এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ-একটি নির্মোহ ব

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৪৫৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 107.81.102.141 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:০৫515237
  • চলচিত্তচঞ্চরী-র সফ্ট কপি হবে? এখন আবার পড়ার জন্যে চিত্ত চঞ্চল হয়। আর সুকুমার রায়ের ব্রাহ্মসঙ্গীত, সুবিনয় রায়ের গাওয়া, কালকেই ভাটে দিয়েছিলাম, এখানেও থাক
  • ইনফো | 186.10.104.243 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:০৭515238
  • বাল্যবিবাহের ওপর ইন জেনারাল বেশ খড়্গহস্ত ছিলেন । তবে সমাজের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাস করতেন না । আর কোনো কিছু অপছন্দ মানেই তার আগাপাশতলা খারাপ এটা ভাবতেন না ।
  • avi | 233.191.52.103 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:১০515239
  • হ্যাঁ, পাওয়া যায় তো। সুকুমার রায় নাটক সমগ্র লিখে সার্চ করলেই পাওয়ার কথা, কোন সাইট থেকে নামিয়েছিলাম ভুলে গেছি।
    সুকুমারের প্রায় সব লেখা নিয়ে একখানা android app-ও আছে, আফসোস, তাতে চলচিত্তচঞ্চরী নেই। :(
  • sosen | 184.64.4.97 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:১৪515240
  • অভি, ক্রায়োপ্রিজার্ভেশন তো রীতিমত ব্যবসা এখন। কিন্তু রাজযোগ বা হঠযোগের সাথে তার কিছু সম্পর্ক নেই তো।
    লাইফ প্রসেস সাসপেন্ডেড থাকা একটা অবজার্ভেশন-ইন ফ্যাকট এবারের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের কভারস্টোরিটা ঐ নিয়ে, পড়ে দেখতে পারেন যে কেউ, অনেক অ্যানেকডোট। কিন্তু ভলান্টারিলি সত্যিই করা যায় কিনা-আমি ঠিক জানিনা, দেখলে বিশ্বাস করব। কিংবা পুরো প্রক্রিয়াটার মেডিক্যাল একসপ্ল্যানেশন দেখলে। আমকৃষ্ণ রাজযোগের সুষুপ্তি অবস্থায় ছিলেন বলে মনে করা হয়, ব্রিদিং অত্যন্ত স্লোড ডাউন। এর পর নাকি তূরীয় অবস্থাও হয় , যা ত্রৈলঙ্গ স্বামীর হতো-তা এখন তো আর কারোর হয়না, হলে পরে মেডিক্যাল ব্যাপারগুলো হয়তো জানা যেত। সেরকম রিসেন্ট কোনো স্টাডি পেলে দিও।
  • sosen | 184.64.4.97 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:১৬515241
  • আমকৃষ্ণ নয় রামকৃষ্ণ রে বাবা
  • Abhyu | 107.81.102.141 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:২০515242
  • শীর্ষেন্দু তাঁর পাতালঘর নামক গ্রন্থে এ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।
  • sch | 125.187.38.98 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:২১515243
  • বিবুদা'র একটা ক্লিশে হয় এ যাওয়া বাণী "‘‘পাখির দুটো ডানা থাকে, তার একটি দুর্বল হয়ে গেলে সে আর আকাশে উড়তে পারে না। মানব সমাজেরও দুটি ডানা আছে। একটি পুরুষ, অপর‍‌টি নারী। নারীকে দুর্বল করে রাখলে সমাজেরও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগমন হতে পারে না।’’

    এটা তো জন বুচানন টাইপের প্রসেস ওরিয়েন্টেড আইডিয়া। নারীকে শিক্ষা দাও - তারপর সে নিজেই নিজের ভালো বুঝে নেবে। সে বিধবা হয়ে সারা জীবন থাকবে - না আবার বিয়ে করবে নাকি লিভ ইন করবে না পরকীয়া করবে লেত দ্যাট বি হার ডিসিসান বেসড অন প্রপার ইনফরমেশান। এই জাতীয় বাণী আর কে কে সেই সময় মেয়েদের উন্নতির জন্য দিয়েছিলেন জানতে ইচ্ছে হয়।
  • Arpan | 233.227.110.90 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:২২515245
  • আর শ্চদাকে বলার ছিল স্ত্রীশিক্ষার প্রবর্তকের খেতাব বিবুদাকে দেওয়া যায় না। আর স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজন ছিল ঐ সময় শিক্ষিত যুবাদের উপযুক্ত পত্নী গড়ার জন্য (শুধু বিবুদা না, সবারই তাই)। নারীর এম্পাওয়ারমেন্ট সেই অ্যাজেন্ডায় ছিল না।

    কাজেই শিক্ষা দিলাম আর তাতে লোকে ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ চিনতে শিখল এইটা অতি সরলীকৃত একটা ভাবনা। শিক্ষারও তো রাজনীতিকরণ হয়, তার উদ্দেশ্য বিধেয় হয়। এখন এটা উনি ভেবে বলেছিলেন, না ভেবে, মানে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে সেটা অবশ্যই তর্কযোগ্য।
  • avi | 233.191.52.103 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:২২515244
  • হুঁ, না থাকাই সম্ভব। :)
    স্টাডি আছে বলে মনে হয় না, খুঁজবো। আহা, এখন কোনো বড় সাধককে পেলে একটা বড় পাবলিকেশন হয়ে যেত। :(
  • sch | 125.187.38.98 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৩০515248
  • খেতাব দিতে বললাম কই। জিজ্ঞেস করলাম এই লাইনে মেয়েদের শিক্ষার ওপর আর কে কে কি কি বাণী ওই সময় দিয়েছেন জানতে আগ্রহী। আর মেয়েদের ভালো বউ বানানোর জন্য শিক্ষা দিতে বলেছিলেন কি না - সে প্রসংগে অনেক বার বলেছেন - আমার কোটেশান মুখস্থের ক্ষমতা নেই - পেলে জানাবো
  • dc | 233.235.71.47 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৩১515249
  • আহা, এখন কোনো বড় সাধককে পেলে একটা বড় পাবলিকেশন হয়ে যেত"

    দেয়ার লাইস দ্য ক্যাচ।
  • Arpan | 233.227.110.90 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৩৩515250
  • ওটা ৮ঃ৫১ সম্পর্কে বলা।
  • Arpan | 233.227.110.90 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৩৬515251
  • মেয়েদের ভালো বউ উনি বলেছিলেন কিনা বা বললেও কী বলেছিলেন জানি না। লিখে দিও।

    তবে তৎকালীন সব সমাজ সংস্কারকদের নারীশিক্ষানীতির অভিমুখই তাই ছিল। বিবুদা বললেও ছিল, না বললেও ছিল।
  • sosen | 184.64.4.97 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৪১515252
  • সেটাই তো স্বাভাবিক, সময়ের দিক থেকে ভাবলে।
  • Arpan | 233.227.110.90 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৪৪515253
  • হ্যাঁ।

    ওটা ৯ঃ৫৩ এর পোস্টে বিবুদার বাণী প্রসঙ্গে লেখা।
  • pi | 233.231.43.92 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৪৭515254
  • বিদ্যাসাগরের নারীশিক্ষানীতির অভিমুখ কী ছিল ? নিবেদিতার ? শিক্ষিত যুবাদের উপযুক্ত পত্নী গড়া এজেন্ডা ছিল ? মনে নেই, তাই জানাতে চাইছি। মানে এঁদের এরকম কোন কথা মনে পড়ছে না।
  • Abhyu | 107.81.102.141 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৪৯515255
  • মোটামুটি ইম্পর্ট্যান্ট একটা ডকু
    --------------------------------
    স্বামী-শিষ্য-সংবাদ ৬-১০

    স্থান—কলিকাতা, বাগবাজার
    কাল—মার্চ, ১৮৯৭

    স্বামীজী কয়েকদিন যাবৎ কলিকাতাতেই অবস্থান করিতেছেন।
    এইরূপে কোথায় যাইতেছেন সে বিষয়ে শিষ্যকে কিছুই না বলিয়া গাড়ী বিডন ষ্ট্রীটে উপস্থিত হইলে—কথাচ্ছলে বলিতে লাগিলেন, ‘তোদের দেশের মেয়েদের লেখাপড়া শেখাবার জন্য কিছু মাত্র চেষ্টা দেখা যায় না। তোরা লেখাপড়া করে মানুষ হচ্ছিস, কিন্তু যারা তোদের সুখদুঃখের ভাগী—সকল সময়ে প্রাণ দিয়ে সেবা করে, তাদের শিক্ষা দিতে—তাদের উন্নত করতে তোরা কি করছিস?’

    শিষ্য॥ কেন মহাশয়, আজকাল মেয়েদের জন্য কত স্কুল-কলেজ হইয়াছে। কত স্ত্রীলোক এম।এ, বি।এ পাস করিতেছে।

    স্বামীজী॥ ও তো বিলাতী ঢঙে হচ্ছে। তোদের ধর্মশাস্ত্রানুশাসনে, তোদের দেশের মত চালে কোথায় কটা স্কুল হয়েছে? দেশে পুরুষদের মধ্যেও তেমন শিক্ষার বিস্তার নেই, তা আবার মেয়েদের ভেতর! গবর্ণমেণ্টের স্ততিস্তি-এ (সংখ্যাসূচক তালিকায়) দেখা যায়, ভারতবর্ষেশতকরা ১০।১২ জন মাত্র শিক্ষিত, তা বোধ হয় মেয়েদের মধ্যে ওনে পের েন্ত (শতকরা একজন)-ও হবে না, তা না হলে কি দেশের এমন দুর্দশা হয়? শিক্ষার বিস্তার—জ্ঞানের উন্মেষ—এ-সব না হলে দেশের উন্নতি কি করে হবে? তোরা দেশে যে কয়জন লেখাপড়া শিখেছিস—দেশের ভাবী আশার স্থল—সেই কয়জনের ভেতরেও ঐ বিষয়ে কোন চেষ্টা উদ্যম দেখতে পাই না। কিন্তু জানিস, সাধারণের ভেতর আর মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার না হলে কিছু হবার যো নেই। সেজন্য আমার ইচ্ছা, কতকগুলি ব্রহ্মচারী ও ব্রহ্মচারিণী তৈরী করব। ব্রহ্মচারীরা কালে সন্ন্যাস গ্রহণ করে দেশে দেশে গাঁয়ে গাঁয়ে গিয়ে মস্স-এর (জনসাধারণের) মধ্যে শিক্ষাবিস্তারে যত্নপর হবে। আর ব্রহ্মচারিণীরা মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার করবে। কিন্তু দেশী ধরনে ঐ কাজ করতে হবে। পুরুষদের জন্য যেমন কতকগুলি েন্ত্রে (শিক্ষাকেন্দ্র) করতে হবে, মেয়েদের শিক্ষা দিতেও সেইরূপ কতকগুলি কেন্দ্র করতে হবে। শিক্ষিতা ও সচ্চরিত্রা ব্রহ্মচারিণীরা ঐ সকল কেন্দ্রে মেয়েদের শিক্ষার ভার নেবে। পুরাণ, ইতিহাস, গৃহকার্য, শিল্প, ঘরকন্নার নিয়ম ও আদর্শ চরিত্র গঠনের সহায়ক নীতিগুলি বর্তমান বিজ্ঞানের সহায়তায় শিক্ষা দিতে হবে। ছাত্রীদের ধর্মপরায়ণ ও নীতিপরায়ণ করতে হবে; কালে যাতে তারা ভাল গিন্নী তৈরী হয়, তাই করতে হবে। এই সকল মেয়েদের সন্তানসন্ততিগণ পরে ঐসকল বিষয়ে আরও উন্নতি লাভ করতে পারবে। যাদের মা শিক্ষিতা ও নীতিপরায়ণা হন, তাঁদের ঘরেই বড় লোক জন্মায়। মেয়েদের তোরা এখন যেন কতকগুলি মনুফ্তুরিঙ্গ মচিনে (উৎপাদন-যন্ত্র) করে তুলেছিস। রাম রাম! এই কি তোদের শিক্ষার ফল হল? মেয়েদের আগে তুলতে হবে, মস্স-কে (জনসাধারণকে) জাগাতে হবে; তবে তো দেশের কল্যাণ—ভারতের কল্যাণ।

    গাড়ী এইবার কর্ণওয়ালিস্ ষ্ট্রীটের ব্রাহ্মসমাজ ছাড়াইয়া অগ্রসর হইতেছে দেখিয়া গাড়োয়ানকে বলিলেন, ‘চোরবাগানের রাস্তায় চল্।’ গাড়ী যখন ঐ রাস্তায় প্রবেশ করিল, তখন স্বামীজী শিষ্যের নিকট প্রকাশ করিলেন, ‘মহাকালী পাঠশালা’র স্থাপয়িত্রী তপস্বিনী মাতা তাঁহার পাঠশালা দর্শন করিতে আহ্বান করিয়া তাঁহাকে চিঠি লিখিয়াছেন। ঐ পাঠশালা তখন চোরবাগানে একটা দোতলা ভাড়াটিয়া বাড়ীতে ছিল। গাড়ী থামিলে দুই-চারিজন ভদ্রলোক তাঁহাকে প্রমাণ করিয়া উপরে লইয়া গেলেন এবং তপস্বিনী মাতা দাঁড়াইয়া স্বামীজীকে অভ্যর্থনা করিলেন। অল্পক্ষণ পরেই তপস্বিনী মাতা স্বামীজীকে সঙ্গে করিয়া একটি ক্লাসে লইয়া গেলেন। কুমারীরা দাঁড়াইয়া স্বামীজীকে অভ্যর্থনা করিল এবং মাতাজীর আদেশে প্রথমতঃ ‘শিবের ধ্যান’ সুর করিয়া আবৃত্তি করিতে লাগিল। কিরূপ প্রণালীতে পাঠশালায় পূজাদি শিক্ষা দেওয়া হয়, মাতাজীর আদেশে কুমারীগণ পরে তাহাই করিয়া দেখাইতে লাগিল। স্বামীজীও উৎফুল্ল-মনে ঐ সকল দর্শন করিয়া অন্য এক শ্রেণীর ছাত্রীদিগকে দেখিতে চলিলেন। বৃদ্ধা মাতাজী স্বামীজীর সঙ্গে সকল ক্লাস ঘুরিতে পারিলেন না বলিয়া স্কুলের দুই-তিনটি শিক্ষককে আহ্বান করিয়া সকল ক্লাস ভাল করিয়া স্বামীজীকে দেখাইবার জন্য বলিয়া দিলেন। অনন্তর স্বামীজী সকল ক্লাস ঘুরিয়া পুনরায় মাতাজীর নিকটে ফিরিয়া আসিলে মাতাজী একজন কুমারীকে তখন ডাকিয়া আনিলেন এবং ‘রঘুবংশে’র তৃতীয় অধ্যায়ের প্রথম শ্লোকটির ব্যাখ্যা করিতে বলিলেন। ছাত্রীটিও উহার সংস্কৃতে ব্যাখ্যা করিয়া স্বামীজীকে শুনাইল। স্বামীজী শুনিয়া সন্তোষ প্রকাশ করিলেন এবং স্ত্রীশিক্ষা-প্রচারকল্পে মাতাজীর অধ্যবসায় ও যত্নপরতার এতদূর সাফল্য দর্শন করিয়া তাঁহার ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিলেন। মাতাজী তাহাতে বিনীতভাবে বলিলেন, ‘আমি ভগবতী-জ্ঞানে ছাত্রীদের সেবা করিয়া থাকি, নতুবা বিদ্যালয় করিয়া যশোলাভ করিবার বা অপর কোন উদ্দেশ্য নাই।’

    বিদ্যালয়-সম্বন্ধীয় কথাবার্তা সমাপন করিয়া স্বামীজী বিদায় লইতে উদ্যোগ করিলে মাতাজী স্কুল সম্বন্ধে মতামত লিপিবদ্ধ করিতে দর্শকদিগের জন্য নির্দিষ্ট খাতায় (ইসিতোর্স’ ঊক) স্বামীজীকে মতামত লিখিতে বলিলেন। স্বামীজীও ঐ পরিদর্শক-পুস্তকে নিজ মত বিশদভাবে লিপিবদ্ধ করিলেন। লিখিত বিষয়ের শেষ ছত্রটি শিষ্যের এখনও মনে আছে—‘ঠে মোভেমেন্ত ইস ইন থে রিঘ্ত দিরে্তিওন’ (স্ত্রীশিক্ষার প্রচেষ্টাটি ঠিক পথে চলেছে)।

    অনন্তর মাতাজীকে অভিবাদন করিয়া স্বামীজী পুনরায় গাড়ীতে উঠিলেন এবং শিষ্যের সহিত স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে নিম্নলিখিতভাবে কথোপকথন করিতে করিতে বাগবাজার অভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিলেনঃ

    স্বামীজী॥ এঁর (মাতাজীর) কোথায় জন্ম! সর্বস্ব-ত্যাগী—তবু লোকহিতের জন্য কেমন যত্নবতী! স্ত্রীলোক না হলে কি ছাত্রীদের এমন করে শিক্ষা দিতে পারে? সবই ভাল দেখলুম; কিন্তু ঐ যে কতকগুলি গৃহী পুরুষ মাষ্টার রয়েছে—ঐটে ভাল বোধ হল না। শিক্ষিতা বিধবা ও ব্রহ্মচারিণীগণের ওপরই স্কুলের শিক্ষার ভার সর্বথা রাখা উচিত। এদেশে স্ত্রীবিদ্যালয়ে পুরুষ-সংস্রব একেবারে না রাখাই ভাল।

    শিষ্য॥ কিন্তু মহাশয়, গার্গী খনা লীলাবতীর মত গুণবতী শিক্ষিতা স্ত্রীলোক দেশে এখন পাওয়া যায় কই?

    স্বামীজী॥ দেশে কি এখনও ঐরূপ স্ত্রীলোক নেই? এ সীতা সাবিত্রীর দেশ, পুণ্যক্ষেত্র ভারতে এখনও মেয়েদের যেমন চরিত্র সেবাভাব, স্নেহ, দয়া, তুষ্টি ও ভক্তি দেখা যায়, পৃথিবীর কোথাও তেমন দেখলুম না। ওদেশে (পাশ্চাত্যে) মেয়েদের দেখে আমার অনেক সময় স্ত্রীলোক বলেই বোধ হত না—ঠিক যেন পুরুষ মানুষ! গাড়ী চালাচ্ছে, অফিসে বেরুচ্ছে, স্কুলে যাচ্ছে, প্রফেসরি করছে! একমাত্র ভারতবর্ষেই মেয়েদের লজ্জা, বিনয় প্রভৃতি দেখে চক্ষু জুড়ায়। এমন সব আধার পেয়েও তোরা এদের উন্নতি করতে পারলিনি। এদের ভেতরে জ্ঞানালোক দিতে চেষ্টা করলিনে। ঠিক ঠিক শিক্ষা পেলে এরা ইদেঅল (আদর্শ) স্ত্রীলোক হতে পারে।

    শিষ্য॥ মহাশয়, মাতাজী ছাত্রীদিগকে যেভাবে শিক্ষা দিতেছেন, তাহাতে কি ঐরূপ ফল হইবে? এই সকল ছাত্রীরা বড় হইয়া বিবাহ করিবে, এবং উহার অল্পকাল পরেই অন্য সকল স্ত্রীলোকের মত হইয়া যাইবে। মনে হয়, ইহাদিগকে ব্রহ্মচর্য অবলম্বন করাইতে পারিলে ইহারা সমাজের এবং দেশের উন্নতিকল্পে জীবনোৎসর্গ করিতে এবং শাস্ত্রোক্ত উচ্চ আদর্শ লাভ করিতে পারিত। স্বামীজী॥ ক্রমে সব হবে। দেশে এমন শিক্ষিত লোক এখনও জন্মায়নি, যারা সমাজ-শাসনের ভয়ে ভীত না হয়ে নিজের মেয়েদের অবিবাহিতা রাখতে পারে। এই দেখ্ না—এখনও মেয়ে বার-তের বৎসর পেরুতে না পেরুতে লোকভয়ে—সমাজভয়ে বে দিয়ে ফেলে। এই সেদিন োন্সেন্ত (সম্মতিসূচক) আইন করবার সময় সমাজের নেতারা লাখো লোক জড়ো করে চেঁচাতে লাগল ‘আমরা আইন চাই না’। অন্য দেশ হলে সভা করে চেঁচান দূরে থাকুক, লজ্জায় মাথা গুঁজে লোক ঘরে বসে থাকত ও ভাবত আমাদের সমাজে এখনও এ-হেন কলঙ্ক রয়েছে!

    শিষ্য॥ কিন্তু মহাশয়, সংহিতাকারগণ একটা কিছু না ভাবিয়া চিন্তিয়া কি আর বাল্যবিবাহের অনুমোদন করিয়াছিলেন? নিশ্চয় উহার ভিতর একটা গূঢ় রহস্য আছে।

    স্বামীজী॥ কি রহস্যটা আছে?

    শিষ্য॥ এই দেখুন, অল্প বয়সে মেয়েদের বিবাহ দিলে তাহারা স্বামিগৃহে আসিয়া কুলধর্মগুলি বাল্যকাল হইতে শিখিতে পারিবে। শ্বশুর-শাশুড়ীর আশ্রয়ে থাকিয়া গৃহকর্ম-নিপুণা হইতে পারিবে। আবার পিতৃগৃহে বয়স্থা কন্যার উচ্ছৃঙ্খল হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা; বাল্যকালে বিবাহ দিলে তাহার আর উচ্ছৃঙ্খল হইবার সম্ভাবনা থাকে না; অধিকন্তু লজ্জা, নম্রতা, সহিষ্ণুতা ও শ্রমশীলতা প্রভৃতি ললনা-সুলভ গুণগুলি তাহাতে বিকশিত হইয়া উঠে।

    স্বামীজী॥ অন্যপক্ষে আবার বলা যেতে পারে যে, বাল্যবিবাহে মেয়েরা অকালে সন্তান প্রসব করে অধিকাংশ মৃত্যুমুখে পতিত হয়; তাদের সন্তান-সন্ততিগণও ক্ষীণজীবী হয়ে দেশে ভিখারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। কারণ, পিতামাতার শরীর সম্পূর্ণ সমর্থ ও সবল না হলে সবল ও নীরোগ সন্তান জন্মাবে কেমন করে? লেখাপড়া শিখিয়ে একটু বয়স হলে বে দিলে সে- মেয়েদের যে সন্তান-সন্ততি জন্মাবে, তাদের দ্বারা দেশের কল্যাণ হবে। তোদের যে ঘরে ঘরে এত বিধবা তার কারণ হচ্ছে—এই বাল্য-বিবাহ। বাল্য বিবাহ কমে গেলে বিধবার সংখ্যাও কমে যাবে।

    শিষ্য॥ কিন্তু মহাশয়, আমার মনে হয়, অধিক বয়সে বিবাহ দিলে মেয়েরা গৃহকার্যে তেমন মনোযোগী হয় না। শুনিয়াছি, কলিকাতার অনেক স্থানে শাশুড়ীরা রাঁধে ও শিক্ষিতা বধূরা পায়ে আলতা পরিয়া বসিয়া থাকে। আমাদের বাঙাল দেশে ঐরূপ কখনও হইতে পায় না।

    স্বামীজী॥ ভাল মন্দ সব দেশেই আছে। আমার মতে সমাজ সকল দেশেই আপনা-আপনি গড়ে। অতএব বাল্যবিবাহ তুলে দেওয়া, বিধবাদের পুনরায় বে দেওয়া প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাবার দরকার নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে স্ত্রী পুরুষ—সমাজের সকলকে শিক্ষা দেওয়া। সেই শিক্ষার ফলে তারা নিজেরাই কোন‍্‍টি ভাল, কোন‍্‍টি মন্দ সব বুঝতে পারবে এবং নিজেরা মন্দটা করা ছেড়ে দেবে। তখন আর জোর করে সমাজের কোন বিষয় ভাঙতে গড়তে হবে না।

    শিষ্য॥ মেয়েদের এখন কিরূপ শিক্ষার প্রয়োজন?

    স্বামীজী॥ ধর্ম, শিল্প, বিজ্ঞান, ঘরকন্না, রন্ধন, সেলাই, শরীরপালন—এ-সব বিষয়ের স্থূল মর্মগুলিই মেয়েদের শেখান উচিত। নভেল-নাটক ছুঁতে দেওয়া উচিত নয়। মহাকালী পাঠশালাটি অনেকটা ঠিক পথে চলছে; তবে কেবল পূজাপদ্ধতি শেখালেই হবে না; সব বিষয়ে চোখ ফুটিয়ে দিতে হবে। আদর্শ নারীচরিত্রগুলি ছাত্রীদের সামনে সর্বদা ধরে উচ্চ ত্যাগরূপ ব্রতে তাদের অনুরাগ জন্মে দিতে হবে। সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী, লীলাবতী, খনা, মীরা—এঁদের জীবনচরিত্র মেয়েদের বুঝিয়ে দিয়ে তাদের নিজেদের জীবন ঐরূপে গঠিত করতে হবে।
  • Abhyu | 107.81.102.141 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৫৩515256
  • আরেকটু
    -------------

    এইবার গিরিশবাবুর দিকে চাহিয়া স্বামীজী বলিলেন—‘কি জি. সি., এ-সব তো কিছু পড়লে না, কেবল কেষ্ট-বিষ্টু নিয়েই দিন কাটালে।’

    গিরিশবাবু॥ কি আর পড়ব ভাই? অত অবসরও নেই, বুদ্ধিও নেই যে, ওতে সেঁধুব। তবে ঠাকুরের কৃপায় ও-সব বেদবেদান্ত মাথায় রেখে এবার পাড়ি মারব। তোমাদের দিয়ে তাঁর ঢের কাজ করাবেন বলে ও-সব পড়িয়ে নিয়েছেন, আমার ও-সব দরকার নেই।

    এই কথা বলিয়া গিরিশবাবু সেই প্রকাণ্ড ঋগ্বেদ গ্রন্থখানিকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করিতে ও বলিতে লাগিলেন—‘জয় বেদরূপী শ্রীরামকৃষ্ণের জয়।’

    স্বামীজী অন্যমনা হইয়া কি ভাবিতেছিলেন, ইতোমধ্যে গিরিশবাবু বলিয়া উঠিলেন, ‘হাঁ, হে নরেন, একটা কথা বলি। বেদবেদান্ত তো ঢের পড়লে, কিন্তু এই যে দেশে ঘোর হাহাকার, অন্নাভাব, ব্যভিচার, ভ্রূণহত্যা, মহাপাতকাদি চোখের সামনে দিনরাত ঘুরছে, এর উপায় তোমার বেদে কিছু বলেছে? ঐ অমুকের বাড়ীর গিন্নী, এককালে যার বাড়ীতে রোজ পঞ্চাশখানি পাতা পড়ত, সে আজ তিন দিন হাঁড়ি চাপায়নি; ঐ অমুকের বাড়ীর কুলস্ত্রীকে গুণ্ডাগুলো অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে; ঐ অমুকের বাড়ীতে ভ্রূণহত্যা হয়েছে, অমুক জোচ্চোরি করে বিধবার সর্বস্ব হরণ করেছে—এ-সকল রহিত করবার কোন উপায় তোমার বেদে আছে কি?’ গিরিশবাবু এইরূপে সমাজের বিভীষিকাপ্রদ ছবিগুলি উপর্যুপরি অঙ্কিত করিয়া দেখাইতে আরম্ভ করিলে স্বামীজী নির্বাক হইয়া রহিলেন। জগতের দুঃখকষ্টের কথা ভাবিতে ভাবিতে স্বামীজীর চক্ষে জল আসিল। তিনি তাঁহার মনের ঐরূপ ভাব আমাদের জানিতে দিবেন না বলিয়াই যেন উঠিয়া বাহিরে চলিয়া গেলেন।

    ইতোমধ্যে গিরিশবাবু শিষ্যকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, ‘দেখলি বাঙাল, কত বড় প্রাণ! তোর স্বামীজীকে কেবল বেদজ্ঞ পণ্ডিত বলে মানি না; কিন্তু ঐ যে জীবের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেল, মহাপ্রাণতার জন্য মানি। চোখের সামনে দেখলি তো মানুষের দুঃখকষ্টের কথাগুলো শুনে করুণায় হৃদয় পূর্ণ হয়ে স্বামীজীর বেদ-বেদান্ত সব কোথায় উড়ে গেল!’

    শিষ্য॥ মহাশয়, আমাদের বেশ বেদ পড়া হইতেছিল; আপনি মায়ার জগতের কি কতকগুলো ছাইভস্ম কথা তুলিয়া স্বামীজীর মন খারাপ করিয়া দিলেন।

    গিরিশবাবু॥ জগতে এই দুঃখকষ্ট, আর উনি সে দিকে একবার না চেয়ে চুপ করে বসে কেবল বেদ পড়ছেন! রেখে দে তোর বেদ-বেদান্ত।

    শিষ্য॥ আপনি কেবল হৃদয়ের ভাষা শুনিতেই ভালবাসেন, নিজে হৃদয়বান্ কিনা! কিন্তু এই সব শাস্ত্র, যাহার আলোচনায় জগৎ ভুল হইয়া যায়, তাহাতে আপনার আদর দেখিতে পাই না। নতুবা এমন করিয়া আজ রসভঙ্গ করিতেন না।

    গিরিশবাবু॥ বলি জ্ঞান আর প্রেমের পৃথক্‌ত্বটা কোথায় আমায় বুঝিয়ে দে দেখি। এই দেখ্ না, তোর গুরু (স্বামীজী) যেমন পণ্ডিত তেমনি প্রেমিক। তোর বেদও বলছে না ‘সৎ-চিৎ-আনন্দ’ তিনটে একই জিনিষ? এই দেখ্ না, স্বামীজী অত পাণ্ডিত্য প্রকাশ করছিলেন, কিন্তু যাই জগতের দুঃখের কথা শোনা ও মনে পড়া, অমনি জীবের দুঃখে কাঁদতে লাগলেন। জ্ঞান আর প্রেমে যদি বেদবেদান্ত বিভিন্নতা প্রমাণ করে থাকেন তো অমন বেদ-বেদান্ত আমার মাথায় থাকুন।

    শিষ্য নির্বাক হইয়া ভাবিতে লাগিল, সত্যই তো গিরিশবাবু সিদ্ধান্তগুলি বেদের অবিরোধী।

    ইতোমধ্যে স্বামীজী আবার ফিরিয়া আসিলেন এবং শিষ্যকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, ‘কি রে তোদের কি কথা হচ্ছিল?’

    শিষ্য॥ এই সব বেদের কথাই হইতেছিল। ইনি এ-সকল গ্রন্থ পড়েন নাই, কিন্তু সিদ্ধান্তগুলি বেশ ঠিক ঠিক ধরিতে পারিয়াছেন—বড়ই আশ্চর্যের বিষয়।

    স্বামীজী॥ গুরুভক্তি থাকলে সব সিদ্ধান্ত প্রত্যক্ষ হয়—পড়বার শুনবার দরকার হয় না। তবে এরূপ ভক্তি ও বিশ্বাস জগতে দুর্লভ। ওর (গিরিশবাবু) মত যাঁদের ভক্তি বিশ্বাস, তাঁদের শাস্ত্র পড়বার দরকার নেই। কিন্তু ওকে (গিরিশবাবুকে) imitate (অনুকরণ) করতে গেলে অন্যের সর্বনাশ উপস্থিত হবে। ওর কথা শুনে যাবি, কিন্তু কখনও ওর দেখাদেখি কাজ করতে যাবি না।

    শিষ্য॥ আজ্ঞে হাঁ।

    স্বামীজী॥ আজ্ঞে হাঁ নয়। যা বলি সে-সব কথাগুলি বুঝে নিবি, মূর্খের মত সব কথায় কেবল সায় দিয়ে যাবি না। আমি বললেও বিশ্বাস করবিনি। বুঝে তবে নিবি। আমাকে ঠাকুর তাঁর কথা সব বুঝে নিতে সর্বদা বলতেন। সদ্‌যুক্তি, তর্ক ও শাস্ত্রে যা বলেছে, এই সব নিয়ে পথে চলবি। বিচার করতে করতে বুদ্ধি পরিষ্কার হয়ে যাবে, তবে তাইতে ব্রহ্ম reflected (প্রতিফলিত) হবেন। বুঝলি?

    শিষ্য॥ হাঁ। কিন্তু নানা লোকের নানা কথায় মাথা ঠিক থাকে না। এই একজন (গিরিশবাবু) বলিলেন, কি হবে ও-সব পড়ে? আবার এই আপনি বলিতেছেন বিচার করিতে। এখন করি কি?

    স্বামীজী॥ আমাদের উভয়ের কথাই সত্যি। তবে দুই standpoint (দিক্‌) থেকে আমাদের দু- জনের কথাগুলি বলা হচ্ছে—এই পর্যন্ত। একটা অবস্থা আছে, যেখানে যুক্তি তর্ক সব চুপ হয়ে যায় ‘মূকাস্বাদনবৎ’। আর একটা অবস্থা আছে, যাতে বেদাদি শাস্ত্রগ্রন্থের আলোচনা পঠন-পাঠন করতে করতে সত্যবস্তু প্রত্যক্ষ হয়। তোকে এসব পড়ে শুনে যেতে হবে, তবে তোর সত্য প্রত্যক্ষ হবে। বুঝলি?

    নির্বোধ শিষ্য স্বামীজীর ঐরূপ আদেশলাভে গিরিশবাবুর হার হইল মনে করিয়া গিরিশবাবুর দিকে চাহিয়া বলিতে লাগিল, ‘মহাশয়, শুনিলেন তো স্বামীজী আমায় বেদবেদান্ত পড়িতে ও বিচার করিতেই বলিলেন।’

    গিরিশবাবু॥ তা তুই করে যা। স্বামীজীর আশীর্বাদে তোর তাই করেই সব ঠিক হবে।

    স্বামী সদানন্দ এই সময়ে সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। স্বামীজী তাঁহাকে দেখিয়াই বলিলেন, ‘ওরে, এই জি. সি-র মুখে দেশের দুর্দশার কথা শুনে প্রাণটা আঁকুপাঁকু করছে। দেশের জন্য কিছু করতে পারিস?’

    সদানন্দ॥ মহারাজ! যো হুকুম—বান্দা তৈয়ার হ্যায়।

    স্বামীজী॥ প্রথমে ছোটখাট scale-এ (হারে) একটা relief centre (সেবাশ্রম) খোল, যাতে গরীব-দুঃখীরা সব সাহায্য পাবে, রোগীদের সেবা করা হবে, যাদের কেউ দেখবার নেই—এমন অসহায় লোকদের জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে সেবা করা হবে। বুঝলি?

    সদানন্দ॥ যো হুকুম মহারাজ!

    স্বামীজী॥ জীবসেবার চেয়ে আর ধর্ম নেই। সেবাধর্মের ঠিক ঠিক অনুষ্ঠান করতে পারলে অতি সহজেই সংসারবন্ধন কেটে যায়—‘মুক্তিঃ করফলায়তে।’

    এইবার গিরিশবাবুকে সম্বোধন করিয়া স্বামীজী বলিলেনঃ

    দেখ গিরিশবাবু, মনে হয়—এই জগতের দুঃখ দূর করতে আমায় যদি হাজারও জন্ম নিতে হয়, তাও নেব। তাতে যদি কারও এতটুকু দুঃখ দূর হয় তো তা করব। মনে হয়, খালি নিজের মুক্তি নিয়ে কি হবে? সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐ পথে যেতে হবে। কেন বল দেখি এমন ভাব ওঠে?

    গিরিশবাবু॥ তা না হলে আর তিনি (ঠাকুর) তোমায় সকলের চেয়ে বড় আধার বলতেন!

    এই বলিয়া গিরিশবাবু কার্যান্তরে যাইবেন বলিয়া বিদায় লইলেন।

    --------
    ঐ স্বামী সদানন্দ মিশনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
  • অপারগ | 222.68.41.83 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৫৪515257
  • এই "বললেও ছিল, না বললেও ছিল" যুক্তিটা বুঝতে পারি না । সিদ্ধান্ত একটা হয়ে গেছে এবং যাই এভিডেন্স আসুক সেটা পাল্টাবে না এটা বুঝলাম। কিন্তু সিদ্ধান্তটা হল কি করে সেটা ক্লিয়ার নয় ।
  • Abhyu | 107.81.102.141 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:০০515259
  • অতীতের স্মৃতি বলে স্বামী শ্রদ্ধানন্দের লেখা একটা বই আছে উদ্বোধনের - স্বামী বিরজানন্দ ও সমসাময়িক স্মৃতিকথা - মানে বিবেকানন্দের পরের জেনারেশন। এই বইটার সফট কপি কেউ পেলে আমাকে দিও। বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ (তৃতীয় বা চতুর্থ খণ্ড) আর এইটা বেশ পরিপূরক বই। মিশনের সেবাকর্ম কিভাবে শুরু হল ব্যাপ্তি লাভ করল সেটা জানার জন্যে আবশ্যিক।
  • অচ্ছুৎ | 198.155.168.109 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:১০515260
  • আরেকবার উঁকি দিলাম। রানিমার ভাই কি এখনো বেকার? মেজাজ খাপ্পা।
  • ইনফো | 45.0.127.52 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ২৩:১৯515261
  • তবে স্বামীজী, আমাদের মেয়েদের কোনরূপ সমস্যা আদৌ আছে কি—যাহার মীমাংসা প্রয়োজন?’

    ‘অবশ্যই আছে—অনেক সমস্যা আছে—সমস্যা আছে—সমস্যাগুলিও বড় গুরুতর। কিন্তু এমন একটিও সমস্যা নাই, 'শিক্ষা' এই মন্ত্রবলে যাহার সমাধান না হইতে পারে। প্রকৃত শিক্ষার কি সংজ্ঞা দিবেন?’

    স্বামীজী ঈষৎ হাসিয়া বললেন—‘আমি কখন কোন-কিছুর সংজ্ঞা নির্দেশ করি না। তথাপি এইভাবে বর্ণনা করা যাইতে পারে যে, শিক্ষা বলিতে কতকগুলি শব্দ শেখা নহে; আমাদের বৃত্তিগুলির-শক্তিসমূহের বিকাশকেই শিক্ষা বলা যাইতে পারে; অথবা বলা যাইতে পারে—শিক্ষা বলিতে ব্যক্তিকে এমন ভাবে গঠিত করা, যাহাতে তাহার ইচ্ছা সদ্বিষয়ে ধাবিত হয় এবং সফল হয়। এইভাবে শিক্ষিতা হইলে ভারতের কল্যাণসাধনে সমর্থ নির্ভীক মহীয়সী নারীর অভ্যুদয় হইবে। তাঁহার সঙ্ঘমিত্তা, লীলা, অহল্যাবাঈ ও মীরাবাঈ-এর পদাঙ্ক-অনুসরণে সমর্থ হইবেন, তাঁহারা পবিত্র স্বার্থশূন্য বীর হইবেন। ভগবানের পাদপদ্মস্পর্শে যে বীর্য লাভ হয়, তাঁহারা সেই বীর্য লাভ করিবেন, সুতরাং তাঁহারা বীরপ্রসবিনী হইবার যোগ্যা হইবেন।’

    ‘তাহা হইলে স্বামীজী, শিক্ষার ভিতর ধর্মশিক্ষাও কিছু থাকা উচিত, আপনি মনে করেন।’

    স্বামীজী গম্ভীরভাবে বলিলেন, ‘আমি ধর্মকে শিক্ষার ভিতরকার সার জিনিস বলিয়া মনে করি। এটি কিন্তু মনে রাখিবেন যে, আমি আমার নিজের বা অপর কাহারও ধর্মসম্বন্ধে মতামতকে ‘ধর্ম’ বলিতেছি না। আমার বিবেচনায় অন্যান্য বিষয়ে যেমন, এ বিষয়েও তেমনি শিক্ষয়িত্রী ছাত্রীর ভাব ও ধারণানুযায়ী শিক্ষা দিতে আরম্ভ করিবেন এবং তাহাকে উন্নত করিবার এমন সহজ পথ দেখাইয়া দিবেন, যাহাতে তাহাকে খুব কম বাধা পাইতে হয়।’

    ‘কিন্তু ধর্মের দৃষ্টিতে যাঁহারা ব্রহ্মচর্কে বাড়াইয়া জননী ও সহধর্মিণীর সম্বন্ধ ত্যাগ করেন, এবং ব্রহ্মচারিণীদিগকে উচ্চাসন দেন, তাঁহারা নারীর উন্নতিতে নিশ্চয় স্পষ্ট আঘাত করিয়াছেন।

    স্বামীজী বলিলেন—‘আপনার স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, ধর্ম যদি নারীর পক্ষে ব্রহ্মচর্যকে উচ্চাসন দিয়া থাকে, পুরুষজাতির পক্ষেও ঠিক তাহাই করিয়াছে। আরও আপনার প্রশ্ন শুনিয়া বোধ হইতেছে, এ বিষয়ে আপনার নিজের মনেও যেন একটু কি গোলমাল আছে। হিন্দুধর্ম মানবাত্মার পক্ষে একটি-কেবল একটি কর্তব্য নির্দেশ করিয়া থাকেন,—অনিত্যের মধ্যে নিত্যবস্তু সাক্ষাৎ করিবার চেষ্টা। কিন্তু ইহা কিরূপে সাধিত হইতে পারে, তাহার একমাত্র পন্থা নির্দেশ করিতে কেহই সাহসী হন না। বিবাহ বা ব্রহ্মচর্য, ভাল বা মন্দ, বিদ্যা বা মূর্খতা-যে-কোন বিষয়ে ঐ চরম লক্ষে লইয়া যাইবার সহায়তা করে, তাহারই সার্থকতা আছে। এই বিষয়ে হিন্দুধর্মের সহিত বৌদ্ধধর্মের বিশেষ প্রভেদ বর্তমান। কারণ বৌদ্ধধর্মের প্রধান উপদেশ—বহির্জগতের অনিত্যতা উপলব্ধি, আর মোটামুটি বলিতে গেলে ঐ উপলব্ধি একটিমাত্র উপায়েই সাধিত হইতে পারে। মহাভারতের সেই অল্পবয়স্ক যোগীর কথা আপনার কি মনে পড়ে? ইনি ক্রোধজাত তীব্র ইচ্ছাশক্তিবলে এক কাক ও বকের দেহ ভস্ম করিয়া নিজ যোগবিভূতিতে স্পর্ধান্বিত হইয়াছিলেন, তারপর নগরে গিয়া প্রথমে রুগ্ন পতির শুশ্রুষাকারিণী এক নারীর সহিত, পরে ধর্মব্যাধের সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ হইল—যাঁহারা উভয়েই কর্তব্যনিষ্ঠারূপ সাধারণ মার্গে থাকিয়া তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন?'

    'তাহা হইলে আপনি এদেশের নারীগণকে কি বলিতে চান?'

    ‘কেন, আমি পুরুষগণকে যাহা বলিয়া থাকি, নারীগণকে ঠিক তাহাই বলিব। ভারত এবং ভারতীয় ধর্মে বিশ্বাস কর, তেজস্বিনী হও, আশায় বুক বাঁধো, ভারতে জন্ম বলিয়া লজ্জিত না হইয়া উহাতে গৌরব অনুভব কর, আর স্মরণ রাখিও, আমাদের অপরাপর জাতির নিকট হইতে কিছু লইতে হইবে বটে, কিন্তু জগতের অন্যান্য জাতি অপেক্ষা আমাদের অপরকে দিবার জিনিস সহস্রগুণ বেশী আছে।’

    http://baniorachana.nltr.org/node.php?pageno=474&khanda=9
  • S | 108.127.180.11 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০৯515262
  • গত একদিনের পোস্ট পড়ে জানতে পারছিঃ
    ১) মিশনের লোকেরা তাঁরকাটা হতে পারে - মিশনিয়রা তাই দাবী করেছেন, অমিশনীয়রা অনেকে এর পোতিবাদ করেছেন।
    ২) DSLR একটি অত্যন্ত ইসে জিনিস। থাকলে ধর্মসন্কট হতে পারে। দাম $৪৫,০০০। মার্কো পোলো যখন ভারত ভ্রমনে এসেছিলেন তখন পার্ক স্ট্রিটে ব্যবহার করেছিলেন।
    ৩) অভ্যু বাবু ডেটা মাইনিঙ্গ এক্সপার্ট। উনি এখন "মা কত সালে" নামক টই নিয়ে কাজ করছেন।
    ৪) পৃথিবীতে বেশ কয়েক ধরনের নাস্তিক আছেন। এখনো গণনা চলছে।
  • Abhyu | 107.81.102.141 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৬515263
  • খুবই গুরুত্বপূর্ণ সামারি, তবে চন্দ্রবিন্দুটা ভুঁল জায়গায় পড়িয়াছে। তারকাঁটা হইত।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৩515264
  • আমাদের এলাকায় পেরেককে কথ্যভাষায় বলে তারকাটা। কেন যে বলে কেজানে!
  • pinaki | 90.254.154.67 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৬515265
  • ঐ 'ট্রান্স' আর সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন নিয়ে একটু আলোচনা হলে ভালো হত। যা বোঝা যাচ্ছে, একটা হল তূরীয় অবস্থা। 'ভর' হওয়া টাইপের। আমাদের ছোটোবেলায় পাড়ায় খেজুর পাড়তে আসতো, মানে একটা রিচুয়াল ছিল, প্রথম গাছে খেজুর ধরার পর। কিছু লোক আসতো, পুজো-টুজো হত। তারপর যে গাছে উঠেছিল সে নেমে আসার পর খানিকক্ষণ গাছের চারদিকে ঘুরে ঘুরে মন্ত্র পড়ত। সবার শেষে শুরু হত উন্মাদের মত মাথা ঝাঁকানো। সবাই বলত ভর হয়েছে। তো এটা একটা ধরণ। আমার ধারণা এটা একটা 'হাই' স্টেট, এটা হলে লোকের শরীরে মনে পুলকই জাগে। আর অন্য আর একটা ধরণ হল নিজের শরীরকে প্রায় হাইবারনেশনে নিয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাস কমে যাওয়া, প্রায় অনুভূতিহীন হয়ে যাওয়া - ইত্যাদি। রিসেন্টলি ফেবুতে দুটো ভিডিও দেখেছি। একটা দেখাচ্ছিল মাছের ভিডিও। একটা মাছকে ফ্রীজার থেকে বের করে জলে ছাড়ল, কিছুক্ষণ পরে মাছটা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হল। এটা সাসপেন্ডেড অ্যানিমেশন বলে দেখানো হচ্ছিল। অন্যটা হল একজন যোগী। তিনি একটা রিয়েলিটি শোতে সবার সামনে একটা ছোট্টো বাক্সের মধ্যে ঢুকলেন এবং বন্ধ অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ থাকলেন - যেটা আপাতঃভাবে সাধারণ লোকের পক্ষে করা অসম্ভব। তো সেখানেও ব্যাখ্যাটা ছিল যে তিনি মেডিটেশনের মাধ্যমে নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসকে, হার্টবীটকে এতটাই কমিয়ে ফেলতে পারছেন যে সেকারণেই তাঁর পক্ষে এটা করা সম্ভব হচ্ছে।

    এবার আমার প্রশ্ন হল, এদুটো ধরণের উপলব্ধিকেই কি 'ঈশ্বরলাভ' বা 'সিদ্ধিলাভ' বা 'বোধিলাভ' - এরকম কিছু বলে ইন্টারচেঞ্জেবলি ব্যবহার করা হয়? এদুটৈ কি কুলকুন্ডলিনি জাগ্রত হওয়ার সিম্পটম? ইসলাম এবং অন্য ধর্মে এই ব্যাপারগুলো ঠিক কী ফর্মে আছে? সুফি, বাউলদের মধ্যে কেমনভাবে আছে? এমন কি কোনো ধারা আছে, যেখানে ঈশ্বর বা অলৌকিকতা বা ধর্ম থেকে বিযুক্ত করে এই অনুভূতিলাভের চেষ্টা করা হয়েছে? কেউ জানলে একটু ভালো করে লিখুন না? মেডিক্যাল (বা ফিজিওলজিকাল) দিকটাও লিখুন, স্পিরিচুয়াল অ্যাঙ্গেলটাও লিখুন। সোমনাথের (তাতিন) এসব নিয়ে ভালো ফান্ডা আছে। ও-ও লিখলে ভালো হয়।
  • sosen | 184.64.4.97 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৯515266
  • পিনাকীদার লেখায় ক্ষুদ্র কারেকশন- রাজযোগের তূরীয় অবস্থা ভর নয়। ওটি এনলাইটমেন্টের শেষ স্তর (তৃতীয়)।
  • sosen | 184.64.4.97 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫০515267
  • enlightenment*
  • Tim | 108.228.61.183 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪০515268
  • দরবেশদেরও ট্রান্স হয় তো, নাচতে নাচতে বনবন করে ঘুরতে থাকে। সেইসব লোকে টিকিস কেটে দ্যাখে, হেব্বি দাম।
  • kc | 204.126.37.130 | ১১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:০৭515270
  • এই ট্রান্স ফ্রান্স বেশ ফিশি জিনিস। একটা অ্যানেকডোট বলি। ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে এক সাধু আসতেন মাঝেসাঝে। নিজেকে অভেদানন্দের ডাইরেক্ট শিষ্য বলতেন। কোনওরকম অর্গানাজেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কদিন থাকতেন, তারপর চলে যেতেন। ব্যাপক মজার মানুষ ছিলেন। তো ইনি শবধ্যান বলে একটা জিনিষ করতেন মাটিতে চিত হয়ে। বলতেন কিছুক্ষণ পরে নাকি নিজের শরীর দেখতে পেতেন। তারপর ভেসে ভেসে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়িয়ে আবার দেহের উপর এসে শুয়ে পড়তেন। কিছুক্ষণ পরে ধ্যান ভেঙ্গে যেত। আমি বিশ্বাস নাকরায় একবার ওনার ধ্যান কালে পাশের ঘরে এমনকি বাগানে কি ঘটেছে বলে দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন এসব পরীক্ষা না করাই ভাল। এতে মানুষের উপকার টুপকার হয়না হ্যানত্যান। সেই থেকেই আমি এদের ঘাঁটাইনা।

    বিবেকানন্দের বা রামকৃষ্ণের নির্মোহের ব্যাপারে আরেকটা ভাল বই হল বিনয় সরকারের বৈঠকে। মিশনের সর্বপ্রকার চাপ ছাপ গন্ধ বর্জিত বেশ ভাল বই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন