এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • আধুনিক বাংলা গানের কথা

    Somen Dey
    গান | ২৪ এপ্রিল ২০১২ | ৪১৮১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২৮543121
  • টেকনিকাল ব্যপার তো বুঝি না। কিন্তু ঐ গীটার বাজিয়ে বাংলা গান প্রথম শুনেছিলাম। শুনেছিলাম আমার এক বন্ধুর জন্মদিনে। শুনলাম পাগল - এক মুখ দাড়ি গোঁফ, অনেক কালের কালো ছোপ ছোপ - ট্যাং ট্যাং ট্যাং ট্যাং। এ জিনিষ আগে শুনি নি। যেমন বিষয় বস্তু, তেমনই তার মিউজিক। তো এসব গান আমার ভালো লাগলেও, বাবার বা মার বা বাড়ির আর কারুর ভালো লাগল না। আমার দাদু যেমন হিন্দি গান শুনলে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠত, যেন কিছু একটা অপোসংস্কৃতি হচ্ছে, তেমনই আমার বাবাও সুমনের পাগল শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠত। কিন্তু পরে দেখলাম পেটকাটি চাঁদিয়াল, তোমাকে চাই শুনে সেই রিঅ্যাকশন নেই। তারপরে একদিন শুনলাম তোমাকে চাই বেশ গুনগুনিয়ে গাইছে। পরে গানওয়ালার ক্যাসেটটা নিজেই কিনে আনল।

    সুমন খুব সফল ভাবে ট্র্যাডিশনাল শ্রোতাদের নতুন গান শুনতে বাধ্য করল। শুধু তাই নয়, বাণিজ্যিক ভাবেও সবাইয়ের সামনে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিল যার ওপরেই পরে এল নচিকেতা, অঞ্জন এবং আরও পরে চন্দ্রবিন্দু, ভূমি ইত্যাদিরা।

    সুমনের গান বাণিজ্য না করলে এটা বোধহয় হত না। এমনকি সুমনের গান নতুন করে প্রচারের আলোয় এনে দিল মহীনের ঘোড়া, নগর ফিলোমেল ইত্যাদিদেরও। আমাদের মতন অনেকে সুমনের গান শুনে খুঁজে খুঁজে তারপরে মহীনের ঘোড়া, নগর ফিলোমেল ইত্যাদিদের গান শুনেছে।

    কাশির দমক থমকে গেলে বাঁচতে ভালোবাসি - গানের মধ্যে অমন ভাবে বাঁচতে সুমনের আগে কেউ বলে নি। আর সেই বাঁচার ইচ্ছে শহর কলকাতার বাইরে অনেক দুরে ছড়িয়ে পড়ল।

    কিন্তু গানওয়ালার পরে সুমনের গান নিয়ে আমার উন্মাদনা কমে। খুব চেনা লাগত।
  • pi | 72.83.85.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৩২543122
  • 'মহীনের গানের প্রতি ভালোবাসা তাদের ব্যক্তিগতভাবে না চিনলে সম্ভব নয়' এটা একেবারেই মানতে পারলাম না।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৪২543123
  • মানে বলতে চাইছি সলিল, সুমন বা সত্যজিৎ যখন সুর দিচ্ছেন গানে, তখন একজন অ্যারেঞ্জার সুর দিচ্ছেন তো গানে। তাই এফেক্টটা অন্য রকমের হচ্ছে। সুর আর অ্যারেঞ্জমেন্টটার প্ল্যানিং একসাথে আসছে। ঠিক যেমন একজন গায়ক সুরকার যখন গানটা নিজে লিখছেন, তখন একটা অন্য লেভেলের সিন্থেসিস আসার কথা। সুমন আগে গানের কবিতা/লিরিক লিখে তারপর সুর দিয়েছেন বলে সেটা যেমন অনেকাংশে আসেনি। যেজন্যে "সারারাত জ্বলেছে নিবিড়" আমার সুমনের সবচেয়ে কমপ্লীট গান লাগে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৪৫543124
  • কথাটার মানে মহীনের গানের প্রতি কোন শ্রোতার ভালো লাগা নয়। গানের প্রতি মহীনের ঘোড়াদের কতটা প্যাশনেট ভালোবাসা ছিল। এটা একজন শ্রোতার পক্ষে বোঝা মুশকিল।
  • pi | 72.83.85.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৪৭543125
  • মাঠে নামার পর থেকে সুমনের পুরো নিম্নগতি, একথাও মানতে পারলাম না। বয়সের কারণে ওঁর গলা আগের মত নেই, সেটা অন্য কথা। আর এই গানগুলো তো সেভাবে আগের মত মিউজিক অ্যারেঞ্জ করেও গাওয়া নয়। তা উনি করতে পারছেন না, কেন পারছেন না, তাও জানিয়েছেন।

    কিন্তু এইরকম গানের জন্য আমি অন্তত সুমনকে এখনো চাই।



    সুমন গান তো শুধু গান নয়। কেবল কথা, সুর, সাঙ্গীতিক অ্যারেঞ্জমেন্ট, গাওয়া , এইসবের বাইরে কিছু। আমার কাছে সুমন আলাদা, এই জন্যেই।
  • pi | 72.83.85.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫৪543126
  • এদের গান কেউ শুনেছে ? আজই পেলাম।



    DWONDO-DORSHON, an project consisted of ALTERNATIVE ROCK songs.its not a so-called BAND.
    the subject of the project revolves around the idea of creating new PROTEST SONG OR REVOLUTIONARY songs and to make it contemporary along with the modern day.
    It follows the inspiration of KABIR SUMAN, ASIAN DUB FOUNDATION to build CONTEMPORARY PROTEST SONGS AND SONGS WHICH HIGHLIGHTS THE RAGE AND PAIN OF THE YOUTH AGAINST THE SYSTEM AND VOWS TO BUILD AN ALTERNATIVE.
  • sda | 59.97.137.44 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫৭543127
  • http://www.mediafire.com/?qkrix2atannpqz3
    কোন পথে গেল গান - সুমনের লেখা এই বইটা অনেকেই হয়তো পড়েছেন, তবু লিং দিয়ে যাই।
  • sri | 117.194.7.123 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৯:১০543128
  • http://soundcloud.com/indie-fm-banglaetaamaderektachannel..ghoreboserecordkorahoy..hoytoototabhaloasena..shunedekhteparo/paren...
  • Somen Dey | 115.187.60.217 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৯:২৫543129
  • মহীনের ঘোড়া বাংলা গানে অবশ্যই একটি সাড়া জাগানো ঘটনা। তবে কখনই বাঁক নয়। গৌতমের গানে সুরে যতটা ভাং-চুর ছিল কথায় ততটা ছিল না। গানের কথায় কোনো গভীর জীবন বোধ আসেনি। 'কখন তোমার আসবে টেলিফোন' কিম্বা 'দরিয়ায় আইল তুফান' লোকগানের শহুরে সংস্করন । ধুতি পরায় অভস্ত বাংলা আধুনিক গান কে একটু জোর করেই জীনস পরাবার চেস্টা করেছিলেন। তাই ধোপে টেকেনি। তবে হ্যাঁ তিনি সময়ের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ভেবেছিলেন বলেই নিজের সময়ে খ্যাতি না পেলেও অনেক পরে ওঁকে নিয়ে চর্চা আরম্ভ হয়। তাই তিনি বাংলা গানের ইতিহাসে যথাযোগ্য মর্য্যাদায় থকবেন।
  • nyara | 122.172.172.157 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:০০543131
  • সুমনের অ্যারেঞ্জমেন্ট আমাকে সেরকম আকর্ষণ করে না। মধু মুখোপাধ্যায়, শোভন মুখোপাধ্যায় বা - কী যেন নাম - অভিজিত বন্দোপাধ্যায়ের ছেলে - এনাদের সবার অ্যারেঞ্জমেন্টই অসম্ভব রান-অফ-দ্য-মিল লাগে। সুমনের অ্যারেঞ্জমেন্ট এনাদের থেকে আলাদা ও ইউনিক হলেও, সেই উচ্চতা ছুঁতে পারে না যেখানে পঙ্কজ মল্লিক, শচীন দেব বর্মন, সলিল চৌধুরী, বাসু মনোহারিরা নিয়ে গেছেন। সলিল চৌধুরী, অলোকনাথ দে (সত্যজিত রায়) বা বাসু-মনোহারির অ্যারেঞ্জমেন্টের পরে যাদের অ্যারেঞ্জমেন্টে সত্যিকারের চিন্তাভাবনার ছাপ দেখেছি - মৌসুমীর প্রথম অ্যালবামে ধ্রুব গুপ্ত(?)-র কাজ আর দোহারের প্রথম তিনটে অ্যালবামে ময়ূখ-মৈনাকের কাজ।

    সুমনের অ্যারেঞ্জমেন্টের মুশকিল হল উনি যখন কীবোর্ড-সিন্থেসাইজারে গান গাইছেন, সেখানে কীবোর্ড প্রোগ্র্যামিং-এ যান্ত্রিক খামতির কারণে ব্যাক-আপ মিউজিশিয়ানের প্রিসিশন বা গভীরতা কখনই আসে না। যদি আলাদা কম্পিউটার সিকোয়েন্সার ব্যবহার করতেন, সেই খামতি অনেকটা কাটানো যেত। তাছাড়া গান গাইতে গাইতে কীবোর্ড বাজালে লেয়ারড অ্যারেঞ্জমেন্ট করা শক্ত। আর সেখানেই জিতে যান সলিল চৌধুরী, বাসু-মনোহারিরা তাদের পেশদার জগতের অভিঞ্জতা আর চকশা নিয়ে। জিতে যান সত্যজিতও।

    অ্যারেঞ্জমেন্ট মানে তো শুধু ইন্টারলিউড আর প্রিলিউড নয়।
  • Blank | 170.153.65.102 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:৫০543132
  • ন্যাড়া দা কে ক
  • siki | 122.177.16.128 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:৫৪543134
  • জমে গেছে। সুন্দর যুগলবন্দী।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:৫৪543133
  • কল্লোলদা, বাংলাগানের আবহমান ঐতিহ্যের প্রতি তো সুমন বেশ শ্রদ্ধাশীল- লালন, রামপ্রসাদ্বা কীর্তন নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত থাকেন সাক্ষাৎকারে।
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২১:৩৯543135
  • খুব সুন্দর টই-টপিক :-)
    সোমেনবাবু --আরও চাই আপনার কাছে।
  • lcm | 128.48.44.141 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৫৫543136
  • ওহ্‌, এইত্তো, ন্যাড়া কে পাওয়া গেছে। বঙ্গলিপি নিয়ে কি একটা কোশ্চেন ছিল, ভুলে গেছি।

    ন্যাড়া, ট্রিপ্‌ল-ওয়াই, ট্রিপ্‌ল-এন --- এবার শিবাংশু এলেই...
  • kallol | 115.241.28.19 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০১543137
  • আমি জানি না সোমেন কিভাবে বলছেন যে মহীনের লিরিকসে তেমন নতুনত্ব ছিলো না। বা টেলিফোন আর দরিয়া লোকগানের শহুরে সংষ্করণ।
    খুব বিনয়ের সাথে জানাই, উনি মহীন শোনেন নি।
    প্রথমত: দরিয়া আর টেলিফোন মহীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় সৃষ্টি।
    দ্বিতীয়ত : দরিয়া গেয়ে ক্যানিং লাইনের ট্রেনে ভিক্ষা করতে শুনেছি এমন মানুষকে যিনি মনে করতেন ওটা একটা বাংলা কাওয়ালী। লোকে শুঅছেও তাই বলে। এতো সার্থক কথা আমি তো খুব শুনিনি যা শুনলে মনে হয় সত্যি মাটির গান।
    গানটা নাগমতি ফিল্মের জন্য লেখা ও সুর করা। আমার সামনে ঘটেছে।
    তখন পুঁটুর(মনিদার সহধর্মিণী) বাচ্চা হবে। আমরা অনেকে হাসপাতালে। বাপিকে মনিদা বলেই যাচ্ছে একটা ফকিরি বা কাওয়ালী লাগবে, তুই লেখ। আর বাপিদাও ঘাড় ত্যাড়া করে বলে যাচ্ছে একটা সুরের রেফারেন্স দাও। সেই সময় রেডিয়োতে কোথাও এই গানটা হচ্ছিলো - হমনে তো লুট লিয়া মিলকে হুস্নওয়ালোঁনে। এটা মহম্মদ রফির গাওয়া কোন সিনেমার গান, কাওয়ালী। মনিদা বলল ঐতো সুর, নে লেখ এবার। প্রায় হাসপাতলে বসেই বাপি কথা লিখে ফেলে। পরে একটু এদিক ওদিক হয়েছে। মন আমার কেমন কেমন করে ও বধুঁ হে এই লাইনটা পরে বসানো। সেতাও আবার বাংলা সিনেমার বিখ্যাত একটা গানের লাইন - ঘরেতে রয় না সখী / নাগর গেছে পরের ঘরে / মন যে আমার কেমন কেমন করে।
    আজ পর্যন্ত মহীনের সার্থক গানগুলোর একটা।
    টেলিফোন নিয়ে আগেও বিস্তারে লিখেছি। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমে রাধার প্রতীক্ষার এতো অসাধারণ এডপ্টেশন আমি শুনি নি কেউ করেছে বলে। এটাও মহীনের সার্থক গানগুলোর একটা।
  • sda | 117.194.198.11 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:০৫543138
  • এটাই তো বুঝছি না যে চলতি সুরে কিছু কথা বসিয়ে তৈরি গান কি অর্থে সার্থক সৃষ্টি।
  • kallol | 115.241.28.19 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২১543139
  • তৃতীয়ত: রানওয়ের গান, অউব, চৈত্রের কাফন, হায় ভালোবাসি, ফিরে আসবো মাগো কেঁদো না, ভেসে আসে কলকাতা, কেটে যায় অবহেলায় এসব গানের কথা ১৯৭৬/৭৭ এ কেউ কোথাও শুনেছে?
    তখন কোথায় এসব ""জীবনমুখী""টুখী?

    মহেঞ্জোদরো-হরপ্পা খুঁজে পাওয়ার আগে ভারতের ইতিহাস শুরু হতো আর্যদের দিয়ে। ভারতীয় সংষ্কৃতিতে আর্যদের অবদান নিয়ে কথা হবে না। তাই বলে মহেঞ্জোদরো হরপ্পাকে অস্বীকার করতে হবে। মহেঞ্জোদরো হরপ্পা যে এগজিস্ট করতো সেটা না জানাটা কি মহেঞ্জোদরো হরপ্পার অপরাধ?

    বিণীত অনুরোধ, একটু জেনে টেনে তক্কো করুন।

    যারা মনে করছেন দ: কলকাতার, অলিগলিতেই মহীনের অস্তিত্ব, তাদের জন্য কিছু লেখা তুলে দেবো। এখন বড়ো ক্লান্ত লাগছে। অবসন্ন লাগছে। বিরক্ত লাগছে।
  • kallol | 115.241.28.19 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৯543140
  • সদা চলতি সুরে কথা বসিয়েই যদি দরিয়া আর টেলিফোন হতো তবে এতো কিছু লিখতাম না।
    হমেঁ তো লুট লিয়া মিলকে হুস্নওয়ালোঁনে গানটা শোনা আছে? ওর মুখটুকু ভেঙ্গে নেওয়া, বাকি গানটা কাওয়ালী ঢংএ নিজেদের সুরে। যেমন শচীনকত্তার তেরে মেরে মিলন কি য়ে র‌্যায়না। মুখটা রবীন্দ্রনাথ, বাকিটা অনবদ্য শচীনকত্তা।
    টেলিফোন। আদ্যন্ত নিজেদের সুর ভৈরবী বাউলের আদলে। যেমন সুমনের খাতা দেখে গান গেয়ো না। টেলিফোনের কথা নিয়ে আগেও লিখেছি।

    খুব ক্লান্ত লাগছে।
  • sda | 117.194.198.11 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০১:০২543142
  • কল্লোলদা, দরিয়া গানটার সুরে খুব কম করে ১০-১২ টা সো কল্ড ফোক গান বিভিন্ন শিল্পীর গলায় শুনেছি, হয়তো একটু আধটু আলাদা আছে, কিন্তু মূলত: একই ধরণের, ক্লান্তিকর। আর গানটা কলকাতার ইয়ং লোকজন শোনা শুরু করে অনেক পরে, যখন অভিলাষা ওটার রিমেক করলো হার্ড রক স্টাইলে।

    যদি ধরেও নিই এই গান গুলো ৭৭-৮০ সালে লেখা, সেই সময় সুমন কি লিখছেন ভাবুন। "আমি ভিটেমাটি ছেড়ে এসেছি মহান টাকাপয়সার দেশে, এই দুনিয়া সর্বনেশে, এরা সাগর পেরিয়ে বোমা ফেলে আসে বীরপুরুষের বেশে/ মরে, কখনো বাঁচেনি যারা..." এই লিরিক্যাল স্ট্রেংথ, স্যাটায়ার এগুলোকেই আমি ম্যাচিওরিটি বলি । কখনো ধরে নিতে হয়না যে এ তো এতদিন আগে লিখেছে, তখন এই ছিল না ঐ ছিলনা, যে ডিসকাউন্ট গুলো মহীনের গানে দিতেই হচ্ছে।
    আমরা মানি আর না মানি, প্রথাগত শিক্ষা, অনুশীলন এবং সর্বোপরি প্রতিভার কোনো বিকল্প নেই, আজও। শুধু গান নয় , সব ক্ষেত্রে। কোনো প্রথাগত ট্রেনিং ছাড়া দলবল জুটিয়ে গিটার বগলে স্টেজে ওঠার থেকে অনেক বেশী জরুরী ব্যাকরণটা আগে শিখে তারপর প্রয়োজনে সেটা ভাঙ্গা। সুমন সেটা করেছেন, মহীন করেনি। দুজনেই তাদের যোগ্য ট্রিটমেন্ট পেয়েছেন বলে মনে করি।
  • Blank | 59.93.199.118 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০১:০৯543143
  • 'দলবল জুটিয়ে গীটার বাজিয়ে স্টেজে ওঠা' - শেষে এই শুনতে হলো !!!!
  • sda | 117.194.198.11 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০১:১৪543144
  • আব্রাহাম মজুমদার বাদে বাকি ঘোড়াদের কারো প্রথাগত গানবাজনার ট্রেনিং ছিল বলে শোনা যায় না।
  • pi | 137.187.241.4 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০১:৩১543145
  • এ:, সদা তো পুরো এক্সট্রীমে চলে যাচ্ছে।
    দ্যাখো বস, ভেতরে গান না থাকলে প্রথাগত ট্রেনিং দিলেও 'গান' বেরোয় না। আর থাকলে, না দিলেও বেরোয়। ট্রেনিং তো, যা আছে, তাকে মাজা-ঘষার জন্য।

    গিটার বগলে নেওয়া, দলবল জুটিয়ে নেওয়া আর স্টেজে ওঠা, তিনটেই অতি সহজ কাজ। তাহলে মহীন তো পাড়ায় পাড়ায়, পথে ঘাটে, ঘরে ঘরে পাওয়ার কথা। পেলাম না কেন ?
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০১:৪৬543146
  • ও সদা ফ্রেডির কোন প্রথাগত ট্রেনিং ছিল না। এর সাথে মহীনের গানের কোয়ালিটির কোন সম্পর্ক নেই।
  • sda | 117.194.198.11 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০১:৫১543147
  • হাজার খানেক বাংলা ব্যান্ড রয়েছে তো। ১৯৭০ এর দশকে ছিল না, মহীন শুরু করেছিল, আর সেটাই ওদের বিখ্যাত হওয়ার একমাত্র কারণ,IMHO। পরিশীলন, ভাষাজ্ঞান ইত্যাদি সম্পর্কে nnn যা বলেছেন তার পর কিছু বলা বাহুল্য।
    মহীন আর সুমন, আরো একটা তুলনা মনে এল। দুই ভাই, এক্‌জনের ছোটবেলা থেকে যন্ত্রপাতিতে দারুন মাথা, মডেল বানায় নানারকম, খেলনাপাতি সবকিছু খুলে খুলে দেখে কী আছে ভেতরে। কিন্তু ইস্কুলের পড়াশোনায় মোটেই সুবিধে করতে পারেনা, অঙ্কে কাঁচা। অন্য ভাই অত নার্ড নয়, তবে পড়াশোনায় ভালো , টাইম ম্যানেজ করতে জানে।
    দশ বছর পর, প্রথমজন পাড়ার মোটর সারানোর দোকানের তুখড় মিস্ত্রি, দ্বিতীয়জন আই আই টি পাশ আমেরিকাবাসী ইনজিনিয়ার, প্লেন ডিজাইন করে।
    (ডি: কোনো প্রফেশনের প্রতি কোনো কটাক্ষ নাই।)

    আকাদা, ফ্রেডি বা কিশোর কুমারের মতো প্রতিভা শতাব্দীতে দু-তিনটে জন্মায়। তাদের হিসেবের বাইরে রেখেছি, সচেতন ভাবেই।
  • G | 136.142.168.156 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২৪543148
  • বুঝলাম না
  • pi | 137.187.241.4 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৭:০৯543149
  • সদার এই পোস্ট আর আগের পোস্ট মিলিয়ে আমিও কিছু বুঝলাম না। একবার শুনলাম মহীন প্রতিভাহীন, তারপর আবার তাদের তুলনা খুব মাথাওয়ালা ক্রিয়েটিভ লোকের সাথে। সব ঘেঁটে ঘ। যাগ্গে, মহীনের এই অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে আর জাস্ট কিছু বলার নেই :)
  • kallol | 101.63.231.98 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৩০543150
  • দলবল জুটিয়ে গিটার! হা:। ইনফোর অভাব। কতগুলো যন্ত্র বাজতো মহীনের পার্ফর্মেন্সে জানা আছে?
    মহীনের ঘোড়াগুলি দিয়ে উইকি দেখুন। ওদের পারফর্মেন্সের ছবি। জিপসী, বাঁশি, ড্রামস, তবলা, ডুবকি, একতারা, এতোগুলো যন্ত্র তো ছবিতেই দেখা যাচ্ছে। এছাড়া মনিদা খুব ভালো লীড গিটার, স্যাক্সোফোন বাজাতো। কিছুদিন রোজগারের জন্য কলকাতার ট্রিংকাসে বাজিয়েছে। বিশু ডবল বেস বাজাতো। আজও সে ক্যালিফোর্নিয়াতে বাজায়।
    ওদের মধ্যে প্রথাগত গানের শিক্ষা কম ছিলো বাপির। অন্যরা গান ও নানান বাজনা শিখেছে রীতিমত। আর আব্রাহাম তো আপনো জানেন। ভাগ্যিস জানেন।
    ইন্টারন্যাশনাল জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল, তাও কলকাতায়। তাতে আমন্ত্রন পাওয়াটা আকাশ থেকে পড়ে নি। ওরা তো জ্যাজ গাইতোও না। তবু কলকাতার জ্যাজ ফেস্টে যাওয়া পাব্লিক পাগল হয়ে গেছিলো।
    মহীনের কারুর প্রথাগত গানের শিক্ষা ছিলো না!! কোত্থেকে জানা গেলো? কতো কম জেনে কতো কথা বলা যায়, কতো সহজে।
    সদা, একটু জেনে কথা বললে ভালো হয়।
    দরিয়া যখন লেখা হচ্ছে তখন মহীন তাদের গান ফেজ শেষ করে সিনেমা ফেজে। একটাই করতে পেরেছিলো। নাগমতী। সেটাই রাষ্ট্রপতি। তারপর শুধু ছোট ফিল্ম বানিয়েছে। একটা তার মধ্যে লেটার টু মম। আর পেটের জন্য কর্পোরেট ফিল্ম বানাতো। তারপর আবার বছর কুড়ি পরে। বছর কুড়ি পরে ফিরে এসেছে আবার কেউ, প্রায় দশ বছর গ্যাপ দিয়ে?
    মহীনের প্রথম পর্যায়ের গান লেখা ৭৯তেই শেষ।
    সে গানগুলোর কথা Date:27 Apr 2012 -- 12:21 AM পোস্টে লিখেছি। সেগুলো শোনা আছে কি? তখন ১৯৭৬-৭৭। না থাকলে শুনে নেবেন। নেটে পাওয়া যায়। সে সময় জীবনমুখীদের এগজিস্টেন্সই নেই।
    মহীন সে সময়ে জনপ্রিয়তা পায় নি। এটাও ভুল।
    এইচএমভি ওদের নেয় নি। তাই মূল ধারায় ওরা ব্রাত্য ছিলো। সে সময় ওরা দূরদর্শনেও অনুষ্ঠান করে। বিভাস চক্রবর্তী প্রযোজক ছিলেন। একমাত্র যুগান্তর কিছু লিখেছিলো। এছাড়া মূলধারা এদের পছন্দ করতো না।

    গতকাল লিখেছি কিছু লেখা তুলে দেবো। আজ দেবো।

  • omnath | 117.194.195.67 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৩৪543151
  • সদাকে বয়সগত কিছু ডিসকাউন্ট দেওয়া হোক। বাচ্চাদের কথা খুব সিরিয়াসলি নিয়ে ডিপ্রেসড হয়ে পড়ার কোনো কার্ণ নেই। :-)
  • tatin | 117.197.70.232 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৭:৪৬543153
  • দরিয়া লিরিকালি বেশ দুর্বল না? অ্যালেগোরিকালি বা আক্ষরিকভাবেও কি তুফানের মধ্যে পাড়ি দেওয়া যাত্রীর 'মন কেমন কেমন করা' ঐ গানের কথায় বেরোচ্ছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন