এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • Multibrand FDI 2

    h
    অন্যান্য | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ | ৯৪৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • maximin | 59.93.208.241 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:২৫512704
  • জিডিপি বাড়লে সরকারের রেভিনিউ বাড়বে।
    সরকারের রেভিনিউ বাড়লে উন্নয়নের খাতে পয়সা যাবে।
    পয়সা গেলেই জনতার জীবনের মানোন্নয়ন হবে।

    স্টেপগুলো যদি এরকম হত তাহলে লিনিয়ার হত। বিশ্লেষনের প্রথম স্টেপ হবে জিডিপি বাড়াটা এল কোথা থেকে। হোয়াই অ্যান্ড হাউ।
  • aka | 75.76.118.96 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:৫৭512705
  • আমার মনে হয় ঈশান আর আমি একই কথা বলছি, একটু ভালো করে পড়ে দেখতে হবে।

    শুধু একটাই কথা, জিডিপি গ্রোথের সাথে সাথে জিডিপি গ্রোথের থেকেও বেশি হারে সরকারের রেভিনিউ বাড়ছে। এটা কোনো ইকোয়েশন নয়, সিম্পল স্ট্যাটিস্টিকস।

    হেলথকেয়ার নিয়ে আমার যা ক্ষোভ তা খুব লোকাল। মানে প:ব: এবং খুব স্পেসিফিকালি এই আমরা যেখানে থাকি, কলকাতা ইত্যাদি নিয়ে। বোম্বে, ব্যাঙ্গালোর নিয়ে আমার কোন ক্ষোভ নেই।

    ঈশান উল্টোটা, টাকা না বাড়লে এইচডিআই ভালো হবার কোন চান্সই নাই।

    ম্যাক্সিদি বক্তব্য কিলিয়ার করুন, কিছু বোঝা গেল না।
  • Shubha | 59.93.247.239 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:০০512706
  • মিনি দি বোধহয় বলতে চাইছে প্রাথমিক ভাবে জি ডি পি বারছে কি ভাবে? তাই তো? সৈকতদা কি বলতে চাইছ যে এটা একটা vicious cycle?
  • maximin | 59.93.210.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:০১512707
  • লেভেল অফ ইকনমিক অ্যাক্টিভিটি প্রথমেই একচোট বেড়ে গেল। গ্রোথের প্রপেলার ছিল বেসরকারি বিনিয়োগ। লাইসেন্স ব্যাবস্থা তুলে দেওয়ায় দেশীয় পেন্ট আপ ইনভেস্টমেন্ট রিলীজড হল। বিদেশি ইনভেস্টমেন্টের আসার পথ সুগম হওয়ায় তারাও এল। ফিনানশিয়াল লিবারালাইজেশনও হয়ে চলেছিল।

    কোম্পানিগুলিকে যদি একেবারে নির্দয়ভাবে প্রতিযোগিতার সামনে এক্সপোজ করে দেওয়া হত, তাহলে তারা লাভ ক্ষতির হিসেবেই চলতে বাধ্য হত এবং লেবার ইন্টেন্সিভ ক্ষেত্রগুলো আরও অনেক বেশি এক্সপ্যান্ড করত। এক্সপ্যান্ড করেনি তা নয়। পুরোপুরি হল না। আমাদের দেশে কিছু ব্যাবস্থা থাকেই যা প্রতিযোগিতাকে আটকে দেয়। এমপ্লয়মেন্ট পর্যাপ্ত পরিমানে বাড়ল না।

    ৯৬ এর পর জিডিপি গ্রোথ কমে এল। ৯৭/৯৮ এ রিসেশন, ৯৮ সালে অয়েল শক। স্লো ডাউন ২০০২ অবধি টানল।

    ২০০৩/৪ থেকে গ্রোথ রেট নতুন ইম্পেটাস পেল। প্রপেলার এবারে সরকারি বিনিয়োগ। বেসরকারী বিনিয়োগও সাথ দিয়েছে অবশ্যই।
  • maximin | 59.93.210.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:১৩512708
  • দরিদ্র জনসাধারন এই প্রক্রীয়া থেকে বাদ পড়ে গেছে। কেন বাদ পড়ে গেছে? বেসরকারি উদ্যোগ বলেই কি বাদ পড়ল?
  • maximin | 59.93.210.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:২৩512709
  • *৯১ এর রিফর্মের পর লেভেল অফ ইকনমিক অ্যাক্টিভিটি প্রথমেই একচোট বেড়ে গেল।
  • maximin | 59.93.210.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩০512710
  • এগুলো আমার বেশ কঠিন লাগে। অন্যদের মনে হয় লিনিয়ার।
  • maximin | 59.93.210.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৫512711
  • Disclaimer.
  • maximin | 59.93.210.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৪৮512712
  • ডিসক্লেইমার -- কেউ কেউ যে বলছেন গ্রোথ রেট বজায় রাখতে পারলে কিছুদিন পর আমরা ধনী দেশের সমান হয়ে যাব সেটা চাইনা।

    পার ক্যাপিটা আয় যখন এই স্তরে পৌঁছয় তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাইরে চাহিদার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়। একদিকে লোকে খেতে পাবেনা অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয়ের বাইরে চাহিদা তৈরি হবে সেটা চাইনা।
  • maximin | 59.93.210.237 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০৭512715
  • ৯৭ থেকে ২০০৭ এর অ্যাভারেজ নিলে ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল বিনিয়োগ বছরে ১২ শতাংশ বেড়েছে। এরকম কিছু ইন্ডিকেটর থেকে বোঝা যায় যে নতুন শতকে গ্রোথের প্রোপেলর হিসেবে সরকারি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে।
  • Update | 75.76.118.96 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫০512716
  • Name:hMail:Country:

    IPAddress:117.194.228.132Date:11Dec2011 -- 06:39AM

    এই যুক্তিতে, প্রতিযোগিতা যেখানে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত সেখানে, বেকারিত্ব বাড়ার (আনএমপ্লয়মেন্ট) বাড়ার কারণ কি?
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৪১512717
  • h জিনিস পত্রের চাহিদা কম পড়ে বলে।

    চাহিদা কোম্পানিগুলিকে যদি একেবারে নির্দয়ভাবে প্রতিযোগিতার সামনে এক্সপোজ করে দেওয়া হত, তাহলে তারা লাভ ক্ষতির হিসেবেই চলতে বাধ্য হত এবং লেবার ইন্টেন্সিভ ক্ষেত্রগুলো আরও অনেক বেশি এক্সপ্যান্ড করত। এক্সপ্যান্ড করেনি তা নয়। পুরোপুরি হল না। আমাদের দেশে কিছু ব্যাবস্থা থাকেই যা প্রতিযোগিতাকে আটকে দেয়। এমপ্লয়মেন্ট পর্যাপ্ত পরিমানে বাড়ল না। এখানে আমি লং টার্মের কথা বলেছি।
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৪৫512718
  • আমার মনে হয় ভারতে চাকরি তৈরি হচ্ছে কিন্তু চাকরি করার লোক তার থেকেও বেশি তৈরি হচ্ছে। তারসাথে সারা ভারত জুড়ে শিল্পের জন্য জমির আকাল যেমন আমাদের সিঙ্গুর। আর যতটা ওপেন বলে মনে হয় ইকনমি তত ওপেন কিছু না।

    বাকিটা কাল ঈশানকে অনেক কিছু লেখার আছে।
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৫৯512719
  • আকা আপনার বক্তব্যও আমার কাছে ক্লিয়ার হল না।
  • h | 117.194.235.204 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০৩512720
  • আমার কয়েকটি প্রশ্ন:

    . 'চাহিদা কোম্পানি' বলতে আপনি ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন এই ক্ষেত্রে? টার্মটা যদি একটু ক্লিয়ার করেন।
    . যদি ম্যানুফ্যাকচারিং এ একাধারে যথেষ্ট 'মুক্ত' এবং যথেষ্ট 'নির্দয়' (:-) ) আমরা না হয়ে থাকি, তাইলে চাইনিজ খেলনা থেকে, সাইকেল, স্টীল, সোয়েটার, জামা কাপড় ঢুকছে কি করে। থাইল্যান্ডের চাল ই বা আসছে কি করে? তার ইমপ্যাকট যদি নেগলিজিবল হয়, হতেই পারে, কোনো স্টাডি?
    . আপনার ০৯:৪১ এর পোস্ট এর দ্বিতীয় ছোট্ট প্যারাটাতে যা বলছেন, তার মানে কি দাঁড়াচ্ছে? মানে এমপ্লয়মেন্ট বাড়ার সঙ্গে চাহিদা বাড়ার একটা যোগাযোগ আছে? তাইলে কি আপনি অমিত ভাদুড়ি দের 'পার্টিসিপেশন' বা '১০০% এমপ্লয়মেন্ট এর অভিমুখে' ইত্যাদি তঙ্কÄ স্বীকার করছেন? যদি করেন কতটুকু? যদি সম্পূর্ণ ভুল বুঝে থাকি, আপনার বক্তব্যের সঠিক মানে কি ছিল, যদি আরেকবার বলেন প্লিজ।
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:২৭512721
  • পয়েন্ট ১।

    ওটা টাইপো এরর ছিল সরি। 'কোম্পানিগুলিকে যদি একেবারে নির্দয়ভাবে প্রতিযোগিতার সামনে এক্সপোজ করে দেওয়া হত, তাহলে তারা লাভ ক্ষতির হিসেবেই চলতে বাধ্য হত এবং লেবার ইন্টেন্সিভ ক্ষেত্রগুলো আরও অনেক বেশি এক্সপ্যান্ড করত।'
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪৬512722
  • দুবার করে ভুল লিখেছি। সত্যি সরি। দ্বিতীয়বার মানে ৯-৪১ লেখার সময়ে কপি পেস্ট করেছিলাম।

    ৯-৪১ এর প্রথম লাইন -- জিনিস পত্রের চাহিদা কম পড়ে বলে। যদিও জিগেস করেন নি, তবু ক্লিয়ার করা ভালো যে ঐ লাইনটিতে আমাদের দেশের কথা বলিনি, উন্নত দেশগুলির কথা বলতে চেয়েছিলাম। বিজনেস সাইকল।

    ৯-৪১ এর দ্বিতীয় পারা নিয়ে প্রশ্নের জবাব হল গ্রোথ প্রসেসের মধ্যে এমপ্লয়মেন্ট বাড়া এবং ওয়েজ রেট বাড়ার প্রক্রীয়া সরাসরি জড়িয়ে থাকলে চাহিদার সমস্যা হয়না, মানে লং রানে সমস্যা হয়না। বিজনেস সাইকল হবে না সেটা বলা যায়না বোধ হয়।

    বাকি রইল প্রতিযোগিতা একাধারে যথেষ্ট মুক্ত ও নির্দয় ছিল কিনা। না ছিল না। ইম্পোর্ট করতে দেওয়াই যথেষ্ট না। নানাভাবে ইনেফিশিয়েন্সিকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে, হচ্ছে।
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪৯512723
  • আরেকটু জোর দিয়ে বলি, হ্যাঁ '১০০% এমপ্লয়মেন্ট এর অভিমুখে' হলে আমি খুবই খুশি হব। এটা কীভাবে হবে, অমিত ভাদুড়ির তত্বে তার সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা আছে কিনা সেটা অবশ্য জানিনা।
  • h | 117.194.245.107 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৪২512724
  • খুব আলগা আলগা বলছি, আমি একটা দিকে একমত, যদিও সরাসরি আপনি একথা বলেন নি। সেটা হল, ভারতীয় কোম্পানি রা, না পাবলিক সেকটর আমলে, না এখন, বিশেষ কিসু ইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন করে নি। প্রোটেকশনিজম এর আমলে তবু ধরেন পাবলিক সেকটর আন্ডারটেকিং গুলো ল্যাব কিছু করেছে, আর এখন তো বড় কর্পোরেট হাতে গোণা দু চারটি ছাড়া কিস্যু করেনি। ক্যাপিটালিজম এর পালে যে হাওয়া শিল্প বিপ্লবের পরে লেগেছিল, সেটা আমাদের স্বাধীন ভারতের ইনডাস্ট্রিয়ালাইজেশন যে কটা ওয়েভে বড় করে হয়েছে, সেই লাইনে বিশেষ কিসু হয় নি। এবং বাজারের মুক্তি আরো আগে হলে, প্রতিযোগিতা আর নির্দয় হলে, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন হত কিনা এবং ঘরে ঘরে কালে কালে স্টিভ জবস রা জন্মাতেন কিনা, সেটা এমন ধরণের একটা হইলে হইতে পারিতো কেস, সেটা নিয়ে কোনো স্ট্যান্ডার্ড তথ্যনিষ্ঠ আলোচনা চালানো মুশকিল। এবং তাও ধরেন সরকারি উদ্যোগে কিচু গবেষণা যা হয়েছে, তার ধারে কাছে দু একটি হাতে গোণা জায়গা ছাড়া প্রাইভেট সেকটর সেসব কিসুই করে নি, এবং এখনও এফ ডি আই পকেটে নিয়ে বাজিমাত করার যে আগ্রহ তাতে গবেষণার আগ্রহ বিশেষ দেখা যাচ্ছে তা নয়। একটা দেশ শুধুই বাজার হলে যা যা হয় তাই হচ্ছে।

    অবশ্য মেনে নিতেই হবে, ভৌগোলিক আবিষ্কার, ট্রেড রুট গুলোর উপরে গা জোয়ারি ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রণ, শিল্প বিপ্লবের চেয়ে পুরোনো। অতএব একটা সিনিকাল যুক্তি হতে পারে, আগে ক্ষমতা অর্জন করি, সকলকে চোখ রাঙাই, দেশে টাকা আসুক, ইঞ্জিনিয়ারিং আর ইনোভেশন উইল ফলো। নইলে হাতে রইলো বাজার আর রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং। দুটো-ই এত অপুর্ব যে প্রায় ভগ্নাংশ আর ত্রৈরাশিক এর মত অবস্থা। আর শিক্ষা নিয়ে যে চ্যাংড়ামো, মানুষের জীবন কে নিয়ে যে ছেলেখেলা তাতে ভালো কিসু আমাদের বলার মত বিজ্ঞান বা টেকনোলোজি হবে বলে পেত্যয় হয় না।
  • pi | 72.83.83.28 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৫২512726
  • কোম্পানীগুলোকে আরো নির্দয়ভাবে প্রতিযোগিতার সামনে উন্মুক্ত করলে লেবার ইন্টেন্সিভ ক্ষেত্রগুলো আরো বিকশিত হত ? কেমন করে ?
  • Sibu | 108.23.41.126 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৫৮512727
  • রিভার্স ইঞ্জিনীয়ারিং ঠিকমত করলে সেটা মন্দ হয় না। চীনেরা সেটা প্রচুর পরিমানে করে, এবং আম্রিকান পেটেন্ট রেজিমের নাকে ঝামা ঘষে দিয়েই করে। আমাদের প্রাইভেট ফার্মেরা যেটা করে সেটা হল মুৎসুদ্দীগিরি। যদি পেটেন্ট ইত্যাদি গুল্লি মেরে এরা কপিটা মন দিয়ে করে তো আমি খুশি হব। ইনোভেশন পরে হবে। আপাতত: যা অন্যেরা করে ফেলেছে সেটা রি-ইনভেন্ট করে লাভ নেই।
  • h | 117.194.245.107 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:২৬512728
  • মার্কেট এফিশিয়েন্সির মহান আদর্শের প্রশ্নে আমি অবশ্য দ্বিমত। বিশেষ করে প্রতি দশকে একটা যুদ্ধ আর ক্রাইসিস আর বড় মার্কেট ক্র্যাশ, চাকরি পাচারের জন্য গরিব দেশ খুঁজে বেড়ানো, সব শেষে এই ক্রেডিট ক্রাইসিস এর মরণ কামড়, বেল আউট, বিভিন্ন সেকটরে প্রথম বিশ্বের ভালো মাত্রায় প্রোটেকশনিজম, উন্নয়নশীল দেশ গুলোয় অসম্ভব ডিসপ্যারিটি, এই গুলোর পরে 'মার্কেট এফিসিয়েন্সি' তঙ্কÄটাই খুঁতযুক্ত না নিখুঁত সেই প্রশ্ন সত্যি কথা বলতে কি, অবান্তর। গাঁজাখুরি বলেই সন্দেহ হয়। তবে আমি মেনে নিচ্ছি, আমি এই সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য আমি অন্তত যথেষ্ট শিক্ষিত নই, অভ্যেসবসে রাজনৈতিক মাত্র।

    একটা কথা বলি। কোল্ড ওয়ারের সময়টা জুড়ে সোভিয়েত ব্লকের ডিসেন্টার দের পশ্চিমী দেশ গুলো প্রচুর গ্যাস দিয়েছিল, আমরা গরীব দেশের বামপন্থীরা ডিসেন্টার দের উপরে মনে মনে রেগে যেতাম, ভাবতাম, এঁরা শুধু দেশদ্রোহী নন, আন্তর্জাতিক বাম আন্দোলনের ক্ষতি করছেন। পরে দেখা গেল ক্ষতি স্তালিন কিছু কম করেন নি। আবার মনে মনে সন্দেহ ও হত। আমার এক কাকু মস্কো গেছিলেন পি এইচ ডি করতে, ক্রুশচেভের আমলে, ফিরে এসে সকলকে একটা হাড় হিম করা গল্প বলেন। হোস্টেলে রাত্রে রাজনীতির আড্ডা দেওয়ার সময়ে হঠাৎ কোনো কেজিবির খেচর এসে সাবধান করে যায় যে, বিদেশী ছাত্র দের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করাটা সরকার ভালো চোখে দেখেন না। তো ক্রুশ্চেভ এর বিশতম কংগ্রেসের thaw এর আমল। হতে পারে খেচর নিজে স্তালিনিস্ট ছিল, কিন্তু তাও তখন সর্বেসর্বা গণতন্ত্র প্রিয় ক্রুশ্চেভ। তো এইসব গল্প বা টুক টাক বইপত্র হাতে যা আসছিল, তাতে আমাদের বামপন্থী বাবা কাকাদের মতে , শুধু তাঁদের দোষ ই বা দি কেন, আমাদের ও মতে ছিল, 'আদর্শ' সমাজতন্ত্র এঁদের বলা গল্পের থেকে ভালো। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের একসেস সম্পর্কেও একই ভাবে বামপন্থীরা চেপে চুপে ছিলেন। আমরাও চেপে চুপে অসোয়াস্তি নিয়ে। তার পরে ধরুন ৮৫ র পর থেকে একের পর এক রাশিয়ার ফার্স্ট হ্যান্ড আকাউন্ট বেরোতে আরম্ভ করলো, মস্কো স্টেট আর্কাইভস খুললো, চীনে এখনো পুরোটা বেরোয় নি বোধ হয়।

    তো আগ্রাসী পুঁজিবাদে গোপনীয়তাটা সমস্যা নয়, তার সমস্যাটা প্রশ্নহীন মতৈক্য এবং ফিনান্স ক্যাপিটাল এর উপরে অতি - নির্ভরতা। আমার, বিশেষত ১৯৩০ এর ডিপ্রেশন পড়া ইতিহাস আর ২০০৮-২০১১ র ক্রেডিট ক্রাইসিস ইত্যাদি দেখার পরে একটা কথা ক্রমশ: মনে হচ্ছে। ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য রুজভেল্ট নিউ ডিল করেছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নে তখনো সফল সে¾ট্রাল প্ল্যান্ড ইকোনোমি র মডেলে। আর এখন ইতিহাসের গতি সম্পূর্ণ উল্টো দিকে, বাজারি চাহিদা বড়ানোর উপায় হল, বড় ঘনবসতিপূর্ণ দেশে লিবেরেলাইজেশন এর মাধ্যমে প্রবেশ করা, আর দেশের সরকারী খরচ কমানো। কারণ ক্যাপিটাল এখানে না ক্রেতা পেলে, অন্যদেশে পাবে, মরুক গে লেবার, মরুক গে জাতীয় চাহিদা, জাতীয় স্তরের বেকারীত্ব। আত্মঘাতী পরিস্থিতি কিছু কিছু ক্ষেত্রে।

    এই পরিস্থিতিতে, আদর্শ এফিশিয়েন্ট বাজার এর গল্পটা গাঁজাখুরি নয় তো? প্রায় 'আদর্শ' চীন দেশীয় বা স্তালিন আমলের সমাজন্তন্ত্রের মত? এবং অর্থনীতির আলোচনা এবং তঙ্কÄ¡য়ন,সরকার গুলোর পক্ষে, কি সত্যি রাজনীতি বাদ দিয়ে সম্ভব? 'আদর্শ' ও 'এফিশিয়েন্ট' মার্কেট এই যা দেখছি তার থেকে ভালো? এত লোকের চাগরি গেল, যাচ্ছে, গ্রীনস্প্যান এই বলেই খালাস, যে তাঁরা কিছু হিসেবে গোলমাল করেছিলেন। স্টার প্ল্যানার রা বুড়ো হওয়ার আগে বা চীন ভারত লাতিন আমেরিকা ইত্যাদি পুরো 'এফিসিয়েন্ট' হওয়ার আগে যদি গ্লানি বা আত্মবিশ্লেষণের আবেগ না আসে তাইলে তো চাপ, এতো চলতেই থাকবে?

    :-))
  • h | 117.194.245.107 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:২৮512729
  • সিবুদা, বিনা নোটিশে জার্সি বদল করবেন না মাইরি। অতটা কমন নেই। হ্যাঁ জাপান এর বদলে চীন কম কি গোছের একটা তঙ্কÄ আছে, তবে সেটা এখনো খুব বেশি টেস্টেড নয়। চীনে 'স্প্রিং' আসুক, তার পরে বোঝা যাবে ;-)
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০২512730
  • পাই StolperSamuelsonTheorem.
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০৬512731
  • কিছু অ্যাসামশন আছে। মডেল এক্সটেন্ড করে নিতে হবে। রেজাল্ট রোবাস্ট।
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৮512732
  • h আপনার পোস্ট গুলো পড়ছি। পড়া শেষ হয়নি। তার আগে এইটে একটু দেখবেন। আমাদের দেশে পার ক্যাপিটা আয় একটা বিশেষ স্তরে পৌঁছেছে। পার ক্যাপিটা আয় যখন এই স্তরে পৌঁছয়, তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাইরে চাহিদার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়।

    বিদেশি রিটেইল চেইন যে এত করে আসতে চাইছে, এবং আমরাও কেউ কেউ যে আনতে চাইছি, তার একটা কারণ বোধ হয় এইটে। একদিকে লোকে খেতে পাবেনা অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয়ের বাইরে চাহিদা তৈরি হবে, এটা কি কাম্য? যদি কাম্য না হয় তাহলে বর্তমানে ওয়লমার্ট আনার বিরুদ্ধে যুক্তি। আগে যাই হয়ে থাকুক না কেন।
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২২512733
  • পাইও অনেক আগে এই কথাটা বলেছে।
  • aka | 75.76.118.96 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:২৭512734
  • ঈশান আমার পোস্টে কতকগুলো খুব ইম্পর্ট্যান্ট ব্যপার ধরতে পারে নি।

    ১। ঈশান এমপ্লয়মেন্টের একটা ডেটা দিয়ে আমাকে অ্যানালিসিস করে বলতে বলেছিল এর থেকে কি মনে হয়। তো, তাতে আমার যা মনে হয়েছে তা এই আলোচনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। মনে হয়েছে কয়েকটা জিনিষ

    ক) দেশের যা ট্র্যাডিশনাল ইন্ডাস্ট্রী অর্থাৎ এগ্রিকালচার এবং ম্যানুফ্যাকচারিং তাতে জব গ্রোথ ক্রমশ কমছিল।

    খ) ১৯৯০ সনে ইকনমকি রিফর্মের ফলে ট্রেড, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি জায়গায় প্রচূর গ্রোথ হয়েছে।

    গ) অর্থাৎ ট্র্যাডিশনাল ইন্ডাস্ট্রীতে ক্রমহ্রাসমান জব তার কিছুটা কম্পেন্সেটেড হয়েছে ইকনমিক রিফর্মের ফলে।

    ঘ) এর সাথে আরও একটা ব্যপার মাথায় রাখতে হবে যে এর সাথে দেশে লেবার ফোর্সও গ্রো করেছে।

    বলার কথা এই যে, আপাত দৃষ্টিতে যা কিনা ক্রমহ্রাসমান জব গ্রোথ বলে মনে হচ্ছে ১৯৯০ এর ইকনমিক রিফর্ম না ঘটলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করত কারণ সেক্ষেত্রে এগ্রিকালচার, ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জব তো থাকতই না, বরং এই যে ট্রেড, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদির জব তৈরি হয়েছে তাও থাকত না।

    ২। ঈশান নিজের অবজার্ভেশন দিয়ে তুলনা করতে চেয়েছে একটা ইণ্ডেক্সের যাকিনা কিছু স্পেসিফিক জিনিষ মাপে এবং অনেক কিছুই মাপে না। যেমন ঈশানের সিঙ্গুরে আগে লোকে সাপে কামড়ালে মারা যেত এখন সেখানে লোকাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনাম পাওয়া যায় অতএব এক্ষেত্রে লাইফ এক্সপেকটেন্সি অ্যাট বার্থ বাড়ল, এইচডিআই বেটার হল। এরকম যদি সিঙ্গুরের মতন আরও কয়েক হাজার জায়গায় হয় তাহলে ইন্ডেক্সে তার কϾট্রবিউশন বিপুল কারণ ভারতে সাপে কামড় খুবই কমন। ওদিকে আমার যা নিয়ে অভিযোগ যেমন ঠিক সময়ে রোগ ডায়াগনসিস না হওয়া - তারও ইম্প্যাক্ট আছে এইচডিআইয়ের ওপর কিন্তু নেগলিজিবল। কারণ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যতই আমার কাছে মারাত্মক হোক না কেন সারা ভারতের পার্সপেক্টিভে সেটা নগন্য।

    কিন্তু আমার বা ঈশানের যে অভিযোগ যেমন অযথা পয়সা খিঁচে নেওয়া, লোকজনের অভব্যতা, পেশেন্ট ওয়ার্ডে মোবাইল ফোনের ইউজ ইত্যাদির এইচডিআইয়ের সাথে কোন সম্পর্কই নেই কারণ এইচডিআই এসব মাপে না।

    সর্বোপরি এসবই আমাদের লোকাল অভিজ্ঞতা, আমারই যেমন বোম্বে বা ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাইতে অভিজ্ঞতা খুব ভালো। মোদ্দা কথা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে এইচডিআই বোঝার চেষ্টা না করাই ভালো।
  • maximin | 59.93.198.168 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৩512735
  • h, পড়লাম। ভালৈ লাগল পড়তে। মা বাপের কাছে রাজনীতির গল্প অনেক শুনসিলাম। বিশেষ কিছুই বুঝি নাই। অর্থনীতি হইল গিয়া মাটির কাছাকাছি বিষয়। হয় মেলে, নয় মেলে না। গাঁজাখুরি গল্প দিয়া বেশিদূর যাওয়া যায়না। আমার তো এই মনে হয়। তাহলে এখন কী করি?
  • Sibu | 108.23.41.126 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৪৯512737
  • জার্সি বদলাই নাই। কইসি ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটে গোলো মার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন