এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মমতাতন্ত্রর প্রথম ছমাস

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৩ নভেম্বর ২০১১ | ৩৪৯৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 203.110.243.21 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ০৯:২৮503724
  • @ppn
    এবারের জোটটা অবশ্যই একটা জরুরী কারণ। এবং কংগ্রেসের ডেস্পারেট প্রচেষ্টা জোট করার জন্য - প্রায় নিজেদের দলকে বেচে দিয়ে। আরও একটা দৃষ্টিকোণ আছে। বাংলার বেশীরভাগ ভোটারের কাছে কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রায় শুন্য -এখনো। কেননা তারা দিল্লীর সরকারকে দেখছে এবং জানে যে তারা কি করতে পারে বা না পারে। কাজেই বাই ডিফল্ট বামেরা জিতে চলেছিল-অন্তত: প:বঙ্গে বেটার অপশন হিসেবে।

    আমার হিসেবে "৩৪ বছরের অপশাসন"" একটি স্লোগান মাত্র -সরকার খুব একটা খারাপ কাজ করেনি। ২৯ তম বছরের পরে শুরুটাও খারাপ ছিল না। শুধু দুধে একফোঁটা চোনা পড়েছিল - নন্দীগ্রামের গুলী। সেটাই শেষ পর্যন্ত মমতার পক্ষে ভোটারদের মুখ ফেরানোর জন্য অনুঘটকের কাজ করে। এরপরে মমতা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেন - আমি যাকে ঢপ বলেছি বরাবর। তিনি বেশ বিশ্বাসযোগ্য ভাবে জাত্যাভিমানি ও উন্নাসিক বাঙালীকে সোনার বাংলার আরক হেভি ডোসে খাওয়াতে সক্ষম হলেন। এটা পারলেন তার কারণ তিনি অপরীক্ষিত এবং কংগ্রেসের মত বামেরাও কি করতে পারবে না সেটাও বাংলার মানুষের কাছে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

    আমার কাছে অবিশ্বাস্য যেটা লেগেছে সেটা হল, যে বাঙালী বিশ্বরাজনীতি নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলে (তুলত?) সে গত ২-৩ বছর ধরে উটপাখীর মত বালিতে মুখ গুঁজে এমনকি দিল্লীর আর্থ-সামাজিক নীতির থেকেও নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে শুধু ""বাংলার মুখ"" খোঁজার চেষ্টা করেছে। যেন এই তার শেষ সুযোগ, কংগ্রেস পারেনি, বিজেপি তো পারবেই না, বামেরাও ""পারল না,"" অতএব মমতাই তার শেষ আশ্রয়স্থল। পরিবর্তনকামী বুদ্ধিজীবিরা যেন এই মানসিকতাকে চুড়ান্ত রূপ দিল - সকল বাঙালীর ইচ্ছার দূত হয়ে তারা মমতার আঁচলে আশ্রয় নিয়ে (যে জাজমেন্টকে আমি "নাইভ" বলেছি এর আগে) সেই প্রত্যাশাকে আরো বাড়িয়ে দিল। এইসব কিছুই প্রতিফলিত হয়েছে ভোটের বাক্সে। এই ফলাফল আমার মতে এর থেকে বড় ব্যাপার কিছু নয়।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ০৯:৪৪503725
  • একটা বিষয় হয়তো খুব পরিষ্কার নয়, খুবই হাতাশার সাথে বলতে হচ্ছে পরিষ্কার নয়, আমার বা আমার মতো মানুষের ভূমিকা। আমরা বামফ্রন্টের অপসারণ চাইতেই তৃণমূল হয়ে গেলাম। কিন্তু বিষয়টা এতো সরল নয়।
    বামফ্রন্টের ক্ষমতার দম্ভ বিশেষ করে সিপিএম-এর যেখানে পৌঁছেছিলো, সেখানে পার্টি আর সরকার আর আলাদা করা যাচ্ছিলো না। সেখানে ক্যাডাররাই পুলিশের ভুমিকা নিচ্ছিলো। তখন যে কোন পরিবর্তনই স্বাগত।
    আজ যখন তৃণমূলকে সেই দম্ভ ধীরে ধীরে গ্রাস করছে, ১৯৭৯-৮০র মতো অন্ধকারের জীবরা ক্ষমতার ছায়ায় মিশে যাচ্ছে,(সেদিন সিপিএমএ আজ তৃণমূলে) তখন লড়াইও জারী থাকবে। কবে আবার মানুষ পরিবর্তন চাইবেন, সেটা নির্ভর করে তৃণমুল কত দ্রুত পচবে তার ওপর।
    আমার / আমাদের তৃণমূল বা সিপিএমএর ধামাধরা হবার কোন দায় নেই। মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হলে সাধ্যমত প্রতিবাদ করি মাত্র। সরকার পাল্টানোর ক্ষমতা ধরি না, তবে কুত্তা লগ্নে জন্ম বলে ঘেউ ঘেউটা করতে পারি।
  • PT | 203.110.243.21 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ০৯:৫৪503727
  • ""মমতার আঁচলে আশ্রয় নিল"" মানে ""তৃণমুল হয়ে গেল"" এমনটি নয়। আমি যাকে ""নাইভ"" প্রত্যাশা বলেছি -ডুবন্ত মানুষের যা হয়। যেমন সিপিএম গেলে বাংলার রাজনীতিতে দম্ভের অবসান হওয়ার ""নাইভ"" প্রত্যাশা। মাত্র ৬ মাসের সরকারের প্রতিনিধি পুর্ণেন্দু বসু, সুব্রত মুখার্জী ডুয়েট দম্ভের যা নমুনা দেখালেন কালকে তারানন্দে তা হয়ত ২০-৩০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে বামেরা দেখাতে সক্ষম হয়েছিল।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ০৯:৫৪503726
  • ৩৪ বছর একটা বাম সরকার জাত্যাভিমানী ও উন্নাসিকদের ভোটে জিতে এলো!
    বাম রাজত্ব্যের এই ফল!
    ৭৭এ স্লোগান উঠতো - বামফ্রন্ট সরকার / সংগ্রামের হাথিয়ার
    সেটা পাল্টে গিয়ে দাঁড়ালো- বামফ্রন্ট সরকার / কামানোর হাথিয়ার
    যে বাঙ্গালী ১৯৭৭এও রাজনীতি সচেতন ছিলো, তারা ৩৪ বছরে জাত্যাভিমানী ও উন্নাসিক হয়ে গেলে, দায়টা নিতে হয়।
    এই ৩৪ বছর ধরে ধীরে ধীরে বামপন্থার উপর মানুষকে বিতশ্রদ্ধ করে তোলার কাজ সিআইএও এতো সফল ভাবে করতে পারেনি।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১০:১৮503728
  • PT দা একটা শিশু ও জানে এ বার ভোট মমতা যত টা না জিতেছে তার থেকে বাম দল বেশী হেরেছে। অবশ্য আমি নিশ্চিত আপনি এটা মনে মনে বিশ্বাস করলেও প্রাকাশ্যে মানবেন না।
  • a | 208.240.243.170 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১০:২১503729
  • তারানন্দ একটি হাস্যকর চ্যানেল। বিশেষত সন্‌চালক সুমন।

    আরো হাস্যকর শোনালো যখন রাজেন বাবু বলে দিলেন যে তৃনমূলের হয়েই ওনারা লড়বেন আর ইচ্ছা করলে ১০ দিনের মধ্যে সব মাওবাদীদের তুলে নিতে পারেন আর তার পাশে বসে সুব্রত বাবু বল্লেন যে মমতার একমাত্র differentiator হল উনি ক্যাডারদের দিয়ে প্রতিরোধ করবেন না।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১০:৩৬503730
  • ফাটা রেকর্ডের নতুন সংস্করন (আবার) চালু হোলো।
  • PT | 203.110.243.21 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১০:৩৮503731
  • আরও একটি ""নাইভ"" প্রত্যাশার নমুনা- অসীম চাটুজ্জে উবাচ:
    মাওবাদীরা মমতাকে সমর্থন করেছিল কারণ তারা প্রত্যাশা করেছিল যে মমতা ক্ষমতায় এলে:
    ১। প: বঙ্গ থেকে যৌথবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে
    ২। তাদের দলের লোকেরা বন্দী-মুক্তির প্রতিশ্রুতির ফলে মুক্তি পেয়ে ফিরে এসে তাদের শক্তি বাড়াবে আবার।
    ৩। মমতা তাদের ""বন্ধু"" বলে তারা নিশ্চিন্তে প:বঙ্গকে কেন্দ্র করে অন্যত্র শক্তি বাড়াবে।
    এই যদি একটি রাজনৈতিক দলের (বিশেষত: যারা ""শ্রেণীতত্বে"" বিশ্বাস করে) রাজনৈতিক বিচারবুদ্ধি হয় তাহলে ""নাইভ"" শব্দটিও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে দাঁড়ায়।

    প্রসঙ্গত পুর্ণেন্দু বসু জানালেন (দুটো চ্যানেলে) যে নির্বাচনী ইস্তাহারে তৃণমূল মোটেই যৌথবাহিনী প্রত্যাহার এবং নি:শর্ত বন্দিমুক্তির কোন প্রতিশ্রুতিই দেয়নি। আর পরিবর্তনকামী বুব্ধিজীবি সমীর আইচ জানালেন যে তিনি বাম সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর প্রত্যাহারের দাবীতে মিছিলে হেঁটেছিলেন বটে কিন্তু বর্তমানের ""পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে"".........ইত্যাদি!!

    অতএব, লড়াই জারি আছে বললেই চলবে না। এই লড়াই আরও কঠিন, কমরেড -কেননা এই লড়াইয়ে আবাপ-বর্তমান-প্রতিদিন-কলতলাটিভি-চ্যানেল টেন-তারানন্দকে সাথে পাবেন না!!
  • Netai | 121.241.98.225 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১০:৪৫503732
  • কিন্তু আজকাল কেন চুপচাপ এ বিষয়ে চালু গুজবটা শুনতে চাই।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১০:৫৬503134
  • হেজে গেলাম!!
  • PM | 86.96.228.84 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১১:০২503135
  • আজকালের গুজবটা আমিও শুনতে চাই
  • pi | 72.83.76.29 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১১:০৩503136
  • এই লড়াইয়ে সিপিএম কে সঙ্গে পাওয়া যাবে ? :P
  • pi | 72.83.76.29 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১১:০৯503137
  • কিম্বা , এই ধরুন আপনাকে ?

    প্রশ্নটাকে এইভাবে উল্ট দিক দিয়েও ভাবা যেতে পারে। এদ্দিন সিপিএম বা এই ধরুন আপনি যা বলে আসতেন, আজ মমতা, তিনোমুল তাই বলছে। তাই আগে এই ইস্যুতেতে সমর্থককারী যেসব বুদ্ধিজীবি মমতার সাথে থাকতেন, তাঁরা এখন পাশে কাকে পাবেন সেই প্রশ্নের থেকেও বড় প্রশ্ন হল, মমতা কি তাহলে সিপিএম বা এই ধরুন আপনাকে পাশে পাচ্ছেন ?
  • Update | 117.194.40.47 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১১:১৯503138
  • Name:qMail:Country:

    IPAddress:121.241.218.132Date:16Nov2011 -- 11:09AM

    রিপোর্ট কার্ডটা রিপোর্ট কার্ডই থাকুক না। কি হল, কেন হল সেগুলো অন্য টপিক নয় কি?
  • Sibu | 108.23.41.126 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১১:৪৮503139
  • প্‌কাবুদের পোতিবাদ শুনে সেই ভবম হাজাম মনে পড়ে যায়। মাঠের মধ্যে গাছের কোটরে মুখ ঢুকিয়ে - লড়াই জারি আছে বলে চিক্কুর দিয়ে ফিরে গিয়ে কমিটিতে বসা।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১১:৫০503140
  • ও: - আজকালে আজ জয়দেব । গতকাল দেবেশ ছিলেন । কতদিন পর । পড়ে মন ভালো হয়ে গেল । নির্মল ।
  • PT | 203.110.246.22 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১৩:১৪503141
  • @Bratin
    কেউ জিতলে ভোটটা তো অন্যের বিরুদ্ধেই যাবে। আমার ঐ সব শিশুবোধিনী তত্বে খুব একটা আগ্রহ নেই। গৌতম দেব ঐ কথা অনেকবার বলেছেন - আমার কাছে এটা খুব একটা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছেনা।

    @pi
    ভার্চুয়াল লড়াই-এ তো সামিল আছি চারপাশ থেকে এত গালাগাল খাওয়ার পরেও। তবে ভারতের মত দিল্লী-কেন্দ্রিক দেশে কোন্য রাজ্য-কেন্দ্রিক "পরিবর্তন"-এ আমার উৎসাহ কিছুটা কম। আর শ্রেণীতত্ব বোঝেনা কিন্তু লোক খুন করতে দ্বিধা নেই এইজাতীয় বাম দলের সঙ্গী হয়ে লড়াইতে নামারও কোন আগ্রহ নেই।
  • PT | 203.110.246.22 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১৩:৩৭503142
  • এমনকি মহাস্বেতা দেবীও হজম করছেন (স্টেটমেন্ট দিলেই ক্ষমা অগ্রীম চাওয়া রইল): the West Bengal government has recalled senior IPS officer Manoj Verma....Verma...had been sent on compulsory wait soon after the Mamata Banerjee government took over power...http://zeenews.india.com/news/west-bengal/wb-signals-intensified-operations-in-junglemahal_741965.html
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১৬:৫২503143
  • লড়াইটা নানান জায়গায়।
    ১) বাম এবং মমতা আমলেও মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বিএসফ যে অত্যাচারের রৌরব নরক খুলে বসেছে, তা নিয়ে কোন আনন্দ, কোন আজকাল, কোন চ্যানেলকে সাথে পাওয়া কোনকালেই যায় না। কারন সেনা-আধা সেনাকে কেউ চটাতে চায় না। তবুও লড়াই জারি আছে।
    ২) যখন মরিচঝাঁপি, বিজন সেতু বা আজকের নন্দীগ্রাম নিয়ে প্রচার হয়, তখনও চ্যনেলে চ্যানেলে বা আবাপ/আজকালে তার উল্লেখ থাকে না। কারন : ১) মরিচঝাঁপির অভিযুক্তদের একজন অমিয় সামন্ত এখন তৃণমূল বিধায়ক। উনি তখন পুলিশের বড় কর্তা ছিলেন। ২) বিজন সেতুর ঘটনায় যারা অভিযুক্ত: ক) সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় - আগামীদিনে রাষ্ট্রপতি পদে কং জোটের প্রার্থী হতে পারেন খ) বাবলু চক্রবর্তি বা মিচকে বাবলু এখন তৃণমূলে। তবু, লড়াই জারি আছে।
    ৩) এছাড়াও সারা ভারত জুড়ে নানান ছোট ছোট লড়াই অবিরাম চলছে, যাদের কথা মিডিয়ায় সাধারনত: আসে না। দু একটা হঠাৎ চলে আসে, যেমন পস্কো বিরোধী আন্দোলন, তামিলনাডুর কুডানকুলামের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বিরোধী আন্দোলন, কেরালার প্লাচিমাদা কোকোকোলা কোং এর পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এরকম আরও বহু আন্দোলনে বন্ধুরা সামিল, যাদের খবর মিডিয়া দেয় না। তবু লড়াই জারি আছে।
    চ্যানেল-প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়া লড়াইয়ের অভ্যেস আছে, সেই ১৯৭২ থেকেই।
    এই সব লড়াই যারা সেদিন থেকে চালিয়ে এসেছেন, আজও তাতে সামিল, তাদের দু জন কামিটি-টমিটিতে আছেন (বিনি পয়সার কমিটি - বন্দীমুক্তি), একজন মন্ত্রী হয়েছেন। বাকিরা লড়াইয়ের ময়দানেই বহাল।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১৭:০১503145
  • য্যা:। তামিলনাডুর নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বিরোধী আন্দোলন সর্বভারতীয় না হলে লোকাল মিডিয়ায় খুব দেয়। রোজই দেয়।
    গত হপ্তাহেতেই কালাম এসেছিলেন। ব্যাপক পাব্লিসিটি হয়েছে ছেন্নাইতে।

    আমি যেহেতু জুজুবাদ বিরোধী তাই এই আন্দোলনকে খুব ফলো করি, মানে আপিসে বসে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ১৭:১৭503146
  • তামিলনাডুর লোকাল মিডিয়া প:ব:র মানুষের কাছে পৌঁছয় না। যেমন প:ব:র হরিপুরের পরমানু চুল্লি বিরোধী আন্দোলন মুম্বাইতে জানে না।
    তবে, কলাম ছায়েব আসার আগেও কি ছেন্নাই মিডিয়াতে এটা খবর ছিলো?
  • Debashis | 2.89.206.83 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ২০:২৪503147
  • পাই! please বাবু বাদ দিয়ে লিখুন :)। বাবু বললে সাদা ধুতি পাঞ্জাবী পরা লোকদের কথা মনে পড়ে :)।

    পাই /দ্রি

    আমি অনেকদিন ঘর ছাড়া, মানে বাংলা ছাড়া। আর এখন তো একেবারে দেশ ছাড়া। তাই খুব গভীরের কথা এখন আর জানতে পারি না। সে কথা জানতে গেলে ঐ লোকগুলির সঙ্গে ওদের একজন হয়ে মিশতে হয়। সেই সময় আর সুযোগ এখন আর আমার নেই। আবার কবে হবে তাও জানিনা। এখন খালি বছরে একবার দেশে ফিরি একমাসের জন্য।

    কিন্তু ওখানের বাসিন্দা হিসেবে যা মনে হয়েছে, তা হল ওখানে শাসন চাপিয়ে দেওয়া হয় একদম বাইরে থেকে, কলকাতায় বসে। এই বামেরাও যে খুব চিৎকার করত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে, তো তারা সত্যিই কতটা ক্ষমতা দিয়েছিল লোক্যাল গভর্নমেণ্টকে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। বাঁকুড়া জেলায় সি পি এমের শেষ কথা ছিলেন বা এখনও আছেন এক নেতা। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও আমার অনেক বন্ধু উভয় পন্থার রাজনীতির সঙ্গেই সরাসরি জড়িয়ে আছে। তো তাদের মধ্যে যারা সি পি এম করত তাদের কাছেই শুনেছি, যে উনি লোক্যাল কমিটির সদস্যদের শুধু নির্দেশই দেন। কখনই তাদের কাছে জানতে চান না যে তাদের নিজেদের এলাকা উন্নয়নের জন্য কি করা উচিৎ বা দরকার। সেখানকার যারা একেবারে ভূমিপুত্র তারা কি চায়? একে তো যারা এই এলাকার পার্টিকর্মী অধিকাংশই গরিব, অল্পশিক্ষিত এবং মেপে কথা না বলতে পারা মানুষ, তার ওপরে শত সহস্র বৎসরের অভ্যেসে তারা চিরদিন আদেশ পালন করেই এসেছে, আদেশ দিতে শেখেনি। তো তাদের কথা কি আর পার্টি নেতৃত্ব শুনতে পারে! শুনলে যে শহুরে, শিক্ষিত, উচ্চপদের গর্বে গর্বিত সাদা ধুতি পাঞ্জাবিতে কথা শোনার কালো ছোপ লাগবে! পার্টি নেতারা তো চিরদিন বুঝিয়ে এসেছেন এই অবুঝদের। তারা আবার বোঝাবে কি?

    এই কথা একই ভাবে প্রযোজ্য সেইসব বিদ্বজনেদের ক্ষেত্রেও যাঁরা কলকাতায় বসে মৌখিক সহানুভুতি দেখিয়ে এদের উদ্ধার করার ঔদ্ধত্য করেন। বা, বর্তমানের পরিবর্তিত মুখ্যমন্ত্রী বলেন চরম ঔদ্ধত্যের সঙ্গে, আবার যৌথবাহিনীর অভিযান চালু করব। মাওবাদীদের শায়েস্তা করব। অনেক সহ্য করেছি, আর করব না। তখন তাঁর মুখ যেন পূর্ববর্তি মুখ্যমন্ত্রীরই মুখের ছায়ায় ঢেকে যায়। আর এখানকার লোকেরা আবার ভাবতে শুরু করে, তাহলে আবার অত্যাচার শুরু হল!

    জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে, ব্যস! এটুকুই! এত কম সহ্য ক্ষমতা আপনাদের? আর এই যে এখানের এই হতদরিদ্র লোকগুলি প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আমাদের মত সভ্য সমাজের প্রতিভূদের লক্ষ অত্যাচার সহ্য করে আসছে তার হিসেব কে দেবে? নাকি এদের সহ্য ক্ষমতার হিসেবও হবে ভিন্ন মাপকাঁটায়।

    যদি সত্যিই আন্তরিকভাবে এই সমস্যার সমাধান চায় প্রশাসন, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে অনেক ক্ষমতা দিতে হবে। তারা নিজেরা যেভাবে এই এলাকার উন্নতি চায় তা করতে দিতে হবে। পুলিশ, বাহিনী অবশ্যই থাকবে, কিন্তু শান্তি রক্ষার জন্যই যেন তা হয়। পুলিশ যেন এই এলাকার অধিবাসীদের safe guard হয়, boss নয়, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকেই। এখানকার আদিবাসীরা যদি জঙ্গলের অধিকার চায় তা অন্যায় নয়। এই জঙ্গল আদিবাসীদের বেঁচে থাকার রসদ যোগায়। মুখ্যমন্ত্রী এদের জঙ্গল মাফিয়া বলছেন কিছু না জেনেই। কি সমস্ত কথা বলেন উনি। হোটেলে খেতে ঢুকে না কি এরা লক্ষ লক্ষ টাকা বিল করে। জানতে ইচ্ছে হয়, কোনদিন উনি এই মাওবাদী কর্মীদের চেহারা দেখেছেন। অপুষ্টিতে ভোগা শীর্ণ হাত পা, মলিন জামাকাপড় পরা দুর্বল চেহারার এই লোকগুলি হোটেলে লক্ষ টাকার বিল করে শুনলে হাসি পায় না, কষ্ট হয়।

    আমাদের মতো সভ্যদের(?) ফাঁদে পড়ে আজ এরা নিজেরাই নিজেদের মারছে এটাই সবথেকে দু:খের। শান্তি চাইলে সদিচ্ছা নিয়ে যদি প্রশাসন এগিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই শান্তি ফিরবে, কিন্তু তার আগে আমাদের মেনে নিতে হবে এবং জেনে নিতে হবে আমাদের কিন্তু জায়গা ছাড়তে হবে এই মানুষগুলির জন্য। শাসনের জায়গা। আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার দিতে হবে এদের। সে পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই হোক বা স্বশাসিত পর্ষদের মাধ্যমে। এমনিতেই প্রায় সমান্তরাল প্রশাসন চলে এই অঞ্চলে। সেটা হয় সি পি এম চালায় বা তৃনমূল বা মাওবাদী। তো সেটা নাহয় আইনানুগই হল স্বশাসিত পর্ষদের মাধ্যমে। জানি না এটাই একমাত্র রাস্তা কিনা, কিন্তু এত রক্ত ঝরেছে বিগত তিন চার বছরে, মানে যবে থেকে দমন নীতি শুরু হয়েছে এখানে তবে থেকে, তাই আবারও দমন নীতির কথা শুনে শিউরে উঠতে হয়। আর কত রক্তের বিনিময়ে শান্তি চায় সরকার?

  • ranjan roy | 14.97.98.138 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ২০:৪৪503148
  • জঙ্গলমহলে শান্তি? আগে মূল বঙ্গদেশেই শান্তিদেবীকে আবাহন করা হউক। আরামবাগ, গোঘাট, বর্দ্ধমান, হুগলি ইত্যাদি জায়গায় বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর আক্রমণ বন্ধ হোক, তোলাবাজি, খেয়োখেয়ি বন্ধ হোক। সে নিয়ে দিদি একদম চুপ। যেন জঙ্গলমহাল ছাড়া সর্বত্র শান্তি বিরাজ করছে।
  • Debashis | 2.89.206.83 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ২১:২৬503149
  • PT

    আপনার আলোচনা পড়তে ভালো লাগে আমার। আপনি লেখার মধ্যে যুক্তি খোঁজার চেষ্টা করেন বলে আমার মনে হয়। তাই যখন আপনার 16 NOV. 2011, 9:28 AM এর পোষ্ট দেখি তখন চমকে উঠতে হয়। আপনি বলেছেন বামেদের পরাজয়ের কারন হিসেবে যে কারনগুলি লিখেছেন সেগুলি একদম সি পি এমের আলিমুদ্দিনের নেতাদের কথা। আপনি লিখেছেন নন্দীগ্রামে গুলিচালনা প্রথম কারন বা মূল অনুঘটক। কিন্তু বাম আমলে আগেও গুলি চলেছে এবং তা কলকাতাতেই (২১ শে জুলাই)। তাতেও কিন্তু বাম সরকার পড়ে নি।

    আপনি লিখেছেন যে বাঙালী বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে চায়ের কাপে তুফান তুলত--------ইত্যাদি। তারা ছিল হয় ছাত্র যুবা বা শিক্ষিত শহুরে বাঙালী। মনে রাখবেন উত্তরবঙ্গ বাদ দিলে (তাতেও কংগ্রেসের থাবা ছিল) শহরাঞ্চলে সি পি এম কোনদিনই খুব স্বচ্ছন্দ ছিল না। তাদের মূল ভিত্তি ছিল গ্রামে। আর সেখানের অধিকাংশ বাঙালি মাঠে চাষ করে, লোকের ঘরে কাজ করে অনেক কসে্‌স্‌ট দিনের খাদ্য জোটানোর পর আর বিশ্ব রাজনীতির চর্চা করার সময় পেত না। ছাত্রদের প্রসঙ্গে পরে আসছি।

    "পরিবর্তনকামী বুদ্ধিজীবিরা তাকে চূড়ান্ত রূপ দিল"। আবারও বলি, বাম শক্তির মূল ভিত্তি ছিল যারা রিক্স চালায়, যারা আমার আপনার ঘরে কাজ করে, যারা কলকারখানায়, মাঠে কাজ করে সেই সব প্রথাগত শিক্ষায় অল্প শিক্ষিত মানুষেরা। তাদের কত শতাংশ খবরের কাগজ পড়ে বা কত শতাংশই বা টিভি দেখে যে এই বিদ্বজনদের অভিপ্রায় জানবে। আর আগের প্যারায় যাদের বাদ দিয়েছিলাম সেই ছাত্র যুবরাও ছিল বামেদের আরেক বড় শক্তি। তো এই বামফ্রন্ট এখনকার ছাত্রদেরও দলে টানতে চাইল হয় বাহাত্তরের জুজু দেখিয়ে বা ভয় দেখিয়ে। কারন সত্যি বলতে কি ভূমি সংস্কার আর পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা ছাড়া বিগত শাসনকালে বামেদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য সেরকম নেই যাতে যুব সম্প্রদায় আকৃষ্ট হতে পারে। তো, আজকের এই যুবারা না দেখেছে বাহাত্তর আর ভয় পেয়ে বাহ্যিক সমর্থন হয়তো দিয়েছে, কিন্তু ভোটের বাক্সে বোতাম টিপেছে অন্য জায়গায়।

    এর থেকে আমার হিসেব যা বলছে যে বামেদের মূল সমর্থনের জনভিত্তির চরিত্রতাই পালটে গেছে। তাদের প্রতি গ্রামের মানুষ বা যুব সম্প্রদায় আর তেমনভাবে আকৃষ্ট হয় না। কারন তাদের দলে টানার জন্য যে মশলা দরকার সেটা আর সি পি এমের মধ্যে নেই।

    উল্টোদিকে আজকের প্রজন্ম এক হাওয়াই চটি আর আটপৌরে শাড়ি পরা মহিলার লড়াই দেখেছে রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে। দেখেছে মহাকরণ থেকে তাকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়ার দৃশ্য। দেখেছে (যদি নাটকও হয়) অন্যায়ের প্রতিবাদে মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসার সাহস। দেখেছে অত্যাচারিত, নির্যাতিত মানুষদের পাশে বার বার ছুটে যাওয়া এক মহিলাকে। সি পি এম যত ব্যক্তিগত আক্রমন করেছে তার বিরুদ্ধে, মমতার জনসমর্থন তত শক্ত হয়েছে। আর ক্ষমতার অহংকারের চূড়োয় বসে থাকা বিমান বোস বা বুদ্ধদেব বাবুরা সেটা বুঝতেও পারেন নি বা আজও পারছেন না। এটাই হল সি পি এমের এই নির্বাচনে হারার জিষ্ট। সে সি পি এম স্বীকার করুক বা না-ই করুক।
  • Debashis | 2.89.206.83 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ২১:৩৫503150
  • ডানদিকে বাংলা না আসায় কিছু দুর্যোগ ঘটেছে লেখায়, বানানে এবং শব্দ চয়নে। দু:খিত।
  • PT | 203.110.243.21 | ১৬ নভেম্বর ২০১১ ২৩:০০503151
  • @Debashis
    একটা বাক্য একটু পরিষ্কার করুন - মানে বুঝিনি: ""আপনি বলেছেন বামেদের পরাজয়ের কারণ....একদম সি পি এমের আলিমুদ্দিনের নেতাদের কথা।"" আমার কথা সিপিএমের কথা বলে মনে হচ্ছে, এরকম কিছু বলছেন? আপনার সঙ্গে আলোচনার আগে জানিয়ে রাখি যে আমি গণশক্তি পড়িনা এবং ভোটের ফলাফল সম্পর্কে সিপিএমের প্রকাশ করা কোন কাগজ/দলিল আমি পড়িনি।
  • Debashis | 2.89.206.83 | ১৭ নভেম্বর ২০১১ ০০:১৭503152
  • PT

    আমি আগেই বলেছি আমি আপনার কথায় যুক্তি খুঁজে পাই। কিন্তু আপনার ঐ লেখায় মনে হয়েছিল টিভিতে বিভিন্ন আলোচনায় বা গণশক্তিতে প্রকাশিত লেখায় (আমি পড়ি, e ভার্সন :) ) সি পি এমের নেতারা তাঁদের হারের কারন হিসেবে যে কারনগুলি দেখিয়েছিলেন বা এখনও দেখান তারই যেন প্রতিফলন ঘটেছে।

    আবারও বলি, আপনাকে যতই এখানে সি পি এম বলে দাগিয়ে দেওয়া হোক না কেন, আমার বিবেচনায় আপনাকে যুক্তিবাদী বলেই মনে হয়। তাই একটু আশ্চর্য লেগেছে ঐ লেখা পড়ে।
  • q | 121.241.218.132 | ১৭ নভেম্বর ২০১১ ০৯:৫২503153
  • দেবাশিসের শেষের দুটো প্যারার সাথে একদম একমত। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে বামফ্রন্ট উচ্চ/মধ্যবিত্তের সমর্থন পাওয়ার জন্য যে টার্গেটগুলো নেয়, সেগুলোই হয়তো কারণ।

    লাস্ট প্যারায় - হ্যাঁ, আমি মনে করি ওগুলো নাটক। কিন্তু তাও ফ্যাক্ট ওটাই।
  • Du | 117.194.193.140 | ১৭ নভেম্বর ২০১১ ১০:২৭503154
  • দেবাশীষের পোস্টের মুল বক্তব্যের বিরোধিতা করতে না চেয়েও বলতে হচ্ছে, বাংলার সাধারন লোক বা গ্রামের লোক কাগজ পড়ে না বা টিভি দেখে না এটা কতটা ঠিক পার্সেপশন তাই নিয়ে সন্দেহ আছে। তার বাইরেও আছে গুজব, যার আওতার কথা তো কোন পরিসংখ্যানেও আসবে না।
    কিছু রিক্সাওয়ালাকে তো দেখি, খালি সময়ে কাগজ পড়েন রিক্সায় বসে, যেটা আমরা এমনিতে ধারনায় রাখি না।
  • SC | 67.165.98.227 | ১৭ নভেম্বর ২০১১ ১০:৩৩503156
  • দেবাশীষের ৮-২৪এর পোস্টটাকে বড় করে ক।
    আমি এটা বহুদিন ধরে বলে আসছি, যে ভারতের কমিউনিষ্ট আন্দোলনের একটা বিরাট বড় সমস্যা হলো, ওটা বেশ কিছু ক্ষেত্রে
    educatedmiddleclasslivingtheirfantasyofarevolution.
    শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সেই বিপ্লবের নায়ক, তারাই চাপিয়ে দেবেন পার্টি লাইন। এই সমস্যা নিয়ে সমস্ত কমিউনিস্ট পার্টিকেই কমবেশী ভুগতে হয়েছে, কিন্তু সিপিএমে যেহেতু পচনটা একদম ভিতর অবধি চলে গিয়েছিলো, তাই সেখানে অনেক বেশী প্রকট সেই সমস্যা।
    কোনদিন দেখেছেন পুরুলিয়ার কমরেড, হাঁটু অবধি তোলা ময়লা ধুতি পড়ে পলিটব্যুরোতে যাচ্ছেন। ছত্রধর অসিত মাহাতোদের ভাই বেরাদর কেউ কোনোদিন সেখানে গেছে, বা নিজের কথা বলছে, এসব কোনোদিন দেখা গেছে? না।
    দেখা গেছে বরঞ্চ দলের সমস্ত নীতি নির্ধারণ করছেন কারা, কলকাতার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত। মায়াকোভস্কি, আরো কত কি পড়া সাদা ধুতি সুশিক্ষিত আনন্দবাজারের প্রিয় বুদ্ধবাবু, কিংবা দক্ষিণ কলকাতার বনেদী পরিবারের বিমান বসু। দিল্লির দরবারে মিরান্ডা হাউস, যে এন ইউ দের ছড়াছড়ি। বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার কমরেডরা এদের কাছ থেকেই অর্ডার নেবেন। এরাই ঠিক করে দেবেন পার্টির দলিল। জানিনা এটাকেই 'শ্রেণীতঙ্কÄ বোঝা' বলে কিনা? হতেও পারে।
    মাওবাদীরাও এক্ষেত্রে খুব বেশী এগোতে পারেননি। তবুও কোবাড ঘান্ডী দিনের পর দিন আদিবাসীদের মাঝে থেকেছেন, বামপন্থীদের ভাষায় যাকে বলে DDডিক্লাসড হয়েছেন। কিন্তু তাও আদিবাসীদের মধ্যে থেকে মাওবাদীদের খুব বড় নেতানেত্রী উঠছেন কি? জানিনা।
    এই বিষয়টা নিয়ে কমিউনিস্ট দের ভাবতে হবে, যাদের জন্য লড়ছেন, তাদেরকে ক্ষমতায় শরিক না করতে পারলে ওটা আরেক ধরণের ক্ষমতার কাঠামো তৈরি করে, আর কিছুই নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন