট করতে। মাসের শেষে মেস বিল বানাতে গিয়ে কেলেঙ্কারি। কে কত অ্যাডভান্স দিয়েছিল সেটা পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ তখন জানা গেল ভাস্করদা নাকি আলাদা কাগজ নিয়ে যায় নি, যে যা টাকা দিয়েছে, সেই নোটের উপরেই নাম ও অ্যামাউন্ট লিখে রেখেছে। সারা মাস ধরে টাকার সঙ্গে হিসেবও খরচ হয়েছে!

    তাতেও কোনো প্রবলেম হল না, কারণ সে যুগে লোকে ইচ্ছে মতো মেসে টাকা দিত - মেস বিলের সঙ্গে তার কোনো সম্বন্ধ থাকত না - কাজেই আগের মাসের মেস অ্যাডভান্সের অ্যামাউন্ট দেখে বিল বানানো হল।

    (গল্পটা সত্যি, আমি অন্তরদার মুখে শুনেছিলাম, তবে পরে কেউ আমায় বলেছিল যে প্রতি মাসে লোকে একই টাকা দিত - এটা অন্তরদার বানানো কথা, নিজেদের মুখ বাঁচানোর জন্যে।)
  • Abhyu | 99.172.116.143 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ০৮:৫৯493633
  • copypaste

    Name:AbhyuMail:Country:

    IPAddress:97.81.83.200Date:29Jul2009 -- 09:05PM

    আই এস আইয়ের এক জনতা নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট উইনিভার্সিটিতে পি হেইচ ডি করত। ধরা যাক তার নাম এস। ওদের ডিপার্টমেন্টে নামকরা এক প্রফেসার এসেছেন। এস তার সঙ্গে আলাপ করতে মরীয়া। কিন্তু চান্স পাচ্ছে না। শেষে বুদ্ধি করে ওনার ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখল যদি কথা বলার মত কোনো টপিক পাওয়া যায়। ওনার সিভি খুলেই দেখল
    "J.Roy." আর সঙ্গে সঙ্গে এসের মাথায় বিদ্যুৎ ঝিলিক দিয়ে গেল।

    পরের মুহূর্তে এস প্রফেসারের ঘরের দরজায় নক করল।

    প্রফেসার: কাম ইন।

    এস: আই অ্যাম এস। নাইস টু মীট ইউ (এক সেকেণ্ড অপেক্ষা করে) সো, ইউ প্রোব্যাবলি নো দ্যাট ইয়োর কো-অথর J.Roy হ্যাস পাস্‌ড অ্যাওয়ে।

    (অধ্যাপক যোগব্রত রায় সত্যিই তার কদিন আগে মারা গেছেন। খুব নাম করা প্রফেসার ছিলেন। )

    প্রফেসার: হু??

    এস: ইয়োর কো-অথার J.Roy

    রো : আই হ্যাভ নেভার ওয়ার্কড উইথ J.Roy

    এস: ওপেন ইয়োর সিভি অ্যাণ্ড আই উইল শো ইউ।

    স্তব্ধবিস্ময়ে হতবাক প্রফেসর এসের সামনে নিজের(!) সিভি খুলে দেখতে গেলেন। দেখা গেল ওটা ছিল J.Roy.Sosc. (JournalofRoyalStatisticalSociety)

  • Abhyu | 99.172.116.143 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ০৯:০১493634
  • এই ছেলেই একবার মাদার ডেয়ারীতে দই ফেরত দিয়ে এসেছিল। পরে বলছি সে গল্প।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ১১:৩৪493635
  • অভিরূপ সরকারের ক্লাস । সামনের চেয়ারে টেবিলে মাথা রেখে হোজো টেনে ঘুম লাগাচ্ছে ।
    ক্লাস শেষ হল । বেরিয়ে যাবার আগে অভিরূপবাবু টেবিলে দ্রুত চার-পাঁচটা টোকা দিয়ে বললেন - উঠে পড়ো, শেষ হয়ে গেছে ।
  • nabagata | 212.23.103.7 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ১৪:০০493636
  • জনৈক চক্রবর্তী CSO তে গিয়ে বাস এ কত ভাড়া জিগ্যেস করতে গিয়ে বলেছিল ভাইসাব ভ্রমণদক্ষিণা কিতনা হ্যয়? কিরায়া কথাতা জানত না আর কি। conductor তো প্রায় বাস থেকে পড়ে মারা যাচ্ছিল।

    এই চক্রবর্তী র আরেকটা গল্প: anthropologyelective এর exam hallteacher (নাম করবো না) খুব helpful সবাইকে নিজে থেকে উত্তর বলে দিচ্ছেন অনেকসময় না জিগ্যেস করলেও, কিন্তু চক্রবর্তী র কাছে আসছেন না। পরীক্ষার শেষে খাতা দেয়ার সময় তো তার বেজায় অভিমান স্যার আমাকে তো কোনো সাহায্য করলেন না। teacher মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, আরে আমি নজর রাখছিলাম, তুমি তো সবি ঠিক লিখছিলে, ভুল হলেই গিয়ে বলে দিতাম।

    এদেরি class এ (অন্য বিষয়ে) এক mainstream stat এর teacher নাকি এমন একজনে্‌কও pass marks দিয়ে দিয়েছিলেন যে তখন repeat করঅছে next batch এর সঙ্গে, ঐ class এ আর পড়েই না, শুধু attendance reg এ ভুল করে তার নামটা থেকে গেছিল। নাম টা অনেকেই জানে, স্বনামধন্য দীপতান যার গল্প legend হয়ে আছে, isi র সমস্ত ভিত যে নড়িয়ে দিয়েছিল। সে কথা পরে হবে।
  • Bratin | 14.99.233.21 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:২৭493638
  • এই সুযোগে আমার হিন্দী প্রতিভার কথা জানিয়ে দেওয়া ভালো। ৯৫ সাল। ভাইজাগ গেছি। আমি,রাজর্ষি,সৌমেন,অনন্যা আর অলোকানন্দা। হোটেল 'করন্থ' এ ছিলাম। সেখান থেকে কোথাও একটা গেছি। ফেরার সময় অটো ওয়ালা কে বোঝানো যাচ্ছে না হোটেলের exact লোকেশ্যন। সবাই বলছে স্টেশন কা পাশ,স্টেশন কে নজদিক। কিন্তু ব্যাটার ছেলে কিছুতেই বোঝে না। শেষে আমি গিয়ে বললাম ' স্টেশন কা করীব'। অটো ওয়ালা বুঝতে তো পারলো না। কিন্তু 'করীব' বলে বন্ধু রা আমাকে এখন ও চাটে। :-))
  • Abhyu | 99.172.116.143 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪৪493639
  • দীপ্তান সি ! কতো দিন পরে নাম শুনলাম!

    আমাদের ইলেটিভ বায়োলজিতে ঐ রকম এক জন ভদ্রমহিলা ছিলেন, উনি আবার ম্যাকের রিলেটিভ, পরীক্ষার হলে সাহায্য করতেন। সবাইকে পারলে ১০০ দিতেন।
  • Abhyu | 99.172.116.143 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪৭493640
  • *ইলেক্টিভ

    অভিরূপ বাবুকে পাইনি, আমাদের পড়িয়েছিলেন দীপঙ্কর কুন্ডু (Coondoo বানান লিখতেন)। ওনার ছেলে সম্ভবত বেলুড় থেকে পাস করেছিল। আমার খুব প্রিয় প্রফেসর। অনেকদিন যোগাযোগ ছিল।
  • Bratin | 14.99.233.21 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৫১493641
  • দীপঙ্কর কুন্ডু আমাদের ও পড়িয়েছিলেন Industrial Economics। গোলা পড়াতেন। হ্যাঁ ওনার ছেলে বেলুড়ে পড়তো।
  • Abhyu | 99.172.116.143 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ২১:০৪493642
  • রীতা সাহা রায় আমাদের ডিজাইন পড়াতেন। একদিন ক্লাসে কি একটা করতে দিয়েছেন, সবাই পেন্সিল কামড়াচ্ছে আর রীতাদি বললেন আচ্ছা তোমাদের ক্লারে তেরটা ছেলে অথচ বারটা চেয়ার কেন? কোনো দিন কোনো ক্লাসেই ...?
  • ranjan roy | 14.97.188.14 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ২১:৪০493643
  • দুখে,
    দারুণ!
  • pinaki | 122.174.50.17 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ২২:১৪493644
  • এই রীতাদির সাথে আমার আলাপ হল মিসৌরিতে। সাবাটিক্যালে এসেছিলেন আমাদের ইউনিভার্সিটিতে।
  • T | 14.139.128.11 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ২৩:১১493645
  • এই টই টা চরম হচ্চে। সবচেয়ে ব্যাপক লেগেছে ঐ ফিফথ সেম শেষে সার্টিফিকেট আনতে যাওয়ার ব্যাপারটা। অভ্যুস্যার এবং আরো যাঁরা লিখেছেন তাঁদের ধন্যবাদ ও অনুরোধ আরো লিখুন।
  • nk | 151.141.84.194 | ২৮ অক্টোবর ২০১১ ২৩:২৩493646
  • দই ফেরতের গল্পটা শুনবো অভ্যু। লেখো প্লীজ।
  • nabagata | 212.23.103.72 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০০:৪৬493647
  • stat comprehensive বলে এক অদ্ভুত খিচুড়ি paper ছিল B Stat এর last sem এ। সেখানে পুরো B stat এর শেখা সব কিছুর sort of revision আর application to other subjects such as biology physics anthro etc এই ছিল idea। তো সেই course এ ঐ অন্য সব বিষয়ের project করতে হোত, আর মাঝে মাঝেই অন্য dept এর লোকজন project এর topic দিতে আসতেন। আমাদের class একবার geology থেকে একজন এলেন। তিনি জানালেন খুব nontrivial একটা problemnon linear regression লাগবে। এদিকে B Stat এ আমরা বোধহয় মূলত linear regression ই করেছি ( এইতা ভুল হতে পারে, stat ছেড়ে শুধুই pure math কর্ছি বহু বছর তাই B stat এ কি কি করেছি সে কি আর মনে অছে!) যাই হোক, ভদ্রলোক board এ একটা eqn লিখলেন, Y=log T +aX এই গোছের কিছু একটা আর বললেন যে Tkknown, a ই হচ্ছে unknown যাকে regression করে বের করতে হবে। আমরা তো সমস্বরে বললাম: তাহলে তো sir এতা lin regression ই হোলো, log T তো জানা constant। ভীষণ রেগে sir বললেন এই বিদ্যে B Stat করে হয়েছে, দেখছ না log আছে তাও বলছো কিনা linear! আমরাও নির্বাক, stat compreteacher, বোধহয় ভীমশনকরন , তিনিও তথৈবচ!
  • Bratin | 14.99.1.14 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০১:১২493649
  • এই টা জাস্ট যাতা দিয়েছে !! :-))
  • nabagata | 212.23.103.72 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০১:৫১493650
  • দিল্লী isi তে তখন Ph D করছি, আমি আর গুরুভাই চক্রবর্তী (যার কথা আগেই বলেছি) কে M Stat এর কিছু ছেলে ধরলো tour এর escort হতে হবে। এই tour তা হলো খাতায় কলমে educational তাই dean এর office থেকে টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু দিল্লীর সেমেস্টার কোলকাতার এক্টু পরে শেষ হয় বলী দিল্লীর লোকজন আলাদা tour করে। সে বছর বেশীরভাগ studentsem break এ বাড়ি চলে যাওয়ায় decembertour হয় নি। এদিকে sem শুরু হয়ে গেছে অনেকেই আর tour করতে তখন চায় না M stat এর গুতি তিনেক ছাড়া। তো তদেরো weekend এর ভেতরেই tour সেরে ফেলতে হবে, আর march মাসে yr ending তার পরে পুরো টাকা ফিরে যাবে। তাই ঠিক হোলো দু দিনে আগরা ঘুরে আসা হবে। এদিকে যারা যেতে চায় না তারাও officially যাবে বলে সই করে দিলো যাতী সবর জন্য alloted টাকা পুরোটাই পাওয়া যায়। এবার tour তো normally সাত আট দিনের হয়, সেই টাকা দু দিনের আগরা trip এ খরচ করতে হবে! টাকা কিছু ফিরে যাক এ আমরা কেউই চাই না তাই plan করা শুরু হোলো কি করে কতো lavishly ঘোরা যায়, সবাই নিশ্চিত হলাম ঘুরে এসে কাছের 5 star কুতুব হোটেলে খেয়ে টাকা শেষ করতে হবে। এই হোলো যাত্রা শুরুর দৃশ্য। আমরা Taj exp থেকে নেমেই UP state tourism এর AC ঘর নিয়ে নিলাম, আর ইচ্ছে করে room service দিয়ে খাবার ঘরে আনাতে লাগলাম, তাজমহল দেখতে গিয়ে দামি রেস্তোরায় যত ইচ্ছে cold drinksorder করতে লাগলাম। প্রথম দিনটা এভাবেই গেলো। আর দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় দৃশ্যটা এরকম: হিসেব করা হচ্ছে ফেরার ট্রেন ভাড়া টা আছে কিনা, আরাগের দিন যদৃচ্ছ drinks খেয়ে সৌভাগ্যক্রমে প্রত্যেকের পেত খারাপ, ফলে সে রাতে dinner এর খরচটা লাগবে না! সব শেষে isiফিরে centre head দোর্দন্ডপ্রতাপ KBS এর ব্যাপক ধমক, এই ভাবে সাত দিনের টাকা দু দিনে খরচ করলে auditor আতে্‌ক দেবে এই বোধ এতো বোড়ো ছেলেদের কেনো নেই!
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০২:০৬493651
  • শ্রীপর্ণাদি ছিল বেজায় পরোপকারী আর কোমল হৃদয়। কারুর দু:খ কষ্ট সইতে পারত না, কারুর কষ্ট হচ্ছে দেখলে যেমন করেই হোক, শ্রীপর্ণাদি তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করত।

    একবার অঞ্জলি নামের এক অবাঙালী মেয়ে এসেছে কোনো ট্রেনিংএ। মেসে যখন খেতে বসেছি, অঞ্জলি দু:খ করছে যে সে ক্রমশ মোটা হয়ে যাচ্ছে। অঞ্জলি সত্যিই বেশ মোটা ছিল। ছোটোখাটো রোগা শ্রীপর্ণাদি অঞ্জলিকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, "দুখ করো মৎ অঞ্জলি, অগর তুম মোটি হো তো ম্যায় তো হাতি হুঁ।"
  • Abhyu | 97.81.105.179 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৩:০৬493652
  • আই এস আইতে যদিও র‌্যাগিং হত না তবু ওরিয়েন্টেশেনের আগে পর্যন্ত ফার্স্ট ইয়ারের ছেলেরা একটু সাবধানে থাকত (হত না মানে কোনো কথাও হত না এমন না, আমিই তো চাটুকে চেয়ারে উঠে মেঝেতে লাফাতে বলেছিলাম। কত সময় লাগল? এই দু সেকেণ্ড। আচ্ছা এবার y=1/2 gt^2 ফর্মুলা লাগিয়ে চেয়ারের উচ্চতা বার কর) তা এস আসার পর সব নিয়ম বদলে গেল - এসকে এদিক থেকে আসতে দেখলে সিনিয়ররা অন্য দিক দিয়ে কেটে পড়ত।

    এই ছেলেটির কথা লিখতে গেলে আলাদা একটা বই হয়। এই সেদিন শুনলাম চাইনীজ কোলীগদের সাথে ইচ্ছে করে লাঞ্চ করতে গেছে। তা তারা নিজেদের মধ্যে মাতৃভাষায় কথা বলতে গেলেই এস থামিয়ে দিয়ে বলে - না, যা ভাবছেন তা নয় - বলে "আমি চাইনীজ শিখছি, আপনা একটু আস্তে বলুন', তারা যত বলে ছেড়ে দে মা, কেঁদে ইংরেজী বলি, এস তত বলে, না না চাইনীজই বলুন, আ-স-তে বলুন। আমি শিখছি।

    যব পাবার সময় নেশন ওয়াইড কোম্পানী থেকে ফোন ইন্টারভিউ - এস বলল - স্টেট ওয়াইড তো খুব ভালো কোম্পানী - ওরা এই এই করে... নেশন ওয়াইডের লোক তো রেগে কাঁই
    - তুমি কোম্পানীর নামই জানো না
    - জানি তো, বললাম তো স্টেট ওয়াইড
    - না তুমি বললে নেশন ওয়াইড
    - না স্টেট
    - মানে? আমরা তিনজন লোক বসে আছি, স্পীকার ফোনে - সবাই এক সঙ্গে ভুল শুনেছি?
    - ও স্পীকার ফোন? তাই বলুন - আজকাল এই এক হচ্ছে - আমি আগেও দেখেছি - আমিই এক বলচি আর স্পীকার ফোনে এক শোনাচ্চে - কি যে করি...
  • Abhyu | 97.81.105.179 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৩:১৪493653
  • না আসল গল্পে আসি। আমি রাতে নিজের ঘরে কাজ করছি (কালীদার পাশের ঘরটাই ছিল আমার, রুম ১৫, আর আমি বহুদিন যাবৎ মেস কমিটির লোক) লোকে খানিকক্ষণ পর পর এসে বলছে, অভ্যুদয়দা, দইটা বাজে, NA দাও। আমি একটু পরে বুঝলাম কি প্রবলেম। মাদার ডেয়ারী বাজে দই দিয়েছে। নোটিস দেওয়া হল - কেউ দই খেয়ো না, সবাইকে NA দেওয়া হবে।

    তারপর আমি গিয়ে এস কে বললাম, বাবা তুই যদি দইয়ের দাম ফেরত আনতে পারিস তাহলে একদিনের মাটন ফ্রী পাবি। সে বলে, কাল তো পরীক্ষা, তুমি কিছু ভেবো না আমি পরশু যাবো।

    দু দিন পরে সে সেই বাসি দইগুলো নিয়ে গিয়ে মাদার ডেয়ারীর কাছে পয়সা ফেরত চাইল। লোকটা তাকে প্রায় দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। কিছুক্ষণ পরে লোকটা আবার প্রায় হাতে পায়ে ধরে তাকে ফেরত আনল। কেন? না এস রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক এক করে লোক ধরে বলছিল - দাদা আমরা আই এস আইয়ের স্টুডেন্ট - এই দেখুন আমাদের কেমন দই দিয়েছে।

    দোকানী পুরো পয়সা তো ফেরত দিয়েইছিল, তার সঙ্গে বলেছিল - দাদা পরের বার থেকে কিছু খারাপ বেরোলে পয়সা ফেরত দেবো, তবে দয়া করে সঙ্গে সঙ্গে আসবেন, দু তিন দিন পরে নয়...
  • Abhyu | 97.81.105.179 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৩:১৮493654
  • এর পাসের ঘরে থাকত কার্তিক শ্রীরাম। কার্তিক সব সময় সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলে লুঙ্গির মতো করে সাদা ধুতি পরত। আর খুব ভালো যোগাসন করতে পারত। এস তাকে একবার জিগ্গেশ করেছিল
    - কার্তিক তুমি রোজ সকালে আসন করো?
    - হ্যাঁ
    - হোস্টেলে সব সময় ধুতি পরো?
    - হ্যাঁ
    - আসন করার সময়েও?
    - হ্যাঁ
    - তুমি ধুতি পরে শীর্ষাসন করতে পারো?
  • Abhyu | 97.81.105.179 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৩:২০493655
  • *03:06 AM পোস্টে আমি নেশন আর স্টেট গুলিয়েছি - কিন্তু তাতেও গল্পটা নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে।
  • pi | 128.231.22.133 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৩:৩৩493656
  • না তো ! আমি তো ভেবেছিলাম, তুমি নেশন বলছো, আর মামুর কল স্টেট লিখছে।
  • T | 14.139.128.11 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৪:১০493657
  • চাইনিজদের নিয়ে মশকরাটা একঘর হয়েচে। :)
  • Abhyu | 97.81.105.179 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৭:৫১493658
  • স্টে টিউনড। এক সিনিয়রের সঙ্গে ফোনে এক ঘন্টা গল্প হল। উনি উইকএণ্ডে কিছু গল্প লেখার প্রতিজ্ঞা করেছেন :)
  • Abhyu | 97.81.105.179 | ২৯ অক্টোবর ২০১১ ০৮:০০493660
  • রাহুল মুখার্জ্জী ডিজাইন পড়াচ্ছেন। সাঙ্ঘাতিক কঠিন সব জিনিস মুখে মুখে বলে যাচ্ছেন - নাও টেক ডাউন বলে - আর আমরাও চোখ কান বুজে লিখে যাচ্ছি। এমন সময় ব্যাটা কার্তিক বলে - স্যার এটা তো বুঝলাম না - তো রাহুলদা তখন বোর্ডে লিখে একেবারে জলবৎ তরলং (!) করে বুঝিয়ে দিলেন - তারপর বললেন - বাট উই হ্যাভ নট ফিনিশড আওয়ার সেন্টেন্স ইয়েট। নাও টেক ডাউন - ...

    আর ডিজাইন পড়িয়েছিলেন রীতা সাহা রায়। প্রচন্ড মাগ্গু পেপার। তার ওপর জানা ছিলো split plot design সম্পর্কে যাহা জানো লিখতে দেবেন। দিলেনও। লাস্ট কোশ্চেন - পুরো ৩০ নম্বর। ঐটা মাগাতে জান কয়লা হয়ে গিয়েছিল!

    খাতা বেরোলে দেখা গেল মঞ্জুনাথ আটষট্টি পেয়ে ভারি হাসি মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের আশি পেয়েও মনে দু:খ - এতো খেটে মোটে আশি? বায়োলজিতে কিছু না করেও তো বিরানব্বই পেলাম।
    - মঞ্জুনাথ তোর এতো হাসি কিসের রে? এই সাবজেক্টেই তো লোয়েস্ট পেয়েছিস।
    - আরে আমি তো ঠিকই করে গিয়েছিলাম split plot ট্রাই করবো না। সত্তর অ্যানসার করে আটষট্টি পেয়েছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন