এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ-একটি নির্মোহ ব

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৪৬০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:১৩515038
  • এক পিসিমা কইতেন, "বাড়ীতে পুলিশ পড়েছে, ডাকাতদের খবর দে।"
    ঃ-)
  • Tim | 108.228.61.183 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৩515039
  • এটা সিনেমা হলে দেবানন্দ সন্ন্যাসী-হিরো হতো। মদন পুরি বিজনেসম্যান/ মাফিয়া-গুন্ডাসর্দার
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫২515040
  • খেল জমে যেত। ঃ-)
  • dc | 132.164.53.15 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৩৭515041
  • তাহলে তো এই গানটাও গাওয়া হতো, "এক ম্যয় অওর এক তু দোনো মিলে ইস তারাহ"
  • বাহ্‌ | 132.177.36.71 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪১515042
  • দিদি আবার নিজের ফর্মে ফিরেছেন। দেখে ভালো লাগল।

    অবিশ্যি ফিরতেনই, সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। :)
  • kc | 198.71.243.142 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:০৮515043
  • এহে, সেদি, আফনার ইনফরমেশন গলত আছে। মাছমাংস খাওয়া, রঙিন শাড়ি পড়া বিধবা নারী এবং দীক্ষিত, এরকম মানুষ আমার আত্মীয়দের মধ্যেই আছেন। গত মাসে ঠিক এরকমই আরও দুজন দীক্ষা নিলেন। বলরাম মন্দিরে দীক্ষা হল। একমাসও হয়নি।
  • Abhyu | 107.81.102.141 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৩২515044
  • আচ্ছা কেসি, ঠাকুর দেহ রাখার পর মা কি মাছ মাংস খেতেন (প্রসাদ করে দিলেন সেটা আলাদা)? এরকম পড়েছ কোথাও?
  • পর্যবেক্ষণ | 186.10.104.240 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৪২515045
  • রামকৃষ্ণ

    ১. ভক্তিরসের প্রাবল্য ছিল। simplistic faith, whole hearted devotion, এসবই মেইন থিম। অবশ্য এতে সেরকম মৌলিকত্ব নেই। পৃথিবীর নানা দেশে নানা সময়ে এরকম passionate, devotion centered ধর্ম জোয়ার এসেছে। বাংলায় চৈতন্যদেবই এই পথের অন্যতম পথিকৃত।

    ২. ওনার অ্যাপ্রোচ ছিল 'বিগ টেন্ট' প্রিচারের অ্যাপ্রোচ। ডিভোশন, ফেইথ, হরিনাম সংকীর্তন করুন, আর আপনিও এ ধর্মসভার অংশ হয়ে যাবেন। অবশ্য ওনার চারপাশের লোকেরা হয় মধ্যবিত্ত, নয় কিছু উচ্চবিত্ত বর্ন হিন্দু, কিন্তু সে ইনার সার্কেলের ব্যাপার। এই 'যত মত, তত পথ' এপ্রোচটা কিন্তু আল্টিমেট যত মতে যায় নি। পুরাতন সনাতন মত, দক্ষিনেশ্বরের কালিউপাসনাতেই গিয়ে ঠেকেছে।

    ৩. যুক্তির পরিবর্তে 'প্যারাবল' বা ছোটো হিতোপদেশ ধাঁচের গল্পে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা বা জাস্টিফাই করতেন। নিউ টেস্টামেন্টে যীশুর মুখে বলা এইরকম অনেক ছোটোছোট গল্প আছে। কিন্তু 'কথামৃতের' মতো এত প্যারাবল পৃথিবীর আর কনো ধর্মগ্রন্থে আছে বলে জানি না।

    ঊনিশ শতকের ধর্ম ও জগত সম্বন্ধে যত উথালপাথাল (ইয়ং বেঙ্গল ও ব্রাহ্মসমাজ), যেটার বড় চ্যালেঞ্জ তিনি চমৎকারভাবে পাশ কাটিয়ে গেছেন। জাতিভেদ কীভাবে যাবে এই প্রশ্নে উত্তর দিয়েছেন এভাবে 'ভক্তের জাত থাকে না। চৈতন্য আচন্ডালকে কোল দিয়েছেন। হরিনাম করলেই সবাই শুদ্ধ হয়।'

    কারণ ওনার কোনো স্ক্রিপচার্ড বেইজড শাস্ত্রনিষ্ঠ আচার শুদ্ধ অ্যাপ্রোচ ছিল না, আধুনিক হবার দায় ছিল না। মেথোডলজি, লজিক্যাল অ্যাপ্রোচ, যুক্তি তর্কে, তথ্য দিয়ে কোনো অবস্থানকে পরাভূত করা, নিজের অবস্থানকে প্রতিষ্ঠা করা, এসব করতে যান নি বললেই চলে।

    তবে মন্দিরের কাজে আচার নিষ্ঠ ছিলেন, বলেই মনে হয়। টিকটিকি হাঁচি কাশি মানতেন ('ওসব মানতে হয়')। আবার 'বার্নিশ করা জুতোও' পরতেন।

    এবং এটা তাকে তার সমসাময়িকদের কাছে জনপ্রিয় করেছে। বিশেষ করে যাঁরা সদ্য পাওয়া পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ব্রাহ্মসমাজ দীক্ষিত হয়েও 'মনের খিদে' মেটাতে পারছিলেন না। এদের অনেকেই ফর্মাল হিন্দুধর্মে রিগ্রেস করতে শুরু করেছিলেন (কেশব, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, নরেন্দ্রনাথ মিত্র)।

    ৪. (যদি ফেইক করে না থাকেন )খুব সম্ভবত ক্যাটাটোনিয়া/ক্যাটালেপ্সি ধাঁচের কিছু ছিল। মাঝেই মাঝেই ফিজিক্যালি 'ফ্রিজ' হয়ে যেতেন। ভক্তরা যাকে বলতেন 'সমাধি' কিন্তু এটা ভারতীয় সাধুদের মধ্যে বহুপুরাতন অনুষঙ্গ। ধ্যানমগ্ন অবস্থায় তূরীয় অবস্থায় প্রবেশ, যা দর্শনে আবার ভক্তদের মধ্যে পুনরায় ভক্তিস্রোত সঞ্চার করবে।

    ৫. 'সমাধির' মতোই মাঝেই মাঝেই রামকৃষ্ণএর নাচ ও গান 'পেয়ে' যেত। এগেইন এটা কোনো মৌলিক ব্যাপার নয়। এই ফিজিক্যাল exuberance, খোল কর্তাল নিবে বোষ্টমদের মধ্যে দুই শতাব্দী ধরেই্ প্রকট। তবেই । তবে ভাটপড়ার কোনো বিদ্যাবাগীশ, তর্কালংকার 'ভাব' এর উদয় হলেই একপাক নেচে গান গেয়ে উঠছেন ভাবা যায় না। এইখানেই আবারও শাস্ত্রাচারী বামুনদের থেকে রামকৃষ্ণ আলাদা। সহজিয়া, বাউল, বোষ্টম ধাঁচ।

    বিবেকানন্দ:

    ১. উনি গুরুর মতো মেথড শুন্য, সহজিয়া রাস্তায় হাঁটেন নি। চরিত্র একেবারেই অন্যরকম ছিল।

    ২. বিবেকানন্দ যদি ভুল বলে না থাকি। মিশনারি, বিশেষ করে ক্যাথোলিক জেসুইট (ষোড়শ শতাব্দীতে, প্রটেস্টান্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্প্যানিশ ইগনাশিয়াস লয়োলা প্রতিষ্ঠিত সোসাইট অভ জিসাস) দের দেখে বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। জেসুইটরা মঠবদ্ধ সেলিবেট জীবন যাপন করলেও তারা নিজেদের ক্যাথোলিক চার্চের অগ্রগামী সৈনিক বলে মনে করেন। স্কুল, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, কলোনিগুলোকে ধর্মান্তরণ করা, নতুন জেনারেশনে ক্যাথোলিক চেতনা প্রবিষ্ট করানো এদের জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।

    ৩দক্ষিনেশ্বরের আলাভোলা আধা-গৃহী-আধা-সন্যাসীটির মতো জীবনযাপন করে এরকম হিন্দু জেসুইট সোসাইটি বানানো যাবে না এটা বিবেকানন্দ খুব ভালো বুঝেছিলেন। এবং সেইজন্যই খুব রিগোরাস, মেথোডলজিক্যাল উপায় একটা সেলিবেট, হায়ারার্কিক্যাল রিলিজিয়াস অর্ডার বানিয়েছিলেন। প্রায় সোয়াশো বছর টিঁকে আছে এই সংস্থা। যারা আইডল/আইকন আবার রামকৃষ্ণ। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়। রামকৃষ্ণ আর রামকৃষ্ণ মিশন একেবারেই ভিন্ন সত্বা। কোনোভাবেই রামকৃষ্ণ 'দর্শনে'র সাথে এই ইউরোপিয়ান ধাঁচের কিন্তু প্রাচ্যদেশীয় অর্ডারের দূরতম মিল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

    ৪. বিবেকানন্দ বেশ প্রিমিটিভ ন্যাশনালিস্ট ছিলেন, অবশ্য এটা যুগের ধর্ম (১৮৯০ এর দশক)। খুবই তালগোল পাকানো দর্শন। আরেকটু বেশিদিন বাঁচলে, লেখাপড়া-চিন্তাভাবনা করলে হয়তো মত পাল্টাতেন। খুবই জটিল ব্যাপার অনেক লিখতে হবে। তবে বলে রাখি এই লেইট নাইন্টিন্থ সেঞ্চুরি মিলিট্যান্ট এথনো সেন্ট্রিক ন্যাশনালিজম, বিশেষ করে এর বংকিম, জ্ঞানেন্দ্রনাথ, গিরিশচন্দ্র লালিত ন্যাশনালিজম ব্যাপারটাও রামকৃষ্ণের কাছে বেশ এলিয়েন একটা ব্যাপার ছিল। অবশ্য উনিতো আর শিকাগো যান নি, আর সাদা চামড়ার লোকের আছে ভারতীয় সমাজের ব্যাখ্যাকার, অ্যাপোলজিস্টের দুরুহ ভুমিকায় পালন করতে হয় নি।
  • kc | 204.126.37.130 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১২:০৭515046
  • অভ্যু, সেরকম তো পড়িনি। অবশ্য না পড়াইতো বেশী।

    তবে একটা মনে পড়ছে, একবার একবার কোবরেজ দুধে রসুন দিয়ে খেতে বলেছিলেন বাতের ব্যাথার জন্য, সারদাদেবী রসুন খেতে অস্বীকার করেছিলেন।

    তাছাড়াও স্বামি গম্ভীরানন্দের বইটাতে সারদা দেবীর ডায়েটের বিবরণ আছে। তাতে মাছ মাংসের কথা মনে পড়ছেনা।
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৩৯515048
  • রঙ্গীন কাপড় -মাছ-মাংস এসব নিয়ে আপত্তি কোনকালে দেখিনি । এইখানেই রাম্ক্রিশ্নের অবস্থানের সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনের অবস্থানের বিশাল তফাত । রামকৃষ্ণ মিশন পরমহংসের মত পরমহংসের সেইটুকুই নিয়েছে যা দিয়ে একটা আন্তর্জাতিক ধর্মীয় এনজিও চলে । এটাকে শ্রী পরমহংসের নিয়তি ও বলা যায় :))

    রামকৃষ্ণ নিজে অসম্ভব লক্ষণ বিচারী ছিলেন । চোখে অন্ধ , ট্যারা চোখ , বিড়াল চোখ , থ্যাবরা মুখ , গোট গোট আঙ্গুল , উন্পান্জুরে এসব লিস্ট শেষ হবেনা । এসব নিয়ে আমরা বিস্তর হাসি ঠাট্টা করেছি এককালে। এসব শারীরিক বৈশিষ্ট থাকলে রামকৃষ্ণ সেখান থেকে উঠে যেতেন বা অপয়া বলে মানতেন , শিষ্য দের ও মানতে বলতেন । ওনার "দেব্শরীর" সম্বন্ধীয় ধারণা আসলে ক্যালেন্ডারে আর পট এ দেব-দেবীর ছবি দেখে । যেখানে বিস্তৃত বক্ষপট -আয়ত চক্ষু এভাবে আঁকা হয় । কাজেই উনি ঐরকম চেহারা হলে দেবশরীর ভাবতেন ।

    মেয়েদের লজ্জা খুব জরুরি এই ছিল ওনার মত । কেশবের মেয়ে কে গান শেখানো বন্ধ করতে বলেছেন কারণ পরপুরুষের সামনে সালে মেয়েদের লজ্জা ভেঙ্গে যায় ।

    মাছ মাংস খাওয়া নিয়ে আপত্তি ছিলনা সরাসরি কিন্তু এগুলো রজগুনের খাবার বলে মনে করতেন । ওনার আবার রজগুনি বিশ্লেষণ টা উত্তর ভারতীয় ব্রাহ্মণ দের মত । যেমন ফাগুর দোকানের কচুরি হলো রজগুনি । কেন শুনি ? মহারাজ কে অনেক খোন্চাবার পর আন্দাজে বলেছিলেন কলাই এর ডাল থাকে বলে বোধায় :)

    এখন ঘটনা হলো , মিশন এগুলো একটাও মানে না । মিশনে বীফ হয়না কারণ এটি একটি প্রচলিত অর্থে হিন্দু সংস্থা । কিন্তু মুরগি-পাঁঠা দিব্য চলে ।আমরা বাইরে বীফ খেতাম , মহারাজ কে গল্প করেছি । কিস্যু বলেন নি । বিধবা শিষ্য প্রচুর আছেন । তাঁদের আলাদা কোনো ট্রিটমেন্ট করা হয়না । মন্ত্র আলাদা কিনা আমি জানিনে । ভক্ত দেখলে চিরকাল পালাই , তবে বিকেলে মন্দির দর্শনের পর ভক্তেরা মহারাজ দের সঙ্গে গল্প করছেন , সেখানে মেয়েরাও আছেন এ হরদম দেখেছি । অবশ্য পায়রার ছানা মানে ব্রহ্মচারী রা এলাও নয় । ওরা একটু দুরে থাকে মেয়েদের থাকে । মিশনের ছেলেরা হুলিয়ে স্মোক করে , মহারাজ দের সামনে বা সঙ্গেও করে । অস্বাভাবিক কিছু নয় । তবে প্রকাশ্যে সিগারেট ধরানো বারণ। সারদায় মেয়েদের স্মোকিং এলাও কিনা আমি জানিনা। মোদ্দা কথা , রাম্ক্রিশ্নের নিজের সতের গুষ্টি আচার -বিচারের সঙ্গে মিশনের নরমাল কার্যাবলীর ব্যবহারিক যোগ নেই । সেসব আবার মঠ সেন্টারে পাওয়া যাবে । ওই যে ছেলেটা এসছিল না ওর পায়ের পাতা দেখেছ ??? উফ হাসতে হাসতে পেট ধরে যায় :))
  • avi | 37.63.179.83 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৪৯515049
  • রামকৃষ্ণের যা যা হত বলে শোনা যায়, সেগুলো নিয়ে ডিটেল জানতে আগ্রহী। অবজেক্টিভ লেখা, জাস্ট বিবরণধর্মী। এমনিতে দেখলে ওনার thought insertion হয়তো হত। Delusion of control, passivity, auditory hallucination, visual hallucination, catatonic symptoms যেমন mutism, stupor, catalepsy/posturing এগুলোও ছিল বলে মনে হয়। এবং স্কিৎসোফ্রেনিয়া ছিল ধরে নিলে মাঝে মাঝে ব্যবহারিক অসংলগ্নতা ব্যাখ্যা করাও হয়তো যায়। যে বয়স থেকে ওনার এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যেতে শুরু করে, সেটাও এর সাথে যায়। যাকে বলে ওভার রেলিজিয়াস প্রি-অকুপেশন, সেটাও স্কিৎজের একটা প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য।
    কিন্তু যেটা যায় না, সেটা ওনার চিন্তাভাবনার পারম্পর্য ও শৃঙ্খলা। অতদিনের স্কিৎজ তুলনামূলকভাবে কম কগনিটিভ রিজার্ভের কোনো মানুষকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে সাধারণত। কিন্তু এখানে কগনিটিভ ডিক্লাইন অনেক কম। এই জায়গাটায় মনে হয় ওনার সিম্পটম নিয়ে বেশি জানলে ভালো হয়। যেসব জায়গায় এরকম মতামত পেয়েছি যে ওনার মানসিক রোগ ছিল, এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পাই নি, এবং উল্টোদিকের পয়েন্টগুলো দুপক্ষই কিছুটা করে এড়িয়ে গেছেন।
    যেমন ধরুন ভাবসমাধি ব্যাপারটা ভারতের সাধক পরম্পরার এক সাধারণ ঘটনা। একে মানসিক সমস্যা বলার আগে মাথায় রাখা ভালো এটা আদৌ "out of keeping with sociocultural background" বলা যাবে কি না। বস্তুত ঠিকঠাক ডেটা না পেলে কিছুটা আন্দাজ করে নিলে জাস্ট ট্রান্স বা পজেশন হত, এভাবেও দাঁড় করিয়ে দেওয়া সম্ভব। ট্রান্স, বিভিন্ন দেবদেবীর ভর হওয়ার সূত্রে যা আমাদের বেশিরভাগের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা, ভারতীয় সাধকের এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য।
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৫৫515050
  • আমার মনে হয়নি ওনার সিরিয়াস কোনো মানসিক রোগ ছিল বলে । হালকা নার্ভের অসুখ থাকতে পারে সে কথা আলাদা । যেসমস্ত জায়গায় পড়েছি ওনার মানসিক রোগ ছিল সেগুলো একটাও ভর্সাযোগ্য মডেল মনে হয়নি । উনি "ইশ্বর দেখেছিলেন " এটা ঠিক ভিজ্যুয়াল হ্যালুসিনেশন লেভেলে মনে হয়না । চাইলে অনেক কিছুই দেখা বা শোনা যায় যা "নেই " । সেত হ্যালু না :)
  • কিন্তু | 103.115.95.204 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:০৪515051
  • "ওনার "দেব্শরীর" সম্বন্ধীয় ধারণা আসলে ক্যালেন্ডারে আর পট এ দেব-দেবীর ছবি দেখে । যেখানে বিস্তৃত বক্ষপট -আয়ত চক্ষু এভাবে আঁকা হয় । কাজেই উনি ঐরকম চেহারা হলে দেবশরীর ভাবতেন ।"

    এর কোনো সাপোর্টিং এভিডেন্স আছে ? নাকি নাস্তিকের দৃষ্টি যুক্তির দায় থেকে মুক্ত ধরতে হবে ? হাত হালকা হলে সরল হয় - এটা কোন পট থেকে জানা যায় ?
  • avi | 37.63.179.83 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:০৯515052
  • সেটাই।
    আগে এই সিরিয়াস মানসিক রোগ আর হালকা নার্ভের সমস্যা বোঝাতে খুব সুন্দর দুটো শব্দ ব্যবহার হত, সাইকোসিস আর নিউরোসিস। রামকৃষ্ণের নিউরোসিস ছিল, এটাই বেশি সম্ভাব্য বলে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়। আরো একটা স্বপক্ষে পয়েন্ট থাকবে, ওনার যা পারসেপশনের সমস্যা হত, সবই ছিল সাময়িক, টানা চলত, এমন না। এই ধরনের মাইক্রোসাইকোটিক ঘটনা, ট্রান্স, ডিসোসিয়েটিভ স্পেল - এর মধ্যেই সব পাওয়া যাবে। এবং এটা সমধর্মা সাধকদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য, আজকেও।
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:১২515053
  • "হ্যালু না " বলতে বোল্লুম এক্সটার্নাল এজেন্ট দ্বারা ইম্পস্দ না বা কোনো কেমিকাল ইমব্যালান্স জাত না । জাস্ট সেল্ফ ইম্পস্দ। সেক্ষেত্রে আপনি যে ট্রান্স এর কথা বললেন সেটা মনে হয় খাটবে ।

    সিম্পটম বলতে পাচ্ছি :

    "এই কথা শুনিতে শুনিতে " / "শুনিবা মাত্র " / এইরূপ দেখিয়া

    ঠাকুরের দেহ স্থির ও নিস্পন্দ হইয়া গ্যালো । চক্ষের পলক পড়িতেছে না । নিঃশ্বাস বায়ু রুদ্ধ ।

    মানে এটা একটা টেম্পলেট আর কি ঘুরে ঘুরে আসছে । এর সঙ্গে কোথাও যোগ হচ্ছে "অমুক আগে কখনো সমাধি দেখে নাই , ঠাকুরের ভাব বুঝিতে ........."

    মোটামুটি অব্সার্ভেশন এই যে কোনো একটা ট্রিগার পয়েন্ট থাকত । শুখা শুখা ওরকম ছবি হতেন না । কোনো গানের লাইন বা কোনো চিন্তা কোনো ছবি । আরেকটা ট্রিগার হচ্ছে নাচ । "ভক্তসঙ্গে নৃত্য করিতে করিতে ঠাকুরের সমাধি অবস্থা " এ মানে আর না হলেও শখানেক বার ঘুরে ফিরে এসেছে ।

    এরকম হলে কেও একজন ধরে থাকতে হত দাঁড়ানো অবস্থায় । অবশ্য এটা নিয়ে , মানে এখান থেকেই আমার সন্দেহের শুরু হয় কারণ এক জায়গায় মনি না কাকে একটা বলছেন "ধরিস না , লোকে মাতাল ভাববে " :)) এটা স্কিত্য তে সম্ভব কি ? আপনার কি মনে হয় ?

    পুরোটাই সেল্ফ ইম্পস্দ । কন্ট্রোল ও নিজের হাতে । এবার কন্ট্রোল হারিয়ে কয়েকবার পরেও গ্যাছেন । সে তো জাড্য জনীয় সমস্যা ।

    সেল্ফ ইম্পস্দ ট্রান্স মনে হওয়ার আরও একটা কারণ ওনার পোস্ট ট্রান্স চীঅর্ফুল নেস । কোনো সেট্ব্যাক নেই । ফেস টা কেটে যেতেই ছোকরাদের সঙ্গে ফস্টিনস্টি । সেটার ব্যাখ্যা অবশ্য ভক্ত রা করেন "উছভুমি হইতে নামিবার নিমিত্ত পৌগন্ড ভাব " :)
  • avi | 37.63.179.83 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:২৪515054
  • নাহ, আপনার বর্ণিত ঘটনাগুলো বরং ওই ডিসোসিয়েটিভ ফেনোমেনার সাথেই যায়, স্কিৎজ না। এবং ওই টিপিক্যাল স্ট্রেস বা কিউ ইনডিউসড শুরু। আর স্থির সমাধি ব্যাপারটাও ডিসোসিয়েটিভ স্টুপর হিসেবে ভাবা যায়।
    রামকৃষ্ণের কথা ছেড়ে দেখলে, এই জাতীয় ঘটনা যেকোনো হাসপাতালে বেশ কমন একটা দৃশ্য। সাংসারিক রকমারি চাপে থাকা মহিলারা এর শিকার হন বেশি। মজার ব্যাপার, ভর ব্যাপারটাও তাঁদেরই বেশি হয়।
  • সে | 198.155.168.109 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:২৭515055
  • ভক্তরা কেউ চিকিৎসা করাবার চেষ্টা করেনি? নাকি জানত যে জেনে বুঝে অ্যাকটিং।
  • PM | 233.223.153.28 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:২৮515056
  • কি নিয়ে তর্ক চলছে ?

    রামকৃষ্ণ "পাগোল" ছিলেন না "সেয়ানা পাগোল" ছিলেন তাই নিয়ে কি? ঃ)
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:২৯515057
  • মহিলা দের কথা বলতে আপনি আবার আমার একটা অতি পুরনো ট্রিগারে চাপ দিলেন । আমার দীর্ঘদিনের ধারণা , এই যে গ্রাম এ গ্রাম এ অমুক মাতা তমুক মাতার ভর এটা একেবারেই পারিবারিক নির্যাতন -সামাজিক অবহেলা কাটিয়ে ওঠার একটা ইন ডিরেক্ট প্রতিবাদের ফর্ম যেটা ভেতরে জমা থেকে থেকে ঐভাবে ওই মহিলাদের মধ্যে প্রকাশ ঘটেছে । তারপর নিজেকে একটা হাইটে দেখতে পাওয়ার প্রেইজাল এফেক্ট ও আছে । আমি অবশ্য এটা নিয়ে খুবেকটা তথ্য সংগ্রহ করিনি এখনো। ভীষণ ইচ্ছে আছে ।
  • উচ্চমার্গ | 188.20.55.18 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৩৬515059
  • যাক, দুটো কাজের কথা পেলাম । পুরো আলোচনার প্রেমিসের সামারি ।
    ১। আমার দীর্ঘদিনের ধারণা
    ২। তথ্য সংগ্রহ করিনি

    সাধে কি হাওয়াবেলুন বলে ?
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৩৯515060
  • একটিং তো জেনে বুঝেই করতে হয় !! ই আবার কি কথা :) রামকৃষ্ণ খুব কন্ফিদেন্ত্লি বলে গেছেন যে উনি এসব "জেনে বুঝেই " করছেন । "তাঁর কথা ভাবতে ভাবতে কেও বেহেড হয়না " । "যিনি চৈতন্যস্বরূপ তাঁকে ভেবে কি কেও চৈতন্য হারায় ?" এসব ওনারই কথা। উনি ভাব আরোপ করতেন । সংবরণ করতেও জানতেন ।

    এবার অনেক সিম্পটম এরকম আছে যে মনে হচ্ছে বেহেড । সেটা খেয়াল করলে বোঝা যায় এওন সিরিয়াস কিছু না । আপনি ঘন্টাখানেক খোল -করতালের সঙ্গে দুহাত তুলে হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হয়ে নেচে দেখুন , তারপর বেশ কিছুক্ষণ একটা ঘোর থাকবে । তাদের ইমোশনের শক্তি বেশি তাদের ঘোর ও বেশি । এইটুকুই ।

    হরিপ্রেম জাস্ট আরোপ করলেই হবে ।"ভগবান এ বিশ্বাস " এর কুনো দক্কার নাই । নেহাতই অসুবিধে হলে সারুক্খান বা একেবারে নাস্তিক হলে জাস্ট ভুতুং ভুতুং বলে নাচতে পারেন । তারপর চারপাশ ভুতুং ময় দেখবেন । ভুতুং মানে কি কিছু যায় আসে না । এগুলো চাইলেই করা যায় ।
  • avi | 192.66.245.227 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৪০515061
  • একক, করে লাভ নেই, অনেক স্টাডি হয়ে গেছে এসব নিয়ে।:) আমাদের দেশে এবং বেশিরভাগ থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশে এরকম গপ্পো পাওয়া যায়। ইউরোপে বা আমেরিকায় তুলনায় কম বলে এগুলোকে কালচার বাউন্ড সিনড্রোম বলে চালানো হত। কোরিয়ান থেকে এস্কিমো অনেক জাতেই দেখা যায়, আলাদা আলাদা নামে চলে, বেসিক্যালি একই।
    পিএম, সেয়ানা পাগল না। ট্রান্স বা ডিসোসিয়েটিভ কেউ ইচ্ছে করে হয়ে যায় এমন না তো।
    আর তখনকার চিকিৎসা, তাও মানসিক সমস্যার, বেশি না বলাই ভালো। মহেন্দ্রলাল নাকি মৃগী ভেবেছিলেন শুনেছি, কিন্তু এ তো মৃগী না, তাই ওটা মেলে নি।
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৪২515062
  • কিছু তথ্য তো অবশ্যই আছে হে :) আমার কাছে প্রামান্য তথ্য বলতে যতটা বোঝায় আর আপনার কাছে তো ঠিক এক জাতের না :) আপনার পেটে কিরম সইবে বলবেন , দিয়ে দেব । মেঘের আড়াল বলে তো লোম ওঠা বাকি থাকবে না । সেটুকু খয়াল রাখতেই হয় ।
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৪৩515063
  • ওপরের পোস্ট অভি কে নয় ।
  • pi | 24.139.209.3 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৪৫515064
  • অভিবাবু, এই ট্রান্স, ভর ইত্যাদির মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ থেকে থাকলে একটু টই খুলে বিস্তারিত লিখুন না। পড়তে চাই।
  • সে | 198.155.168.109 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৪৮515065
  • অস্বাভাবিক, অলৌকিক কিছু ফ্যাকটর দরকার হয়। কেউ কেউ ভেল্কিও দেখান। সেইন্টহুডের জন্য অলৌকিক ভেল্কি ক্যাথলিক চার্চের ম্যান্ডেটরী নেসেসারি কন্ডিশান। মাদার টেরিজাকে সেইনিটহুড দেবার আগেও ভাটিকান ঐ একই ফর্মে সাবস্ক্রাইব করিয়েছে।
    অর্থাৎ জেনে বুঝেই কিছু কিছু কাজ করে রাখতে হয় যা অলৌকিক। রাকৃ ভেল্কি দেখাতে পারেননি হয়ত, কিন্তু সমাধির ব্যাপারটা চালিয়ে গেছেন। পাবলিক ওটা খেত। ধর্মগুরু হবার জন্য সমাধি হয়ত একটা কল্ডিশান।
  • Pinaki | 95.229.73.124 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৪৯515066
  • achchha, spiritual practice er ki ekta anyatama lokkho ei 'trans' e pouchhono noy? somosto dhormiyo sadhonatei eta achhe - noy ki?
  • Pinaki | 95.229.73.124 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৫২515068
  • ei je kulakundalini je jagano ekta consistent practice er modhye diye - etai ki controlled way te oi trans impose korar paddhoti shekha?
  • Ekak | 212.62.91.51 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৫২515067
  • "কিন্তু

    IP Address : 103.115.95.204 (*) Date:10 Apr 2016 -- 01:04 PM

    "ওনার "দেব্শরীর" সম্বন্ধীয় ধারণা আসলে ক্যালেন্ডারে আর পট এ দেব-দেবীর ছবি দেখে । যেখানে বিস্তৃত বক্ষপট -আয়ত চক্ষু এভাবে আঁকা হয় । কাজেই উনি ঐরকম চেহারা হলে দেবশরীর ভাবতেন ।"

    এর কোনো সাপোর্টিং এভিডেন্স আছে ? নাকি নাস্তিকের দৃষ্টি যুক্তির দায় থেকে মুক্ত ধরতে হবে ? হাত হালকা হলে সরল হয় - এটা কোন পট থেকে জানা যায় ?
    "

    উনি দেব্শরীর এর বিস্তৃত বক্ষপট -জানুলোম্বিত হাত -টানা চোখ এসব কোন বেদ -পুরান থেকে পেয়েছেন বলে আপনার ধারণা ? এগুলো সম্পূর্ণই এরিয়ান ফিচার ঘিরে গড়ে ওঠা গ্রাম্য গীতি আলেখ্য -ক্যালেন্ডার -পট এসবের বিবরণ ।

    দেবতার শরীর বলে কোনো সামগ্রিক বর্ণনা পুরানের আগে কোথাও নেই । পুরান এও কোথাও লেখা দেখান তো যে চোখ বিড়ালের মত হলে অলুক্ষুনে হয় । দেখেছেন কোথাও ? বা গোট গোট আঙ্গুল নিয়ে । রামকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন ওনার ছোটবেলা কেটেছে গ্রাম্য কথকতা শুনে । আমাদের যত দেব দেবী মূর্তি আছে সবই কিছুটা পৌরানিক এবং অনেকটা গ্রাম্য কথকতা জাত । শিব ভুন্রীয়য়ালা এটাই গ্রাম্য কথকতা । নন্দলাল প্রথম হ্যান্ডসাম বুদ্ধের মত দেখতে শিব আঁকলেন । তারপর সেটা ক্যালেন্ডার আর্ট এ এলো ।

    এর সঙ্গে নাস্তিক-আস্তিকের কোনো সম্পর্ক নেই । বুদ্ধির সম্পর্ক অবশ্য আছে। যদি ঠিভআবে আস্তিক ও হতেন তাহলে বুঝতেন যে দেবতার লৌকিক শরীর ভক্তের শরীর ধারণা থেকেই গড়ে ওঠে । ভক্ত ঐসর্জ্য চায় বলে তিনি শটঐসর্জ্য ময় । কাজেই ক্যালেন্ডার আর্ট দেখে দেব্শরীর কল্পনা ও সেই শরীরেই দেবতাকে দর্শন আদৌ আস্তিকতা কে ক্ষুন্ন করেন অ । আসলে আস্তিক-নাস্তিক কোনটাই না হয়ে ফর্ন্কাটা আবুইদ্যা হলে যা হয় আর কি :)
  • avi | 37.63.181.179 | ১০ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৫৬515070
  • পাই-দি, সময় পেলে নিশ্চয়। :)
    পিনাকী ১:৪৯, সমস্যা হয় এই শব্দগুলোর ব্যবহার নিয়ে। কোনো সর্বজনস্বীকৃত সংজ্ঞা না থাকায় যা হয় আর কি। একেকটা স্কুল একেক রকম টার্ম শোনায়। আপনি যেটাকে ট্রান্স বলছেন, কেউ সেটাকে র‍্যাপচার বা ব্লিস বলে, কেউ একস্ট্যাসি বলে, আবার আমি যাকে ট্রান্স বলছি, কেউ তাকে পজেশন বলে, কেউ ডিসোসিয়েটিভ এনোয়েস বলে। সবকটাই নিজের মত করে ঠিক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন