এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • আধুনিক বাংলা গানের কথা

    Somen Dey
    গান | ২৪ এপ্রিল ২০১২ | ৪১৮২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SC | 150.212.61.174 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৩৪543354
  • পিনাকীদা, একদম। :)
  • dukhe | 117.194.248.200 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৩৭543355
  • আর চোন্দিল তো কয়েই দেছে গানের মূল হল সুর। ভালো লিরিক হল বিউটি স্পটের মত, থাকলে ভালো কিন্তু খুব কিছু এসে যায় না।
    সময়ের চিহ্নফিন্ন কেস হলে তো পরাধীন দেশে বসে আনন্দধারা বহিছে ভুবনে লেখা ব্যান হয়ে যেত।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪০543356
  • সিদ্ধার্থকে পরে উত্তর লিখছি-
    আপাতত:
    And I've seen your flag on the marble arch
    And love is not a victory march

    প্রথমবার পড়ে/শুনে পুরো ব্যোমকে গেছিলাম।। মারিয়েছে কেস, একটা লাইন দাদু থেকে নিয়েছে (উড়িয়ে ধ্বজা) আর একটা লাইন সুমনকে দিয়েছে
  • ppn | 112.133.206.20 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪২543359
  • ন্যাড়াদার সামনে খাপ খোলা চরম ধৃষ্টতা তো বটেই, গিলোটিনে গলা বাড়িয়ে দেবার সামিল। তবু একটা-দুটো কথা বলার আছে।

    যে দু-একটি স্বর্ণযুগের গানকে উল্লেখ করেছি, উল্লেখ করে সামান্য খিল্লি করেছি, সেখানে লিখেছি গানগুলো নিয়ে আমার অস্বস্তি হয় যখন দেখি চিত্রনাট্য, চরিত্রগুলির সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থান, তাদের বাচনভঙ্গী কোন কিছুর সাথেই গানের কথা বা মেজাজ মেলে না। পুরো গানটাই সেখানে হয়ে ওঠে প্রক্ষিপ্ত। অথচ বেসিক গান হিসেবে শুনলে সেগুলো তাও গান হিসেবে শোনা যায়ই যেহেতু চিত্রনাট্যের কন্টিনুইটি বহন করার দায়িত্ব তাদের নেই। এবং আরো ইম্পর্ট্যান্টলি এর মানে এও নয় পুরো একটা সময় বা জঁরকে ধরে খিল্লি করা হচ্ছে। এই গেল একটা কথা।

    দুই নম্বর নিবেদনটি হল গানকে সমসাময়িক হয়ে ওঠার দাবি। এই নিয়ে সুমনের কিছু দাবি আছে যেমন সাধু ও চলিতের একসাথে ব্যবহার ইত্যাদি, যেগুলো সুমনের হয়ে ওঠা গান বইতে লেখা আছে, সেগুলো সুমনের নিজস্ব দাবি। কিন্তু সমসাময়িক হয়ে ওঠার "দাবি' নিয়ে ন্যাড়াদার প্যারাটা পড়লে মনে হয় সমসাময়িক হয়ে ওঠার মানে শুধুই সমসাময়িক শব্দের ব্যবহার। আদতে তো তা নয়। গানের বিষয় নির্বাচনও তো একটা মুখ্য ব্যপার। প্রশ্ন যেইটা আগেও উঠেছে সেইটা হল গানের বিষয়বস্তু কেন অতটা বিশাল সময় ধরে প্রেম এবং মূলত ভাবালু প্রেমকে উপজীব্য করেই ঘোরাফেরা করল, যেখানে কবিতা উপন্যাস নাটক শিল্পের অন্যান্য আঙ্গিকে বিবর্তন আসছিল সময়ের সাথে তাল রেখেই? বাজারি দাবি, না অন্য কিছু এর উত্তর ন্যাড়াদাই ভালো দিতে পারবে। ন্যাড়াদার কাছে উত্তরের দাবি রইল।

    শক্তির উদাহরণটা ভালো। কিন্তু ভাবো একবার সব কবিই শক্তির মত লিখতে চাইলে কী দশা হত? একটা বিশাল সময় ধরে? জীবনমুখী গানের ধারাও তো বস্তুত সেইদিকেই গেছে, সব গানকে জোর করে জীবনমুখী করার প্রচেষ্টা কালের নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই শুকিয়ে গেছে। রয়ে যাবে হয়ত কয়েকটা গান ওই সময়ের, যেগুলো পরের বা তারও পরের প্রজন্ম শুনবে।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪২543357
  • দুখে দা, খেয়াল করে দেখুন গান কিন্তু এক্বার-ও খারাপ বলিনি। অসামান্য গান। খারাপ বলেছি লিরিক।

    লিরিক গানের গৌণ পার্ট বলেই খারাপ লিরিক নিয়েও ভাল গান হয়েছে।

    এই কৃতিত্বটা তো সুরকার আর গায়কদের। ঐখাজা লিরিককেও এমন ভাবে গেয়েছেন এবং সুর দিয়েছেন যে পাব্লিক শুনেছে, গ্রহণ করেছে।

    একটা হেমন্ত বা সুধীন দাশগুপ্ত হতে গেলে সুমনকেও আরো দুখানা জন্ম নিতে হবে বলেই মনে করি।

    আমার বক্তব্য শুধু, এবং শুধুই, কথা নিয়ে। সুরের ব্যাকরণ আমি বুঝি না। কানে যা ভাল লাগে সেটাই ভাল মনে হয়।
  • Generic letter | 72.95.253.75 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪২543358
  • অবশ্যই, বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে ঐ প্যাশনটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আর একটা তুলনা দেই - সুমনের সারকাসমের সঙ্গে চন্দ্রিলের। সুমনের সারকাস্টিক লেখা - ধরা যাক "ভগবান কত ভালো" - এখানে প্যাশনটা কবিত্বকে ছাপিয়ে গেল, লেখাটা একটু গোদা হয়ে গেল। চন্দ্রিলের ক্ষেত্রে সারকাস্মটা অনেক বেশী শিল্পসম্মত (উদা - সূর্যের দিকে চেয়ো না, চোখে ঝিলমিল লেগে যাবে)। তবে আমার কাছে, চন্দ্রিলের সারকাস্মের থেকেও দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে কাছ থেকে দেখাটা আরো আপীল করে। আর একটা উদাহরন দিচ্ছি - রিক্‌শাওয়ালা। সুমন লিখলেন নিজের জবানীতে - সে কিশোর পারবে কি এই বোঝা টানতে / এই বাবু কোনদিন পারবে কি জানতে ইত্যাদি - সুমন ধরলেন বাবু ও কিশোরের শ্রেণীগত অসাম্যটা, কারণ সেটা সুমনকে তাড়িত করে। চন্দ্রিলের রিক্‌শাওয়ালাকে উত্তম পুরুষ করে, রিক্‌শাওয়ালার ভাষায় - রাতে রাত আমায় খাবে। সেখানে ফুটে উঠলো মানুষ হিসেবে, প্রেমিক হিসেবে রিকশাওয়ালার নিজের কথা, নিজের ছবি। মুন্সীয়ানার জায়গা এটা, স্রোতা হিসেবে আমরা ট্র্যাজেডিটা বাইরে থেকে দেখতে পাই - চন্দ্রিলের রিকশাওয়ালা শুধু মাধবীর প্রতীক্ষা করে চলে। সুমন হলে হয়ত সোজাসুজি বলতেন লাল সূর্যের ওঠার অপেক্ষা। এটাই পার্থক্য - এটাই আসল চন্দ্রিল।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪৪543360
  • খারাপ সুর নিয়েও ভালো গান হয়েছে: যথা; জনগণমন

    আর, আমার মনে হয় রিস্কাওলা গানে চন্দ্রিল নিজেকে রিস্কাওলার জায়গায় বসিয়ে দেখতে চান নই। বরং নিজের জায়্‌গাটা রিসকাওলার মতন হয়ে যাচ্ছে দেখিয়েছেন
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪৫543361
  • ঐ মাধবীটা কি বেসিকালি মাধুরী (দীক্ষিত) নয়?
  • dukhe | 117.194.248.200 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৫০543362
  • সিদ্ধার্থকে বলার - লিরিককে সুর ক্যারি করতে পারবে - ভালো গান হয়ে ওঠার একটা একটা মূল রিকোয়ারমেন্ট। লিরিককে আলাদা করে বলিষ্ঠ কবিতা হয়ে উঠতে হবে - আমি তা মনে করি না। তুমি যে আমার - এই লিরিককে আলাদা করে দেখলে দুর্বল বলব, কিন্তু সুরে বসালে এই লিরিক যে উড়াল পাচ্ছে তা দেখলে দুর্বলতার সংজ্ঞা নিয়ে দ্বিধায় পড়ি। বরং অনেক 'আধুনিক' লিরিককে মনে হয় দুর্বল কবিতাপ্রয়াস - যেহেতু সুর তাকে বইতে পারছে না, কথা কেবল বলছে আমাকে দ্যাখ আমাকে দ্যাখ। এবং গানটি হামাগুড়ি দিচ্ছে।
  • Generic letter | 72.95.253.75 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২১:৫৫543364
  • পিনাকির ওয়ান-লাইনারটা পুরো সত্যজিত-ঋহিত্বিক হয়ে গেল।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:০১543365
  • দুখে দা, লিরিককে আলাদা করে বলিষ্ঠ কবিতা হয়ে ওঠার দাবী নেই তো। সুমনের লিরিক কবিতা হিসেবে পড়লে তো দুর্বল।

    গানের ভাষা আর কবিতার ভাষা আলাদা হয়।

    কিন্তু লিরিকের একটা গৌণ হলেও জায়গা তো থেকে যায়। রবীন্দ্রনাথের কথা বাদ দিয়ে বললাম। ওনার লিরিক এবং সুরের তুলনা তো ছিল-ই না, তার সাথে অসামান্য কিছু গায়ক গায়িকা এসেছিলেন। সমসাময়িকতা শ্রোতা নিজের মত করে খুঁড়ে বার করেন সেখানে।

    উদাহরণ দি-ই। সুচিত্রা মিত্র-র গলায় `মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান` গানটা এক অদ্ভুত বিষাদে গাওয়া। মনে হয় সাতচল্লিশের দেশভাগ দাংগা স্বজন হারানোর সব বিষাদ এসে জড়ো হয়েছে সুচিত্রার গলায়।

    আবার ষাটের দশকে দেবব্রত যখন গান `গোধুলি গগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা` তার বহুদিন বাদে আমি শুনে চমকে উঠি। `আর কি কখনো কবে এমনো সন্ধ্যা হবে` শুনে মনে হয় নকক্সাল আন্দোলনের যে ছেলেগুলো কোনো এক আবছা বিষণ্ন সন্ধ্যায় মরে গেল, যাদের আর ফিরে পাওয়া যাবে না, তাদের কথা ভেবে যেন কাঁদছেন দেবব্রত। আর ঠিক সেই সময়েই মণিভুষণ ভট্টাচার্য তাঁর গান্ধীনগরে রাত্রি একটি নক্সাল ছেলের খুন হওয়া নিয়ে লিখে ফেলেন `উনুন জ্বলে নি আর, বেড়ার ধারেই সেই ডানপিটের তেজী রক্তধারা/গোধুলি গগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা`

    এভাবে রবীন্দ্র-সংগীত সমকালীন হয়ে ওঠে। তার কন্তেন্টের আপাত-বিচ্ছিন্নতা সরিয়ে রেখেই। কিন্তু সেটার জন্য রবীন্দ্রনাথের মাপের মানুষ দরকার। সেই কলম দরকার।

    তা আমায় দেখান একজন রবীন্দ্রনাথের মাপের লেখক, যিনি স্বর্ণযুগে ছিলেন। সেটা তো ছিলেন না। ফলে রবীন্দ্র-অনুসারী হতে গিয়ে অক্ষম অনুকরণ হয়ে গেছে ।

    লিখব না ভেবেও এত কিছু লিখে ফেললাম। বাকিটা সন্ধেবেলা। আপাতত গাইডের বাঁশ :(
  • dukhe | 117.194.245.233 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩০543366
  • সিদ্ধার্থ, গোধূলিগগনের গান আমার কাছে কখনো এই ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে আসেনি। কিন্তু তা সঙ্কেÄও আমার খুবই প্রিয়। সমকালীনতা - আগেও বলেছি - খুব একটা জরুরি নয় আমার কাছে। বরং উল্টো। আমি চিরকালীনতার পক্ষপতী। বন্ধু কী খবর বল এর চেয়ে পুরানো সেই দিনের কথা বেশি পছন্দ করি। এই অ-সমকালীনতার মধ্যে যে অ্যাবস্ট্রাকশন, সেটা আমাকে বেশি টানে। গান যত প্রিয়া কাফে, কফি হাউস, কন্ডাক্টরের কথা বলতে থাকে, তত মনে হয় এ গান বড় শহরের লোকেদের জন্য - আমরা, যারা মাঠঘাটের মধ্যে বড় হয়েছি, দিনের পর দিন জানলা দিয়ে দেখেছি গৈরিক গ্রীষ্মের নি:সাড় মাঠের ওপারে বিন্দুবৎ গ্রাম আর মাঠের মধ্যে সুদূর রেললাইন - তাদের ভুবন আলাদা। বরং অশথের ছায়ে মাঠের প্রান্তে দূরে আমাদের চেনা ছবির অনেক কাছাকাছি যেখানে সেই গানের স্বরলিপি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
  • siki | 122.177.16.128 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৬543368
  • লিখব? কিছু লিখব?

    সারা সন্ধ্যে ধরে বসে বসে দশপাতা ব্যাকলগ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম। লিখতে বসতে চাইলে এখন আমি দশপাতা লিখতে পারি। অজস্র বিষয় লেখার মত বেরিয়ে আসছে।

    কিন্তু কাল আবার সকাল সাড়ে পাঁচটায় উঠতে হবে। সাতটায় বেরোতে হবে।

    তাই আমি আপাতত কিছুই লিখব না। কাল বিকেলে যদি সময় পাই, দু পয়সা দেব। আপাতত একটা সুতীব্র প্রতিবাদ কল্লোলদার জন্যে, সদা আর সিকি এক জেনারেশনের নয়। সিকি কলকাতার রসগোল্লা শুনে বড় হয় নি। কী সাংঘাতিক। সিকির জীবনে প্রথম হল্‌এ দেখা সিনেমা ওগো বধূ সুন্দরী, তার আগে পরে হীরক রাজার দেশে। :) তখন সদা কোথায়? সিকির সত্যিকারের ছোটবেলায় সিকির বাপ কোঅর্ডিনেশন কমিটি করত, আর গণসঙ্গীত গাইত। সেইসব গান কল্লোলদার জানা। :)

    কিন্তু না। কাল সন্ধ্যেবেলায় কথা হবে কমরেডস। অনেক কথা জমে রইল।
  • ppn | 112.133.206.20 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৬543367
  • দুখে সার্থকনামা। ;-)
  • tatin | 117.197.64.168 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৮543369
  • সব কিছুর ওভাবে সংবাদপত্রের মত সাম্প্রতিক হওয়ার দরকার আছে কি? বরনগর গণহত্যার দিনও একজন সমজ রাজনীতি সচেতন লোক শুধুমাত্র সেইটুকুই নন। তার বাইরেও সেইদিন বা সেই সমসময়ে তিনি খাবেন (অস্থিরতার মধ্যেও হয়তো দেখবেন কাগজি লেবুতে গন্ধ অছে না টক), সন্তানের পড়াশুনো দেখবেন, স্ত্রীর সংগে মৈথুন করবেন এরকম অনেক কিছু। ফলে গানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বরানগরই একতম প্রতিপাদ্য হবেনা। আরও অনেক কিছু হবে, শুধু দ্যাখার যে সমসময়ের লোকটাকে সেইটা ছুঁতে পারছে কিনা। সেই প্রয়োজনে (অন্যকে ছোঁয়াই গানের একমাত্র প্রয়োজন কিনা তর্কের বিষয়, বরং গানের বা কবিতার বা লেখার বা আঁকার সম্পূর্ণ হয়ে ওঠার প্রয়োজনের কথা ভাবি) গান কবিতাকে যদি ৬০০ বছর পুরোনো ভাষা আনতে হয় একশোবার আনবে। ভাষার প্রত্যেকটা শব্দে একট করে ইতিহাস জড়িয়ে আছে, 'বিসরি ত্রাস লোকলাজ' বলার সংগে সংগে পুরো বৈষ্ণবপদের নির্মাণ রাধা, রাধেয় ব্যকুলতাকে তুলে আনা যায়, আর দশটা অনুচ্ছেদ না লিখে। কবি কেন সেইটা করতে পারবেন না? যেমতি লেখার সংগে সংগে মধুসূদনের অর্জনকে এককথায় রেফার করে দেওয়া যায়। সাধু পয়ার দিয়ে কৃত্তিবাস-কাশীরাম, কোথাও প্রাচীন ত্রিপদীতে মংগলকাব্য রেফার করে ফেলা যায়। এই বিশাল অর্জন, বিশাল সময়ের স্মৃতিকে কোনো কবি ব্যবহার করতেই পারেন। সমসময়ের জন্য লিখতে বসলেও পারেন।

    এর ওপরে থাকে বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা ভাষার সেই বৈশিষ্ট্যগুলো যা পরের সময়ে পাওয়া যায় নি, পরের সময়ের ভাষা প্রকাশ করতে পারেনি। আর্বান বাংলায় দেহতঙ্কÄ করা যাবেনা, বীরভূম সিলেট বা খুলনার ভাষা লাগবে। তেমনি মিথ লেখতে গেলে মঙ্গলকাব্যের ভাষা লাগবে। সমসম্যের জন্য লিখতে গেলেও অন্য সময়ের ভাষাই ইউজ করতে হবে।
  • omnath | 117.194.205.182 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৮543370
  • স্বর্ণযুগে ও তার আগে কালজয়ী / চিরকালীন গান লেখা হত, মহীন/সুমন এসে প্রথম লিখল সমকালীন গান। এইতো? তো এতে আপত্তি কার?
  • nyara | 122.167.172.22 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৯543371
  • অর্পণ, ঐ যে বলছি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য সব কিছুর মতন গানকেও দেখতে হবে। একথা অবশ্যই মানব যে ঐ সময়ের বাংলা গানে বিষয়ের ব্যপ্তি কম। একধরণের মেকি, ভাবালু প্রেম-বিরহে ঘুরে মরেছে অধিকাংশ গান। 'আমি চলে গেলে পাষাণের বুকে লিখ না আমার নাম" ধরণের মেকি ভাবালুতা ছড়িয়ে আছে অধিকাংশ গানে।

    কিন্তু, যেটা বলা হয় যে তখন অন্যদিকে ছবি-নাটক-কবিতা সমসাময়িক হয়ে উঠেছে, শুধু বাংলা গান ল্যাংচাচ্ছে, সেটা বোধহ্য সর্বৈব সত্যি নয়। ছবিতে বছরে একটা সত্যজিৎ, তিন বছরে একটা ঋত্বিক ধরণের ছবি হলেও মূলধারার ছবিতে সেই চর্বিত-চর্বণ। নাটকে গ্রুপ থিয়েটার যেমন আছে, তার সঙ্গে শ্যামবাজার বোর্ডের নাটক রমরমিয়ে চলছে। কবিতার কেসটা ভাল জানা নেই, তবে আমার ধারণা ঐ সময়ের কবিতা মানেই কবিতাভবনের 'কবিতা' বা 'কৃত্তিবাস' নয়।

    এটাই সেই সময়ের ছবি। শতেকে-গুটিক শিল্প সমকালীন হয়ে উঠেছে। কোন মাধ্যমে একটু বেশি, কোন মাধ্যমে একটু কম। বাংলা গানেও তাই। হয়তো সঙ্গীত-মাধ্যম বিশেষরকম কম সমকালীন। তার মানে এই নয় যে অন্যরকম বাংলা গান তখন হচ্ছে না। কিন্তু এটাও ভেবে দেখার যে সেই সময়ের বাংলা গান সমকালীন না হয়েও কী করে মূলত: এতটা পথ পেরিয়ে এল। অনেকটাই নস্ট্যালজিয়ার ব্যাপার আছে ঠিকই। কিন্তু তার বাইরেও নিশ্চয়ই আরও কিছু জিনিস আছে, যার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই।
  • ppn | 112.133.206.20 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪০543372
  • কলকাতার রসগোল্লাটা কথার কথা।

    কিন্তু মাঠে ঘাটে পুজোর ম্যারাপে সিকির কানে আসে নাই অজেয় অমর অক্ষয় সেই দুইখানি গান - "চিরদিনই তুমি যে আমার' আর "এ আমার গুরুদক্ষিণা'? যদি না এসে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সিকি ওয়াকম্যান কানে গণসঙ্গীত শুনতে শুনতে লং মার্চ করত। :)
  • omnath | 117.194.205.182 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪৫543373
  • ক্যাম্পপ্রিয় বাঙালীকে দেখলে ? মহীন-সুমন ফয়শলা ঠিকঠাক না হতেই স্বর্ণযুগ ভার্সেস জীবনমুখী এনে ফেলেছে।
  • tatin | 117.197.64.168 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪৬543375
  • আমার ছোটবেলায় একটা বিরাট সমকালীন গান ছিল : কী নিদারুণ খবর পেলো ভারতবাসী বেতারে

    আর একটা ছিল: প্রেম জেগেছে আমার মনে বলছি আমি তাই, তোমায় আমি ভালবাসি তোমায় আমি চাই, উরি উরি বাব্বা, কী দারুণ
  • omnath | 117.194.205.182 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪৮543376
  • দ্বিতীয়টা চিরকালীন তো !
  • dukhe | 117.194.245.233 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৪৯543377
  • না - এ তো বেশ বলিষ্ঠ সমকালীন লিরিক। রাবীন্দ্রিক না।
  • tatin | 117.197.64.168 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৫২543378
  • হ্যা, সমকালীন থেকেই ২ নংটা চিরকালীন হয়ে গ্যালো।
  • siki | 122.177.16.128 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ২২:৫৫543379
  • অপ্পন, ততদিনে আমি অনেকটা বড় হয়ে গেছি। আমার ছোড়দির বিয়েতে ভিডিও আনা হয়েছিল, গুরুদক্ষিণা, ১৯৮৮ সালে। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। ততদিনে অনেকরকম গান শুনে ফেলেছি।

    সেই গণসঙ্গীতের ছোটবেলার কথা যদি বলতে চাও, তাইলে বলি, আমাদের বাড়িওলার বাড়িতে রেকর্ড প্লেয়ার ছিল, সেখানে তখন খুব চলত অনুসন্ধানের গান: ফুলকলি রে ফুলকলি, বলতো এটা কোন গলি। আর হংসরাজের গান: ও দিদিমণি, গানের রানী, দিও গাইতে আমায় রেডিও ইষ্টিশনে। আর সেই সময়েই, ১৯৮১ না ৮২ সালে পুজোতে বেরলো আমার জ্ঞানত মনে থাকা প্রথম "পুজোর ক্যাসেট', আমার পূজার ফুল ভালোবাসা হয়ে গেছে, চোখের জলের হয় না কোনও রঙ, সে যেন আমার পাশে আজো বসে আছে, ইত্যাদি।

    কিন্তু আমি এখন ঘুমোতে যাব। সারাসপ্তাহ গুরু বা ঘুম, কোনওটাই হয় নি। দাদা, আমি কিন্তু একটু ঘুমোতে চেয়েছিলাম। অন্তত শনিবারের সকালটা। কিন্তু ...
  • Siddhartha | 131.104.32.147 | ২৮ এপ্রিল ২০১২ ০৩:০১543380
  • দুদখে দা, ন্যারা দা, তাতিনকে অনেক কথা বলার আছে। সন্ধেবেলা লিখব ভেবেছিলাম। কিন্তু গাইড মাল খাইয়েছে প্রচুর। এখন মোটামুটি ঘুমে চোখ জুরে আসছে।অ। যদি ঘুম থেকে উঠতে পারি তাইলে লিখব।
  • Siddharaaaaa | 131.104.32.147 | ২৮ এপ্রিল ২০১২ ০৩:০৩543381
  • আর না উঠিতে পাররররৃলে যযযযযযয ভভভভভ জ্ঞজ্ঞজ্ঞজ্ঞজ্ঞ
  • pi | 137.187.241.7 | ২৮ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২০543382
  • ^^^^
    সমকালীন, না না চিরকালীন লিরিকস হিসেবে ব্যাপক হবে ! ঠিকঠাক ক্যারি করার মত সুর দিতে পারলেই হয়।
  • dukhe | 117.194.224.41 | ২৮ এপ্রিল ২০১২ ০৬:১৯543383
  • আমার তো মনে হল এটা বিশুদ্ধ মার্গসঙ্গীত।
  • dukhe | 117.194.224.41 | ২৮ এপ্রিল ২০১২ ০৬:৩৮543384
  • বাংলা গানের উচ্চারণ নিয়ে সুমন বেশ গুছিয়ে বলেছিলেন একটা ইন্টারভিউতে। বেশ খাঁটি কথা। কিন্তু শুনতে শুনতে মনে হয় কী যেন মিসিং। সেই মিসিং পিসটা কদিন পরে খুঁজে পেলাম। ২৫শে ডিসেম্বরের রোববারে জয়ের লেখাতে।

  • pi | 137.187.241.7 | ২৮ এপ্রিল ২০১২ ০৬:৪১543387
  • :)

    কিন্তু দুখেদার ১০:৩০ এর পোস্ট পড়ে একটা প্রশ্ন জাগলো।
    ভালোবাসি জ্যোৎস্নায় কেমন লাগে ?
    জাতিস্মর ?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন